আমি মনে হয় ভাবতে ভালবাসি। কোন ব্যাপার আমার কাছে একটু আগ্রহ জাগানিয়া মনে হলেই হল। সেটা নিয়ে মাথায় নানা চিন্তা-ভাবনা ঘোরাঘুরি করে। সেটা যাই হোক না কেন। এতদিন সেসব ভাবনা প্রকাশ করা হত না। সিসিবিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এইজন্য যে, এগুলো এখন কিছু আলোর মুখ দেখে(নাকি অনেক আলোকিত মুখ এদের দেখে?)। শুধু এই মনের কোণেই গুমরে মরে না। আর লিখতে গেলে ভাবনাগুলোও গোছানো একটা কাঠামোতে দাঁড়িয়ে যায়।
বিস্তারিত»সবাইকে নিমন্ত্রন … (খানাপিনার ব্যাপার)
অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখছি। যদিও এটা পুরাই ফাঁকিবাজি টাইপ। তাই প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সিসিবি এক সময় খুবই প্রাণবন্ত ছিল। এখন যে নেই, তা বলবো না। মাঝে মাঝে এখনও জমে ওঠে সিসিবির আড্ডা। মনে পড়ে, কত্ত ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম। এককথায় হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিতে দিতে পিরা মিরা যেতাম। দিহান ভাবীর সাথে প্রতিদিনই দিনের সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী হওয়ার লড়াই নেমে আমরা বিপুল ব্যবধানে হেরে যেতাম।
বিস্তারিত»জাপান প্রবাসে ভূমিকম্প
১১ মার্চ ২০১১, শুক্রবার। লাঞ্চ আওয়ারে হাতে সময় ছিল তাই জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম মসজিদে। ওতসুকা মসজিদটি আমার কর্মস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে, তবে আমাদের বৈশাখী মেলা যেখানে হয় সেই ইকেবুকুরো থেকে কাছে। মসজিদে কয়েকজন প্রবাসী বাঙ্গালী ভাইয়ের সাথে দেখা হলো। নামাজ শেষে বৈশাখী মেলার সহযোগী মোঃ জসীম উদ্দীন আর আমি এলাম ইকেবুকুরোতে। এক সাথে লাঞ্চ শেষ করে জসীম রওনা হয়েছে মেট্রো স্টেশনে আর আমি বাসে ওঠার জন্য যাচ্ছি।
বিস্তারিত»স্বাধীনতা বনাম স্বেচ্ছাচারিতা : সীমারেখা কোথায়?
আমার এই পোস্টটি হবে খুবই সংক্ষিপ্ত। কারণ, আমি কোন বড়সড় আলোচনামূলক পোস্ট দিতে যাচ্ছি না। শুধু সবার উদ্দেশ্যে একটা প্রশ্ন করতে চাচ্ছি। সবাই মতামত দিক। ফাঁকে ফাঁকে আমিও আমার মাথায় কিছু আসলে দিয়ে দিব।
শিরোনামে প্রশ্নটা নিশ্চয় এতক্ষণে সবাই দেখে ফেলেছেন। তবুও আবার বলি- স্বাধীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা, শাব্দিকভাবে দেখলে এদের অর্থ কিন্তু প্রায় একই- “নিজের অধীনে থাকা” আর “নিজের ইচ্ছায় আচরণ করা”। কিন্তু প্রায়োগিক দিক থেকে দুটোর ব্যবহার কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিস্তারিত»সংস্কৃতি, আগ্রাসন ও আমার কিছু অনুধাবন
সম্প্রতি বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বড় বড় অনুষ্ঠান হয়ে গেল যেখানে বাইরের দেশের নামকরা শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন। শাহরুখ খান, রাণী মুখোপাধ্যায় প্রমূখ একটি নাচের অনুষ্ঠান করলেন, তারপর বিশ্বকাপ উদ্বোধনীতে গান পরিবেশন করে গেলেন সনু নিগাম, শংকর এহসান লয় এবং ব্রায়ান এ্যাডামস এর মত গুনী শিল্পীগণ, আর সবশেষে গতকাল আবার আরেকটি নাচগানের অনুষ্ঠানে একটি শ্রীলংকার ব্যান্ড, ভারতীয় ব্যান্ড মেট্রো (প্রীতম), আনুশকা, ক্যাটরিনা, অক্ষয় এবং সালমান।
কারো জানতে বাকি নেই যে,
বিস্তারিত»বিদেশে পড়াশোনা
আমার অনার্স প্রায় শেষ এখন কি করব এই চিন্তায় ঘুম আসেনা।চাকরি চেষ্টা করলে হতনা তা না কিন্তু আমার ইচ্ছা দেশের বাইরে যেয়ে পড়াশোনা করা।কিন্তু কিভা্বে কি করব আসলেই জানা নেই ঠিক সেই সময়ে ইরাসমাস বৃত্তির্ খবরটা আমাকে একটা জিনিষ ভাবিয়ে তুলল তা হল আমাদের অনেকেই বিদেশে বৃত্তি নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি বা দেশে বসে বিভিন্ন বৃত্তির জন্য চেষ্টা করছি আমরা যদি আমাদের অভিজ্ঞতা গুলো সবার সাথে ভাগ করে নেই তাহলে অনেকের উপকার হবে বলে আমার মনে হয়।
বিস্তারিত»প্রিয়া তুমি কেমন হবে?
প্রিয়া তুমি কেমন হবে?
কেমন হবে তুমি, প্রিয়া!
আমি কি তোমায় স্বপ্ন দেখি?
আমি কি তোমায় কল্পনা করি?
নাকি তোমায় অনুভব করি?
তুমি কি আমার মতই ভাবুক হবে?
তুমি কি কল্পনার রঙ নিয়ে খেলতে ভালবাসবে;
নাকি তাকে বাস্তবতায় হারিয়ে ফেলবে?
বৃষ্টি আসলে তুমি কি করবে?
ব্যাগ থেকে ছাতা বের করবে,
নাকি আমায় নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে?
নোটিশ
প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে,আমার আরও কিছু ( ৭ খানা ) পেইন্টিং একটি গ্রুপ এক্সিবিশনে যাইতেছে । আরও আনন্দের বিষয় হইলো ঐ একই এক্সিবিশনে আরও ৩ পিস এক্স ক্যাডেটের ছবি যাইতেছে । এখন আপনারাই বলেন , আমার গত এক্সিবিশনে যারা যামু যামু কইরাও যান নাই , আমার জন্য না গেলেও ৪ জন এক্স ক্যাডেটের এক্সিবিশন হিসেবে ঐখানে ১বার ঢুঁ মারাটা আপনার কর্তব্য হইয়া যায় কীনা?
কাঁড়া আর আকাঁড়া
ছেলেবেলা ম্যাজিকের মতো ছিল। কতোকিছু জানতাম না। কতোকিছুর কার্যকারণ আর কলকব্জা বুঝতাম না। তাই অজানা ব্যাপারগুলোকে ভেলকিবাজি মনে হতো। স্কুল ছুটি হলে এক আইসক্রিমের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতো, দু’টাকা দিলেই কমলা কমলা পলিথিনে মোড়ানো। একপাশের পলিথিন দাঁতে টেনে ছিঁড়ে ফেলতাম, তারপরে মুখের মধ্যে গলে গলে যেতো কমলার স্বাদ। ঠোঁট আর জিব একদম টকটকে কমলা হয়ে উঠতো। সেই আইসক্রিম বানানোর বিদ্যা অজানা ছিলো, খুব আশ্চর্য হতাম, রোজ এতো এতো আইসক্রিম কোথায় বানায়?
বিস্তারিত»এলোমেলো কথামালা-২
১। এই সিরিজটি শুরু করার সময়ে ভেবেছিলাম…পরের কয়েকটি পর্ব জুড়েই শুধু বদরুল ভাইয়ের (নামঃ বদরুল আলম, ক্যাডেট নং-৩৯৯, বদর হাউস, ৮ম ইনটেক, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, কলেজে অবস্থানকালীন সময়ঃ ১৯৭১-৭৭) কথা লিখবো। কিভাবে তিনি তুরস্কে আসলেন…কিভাবে ভাবী-র সাথে তাঁর পরিচয়…বিবাহ…সন্তানদের গল্প…ইত্যাদি …ইত্যাদি।
২। পরের দিকে লিখতে চেয়েছিলাম…কিভাবে তিনি তুরস্কের মার্সিন শহরে একজন অনাহুত আগন্তক থেকে সেখানে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন…কিভাবে তিনি বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী-র পাল্লায় পড়ে ২/৩ লাখ মার্কিন ডলার লস খেয়েছিলেন……আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন…।
বিস্তারিত»সহকবর
১.
আমার রুগ্ন, শীর্ণকায় দেহাংশ, আমার বা-পাখানা আজ পারিবারিক কবরস্থানে কবরস্থ করে এলেন বাবা। ফিরে এসে কেমন যেন অপরাধীর মত আমার দিকে তাকালেন। যেন দোষটা তারই। দোষ কি আর তার, দোষ তো আমার ভাগ্যের।
আমার বা-পায়ের ফুটবল কিক আমাদের এলাকা বিখ্যাত ছিল। সবাই বলত, অর্ণব, তোমার বা-পায়ের শটের জুড়ি নেই। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল আমার তীব্র ঝোঁক। মায়ের নিষেধ, বাবার চোখ রাঙানো,
বিস্তারিত»অবাক জিজ্ঞাসা…
(প্রারম্ভিকাঃ ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এর নীরব পাঠক প্রায় এর জন্মলগ্ন থেকেই। কিন্তু কখনও মাঠে নামার সাহস অর্জন করতে পারিনি। কলেজে যাদের বাংলা লেখার প্রশংসা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, তাদেরকে এই ব্লগে লিখতে দেখে নিজেকে পাঠক হিসেবেই শ্রেয় ভাবতাম, কিন্তু যখন দেখলাম, দুলাভাই এর প্রশয়ে আমার নন-ক্যাডেট বোনও পুরোদস্তুর লেখক, তখন আর আত্মসংবরণ করতে পারলাম না। কলেজের শেষের দিকের লেখা কিছু বাক্যসম্ভার দিয়েই যাত্রা শুরু করলাম।
বিস্তারিত»আমাদের অস্তিত্ব – শেষ পর্ব
আমাদের অস্তিত্ব – ১
আমাদের অস্তিত্ব – ২
প্রথম পর্বে বলেছিলাম “ব্রেইন ইন আ ভ্যাট” তত্ত্বের কথা। আর দ্বিতীয় পর্ব ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ এবং এর বিষয়ে দার্শনিকদের উঠানো “মন” সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে। এই শেষ পর্বে এসে এই দুটিকে মিলিয়ে আমাদের সামনে কি দাঁড়ায় তা দেখা যাক।
ধরা যাক, আগের পর্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর অনুভূতির সমন্বয়ে রোবট তৈরি করা হয়েছে।
বিস্তারিত»এ ঋন শোধাবো কেমনে????
বেশ কিছুদিন আগে ইংলিশ ১টা মুভি দেখেছিলাম। ছবিটার পুরা ঘটনাও আমার মনে নেই কিন্তু ১টা ডায়লগ মনে পড়ে নায়ক (তার প্রিয়তমাকে উদ্দেশ্য করে বলা)- I dont wanna change even a single hair of yours. I love u I love u I love u. Would I ever gonna love u less?
ছোটোবেলা থেকে শুনেছি জন্মভূমি হলো মায়ের মতো, তাহলে আমি বলব আমার কলেজ (ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ) হলো সেই মায়ের বুক।
বিস্তারিত»আমাদের অস্তিত্ব -২
এর আগের পর্বে লিখেছিলাম “ব্রেইন ইন আ ভ্যাট” এর সাথে আমার পরিচয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পড়ার সময়। তো ঐ তত্ত্বের সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সম্পর্কও জানানো প্রয়োজন। তার আগে বলে নিই, আমাদের চারপাশের টেকনোলজি কিন্তু দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আর গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা চলছে। অন্যদিকে এগুচ্ছে মানুষের চেহারার ভাব-ভঙ্গি বা আচরণ নকল করতে পারা যন্ত্র তৈরির কাজ।
বিস্তারিত»