ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

আজব ক্যাডেট লাইফ এর গজব কাহিনী – ১

ক্যাডেটদের জীবনের (এবং কলেজে ক্যাডেটদের নিখাদ বিনোদনের)এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আমাদের স্যার-ম্যাডামরা । এই দুইয়ের মধ্যে চলে এক চোর-পুলিশ কিংবা ইঁদুর-বিড়াল খেলা । ক্যাডেট যত সিনিয়র হয় খেলাগুলোও জমে ওঠে তত বেশি । ক্যাডেট জীবনের তেমন কিছু স্মৃতিই আজ লেখার বিষয়(স্যার-ম্যাডামরা ক্ষমা করে দেবেন প্লিজ)…

একজন মেস ও.আই.সি, কিছু চাষাভুষা ক্যাডেট ও ব্যা-ব্যা ডাক :
ঘটনা-১ : ক্যাডেটরা সাধারণত খুব ভোজন-রসিক প্রকৃতির হয় ।

বিস্তারিত»

“ক্যাডেট” শব্দটা আমার কাছে “স্পেশাল ওয়ান” কিংবা “অনলি ওয়ান”

“ক্যাডেট” এই শব্দটাকে আমার কাছে মনে হয় – “স্পেশাল ওয়ান” কিংবা “অনলি ওয়ান”। ১১/১২ বছরের একটি কিশোর এর কাছে ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়াটা যেন আনন্দের এক বঙ্গোপসাগর । বাবা-মা’র হাসিমাখা মুখ, পাড়া-প্রতিবেশী সবার অগনিত প্রশংসা, বন্ধুমহলের সবার কাছে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির স্থানলাভ কিন্তু এত আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই চলে আসে কলেজে যাবার ডাক। মনের মাঝে হাজারো স্বপ্ন সাজিয়ে কোন এক সকালে ব্যাগ-পত্র গুছিয়ে বাবা-মা-ভাই/বোন’কে সাথে নিয়ে সেই কিশোরের যাত্রা শুরু হয় ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্যে ।

বিস্তারিত»

মুক্তি

মুক্তি চাস? মুক্তি পাবি
মুক্তি চাস,মুক্তি পাবি
মুক্ত হয়ে চলে যাবি…
কিন্তু তুই কোথায় যাবি?
কোন আকাশে কোন বাতাসে
দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘশ্বাসে
ধাক্কা খাবি।
মুক্তি পেয়ে চলেই যাবি।

আমার আবার কিই বা হবে,
আগের মতই কয়েকটা রাত
কাটবে না হয় তোকে ভেবে
বিষাদ কালি চোখের নিচে জমলে বেশি
কছম খোদার,তুই চরম সুখী হবি।

বিস্তারিত»

পরবাসী ঈদ সমাচার

ঈদ উল আযহা উপলক্ষে এক খানা লেখা লিখবো বলে ঠিক করলাম।তখন হটাত মনে হল বিসয়বস্তু কি হতে পারে। প্রথমেই মাথায় এলো যে বিদেশে বসে ঈদ করতে ক্যামন লাগছে তাই নিয়ে লিখে ফেলি। কিন্তু মনের অজান্তেই ক্যানও যেন মনে হচ্ছিল এই লেখা শুরু হলেই মন খারাপ করা কথা বার্তা শুরু হবে।

 

ক্যাডেট কলেজ পার হয়ে বি এম এ, অবশেষে সেনাবাহিনীর সদস্য হওয়া ,

বিস্তারিত»

ইউ এন মিশনঃ কিছু অজানা তথ্য এবং অর্থহীন প্রলাপ

লেখালেখিতে বরাবরই খুব দুর্বল। তবুও খুব ইচ্ছা ছিল বিষয়টি নিয়ে লেখার। কিন্তু দুর্বল লেখকদের যা হয় আর কি, গুছিয়েই উঠতে পারছি না কিভাবে শুরু করবো। সে যাই হোক প্রথমেই বলে নেই বিষয়টি নিয়ে আমার লিখতে শুরু করার কারন। মিশনে ইতিমধ্যেই ৯ মাস পার করেছি এবং প্রায়শই বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই। যার বেশির ভাগেরই মূল বক্তব্য হচ্ছে যে , মিশনে আমরা কি আর এমন কাজ করি?

বিস্তারিত»

নীলস বোর ও একটি মজার কাহিনী। (সংগৃহীত)

নীলস বোর এর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষারত সময় পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর…….. প্রশ্নঃ একটি ব্যারোমিটারের সাহায্যে কিভাবে একটি গগণচুম্বী বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ণয় করা যায় বর্ণনা কর ? উত্তরঃ “আমাদেরকে ব্যারোমিটারের মাথায় একটা দড়ি বাধতে হবে। এরপর ব্যারোমিটারটিকে ভবনের ছাদ থেকে নীচে নামিয়ে মাটি পর্যন্ত নিতে হবে।তাহলে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য আর দড়ির দৈঘ্য যোগ করলেই ভবনের উচ্চতা পাওয়াযাবে।” এরকম সোজাসাপটা উত্তর পরীক্ষককে এমন রাগিয়ে দিল যে তিনি ততক্ষণাত ছাত্রটিকে ফেল করিয়ে দিলেন।

বিস্তারিত»

গাবদা

শেষ রাতের দিকে বৃষ্টি নামল। ঝুম বৃষ্টি। করিডরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁয়ার চেষ্টা করলাম। চোখের পাতা ক্রমেই ঝাপসা হয়ে এল। গাবদাকে মনে পড়ে। গাবদা মানে ওয়াহেদ। আদর করে নাম দিয়েছিলাম গাবদা। একটু মোটা ছিল। ক্যাডেট কলেজের সামরিক পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়তো একটু কষ্টও হয়েছিল। এক সন্ধ্যার কথা। সেনাবাহিনীর এক সদস্য গাবদাকে প্যারেড শেখাচ্ছে। গাবদার মোটা দেহ বেয়ে দরদর করে ঘাম নামছে। ততক্ষণে খেলার সময় শেষ।

বিস্তারিত»

আক্ষেপ বানী

১.
হায়রে মুসলমান
সসম্মানে নষ্ট করিস ধর্মের সম্মান

২.
আঁধার রাত্রি কেটে গিয়ে
ইসলাম সেতো ভোর-আনে
জ্বালাও পোড়াও এ কথা নেই
কোথাও লেখা কোর-আনে

৩.
এক ই রক্ত এক ই ধারায় যখন বয়ে যায়
ধর্মে ধর্মে কেন এত বিভেদ বল হায়
কেউ ডাকে আল্লাহ তাঁরে কেউ ভগবান
দুই নামের মধ্যে কেন এত ব্যবধান

৪.

বিস্তারিত»

নস্টালজিয়া-২

নস্টালজিয়া-১

সাপ
অষ্টম শ্রেনীর শেষের দিকের ঘটনা। আসাদ ভাই তখন জুনিয়র প্রিফেক্ট।

আমার প্রিয় বন্ধু নাঈম আমাকে মজার এক তথ্য দিল। তথ্য চমকপ্রদ কিছু নয় কেবল ভেড়ার আচরন সম্পর্কিত, ভেড়ার পালে পশ্চাদগামী ভেড়া তার অগ্রগামী ভ্রাতাকে যথাযথ অনুসরণ করে থাকে। উক্ত তথ্য জেনে আমি ভেড়া, বড়ই আশ্চার্যান্বিত হলাম। বন্ধু আমাকে একটা উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটা খুব ভালভাবে বুঝিয়ে দিল।

বিস্তারিত»

নস্টালজিয়া-১

মেডিটেশন
নবম শ্রেনীর কোন এক টার্মে, আমাদের মাহ্‌দী বিদ্যুৎ মিত্রের বই নিয়ে হাজির। মেডিটেশনের উপকারিতা বর্ননা করতে করতে অস্থির। ইতিমধ্যে খায়ের মেডিটেশনে পুরোপুরি উস্তাদ বনে গেল। সে নাকি চোখের ইশারায় চামচ বাকা করে ফেলেছে। চোখ না যেন হাতের ইশারায় বেডের উপর হতে তালা বন্ধ রুমের চাবি উদ্ধার করেছে। মাহ্‌দীর কাছে জানলাম, মেডিটেশন করে নাকি দেহের ওজন শূন্য করে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। পুরো ব্যাপারটাতে আমারো একটু আগ্রহ জন্মালো।

বিস্তারিত»

গুডলাক বাংলাদেশ!!! গুডলাক!!!

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাতে কোন রকম ঢাক-ঢোলের মাতম ছাড়াই শুরু হয়ে গেল মাত্র ছয় বছরের মধ্যে ৪র্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ বরাবরের মত এবারও ‘ডেথ গ্রুপ’এর সদস্য। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশেও বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিলো। আমাদের দেশের মত এত ক্রিকেট পাগল মনে হয় শ্রীলংকানরা নয়। নইলে এই যুগে আলোর ঝলকানি, নাচ-গান অনুষ্ঠান ছাড়া বিশ্বকাপ শুরু হবার কথা না। যাই হোক, বাংলাদেশ দলকে শুভকামনা জানানোর জন্যই এই লেখা। জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনদিন ক্রিকেট থেকে পাওয়া কোন উপলক্ষ ছাড়া পুরো বাংলাদেশীদের এক সাথে আনন্দ করতে দেখিনি।

বিস্তারিত»

নিজের খেয়াল রেখো…

জামান স্যারের সঙ্গে আমার পরিচয় ক্যাডেট কলেজে। সেনাবাহিনীর কঠোর নিয়মতান্ত্রিক এ প্রতিষ্ঠানে যখন প্রথম ভর্তি হই, তখন থেকেই বাবা-মাকে ছাড়া থাকার কষ্ট অনুভব করতাম। সেই কষ্ট কিছুটা হলেও কমে গেল, যখন জামান স্যারকে কাছে পেলাম। ক্যাডেট কলেজে আবাসিক থাকতে হয়। এক রাতে মায়ের চিঠি পড়ে কাঁদতেই পেছন থেকে মাথার ওপর একটা হাত অনুভব করি। তাকিয়ে দেখি জামান স্যার। আমার দিকে তাকিয়ে মমতামাখা কণ্ঠে বলেন, ‘ক্যাডেট কলেজে সবাইকেই বাবা-মা ছাড়া থাকতে হয়।

বিস্তারিত»

অরক্ষিত রাজপথে তোমাকে স্বাগত হে প্রিয়তমা

প্রিয়তমা,
তোমাকে গোলাপ দেয়ার সময় নেই এখন
এখন বড় দুঃসময় আমার বাংলার
এখন অরক্ষিত রাজপথে আমার ভাইয়ের রক্ত
আল্পনা এঁকে দেয় প্রিয়তমা
প্রিয়তমা,
এখন মিছিলে যাওয়ার সময়
রক্ত গঙ্গার স্রোতে আগুনে আগুনে বিক্ষুদ্ধ জনতার মিছিলে যাওয়ার সময়
আরো একটি কবিতা লিখবো প্রিয়তমা
আবার যেদিন রাজপথে মুক্তমনাদের ছড়াছড়ি হবে
আবার যেদিন স্লোগানে স্লোগানে প্লাকার্ড হাতে
সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার থাকবে
আবার যেদিন হাসিনা-খালেদা এক প্লেটে খাবে ভাত
নিজামি আযম পিষ্ট হবে ধ্বংস হবে মৌলবাদ
প্রিয়তমা তোমাকে কবিতা শোনাবার সময় কোথায় বলো
এখন একটি কবিতা হবে সবার জন্য
শব্দের তরঙ্গে ভেসে যাবে স্তদ্ধ বিকেলের নিজর্নতা
কথার খই ফুটে উঠবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সব ভয়াবহ সমীকরনে
প্রিয়তমা
এখন যৌবন দীপ্ত মিছিলের আগামি প্রভাতে শব্দের গাঁথুনীতে হবে ভাস্কর্য,হবে দাবানল,হবে জেগে ওঠার নতুন মন্ত্র
আগামি জন্মে তোমার গর্ভে যে ভ্রুনের জন্ম হবে প্রিয়তমা
আমি তার নিঃশ্বাস নেবার জন্য একটি বাংলা রেখে যেতে চাই
আর একটি প্রান ঝরে গেলে রাজপথে
প্রিয়তমা আমি রাজনীতির পেটে লাত্থি দিতে চাই
ধ্বংস করতে চাই পাশবিকতার সব দেয়াল
প্রিয়তমা একটি রক্ত জবাও ফুটলে
তোমার আঙিনায়
আমি তার জন্য নিরাপদ এক আবহাওয়া চাই
আমি তাকে পুষ্টি দেবার জন্য জল চাই।

বিস্তারিত»

কিছু কৈশোর………… (২য় খন্ড)

(শিরোনামটা আমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের একটা আত্মজৈবনিক বই থেকে অনুপ্রাণিত।)

আমাদের বকক/২৫ ব্যাচের শশী একদিন বলছিলো, ওর বাবা ওকে ক্যাডেট কলেজে দেবার প্রধান কারন ছিলো এখানে কোন রাজনীতি নেই। কোন দল নেই বলে একদলের সাথে অন্যদলের কোন কোন্দল ও নেই। বুয়েট’র এখন যে বাজে দশা, তাতে রাজনীতির অভিজ্ঞতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে শশী ভালো ঝামেলায় পড়ে গেছে মনে হয়। তবে রাজনীতি না থাকলেও আমরা যখন কলেজে পড়তাম মজা করবার জন্য কিছু দল আমদানী করে রাজনীতি করেছিলাম।

বিস্তারিত»