ছবির ফ্রেম

পুরনো ডায়রিটা খুলে হঠাত্‍ করেই তিথির মন খারাপ হয়ে গেল। ডায়রির মাঝে রুদ্রের একটা ছবি। বাতাস লেগে প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।রুদ্রের স্মৃতি বলতে তিথির কাছে এটুকুই। পনের বছর আগের ছবি।অনেক কষ্টে তিথি ডায়রিতে লুকিয়ে রেখেছে। কেউ দেখে ফেললে বিপদ। বিবাহিতা স্ত্রীর কাছে স্বামী ছাড়া অন্য যে কারো ছবি থাকাটা গুরুতর অপরাধ। তিথি জানে। তারপরেও রুদ্র বলে কথা। একটা সময় ছিল যখন তিথির প্রতিটি নিশ্বাস জুড়ে ছিল রুদ্র।

বিস্তারিত»

শেষ প্রান্তে

বছর তিনেক আগে কোনো একটা কোরিয়ান মুভি থেকে alzheimer’s symptom সম্পর্কে জেনেছিলাম। যথারীতি অন্যান্য সিনেমার মত সিনেমাটিক রোগ ই মনে হইছিল।পরে অবশ্য অল্প বিস্তর পত্রিকা আর অন্য সিনেমা দেখে জানলাম আসলেই এই রোগের অস্তিত্ব আছে আর এরকম রোগির সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।

অফিস এ প্রথম দিন এক কলিগ এর সাথে পরিচয় হল যার বয়স চুরাশি।উনি আমাকে নাম,ধাম,কই থাকি ইত্যাদি সাত সতের জিজ্ঞেস করলেন…

বিস্তারিত»

বেঁচে থাকার গল্প

ময়নার মা,ও ময়নার মা।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে মন্তাজ মিয়ার ডাক।রাত প্রায় দুইটা।ঢাকা শহরের নাগরিক কোলাহল একটু আগে থেমে গিয়েছে।রাস্তার দু পাশে সোডিয়ামের বাতি গুলো ঝাপসা।সেখান থেকে যতটুকু আলো আসে তাও কুয়াশার সাথে মিশে অস্বচ্ছ এক আবহ তৈরি করেছে।পলিথিনের তৈরি অস্থায়ী ঘরের ফাঁক দিয়ে তার কিছুটা আলো ময়নার মার মুখে পরেছে।ষাটোর্ধ মন্তাজ মিয়া কাছে মনে অস্বচ্ছ এই আলোয় ময়নার মাকে আরো মায়াবী লাগছে।কল্পনায় চল্লিশ বছর আগে চলে যায় সে।ঢাকা শহরে নতুন এসেছে ।থাকার জায়গা নেই।একদিন কমলাপুর রেলস্টেশন অন্য দিন গাবতলী যাত্রী ছাউনি।মাঝেমাঝে দোতলা লন্চের ছাঁদে চড়ে সুদূর বরিশাল যাতায়াত করা হত।একসময় বুড়িগঙ্গার গন্ধযুক্ত পানিকে খুব বেশি আপন মনে হত।সবেমাত্র মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে।দেশের অবস্থা বেগতিক।একবেলা খাবার আশায় তাই শহরে পাড়ি জমানো।গ্রামে মন্তাজ মিয়াদের গেরস্থলি ছিল।গোয়ালে তিন চারটা গরু।পুকুরে মাছ।ক্ষেতে সবজি।সবমিলিয়ে একটা সাজানো সংসার।দিনকাল ভালোই কাটছিল।এর মাঝে হঠাত শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।ফরমান আলীর কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দেয় মন্তাজ মিয়া।সুঠাম দেহ আর লম্বা চওড়া শরীর থাকায় প্রায় সব অপারেশনেই মন্তাজ মিয়া নেতৃত্ব দিত।এভাবেই কেঁটে গেল অনেক দিন।একসময় যুদ্ধ শেষ হল।গ্রামে ফিরে নিজের ঘর বাড়ি খুঁজে পেলনা।পাকিস্তানী হানাদাররা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সব।বাড়ির সামনে কয়েকটা নতুন কবর দেখে বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠল।সেদিন ই শহরে পাড়ি জমাল মন্তাজ মিয়া।একরাশ বুক ভরা অভিমান নিয়ে।

বিস্তারিত»

ত্রিশ কোটি হাত বনাম ক্যান্সার

কিরে ব্যাটা মন খারাপ?ধুর বোকা ক্লাস সেভেনে একটু আধটু এরকম হয়।এজন্যে মন খারাপ করতে হয়না।পেছন তাকিয়ে দেখি হোসেন ভাই।
তার সেই চির চেনা হাতটা মাথার ওপর।আমি আরো জোড়ে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললাম।একটু আগেই রুম লীডারের রুমে ছিলাম।টানা দশমিনিট জানালার গ্রিলের সাথে পা ঝুলিয়ে।ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম লং আপ।হোসেন ভাই তখন রুমে ছিলেন।আমার অবস্থা দেখে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটু আধটু কষ্টও পেয়েছিলেন।কিন্তু ক্লাসমেট এর মুখের ওপর কথা বলা নিয়মে নেই।তাই তিনি এখানে নির্বাক দর্শক।

বিস্তারিত»

অন্যরকম অনুভূতি – ২

কমান্ডিং অফিসার । লিডিং ফ্রম দ্যা ফ্রন্ট । প্রথম জাম্পটা স্যারই দিলেন ।

একে একে অন্যরা

কি অদ্ভুত !!! এই সৈনিকটা নাকি এভাবেই স্যালুট পজিশনে জাম্প করে । স্যালুট ধরে রাখে যতক্ষন এয়ারক্র্যআফট দেখা যায়

সবাই চলে যাচ্ছে । আর আমি রয়ে যাচ্ছি

জাম্প করলো লাষ্ট বাট ওয়ান

সবশেষে জাম্প করলো ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম ।

বিস্তারিত»

অন্যরকম অনুভূতি – ১

গত ২৭ নভেম্বর থেকে ঢাকাতেই আছি । ১৬ ডিসেম্বরের প্যারেড করবো । আমাকে দেখতে পারেন ১ম ফ্ল্যআগ কন্টিনজেন্ট কমান্ড করবো আমি 😉 ( সুযোগে নিজের এ্যাড করে দিলাম )। যাই হোক,যে কারনে লিখতে বসা, এই প্যারেড উপলক্ষে প্যারাট্রুপারদের জাম্প হবে । প্যারাট্রুপাররা ৭০০০ ফিট থেকে প্যারাসুট না খুলে জাম্প করে পরে ৪০০০ ফিট উচ্চতায় নেমে হাতে টেনে প্যারাসুট খোলে । কাজটা কঠিন আর সাহসিকতার এটা জানতাম কিন্তু আসলে যে উপরের অবস্থাটা কি এটা গত পরশু বুঝলাম ।

বিস্তারিত»

একটি অনুরোধ…………………

প্রথমেই সিসিবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আজকে বহুদিন পরে সিসিবিতে লগিন করলাম। যদিও প্রায়ঃশই সিসিবিতে আসি, কিন্তু কি কারনে যেন লগিন করা হয় না। হঠাৎ করে আজ সিসিবির পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। :dreamy: :dreamy: ২০০৮ সালের কথা। তখন সবে মাত্র কলেজ থেকে বের হয়েছি। সেনাবাহিনীতে যোগদানের উদ্দেশ্যের চেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্যই ভর্তি হলাম ডিফেন্স গাইড নামক কোচিং সেন্টারে। সেখানেই একদিন পরিচয় মাসরুফ ভাইয়ের সাথে।

বিস্তারিত»

ছেড়ে যাবি নাতো

ক্লাস থেকে বের হয়ে একটু চিন্তায় পরলাম।পকেটে মাত্র একশ টাকা।সম্বল বলতে এটুকুই।কাল নীরার জন্মদিন।তিন বছর ধরে একসাথে আছি।মেয়েটাকে কখনোই কিছু দেয়া হয়নি।পৃথীবিতে কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা অল্পতেই খুশী।নীরাও তাই।ও এমন একটা মেয়ে যার কাছে কিছুই লুকানো যায়না।আর তাই তিন বছরের মধ্যে ওর সামনে কখনো মন খারাপ করতে পারিনি।এম্মিতেই ও অনেক বেশি কেয়ারিং।

নীরার সাথে আমার পরিচয় ফার্মগেটে।ইউ সি সি তে কোচিং করার সুবাদে।ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে প্রথমেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে।জীবনের বড় একটা অংশ মেয়েদের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে মেয়েদের প্রতি তীব্র কৌতূহল ছিল।যদিও ছেলে হিসেবে আমি বেশ লাজুক প্রকৃতির।একবার কোচিং এর সামনে বসে ফুচকা খাওয়ার পর টাকা দিতে গেলে খেয়াল করলাম পকেটে মানিব্যাগ নেই।এক প্রকার অস্বস্তির মধ্যে পড়লাম।ছোটবেলা থেকেই আত্মসম্মান বোধটা আমার প্রচন্ড।ফুচকাওয়ালাকে বললাম ‘মামা,মানিব্যাগ ফেলে এসেছি।আমার কাছে টাকা নাই।এই ঘড়িটা রাখুন।দোকানী বিজয়ীর হাসি দিল।স্টিভ জবস আইপড আবিস্কার করে যেমন হাসি দিয়েছিলেন অনেকটা সেরকম।জীবনের সেই চরম অপমান জনক অবস্থা থেকে নীরাই আমাকে রক্ষা করেছিল।সেই থেকে একসাথে আছি।জীবনের বাকীটা পথ ও এভাবেই থাকার ইচ্ছা।

বিস্তারিত»

sdjhgf

wowhdscsgiusg

বিস্তারিত»

মনেরই পাশে

ছিল অবিরাম লুকোচুরি
ছিল অভিমান ঘুনসুঁটি
ছিল আড্ডা মুখর রাতের আকাশ
ছিল ফুটবল গ্রাউন্ডে যুদ্ধ
ছিল হৃদয় অবরুদ্ধ
ছিল ভালোবাসার অনন্ত আশ্বাস

ছিল ক্যান্টিন রোজ সেখানে
ভীড় উপচে পরা আয়োজন
ছিল করিডোর ছিল মায়াডোর
আজ তোদের খুব প্রয়োজন

ছিল শান্তি ভুল ভ্রান্তি
ছিল নিরালায় বসে গল্প
ছিল স্বপ্ন ছিল আশা
আর হতাশা ছিল অল্প

ছিল শাস্তি তবু মাস্তি
ছিল নিয়মের ফাঁকে ফাক ঝোক
তবু টুপটাপ সুরে ঝুপঝাপ
কেঁটে যেত তাতে সব শোক

রোজ সন্ধ্যায় কি যে মন চায়
তবু বই খুলে রাখা লাগত
তবু ডেস্কে মহা রিস্কে
চোখের ক্লান্তির ঘুম নামত
ছিল চিত্‍কার কত হুংকার
ছিল টিচারের কত অভিযোগ
পাশ ফেলের মহাভয়ে
মন পড়ায় দিত মনোযোগ

প্রতি রাতে হাতে হাতে
কত কার্ড খেলা জমে উঠত
কালি পরা চোখের তার
যেন তারই কথা শুধু বলত

তবু হাসি ভালোবাসি সেই বাঁশি ঘুম ভাঙাবে
জানি জানালায় কোন অবেলায়
আলো এসে রুম রাঙাবে

এই জীবনের কিছু শ্রাবনের
ছিল লুকোনো কিছু ধারা
অকারনে অভিমানে ঝড়া
তারার রাত পাহাড়া

সেই শান্তির কিছু ক্লান্তি
জমা বালিশের কোন কাভারে
মুখখানি অভিমানি তাই
এড়ায় যেন সবারে

তবু বন্ধু তোরা সিন্ধু
ছিলি মরুময় কোন সাহারায়
তোরা আছিস তোরা থাকিস
ভালোবাসার রাত পাহাড়ায়

তোরা বন্ধুর পথে বন্ধু
এই জীবনের সব পথচলায়
বায়ু হয়ে যাস বয়ে
স্মৃতির খোলা জানালায়.

বিস্তারিত»

স্বপ্নপাঠ

শিয়রে এসে
সবুজ প্রহর
দাঁড়ালে
মধ্যযামে,
স্বপ্নেরা
ঝরে যায়
পাপড়ির
ছদ্মনামে

ছোঁবার
আকুলতায়
পাখিটি
ঘুমকাতুরে
ঠোঁটে
জোটাতে
পেরেছে
কিছু
একপেয়ে
অবকাশ
মোটে….

______________________________________________________________________

রুম্মানের এই ছবি নিয়ে লিখতে গেলে টের পেলাম, কি অসীম রোমান্টিকতাই না ওকে ভর করেছিলো আঁকার সময়।

বিস্তারিত»

১১.১১.১১

ক.
দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেটের বাইরে ছিলাম। টিভি খবর কিংবা খবরের কাগজ, কোন কিছুর সাথেই যোগাযোগ ছিল না। তাই আশেপাশের অনেক ঘটনাই টের পাইনি। আজকে দুপুর নাগাত ঘুম থেকে উঠে অনেকিন পরে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব। আজকে ১১.১১.১১!!! ফেসবুক বা ইন্টারনেট না থাকলে মনে হয় টেরই পেতাম না, শুধু এই তারিখ না, আরো কত কিছুই যে টের পেতাম না কে জানে!

বিস্তারিত»

একজন নাসির ভাই

আবারো লিখতে বসা।গভীর বোধ আবেগ আর অনুভূতি যখন একই ধারায় এসে মিলিত হয় তখন আমার ভেতরে প্রচন্ড লেখালেখির চাপ জাগে।কোন ভাবেই নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারিনা।ইদানিং খুব বেশি স্মৃতি কাতরতায় ভুগছি।জীবনের গভীর শূন্যতায় প্রিয় মুখখুলো যখন ঝাপসা হয়ে আসে তখন ফেরারী অশ্রুর শেষ বিন্দুটিও বেদনা জাগিয়ে যায়।

সপ্তম শ্রেনীর কোন এক দুঃসহ রাতের কথা।প্রচন্ড ক্ষিদে আর তৃষ্ণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছি।একশো তিন ডিগ্রী জ্বরে বারো বছরের একটি ছেলে নাকাল হয়ে পরে আছে।নিজেকে হঠাত্‍ করে খুব অসহায় মনে হল।ছোট বেলার কথা মনে পরে গেল।জ্বর হলে মা সাড়ারাত মাথার কাছে বসে থাকতেন।ভাত খেতে পারতামনা বলে আউশ চালের ঝাউ রেঁধে দিতেন।ক্যাডেট কলেজের নিয়মতান্ত্রিক জীবনে গভীর ভাবে অনুভব করলাম মায়ের শুন্যতা।কাঁপা কাঁপা শরীর নিয়ে বিছানা থেকে উঠলাম।রাতে ডিনারের জন্য ক্যাডেট কলেজের গতানুগতিক ম্যানু।হঠাত্‍ করে অনুভব করলাম চোখের পাতা অকারনে ভিজে যাচ্ছে।খাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিছানায় শুতে যাচ্ছি এমন সময় কে যেন ডাকলো।এই ক্যাডেট খাবেননা?

বিস্তারিত»

ভর্তি যুদ্ধ !!!

আমাদের ছোট ভাই-বোনেরা এখন ভর্তি যুদ্ধ নিয়ে খুব ব্যস্ত ।ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে ।অনেকের চান্স হয়েছে, অনেকের হয় নি ।আরও কিছু পরীক্ষা বাকি আছে ।তাদের মুখ থেকে ভর্তির গল্প শুনে এবং আমার কিছু অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি থেকে ক্যাডেটদের ভর্তি যুদ্ধের ব্যাপারে কিছু কথা বলছি ।একজন ছাত্রের কোন ভাল প্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়া মূলত দুইটি জিনিস এর উপর নির্ভরশীল ।প্রথমত ছাত্রের অধ্যয়ন এবং দ্বিতীয়ত ছাত্রকে কিভাবে পাঠদান করা হয়েছিল ।চলুন ঘুরে আসি আমাদের প্রিয় ক্যাডেট কলেজ থেকে ।প্রথমে আসি ক্যাডেটদের পাঠদানকারী শিক্ষক প্রসঙ্গে ।দুটি প্রেক্ষাপট এর ভিত্তিতে যদি শিক্ষকের মান বিবেচনা করা যায় ( আমাদের বড় ভাইদের আমলের ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক আর বর্তমান সময়ের ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক এবং বর্তমান সময় এর ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক আর বাইরের নামকরা কলেজ সমূহের শিক্ষক) তাইলে দেখা যাবে যে দুটি ক্ষেত্রেই ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক এর মান তুলনামূলক ভাবে ভাল নয় ।অনেক ভাল শিক্ষক ক্যাডেট কলেজে সুযোগ সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যায় ।এবার আসি ক্যাডেটদের অধ্যয়নের ব্যাপারে ।কলেজ এর বিভিন্ন নিয়ম-শৃঙ্খলা,ডেইলি রুটিন,

বিস্তারিত»

অসমাপ্ত সমাপ্তি

কাল থেকে আবার ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে।নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হবে।আমি আবার ওদের ক্লাস টীচার।সকাল সাতটায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত থাকতে বলেছেন।বুঝতে পারছিনা কী হবে।আমি মানুষ হিসেবে বেশ এলোমেলো স্বভাবের।এতগুলো বাচ্চাকে একসাথে কন্ট্রোল করতে পারবো কিনা জানিনা।কিন্তু চাকুরীর প্রয়োজনে করতেই হবে।ঢাকা শহরে বর্তমানে চাকরীর খুব আকাল।এছাড়া ব্যাচেলরদের কেউ বাড়ি ভাড়াও দিতে চায়না।সেক্ষেত্রে এই চাকুরীটার একটা সুবিধা আছে।স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই রুমের একটা বাসাও ঠিক করে দিয়েছে।মোটামুটি আরামের চাকরী।প্রতি মাসে বেতনের এক অংশ চলে যায় মৌরীর শখ পুরন করতে।যদিও মৌরী আমার কাছে নেই আজ দশ বছর।তারপরেও ওর শখটা যত্ন করে আমি টিকিয়ে রেখেছি।খুব অদ্ভুত স্বভাবের ছিল মেয়েটা।

বিস্তারিত»