সূর্যপুত্র (ভূমিকাসহ……পর্ব এক)

[পাদটিকাঃ দীর্ঘদিন এই ব্লগে (যথেষ্ট সময় দিতে না পারার কারণে) ইনএ্যাকটিভ মেম্বার হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ হঠাৎ …অনেক কাজের ভীড়ে সুযোগ করে আসলেও…, লেখালেখি করার মতন সময় নিয়ে আসতে পারতাম না। একই সাথে বেশ কয়েকটি (অফিসিয়াল) দায়িত্ব পড়ে যাওয়ায় এবং বিশেষ একটি কোর্সে স্টুডেন্ট হিসাবে যথেষ্ট চাপে থাকায়ই সিসিবিতে আমার এই অনিয়মিত আসা-যাওয়া।

বঙ্গোপসাগরে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় আমাদের (বাংলাদেশের) জাহাজ কর্তৃক একটি শ্রীলংকান ফিশিং বোট উদ্ধারের বিষয়ে নিশ্চয়ই এই ব্লগের সবাই জানেন।

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু – ৫

জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনো না কিংবা কিনো না ফুল
ভালবাসা কিনে করিও একটি ভুল।
——————————-
যতদূর যাও ততদূর পাশে চলা
রেলের লাইন মেশে না তবু কি থামে
হৃদয়ের কথা একদিন হবে বলা।
——————————-
নীরবে সয়েছি নীরবে সহিয়া যাই
তুমি যা পেরেছ আমি তাহা পারি নাই
রুদ্ধ ঝিনুক দুঃখের মুক্তা বুকে।

বিস্তারিত»

সিসিবি গেট টুগেদারঃ কানাডা চ্যাপ্টার

দেশে থাকা ব্রাদার সিস্টাররা গেট টুগেদার করেন মাঝে মধ্যেই। বিরাট খাওয়া দাওয়া করেন, ছবি তুলেন। মজার শেষ নাই! প্রবাসীরা চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন না। সিসিবি কানাডা চ্যাপ্টার প্রবাসীদের এই দুঃখ ঘোচানোর উদ্যোগে এক গেট টুগেদারের আয়োজন করেছিল সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ, টরন্টো এয়ারপোর্টে। খুব শর্ট নোটিশে করা বলে বেশি লোকজন জোগাড় করা যায় নাই। তবে উপস্থিতদের মধ্যে তারকা ব্লগার তৌফিক এবং ব্লগ চাওয়ালা রকিব উপস্থিত ছিলেন।

বিস্তারিত»

এবার চলুন ক্রিকেট খেলিঃ সিসিবি চ্যাম্পিয়ন’স ট্রফি (ফ্যান্টাসি ক্রিকেট)

ফ্যান্টাসি ফুটবল নিয়ে জমে উঠেছে সিসিবি লীগ। প্রিমিয়ার লীগের ৫ম সপ্তাহ চলছে আর এর মধ্যেই সিসিবি’র ফুটবল ম্যানেজারদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ফুটবলের মত ক্রিকেট খেলাটা সারাবিশ্বে তেমন জনপ্রিয় না হলেও ক্রিকেটকে ঘিরে আমাদের দেশে আলাদা একটা ক্রেজ আছে। এই মাসের ২২ তারিখে শুরু হচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন’স ট্রফি ২০০৯। সকলের সাড়া পেলে ফ্যান্টাসি ফুটবলের মত ক্রিকেটপ্রেমী সিসিবি ম্যানেজাররাও মেতে উঠতে পারি ফ্যান্টাসি ক্রিকেট নিয়ে।

বিস্তারিত»

হতাশা-আ… হতাশা-হা… বাইনারি কোডে জড়িয়ে আছে!

(ব্লগটি যদি Warfaze-এর কোনো সদস্য পড়ে থাকেন তাহলে তার কাছে আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)

কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কি সব বিড়ম্বনা পোহাতে হয় সেটা মনে হয় আমার নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। কোন একজন মনীষী বলেছেনঃ “দু’টি জিনিসের আচরণ কখনও আগে থেকে আঁচ করতে পারবে না — ১) তোমার গাড়ি, ২) তোমার বউ”। আমার মনে হয় উনার সময়ে যদি কম্পিউটারের ব্যবহার এরকম ব্যাপক আকারে থাকত তাহলে সেখানে একটা ৩)-ও আসতো।

বিস্তারিত»

আমার দেখা স্বর্গপুরি – ১

ফার্স্ট টার্ম এন্ডের ছুটি শেষ হতে মাত্র ৮ দিন বাকী। এর মাঝে হঠাৎ করেই মাথায় ইউরোপ ট্যুরের ভূত চেপে বসলো। ভেবেছিলাম ভিসা পেতে অনেক ঝামেলা হবে কিন্তু তেমন কোন ঝামেলা হলো না। দুই মাসের স্যাঞ্জন ভিসা নিয়ে ফ্রান্স এম্বাসি থেকে সোজা রওনা হলাম ভিক্টোরিয়া বাস স্টেশনের দিকে। অনেকগুলো প্যাকেজ অপশনের মধ্য থেকে আমি আর তৌহিদ “লন্ডন-আমস্টারডাম-প্যারিস-লন্ডন” রুটের দুইটি ওপেন টিকিট কাটলাম। ঐদিনই রাত দশটায় ইউরো লাইনস এর বাসে উঠে পড়লাম।

বিস্তারিত»

নরকবাস-৪

মিতাপু

এক।
‘আমার আপন কোন বোন নাই’, বাল্যকালে বুকের মধ্যে এই চাঁপা দুঃখটা ক্ষণে ক্ষণে জানান দিয়ে উঠতো; বিশেষ করে যখন ছোটভাইটাকে দিয়ে রাতে আমাদের শোয়ার খাটের মশারী টাঙ্গানো এবং সকালে বিছানা গোছানো এই দুইটা দুঃসাধ্য কাজ করিয়ে নেবার জন্য আমাকে বিস্তর ফন্দিফিকির করতে হত; অতঃপর সব ছলচাতুরী ব্যর্থ হবার পর কাজগুলো নিজেকেই করতে হত। আদর্শবান শিক্ষক পিতা-মাতার সন্তান হওয়ায় এবং মা-বাবা দুজনেই চাকুরীজীবি হওয়ায় অনেক ছোট থেকেই নিজের সব কাজ আমাকে নিজের হাতে করতে হত।

বিস্তারিত»

ভাতিজার স্কুলে প্রথম দিন…সাথে একটি স্মৃতিচারণ ফ্রি…!!

মানুষের জীবনে কিছু কিছু দিন আছে খুবই গুরুত্বপুর্ণ। নানাভাবে এসব দিন আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। এই দিন গুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম একটি হচ্ছে স্কুলে যাবার প্রথম দিনটি। এই দিনটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে বিভিন্ন পরীক্ষায় (বাংলা বা ইংরেজী) এই দিনটির উপর রচনা লিখতে বলা হয়ে থাকে… :khekz: !!! বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই এদিন ভীষণ আগ্রহভরে বাবা অথবা মা, কিংবা দুজনের সাথে…নতুবা বড় ভাই-বোনের সাথে স্কুলে গিয়ে থাকে। এ দিনের পর সেই যে যাওয়া শুরু হয়…তা চলতেই থাকে…চলতেই থাকে…অনেকের তো বুড়ো বয়সেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয় না…!!!

বিস্তারিত»

নরকবাস-৩

ইব্‌লিশের সাগ্‌রেদ।

রমজান মাস আসতে না আসতেই চারিদিকে কেমন একটা পুতপবিত্র ভাব চলে আসল। মসজিদে মুসল্লীদের ভীড় বেড়ে গেল রাতারাতি। দিনে-রাতে পাড়ার ঘরবাড়ি-মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে সুর করে কোরান তেলাওয়াত শোনা যেতে লাগল। বিশেষ করে যখন রমজানের আগের শেষ জুম্মার বয়ানে সুর করে ইমাম সাহেব বললেন, “পিরিয় মুছল্লী ভায়েরা, এই রুমজান মাস, অইথ্যান্ত ফজিলতের মাস। আমরা কেউই কতি পারি নে, কোনো নিচ্চয়তা নেই, আইজগে এই মজলিশি হাজির সবাই এর পরের রুমজানে বাইচে থাক্‌বানে কিনা।

বিস্তারিত»

অর্ধচন্দ্র (গলাধাক্কা নহে)

বাংলাদেশে নূতন একখানা কথা দারুণ চলিতেছে আজকাল – ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রায় সর্বক্ষেত্রেই ইহার প্রচলন লক্ষ্যনীয়। উদাহরণস্বরূপঃ আমরা যাহাকে ডেলাইট সেভিং টাইম বলিয়া আখ্যা দেই, তাহা কিন্তু অল্পশিক্ষিত জনগণের নিকট ‘ডিজিটাল টাইম’ নামেই অধিক পরিচিত।

যাহাই হৌক, ভাবিতে ভালই লাগে, গর্ববোধ হয়, আমরা এখন যুগের সাথে মার্চ করিতে পারিতেছি। কারো কারো হয়তো ইহাও মনে হইতে পারেঃ “ধুর, আমেরিকা-টামেরিকা’র বেল আছে? বাংলাদেশ ও এখন ডিজিটাল যুগে আয়া পরসে।

বিস্তারিত»

এক আড্ডা, এক গান

১.
ক্যাডেট কলেজ জীবন শেষ করে যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, তখন যেন অথৈ সাগরে পড়ার মতো অবস্থা হলো। এক পাড়ায় ছিলাম বলে চিনতাম কেবল রতনকে। রতন সিলেট ক্যাডেট কলেজের, কলেজ নাম কাফি (আবদুল্লাহ আল কাফি)। রতন তখন ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম সারির নেতা হতে যাচ্ছে, তাকে পাওয়াই যায় না। পরিচয় হলো মোমিনের সাথে। মোমিন ফৌজদারহাটের। আর ছিল তানিম (ওমর), ফৌজদারহাটের। আমরা এই চার জন ছিলাম অর্থনীতি বিভাগের ক্যাডেট।

বিস্তারিত»

নরকবাস ২ – পুরুষ মানুষ

একটি কৌতুকের মতো।
ক্লাস নাইনের গরমের ছুটিতে আক্‌লিমা গেল তার ছোট খালার বাড়িতে বেড়াতে। ছোট খালা-খালু দুজনই তাকে নিজের মেয়ের মত আদর করে। বিশেষ করে খালুজান তো তার সাথে ‘মা’ ছাড়া কোন কথাই বলে না। খালার বিশাল বাড়িতে আক্‌লিমা একা এক ঘরেই ঘুমাতো। একদিন ঘুমের ঘোরে আক্‌লিমা স্বপ্ন দেখলো যে একটা গোখ্‌রা সাপ কিলবিল করে তার শরীর বেয়ে উঠে গলায় পেঁচাতে চাইছে। এরকম বিশ্রী একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ে ঘুম ভেঙ্গে ধড়ফড় করে উঠতে যেতেই সে টের পেল যে স্বপ্নে নয়,

বিস্তারিত»

নরকবাস ১ – আল্লাহর বিচার

কুইনাইন।
আপনাদেরকে আমি আজ আমার জীবনে দেখা এমন কয়েকটি কাহিনী শোনাবো যা আমি এপর্যন্ত গল্প বা আড্ডার ছলেও খুব একটা কাউকে বলিনি। আমার এ বক্তব্যটা আবার একটু স্ববিরোধী হয়ে গেল না তো? বলতে পারেন, ‘খুব একটা কাউকে বলিনি’ এমন গোপন কাহিনী আবার এমন জনসমক্ষে বলার দরকারটা কি? না, বিষয়টা তেমন গোপন কিছু নয়, আমার বা আমাদের পরিচিত কারো একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারও না। ঘটনাগুলো এমন যে আমাদের চোখের সামনেই অনেক সময় ঘটে যাবার পরেও বা নিজের কানে শোনার পরেও ঠিক বিশ্বাস করতে মন চায় না।

বিস্তারিত»

ভোরঃ আমাদের, আমার, তোমাদের একান্ত-

বিষাদের চেহারায় কতগুলো দাগ পড়ে গেছে।

আঁকাবাঁকা, খরখরে দাগগুলো বিষাদের চেহারায় মরা সাপের মত লেগে থাকে। আমার আর বিষণ্ণ লাগে না। আমি অনেক দিন বিষণ্ণ হই না। কতদিন! আরেক জন্মে আমি শেষ বিষণ্ণ হয়েছিলাম কি? নাকি গতকালই, অথচ আমার স্মৃতি সেটাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে রাখে। আমাকে বাঁচাতে নিজের কাছ থেকেই…

বিষাদ গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির মত অপরাধী। দুঃখবোধের সাথে তার বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার আজকেই শেষ দিন।

বিস্তারিত»

অমর্ত্য আঁধার

সন্ধ্যার অন্ধকার, সতর্ক বেড়ালের মত এসে
কেমন বদলে দেয় পরিচিত শহরের ছবি।
গোধুলীর কনে দেখা আলো মিলে গেলে পর,
আকাশে থোকায় থোকায় ফোটা অসংখ্য তারাফুল,
নিশ্চল মেঘের ঢেউ আর ত্রস্তে ঘরে ফেরা পাখী;
ধোঁয়াটে ছাঁয়ার রহস্যে আচ্ছন্ন করে চারিদিক।
খোপের বারান্দায় মূর্তির মত বসে ধ্যানী কবুতর,
আরামকেদারায় কিছু দূরে আমি; যখন মগ্ন হই
আজানের শব্দঘেরা গম্ভীর অমর্ত্য আঁধারে,

বিস্তারিত»