(ডিসক্লেইমারঃ আপনি মেডিকেল লাইনের না হলে পোষ্টটি একটু কম উপভোগ্য হবে, এই জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)
আমেরিকার মেডিকেল কলেজগুলোর স্টুডেন্টরা ৩য় বছর থেকে হাস্পাতালে কাজ করা শুরু করে, যাকে বলে ক্লিনিকাল রোটেশন। ক্লিনিকাল রোটেশনের সময় তাদের রুগী দেখার পাশাপাশি মেডিকেল চার্টে রুগীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যবলীগুলোও লিপিবদ্ধ করতে হয়। নতুন এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক মেডিকেল স্টুডেন্টই প্রথম প্রথম কিছুটা হিমসিম খায়, যার ফলস্বরূপ মেডিকেল চার্টে তাদের এন্ট্রিগুলো একটু হাস্যকর রূপ নেয়…তারই কিছু উদাহরন এইখানে উপস্থাপন করলাম…
1. Examination of the genitalia reveals that he is circus sized.
(correct: circumcised মানে মুসলমানিকৃত)
2. Rectal examination revealed a normal size thyroid.
(থাইরয়েডের অবস্থান গলায়)
3. On the second day the knee was better, and on the third day it disappeared!
4. The pelvic exam will be done later on the floor.
(pelvic exam: যৌনাংগ পরীক্ষা)
5. Occasional, constant, infrequent headaches
6. While in the ER,she was examined,X-rated and sent home
(correct: X-rayed)
7. Discharge status: Alive but without my permission!
8. She is numb from her toes down!
(toe এর নীচে তো আর কোনো বডি পার্টস নাই!!!)
9. The lab test indicated abnormal lover function
(correct: liver function)
10. Large brown stool ambulating in the hall.
oh no,not again! Im the 1!
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
মাথার দশ হাত উপরে দিয়া গেলো । 🙁
জীবনেও বায়লোজির ধারের কাছেও যাই নাই । আমরা ইডি পার্টি । 😀
আমিও বায়োলজির ধারে কাছে যাইনাই ! মাথার উপর দিয়া শাশা করে উড়ে গেল! 😛
ভাই, আমার চাইর বছরের বাইলোজী জ্ঞান কুনো কামে আইলো না, আর আপ্নেরটা।। :grr: :grr:
আমারও মাথার উপর দিয়ে উড়িয়া গিয়া খালে পড়ল।। 😛
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
দোস্ত এইগুলা সত্যি সত্যি লিখছে?!?!!! =)) =)) =))
মাস্ফু...আমাদের আসিস্টেন্ট ডিন ওরিয়েন্টেশন সিরিমনির প্রেজেন্টেশনে এইগুলো উপস্থাপন করছিলো...মিথ্যা হবার কারন দেখতেছি না...
দোস্ত প্লিজ এইটা একটা সিরিজ কর...আমি নন মেডু হইয়াও ব্যাপক মজা পাইছি...আর নূপুরদা, আপনিও ছাড়েন...(ইয়ে,ঐ প্রশ্নটা রিপিট কইরা আপনেরে বেইজ্জতিতে ফেললাম না)
=)) =)) =)) =)) =)) =))
সার্জারী বিষয়ে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যংগ পরীক্ষা হলো per rectal digital exam, সংক্ষেপে PR. সার্জারী পরীক্ষার আগে এই ব্যাপারটা শিখে নিতে হয় ( আগে থেকেই অতি উৎসাহে যারা শিখে নিয়েছে তারা বাদে)। কে-ই বা আর রোগীর অমন জায়গায় হাত দিতে চায়। কালক্ষেপণে পরীক্ষা ঘনিয়ে এলেই টনক নড়ে সবার।
তো আমাদের সার্জারী পরীক্ষার আগে আগে একদিন শুনলাম এক বান্ধবী বেশ ফূর্তির সংগে গাইছে : ম্যায়নে পেয়ার কিয়া , ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ( এ নামের একটি হিন্দী ছবি আছে সালমান খানের, বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো সে সময়)। ভালো করে পেয়ারের গল্প শুনতে গিয়ে শুনতে পেলাম : ম্যায়নে PR কিয়া! ঈর্ষায় বুকটা ফাইটা গেলো। ধুস! শিইখা ফালাইসে!
আমার আর শেখা হয়নাই। একদম ফাইনাল পরীক্ষায় আমার ভাগ্যে যে রোগীটি পড়েছিলেন তাঁকেই প্রথম PR করলাম। পাশও করে গেলাম। 😀
দাদা...আপনি প্রাক্টিস ছাড়াই পাশ???...আপ্নি তো তাইলে ন্যাচারাল এক্সপার্ট এই বিষয়ে...
:khekz: :khekz:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :))
তা যা বলেছো!
আমার এক আত্মীয়ের কোলনস্কপি করাইতে হইছিলো , যিনি করছেন তিনি আবার এই রেক্টাল সার্জারি ইত্যাদি বিষয়ে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে সবচেয়ে নামকরা ডাক্তার।এই ভদ্রলোকের পুত্রধনকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে তার দোস্তরা এইটা বইলা ক্ষেপায়- "তোর বাপ তো শুনলাম রোগীর মুখ দেখে না,দেখে োয়া-আর ওইখানে হাত দিয়া টের পায় কে তার রোগী ছিলো" :))
:)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :))
Artser polato 6 no deikha tashki khaye gesilam. Mone hoisilo amar nam dia daktarera ki kore. Pore bujhsi kahini ki?
Ordhek mathar upor diye gese
🙂
Life is Mad.
কোন একজন ডাক্তারের কাছ থেকে তর্জমা করে নিব। এখন হালকা বুঝতে পারসি, পুরাটা বুঝিনি। তবে মনে হইসে ব্যাপার গুলা হাসির 🙂
নিশ্চয় ম্যালা হাসির কিছু একখান হইব...
ভাবতেছি আমাগো কম্প্যুটার নিয়াও এমুন একখান পোস্ট দিমু। যেন আর কেউ বুঝবার না পারে।
শুধু নন-ডাক্তার পার্টিরা এইটা পরতেছে কেন??? মেডিকেল পার্টি কৈ???
অ...ভুইলা গেসিলাম...অগো তো পড়াশুনা ছাড়া আর কোনো লাইফ নাই...এই পুষ্ট পড়বে কোন টাইমে?
আরেকদিনের গল্প ১:
সেই সার্জারী ওয়ার্ড। প্রফেসর একটা হার্ণিয়া কেইস আমাদের দেখতে বলে কি একটা প্রশাসনিক কাজে বেরিয়ে গেলেন। আমরা সবাই অকর্মণ্য ছেলেমেয়ের দল গল্পগাছা করেই সময়টাকে পার করে দিলাম।প্রফেসর সাহেব ফিরে এসে একজন-দুজন কে সামনে এসে কেইস প্রেজেন্ট করতে বললে তারা হোঁচট খেয়ে তোতলিয়ে যা বলল তাতে জারিজুরি ফাঁস।হেভি খেপে গেলেন স্যার।
বললেন, ''নিজেরটা ধরসেন কোনদিন? আজকে বাড়ি গিয়ে নিজেরটা ধরবেন তারপর আইসেন রোগী এগজামিন করতে!''
পুরো ক্লাসে মেয়েবন্ধুদের সামনে সব ছেলেরা এত লজ্জা পেয়েছিলাম বলার না।
গল্প ২:
সার্জারী ও.টি.:
অপারেশন চলছে।প্রধান সার্জনের সংগে রয়েছেন সহকারী সার্জন। আমরা ছাত্ররা মাস্ক আর ক্যাপ পরে ঘিরে দাঁড়িয়ে দেখছি, শিখছি। অপারেশনের শেষের দিকে wound close করার পালা। প্রধান সার্জন একেকটা stitch দিচ্ছেন আর সহকারী তা কেটে দিচ্ছেন, কিন্তু বহুব্যবহৃত ( আর বহুবার sterilization হওয়া) কাঁচিতে ঠিকমত কাটছেনা সুতো।
খেপে গিয়ে সার্জন তাঁর সহকারীকে বললেন:
''অই মিয়া, ঠিক কইরা কাটেন। মনে হইতাসে উর্দুতে চুল কাটতেসেন!"
=)) =)) =)) ভাই ডাক্তারদের দেখলে তো ভদ্র মনে হয় কিন্তু তলে তলে এরা এত রসিক এইটা আজকে বুঝলাম =)) =)) =))
রসিকতার সাথে ভদ্রতার কি বিরোধ আছে না কি হে?
:thumbup: আমি ডাক্তার না হইয়াও।
আমি অ বায়োলজি এবং অ ডাক্তার হইয়াও মজা পাইলাম পোস্ট পইড়া। ব্যাপক। :clap:
আমি বায়োলজি এবং অ ডাক্তার।ডাক্তারিতে আগ্রহ ব্যাপক তাই কিছু বুঝেছি মনে হল।মজা পাইলাম 😀 :)) :clap:
=)) =)) =)) ব্যাপক মজা পাইলাম...মেডিক্যাল টার্ম গুলা না বুঝলেও ভুল কইরা যা লিখসে ওইটা তো বোঝা যায়...!
ঢাকা মেডিক্যালের এক বন্ধু বেশ কয়েক মাস আগে আমাকে একটি কাহিনী বলছিল, কোন এক বেসরকারী চ্যানেলে সংবাদ চলছে... ডাক্তারের অবহেলায় ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু। দুই ডাক্তারের সাথে কথা বললেন সাংবাদিক...প্রথম ডাক্তার বললেন এই বিশেষ ধরনের কারসিনোমা ডায়াগনোসিস এবং এর চিকিৎসা বাংলাদেশে নাই...দ্বিতীয় ডাক্তার বললেন এই বিশেষ ধরনের কান্সারের ক্ষেত্রে আমাদের চিকিৎসার সুযোগ কম তবে আমরা আমাদের চেষ্টা যথাসাধ্য করেছি। কোন অবহেল ছিলনা। সাংবাদিক ইতি টানলেন কিছুটা এইভাবে, কোন ডাক্তার বলছেন কারসিনোমা, কোন ডাক্তার বলছেন ক্যান্সার। রোগ যেখানে সঠিক ভাবে নির্ণয় করা হয়নি সুচিকিৎসা সেখানে আসবে কিভাবে..... :bash: :bash:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
=)) =)) =)) =)) =)) =))
🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
কিচ্ছু বলার নাই।
খুব মজা লাগল এই কাহিনী জেনে
জুনায়েদ