আলসেমি করে করে অনেক দিন কিছুই লেখা হয়না। এরমধ্যে কয়েকদিন আগে খেয়াল করলাম ইংরেজীতে স্বপ্ন দেখছি। দুই মাস ধরে দিনের মধ্যে ১৪ ঘন্টারও বেশি ইংরেজীতেই কথাবার্তা বললে হয়তো এইরকমই হয়ে যায়। যাহোক, মনে হলো যেমনই হোক একটা কিছু লেখা যাক।
অনেক আগে রিডার্স ডাইজেস্টে একটা জোক পড়েছিলাম৷ একটা টিন এজ মেয়ে তার মাকে গিয়ে প্রশ্ন করলো, মা, তুমি কেন বাবার প্রেমে পড়লে?
মা জবাব দিচ্ছে, তোমার বাবা আর আমি সোস্যাল স্টাডিজ ক্লাসে পাশাপাশি বসতাম৷ আমি প্রথমে তাকে আঁতেল টাইপের ছেলে মনে করায় সে কয়েকবার ডেট এর প্রস্তাব দিলেও আমি পাত্তা দেইনি৷ পরে …….
মেয়ে —- পরে ???? কিভাবে বাবাকে ফানি মনে হলো??
মা — একবার একটা খুব বোরিং ক্লাসে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম৷ একটু পরে আমার পাশের বান্ধবী আমাকে ধাক্কা মেরে জাগিয়ে দিলে খেয়াল করলাম, তোমার বাবাকেও তার পাশের ছেলেটা জাগানোর চেষ্টা করছে৷ এর পরে টিচার আমাদের দুজনকেই কিছু কথা শোনালেন৷তারপরে উনি বেরিয়ে যাবার পরে তোমার বাবার দিকে তাকাতেই সে বলে উঠলো, At last, we slept together…..
এই ইংরেজী ভাষার বেশ কিছু ব্যাপার আছে খুব কনফিউজিং৷ এই যেমন এই স্লিপিং টুগেদার টার্মটা এমন একটা অর্থ প্রকাশ করে যার সাথে ঘুমের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই৷ তারপরেও কেনো এই দুইটা জিনিস সব সময় মেশানো হয়, কে জানে৷ক্লাস সেভেনে থাকার সময় আমার ইংরেজীর নম্বর তেমন ভালো না থাকায় আমার চাচা আমাকে পরামর্শ দেন ইংরেজী গল্পের বই পড়ার জন্যে৷ ভেবেছিলেন, যেহেতু আমার গল্পের বই পড়ার শখ আছে, ইংরেজী বই পড়ে পড়ে ইংরেজী ভালো করে ফেলতে পারবো৷ কলেজ লাইব্রেরী থেকে একটা পেপারব্যাক বই নিলাম৷ পেছনে কাহিনীর হাইলাইটস দেখে মনে হলো টিন এজ রোমান্টিক কাহিনী হবে, ইদানিং কালে মেয়েরা যাকে রোমান্টিক চীজি স্টোরি বলে সেরকম আরকি৷ তো প্রথম কয়েক চ্যাপ্টার মোটামুটি ভালো গেলেও ধীরে ধীরে কনফিউজড হতে থাকলাম৷ এক পর্যায়ে একটা কথোপকথন ছিলো (চরিত্রগুলোর আসল নাম মনে করতে পারছিলা৷ তাই বানানো নাম ব্যবহার করছি৷)
— হ্যালো, স্টেল ….. ???
— জুলি, হোয়াট হ্যাপেনড টু ইউ ইয়েসটারডে?? আই ওয়াজ সোওও ওরিড ……
— ইট হ্যাপেনড স্টেল …… আই স্লেপ্ট উইথ ববি …… [এই পর্যায়ে আমি একটু বিরক্ত হলাম৷ ঘুমাইসে, এইটা এতো রহস্য করে বলার কি আছে৷]
— ইইইইইইইই ……… টেল মি এভরিথিং ……… [সিরিয়াসলি??? মানুষ কে কেমনে ঘুমায় কেউ কারো সাথে শেয়ার করে নাকি?]
— ওয়েল আফটার পার্টি ববি ড্রোভ মি টু হোম এন্ড আই ইনভাইটেড হিম ইনসাইড ফর সোডা৷ দেন ওয়ান থিং লেড টু আ্যনাদার এন্ড উই স্টার্টেড ফুলিং আ্যরাউন্ড আ্যন্ড দেন ইট সর্ট অফ হ্যাপেনড৷ [ওকে, আমি জানি ফুল মানে বোকা, সুতরাং ফুলিং আ্যরাউন্ড মানে বোকার মতন কাজ করা হতে পারে৷ কারন পুরানো আমলের হিন্দি সিনেমাগুলোতে দেখা যায়, চায়ের দোকানে নায়ক নায়িকা মুখোমুখি বসে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসেই চলছে৷ এই ব্যাপারটা ফুলিং আ্যরাউন্ড হতে পারে৷ তো ব্যাপারটা দাড়াচ্ছে, একটা মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে বাসায় এসে হাসাহাসি করতে করতে ঘুমায়ে পড়ছে৷ এদের কাছে হাসাহাসি করা কি মাটি কাটার মতন কঠিন কাজ? ]
বুঝতে পারলাম, কেনো আম্মু যে সব বইকে বড়দের বই বলতেন তাতে “নারী বড়ই রহস্যময়ী” বা “রমনী মাত্রই পুরুষের মতিভ্রমের কারন” — ইত্যাদি ডায়লগ থাকতো৷যা হোক, এখানেই আমার ইংরেজী রোমান্টিক বই পড়ার চেষ্টার ইতি৷
খেয়াল করলে দেখা যাবে, ইংরেজীতে বিরতীচিহ্নগুলো খুবই গুরুত্বপুর্ন। এই যেমন — “Lets eat James” বাক্যটার মধ্যে কমা বসিয়ে “Lets eat, James” বানালে একটা জীবন বেঁচে যায়। সামান্য একটা কমাও সময়ে সময়ে জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।
এর আগে যেবার আলজেরিয়াতে এসেছিলাম সেবার একটা ভাষাজনিত বিড়ম্বনার সিকার হয়েছিলাম। এক উইকএন্ডে টিমের সবাই মিলে একসাথে লাঞ্চ করতে গিয়েছি। সবাই মিলে বসে বসে হাহাহিহি করতে করতে খেয়াল করলাম, বিভিন্ন জাতিয়তার লোকজন মিলে জটিল একটা গ্রুপ হয়েছে আমাদের। আরো বিরাট বিরাট চিন্তা ভাবনা যখন আসা শুরু করছে, তখন আমার একপাশে বসা ইন্ডিয়ান কলিগ, রবি আমাকে বললো আমার অন্যপাশে বসে থাকা আরেক কলিগ, মেঘনাকে “বুকা বাজু” বলার জন্যে। এইখানে বলে রাখা ভালো মেঘনা আসলে মালেয়শিয়ান ইন্ডিয়ান। তার আর টেবিলের অন্য প্রান্তে মালেয়শিয়ান চায়নিজদের চোখেমুখে চাপা হাসি খেয়াল করে মনে হলো, এইটা বলার আগে একটু চিন্তা ভাবনা করা উচিত। আলজেরিয়াতে প্রধানত দুইটা ভাষা চলে, আরবী আর ফ্রেঞ্চ। ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলার সময় শিখেছিলাম, “মার্সি বুকু” মানে হল বিশাল ধন্যবাদ। আর মালেয়শিয়াতে খেয়াল করেছিলাম, এরা কিছু কিছু ফ্রেঞ্চ শব্দ ব্যবহার করে। তাই হয়ত বুকু অপভ্রংশ হয়ে বুকা হয়েছে ধরে নিয়ে প্রথম যে কয়েকটা সম্ভাব্য অর্থ মনে আসলো, বাস্তবতার দিকে তাকিয়ে সেগুলোকে বাতিল করে দিতে বাধ্য হলাম। তারপরেও মনে হলো একটু ডিফেন্সিভ থাকা উচিত। তাই আমাদের আরেক ফ্রেঞ্চ কলিগের সাথে প্যারিস নিয়ে আলোচনারত মেঘনাকে ডাক দিয়ে বললাম, “এই মেঘনা, রবি তোমাকে বুকা বাজু বলতে বলছে। কিন্তু প্রথমে তুমি কি আমাকে এইটার অর্থটা বলতে পারবা।” মেঘনা কিছুক্ষন আমার মুখের দিকে কিছুটা হতবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, বুকা বাজু মানে হলো, টেইক অফ ইউর ক্লোদস। মূহুর্তের মধ্যে নবজাতক মেষশাবক বা ভেজা বিড়াল, ভাজা মাছ উলটে খেতে জানি না (আমার জন্যে ভেজা বেড়ালের ভাব ধরা সহজ, কারন আমি আসলেই মাছ খেতে পছন্দ করিনা), ভাব ধরে রবির দিকে ফিরে বললাম, “টেল মি এগেইন রবি, হোয়াই আই উড ওয়ান্ট টু সে হার বুকা বাজু??!!!” বেচারী রবি দেখলাম, এ কিসের পাল্লায় পড়লাম রে বাবা, ভঙ্গিতে মুখ হা করে রেখেছে। আর আমার মালেয়শিয়ান কলিগেরা, যারা বিশাল আগ্রহের সাথে গোটা ব্যাপারটা ফলো করছিল, তারা হাসতে হাসতে চেয়ারের ওপরেই প্রায় শুয়ে পড়েছে।
দ্বিতীয়বার যেবার আলজেরিয়াতে আসার আগে ভেবেছিলাম, অনেক জায়গাতে ঘুরতে যাব, ছবিটবি তুলে একগাদা ছবি ব্লগ দেব। কিন্তু আমার আসলে জায়গা দেখার চাইতে মানুষ দেখতে বেশী ভাল লাগে। আমি যে হোটেলে থাকি, সেটার কাছেই একটা শপিং মল আছে। মাঝে মাঝেই সেটার সামনে গিয়ে বেঞ্চে বসে থাকি। ঈদের আগে একদিন দেখি, কোনো একটা কারনে টিনএজার ছেলেদের, যারা প্যারেন্টস ছাড়া আসছে, তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। দুইভাই, চেহারা দেখে মনে হলো ১২ আর ১৪ বছর বয়েসি হবে, অনেকক্ষন ধরে চেষ্টা করছে ভেতরে ঢোকার। কিন্তু সিকিউরিটি গার্ড প্রতিবারই ওদের ভাগিয়ে দিচ্ছে। কিছুক্ষন পরে দেখলাম এক ভদ্রমহিলা তার মেয়েকে নিয়ে ভেতরে যাবেন। বড়ভাইটা ওই মহিলার কাছে গিয়ে কি যেন অনুরোধ করলো আর তারপরে মহিলা হাসিমুখে মাথা নেড়ে সায় দিলেন। তারপরে বড়ভাই মহিলার একহাত ধরলো ছোটভাইটিও ওই মহিলার মেয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে মহিলা অন্যহাত ধরে মলের দিকে হাটা শুরু করলো। যথারীতি সিরিউরিটি গার্ড ওই ছেলেদুটিকে আবার আটক করার চেষ্টা করলে ভদ্রমহিলা খেকিয়ে উঠলেন। ওই গার্ড হাত তুলে আত্মসমর্পনের ভঙ্গি করে সবাইকেই ভেতরে ঢুকতে দিলো। ভেতরে ঢুকেই ছেলেদুলো মহিলার দুই গালে চুমু খেয়ে বিদায় জানিয়ে বোলিং কর্ণারের দিকে দৌড় দিল।
ব্যাপারটা দেখে পুরোনোদিনের কথা মনে পড়ে গেলো। কলেজ থকে তখন নতুন বের হয়েছি। বন্ধুবান্ধব মিলে সংসদ ভবনে আড্ডা মারতে যাই। ওদের মধ্যে যারা প্রেমের ভুবনে আপাদমস্তক রেখেছে, তারা প্রায় সময়ে প্রেমিকার সাথে কথা বলার জন্যে উতলা হয়ে যায়। তবে তখনো মোবাইল ফোন এতটা সহজলভ্য না থাকায় টিএনটি ফোনই ছিলো একমাত্র উপায়। তবে সাধারনত এই ফোন থাকে অভিভাবকের তত্বাবধানে। তাই ফোনবুথের কাছে দাঁড়িয়ে আমার ওই বন্ধুরা করুন মুখে রাস্তা দিয়ে যেতে থাকা আপুদের কাছে গিয়ে আনুরোধ করত, আপু প্লীইইইজ, আমার বান্ধবীর বাসাতে একটা ফোন করে দিবেন? কেনো জানি, অধিকাংশ সময়েই তাঁরা সাহায্য করতেন। হয়ত তখন আমরা সবাই অনেক সহজ সরল ছিলাম।
আলজেরিয়াতে ঈদ করার পরে প্রথম অফিসের দিনে দেখি স্থানীয় লোকজনেরা সবাই সবাইকে গালে চুমু খেয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছে। ছেলেরা মেয়েদের বা মেয়েরা মেয়েদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেখতে খুব খারাপ না লাগলেও, ছেলেরা ছেলেদের এই স্টাইলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেখতে খুবই অস্বস্তি লাগে। বুয়েটে থাকতে আমার কিছু বন্ধুবান্ধব একবার এই প্রথা প্রচলন করার চেষ্টা করেছিলো। তবে বিস্তারিত ঘটনাতে না গিয়ে শুধু বলা যায়, খুব তাড়াতাড়ি তারা হাল ছেড়ে দেয়। যদি কেউ এই প্রথা শুরু করতে চায়, তাদের জন্যে পরামর্শ থাকবে বয়স্ক শিক্ষক বা বান্ধবীর সামনে এই প্রথা প্র্যাক্টিস না করাই ভালো। সেবারই আমি প্রথম টের পেয়েছিলাম, বন্ধুর প্রেমিকাজনিত সমস্যা শুনে ভালো পরামর্শ দেবার বদলে যারা গড়াগড়ি করে হাসে, আমি সেই সমস্ত পাষন্ডদের মধ্যে একজন।
এই দুই আড়াই মাসে ভাষা নিয়ে ব্যাপক সমস্যাতে পড়েছি। লোকজন ইংরেজী কিছুই বোঝে না। তাই হোটেলে খেতে গেলে আমি ইংরেজীতে অর্ডার দেই আর তারা ফ্রেঞ্চ বা আরবীতে অর্ডার নিয়ে যায়। “শীসকাবাব প্লীজ” — এই অর্ডার করে শীসকাবাব ছাড়াও টার্কি-ফ্রেঞ্চফ্রাই-সালাদ সেট বা স্যন্ডুইচও পেয়েছি। এই কারনেই মাঝে মাঝে মনে হয় কোনো একটা গ্লোবাল ভাষা থাকা উচিত ছিলো। মানুষের আনন্দ, দুঃখ, ব্যথা, লোভ, লালসা, ভালোবাসা, কামনা — প্রায় সব কিছুর ভাষাই প্রায় একই রকম। তাই এই গ্লোবাল ভাষা তৈরী করা খুব একটা কঠিন হওয়া উচিত না।
যা হোক, আর কয়েকদিন পরেই দেশে আসবো। চানখারপুলের নীরব হোটেলটা এখন কি অবস্থা কে জানে। আবাহনী মাঠের সামনের চাপের দোকানগুলোতেও একবার ঢু মারতে হবে। আমাদের পোলাপাইনের মাসিক গেট টুগেদারে অনেক দিন পরে এইবার জয়েন করতে পারব ইনশাল্লাহ। কিন্তু সাবিহার আহবান করা গেট টুগেদারটা হয়ত মিস হয়ে যাবে। দেখা যাক, সময় কি বলে।
:thumbup:
🙂
এই কারণেই আপনেরে ফোন দিয়া পাইনা... 🙁 ওই নাম্বারে দেশ থিকা কল দিছিলাম...খালি বিজি পাই......মনে হয় কাউরে "বুকা বাজু কইতেছিলেন" 😛
ইয়ে, আমি এমুন টিউবলাইট এখন বুঝিনাই 🙁 ইট্টু খোলসা কৈরা কন না...
আর মানে...ছুডো কালে এইরাম রুমান্টিক চিজি স্টোরি পইড়া আমিও কিচ্ছু বুঝতাম না...তয় ভোকামুলারি বাড়ানর জন্য কেলাস ইলেভেনে একবার "পেন্টহাউস" পত্রিকা চাঁদা তুইলা কিনছিলাম :shy: ওইখানের অনেক শব্দ বুঝতে না পারলেও ছবি দেইখা অর্থ অনুমান কইরা নিছিলাম-তবে একটা শব্দ নতুন শিখছিলাম আসলেই কাজের (আর্চিপেলাগো বা দ্বীপপুঞ্জ-ওই শব্দটা স্যাট পরীক্ষাতেও আসছিলো-১ নম্বর তো পাইছি!)
আর ইয়ে,লেখা পইড়া ব্যাপক মজা পাইছি 😀
মাশরুফ, "Lets eat, James" এবং "Lets eat James"... এবার মনে হয় ক্লিয়ার।
আমিও প্রথমে বুঝিনাই। মঈনুল ভাই, এই টাইপের ইংরাজীটা রোমান হরফে লিখলেই মনে হয় ভাল হয়, কি বলেন? 🙂 দেখেন ঐ যে 'ইট' নিয়ে কনফিউশন হইসে -- এটা it নাকি eat......
🙁 এইবার বুঝছি... :)) আদু,থেঙ্কু দোস্ত!
ধন্যবাদ আদনান। বাক্যদুটো রোমান হরফে করে দিয়েছি।
ভাইরে, আমি কয়েকবার বাংলাদেশে ফোন করার চেষ্টা করছিলাম এইখান থেকে। ২ মিনিট কথা বলার জন্যে ২০ মিনিট ধরে লাইন পাবার চেষ্টা করা লাগে। দেশের মধ্যে এদের নেটওয়ার্ক ভালো হলেও ইন্টারন্যাশনাল কল করতে গেলে খবর হয়ে যায়।
তবে ছবি দেখে দেখে শেখা ভালো। আমি পরে আর্চিস কমিকস পড়ে পড়ে ইংরেজী ভালো করার চেষ্টা করেছি। পেন্টহাউজও কি কমিকসের বই?? O:-) O:-)
:shy: আর্চি কমিক্সে ভেরোনিকারে আমার অনেক ভালু লাগতো-বিশেষ করে সামার এডিশনে সীবিচে :shy: ইয়ে মানে, ঠিকই ধরছেন-পেন্টহাউসও বাচ্চাদের কমিক্সের বই-তবে এই বাচ্চার কমপক্ষে আঠারো বছর আগে জন্মাইছে 😛
ইয়ে মানে,আঠার বছরের কম বয়সীদের এখন শিশু বলা হয় 😛
সূত্রঃ জাতীয় শিশু নীতি ২০১০ :-B
পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের নাম ঐশ্বরিয়া আন্টির কল্যাণে পেরথম শুনছিলাম :shy: :grr:
ঐশ্বরিয়া আন্টি ওই ম্যাগাজিনে মডেল হইছিলেন শুইনা ঈদের সালামির টাকা জমাইছিলাম একটা কপি কিনতে কিন্তু পরে শুনি ওইটা ভুয়া নিউজ 🙁
ইয়ে মানে,তাহলে আন্টির যে দু' দু'টা ছবি দেখেছিলাম,সবই কি তাইলে তালি মারা ছবি? 🙁 :shy:
যথারীতি অসাধারন। আপনার আলজেরিয়ার নাম্বার টা দেন তো। আমার টা আছে না?
দেশে আসতেছেন কবে? গতবারের মতো ডজ দিয়েন না।
তোমার নাম্বার আছে। এসএমএস পাঠাবো তোমার নাম্বারে।
ইসুবগুল খাইছিস নিশ্চই! লেখা খুবই সাবলীল এবং বুকাবাজু হয়েছে। ইংরেজি শেখার অংশটুকু পড়ে একেবারে হাহাপিগে ...
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ইসবগুল খাওনের লগে লেখা সাবলীল হওয়া??? 😮 ওই মিয়া,আপনি ম্যালা পুংটা হই গেছেন... :))
আরাম। আরামসে :shy:
আমার বন্ধুয়া বিহনে
দোস্ত, তুইও তাইলে একটু ইসুবগুল লেখা দে। 🙂 🙂 🙂
=)) =)) =))
হেভি মজা পেলাম।
ধন্যবাদ বস ...
জোশ :)) ভাই..... :boss:
আপনি কত বছর পর আসতেছেন ভাই?
যাউকগা,নীরব হোটেল আরেকটু ভদ্রস্থ হইছে,ভাবের সাথে দামও বর্গানুপাতিক হারে বাড়ছে
আর আবাহনী মাঠের সামনে না হয় দুই একটা মোবাইল ভাজাপোড়ার দোকান পাবেন,কিন্তুক সেগুলা চোখের পড়ার আগে অনেক '' বুকা বাজু''বলার মত অবজেক্ট চোখে পড়বে........কারণ স্টার কাবাবের উপরে পিৎজা হাট,আবার তার পাশেই স্ট্যামফোর্ড ভার্সিটি...বুঝেনই তো বস 😀
তয় ইয়ে মানে....এই সকল প্রকৃতি আবার সপরিবারে উপভোগ্য নহে বলে জানি
বাংলাদেশে আসছি প্রায় দেড় বছর হতে চলছে।
আবাহনীর সামনে চাপের দোকান নাই এখন??? 😮 😮 😮
দেড় বছর! এই দেড় বছরে কি কি হইছে জানেন!!!!!..............(মনে করতে পারতেছি না কিছু) 😕 :frontroll:
এই দেড় বছরে অবশ্য বুয়েটের অনেক উন্নতি হইছে বস......মানে বুয়েটের ছাত্রদের...নমুনা এফ.ডি.সি থেকে প্রাপ্ত
বুঝলাম না, বাংলা সিনেমার ডায়লগ শুনলে এখনো কেনো জানি মেজাজ খারাপ হতে থাকে।
হাহাহাহা,ভাই এই ভিডিও তো চরম হিট হয়ে গেছে,আপনি মাথা গরম করেন কেন? 😛
কনসেপ্টটা ফানি, কিন্তু ডায়লগগুলো একটু ন্যাকা টাইপের।
অবশ্য বুয়েট লাইফের প্রায় পুরা সময় তালি মারা ড্রেস পরে কাটায়ে দেবার পরেও কেউ লিফট দিতে চায়নি দেখে হিংসা হচ্ছে --- এইটাও হতে পারে।
ওরে না রে না
ভাই ভাই,আপনি ইম্পোর্টেন্ট জিনিস বুঝেন নাই?
১।প্রথম এ যে আইডি কার্ড দেখাল,বুয়েটে ওইরাম আইডি জীবনেও তৈরি হয়নি,আর নায়িকা চুমা খায় আইডির বুয়েট এর সীলে :)) শাকিবের ফটোতে না 😀
২। আই.ইউ.টি-এর গেটের সামনে থেকে শাকিব খানকে গাড়িতে নিয়ে কয়,বুয়েটে পড়েন!! মানুষ কি এতই বলদ কন বস? আই.ইউ.টি আর বুয়েট তফাৎ করতে পারবে না?
৩। বুয়েটে পড়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিন হইছে দেখেছেন বস? =))
তাও ভালো,বুয়েটে পইড়া "ডাক্তার" হইয়া বাইর হয়নাই 😛
গ্লোবাল ভাষা তো আছে একখান, ইশারা, ইশারাই যথেস্ট।
অবশ্য লেখার মধ্যে কেমনে ইশারা করবে এইটা লেখকের ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে পড়ে, তাই আর কিছু কইলাম না এই ব্যাপারে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ইশারা ব্যাপারটাও কিন্তু বস গ্লোবাল না। বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন একটা উদাহরন হতে পারে। আমাদের দেশে একটা অর্থ আর মালেয়শিয়াতে আরেক রকম।
কেনো জানি মন্তব্য করার অপঅশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। খুবই দুঃখিত।
এখন মনে হয় ঠিক হয়েছে।
অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তাকে গুছিয়ে লিখে ফেলার দারুণ যোগ্যতা তোমার মইনুল। মজা লাগলো পড়ে। তোমাকে দেখা আর আড্ডা দেওয়ার অপেক্ষায় আছি। দেশে এসে এবার লুকিয়ে থেকো না। আমরা তোমাকে "বুকা বাজু" বলবো না, নিশ্চিত থেকো!! B-)
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমরা তোমাকে “বুকা বাজু” বলবো না, নিশ্চিত থেকো!!
ইয়ে মানে,এই "আমরা" তে একটি বিশেষ কলেজ(প দিয়ে নাম শুরু) অন্তর্ভুক্ত না-ও হইতে পারে :goragori:
অফ টপিক-রাব্বী ভাই,আপনে বলার আগেই :frontroll: শুরু কইরা দিছি
অনেক ধন্যবাদ সানাউল্লাহ ভাই। এইবার ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো সবার সাথে দেখা করার জন্যে।
"বুকাবাজু" কিন্তুক "প" দিয়া শুরু কলেজ কয়নাই ভাইজান!!! x-( x-(
😛 তোর আবার আঁতে ঘা লাগে কেন রে? :dreamy:
খালি আঁতে না বস...আরো ম্যালা খানেই ঘা লাগে মনে হয় :grr:
অন্যখানে ঘা আবার কিডা দিলো?তুই নাকি? ছি পিন্টু ছি তুই না আমার হইলেও-হইতে-পারিস চাচাশ্বশুর? x-( তোর কি এইগুলা মানায়???
:)) :)) :)) :))
ওরে না রে না.... :(( :bash:
আহা কি চমতকার দেখা গেলো!
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
কি দেখলা????
:shy: 😛 ;))
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
কতদিন পর মইনুল ভাই 🙂
ইংরেজি বই পড়ার কাহিনি পড়ে মজা লাগল। আর বুকা বাজু পড়ে শোনা আরেকটা কাহিনি মনে পরল। ঢাবিতে এক ফ্রেঞ্চ ছেলে আসছিল কী এক গবেষণার কাজে। ঢাবির কয়েকজন তারে সেই কাজে সাহায্য করছিল। তো সেই বালকেরা ঐ ফ্রেঞ্চ ছেলেরে চ-বর্গীয় একটা গালি শিখায়ে জানাইল এইটা মানে বাংলায় বুদ্ধিমান। পরে সেই ফ্রেঞ্চ ছেলে নাকি একদিন ডিপার্টমেন্টের এক টীচার কে বাংলায় জানাইছে সে খুব বুদ্ধিমান 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আল্লারে!!!সে কি জ্যান্ত ফ্রান্সে ফিরতে পারছিলো?? 😮
বুয়েটে আমাদের সাথে দুইজন নেপালী ছেলে আর একজন ইন্ডিয়ান মেয়ে পড়তে এসেছিল। মেয়েটাকে মেয়েরা কি শিখিয়েছিলো জানি না, তবে ছেলে দুইজনকে আমরা যত্নের সাথে বেসিক কিছু গালাগালি শিখিয়েছিলাম। তবে তখন অনেক নেপালী স্টুডেন্ট ছিলো এবং তারা মনে হয় এদের আগে থেকেই সাবধান করে দিয়েছিলো। আমরা নতুন বাংলা শেখালে এই দুজন পুরাতনদের কাছে থেকে আগে ভেরিফাই করে নিত।
চমৎকার বুকাবাজু টাইপ লিখা। সাবলীল, অথচ ভাষাজ্ঞান সম্পন্ন। ইয়াম ইয়াম।
ধন্যবাদ সামিয়া।
মইনুল ভাই এর হাফ সেঞ্চুরি তে অবদান রাখতে পেরে গর্ববান হচ্ছি 😀