[ব্লগ লেখা এক মারাত্মক নেশা। ঘাড় থেকে নামিয়ে রেখেছি আশ্বাসে নিশ্চিন্ত হয়ে বসলেই টের পাই কোন ফাঁকে সে আবারও ঘাড়ে চড়ে বসেছে এবং দুই হাঁটু দিয়ে কানের ওপরে চাপ দিচ্ছে! একটা ব্লগ না লেখাতক এই অদৃশ্য ব্যথাটি সরছে না!]
Inglourious Basterds নামটার মধ্যে প্রথমেই যেটা খেয়াল করলাম সেটা হলো নামের বানান ভুল। ভাবলাম টাইপো, তারপরে ভাবলাম টারান্টিনো কি ভুল শিখেছেন নাকি (যদিও চিন্তাটা শিশুতোষ ভীষণ), পরে একটু ঘাঁটতেই জানতে পারলাম এটা টারান্টিনোর সেই বিখ্যাত স্বপ্রণোদিত “গুফ”গুলোর একটা। টারান্টিনো নিজের সব ছবিতেই এরকম দুয়েকটা স্বেচ্ছায় করা ভুল রেখে দেন। এই ছবিতেও আছে। কিন্তু আমার লেখা সেইসব ভুল নিয়ে নয়। ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস ছবি দেখে কী কী ভাবলাম আর পাইলাম সেগুলো নিয়ে।
দুর্দান্ত কোন সিনেমা দেখলে আমি সবার সাথে সেটা শেয়ার করার চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে জোর করে কাউকে কাউকে ছবি দেখাই, পরে গিনিপিগেরা আমাকে ধন্যবাদই দিয়েছে বেশিরভাগ সময়ে। তবে ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস দেখে আমি একটু মুশকিলে পড়েছি। এই ছবিটা নিয়ে মূলত অনেকেই আমার মতো মুশকিলে পড়েছেন। সেটাও টের পেলাম রটেন টম্যাটোতে রিভিউ পড়তে গিয়ে। কুয়েন্টিন টারান্টিনোর ছবি নিয়ে এমন দোলাচল খুব স্বাভাবিক, কারণ প্রথাগত ছবি তৈরির অভ্যাস এই পরিচালকের একেবারেই নাই। আখেরে লাভ অবশ্য আমার মতো দর্শকদের হয়, যারা একঘেঁয়ে গোলাগুলি আর ‘ব্রেইনলেস অ্যাকশন’ দেখে দেখে বিরক্ত। উদাহরণ হিসেবে এই মুহূর্তে ডাই হার্ড আর ট্রান্সফর্মারস এর কথা মনে আসছে।
বাস্টার্ডস ছবিতে টারান্টিনোর ম্যুভির স্বাক্ষর খুব প্রকটভাবে বিদ্যমান। যারা টারান্টিনোর সাথে পরিচিত নন, তাদের জন্যে বলতে পারি, দুর্বলচিত্তের অধিকারী হলে সযত্নে টারান্টিনো এড়িয়ে চলুন! প্রচুর রক্তপাত, যৌনতার দৃশ্য ভরা থাকে, রক্তপাতের দৃশ্যগুলো ধারণের মুন্সিয়ানা এতদূর যে যেকোনো মানুষের বিবমিষা তৈরিতে পারদর্শী। এছাড়া ধীরলয়ের সংলাপও থাকে খানিকটা ছবিজুড়ে। আবহ সঙ্গীতের প্রাবল্য থাকবে আর সঙ্গীতের পরপরই হয়তো শুরু হয়ে যাবে কাটাকুটি বা ভয়ানক নৃশংসতা। ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস এর পটভূমি ফ্রান্সে, সময়কাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সুতরাং এই উপাদান ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ তিনি পেয়েছেন! তবে মজার ব্যাপার হলো, পুরো ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ানক ধ্বংসযজ্ঞ নেই। আর প্রকৃত ইতিহাসের চাইতেও বড়ো চমক রয়েছে ছবির শেষে।
এতো বড়ো সুযোগ পাওয়ার পরেও কেন টারান্টিনো মারামারি এড়িয়ে গেলেন সেটা বোঝার জন্যে ছবিটা আরেকবার দেখলাম। অবাক হয়ে খেয়াল করলাম যে এবার দেখার সময়ে আমার কাছে ছবিটা অনেক বেশিই বীভৎস লাগলো। মানুষের বিকৃতি, মনুষ্যত্বহীনতা, বর্ণবাদ, উগ্রস্বজাত্যবোধ, আর লালসার ঘিনঘিনে রূপ যেন ফেটে ফেটে বের হচ্ছে! এই ম্যাজিকাল ব্যাপারটি কীভাবে হলো? কেনো পরের বার দেখার সময়ে এটা টের পেলাম, প্রথমবারে যেটা পাইনি? আর কেনোই বা সেটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না?
আচ্ছা, সেটা নিয়ে বলার আগে একটু কাহিনীটা বলে নেই। গল্পের সময়কাল ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪, নাৎজি-অধিকৃত ফ্রান্সে। আমেরিকান-ইহুদী আটজন সৈনিককে পাঠানো হয় এই অঞ্চলে গিয়ে নাৎজিনিধনে। এই আটজনের নাৎজিনিধনের বীভৎস গল্প ছড়িয়ে পড়ে বিপক্ষশিবিরে, এদেরকেই বলা হতো বাস্টার্ডস। যুদ্ধের শেষের দিকে, ১৯৪৪ সালে এক জার্মান সৈনিকের বীরত্বের কাহিনী দিয়ে চলচ্চিত্র বানানো হয়। সেই চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো’তে আসবেন হিটলার, এমন খবর গোপনসূত্রে পেয়ে যায় বাস্টার্ডরা। তাদের পরিকল্পনা ছিলো, একই দিনে হিটলার, গোয়েবলস, জেনারেল হারম্যান গোরিংকে মেরে ফেলার সুযোগ পাওয়া গেছে, সেটা কাজে লাগাতেই হবে। মূলত গেরিলা কায়দায় কাজ করা এই দলটি তখন ছদ্মবেশে সিনেমা হলে ঢুকে পড়ার ফন্দি আঁটে। সৌভাগ্যক্রমে, সিনেমাহলের মালিক এক কমবয়েসি ছদ্মবেশী ইহুদি মেয়ে, যে নিজেও আলাদাভাবে হিটলারকে মারার নকশা করছে। বাকিটুকু না’হয় সিনেমা দেখার জন্যে এখন উহ্য রাখি। 🙂
ইনগ্লোরিয়াস ছবি দেখে সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি হলো অনেকদিন বাদে এক ভয়ানক ভিলেনের চরিত্রের দেখা পেলাম। স্টান্ডারটেনফুয়েরার হান্স লান্ডা। Schutzstaffel সংক্ষেপে SS অর্থাৎ তৎকালীন নাৎজি বাহিনীর সিক্রেট সার্ভিসের এক সেনা কর্মকর্তা। অস্ট্রিয়া থেকে তাকে ফ্রান্সে পাঠানো হয় লুকিয়ে থাকা ইহুদি খুঁজে খুঁজে তাদেরকে বন্দি করা, কনসেন্ট্রশন ক্যাম্পে পাঠানো অথবা মেরে ফেলা। ইহুদিদের খুঁজে বের করার পারদর্শিতার জন্য তার নাম দেয়া হয় “দ্য জিউ হান্টার”। ছবির শুরুর বিশ মিনিট কর্নেল (পরবর্তীতে জেনারেল) হান্স লান্ডা দখল করে নিয়েছেন, এবং বাকি ছবি জুড়ে তার একটা প্রচ্ছন্ন ছায়া ছড়িয়ে আছে। চতুর, কথাবার্তায় হাস্যমুখি এই জেনারেলকে দেখে বোঝার কোনো উপায়ই নাই, যেকোন মুহূর্তেই সে কতোটা নৃশংস হয়ে উঠতে পারে। দুটি দৃশ্যের কথা বলতে পারি, ছবির শুরুতেই এক ফরাসির বাসায় ইহুদি খুঁজতে যায় হান্স লান্ডা। সেখানে তার কথা, চাহনি আর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আমাকে বারবার পাকিস্তানি সামরিক খুনিদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। আমারও মনে পড়েছে, “ওয়ান্স আপ’ন এ টাইম, ইন পাকি-অকুপাইড বাংলাদেশ”-এ কীভাবে মানুষকে মারা হয়েছে! ফরাসি গ্রামটিতে চারটি ইহুদি পরিবার ছিলো, যাদের মাঝে তিনটা পরিবারকে খুঁজে পাওয়া গেছে। মঁসিয়ে লাপাদিত’-এর বাসায় গিয়ে হান্স তার সাথে কথা বলা শুরু করেন চতুর্থ পরিবারটি নিয়ে, তারা কোথায়, দেশে আছে না স্পেনে পালিয়ে গেছে, সেই পরিবারটিতে কয়জন ছিলো, তাদের বয়স কতো ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সময়ে জার্মান তথা হিটলারীয় দৃষ্টিকোণের কিছুটা ঝলক চলে আসে, ইহুদিনিধনের প্রোপাগান্ডা, ইহুদিবিদ্বেষের বিষ কেমন ছিলো! সেইসাথে জার্মান উগ্র জাতীয়তাবোধের একটা নমুনা নিচের সংলাপে দেখুনঃ
Col. Hans Landa: Now if one were to determine what attribute the German people share with a beast, it would be the cunning and the predatory instinct of a hawk. But if one were to determine what attributes the Jews share with a beast, it would be that of the rat. If a rat were to walk in here right now as I’m talking, would you treat it to a saucer of your delicious milk?
Perrier LaPadite: Probably not.
Col. Hans Landa: I didn’t think so. You don’t like them. You don’t really know why you don’t like them. All you know is you find them repulsive. Consequently, a German soldier conducts a search of a house suspected of hiding Jews. Where does the hawk look? He looks in the barn, he looks in the attic, he looks in the cellar, he looks everywhere “he” would hide, but there’s so many places it would never occur to a hawk to hide. However, the reason the Führer’s brought me off my Alps in Austria and placed me in French cow country today is because it does occur to me. Because I’m aware what tremendous feats human beings are capable of once they abandon dignity.
ইতোমধ্যে কান ফেস্টিভ্যালে হান্স লান্ডার চরিত্র রূপায়নকারী ক্রিস্টফ ওয়ালটজ্ সেরা অভিনেতার পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন। আমার মতে, এই বছরের অস্কারও তার পাওয়া উচিত! অনেকদিন এমন মানবিক (!) নেগেটিভ চরিত্র আমি দেখি না।
ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডসের মধ্যে পরিচালক টারান্টিনোর আরেকটা কাজ দুর্দান্ত লেগেছে, তা হলো সংলাপ ও দৃশ্যের হিউমার। যুদ্ধের ছবিতে কৌতুকমুখর দৃশ্য তৈরি করা বেশ কঠিন, আর যেখানে পাশাপাশি নৃশংসতা দেখানো হয় সেখানে মোটামুটি দুষ্কর। এই দুরূহ কাজটি টারান্টিনো এমন স্বাভাবিকভাবেই করেছেন, যে অভাবিত কষ্টের দৃশ্যগুলোও দর্শকের মনে আঁচড় কাটে না সেভাবে। হাসির দ্রুততায় হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া মৃত্যুও স্বাভাবিক মনে হয়। এরকম বেশ কয়েকটি দৃশ্যই মনে পড়ছে, যেগুলো পরেরবার দেখার সময়ে অনেক বেশি প্রকট হয়ে উঠেছিলো। আরো যে জিনিশটা ফুটে উঠলো সেটা হলো যুদ্ধপীড়িত অবস্থায় মানবিকতার অবক্ষয়। যে কোন অপরাধ বা অন্যায় যা সাধারণ অবস্থায় খুব গর্হিত বলে গণ্য হয়, সেগুলো যুদ্ধের পটভূমি দৈনন্দিন চর্চা হয়ে ওঠে। মানুষের একটা ‘বাই-ডিফল্ট’ অভ্যাস হলো নৈতিক অন্যায়ের ব্যাপারে বিদ্রোহী হয়ে ওঠা (মনে মনে বা সদলবলে)। যুদ্ধাবস্থায় নৈতিকতা আর মনুষ্যত্বের এই স্খলনের সময়ে তাই খুব জরুরি হয়ে পড়ে সৈন্যদের মোটিভেট করা। “উই আর ফাইটিং ফর এ গুড ক’জ”- এই বাক্যটা যে কোন অন্যায় যুদ্ধে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও তার বাইরে নয়। হিটলার তথা জার্মান যুদ্ধনীতির মূল শক্তিই ছিল অপরিসীম ঘৃণা ও ম্যানিপুলেশন। উগ্র স্বজাত্যবোধের সাথে দু’চামচ ঘৃণা মিশালে যে সুস্বাদু নেশা-জাগানিয়া বর্ণবাদের জন্ম হয়, তার বিষ খুব সহজেই লাখ লাখ মানুষ মারতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে চর্চা শুরু হয়েছিলো, সেই একই চর্চা দিয়েই তাদের ঘায়েল করা হয়েছে। মিত্রশক্তির মূল প্রেরণাই ছিল জার্মান নাৎজি বাহিনীর বিরুদ্ধে অবিমিশ্র ঘৃণা! বাস্টার্ডসদের পরিচয়পর্বের শুরুতে লেফটেন্যান্ট আলডো র্যাইন-এর চরিত্র রূপায়নকারী ব্র্যাড পিট তাই বলে,
And once we’re in enemy territory, as a bushwhackin’ guerrilla army, we’re gonna be doin’ one thing and one thing only… killin’ Nazis. Now, I don’t know about y’all, but I sure as hell didn’t come down from the goddamn Smoky Mountains, cross five thousand miles of water, fight my way through half of Sicily and jump out of a fuckin’ air-o-plane to teach the Nazis lessons in humanity. Nazi ain’t got no humanity. They’re the foot soldiers of a Jew-hatin’, mass murderin’ maniac and they need to be dee-stroyed.
এমন ঘৃণা থেকে কি যুদ্ধের শুরু হয়? নাকি যুদ্ধের মধ্যে দিয়েই এই ঘৃণার জন্ম? আমি এই প্রশ্নের দোলাচলে ভাসছি এখনও। টারান্টিনোর পরিচালনার গুণ এটাই যে বৃহদাকার কোন প্লট আর প্লাটফর্ম ছাড়াই এক অল্টারনেটিভ ওয়ার মুভি তিনি বানতে পারেন, যেখানে গোলাগুলির সংঘর্ষের চাইতে ক্রুর পৈশাচিক হাসির ক্ষমতা বেশি, বেয়োনেটে খুঁচিয়ে মারার চেয়ে নিষ্ঠুর কপালে স্বস্তিকার চিহ্ন এঁকে দেয়া।
—
পুনশ্চঃ আমি ছবিটা দেখতে দেখতে মন খারাপ করছিলাম যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কবে এই ধরনের গভীরতা ধারণ করা চলচ্চিত্র তৈরি হবে, আর কবে আমি সেটা নিয়ে এর চেয়েও বড়ো ব্লগ লিখতে পারবো! 🙁
—
পুনঃপুনশ্চঃ লিঙ্করাজি (যারা এখনও ডাউনলোড করেন নাই বা কিনে ফেলেন নাই তাদের জন্যে 🙂 ):
ডিভিডিরিপ ডাইরেক্ট ডাউনলোড
ডিভিডিরিপ টরেন্ট
ব্লুরেরিপ ডাইরেক্ট ডাউনলোড
ব্লুরেরিপ টরেন্ট
🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আরে! প্রথম হয়ে ত' বেশ মজা লাগে! 😀
এখন বুঝলাম কেনো আমার থেকেও সিনিয়ররা পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় নামে। 😛
যাই, এখন পইড়া আসি.........
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আপনাকে দেখেই বুঝেছিলাম আজকে আপনিই জিতবেন! 😀 :clap:
আমারো একই ধারণা।।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ইশ! একটা বানান ভুল হয়ে গেছিলো আমারও! 😛
আপনার উদ্ধৃত কথাটা "গায়ে পড়ে যুদ্ধ বাঁধানো" স্বভাবের সব জাতি/ রাষ্ট্রই ব্যবহার করে। 😉
ঐ
একটা চমৎকার রিভিও!মুভিটা দেখতে গিয়ে ঠিক এই দুর্বলতাগুলো আমিও ফীল করেছি...
১.আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এইরকম একটা সিনেমা বানানো হবে কবে(নিজেই কয়েকবার প্ল্যান করেও ফেলেছি)
২.ইহুদিদের প্রতি নাৎজিদের যে ঘৃনা,নিষ্ঠুরতা তেমনি বাস্টার্ডদের পৈশাচিকতাও খুব খারাপ ভাবে উঠে এসেছে।
৩.এই সিনেমায় মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছি “দ্য জিউ হান্টার” এর অভিনয়।জাস্ট অসাধারণ!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
আমি অবশ্য দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করি না। আমি মনে করি সকল ভালো পরিচালকের নিজস্ব ভাষা আছে, গল্পবলার আর সিনেমা বানানোর ভঙ্গি আছে। এই ছবিটা টারান্টিনোর ছবি হিসেবে দুর্দান্ত হয়েছে কিন্তু!
এতো মন দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আর এক কাপ চা :teacup:
🙁 🙁 🙁
কারণ আমি যে কি বুঝছি সেটাই বুঝিনাই।এত কঠিন নাম ওয়ালা মুভি দেখলেই তো ভয় লাগে 🙁 🙁 🙁
জেরিন, নামটা কঠিন, তবে ছবিটা তেমন কঠিন না। দেখে ফেলতে পারো নিশ্চিন্তে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ছবি এটা ভেবে দেখলেই হবে। 😛
😀
:))
আন্দা ভাই, একটু বেল্ট পড়ে...
এইটারও বেল্ট লাগবে? হায় হায়! 🙁
না বেল্ট লাগবেনা 😀 ।
আন্দা ভাই কি আজকাল ম্যূভি রিভিউ লিখছো?
নাম কঠিন হলেও তোমার রিভিউ পড়ে কঠিন লাগছেনা,
একসাথে বাসায় গিয়ে দেখবো সব 🙂
হুম, মাঝে অনেকগুলো ম্যুভি দেখলাম। তার মাঝে যেগুলো খুব বেশি ভালো লেগেছে সেগুলোকে নিয়ে রিভিউ লিখছি আর কি! 😀
দেখার পরে জানাইয়ো কেমন লাগলো।
আন্দালিব কেমন আছিস? পরশুদিন মুভিটা দেখছি আর ভাবছি কবে এর রিভিউ ককব তে আসবে। যাক এসেই গেলো।
আমার কাছে সমাপ্তিটা মুভির সেরা অংশ মনে হইছে। :shy:
সিনেম্যাটিক ভ্যালু বলে একটা কথা আছে, সেটা মানলে এই সমাপ্তিটা অনবদ্য হয়েছে। এটা নিয়ে অনেক ক্রিটিকেরই আবার মাথা খারাপ হবার জোগাড়। অনেকে সমাপ্তির কারণেই ছবিটার অন্য সব দিক নাকচ করে দিচ্ছেন। মনে হয় টারান্টিনোর "নাড়া দেয়া"র পরীক্ষাটা ভালৈ হয়েছে।
তোর কমেন্ট পেয়ে খুব ভালো লাগলো রে। তুই নিয়মিত হয়ে যা এখানে। ম্যুভি যা দেখিস, রিভিউ লিখলে আমরা সবাই-ই লাভবান হইতাম! 😀 😀
মুভিটা থিয়েটারে বইসা দেখছিলাম। পয়সা উশুল হইছে। ভালো হইছে রিভিউ। ব্লগে এখন কেন জানি নীরব পাঠক হইয়া গেছি। ব্লগানো দূরের কথা, বেশি কমেন্টাইয়ো না। 🙁
হুম, একদিন তুই আর আমি পাল্লাপাল্লি করে কমেন্টাইছিলাম মনে আছে... :dreamy:
মাঝে মাঝে ল্যাটেন্ট ফেইজ যায়। ব্যাপার্স না। আমারও মাঝে দেখবি লেখা কথা নাই-ই। এটা আবার কেটে যাবে তখন আচারে আচারে সয়লাব হয়ে যাবে দেখিস! :hug:
দেখি দেখি করে মুভিটা দেখা হচ্ছে না । রিভিউটা ভাল হইছে । কোন স্পয়লার দেস নাই । দিলে মাইর দিতাম 😛 গতকাল ব্লাইন্ড সাইট দেখলাম । দেখতে পারিস ভালো লাগছে আমার । শেষ করার আগে টারান্টিনোকে নিয়ে একটা মজার কথা মনে পরল । কলেজ থেকে বের হয়ে আমরা নিজেদের জন্মদিনে সবাইকে মুভি ভিসিডি/ডিভিডি গিফট করতাম । তো মোত্তাকীর জন্মদিনে আমি পাল্প ফিকশন গিফট করে সবার গালি খাইলাম । কারন মুভিটা সবার মাথার উপর দিয়ে গেছে । আমিতো ডেইলী স্টার এ রিভিউ পড়ে গিফট করছিলাম । কিন্তু এত নেগেটিভ রিভিউ শুনে দেশে থাকতে এই মুভিটা আর দেখা হয়নাই । পড়ে তো সিডনী এসে পরলাম, আর অনেক মুভি দেখা শুরু করলাম । তখনি পাল্প ফিকশন দেখে বুঝলাম কি মাল একটা মুভি পোলাপান বুঝেনাই । পরে অবশ্য সবার এ্যন্টেনাতে মুভিটা ধরা পরছিল 😀
হুম, পাল্প ফিকশন আমিও ক্লাস টেনে থাকতে দেখে বুঝিনাই কিছুই। তার উপরে প্রিন্ট ছিলো বাজে, ভেবেছিলাম ফালতু ডিরেক্টরের (!) হুদাই মুভি!! পরে অনেক পরে বুয়েটে ঢুকে আরেকবার দেখলাম। এবারে ডিভিডি কিনে। আর বুঝলাম যে আসলেই টারান্টিনো একটা মাল। 😛
স্পয়লার দেই না যারা ম্যুভিটা দেখে নাই তাদের সুবিধার্থে। 😀
পাল্প ফিকশন নাকি খুব বস মুভি এই কথা শুইনা আমি, মুহাম্মদ আর মহিব মিলা একসাথে বইসা দেখা শুরু করছিলাম। আধঘন্টা দেখার পরে আমি পাশে তাকায়া দেখি মুহাম্মদ আর মহিব ঘুমাইতাছে আর আমি কোনমতে জাইগা আছি 🙁 🙁 🙁 🙁 পরে আর দেখা হয় নাই 🙁 🙁 🙁
এইটা আমারও প্রথমদর্শনের সিচুয়েশন। তবে এখন একবার দেখার চেষ্টা করো, তিরিশ মিনিটের পর আরো তিরিশ মিনিট পার করো, তাইলে আর ছাড়তে পারবা না। পাল্প হয়ে যাবা! ;;;
ওইখানে এজিকিয়েল ১৯ঃ২৭ না এইরকম একটা বাইবেলের কোটেশান ছিল-স্যামুয়েল জ্যাকসন মানুষ মারার আগে তারে শুনাইত।ডায়ালগটা এত "কুল" লাগছিল যে পুরাটা মুখস্ত করছিলাম।লাস্ট লাইনটা মনে আছে-"এন্ড ইউ উইল নো দ্যাট মাই নেম ইজ দা লর্ড হোয়েন আই লে মাই ভেনিজেন্স অন ইউ"... ডায়ালগ শেষ কইরাই..."ইয়ালি ভিসিমাইক!ধুম ধুম ধুম!"
ডাটাবেজ থেইকা পাইলাম সংলাপটা। দুর্দান্ত একটা সংলাপ। যতোবার বলতো, গায়ে ভয়ের একটা শিরশিরানি দিয়া যাইতো।
Jules: The path of the righteous man is beset on all sides by the iniquities of the selfish and the tyranny of evil men. Blessed is he, who in the name of charity and good will, shepherds the weak through the valley of darkness, for he is truly his brother's keeper and the finder of lost children. And I will strike down upon thee with great vengeance and furious anger those who would attempt to poison and destroy my brothers. And you will know my name is the Lord when I lay my vengeance upon thee.
এক্কেবারে লাস্ট সীনে যখন এইডা কওয়া শুরু করে তখন আমি ভাবছিলাম ওরে খাইছে,এইবার খবরাছে-কিন্তু কী যে চমক দিল টারান্টিনো!
মুহাম্মদ ঘুমায় পরছে 😮
আবার দেখ মজা পাইলেও পাইতে পারিস ।
চমৎকার রিভিউ আন্দাল
দেখি নাই এখোনো....আজকেই দেইখা ফেলবো :dreamy: :dreamy:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:hatsoff:ধন্যবাদ টিটো ভাই। দেখার পরে জানায়েন ম্যুভিটা কেমন লেগেছে। শেয়ার করলে খুশি হবো।
ছবিটার গল্প কার কাছে জানি শুনেছিলাম। তারপর থেকেই দেখার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু ভাল প্রিন্ট পাই নি। আন্দালিব ভাইয়ের লিঙ্ক থেকে নামায় দেখি। :boss: :boss:
অবশ্যই নামাও। ডাইরেক্ট লিঙ্কগুলো রিজিউম সাপোর্ট করে, সহজেই নামাতে পারবে। টরেন্ট ব্যবহারের লিঙ্কগুলোও সম্ভবত ঠিক আছে, আমি দেখে শুনে চেক করে দিয়েছি।
দেখার পরে জানাও কেমন লাগলো ছবিটা! 😀
আমার IDM এর ডাউনলোড কিউ তে অনেক নিচে ছিল এই মুভিটা। আপনের রিভিউ পইড়া উপ্রে নিয়া আসলাম। ৬৫০ মেগা বিআর রিপ। আশাকরি আইজ্রাইতের্মধ্যেই হয়া যাইবো। 😀 😀 😀
এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত আলুছানা করার আশা রাখি (কপিরাইট: আমিন ভাই 😀 )
আলুছানা কি মোবাইল থেইকা করবা? :))
দেইখা সিরিয়াসলি জানাও কেমন লাগলো। তোমার ভিউটাও শুনি!
আলুছানা :khekz:
ড্যাটস মা মাস্টারপিস! 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এই দৃশ্যের কাহিনী জানো তো? টারানটিনোর ছবিতে সবসময়ে একটা গাড়ির ট্রাঙ্ক থেকে ধারণ করা দৃশ্য থাকে। যেনো কাউকে গাড়ির পেছনের ট্রাঙ্কে বেঁধে বা আটকে রাখা হয়েছে, ট্রাঙ্ক খুলে অপহরণকারী(রা) কথা বলে-- এই দৃশ্যটা খুবই সিগনেচার দৃশ্য!!
এই ছবিতে সেইটা করার সুযোগ ছিলো না, ১৯৪৫ সালের গাড়ির ট্রাঙ্ক নাই। তাই এই স্বস্তিকা আঁকার দৃশ্যটাকেই ওভাবে শ্যুট করেছে! লোকটা আসলেই জিনিয়াস। 😀
মালেনারে নিয়ে একটা রিভিও দেন ভাই...বহুত ভাল্লাগে এই সিনেমাটা!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
বহুত আগে দেখছিলাম ছবিটা। আরেকবার দেখা লাগবে রিভিউ লিখতে হইলে। দেখি সময় করে লিখবো'নে। 😀 😛
আন্দা ভাই,কি বেয়াদপ পিচ্চি দেখছেন এই বয়েসেই ম্যালেনা দেখছে x-(
এই বয়সেই তো দেখবে। বুইড়া হইয়া (আমাদের মতো বয়স) দেখোনের তো কোন ফযিলত নাই।
x-( আপনে দেখি আরো এককাঠি সরেস!নাহ তাই তো বলি বদর হাউসের পোলাপাইন আমাগো ব্যাচে এইরাম বান্দর ছিল ক্যানো--একজন তো ডায়রেক্ট প্রস্তাব দিছিল বার্মিজ মার্কেটের এক তন্বীকে---যেই হাউসে এইরকম সিনিয়র ভাই তারা বান্দর হইব না কি ভদ্র হইব??
সারমর্মঃ বদর হাউস ডাউন ডাউন হুনাইন হাউস আপ আপ :grr: :grr:
অফ টপিক-সাম্প্রদায়িকতা এবং সিনিয়রকে উত্যক্ত করার জন্য নিজে থিকাই :frontroll: :frontroll:
এই সব মামুলি ফ্রন্টরোলে তোর শাস্তি হবে না। তুই লুঙ্গি না পিড়া লঙ্আপ হ। তারপরে রবিন ভাই না বলা পর্যন্ত... :grr: :grr:
আমরা কলেজে থাকতে বিশ্বাস করতাম বয়ঃসন্ধির সময়ের হরমোনাল ও সাইকোলজিক্যাল গ্রোথের জন্যে সুস্থ যৌনতা খুব ভালো জিনিশ। অনেকটা তরকারিতে লবণের মতোন, না দিলে সব বিস্বাদ হয়ে যায়। এক চিমটিই যথেষ্ট। ;;;
🙁 মাত্র এক চিমটি? মনে আছে সেই ডেসপারাডোস? 😉
ডেসপেরাডোসের পুরা ছবির দৈর্ঘ্য দুই ঘন্টা, দৃশ্যটা ছিল ২ মিনিটের। এক চিমটি হইলো? ;;;
:shy: আমাগো সময় সেই দুই মিনিটরে রি-রান করায় করায় আধা ঘন্টা বানানো হইছিল(প্লেয়ার সেইদিন ক্যাডেটের হাতেই ছিল কেম্নে জানি)।আমার ধারণা দৃশ্যটার প্রত্তেক্টা ফ্রেম যারা দেখছে তাগো মুখস্ত(আমি ভাল ছেলে,দেখি নাই,দেখলেও মনে রাখিনাই)
ডেসপেরাডোসে যে টারান্টিনো অভিনয় করসে এই খবরটা দিতে আসছিলাম!!!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
হেহ,ওইটা আমরা জানি B-) ওই যে গেলাসে হিসি করার জুক কইছিল যেই বযাডা-পরে গুলি খাইয়া মরে।টারান্তিনো পাল্প ফিকশনেও এইরাম ক্যামেও চরিত্রে অভিনয় করছিল
x-( ওই তোর বয়স হইছে মালেনা দেখার? x-( ফাজিল পিচ্চি এই বয়েসেই বড়দের ছিনেমা দেখে x-( x-(
অফ টপিক-ইয়ে মানে সিনেমার নান্দনিক সৌন্দর্য ছাড়াও...মনিকা বেলুচ্চি আন্টিরে আমি খুব ভালো পাই :shy: 😡
কলেজে ডিভিডি শো তে দেখসিলাম ভাইয়াদের কল্যাণে...তাতেই কাইৎ!পরে বাসায় আইসা মনিকা আন্টির কালেকশান কিনে দেখসি...আহ...সিনেমা একখান!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
আমার মনে হয় কি, তুমিই এই সিনেমাটার একটা রিভিউ লিখো। তোমার ছবি দেখার অনুভূতি নিয়ে। আমার জানতে আগ্রহ হচ্ছে। এই বয়েসটায় কী ফীল করতাম অনেকটাই ভুলে গেছি, তুমি লিখলে হয়তো সেই স্মৃতিচারণটাও হবে! 🙂
রিভিউয়ে ৫ তারা।
সিনেমা তো এখনও দেখি নাই। কিন্তু রিভিউ পড়ে বুঝলাম টারান্টিনোর সিনেমা যতোটা বস হওয়া উচিত, ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস সম্ভবত ঠিক ততোটাই। সিনেমাটা আছে। শীঘ্রই দেখব। দেখার পর আরও কথা হবে।
অবশ্যই দেখার পরে জানাইয়ো তোমার কেমন লাগলো। 🙂
রিভিউ এতো ভাল, ছবি না যেন কত ভাল! দেখতে হবে। কিনছি।
দেইখা ফেলেন। তারপরে জানায়েন কেমন লাগলো। 😀
স্পয়লার এলার্ট-দয়া করে
মুভিটি না দেখে থাকলে পড়বেন না,কাহিনীর অনেক কিছু বলে দেয়া আছে যার ফলে এই মন্তব্য এবং এর উত্তরের মন্তব্যগুলো পড়লে পড়ার পর মুভি দেখলে মজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আন্দা ভাই,
আপনার রিভিউ পড়ে পরীক্ষার মাত্র একুশ দিন আগেও মুভিটা না কিনে পারলাম না।এই মাত্র দেখা শেষ করে এসে উঠলাম।ভয়ঙ্কর সুন্দর মুভি- এটুকুই শুধু বলতে পারছি।প্রায় আড়াই ঘন্টার মুভি দেখতে বসে কখন কিভাবে সময় কেটে গেল টেরই পাইনি একবিন্দু! যদিও মুভিতে ব্যাখ্যা করা আছে যে ০ দশমিক ০০১ বার ভাগ্য নিজে হাত বাড়িয়ে দেয় ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করতে-তারপরেও দুর্ধর্ষ নাৎসী কর্নেলের দল পরিবর্তন করার কারণটা নিয়ে শেষের দিকে খুঁতখুঁতে ভাব রয়েই গেছে-কেন জানি ঠিক বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছেনা(তাতে ছবি দেখার মজা যদিও নষ্ট হয়নি)। সবচাইতে অসাধারণ লেগেছে ইহুদি বালিকার ওই তরুন জার্মানকে হত্যা করার পর তার ভিতরে যে মানবিক অনুভূতির প্রকাশ দেখানো হয়েছে সেটি।আর বীভৎস রকমের আকর্ষণে বাস্টার্ডদের ওই বেসবল ব্যাটের মাধ্যমে সার্জেন্টকে হত্যা করার দৃশ্য সিনেমা শেষ হবার পর আর একবার দেখেছি।
সবশেষে বলা যায়-দিস মুভি ইজ আ টোটাল ট্রিট!
স্পয়লার মানে এখন বুঝলাম 🙁 ইংলিশ বেশি বুঝি তো 🙁
নাহ তোর্প্রতিমন্তব্য স্পয়লার্হয়নাই
তোমার পরীক্ষার মাঝে এরকম করা ঠিক না। পড়াশুনা করো মন দিয়া। বুঝলা? 😉
আর ম্যুভিটা প্রথমবার দেখার পরে একটা ঘোর কাজ করে। পরের বার দেখার সময়ে দেখবা খুঁটিনাটি আর সংলাপ, চাহনি এগুলা ভালোমতো চোখে পড়বে। আসল মজাটা ওখানেই। তবে এখনই আবার দেখতে বইসো না। পরীক্ষার পরে। 😛
সত্যি কথা বলতে কি,এখন ঘোরের মধ্যেই আছি।অন্ধকার গুহা থেকে দা বেয়ার জিউ এর বেসবল ব্যাটের ঠক ঠক শব্দ যেন এখনো গা হিম করে দিচ্ছে...
অফ টপিক-এত আশা নিয়া কমেন্টাইলাম তার রিপ্লাই এত ছুডু?নাহ দুইন্না থিকা ইন্সাফ গিয়া দিহান ভাবীর বাড়িত মেজবান খাইতে গেছে 🙁
এখন বলগ থিকা গিয়া পড়তে বয় ইশটুপিড। পরীক্ষার পরেও এই খানে কথাবার্তা হইবো।
ঐ..
আন্দা ভাই, রিভিউ হিসেবে আমার মনে হয় অনেক কাহিনী বলে ফেলসেন : 😀
এই মুভি দেখার পর আমার বেশ কিছু বিষয় ত্রুটিপূর্ন মনে হয়েছে। বাস্টার্ডদের যেভাবে এলাম, কোপালাম , জিতলাম স্টাইল ভালো লাগে নি। বিশেষ করে ব্যান্ড অফ ব্রাদারস দেখার পর মিত্রবাহিনীর জয়ের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য পথ পাড়ি দিতে হয়েছে বলে মনে হয়েছে। যদি ও সম্মুখ সমর এই মুভির উপজীব্য বিষয় ছিল না তারপরও বাষ্টার্ডরা আকাশ থেকে পড়ল আর সবাই তাদের ভয়ে কাপাকাপি শুরু করল এমনটা দেখতে ভাল লাগেনি।
নাজিদের নিরপত্তাব্যুহ সম্পর্কে এই সিনেমার চিত্রায়ন একেবারেই বাস্তবসম্পন্ন হয় নি। হিটলার এবং অন্যান্য টপ বসেরা হলের ভিতর বসে কাহিনীচিত্র দেখছেন, আর বাইরে একজনও নিরপত্তাকর্মী নেই ভাবতেই কেমন যেন লাগে। কোনরকম থরো চেকিং ছাড়াই অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ ভেতরে ঢুকে পড়ছে লোকজন, অর্ধেক বিশ্বের দখলদারের ইমেজের সাথে ইহা একেবারেই যায় ন। সিনেমার শেষ দৃশ্যসমুহের চিত্রায়নে অতিকিক্ত কল্পনার ব্যাবহার ভাল লাগেনি।
SS কর্ণেল এই সিনেমার অত্যন্ত শক্তিশালী চরিত্র । সিনেমার শুরুতেই সে তার অভিনয়ের মাধ্যমে সবাইকে মুগ্ধ করে ফেলেছে।
টারান্টিনোর সম্পর্কে আমি প্রায় কিছুই জানিনা। বস একটা ছবি বানাইছে, সমালোচনা করে যদি অপরাধ করে ফেলি তবে সেইটা ক্ষমার যোগ্য 😀
এইটা আসলে ফ্যান্টাসি টাইপ উড়াধুড়া একশন ছবি-বসে দেখে মজা লাগে এইরকম।অনেকটা ৩০০ মুভিটার মত,তয় তোর পয়েন্ট গুলা ঠিক আছে।
তোর পয়েন্টগুলার সাথে আগেই যেইটা বলছি সেইটাও যোগ করি-দুর্ধর্ষ এই এসএস কর্নেল হঠাৎ দল পরিবর্তন করল এবং মিত্রবাহিনীকে বিশ্বাস করে নিজের জীবন তাদের হাতে তুলে দিল-এইটা তার চরিত্রের সাথে একেবারেই খাপ খায়না।বাকি পয়েন্টগুলা ফ্যান্টাসি হিসেবে উড়ায় দিলেও এই একটা জায়গায় আমার কাছে কোনভাবেই খুঁতখুঁতানিটা দূর করা সম্ভব হয়নাই।
তারপরেও মুভিটা আমার কাছে জটিল লাগছে।
রাজী, কিসু কাহিনী তো বলতেই হবে। তা নাইলে বলার কিসু পাইতেছিলাম না। 😀
তোমার কথাগুলো ঠিক আছে। একটা জাতি একা একা (ঠিকমতো বললে একজন লোক, হিটলার) প্রায় ছয় বছর সারা পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধ বাঁধিয়ে রাখতে পারলে তাকে আক্রমণ করা এতো সহজ না। মারা তো আরো কঠিন। হিটলারের উপরে আত্মঘাতী হামলা নিয়ে আরেকটা ছবি কয়েকদিন আগেই দেখেছি, "ভ্যালকাইরি"। সেখানে হিটলারকে যেমন শ্বাপদের মতো ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে, সেটাই তার প্রকৃত রূপ- নিষ্ঠুর, প্রতিশোধপরায়ণ এবং অত্যন্ত ধূর্ত। তার চারপাশের লোকজনগুলো ক্ষমতার লোভে হোক আর ভয়ে হোক, নিঃশর্তভাবেই তার অনুগত ছিলো।
এই ম্যুভির জঁরা বা জনরা দেইখো, স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন/ওয়ার। এই স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন একটা পিকিউলিয়ার জঁরা (এই ক্যাটাগরির একটা উদাহরণ হলো "দ্য গুড, দ্য ব্যাড, দ্য আগলি" ম্যুভিটা)। একটা সময়ে আমেরিকায় খুব অল্প বাজেটে কিছু ওয়েস্টার্ন ছবি হতো যেগুলো বাজেট স্বল্পতার কারণে মূল লোকেশনে শ্যুটিং না করে বিরান কোন এলাকায় শ্যুটিং হতো। ছবির পরিবেশ ওয়েস্টার্ন হলেও তার ভেতরের মালমশলা, কাহিনী আসল ঘটনার কাছ দিয়েও যেতো না।
টারান্টিনো এই ছবি বানানোর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে একটা স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন বানাবেন। অর্থাৎ কম বাজেটে, মূল যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে যুদ্ধ নিয়ে ছবি। এই ছবিতে দেখো কোনো সম্মুখ যুদ্ধ নাই। ইনগ্লোরিয়াসদের আচার আচরণ ওয়েস্টার্ন হিরোদের মতোই।
আর ইতিহাসের সত্যের চাইতে এই ছবি বার বার যেটা করেছে, সেটা হলো একটা বীভৎস যুদ্ধের দুই পক্ষকেই "নৃশংস" করে দেখিয়েছে। ইতিহাসের পাঠে সাধারণত জয়ীপক্ষকে 'মহান' বলে একটা পরিচয় দেয়া হয়, সেটা অনেকাংশেই সত্য না। যুদ্ধ একটা নোংরা, মানবতাহীন লড়াই। সেখানে মহত্ত্বের সুযোগ কম।
আমার কাছে কাহিনীর সাথে মূল সত্যের পার্থক্যটা তেমন বড়ো ইস্যু মনে হয় নাই। ধরেই নিয়েছি একটা যুদ্ধ নিয়ে ম্যুভি দেখতেছি যেটার আসল ঘটনা আমি জানি না। 😉
টারানটিনোর কয়েকটা ম্যুভির নাম নিচে রিজওয়ান দিয়েছে, ওগুলো দেখতে পারো। সে সবসময়েই প্রভোকেটিভ। 🙂
ভাই, মুভির দর্শক হিসেবে একেবারেই নিম্নমানের। সাধারনত একটু হাই থটের মুভি দেখতে গেলে কখন যে ঘুমায়ে পড়ি টের পাই না। রিজওয়ানের দেওয়া মুভিগুলার নাম শুনছি, দেখতে ভয় করে মাথার কত উপ্রে দিয়ে যায়। তার্পরও দেখার চেষ্টা করবো। 🙂
ভয় পেয়ো না। ভয়ের সামনেই জয়! 😉
(কপিরাইট- মাউন্টেন ডিউ)
ম্যুভি দেখা তো পরীক্ষা দেবার মতো ব্যাপার না। এটা আসলে বিনোদনের অংশ। সাথে করে, যেহেতু শৈল্পিক একটা মাধ্যম, আমরা কিছু কিছু শিখতে আর জানতে সচেষ্ট হই। ওটা অপশনাল বা যার যার নিজস্ব চিন্তা। 🙂
:thumbup: ferpect!!!!
রিভিউ জটিল হইছে। যদিও তারান্তিনোর এই মুভিটা আমার অত ভালো লাগে নাই, তবে Pulp fiction, Tue Romance, Natural Born Killers, Reservoir dogs,
খালি From Dusk till dawn টা দেখা হয় নাই, তবে এইগুলা সবই বস। :boss: :boss: :boss:
এটাই মজা। তোমার এই ম্যুভিটা 'অত ভালো লাগে নাই', আবার কারো কারো 'অনেক বেশিই ভালো লাগছে'। একটা ম্যুভির ব্যাপারে এই প্রতিক্রিয়াগুলোকে বলে 'মিশ্র প্রতিক্রিয়া'। হা হা! 🙂
টারান্টিনোর "কিল বিল" দেইখো। ছবিটা দুই পর্ব করে বানানো। কাহিনী তেমন কিছু না, তবে একশন দূর্দান্ত! :thumbup:
kill bill 1 ta besi joss.....
আবার জিজ্ঞেস! দ্বিতীয়টা একটু কাহিনী আর সংলাপ মিলিয়ে মাঝখানে ধীরগতির হয়ে গেছিলো...
অবশেষে মুভিটা দেখলাম 🙂
পোস্ট পড়ছি পাবলিশ করার দিন ই, কিন্তু মুভি না দেখে জানান দিতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। রিভিউ পড়লে দেখার আগ্রহটা প্রবল হয়।
ভাই বলেছিলেন মুভিটা দেখে জানিয়ে যেতে। গতকাল দেখেছি। ভালো লেগেছে। সাধারণ মানুষ হিসেবে নাজী বাহিনীর প্রতি একটা ঘৃণা কাজ করে। কিন্তু বাস্টার্ডদের কাজ কিন্তু কম নিষ্ঠুরতা নয়। একচোখ বন্ধ করে ঘটনা ব্যাখ্যা করলে যে আমরা অর্ধেক ঘটনা দেখি না, এই মুভিটা সেদিকে ইঙ্গিত করে।
আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মুভির মেসেজঃ একটা মুদ্রার দুই দিক দেখে তারপরই ঐ মুদ্রা সম্পর্কে মন্তব্য করা সমীচিন।
ঠিক। বাস্টার্ডসদের ম্যুভিতে ঠিক ততোটাই নৃশংস দেখানো হয়েছে, যতোটা নাৎসীরা। এটা একটা রূপক, অর্থ হলো যুদ্ধ সবসময়েই অমানবিক। শুধু মানুষ মারা যায় বলে না, মানুষ মারা যাওয়ার পেছনে মানুষের স্বেচ্ছাক্রিয়া থাকে বলে।
যুদ্ধের একমাত্র জাস্টিফিকেশন হয় আক্রান্ত-আক্রমণকারীকে নিক্তিতে মেপে। এ ছাড়া পুরোটাই একটা ধ্বংসযজ্ঞ।