“তারপর কী হল শোন, সেই ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া গেল টয়লেটের মধ্যে । হাতে হুমায়ূন আহমেদ এর বই। ভাঙা দরজার সামনে যখন প্রিন্সিপাল দাঁড়িয়ে আছে তখনো তার চেতন নেই। এঁকেই বলে বইয়ের পোকা। ভাঁবা যায় টানা তিন দিন একটা ক্যাডেট বই পড়ে টয়লেটে কাঁটিয়ে দিয়েছে।” সত্য স্যারের গল্প শুনে কেউ অবাক হলনা। কারন মোটামুটি সবাই জানে স্যারের কথার অধিকাংশই মিথ্যে। ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম গুল।
বিস্তারিত»আলোকচিত্র
ছোটবেলা থেকেই ক্যামেরার প্রতি আমার বাড়তি একটা আগ্রহ ছিল। প্রথম কবে ক্যামেরা হাতে পেয়েছিলাম মনে নেই, তবে তখন থেকেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দেয়ার থেকে ক্যামেরা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করা আর অন্যের ছবি তুলে দেবার প্রতি আমার উৎসাহ বেশি ছিল। তবে সেসময় ছবির ব্যক্তি বা মান নিয়ে আমার তেমন কোন মাথাব্যথা ছিল না, সব আগ্রহ ছিল ক্যামেরাকে ঘিরেই।
ইন্টারনেটে নিয়মিত হবার পর থেকেই ছবি তোলা তথা ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমার ধারনাই পালটে গেল।
বিস্তারিত»আমার আকাশ ভরা মেঘ
আমার আকাশ ভরা মেঘ
তোমার আঁচল ভরা নীল
আমার আবোল তাবোল কাব্যে
তুমি অবাক অন্ত্যমিল।
আমার রাতের নীরবতা
তোমার আলতো পায়ে আসা
আমি পাবোনা জেনেও
শুধু তোমায় ভালোবাসা।
তুমি মেঘের মাঝে লুকাও
তোমার কান্না ভেজা চোখ
আমি চাইছি এবার তবে
ভালোবাসার বৃষ্টি হোক।
আমি ভিজবো তার ই ধারায়
যদি হাতে রাখো হাত
তুমি বর্ষা দেশের রাণী
আমার ভেজা শ্রাবন রাত।
“সত্য” সমগ্র
আজকাল ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের ফলে কলেজের স্মৃতিচারন করা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। কোন কাহিনী লিখতে গেলে তা স্যার অথবা এডজুট্যান্টের চোখে পরার সমূহ সম্ভাবনা। 😕 কিছুদিন পূর্বে বন্ধু দিবসের এই পোস্টের ম্যাডাম তার পোস্ট খানা পড়ে বড়ই লজ্জ্বাগ্রস্থ হয়ে পরেছে বলে খবরে প্রকাশ। :grr: তাই “নাম বলব না” খালি অর্থনীতির এক শিক্ষকের কাহিনী বলে ক্ষান্ত দিব।
ক্লাশ নাইনে থাকতে স্যারের এফসিসি থেকে বিসিসিতে আগমন।
বিস্তারিত»বিকেলে-৩
আকাশে তার পড়ে যাবার ভয় –
প্রকাশ্যে একথা মানবে
এমন বেকুব কিছুতে সে নয়
বৃত্তের ভেতরে
বাইরে
বাইরের, ভেতরের
সমূহ বৃত্তে
হাঁপিয়ে ওঠা সে
বৃত্তবন্দী কাক
অগত্যা
আকাশে
চড়ে দেখে,
রয়েছে
আকাশেরো
বৃত্তাকারে
নাচবার
দু্র্বিপাক?
___________________________________________________________
রুম্মানের এই ছবিটি নিয়ে কিছু বলা সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে আমার।
শুভ জন্মদিন ***০৩-০৯***
দেখতে দেখতে গেলো ৯ টি বছর । ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ । এখনো মনে আছে আমার গাইড ইফতেখার ভাই আমাকে নিয়ে কতো ব্যস্ত আমাকে কলেজের নিয়ম কানুন শিখাতে । নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয় হল । কখনো ভাবিনি এই বন্ধুগুলো হবে জীবনের সবচেয়ে নিকট বন্ধু । শুধু একটাই আফসোস যে আমার কলেজের জিসান বেঁচে নেই । গত বছরের এই দিনেও সে বেঁচে ছিল ।
বিস্তারিত»টুকরো স্মৃতি ৫
ক্যাডেট কলেজের কাহিনী গুলো মনে হলেই মনের অজান্তে হেসে উঠি। মাঝে মাঝে এমন বিব্রত কর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় যা সামলে ওঠা কষ্টের।সেদিনের ঘটনা। বসুন্ধরায় গেলাম একটা বিশেষ কাজে। হঠাত্ করেই কলেজের কথা মনে করে হেসে উঠলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি এক আধা বঙ্গ ললনা আমার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। আমি অনেক ক্ষন পর ব্যাপারটা ধরতে পারলাম। মেয়েটা হয়তোবা ভেবেছে আমি তার ড্রেস আপ নিয়ে হেসেছি।
বিস্তারিত»আসুন শিখি: ব্যবহৃত মোজা দ্বারা বল তৈরির পদ্ধতি (নব্য ও ভবিষ্যৎ ক্যাডেটদের অবশ্যপাঠ্য ব্লগ)
সেই ইন দি ইয়ার অফ নাইন্টিন সিক্সটিনাইন মানে ২০০২ সালের ৭ মে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রাঙ্গণে যোগদান করিয়াছিল এক নাদান আলাভোলা বাচ্চা। কলেজে ছয় বছর অবস্থানকালে সে শিখিয়াছে অনেক। তবে ৬ বৎসর কলেজে অবস্থানকালে উক্ত বালক দুর্গন্ধময় ব্যবহৃত মোজার সদ্ব্যবহার সম্পর্কিত যে বিশেষ বিদ্যা অর্জন করিয়াছে তাহার কোন তুলনা নাই। :grr:
কলেজে প্রথম ৭ দিন অবস্থানকালে একদা বালক ডাস্টবিনের আড়ালে এক আজিব কাপড়ের তৈরি গোলাকার বস্তু আবিষ্কার হেতু বড়ই চিন্তাগ্রস্ত হইয়া পরিল।
বিস্তারিত»এক দিনের ভণ্ডামি আর কত???
আমরা বাঙ্গালীরা হুজুগে পাগল, এটা মোটামুটি আমরা সবাই ই এক কথায় স্বীকার করবো। আর তা যদি হয় বিশেষ কোন দিবসকে কেন্দ্র করে তাহলে তো কথাই নেই। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস,শহীদ দিবস কোনটাই এর বাতিক্রম নয়। শুধু ওই বিশেষ দিনটিতেই যেন সবার মনে পরে দিনটির কথা।ক্যালেন্ডার এর পাতা উল্টালেই ভুলে যাই দিনের কথা এবং শুরু হয় পরবর্তী অন্য কোন বিশেষ দিবসের জন্য প্রস্তুতি।
এই হুজুগে মাতাল হওয়া টা খুব বেশি মাত্রায় যেসব দিবসগুলোকে আক্রমন করে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব,শরত উৎসব,
বিস্তারিত»ডলফিন, নীলতিমি ও একটি থিসিস পেপার
(১)
ভেজা বারান্দায় দৌড়ানো সহজ কথা নয়। সেটাই করতে হচ্ছে শুভকে। এমনিতেই পাঁচ মিনিট দেরী হয়ে গেছে।থিসিস পেপারটা শুভ স্যার কে দেখাতে পারবে তো? এমনিতেই রশিদ স্যার যে রাগী! এসব ভাবতে ভাবতে একটু অন্যমনস্ক হয়েছিল শুভ। হঠাৎ পা পিছলে গেল।
কিছুটা স্পীডেই দৌড়াচ্ছিল শুভ।তাই পড়ে গিয়ে ভাল ব্যথা পেল সে।কাপড়চোপড় আগেই ভিজে গিয়েছিল। এখন আরো খারাপ হল কাপড়ের অবস্থা। যাই হোক শুভ একটু ঠিক হয়ে নিক।এই সুযোগে আপনাদের সাথে ওকে পরিচয় করিয়ে দেই।
বিস্তারিত»হে শান্তিরক্ষী ……… নিজের পরিবারের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য হলেও ফিরে এসো
বাংলাদেশে সারা বিশ্বের মধ্যে যে কয়টা বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারে , তার মধ্যে অন্যতম হল শান্তিরক্ষী হিসেবে পুরো পৃথিবীর কাছে অর্জিত সুনাম। সঠিক তারিখ না বলতে পারলেও এইটুকু বলতে পারছি ৯০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা প্রেরন শুরু করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য , দেশের মানুষের কাছ থেকে অধিকাংশ সময় প্রাপ্য সন্মান না পেলেও কেন জানি এই সংঘাতময় দেশের মানুষগুলো সব সময় ই এই সেনাদের খুব বেশিই আপন করে নিয়েছে।
বিস্তারিত»শিরোনামহীন লেখা
লেখালেখি জিনিসটা সবাইকে দিয়ে হয় না। আমার ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তবুও আজ লিখতে বসলাম।
ফেসবুক এ গতকাল বসেই প্রথমেই একটা খবর চোখে পড়ল , “প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত , ফ্লাইং কর্মকর্তা নিহত”।
খবরটা পড়েই মনের মধ্যে কেমন জানো একটা ব্যাথা অনুভব করলাম। এভাবে আর কত গুলো জীবন ঝরে যাবে? আর কতগুলো মৃত্যুর পর জেগে উঠবে সবাই এবং খুজে বের করবে সব অজানা রহস্য গুলো……
বিস্তারিত»দেখা হবে বিজয়ে
কাছের মানুষেরা বলে আমার চোখে সমস্যা আছে, কাঁদলে আমার চোখ থেকে নাকি পানি পড়ে না। এ নিয়ে নিজে বেশ কয়েকবার বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এমন অনেক সময় হয়েছে যখন হাজার চেষ্টা করেও চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি বের হয়নি, যদিও কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছিল। আজ অবশ্য হয়েছে উল্টোটা, গত ৮ ঘন্টা যাবত একটু পরপরই চোখ ভিজে উঠছে। ফেসবুকে এক একটা ছবি, এক একটা স্ট্যাটাস, ইউটিউবের ভিডিও,
বিস্তারিত»ইচ্ছের বর্ষায়
শেষ রাতের দিকে বৃষ্টি নামল। ঝুম বৃষ্টি। করিডোরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁয়ার চেষ্টা করলাম। বৃষ্টির কয়েকটা ফোঁটা এসে মুখের ওপর পড়ল। একটু পরেই শুরু হল বাতাস। প্রকৃতির পাগলামি আজ একটু বেড়েছে। বৃষ্টি এলেই পুণ্যিকে খুব মনে পড়ে। মেয়েটা ভীষণ বৃষ্টি পাগল ছিল। ক্লাশ শেষে প্রায়ই টি.এস.সিতে আড্ডা দিতাম। পুণ্যি বলতো ” ইস যদি বৃষ্টি হত। কেন যে বছরের ছয়টি ঋতুই বর্ষা হলোনা। সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজতাম। ”
বিস্তারিত»একটি হ্যাকিং আর ধরা খাওয়ার গল্প
রাত ১টা, ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিলাম, হঠাত টেং টেং করে মোবাইলে মেইল আসল। আমার মোবাইলে জিমেইলের ইমেইল সিঙ্ক করা আছে তাই সাথে সাথেই মেইল নোটিফিকেশনস পাই আমি। ভাবলাম কি হাবিজাবি মেইল হবে, খুলে দেখি বিশাল রসের মেইল যাতে লেখা আছে,
The password for your Google account – a****y.shuvro@gmail.com – was recently changed.
If you made this change, you don’t need to do anything more.