নীলস বোর এর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষারত সময় পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর…….. প্রশ্নঃ একটি ব্যারোমিটারের সাহায্যে কিভাবে একটি গগণচুম্বী বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ণয় করা যায় বর্ণনা কর ? উত্তরঃ “আমাদেরকে ব্যারোমিটারের মাথায় একটা দড়ি বাধতে হবে। এরপর ব্যারোমিটারটিকে ভবনের ছাদ থেকে নীচে নামিয়ে মাটি পর্যন্ত নিতে হবে।তাহলে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য আর দড়ির দৈঘ্য যোগ করলেই ভবনের উচ্চতা পাওয়াযাবে।” এরকম সোজাসাপটা উত্তর পরীক্ষককে এমন রাগিয়ে দিল যে তিনি ততক্ষণাত ছাত্রটিকে ফেল করিয়ে দিলেন। এরপর ছাত্রটি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে র কাছে আবেদন করল যে তার উত্তরটি সম্পূর্ণ ঠিক ছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয় একজন নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ করলেন ব্যাপারটা মীমাংসা করার জন্য। বিচারক দেখলেন, উত্তরটি সম্পূর্ণ ঠিক, কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের কোন উল্লেখযোগ্য জ্ঞান উত্তটির মাঝে অনুপস্থিত। তাই তিনি ব্যাপারটির মীমাংসা করার জন্য ঠিক করলেন, ছাত্রটিকে ডাকবেন এবং তাকে ছয় মিনিটসময় দিবেন। এই ছয় মিনিটের মধ্যে ছাত্রটিকে মৌখিকভাবে প্রশ্নটির এমন উত্তর দিতে হবে যার সাথে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক নীতিগুলির নূন্যতম সম্পর্ক আছে। ছাত্র আসল। এসে চুপচাপ পাচ মিনিট ধরেকপাল কুচকে বসে বসে চিন্তা করতে লাগল। বিচারক তাকে সতর্ক করে দিলেন যে তার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রটি বলল, তার কাছে কয়েকটি যথাযোগ্য উত্তর আছে, কিন্তু সে ঠিক করতে পারছে না যে কোনটা সে বলবে। বিচারক তাকে তাড়াতাড়ি করতে বললে ছাত্রটি যে উত্তরগুলি দিলঃ “প্রথমত আপনি ব্যারোমিটারটা নিয়ে ছাদে উঠবেন, এরপর ছাদের সীমানা থেকে ব্যারোমিটারটা ছেড়ে দিবেন এবং হিসাব করবেন মাটিতে পড়তে ব্যারোমিটারটির কতটুকু সময় লাগল। এরপর h=(0.5)*g*(t)^2 সূত্রটির সাহায্যে আপনি ভবনের উচ্চতা মেপে ফেলতে পারবেন। কিন্তু ব্যারোমিটারটার দফারফা হয়ে যাবে।” “অথবা যদি রোদ থাকে তাহলে ব্যারোমিটারটার দৈঘ্য মাপবেন। এরপর ব্যারোমিটারটাকে দাড়া করিয়ে এর ছায়ার দৈঘ্য মাপবেন। এরপর ভবনের ছায়ার দৈঘ্য মাপবেন। এবং এরপর অনুপাতের ধারণা ব্যাবহার করে কিছুটা হিসাব কষলেই ভবনের উচ্চতা পেয়ে যাবেন।” “কিন্তু আপনি যদি এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি রকমের বিজ্ঞানমুখী হতে চান তাহলে আপনি ব্যারোমিটারের মাথায় ছোট একটা সুতা বেধে প্রথমে মাটিতে এরপরে ভবনের ছাদে পেন্ডুলামের মত দোলাবেন এবং এইক্ষেত্রে অভিকর্ষ বলের সংরক্ষণশীলতার কারনে T=2*π*sqrt(l/ g) সূত্র থেকে ভবনের উচ্চতা বের করতেপারবেন।” “অথবা যদি ভবনটির কোন বহিঃস্থ জরুরী নির্গমন সিড়ি থাকে তাহলে আপনি সেখানে যেয়ে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য অনুযায়ী ব্যারোমিটার দিয়ে মেপে মেপে ভবনের উচ্চতা বের করে ফেলতে পারেন।” “আর আপনি যদি একান্তই প্রথাগত এবং বিরক্তিকর পথ অনুসরণ করতে চান তাহলে, প্রথমে ব্যারোমিটারটা দিয়ে ছাদের উপর বায়ুচাপ এবং এরপর মাটিতে বায়ুচাপ মাপবেন। এরপর বায়ুচাপের পার্থক্যকে মিলিবার থেকে ফিটে পরিনত করলেই ভবনের উচ্চতা পেয়ে যাবেন।” “কিন্তু যেহেতু আমাদের সবসময় চিন্তাশক্তির ব্যাবহার এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়, সেহেতু নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হবে ভবনের রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বপালনকার ীর কাছে যাওয়া এবং তাকে বলা, “যদি আপনি নতুন একটি সুন্দর ব্যারোমিটার পেতে চান, তাহলে আমি আপনাকে এই ব্যারোমিটারটি দিব, কিন্তু সে জন্য আপনাকে বলতে হবে এই বহুতল ভবনটির উচ্চতা কত।” এই ছিল নীলস বোর, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরষ্কারজয়ী প্রথম ডেনিশ বিজ্ঞানী।…… …(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।)
নীলস বোর এর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষারত সময় পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর…….. প্রশ্নঃ একটি ব্যারোমিটারের সাহায্যে কিভাবে একটি গগণচুম্বী বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ণয় করা যায় বর্ণনা কর ? উত্তরঃ “আমাদেরকে ব্যারোমিটারের মাথায় একটা দড়ি বাধতে হবে। এরপর ব্যারোমিটারটিকে ভবনের ছাদ থেকে নীচে নামিয়ে মাটি পর্যন্ত নিতে হবে।তাহলে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য আর দড়ির দৈঘ্য যোগ করলেই ভবনের উচ্চতা পাওয়াযাবে।” এরকম সোজাসাপটা উত্তর পরীক্ষককে এমন রাগিয়ে দিল যে তিনি ততক্ষণাত ছাত্রটিকে ফেল করিয়ে দিলেন। এরপর ছাত্রটি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে র কাছে আবেদন করল যে তার উত্তরটি সম্পূর্ণ ঠিক ছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয় একজন নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ করলেন ব্যাপারটা মীমাংসা করার জন্য। বিচারক দেখলেন, উত্তরটি সম্পূর্ণ ঠিক, কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের কোন উল্লেখযোগ্য জ্ঞান উত্তটির মাঝে অনুপস্থিত। তাই তিনি ব্যাপারটির মীমাংসা করার জন্য ঠিক করলেন, ছাত্রটিকে ডাকবেন এবং তাকে ছয় মিনিটসময় দিবেন। এই ছয় মিনিটের মধ্যে ছাত্রটিকে মৌখিকভাবে প্রশ্নটির এমন উত্তর দিতে হবে যার সাথে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক নীতিগুলির নূন্যতম সম্পর্ক আছে। ছাত্র আসল। এসে চুপচাপ পাচ মিনিট ধরেকপাল কুচকে বসে বসে চিন্তা করতে লাগল। বিচারক তাকে সতর্ক করে দিলেন যে তার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রটি বলল, তার কাছে কয়েকটি যথাযোগ্য উত্তর আছে, কিন্তু সে ঠিক করতে পারছে না যে কোনটা সে বলবে। বিচারক তাকে তাড়াতাড়ি করতে বললে ছাত্রটি যে উত্তরগুলি দিলঃ “প্রথমত আপনি ব্যারোমিটারটা নিয়ে ছাদে উঠবেন, এরপর ছাদের সীমানা থেকে ব্যারোমিটারটা ছেড়ে দিবেন এবং হিসাব করবেন মাটিতে পড়তে ব্যারোমিটারটির কতটুকু সময় লাগল। এরপর h=(0.5)*g*(t)^2 সূত্রটির সাহায্যে আপনি ভবনের উচ্চতা মেপে ফেলতে পারবেন। কিন্তু ব্যারোমিটারটার দফারফা হয়ে যাবে।” “অথবা যদি রোদ থাকে তাহলে ব্যারোমিটারটার দৈঘ্য মাপবেন। এরপর ব্যারোমিটারটাকে দাড়া করিয়ে এর ছায়ার দৈঘ্য মাপবেন। এরপর ভবনের ছায়ার দৈঘ্য মাপবেন। এবং এরপর অনুপাতের ধারণা ব্যাবহার করে কিছুটা হিসাব কষলেই ভবনের উচ্চতা পেয়ে যাবেন।” “কিন্তু আপনি যদি এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি রকমের বিজ্ঞানমুখী হতে চান তাহলে আপনি ব্যারোমিটারের মাথায় ছোট একটা সুতা বেধে প্রথমে মাটিতে এরপরে ভবনের ছাদে পেন্ডুলামের মত দোলাবেন এবং এইক্ষেত্রে অভিকর্ষ বলের সংরক্ষণশীলতার কারনে T=2*π*sqrt(l/ g) সূত্র থেকে ভবনের উচ্চতা বের করতেপারবেন।” “অথবা যদি ভবনটির কোন বহিঃস্থ জরুরী নির্গমন সিড়ি থাকে তাহলে আপনি সেখানে যেয়ে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য অনুযায়ী ব্যারোমিটার দিয়ে মেপে মেপে ভবনের উচ্চতা বের করে ফেলতে পারেন।” “আর আপনি যদি একান্তই প্রথাগত এবং বিরক্তিকর পথ অনুসরণ করতে চান তাহলে, প্রথমে ব্যারোমিটারটা দিয়ে ছাদের উপর বায়ুচাপ এবং এরপর মাটিতে বায়ুচাপ মাপবেন। এরপর বায়ুচাপের পার্থক্যকে মিলিবার থেকে ফিটে পরিনত করলেই ভবনের উচ্চতা পেয়ে যাবেন।” “কিন্তু যেহেতু আমাদের সবসময় চিন্তাশক্তির ব্যাবহার এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়, সেহেতু নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হবে ভবনের রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বপালনকার ীর কাছে যাওয়া এবং তাকে বলা, “যদি আপনি নতুন একটি সুন্দর ব্যারোমিটার পেতে চান, তাহলে আমি আপনাকে এই ব্যারোমিটারটি দিব, কিন্তু সে জন্য আপনাকে বলতে হবে এই বহুতল ভবনটির উচ্চতা কত।” এই ছিল নীলস বোর, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরষ্কারজয়ী প্রথম ডেনিশ বিজ্ঞানী।…… …(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।)
১০ টি মন্তব্য : “নীলস বোর ও একটি মজার কাহিনী। (সংগৃহীত)”
মন্তব্য করুন
৫ তারা + প্রিয়তে যোগ।
তারপর আবার হাহাপিগে :pira:
অঃটঃ এডিট করা দরকার মনে হচ্ছে। আমার স্ক্রীনে গল্পটা দুইবার দেখাচ্ছে।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
::salute::
সত্যিই মজার কাহিনী। প্রত্যেকটা উত্তরই সঠিক। অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
ভাইয়া কাহিনিটা অনেক সুন্দর এবং এর আগেও পড়েছি।কিন্তু কাহিনিতে নিলস বোর নামটা পরে উল্লেখ করলে ভালো হত।গল্পের সাসপেন্স আরো বাড়ত 🙂
টিপস এর জন্য ধন্যবাদ...ভাই...
ধন্যবাদ ... 😀
আমি ভালো কিছু বলবো না।
বোর সাহেবের এই ঘটনা ফেসবুক মাধ্যমে জেনেছি দিন কয়েক আগে। নিঃসন্দেহে চমৎকার কাহিনী। কিন্তু কাহিনী ভালো বা আকর্ষনীয় হলে তা শেয়ার দেয়া যেতেই পারে। হয়তো আমি নিজেও দিয়েছি। যদিও এসব কাহিনীর ক্ষেত্রে কিছু গোঁজামিলও থাকে। যাই হোক কাহিনীর ভুল খোজা আমার কমেন্টের উদ্দেশ্য না।
ব্লগে অন্য জায়গার লেখা কপি-পেষ্ট আসবে এটা মানতে মন চায় না। এইটা ক্যাডেট কলেজ ব্লগের মান সম্মানের ব্যাপার।
এডজুট্যান্ট সাহেব এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।
কপি পেষ্টের কারণে আমি ১ তারা দিয়া গেলাম।
দুঃখ পাইয়ো না। এক কাপ চা খাও :teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আর নাম ইংলিশে।
আদব লেহাজ নাই।
০৫-১১ এর কেউ নাই নাকি!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নীলস বোরের আরেকটা কাহিনী আমি জানি। তাই ভাবলাম শেয়ার করি।
নীলস বোর স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় আসলে প্রত্যেকবার তার মা তাকে জিজ্ঞেস করতেন যে পরীক্ষা কেমন হল? কিন্তু ছোট্ট বোর কিছুতেই উত্তর করতে পারতেন না। কিন্তু এদিকে মা যে প্রত্যেকবার ই জিজ্ঞেস করে! কি করা যায়?
পরের দিন, যথারীতি বোর স্কুল থেকে এসেছে পরীক্ষা দিয়ে, তার মা ও তাকে জিজ্ঞেস করলেন পরীক্ষা কেমন হয়েছে। এবার বোর একটা মারাত্নক উত্তর দিয়ে দিলেন। ব্যাগ থেকে তার পরীক্ষার খাতা বের করে মায়ের হাতে ধরিয়ে দিলেন। এবং বললেন, "তুমি প্রতিদিন ই জিজ্ঞেস কর যে পরীক্ষা কেমন হয়েছে। তাই আজকে পরীক্ষার খাতাটাই নিয়ে এসেছি। নিজেই দেখ আমি পরীক্ষা কেমন দিয়েছি।" 😀
MH
এই ধরনের কপিপেস্ট লেখা সিসিবিতে নিরুৎসাহিত করা হয়ে থাকে। লেখককে এই ব্যপারটির দিকে দৃষ্টি দেয়ার অনুরোধ করা হলো।
যেহেতু এই লেখাটি পোস্ট করেছেন যিনি তার লেখা সিসিবির মডারেটরদের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে, তাই এর দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণই আমাদের। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় কিংবা জীবন বাঁচানোর জন্য সহায়তার আহবান সংক্রান্ত কোন পোস্ট ছাড়া হুবুহু কপি পেস্ট লেখা প্রকাশিত হবেনা।
- ধন্যবাদ।