যাইহোক কোন কারণে মনটা ডাইভার্ট করতে চাচ্ছিলাম। ভাবলাম আমিও অণুব্লগে সামিল হই। বুঝতে পারছি না লেখার বিষয়বস্তু কি হবে। আচ্ছা, সবাইকে স্বার্থপর হবার উপদেশ দিলে কেমন হয়? আগে নিজের ভাল তো জগৎ ভাল। আসলে স্বার্থপর না, একটি অভিযোগহীন জীবন কাটানোর চেষ্ঠা করলে কেমন হয়? অভিযোগ আছে তো সমস্যা লেগেই আছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় যে যেরকম তার ঈশ্বরও সেরকম। যার অন্তহীন অভিযোগ, তার ঈশ্বরও তাকে শুধু সমস্যার বাণ নিক্ষেপ করতে থাকে। আর অভিযোগহীন মানুষের কোন সমস্যা নেই। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে একজন সুখী মানুষের গল্প ছিল। তার ভাবটা এরকম যে যার কিছু নেই তার হারাবারও কিছু নেই। সেই তো আসল সুখী মানুষ। গল্প্টার লেখক ছিল মমতাজউদ্দিন আহমেদ। সেদিন একটা দাওয়াতে উনার সাথে দেখা হলো। আশি বছর বয়স হবে। তবে এখনও আগের মতো আছেন। বাস্তবে অবশ্য অনেক রিজার্ভ। লেখক মানুষ দেখলেই আমার খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে। কথা বললাম। অনেকদিন ধরেই আমেরিকাতে আছেন। এবার দেশে যাবেন। দেশে গিয়ে আবার লিখতে শুরু করবেন। আবার খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিল, আপনার সেই সুখী মানুষের গল্পের মতো সবাই এতো সহজে সুখী হলে চলবে কি করে? টাটা, বিরলাদের উত্থান হবে কিভাবে? জিজ্ঞেস করলাম না। কারণ আমরা জানি যে এক প্রেসক্রিপশনে সব রোগ সারে না। কেও অন্তহীন ক্ষুধা নিয়ে থাকবে আর কেউ কেউ ক্ষুধামন্দে ভুগবে। আসল কথা নিরাপদে থাকা। যে যেখানে আছে তার থেকে আরেকটু নিরাপদে সরে যাওয়া। জলে কুমিরের ভয়ে ডাঙ্গায় সরে যাওয়া কিম্বা ডাঙ্গার বাঘের ভয়ে জলের কাছে চলে আসা। আচ্ছা কিছু বলারই যা দরকার কি? আসলে এসব লিখছি কারণ আমার এক পরিচিতের সাথে কথা হলেই খালি অভিযোগের সাতকাহন শুনতে হয়। অনেকবার বলেছি একবার অভিযোগ বন্ধ করে দেখো (মানে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখ, সেখানে কী সংশোধন করা যায়) অবস্থার উন্নতি হয় কিনা। কিন্তু কে শোনে কার করা। শখ করে যে সন্দেহপ্রবণতার সিজফ্রেনিয়াতে ভূগতে চায় তাকে বাঁধা দেওয়ার সাধ্য কি আমার আছে?
তারপর এভাবে কাউকে ভূগতে দেখলে খারাপ লাগে। মনটা বিষন্ন হয়ে যায়। তাই খুব জানতে ইচ্ছে করছে হঠাৎ খুব মন খারাপ হলে কি করা যায়?
এর একটা উত্তর জানা আছে।
অণুব্লগ লেখা যায়।
১৮ টি মন্তব্য : “আমার প্রথম অণুব্লগ”
মন্তব্য করুন
হুম...
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
বাঙলাদেশ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ কে মিস করে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
He is not that lively person we used to know. But still he is hopeful.
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আমাদের হাউজের ভাইয়ার ব্যাচ ফলাফল নিন্মচাপ মঞ্চস্থ করেছিল। "মমতাজ উদ্দিন আহমদ" এই নামটি মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। আমি ছিলাম শেষ দৃশ্যের জেলের গার্ড! 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কষা সত্য কথা বললেন আপা। অনেক সময় ব্যাপারটা অনেকটা টেনিস খেলার মতন। সন্দেহের বল এই কোর্ট থেকেই ঐ কোর্টে যাওয়া আসা করে। কেউ হারতে চায় না! 😕
😀 😀 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বাংলাদেশে ফোনে এক আত্মীয়ের সাথে কথা বলার পর মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই লেখা। মানুষ কেন বোঝে না সে আসলে নিজের খোঁড়া গর্তেই শেষে নিজের সর্বনাস ডেকে আনে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বাহ, পারফেক্ট অণুব্লগ।
মমতাজউদ্দিন আহমেদ এর মেয়ে থাকেন ওদিকে। এদিকে, মানে ক্লিভল্যান্ডে ছেলে -- এফসিসির মুশতাক তিতাস ভাই।
তিতাস ভাইয়ের বাসায় ওঁর সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিলো -- তখন বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন কিন্তু।
ফেরদৌসী মজুমদারের সাথে করা উনার কমেডি কখনও ভুলব না। বয়স বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ অনেক দার্শনিক হয়ে যায়। আশা করি উনি আবার লিখতে শুরু করবেন।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
সুন্দর লাগছে আপা লেখাটা। আসলেই কিছু মানুষের অভিযোগের শেষ নাই। বাস্তবে এমন অনেককেই দেখি যারা খালি হা হুতাশ করে জীবন পার করে দেয়। নিজের যা কিছু আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
আচ্ছা, অণুব্লগ লেখার জন্য মিনিমাম সাইজ কত শব্দ??
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
অণুব্লগ লেখার শব্দ সংখ্যা জানিনা। তা তো 'নিউটন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না।' মাত্রারও হতে পারে। একবার অভিযোগ বা ষড়যন্ত্র থিউরী বন্ধ করে দিলেই কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আরে বেটা যেই লেখা দেখে ২০ নম্বরে কত দিব এই চিন্তা আসবে না সেটাই অণুব্লগ। আপা যেটা বললেন একদম এক বাক্য থেকে ধরে বেশখানিকটা অনেক কিছুই হতে পারে। একবাক্যের অণুব্লগের কেরামতি দেখতে চাইলে ফয়েজ ভাইয়ের লেখা পড়! উনি জলজ্যান্ত উদহরণ। 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
শান্তাপা, আসল কথাই তো জানালেন না... :-B
অণুব্লগ লেখার পর মন ভাল হয়েছিল কি?? :-/
মানে, জাতি কি তাহলে টেরাই করপে?? O:-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মন ভাল না করে উপায় নাই - অনেক চেষ্টার পর মনটা ভাল হয়েছে। "জাতি কি তাহলে টেরাই করপে??" - বুঝলাম না গো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
না, মানে... আপা, ভীরু জাতি আগে নিশ্চিত হল অণুব্লগ লেখার পর মন ভাল হয় কি না... 😀
আপনি আশ্বস্ত করার পর তারা সাহস করে হয়ত অণুব্লগ লেখার চেষ্টা করবে আর কি... 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
অণুব্লগটা তো আসলে উপলক্ষ্য। আসল উদ্দেশ্য পরিচিত মানুষদের দেখা পাওয়া। কেউ কেউ হয়তো জিজ্ঞেস করবে, মন ভাল হলো তো? তাতেই তো মনটা ভাল হয়ে যায়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
অনেক দিন পর :party:
পড়ে মনে হলো, ঠিক যতটুকু লেখা দরকার ততটুকুই লিখেছেন। এক শব্দও কম বা বেশি নয়।
চমৎকার আপা।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
খুব উপাদেয় কথা। পড়ে ভাল লাগলো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
হুম! সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের লিখা।
বুঝতে পারছি, তখনো আমি সিসিবি-তে অনিয়মিত হয়ে ছিলাম।
এটা মিস করাটাও ঠিক হয় নাই!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.