[মস্তকটীকাঃ (ব্লগীয় আদলের সাথে বইয়ের ফারাক, তাই পাদটীকা উপরে উঠে আসছে ধীরে ধীরে। এজন্যে তার নাম দিলাম মস্তকটীকা।) যা ভাবি, যা দেখি, তারে নাড়াচাড়া করতে ইচ্ছা করে। এর সাথে বালক বয়সের খেলনা নিয়ে অবিমৃশ্যতার মিল আছে। খেলনা ভেঙে গেলে কান্না পেতো, কিছু করার থাকতো না। এখনও মাঝে মাঝে নাড়াচাড়ার ইচ্ছাবশে চারপাশের দৃশ্য ও ঘটনা ভেঙে যায়। দেখি কিছুই নির্মিত হয় না। আবার বাতাসের মতো অবয়বহীনতার এই জগতে কোনটা নির্মাণ কোনটা বিনির্মাণ সে ধন্দও ব্যাপক!]
মাঝে মাঝে জোনাকদের আলোচনায় হুটহাট কবিতা উঠে আসে। এই ঘটনা আপেলপতনের মতো কুটিল হতে পারে, তবুও সেটা ঘটে যায় অনিবার্যতায়।
তো, জোনাকদের আলোচনায় চা-সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে কবিতা উঠে আসে।
এমন না যে কবিতা কোন অবয়বহীন ধারণা, জোনাকদের কাছে তা পুরোপুরি মিশ্ররূপীঃ নারীর মদির নাভির মতোই আকর্ষণীয়, (এবং ক্ষমাহীন সেই মেদাঞ্চল এতো অযুত যোজন দূরে বলে) অদ্ভুত কষ্টকর। যুগপৎ আকর্ষণ ও যাতনা আদায়ের কবিতা জায়গা করে নেয়- তুচ্ছ জোনাকেরা সেই কৃষকের মতো শক্তিশালীও নয় আর সর্বগ্রাসী নদীভাঙনে কৃষকের কিছুই করার থাকে না।
মাঝে মাঝে হুট করে আসা কবিতা আবার হুট করেই চলে যায়, তখন মিটমিটে আলোর সলতে আর কয়েলের লাল চোখ মিশে যেতে থাকে।
দেখা যাক, ঠিক সেই সময় আমরা একটি মুহূর্তকে বাছাই করি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে। তারপরে বিশ্ব-চরাচর থামিয়ে দিয়ে সেই মুহূর্তের ভেতরে ঢুকে যাই। আসুন, মুহূর্তটিকে ভালোবাসার চেষ্টা করি, নিদেনপক্ষে তার সাথে কিছুটা যোগাযোগ, কিছুটা ছল- অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ঢং করি।
মুহূর্তের মাঝখানে কয়েকটি মশা উড়ছে। এই এক মুহূর্তেই তারা কয়েকশ’ বার পাখা ঝাপটে ফেলছে, ঠোঁট চাটছে, পুঞ্জাক্ষি জুড়ে আলোকস্বল্পতা মাপছে।
মুহূর্তেই চায়ের কাপ থেকে দুই জুল তাপ উড়ে গেলো জোনাকদের মাথার ওপর দিয়ে, যাবার সময় কারো কারো চুলে হালকা ছোঁয়াচ…
মুহূর্তের মধ্যেই চায়ের দোকানের লোকটির ঘুম ঘুম চোখ প্রায় মুদে এলো শ্রান্তিতে, “আজকের উৎকট খদ্দেরগুলো সাপ্তাহিক নিয়মে ফিরে ফিরে আসছে, মাত্র একশ তিরিশ টাকায় দুটো বেঞ্চ আর কয়েকশ একর জমি আটকে রাখছে পুরা একবিংশ শতক” -এমন টুকরো টুকরো মৌলিকচিন্তা তার নিউরনে খেলছে বিদ্যুচ্চমকের মতোন।
মুহূর্তের মধ্যেই রাস্তার ঘোলা আলোর উৎসটি জোনাকদের পেরিয়ে গেলো। আলোটি আসার আগে বা পরে তারা কেউ খেয়াল করে নি। তবু অনেক ওপর থেকে কিছু অয়ন বায়ু গুমোট গ্রীষ্মকে পাত্তা না দিয়ে দেখলো তার শরীরে কয়েল ও চা-সিগারেটের তকমা মাখা কিছু ধোঁয়া এসে সাঁটিয়ে চুমু খাচ্ছে!
***
– ২৯.৩.১০
😀 ১ম নাকি
হ, এইবারে ক্ষেমা নাই। দান দান দুইদান, লাগ ভেল্কি লাগ! 😀
ভেল্কি লেগে গেছে তো =))
অসাধারন৷ খুবই চমৎকার চিত্রায়ন
ধন্যবাদ সিউল! 🙂 চমৎকার লাগছিলো আমারও, লেখার সময়ে।
:boss: B-) :boss: :boss:
:bash: :bash: :-B :-B :-B :frontroll: :frontroll: :frontroll:
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
তাইফুর ভাই কই?????
অটঃ ~x( বুঝছি, আড্ডার প্যাঁচালে তোমার মনযোগ কম ~x(
শোয়েব ভাই, আপনি তাইফুর ভাইকে ছাড়াই বুঝে গেছেন ভেতরের কথা। আসল আলাপের সময় আমি পুরাই অন্যমনস্ক ছিলাম! 😕
আন্দালিব পুরোনো ফর্মে ফিরছে মনে হলো :-B
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বস,
এখন সেইটার দুশ্চেষ্টাই করতেছি। 🙂
(সম্পাদিত)
অদ্ভুত সুন্দর উপমা :thumbup: :thumbup:
😮 😮
থ্যাংকু দোস্ত।
চোখ বড়োবড়ো করলি? আসলে তীব্রতার প্রান্ত ধরতে চাইছিলাম। :shy:
চাব্রি খাওনের সময় কখনো এভাবে খেয়াল করি নাই... :dreamy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হা হা! আমি তো চাব্রি খাওনের টাইমে মনোযোগ অন্যদিকে রাখি তাই খেয়াল করছি বস! 😉
চাব্রি কি জিনিস ভাই?
এইডা তুই জিগাস???? 😮 😮
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভাই, ঈমানে কইতাছি, আসলেই বুঝি নাই 🙁
চা-বিড়ি> চাব্রি
কবীর ভাই সিগারেট খান না। আকিজ ইজ দ্যা বেস্ট! ;;;
;;; ;;; ;;; :goragori: :goragori: :goragori:
খালি ইমো দিলি পরে হবি? হবি না! কথাও কতি হবি। বুঝলা?
:boss: শেষে তো দেখি খালি ধোঁয়া আর ধোঁয়া :boss:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
সবই শেষমেশ ধোঁয়া ধোঁয়া লাগলো যে... 🙁
ভাইয়া,ভালো লাগলো,সবসময়ের মত।ইদানীং এত কম লিখেন কেন?
লেখার ফ্রিকোয়েন্সি আসলে নিজে নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। পারলে তো চাইতাম, সবসময় লিখি... কিন্তু এটা পুরাপুরি নিজে নিজের মর্জিতে চলে।
আন্দা মনে হয় চোখে ঝাপসা দেখতেছি অথবা হাতের কাছে ডিকশেনারী নাই। কী করবো বলোতো?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
🙁
উপায় নাই গোলাম হোসেনের! তবু কষ্ট করে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আপু।
কঠিন হইছে লেখা। (আক্ষরিক অর্থে)
শুরুতে সহজ থাকে, বুঝলেন? তারপরে লিখতে লিখতে কঠিন হয়ে যায়। (হতাশ ইমো হবে)
বাহ! চায়ের দোকানের আড্ডাটাকে ভিন্ন আংগিকে তুলে ধরলা!!
চমৎকার। :boss:
আশেপাশের বাস্তবতা থেকে লিখলাম। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ, তানভীর ভাই। আর বেশি বেশি চমৎকার বলার জন্যে অ-ধন্যবাদ। 😛
বড়সড় বাক্যটা বোধহয় একসাথে অনেক কিছু বলে দেয়। ভালো লাগলো।
অফটপিকঃ ফ্রিতে আমার চায়ের দোকানের বিজ্ঞাপন করার জন্য :teacup: 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হাহা, চাদোকানি কেমুন চলে? চাদোকানে বসে বসে ভাবিও না বিশ্ব লয়ে! 😛
মস্তকটীকা আইডিয়াটা ভাল্লাগছে
নাড়াচাড়া ... :khekz:
লেখা অ-সাধারণ
(তোর লেখা আমি যে বুঝি ... এইটা নিয়া তোর কোন ডাউট আছে ??)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
"নাড়াচাড়া" শব্দটার পর আপনার শয়তানী হাসি দেখে অবুঝ মন অনেক কিছু ভেবে ফেলল। 😛
আমার মনে হয় কারো কোন ডাউট নাই...
বস, লুলু পাগলের পরের পর্ব কই? 😡
তাইফুর ভাই,
কোন ডাউট থাকলে কি "উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি" প্রিয়তে রাখি? 🙂
কেমনাছেন বস? শরীর-স্বাস্থ্য ভালো তো? গরম পড়ছে, তার উপরে আপনি পরেন কালাকুর্তা। ঠাণ্ডা পানি খাইয়েন বেশি করে। :boss:
আপনার কথায় মনে মনে হিসাব করলাম ড়া-অক্ষর বিশিষ্ট সকল শব্দই কেমন জানি কেমুন কেমুন। 😕
যথা, নাড়া, চাড়া, পড়া, পোড়া, গাড়া, ছেঁড়া, কড়া, ব্রীড়া, পীড়া... ...
নেক্সট টাইম চা খাওয়ার আগে তোর কথা মনে রাখতে হবে। :thumbup:
ওহ, এইটা হইলে আমার বিরাট সৌভাগ্য। পরে চা খেয়ে এসে একটা পোস্ট লিখে ফেলিস আর আমারে উৎসর্গ করে দিস! হা হা হা :))
ইয়ে মানে একটা “উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি” দরকার 😕 😕
বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে কিন্তু ভাবের প্রকাশ খুব সুন্দরভাবে হইসে এইটা বুঝতে পারসি :boss: :boss:
ভাবের অভাব হয়তো, তাই বুঝতে পারো নাই 🙁
তোমার প্রোফাইলের পিচ্চি boo -টাকে আমার খুব পছন্দ, তাই বলি, চায়ের আড্ডার গল্প বলছি। কয়েকজন মিলে চা খাইতে খাইতে দুনিয়ার গফ করতেছিলো। এইসব আবজাব কথাই লিখছি।
সবার কমেন্ট পড়ে মনে হইল লেখাটা জটিল-ভালো হইছে 🙂
আজাদ ভাই!!!!
কত্তোদিন পরে দেখা। কেমন আছেন? খবরাখবর বলেন। 😀
জটিল-ভালো বলছেন তাইলে! ইয়াহু। :tuski:
আন্দালিব,
খবরাখবর ভালই মনে হচ্ছে, পড়াশুনার হাত থেকে মুক্তি পেলাম না বলে আফসোস। জটিল-ভালো চিন্তা করা ছাড়া তুমি আর কি করে দিন কাটাচ্ছ আজকাল ?
অফটপিক : চিন্তা কইরা দেখলাম আন্দালিব, চাকরি-চুকরি ছাইড়া দিয়া ভাবের পাগল হইয়া যামু.... ~x( ~x( ~x(
এইসব অনুভূতিরা কি সবসময় তোমার মধ্যে বাস করে?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই, শান্ত! আপনি ভাবের পাগল হলে কেমন করে চলবে বলেন? আপনি ঠিকঠাক আছেন, তাই আমরা কেউ কেউ ভাবের পাগলামি করার সুযোগ পাই, সাহস পাই! 🙂
আমার মনে হয় এই অনুভূতিগুলো সবার মাঝেই বাস করে। কিছু কিছু ভাবনা ঠিক ঐ মুহূর্ত রূপ পায় না। হয়তো ভেবেছিই খালি, কতোকিছুই তো ভাবি। তারপরে যদি এমন হয় যে ঠিক সেই বিশেষ একটা মুহূর্ত নিয়ে লিখতে বসেছি, তখন দেখা যায় যে কিছু কিছু অপরিণত ভাবনা বা অনুভূতি শরীর পাচ্ছে, পূর্ণতা পাচ্ছে।
(আসলে পুরা প্রসেসটা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। আদতে কল্পনার স্বরূপ কে-ইবা বর্ণনা করতে পারে?)