দোযখের রাস্তা

– আসসালামু আলাইকুম ভাই
– ওয়ালাইকুম

এই নিয়ে ভার্সিটির ট্রেন থেকে নামার পর ৫ মিনিটে প্রায় ২০বার সালামের উওর দিলাম । এত উওর দেওয়া কষ্ট হলেও আমি কিন্তু ব্যাপারটা খুব উপভোগ করি । অনেকটা নতুন টাকার গন্ধ নেওয়ার মত , ক্ষমতার গন্ধ । কে আর জানত মা বাবার ছোট ছেলে আমি মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের এত দাপট আর ক্ষমতা হবে । একটা ছাএ সংগঠনের ভার্সিটি শাখার সেক্রেটারি হওয়াতে পাহাড় ঘেড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার দাপট কিন্তু কম না । আমাকে দেখলে পোলাপাইন হাত থেকে সিগ্রেট ফেলে দেয় , জুটিরা ছিটকে আলদা হয়ে যায় আর প্রতিপক্ষ দিন দুপুরে নিজেদের কাটা হাত পা এর দুঃস্বপ্ন দেখে । কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে আমার জানি কি হইছে ।

আমার রাজনীতি শুধু দুনিয়াবি না সাথে দ্বীন , দুনিয়া , আখিরাত সব আছে একবারে কমপ্লিট প্যাকেজ । তাই আমার সব কাজ করলে হয় না সব কিছু নিয়ে চিন্তা করা সাজে না । কিন্তু গত কয়েক দিন যাবত আমার জানি কি হইছে ।

আমার আসলে কি হইছে ? আমি নিজেও জানি না , খালি জানি আমার সব চিন্তা এখন কেমন জানি আওলায়া যায় । এটা ঠিক না এটা উচিত হচ্ছে না কিন্ত একটু পর পর আমার চিন্তা গুলা আওলায়া কেমন জানি একদিকে চলে যায় । ঐদিন দলের ভরা মজলিসে বয়ান দেবার সময় চিন্তা গুলা আবার কেমন জানি আওলায়া গেল , নেতারা বলল আফজাল তোমার শরীর মনে হয় ভাল নাই , যাও বাড়ি যাও । কি লজ্জার কথা আমার বয়ান শুনে কত পোলাপাইন দলে আসছে তার ঠিক নাই আর সেই আমার কিনা আজ এই অবস্থা ।

ভার্সিটিতে ফাস্ট ইয়ারে বশির ভাই বয়ান দেবার সময় বলছিল – বুঝলা আফজাল , মেয়ে জাতি হল দোযেখের রাস্তা ভার্সিটিতে এই কথা আরও সত্য ।দেইখ এই ফান্দে আবার ফাইসো না । আমি বলছিলাম কি যে বলেন বশির ভাই আমি এই লাইনে নাই । তখন কি আর জানতাম ? শালা মাইয়া জাতটাই আসলে দোযেখের রাস্তা ।

ছোটকালে মা বলছিল শয়তান নাকি মুমিনরে ঘায়েল করার জন্য নানা রূপে আসে আমার কাছে আসছে মেয়ে হয়ে আরো ভয়ংকর শালা আসছে মালাউনের মেয়ে হয়ে । কেও জানলে আমার কি হবে এই চিন্তায় শালা ঠিক করে ঘুম আসে না , পার্টি জানলে শালা লাশ ফেলে দিবে । আল্লাহ কেন যে তুমি এই মালাউন টারে এত রূপ দিস কে জানে এখন তুমিই তোমার এই মুমিন বান্দারে বাঁচাও ।

আসলে আমার সমস্যা এই মালাউন মেয়েটারে নিয়ে আরো ভাল করে বললে আরতি কে নিয়ে । গত কয়েক দিন আগে শালা কি একটা নারী বিষয়ক মিছিল ছিল এই বেদায়িতি মিছিল বন্ধ করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে ভয়তো পায় না উল্টা আমাদের দিকে তেড়ে আসে । একটু পর আমরা সব যখন তালেবের দোকানের সামনে চা খাচ্ছি তখন দেখি আমার সামনে এসে বলে,
– কি ব্যাপার
– আমিও বলি কি ব্যাপার
– আমাদের মিছিলটা ভাঙ্গলেন কেন
– আমি বলি আমি এসব বিষয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলি না
– মেয়েটা বলে আপনারা মানুষ না জানয়ার
এর উওরে আমি শুধু হাসি । কিন্তু সত্য বলতে কি সেই দিন থেকে আমার জানি কি হইছে সব চিন্তা শুধু আওলায়া যায় । হাসবেন না একদম হাসবেন না, সত্যি বলছি এর পর থেকে আমি সব জায়গায় খালি ঐ মেয়েকে দেখি । শালা সব শয়তানের কারসাজি ।

যেই আমি কোন দিন কোন বেগানা মেয়ের দিকে ভাল করে তাকাই নাই সেই আমি কিনা এই মেয়ের ভার্সিটিতে নানা কীর্তিকলাপ লক্ষ করতে লাগলাম । এভাবে কিভাবে কিভাবে যেন জেনে গেলাম মেয়ের নাম আরতি , পড়ে থার্ড ইয়ারে , শহরে থাকে আসে ট্রেনে এরকম আরো নানা কিছু । এমন কি আরতি যে নাসিরাবাদে থাকে এটাও জেনে গেলাম । শয়তানের ক্ষপ্পরে পড়লে মানুষ যে আরো কত কিছু করে আল্লাই জানে ।

বশির ভাই একবার এক বয়ানে বলছিল আল্লাহ নাকি কাফের নাছারাদের বিদ্যা বুদ্ধি বেশি দিবেন এই মেয়েরে দেখলে যে কেও এই কথা মাইনা নিবে । সমস্যা খালি যে এইটা তাও না , আরো আছে । মেয়ে আবার নাকি ছাএ ইউনিয়ন করে । কি সমস্যা বলেন দেখি খালি মালাউন হইলেও কথা ছিল আবার পুরা নাস্তিক কমিউনিস্ট । ঐদিন দেখি মামার ঝুপড়ি দোকান গুলার সামনে দাড়ায়া জুনিয়র পোলাপাইনদের কি সব নারী অধিকার বুঝাইতেছে । আকবর এইসব দেইখা বলে আফজাল ভাই এইসব জুনিয়র পোলাপাইন গুলারে দুই তিনটা চড় থাপ্পড় মাইরা ভাগায়া দিই তাইলে এই কমিউনিস্টদের ভূত মাথা থেকে ফার্স্ট ইয়ারেই চলে যাবে । কিন্ত আপনাদের আগেই বলছি আমার জানি কি হইছে , কেন জানি আমার সেই দিন মেয়েটার মুখ থেকে এইসব কথা শুনে খারাপ লাগছিল না । আমি তাই আকবর কে বললাম আরে ভার্সিটিতে আর কয়টা কমিউনিস্ট আছে , থাক মারা মারি কইরা গ্যাঞ্জাম বাড়ানোর দরকার নাই , চল যাই গা ।

ঐদিন লাকি প্লাজার সামনের মোড়ে দাড়িয়ে আছি রাত ৮টার দিকে যাব হালিশহর । হঠাত দেখি আরতি বাসে উঠছে এটা দেখে আমার মনে হল এত রাতে মেয়েটা একা একা বাসায় যাবে যদি বিপদ আপদ কিছু একটা হয় । এটা ভাবতে ভাবতে হঠাত দেখি আমিও একই বাসে দাড়ায় আছি । কি বিপদ আমি যাব হালিশহর এই বাস যাবে জিইসিতে পুরা উলটা রাস্তা , কেমনে কি বলেন দেখি । বাসে উইঠাও মাথা লুকায়ে রাখতে হইল যদি দেইখা ফেলায় তবে কেমনে হবে । আসলেই মেয়েরা দোযখের রাস্তা , ভুলাই ভালাইয়া পোলাপাইনদের যে কত কি করায় আল্লাই জানে । আর আমারে তো ধরছে এক মালাউন । হায় আল্লাহ শয়তান ধোকায় ফেলাইয়া আমারে দিয়া আর যে কত কি করাবে তুমিই ভাল জান

এভাবে আস্তে আস্তে সময় চলে যাচ্ছিল আর আমার মাথা আরো আওলায়া যেতে লাগল । শয়তানের কাজ , কি বলেন ? আমি এই সাধারণ মানুষ তারে কি করে ঠেকাই । নাইলে আল্লার খাটি বান্দা এই আমি আফজাল কি করে এই মেয়েরে দেখতে নাস্তিক কমিনিউস্ট গুলার মিটিঙ এর পিছনে দাড়ায়ে থাকি । বশির ভাই একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন – কি ব্যাপার আফজাল তুমি নাকি এখন ঐ ইউনিয়ন এর পোলাপাইন গুলার মিটিঙ এর আশে পাশে ঘুরা ঘুরি কর । আমি বলি না ভাই কি যে বলেন , আসলে আমি ভাইবা দেখলাম ওদের যুক্তিতে হারাইতে হইলে ওরা কি বলে তা জানতে হবে তাইতো ওদের মিটিঙ এ কি বলে তা শুনার চেষ্টা করি , এর বেশি কিছু না । এইটা শুনে বশির ভাই খুশি হয় , বলে আর দেখ কয়েক জন আমারে আইসা বলে তুমি নাকি ঐ পার্টিতে যোগ দিবা । লোকজন আসলেই বদ , শুধু শুধু তোমার নামে কথা লাগায় । আরে আমিতো বলি আমাদের পার্টি তোমার মত কর্মী গত দশ বছরে এই ভার্সিটিতে পায় নায় । যাক এই নাইলে তোমার বুদ্ধি , চালায় যাও কেও কিছু বললে আমার কথা বলবা । সব কথা শুনে আমি মনে মনে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলি , যাক এইবার এর মত বেঁচে গেছি কিন্তু কয়বার যে বাঁচব আল্লয় জানে ।

কিন্তু এরমাঝে একটা নতুন ঘটনা ঘটল , নতুন হওয়া হলের কি নাম হবে এই নিয়ে এন্টি পার্টি গুলা একজ়োট হল । শালারা দেখি আস্তে আস্তে শক্ত আন্দলোন দাড় করায়ে ফেলতে লাগল , ঢাকা থেকে নির্দেশ আসল হিট করতে হবে । ঐদিন বৃষ্টি হচ্ছিল ঠিক হল আজকেই হিট করতে হবে । কারণ আজকে শহর থেকে পোলাপাইন বেশি আসে নায় ওরাই ওদের মেইন পাওয়ার তাই যা করার আজকেই করতে হবে । বেশি কিছু না শুধু লিডার গুলারে ধরে ধরে হাত পা ভেঙ্গে ভেঙ্গে সাইজ করতে হবে । সব সময় এর মত হিট পার্টিকে লিড দিব আমি । তাই কারে কারে বেশি বেশি সাইজ করতে হবে এই কথা শুনার সময় দেখি আরতির নামও আছে । আমার মাথা এবার আবার আওলায়া গেল , হাত পা কাঁপতে লাগল । আমি বলি কি ব্যাপার মেয়ে মানুষকেও হিট করতে হবে নাকি । শুনে বশির ভাই বলে , শালী মেয়ে হলেও তেজ বেশি তারপর মালাউন । বেশি না হাত পা এ দুই একটা বারি মারবা , ভাঙ্গতে পারলে ভাল নাইলেও সমস্যা নায় । সবাই বুঝবে আমরা দোষ করলে মেয়েদের ও ছাড়ি না । তবে খেয়াল রাখবা মেয়েটারে পিটানোর সময় জানি কেও ছবি না তোলে তাইলে আবার এইটা জাতীয় ইস্যু হইয়া যাবে ।আমি বলি ঠিক আছে কিন্তু বিকাল এর আগে করা যাবে না । সবাই বলে এত দেরী করার পিছনে যুক্তি কি ? আমি বলি সকাল সকাল মারলে সাংবাদিকরা আইসা ভিড় করবে , আজাইড়া ঝামেলা । এছাড়া ওদের পোলাপাইন গুলা আবার আসতে পারবে না , বিকেলে ডাউন ট্রেন নাই তারপর পোলাপাইন বাসে কইরা সন্ধ্যার সময় টাকা খরচ করে ঝামেলায় আসবে না । আর তাইলে রাতে হলে হলে সাইজ দিতেও সুবিধা হবে
সবাই বলে সাবাশ এই না হলে আফজাল ভাইয়ের বুদ্ধি । বশির ভাই বলে তোমাদের বলছিলাম এই ছেলে একটা জিনিয়াস , পার্টির অনেক কাজে লাগবে ।

আমি মিটিঙ থেকে বের হয়ে সোজা হাটা দিলাম ঝুপড়ি দোকান গুলার দিকে । এখন একটা বিশ তাইলে ঐ খানে যাইতে দশ মিনিট লাগবে । গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে হোক কিন্তু তারাতারি ঐ খানে পৌছান চাই আমার । আমি জানি আরতি এই সময় প্রতিদিন ঐ দোকানে থাকে ওকে ওখানে গেলেই পাওয়া যাবে । বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দোকানের সামনে যাওয়ার পর মনে হইল হায় হায় আমি একি করতাছি । শয়তান আমারে দিয়া এক মালাউন কে বাঁচাই নিয়ে যাইতেছে । কিন্তু আবার মাথার ভিতর কে যেন চিল্লায়া উঠল শাল তুই ঠিক করতাছস । ওরে না বাঁচাইলে তোকে তো একটা মেয়েকে মারতে হবে আর আল্লার কালামের কোথাও বলা নাই যে মেয়েদের এভাবে মারা যায় । তাইলে তুইতো আর শয়তানের কাজ করতাছস না আল্লার কাজই করতাছস , আর কে জানে মেয়েটারে বাঁচাইলে ঐ মেয়ে তোর লাইনে আসতে পারে তোর ধর্মেও আসতে পারে । শেষ কথাটায় আমার বুকের বল যেন দশ গুণ বেড়ে গেল । আমি দেখি বৃষ্টির মধ্যে দোকানে তেমন কোন লোক নায় তবে আরতি আছে । আমি ওর দিকে হাটা দিলাম ।

আরতির সামনে গিয়ে আমি বললাম ভাল আছেন তো । ও বলল কি ব্যাপার আপনি এখানে কি করেন । আমি বলি তোমার সাথে কথা আছে , আমার সাথে একটু আস । কিন্তু শালা মেয়েটার তেজ কি বলে কিনা আপনার মত লোকের সাথে আবার কথা কি । আমি মনে মনে বলি হায়রে বোকা মেয়ে বাচাইতে আসলাম আমি আর তুই কিনা আমারে অপমান করিস । মেয়ে জাতির বুদ্ধি আর কোন দিন বাড়ল না । আমি ওকে বলি প্লীজ আমার কথা শুনুন, আজকে বিকেলে আপনাকে আমরা মারার প্ল্যান করছি , বাচতে হলে আজকে বিকেলে দুইটায় যে ট্রেন আছে ঐ টায় আপনি শহরে চলে যাবেন । বোকা মেয়ে বলে কিনা ওর সাথীদের ছাড়া যাবে না , আরে আপনি বাচলে বাপের নাম । আমি এইবার বুদ্ধি করে বলে আমাদের প্ল্যানে শুধু আপনি আর আসগর আছে কিন্ত আজগর তো আজকে আসে নায় আমি জানি । তাইলে খালি আপনিই আছেন । এইবার মেয়ে মনে হয় একটু ভড়কায় গেল , বলে ঠিক আছে চলেন । এই সময় তুমুল বৃষ্টি শুরূ হল , সুবিধায় হইল এই সময় স্টেশনে কেও আর আমাদের দেখবে না । আর এভাবে কারও সাথে দেখা হওয়া ছাড়াই আমরা পৌছে গেলাম ।
এর পরের গল্প খুবই ছোট , বৃষ্টির মাঝখানে সবাই আজকে লেট করলেও ট্রেন লেট করল না । আরতি যাবার সময় মনের মাঝে কে যেন বলে উঠল , এইবার , এইবার হয়ত মেয়ে তোমাকে কিছু বলবে । কিন্তু যাবার সময় মেয়ে খালি বলে কিনা থ্যাঙ্কস । আমার বুকের মাঝখানে যে বল আসছিল তা হঠাত কেমন জানি দশ হাত নিচে নেমে গেল । মনের মাঝখানে অন্য কে যেন বলে উঠল – হায়রে , শয়তান তোরে দিয়া কত কি যে করাইয়া নিল টেরও পাইলিনা ।এই সময় আমার মোবাইল বেজে উঠল , আমি ফোন রিসিভ করে বললাম তোরা সব রেডি কর আমি মালাউন গুলারে দোযখে পাঠাইতে আসতাছি ।

নিবিড়
nibir110@hotmail.com

৫৩ টি মন্তব্য : “দোযখের রাস্তা”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ঐ ব্যাটা, তোর সমস্যা কি??? 🙁
    তুই শুধু জুনিয়রদের না, অনেক কোমলমতি সিনিয়রদেরও মেয়েদের ব্যাপারে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছিস.. :-B

    এই পোলাডার ব্যান চাই.. 😡


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. রহমান (৯২-৯৮)

    রাশেদ, একটু ভিন্ন ধাচের এই লেখাটা ভাল লেগেছে :thumbup: ।

    ৫ম প্যারায় "শালা" শব্দটা বেশি ব্যবহার করে ফেলেছ বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে। ফিনিশিং টা যেন শেষ হইয়াও হইলনা শেষ...টাইপ। এরপর ছাত্র নেতা আফজাল কি করবে, দোযখের রাস্তায় হাটবে নাকি বেহেস্তেই থাকবে জানতে ইচ্ছে করছে 😀

    জবাব দিন
  3. তানভীর (৯৪-০০)

    রাশেদ, গল্পটা আবারও কমন পড়ে গেল। সচলে তো কমেন্ট দেয়া সম্ভব ছিলনা, তাই এখানেই বলছি,
    খুব, খুব ভাল হয়েছে। তোমার লেখার রীতিমত ভক্ত হয়ে গেলাম।
    পাঁচ তারা।

    জবাব দিন
  4. তৌফিক

    সাবাস রাশেদ। গল্পটা ভালো লাগছে। 🙂

    কামরুল ভাইয়ের আগের কমেন্ট পড়ে মনে হইল আগেই কোথাও প্রকাশিত। যাই লিখ না কেন, সিসিবিতে পোস্টাইয়া দিও। আমাদের তো আর অন্য ব্লগে প্রকাশ করা নিয়া কোন নিষেধাজ্ঞা নাই।

    অপেক্ষায় রইলাম।

    জবাব দিন
  5. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    দোস্ত তুই দেখি আরেকটা মুহিব। দারুন কল্পনা শক্তি।

    গল্পটা যদি সিনেমা হতো- আর আমি যদি সেই সিনেমা বানাতাম, তাহলে কালো একটা মেয়েকে আরতি চরিত্র দিতাম। শুভ মহরতের নায়িকার মতো। প্যান্ট-শার্ট পড়তো, সিগ্রেট টানতো।

    জবাব দিন
    • নারে তোরে দিয়া কিছু হবে না :-B তুই মুহিবের সাথে আমার তুলানা করলি :shy: যেই ছেলে জঙ্গল থেকে গুলশানের মত কাহিনি লেখতে পারে আমি তার ধারে কাছেও যাইতে পারব না । মুহিবের সমস্যা হিমু ভাইয়ের মত কাহিনি আর শেষ করে না । আমি ওরে সচলে প্রতিবার খালি গুলশানের কাহিনি মনে করায়া দিই কিন্তু পোলা খালি পিছলায়া যায় । তবে ওর মত বর্ণনা শক্তি আমাদের বয়সী ছেলেদের মাঝে খুব কম পাওয়া যাবে ।
      না শুভ মহরত ছিনেমা আমার দেখা হয় নাই ।

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।