গুডলাক বাংলাদেশ!!! গুডলাক!!!

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাতে কোন রকম ঢাক-ঢোলের মাতম ছাড়াই শুরু হয়ে গেল মাত্র ছয় বছরের মধ্যে ৪র্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ বরাবরের মত এবারও ‘ডেথ গ্রুপ’এর সদস্য। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশেও বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিলো। আমাদের দেশের মত এত ক্রিকেট পাগল মনে হয় শ্রীলংকানরা নয়। নইলে এই যুগে আলোর ঝলকানি, নাচ-গান অনুষ্ঠান ছাড়া বিশ্বকাপ শুরু হবার কথা না। যাই হোক, বাংলাদেশ দলকে শুভকামনা জানানোর জন্যই এই লেখা। জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনদিন ক্রিকেট থেকে পাওয়া কোন উপলক্ষ ছাড়া পুরো বাংলাদেশীদের এক সাথে আনন্দ করতে দেখিনি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-লীগ নির্বিশেষে সব লোক একসাথে রাস্তায় নেমে আনন্দ করতে পারে শুধু সেদিনই, যেদিন বাংলাদেশ কোন ম্যাচ জেতে। পহেলা বৈশাখের নামটাও বলতাম তবে ‘সাচ্চা মুসলিম’রা আবার এটাকে ‘বেদাত’ ঘোষনা করে অনেককে এই অনুষ্ঠান থেকে দূরে রেখেছে। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে তাদের তেমন মাথাব্যাথা নেই।(সম্ভবত পাকিস্তানও খেলে বলে ক্রিকেটের বিরুদ্ধে এখনও পীর-হুজুর’রা তেমন কোন ফতোয়া দেন না। তবে শুনেছি কেউ ভারতের জয় কামনা করলে সে আর মুসলমান থাকেনা)

সে যাই হোক, আজকাল বাসে বা অন্য কোন জায়গায় যখন ক্রিকেট নিয়ে কোনো আলোচনা শুনি খুব ভাল লাগে। কারন প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন আমাদের চাহিদা এখন শুধু জয়। জয় চাই জয়। ‘ভালো খেলে হারা’ এখন আর আমরা চাইনা। একটা সময় ছিলো যখন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামলে ৩০-৪০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পড়ে যেত। তারপর খালেদ মাসুদ আর অন্য কোন একজন মিলে ঠুক-ঠুক করে ১৬০-৭০ পর্যন্ত নিয়ে যেত। আমরা আবার আশায় বুক বেঁধে পরের ম্যাচে ভালো করার আশা করতাম। আমাদের কৈশোরে বাংলাদেশের অবস্থা ছিলো সবচেয়ে করুন। টানা ৪৭ ওয়ানডে হার চোখের সামনে দেখাটা ছিলো খুব কষ্টের। কষ্ট লাগে এই ভেবে যে টেষ্ট তো এখনো প্রায় সেই অবস্থা। ‘খালেদ মাসুদ যুগ’ শেষে আসলো ‘আশরাফুল যুগ’। এই যুগে বাংলাদেশ কিছু ম্যাচ জিততো। তবে একটাই শর্ত সেদিন আশরাফুলকে ভালো খেলতে হবে। এখন আমাদের দলে কত ম্যাচ উইনার। তামিম-সাকিব-মুশফিক-নাসির-মাশরাফি-রাজ্জাক-শফিউল এরা যে কেউ একটা ম্যাচ জেতাতে পারে। আমার ছোট ভাই সবসময় আমাকে বলে আমি বাংলাদেশের খেলা দেখে এত মুগ্ধ হই কেন? কেউ ৫০ করলেই আমি কেন ১০০ করার মত আনন্দ পাই? আমি ওকে কিছুতেই বোঝাতে পারিনা আমি যে ‘শিশু বাংলাদেশ’ দেখে বড় হয়েছি আজ সে ‘যুবক বাংলাদেশ’ হয়ে গেছে।

আর একটা জিনিস খুব আনন্দ দেয় আমাকে। আগে মানুষ জিজ্ঞেস করতো “বাংলাদেশের পর কোন দলের সাপোর্টার?” সাধারনত ভারত না হয় পাকিস্তান’ই উত্তর হতো। অনেকে বলতো দ. আফ্রিকা। দু-এক জন অতি জ্ঞানী বলতো নিউজিল্যান্ড। এখন আর ‘বাংলাদেশ এর পর’ বলতে কিছু নেই। একমাত্র বাংলাদেশ। এখন এদশের বেশীরভাগ মানুষ বিশ্বকাপে একটাই দলের সাপোর্টার। তা হলো বাংলাদেশ। ভারত-পাকিস্তান নিয়ে মাতামাতি এখন অনেকটাই কমে গেছে। আমি যখন ছোট তখন ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। আমি হলফ করে বলতে পারি এত প্রানবন্ত আনন্দ-উতসব বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি। (এবার এশিয়া কাপ জিতলে হয়তো এমন কিছু হতো) সে কি রঙ ছিটা-ছিটি, ঢাক-ঢোলের মাতম!! হাড়ি-পাতিল, বালতি-বোতল যে যেটা পেয়েছে তাই দিয়ে চলছিলো ঢোল পেটানো। যেন পুরো বাংলাদেশের বিয়ে হচ্ছিলো। আমার বয়স তখন মাত্র সাত। কত আগের কথা। তবুও এখনও চোখের সামনে ঝকঝক করে ভাসে। তার কিছুদিন পরেই আমি প্রথম মাঠে খেলা দেখতে যাই। সম্ভবত ১৯৯৭ বা ৯৮ সালে বাংলাদেশের মাটিতে একটা ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট হয়েছিল। নাম ছিলো ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ। এখনো পরিষ্কার মনে আছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের খেলা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গিয়েছি খেলা দেখতে। বাংলাদেশ রান করেছে ১৯০। তখন ২২০-৩০ করলেই ম্যাচ জেতা যেত। আনন্দে সবার সে কি অবস্থা! এর মধ্যে ভারতের ব্যাটিং শুরু হতে না হতেই সৌরভ গাঙ্গুলী আউট। এখনো মনে আছে ভারতের অধিনায়ক আজহারউদ্দিন আউট হয়েছিলো বাংলাদেশ অধিনায়ক আকরাম খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পুরো গ্যালারী মনে হয় পাগল হয়ে গিয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারত জিতে যায়। তবুও সবাই কি যে খুশি ছিলো!! তখনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি নিজেও খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। চিরকালের ‘প্রভুর পা-চাটা কুকুর’ বিটিভি আবার সেটা নিয়ে রাত ৮টা’র ও ১০টা’র সংবাদে বিশেষ প্রতিবেদনও করেছিলো। ক্রিকেট নিয়ে এদেশের মানুষের মনে সবসময়ই এমন ভালোবাসা ছিলো।

বিশ্বকাপ নিয়ে যেহেতু এই লেখা সুতরাং বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে একটা স্মৃতি না বললেই নয়। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগে আগে বাংলাদশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটা গান প্রচার করে বিটিভি। শুভ্র দেবে’র কন্ঠে গাওয়া “গুডলাক বাংলাদেশ”। অতি আসাধারন একটা গান ছিলো। এই লেখার শিরোনামটাও ঐ গান থেকে নেয়া। আমরা স্কুলভ্যানে করে আটজন একসাথে স্কুলে যেতাম। স্কুলে যাবার সময় সব বন্ধুরা মিলে এই গানটা গাইতাম। সুর-তাল কিছুই থাকতো না; শুধু থাকতো বাংলাদেশের প্রতি অসীম ভালোবাসা। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সাথে হারার পরদিন আমরা যখন স্কুলে যাচ্ছিলাম ওইদিনও এই গানটা গাচ্ছিলাম। আগের দিনের খেলা’র কথা মনে পরে খুব কান্না পাচ্ছিলো। একসময় কেঁদেই ফেলি। একটু পর দেখি ভ্যানের আটজনই কাঁদছে। সেদিন কাঁদতে কাঁদতেই স্কুলে গিয়েছিলাম। এরপর যখন ঐ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ জেতে সেদিন কেমন লেগেছিলো বা কত আনন্দ করেছিলাম তা আর না বললেও চলে। তখন এশিয়া কাপ ছাড়া বাংলাদেশের তেমন একটা খেলা থাকতো না। প্রতিবার খেলতে যাবার আগেই শুভ্র দেবে’র কন্ঠে এমন কিছু গান বের হতো। এই রেওয়াজটা এখন কেন যেন হারিয়ে গেছে। মাঝখানে একবার শুনেছিলাম বিএনপি-জামায়াত সরকার আসার পর বিটিভি’র আওয়ামী পন্থী শিল্পীদের একটা কালো তালিকা করা হয়েছিলো। শুভ্র দেব’ও ঐ তালিকায় থাকায় তাকে আর গান গাইবার জন্য ডাকা হয়নি। হায়রে! কত কিছু যে এইদেশের রাজনীতিতে হয়!!!

এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে সবার অনেক প্রত্যাশা। পত্রিকা খুললেই দেখা যায় ‘এটাই বাংলাদেশের সেরা দল’ বা ‘সেরা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ’ টাইপ কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছে এটা ঠিক। তবে খুব ভালো হয়েছে এটা মনে হয় ঠিক নয়। কারন বেশ অনেকগুলো ম্যাচ হেরেছে। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ‘ধারাবাহিকতা’। এর মানে এই নয় যে আজ ভালো খেলে তো কাল খারাপ। আমি ধারাবাহিক বলতে বোঝাতে চেয়েছি সব দলের সাথে একই রকম খেলা। কোন দলকে যদি দ. আফ্রিকা’র সাথে সংগ্রাম করে জিততে হয় ধারনা করা যায় যে আয়ারল্যান্ড বা জিম্বাবুয়ের সাথে সহজেই জিতবে। কিন্তু বাংলাদেশ দলের সমস্যা হলো এঁদের আয়ারল্যান্ড বা জিম্বাবুয়ে’র সাথেও জেতার জন্য এক প্রকার যুদ্ধ করতে হয়। আর এই চক্র অনেকদিন থেকে চলছে। একটা কথা প্রচলিত আছে যে যৌথ পরিবারে নাকি শিশু’রা আদরে আদরে দুষ্ট হয়ে যায়। আমাদের ক্রিকেট টিমও মনে হয় ১৬ কোটি মানুষের আদরে দুষ্ট হয়ে গেছে। একটা ম্যাচ হারার পর যতই গালিগালাজ করা হোক না কেন পরের ম্যাচ দেখতে আবারো টিভি’র সামনে বসতেই হবে। যে নিপাট ভদ্রলোক নিয়মিত ৯টা-৫টা অফিস করেন খেলা থাকলে তিনিও ৪টায় বের হবার চেষ্টা করেন। এত ভালোবাসা পৃথিবীর আর কোন দল পায় বলে মনে হয়না। ভারতের নাম যাদের মনে উঁকি দিচ্ছে তাঁদের বলে রাখি আমাদের সমর্থকরা ভারতীয়দের মত উগ্র না। আর ভারতে ক্রিকেট বানিজ্যের কল্যানে সমর্থকদের ভারতপ্রীতি একটু অতিরঞ্জন করেও দেখানো হয়।

শ্রীলঙ্কা বা অষ্ট্রেলিয়া যেমন ‘দুর্বল দল’ পেলেই দুমড়ে-মুচড়ে দেয়; বাংলাদেশ তেমনটা কখনো পারেনা। আর নিউজিল্যান্ডকে ‘বাংলাওয়াশ’ করলেও এবার তাঁদের একেবারে দুর্বল বলা যাবেনা। তাই এবার আমার একটাই চাওয়া যেভাবেই হোক দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া চাই। পাঁচটা ম্যাচ খেলা চাই। বাংলাদেশের এই মুহুর্তে যে খারাপ অবস্থা চলছে তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতেই খারাপ লাগছে। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক সব দিক দিয়ে আমাদের একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। মানুষ এত ঝামেলায় আছে, এত কষ্টে আছে যে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার মত ‘মুড’ আর কারো নেই। তবু বলছি এদেশের মানুষের সব কষ্ট একপাশে সরিয়ে সবার মুখে হাসি ফোটাবার ক্ষমতা শুধু বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারদেরই আছে। যারা ক্রিকেটকে ভালোবাসে তারা সবাই একটা কথা স্বীকার করবে আমাদের জীবনে যত বড় বড় আনন্দ এসেছে তার অনেকগুলোই দিয়েছে ক্রিকেট। সবাই বলছে এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নাকি ক্রিকেট ইতিহাসের ‘সবচেয়ে উন্মুক্ত’ টুর্ণামেন্ট। এখানে এবার কোন ফেভারিট নেই। আমার কাছেও তেমন মনে হয়। খুব ইচ্ছা করছে এটা ভাবতে যে বাংলাদেশ এই টুর্ণামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হবে। সেটা অনেক কঠিন কিন্তু কেন যেন অসম্ভব বলে মনে হয়না। ১৬ কোটি মানুষের বিশুদ্ধ ভালোবাসা যাদের সাথে আছে তাঁদের কাছে কোনকিছুই অসম্ভব না। পরিশেষে বাঘের মত গর্জন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অনুপ্রেরনা। সাবাস বাংলাদেশ!!! গুডলাক বাংলাদেশ!!!

 

ফুটনোটঃ লেখাটা শেষ করে একটা খুব মন খারাপ করা খবর পেলাম। এবার বিটিভি থেকে সকল ক্যাবল ডিলারদের গোপনে বলে দেয়া হয়েছে যেন খেলা’র সময় সারাদেশে “স্টার ক্রিকেট” ব্লক করে দেয়া হয়। ভারতীয় চ্যানেল ব্লক করে দেয়াতে মন খারাপ করার কিছু নেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন বিটিভির কি খেলা দেখানোর যোগ্যতা আছে? অন্যকোন দেশীয় চ্যানেলের কাছে কি প্রচারের অনুমতি বিক্রয় করা যেতো না? বিটিভি’র অনুষ্ঠানের ছবি’র মান দেখলে আমার পুরোনোদিনের বায়োস্কোপের কথা মনে পড়ে। নিম্নমানের শব্দ-ছবি’র সাথে যোগ হয়েছে ঘন্টায় ঘন্টায় বিরক্তকর ও ‘তেলতেলে’ খবর। বিজ্ঞাপনের পরে খেলা দেখানো শুরু করতে করতে ১টা বল হয়ে যায়। সেই সাথে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ধর্মীয় দায়িত্ব আযান ও আযানের দোয়া। ২৪০ বলের খেলা থেকে যদি এভাবে ৫০-৬০ বল হারিয়ে যায় খেলা আর কি থাকে? আর এই নোংরা সিদ্ধান্ত কেন চোরের মতো গোপনে নেয়া হলো? এটা কি সরকারী সিদ্ধান্ত নাকি তেলতেলে খবর দেখানোর জন্য বিটিভি’র চাটুকারগুলোর ফন্দি? বিটিভি’র ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’ নামটা বদলে ‘বেজন্মাদের তেল ভান্ডার’ করে ফেলা উচিত। যদি কোন ক্ষমতাবান ব্যাক্তি এই লেখটি পড়ে থাকেন বা কারো কিছু করার থাকে দয়া করে এই নির্লজ্জ কর্মকান্ড বন্ধ করার চেষ্টা করবেন এই অনুরোধ রইলো।

১,৩৫০ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “গুডলাক বাংলাদেশ!!! গুডলাক!!!”

  1. শেখ সাদী (০৬-১২)

    "১৬ কোটি মানুষের বিশুদ্ধ ভালোবাসা যাদের সাথে আছে তাঁদের কাছে কোনকিছুই অসম্ভব না।" :boss: :boss:
    :just: :gulli2: :gulli2: হইসে!! (সম্পাদিত)


    \"why does the weasel go pop? does it matter?
    if life is enjoyable, does it have to make sense?\"

    জবাব দিন
  2. রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

    বিটিভি’র ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’ নামটা বদলে ‘বেজন্মাদের তেল ভান্ডার’ করে ফেলা উচিত।
    :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:


    একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।