আমার জানালাটা খুলে দিলেই আকাশটাকে স্পষ্ট দেখা যায়। সেই জানালাতে রাতের তারাগুলো উজ্জ্বল হয়ে জ্বলতে থাকে খুব কাছে। M কিংবা W আকৃতির ক্যাসিওপিয়াটাকে দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। তার একদম মাঝের তারা বরাবর তাকিয়ে আমি খুঁজতে থাকি ধ্রুবতারাটাকে। প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত সাতটি তারার সপ্তর্ষিমন্ডলটাকেও চিনে ফেলি অনায়াসে। কিংবা মাঝে তিনটা উজ্জ্বল তারার বেল্ট পরা শিকারী কালপুরুষকে আমি লক্ষ্য করতে থাকি একদৃষ্টিতে। কালপুরুষের ছুড়ে দেয়া তীরটা ছুটে যেতে থাকে অনন্তের দিকে। সেই তীরটাকে হঠাৎ করেই আমি হারিয়ে ফেলি। তার জায়গায় ভেসে আসে একটা এসএমএস দিয়েই এক মুহূর্তে ভালবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলা মানুষটার হাত। সেই হাত আমাকে আহবান করে কিনা জানি না, আমি ছুটে চলি আমার ফেলে আসা কৈশোরের দিকে। সেখানে আমি কিছু কিশোরকে দেখি অবিকল আমার মত একটা জীবন পার করতে। তাদের একজনের সাথে লাইটস-অফের পর আমার অন্ত্যাক্ষরী খেলা চলতে থাকে। রাত ১-২টার দিকে আমরা খেলা ড্র ঘোষনা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে আবার পিটি কিংবা ড্রিল। হঠাৎ করেই দেখতে পাই কলেজের ছুটিতে একত্রিত হওয়া কিছু কিশোরকে। আমরা নেশাগ্রস্থের মত ক্রিকেট খেলে যাই। এই একটা খেলা নিয়ে আমাদের কত হাসি-ঠাট্টা, মান-অভিমান, কত গল্প। ক্লান্ত আমরা সন্ধ্যায় আবার জড়ো হই টাউন হলের মাঠে, বলে যাই কত কথা। বছর গড়িয়ে যায়। টাউন হলের মাঠটা কখনও পুরানো হয় না, পুরানো হয়না আমাদের কথাগুলোও। আমাদের বয়স বেড়ে যায়, কিন্তু আমরা একই রকম ভাবে হেসে উঠি কিংবা মন খারাপ করে ফেলি। জলযোগে গিয়ে ডুবে যাই মিষ্টির রসে। ধর্মসাগর পাড়ে চাঁদের আলোয় উজ্জ্বল হয়ে থাকা বন্ধুদের মুখগুলোর মাঝে আমি আমাকেই খুঁজে বেড়াই।
মাঝে মধ্যেই খুব মন খারাপ হয়ে গেলে খুলে দেই আমার মনের জানালাটাকে।
[ভূগোলের শহীদ স্যারের প্রতি রইল অশেষ শ্রদ্ধা। উনার চিনিয়ে দেয়া তারাগুলোকে আজও চিনতে ভুল করি না।]
অবশেষে তাহলে তুমি লিখলে ............ জানালা খুললেই যখন আর কিছুক্ষন খুলে রাখতে .........
ভাইয়া, কি করব বলেন? বেশীক্ষন লেখালেখি করতে ইচ্ছা করে না। 🙁
মন খারাপ কেনো ??? গতকালকেই না জন্মদিন পালন করলে ??
ভাইয়া, কাছের বন্ধুগুলো সব দূরে দূরে। তাই মনটা একটু খারাপ। 🙁
বাই দ্য ওয়ে .........
আশা করছি ভবিষ্যত পর্ব গুলোতে ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে ..।......
কবিগুরু বলেছেন, "সামনে যখন যাবি ওরে, থাকনা পিছন পিছে পড়ে"।
ব্যাখ্যা না হয় না-ই শুনলেন।
ভাইয়া এত্ত সুন্দর করে লিখেছেন যে পড়তেই ইচছা করছিল।
অতীত আসলেই বিশাল একটা বেপার। কিছু কাদায় কিছু হাসায়।কিছু দীঘশাস রেখে চলে যায়।
খুব ভাল লাগলো পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভালো থেকো।
তানভীর ভাই,
জানালাটা আরেকটু খুলে রাখতে পারতেন... আমরা কিছু সুন্দর আর অলংকরণময় স্মৃতিচারণ উপহার পেতাম...
আপনার প্রতি আমার অনুরোধ---
😀 😀
ভাইরে, সব কটা জানালা খুলে দিলে অনেক সমস্যা। 🙁 🙁
ভাইয়া, আপনাকেও আমার রোগে পেয়েছে। কাকতালীয়ভাবে আমিও খানিকটা স্মৃতি-বিজাড়িত হয়ে পড়েছি আজকে। ভালো লাগলো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
থ্যাঙ্কু রকিব। 🙂
পোলাটায় আবার ছ্যাকা ট্যাকা খাইয়া বসল কিনা বুঝবার পারতাছিনা। 😕
কি দিনকাল পড়ল, ডিজুস মাইয়া গুলা ভালো পোলাগুলারে বেইল দেয় না, সব ছুটে গ্ল্যামারের পিছে 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এক্কেরে একটা খাডি কথা কইলেন বস ......
আমিও দুঃশ্চিন্তিত। 🙁 🙁 🙁
তানভীর,
তুমি সামনে আগাইসো এই খবর কবে দিবা। তুমি লিখসো..... ভাল লাগলো পড়ে। :clap:
ফয়েজ ভাই,
শরীরের কি অবস্থা? এখনো কি অফিস বাং মাইরা বাসায় ঘুমাচ্ছেন? 😛 ক্লাস কেমন চলছে? যাই হোক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান; দোয়া করছি 🙂
ভাল আছি। ক্লাসও চলছে ফার্মের মুরগীর মত। 😀
ধন্যবাদ তোমাকে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এহসান ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। 😛 😛
ফয়েজ ভাই, ছ্যাকা ট্যাকা আবার খাইনাই, একবারই খাইছি। 😛 😛
আফসুস, আমাকে কেউ বুঝল না। 😛 😛
খুব ই খাটি কথা :shy: :shy: :shy:
ওরে বাপরে! শরমে তো দেখি তোমার চরম অবস্থা!
তানস,
অনেক অনেক দিন হয়ে গেছে, সেই কবে কি এক দৌড় শুরু করসি, এখন থামার নাম গন্ধ নাই। অনেকগুলা স্টেশান পার হয়ে যায়, উঁকি মেরে দেখি, কিন্তু দৌড় থামাতে পারি না। আশ্চর্য কি জানিস, দুই দন্ড বসে যে পুরনো দিনগুলার কথা মনে করবো, মনে হয়, স্রষ্টা সেই সময়টাও আমাকে দিতে নারাজ।
তোর এই পোস্টটা পড়ে অনেক অনেকদিন পর চোখ ভিজে আসলো। সেই অন্তাক্ষরী, লাইটস আউটের পর, অথবা জলযোগে আমাদের স্পন্জ-সাধনা! খুব মিস করিরে দোস্ত। বুড়া হয়ে যাচ্ছি, কবে আবার তোদেরকে কাছে পাবো তাও জানি না....।
www.tareqnurulhasan.com
😮 😮
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তা-রে-ক ...
জলযোগে স্পঞ্জ সাধনা ...
ব্যাখ্যা কর।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এইটা কুমিল্লা 'জলজোগ' মিষ্টির দোকানে না গেলে বুঝবেন না।
এখানে ব্যাখ্যা করলে জিভ দিয়া পানি পড়বে। ব্লগ গান্ধা হইয়া যাবে !! 😉 😉
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
জলযোগে স্পঞ্জ সাধনা....... আইজকাল ব্লগে খালি খানার গল্প। এখানে আইসক্রীম মিললেও জলযোগের স্পঞ্জ মিলে না; জিভে পানি আসছে.... 🙁
আমি ভাবলাম, পুকুরে জলকেলী'রত অবস্থায় সাবান ফেনায়িত স্পঞ্জ লইয়া ঘষাঘষি টাইপ কিছু ...
ফেনায়িত স্পঞ্জ লইয়া কত নারী'ই তো গাড়ী মুছিবার পোজ দিয়া ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
মনটা উদাস কইরা দিলেন তাইফুর ভাই। 😀 😀
ত্রুক্স, আমরা সবাই মনে হয় অনবরত দৌড়াচ্ছি রে! সমস্যা হচ্ছে আমরা একেকজন একেক দিকে দৌড়াচ্ছি। 🙁 🙁
তাড়াতাড়ি দেশে চলে আয়, একটা জম্পেশ ট্যুর দিতে হবে।
তান্স, আরেকটা সিরিজ শুরু করলি তাইলে,
ভাল হইছে ... এই সিরিজে আরও কিছু বিয়াপওক লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
(ভূ-গোল নিয়া কচকচি ... আরো কত কত গোল জিনিস আছে ... 😉 ছুড ভাইরে হিন্টস দিলাম)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তাইফুর ভাই, আপনাকে খুব মিস করি। এখানে কেমন অনিয়মিত হয়ে গেছেন, খুব খারাপ লাগে। 🙁 🙁
মন্ডা খ্রাপ কইরা দিলি 🙁
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমার মনডাও খুব খারাপ ছিল রে! 🙁
খুবই ভাল লাগলো......।। :awesome: :tuski:
ধন্যবাদ হাসান।
লিখলাম মনের কষ্টের কথা, আর তুমি দেখি আনন্দে নাচানাচি করতেছ! 😕 😕
dhur ki likhli. montai kharap koira dili. tui eto boss ken?
sei je dining hall e eksathe bostam, form e tor kache math bujhtam, oigula mone poira gelo
দোস্ত, পুরান কথা মনে হতে থাকলে আর শেষ হতেই চায় না। শুধু শুধু মন খারাপ হয়ে যায়! 🙁
জানালা যেন কোন দিন খুলতে না হয় ভাইয়া। মন খারাপ হওয়ার কি দরকার। আমরা কিছু সুন্দর লেখা মিস করব এই তো আর কিছু না।
লেখাটা অসাধারণ। কেন যেন মন খারাপ করে লেখা গুলাই ভাল লাগে বেশি ।
জানালা তো বন্ধই রাখতে চাই রে ভাই, কিন্তু সব সময় যে মনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনা! 🙁
অনেক ধন্যবাদ তপু।
আহা!!!
:dreamy: :dreamy:
মনে থাই গ্লাসের জানালা লাগাইছি... B-)
তাই না খুলেও সব দেখা যায়... :grr: ;))
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=)) =)) =))
মন টা খারাপ করে দিলি রে তান্স। আমার বা কেমস এর বাসায় ক্রিকেট, টাউন হলের আড্ডা, আড্ডা শেষে জলযোগ, ঈদ এর দিন এক সাথে বরিং টাইম কাটানো (মুখ আমসি করে তারেক এর মোবাইল গুতাগুতি 😛 ) এই দিনগুলা আর কখনো ফিরে আসবে না ভাবতেই মনটা অসম্ভব খারাপ হয়ে যায় 🙁 🙁 🙁
:shy: তাইলে **ষা ম্যাডামরে নিয়া মন ভালা করেন :shy:
ওফ টপিকঃ :frontroll: :frontroll:
x-( :grr:
হাহাহাহা! প্রত্যেক ঈদেই ত্রুক্স এর কিছু না কিছু হইত আর মুখটাকে বাংলা পাঁচ বানায়ে রাখত। 😛 😛
তোর আর কেমস এর বাসার ক্রিকেট খুব মিস্ করি রে! ক্রিকেট নিয়ে আমাদের কত ঝগড়া, মন কষাকষি!
এখনও বড় হতে ইচ্ছা করে না রে! 🙁 🙁
তান্স...কি সব মনে করাইয়া দিলি...ছুটিতে ক্রিকেট,টাউন হল,ধর্মসাগর,আর জলযোগ...মনটাই খারাপ হয়ে গেলো...
আমার মনটা খারাপ ছিল, তাই তোদের মনও খারাপ করে দিলাম 😀 😀
কেমন আছস্?
কবিতা ভালু ছিল 😛
লিখলাম গদ্য, আর পোলায় কয় কবিতা!!!
দুনিয়ায় ইনসাফ নাই! 🙁 🙁
তানভীরের কি দারুন মন খারাপ জাগানিয়া একটা লেখা। পোলাটা কেন এত্ত ডজ মারে
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ূম ভাই, শুধু কি আমিই ডজ মারি? কথাটা নিজেকে বললে ভালো হইত না! আমরা আপনার লেখা খুব মিস করি কাইয়ূম ভাই।
তানভীর ভাইয়ের কি দারুন মন খারাপ জাগানিয়া একটা লেখা। উনি যে কেন এত্ত ডজ মারে 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..