২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের কথা। একটি সাধারন মহিলা। তার স্বামী মারা গেছে ১৯৭৭ সালের এই সেপ্টেম্বর মাসে ই। একটা ছেলে রেখে।মহিলাটি আর বিয়ে করেন নি আর। একটা মেয়ের শখ ছিল। ভেবেছেন ছেলেকে বড় করে বিয়ে দিয়ে একটা টুকটুকে বউ আনবে, যে হবে তার মেয়ে। ছেলে বড় হল, বিয়ে করল। বাড়ির সামনে খালার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ছোট্ট একটি দোকানে লোহার পাত ঝালাই করে গ্রিল বানিয়ে বেচে ছেলে টা ।
বিস্তারিত»মসজিদ এবং জুতা,স্যান্ডেল কাহিনী
মসজিদ হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান এবং মুসলিমদের উপাসনালয়। সব ধর্মের মানুষের কাছে তাদের উপাসনালয় আসলে তাদের নিজ নিজ ধর্মের জন্য অত্যন্ত পাক পবিত্র জায়গা। ইসলাম ধর্মেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকে অনেক উঁচুতে অবস্থান দেয়া হয়েছে এবং এর গুরুত্তও অনেক। এমনকি অনেকেই বলে থাকেন মসজিদ বেহেস্তের একটি টুকরা। আজকে আমি একটি বিষয় নিয়ে বলবো।
আমার কাছে প্রশ্ন জাগে যে আমরা কি আসলেই মসজিদকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি?
বিস্তারিত»প্রাইম ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং
বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু হয়নি কিন্তু প্রাইম ব্যাংক প্রায় এর কাছাকাছি কিছু সুবিধা দিচ্ছে। আমি দেখেছি অনেকেই DBBL বা BRAC ব্যাংকিং করেন।DBBL এ নিজের নাম এ ২টা Account থাকলে একটা থেকে আরেকটা Accountএ টাকা পাঠানো যায় কিন্তু অন্যজনের DBBL Accountএ বা অন্য বেসরকারি ব্যাংক এ টাকা পাঠানো যায়না। BRAC ব্যাংক থেকেও এক Account থেকে BRAC ব্যাংকের অন্য Accountএ টাকা পাঠানো যায়(দিনে সর্বোচ্চ ১লাখ)কিন্তু BRAC ব্যাংক অন্য বেসরকারি ব্যাংক এ টাকা পাঠানো যায়না।
জিসান এর মত চাই না মুহিব ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাক
২১ ডিসেম্বর ২০১১ , দিনটা ছিল আমার জীবনে অন্যতম বেদনাদায়ক একটা দিন । এই দিনে আমার কলেজের বন্ধু জিসান ব্লাড ক্যান্সারে মারা যায় । জিসান ছিল আমার কলেজের ভাসানী হাউস এর । ২-৩ দিন আগে ব্যাচ গ্রুপে হঠাৎ নাফিজের পোস্ট দেখে স্তব্ধ হয়েছিলাম অনেক ক্ষণ, কোন কমেন্ট করতে পারিনি । পোস্টটা ছিল আমাদের গাইড ব্যাচ এর মুহিব ভাই কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত । আবার এই ক্যান্সার এর আক্রমণ !
বিস্তারিত»মুহিব বাঁচবেই
কৃতজ্ঞতা: রেজা শাওন, পিসিসি, ২০০১-২০০৭
মুহিবদের ব্যাচের একজন হাসান যখন আমাকে বলল, ভাই মুহিবের জন্য ফান্ড রেইজের কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভব হলে একটা লেখা রেডি করেন। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াগুলোতে লেখাটা ছাপানো প্রয়োজন। হাতে সময় একেবারেই নেই। হাসানের মেসেজটা পাওয়ার পর আমি আমার বয়স হিসেব শুরু করলাম। পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ এর হিসেবে আমার বয়স চব্বিশ হতে আরও দুই মাস বাকী। জীবনে এখনও আমার কী কী করা বাকী সেই লিস্টটা যখন আমি বের করি,
বিস্তারিত»যদ্যপি আমার গুরু…
জীবনে প্রথম কোন বই পড়েছিলাম মনে নেই। ঠাকুরমা’র ঝুলি হবে হয়তো। তবে সবচেয়ে বেশী পড়েছি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই। এটা নিশ্চিত।
আজ অনেকে বলছে স্যারের মৃত্যুদিবস!!! আমার প্রশ্ন স্যার মারা গেলেন কিভাবে??
তাঁর কি মৃত্যু আছে? একজন হুমায়ূন আহমেদ কি মরনশীল কেউ? এই নষ্ট পৃথিবী কে স্যারের দেহ ত্যাগ করেছে…কিন্তু স্যার তো আমাদের মাঝেই আছেন! পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগুনিত হিমু-মিসির আলী-শুভ্র-রুপা-মাজেদা খালা-মহাজ্ঞানী ফিহা-মজিদ-রমনা থানার ওসি-পাংখাপুলার রশীদ-তিতলী-কংকা-মুনা-বাকের ভাই-সৈয়দ বংশের পোলা-বদি-ধনু শেখ-মুহিব-বাদল-আতাহারদের মাঝেই স্যার চিরকাল থাকবেন!
বিস্তারিত»একজন এক্স ক্যাডেটের জীবন ঝুঁকিতে একটু প্রচেষ্টা পারে তাকে বাঁচাতে
মুহিব বাঁচবেইবুয়েট- এর নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র মুহিবুর রহমান Muhibbur Rahman
(২৫ তম ব্যাচ, ২০০২-২০০৮, পাবনা ক্যাডেট কলেজ)। সে আজ মরণব্যাধি `ANO-RECTAL CARCINOMA’ তে আক্রান্ত। এটি খুবই খারাপ ধরনের একটি কোলন ক্যান্সার।বর্তমানে সে ইউনাইটেড হাসপাতালে কোলন ও রেক্টাল সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহিদুল হক এর অধীনে চিকিৎসাধীন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রুত সম্ভব তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(২য় পর্ব)
প্রতিযোগিতা থেকে বাসায় গিয়ে ধরলাম ঢাকার বাস। খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে ঢাকায় থাকে। তাই অগত্যা কোন উপায় না দেখে আমার ছুটির শান্তি নষ্ট করে ছুতে গেলাম ঢাকা অভিমুখে। ঢাকায় থাকার অন্যান্য সহস্র সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল – ০১। সকালের অতি আদরের ঘুম বিসর্জন করা ও ০২। মিরপুর-১ থেকে ফার্মগেট গিয়ে পড়া। অবশ্য তাতেও রাজি শুধু যদি পূরণ হয় সে আশা যার জন্য এত জলাঞ্জলি,
বিস্তারিত»আধাসামরিক প্রেমের গল্প
আধাসামরিক ক্যাডেট কলেজে বেসামরিক প্রেমিকা থাকা শুধু কষ্টের নয়, ভয়াবহ কষ্টের।প্রতিবার ছুটির শেষে প্রিয়
মানুষটিকে ফেলে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়।ক্যাডেট কলেজ, সে এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীর খোঁজ নেয়া অসম্ভব প্রায় । আর্মি হেড কোয়ার্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো জায়গা করে নিতে পারেনি ক্যাডেট কলেজের সেই চৌহদ্দিতে। তবুও সমস্ত কলেজ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কখনো আন্ডারগার্মেন্টস এর নিচে,কখনো মোজার ভেতর,মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা কেটে,ব্যাগের কোনায়,এংলেটের মধ্যে,
যুদ্ধ…!!!
বিধাতা কিংবা প্রকৃতি যাই বলি মানুষ কে বাঁচতে শেখায় যুদ্ধ করে। মাঝে মাঝে অবাক লাগে যে অসম কোন কিছুই প্রকৃতি মেনে নেয়না । নর-নারীর প্রেম প্রকৃতির বিধানের অদ্ভুত এক রহস্যময় দিক।
আবেগ খুব তাড়া করে মাঝে মাঝে। অদ্ভুত সেই অসম প্রেমের গল্প। নায়ক নায়িকা নেই,আছে শুধু পাগলামি,উষ্ণতার অনুভূতি। চোখ বন্ধ করে নেয়া চুলের মিষ্টি গন্ধ কিংবা কাছের বান্ধবীর কাছে শোনা নির্ঘুম রাতের কথা ;
বিস্তারিত»মেমোরি কার্ড
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সবাই একাডেমির ওয়াশরুমকেই নিজেদের আড্ডাখানা মনে করতো। বোরিং মফিজ স্যারের ক্লাস কিংবা জহির স্যারের গাইড দেখে দেখে ম্যাথ করানোর টাইমটাতে ওয়াশরুমে আড্ডা কিংবা ফোনে গান শুনাটা সিনিয়র ক্যাডেটদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিলো। তাছাড়া ল্যাব পিরিয়ডে এবং প্রেপ টাইমেও ক্যাডেটদের বিনোদোন খুঁজে নেওয়ার একমাত্র স্থান ওই ওয়াশরুম। ফোনে গান শোনা কিংবা ফেসবুক গুতানোর জন্যে ওই জায়গাটা তুলনামূলকভাবে অনেক নিরাপদ। আমাদের একাডেমিতে সিনিয়র ব্লকে চার টা টয়লেটের মাঝে চার নাম্বার টয়লেটে কেউ কাজ সারতো না।
বিস্তারিত»সাভারনামা…
সাভারের ভবনধসের ঘটনা এখন পুরোনো হয়ে গেছে। আজ সেই সময় তোলা কিছু ছবি ফেবু’তে আপলোড করলাম। ছবি দেখে রাজীব ভাই/১৩তম বিসিসি; বললেন “সাভারের উদ্ধারকাজের উপরে একটা লেখা দে”! সাথে সাথে ফেবু বন্ধ করে সেই সময়কার কিছু স্মৃতি নিয়ে আজ লিখলাম। এক বসায় লিখেছি। ভুলভাল হতে পারে।
ভবন ধসে পড়ার পরপরই শাহবাগ গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছি। তবু কেমন যেন ছটফট করছিলাম। আরো কিছু করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
বিস্তারিত»পাঙ্গালিস্ট
একাদশ শ্রেণীর মাঝামাঝি। উনত্রিশ তম ব্যাচের জুনিয়র প্রিফেক্টদের তখন জুনিয়র পাঙ্গানোর মসরুম চলিতেছে।
প্রেপ টাইমে জনৈক জুনিয়র প্রিফেক্টকে দেখিলাম কাগজ কলম নিয়ে একাগ্রচিত্তে কি-জানি লিখিতেছে। কৌতূহলবশতঃ কাছে গিয়া দেখিলাম সে লিখিতেছে—
পুশআপ————– ৫০ টি
লং আপ————– ১০ মিনিট
ফ্রন্টরোল—————২৫ টি
লকার স্টিকের বাড়ি—- ১২ টি
ইত্যাদি ইত্যাদি………
কারন জিজ্ঞাসা করিলাম।
উত্তরে সে বলিলো, ” জুনিয়র পাঙ্গাইতে গিয়ে ভুলিয়া যাই কি কি পানিশমেন্ট দিবো,
লেঃ মাহমুদ এবং আমাদের গল্প…
আমাদের গল্পটার শুরু গ্রীষ্মের কোন এক মধ্য দুপুর থেকে। অন্য দুপুরগুলোর মত সেই দুপুরটাও অলস হতে পারত, কিন্তু সেদিন দুপুরের অলসতার সুযোগ ছিল না। কারন সেই দুপুরে দেশের বিভিন্ন জায়গার,বিভিন্ন চেহারার কিছু ছেলের ‘আমি থেকে আমরা’ হবার দিনের সূচণা হতে চলেছিল।০৭ মে,২০০২ সালের সেই রৌদ্রজ্জল দুপুরকে সাক্ষী রেখে আমরা একে একে খাকী পোশাকে নিজেকে জড়াই, আর নিজের অজান্তে ৫৪টি মন কখন যেন নিজেদের মত করেই জড়িয়ে গেছে,
বিস্তারিত»সাবান
কলিং বেলের শব্দে কিছুটা বিরক্ত হয় শারমিন। আজ শনিবার। ছুটির দিন। ছুটির দিনে বাসায় অপরিচিত কেউ আসেনা। পারভেজ এই দিন বাসায় থাকে। সারাদিন পারভেজকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। ঘর গোছানো,টুকটাক রান্না বান্না। এছাড়া ইদানিং আরো একটা কাজ বেড়েছে। ছোট কাঁথা সেলাই করা। অসময়ে মাথা ব্যথা আর বমি বমি ভাব জানান দিচ্ছে ভালোবাসাবাসির প্রথম ফুল ফুটতে বেশি দেরি নেই। শারমিন বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুলল।
আরে তুমিহ?