প্রতিদিনই সূর্য ওঠে, পূর্বে;
অস্তমিত হয় দিগন্তে।
সকালে ডেকে ওঠে একটি কুকুর
আড়মোড়া ভেঙ্গে, স্বাগত জানায়
প্রতিটি নতুন দিনকে-নরকে।
বুমেরাং
শওকত (৭৯-৮৫, বরিশাল), এর দুটো লাইন তখন থেকেই তুখোড় এক বুমেরাং এর মতো বোধের বাতাস কেটে ফিরছিলো।
নীচে আরো দুটো লাইন জুড়ে (ছুড়ে) দিলে কেমন হয় —
আমি লিখলাম সম্ভাবনা
তুমি পড়লে সম্ভব না।
তুমি বললে বন্ধু
আমি শুনলাম বন্ধ।
রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যান চাই…..আমি আমার ব্যান চাই……
১) অনেকদিন ধরেই নিজেরে ফাটাফাটি ক্রিকেটার ভাবে ইন্ডিয়ার রাহুল দ্রাবিড়। আর, ওরই বা কি দোষ…বেচারা তো আসলেই অতীব ভালো ক্রিকেট খেলে।
টেকনিকে প্রবলেম নেই…টাইমিংটাও ঠিক আছে…ভালো রানও আসতাছে ব্যাটে…সবই ঠিক!!!!!!!!!!!
তাহলে তারপরেও আমি কেন ওর ব্যান চাই?????????????????//
আমি ওর ব্যান চাই…এই কারণে…যে,
যেদিন রাহুল দ্রাবিড় ভালো খেলে…, সেদিন ওর দলের আরেকজন খুবই ভালো খেলে।
যেদিন বেচারা বেশী ভালো খেলে…, সেদিন ওর দলের আরেকজন অসাধারণ খেলে!!!
দুধ কাহিনী, খাঁটি vs পাউডার
যতদূর মনে পরে, আম্মার সঙ্গে প্রথম দ্বন্দ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি দুধ খাওয়া নিয়ে। তিনি আমাকে পেল্লায় সাইজের একটা কাঁসার মগে করে প্রায় এক পোয়া দুধ সামনে রেখে খান্ডারনীর মত থাকিয়ে থাকতেন, যতক্ষন পর্যন্ত তা শেষ না হবে। এমন কি বিকালে খেলতে যাওয়ার মত নিস্পাপ চাহিদার সংগে “দুধ খেয়ে তারপর যাও” এর মত কঠিন শাস্তি জুড়ে দিতেন।
ছোট বেলায় অক্ষরিক অর্থেই ওজনে কম ছিলাম।
বিস্তারিত»স্টেরিওগ্রাম ১
আমাদের এখানে প্রতিবছর একইরকম ভাবে মনবুশো স্কলারশীপ নিয়ে কয়েকজন আসে। আমরা সবাই একই জায়গায় ভাষা শিখি একই রকম পথ পাড়ি দেই। এবং আমাদের মধ্যে প্রচুর ক্যাডেট। সেই হিসেবে এখানে আমাদের সবার মাঝে ক্যাডেট কলেজের মত একটা ট্রেন্ড চালু আছে। প্রতিবছর নতুনরা আসলে আমরা ওদের গিয়ে রিসিভ করি ওদের ভাল মন্দ দেখার চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক সময় ওদের অনেক জ্বালাই। আমার এই পোষ্টের ব্যাপারটা সেটা নিয়ে না।
বিস্তারিত»ডায়লগ (ভার্সন মির্জাপুর) – ২
জিহাদের পোস্ট দেখে অণুপ্রাণিত পোস্ট। কাউকে হেয় করা বা লোক হাসানো নয় জাস্ট আমাদের কলেজের অমর ডায়লগগুলো স্ম্বতির পাতা থেকে ব্লগের খাতায় নিয়ে আসার চেষ্টা।
ডায়লগ সমাচার লিখতে বসে ক্যাডেট কলেজের কত শত ডায়লগ মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই ডায়লগ গুলোর মর্ম শুধু লেখায় তুলে ধরাটা বেশ কঠিন কাজ। এই লেখা ফ্লপ হবার তীব্র সম্ভাবনা জেনেও সিসিবির গুমোট ভাব দূরকরণের স্বার্থে লিখলাম। উল্লেখ্য ঘটনায় একটু উত্তেজনা আনয়নে কিঞ্চিত কল্পনার সংস্রব ঘটানো হয়েছে।
বিস্তারিত»ব্যক্তিগত রুপকথা : ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’ – (শেষ পর্ব)
[রূপকথার তো কোন শেষ নাই…তাই এই ব্যক্তিগত রূপকথাটাও শেষ করবোনা ভাবসিলাম…তবু একটা বিশেষ উপলক্ষ্যে তাড়াহুড়া করে লিখে ফেললাম…এবারো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে :shy: ]
– “সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ মনে হয়, পন্ড মনে হয়,
সব চিন্তা- প্রার্থনার সকল সময়
শূণ্য মনে হয়,
শূণ্য মনে হয়”-
অবারিত ঐশ্বর্য্য নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে সন্ধ্যা নামে…’ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলা চিল’
বিস্তারিত»দার্জিলিং জমজমাট – ০১
সেন্টমার্টিন থেকে চলে আসার পর মনটা কেমন অবসাদগ্রস্ত হয়ে ছিলো। এতো আনন্দ ফুর্তির হঠাৎ পরিসমাপ্তি খুবই বেদনাদায়ক। তাই চলে আসার পর থেকেই মনে মনে ফন্দি আঁটতে শুরু করি যে আবার কোথায় যাওয়া যায়। ভাবলাম সমুদ্রতো দেখা হলো, বাকি রইলো পর্বতশৃংগ। বাকি রইলো হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্গা। নামটা মনে হতেই এক অজানা রোমাঞ্চ অনুভব করলাম। যে করেই হউক হিমালয়কে কাছ থেকে একবার দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। অন্তত পশ্চিমে আসার আগে হিমালয় আমাক দেখতেই হবে।
বিস্তারিত»সিসিবিরে তুই ঠিক হ, মনরে তুই ঠিক হ
১।
মোটামুটি দূর সম্পর্কের চাচাতো বোন আমার প্রেমে পড়ে গেল। আমি তখন ক্লাস টেনে, ছুটিতে ঘাড় টেনে শহরে, গ্রামে ঘু্রি। ভাইয়া আমার কলেজের ঠিকানা চায়, কারন কে একজন চেয়েছে। ঠিকানা দিয়েছি বলে মায়ের আবার খুব রাগ। কারন আমার মা গ্রামে বেড়াতে গেলে সেই বোন নাকি মাকে চা বানিয়ে খাওয়ায়, এটা সেটা কাজ করে দেয়। ক্যাসেট আর ডাইরী তুলে দিয়েছিল আমার মায়ের হাতে সরল বিশ্বাসে,
ব্যাচেলর কর ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা
১.
যারা বিয়ে করেননি বা করবেন না বলে ঠিক করেছেন এটা তাদের জন্য খবর। আপনারা এখন বেশ সুখেই আছেন। যদি জন্মাতেন ইতালির মুসেলিনির যুগে কিংবা তারও আগে ১৮২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে তাহলে বিয়ে না করার শাস্তি পেতে হতো। আর এটা অর্থনৈতিক শাস্তি। সেসময় আপনাকে দিতে হতো বিয়ে না করার কর। এই করের নাম ‘ব্যাচেলর ট্যাক্স’।
ইতালির ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপ্রধান বেনিটো মুসেলিনি (১৮৮৩-১৯৪৫) এই কর আরোপ করতেন।
আমার উপাসনা ?
আমি নাস্তিক নই। অর্থাৎ আমি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করি। তবে এই বিশ্বাস এর কারণ কোন হেদায়েতের বাণী বা গ্রন্থ বা কোন অলৌকিক ঘটনা নয়। তাই প্রচলিত ধর্মমতে আমি ধার্মিক নই। আমি সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্যে। আর এই কৃতজ্ঞতার উৎস হচ্ছে মানুষ হিসাবে আমার জন্ম। আমি বিবর্তনের অন্য কোন শ্রেণীতে বা সভ্যতার কোন প্রাথমিক পর্যায়েও জন্মগ্রহন করতে পারতাম। কিন্তু তা না হয়ে আমি এই সময়ের একজন মানুষ হিসাবে পৃথিবীতে অবস্থান করছি।
বিস্তারিত»ভোরের একটু আগে

রাত শেষ হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। আকাশের দিকে তাকালে এখনও সময়টা আন্দাজ করা যায় না। আমি উঠে পড়ি। এপাশ ওপাশ অনেকক্ষণ তো হলো! বিছানাবালিশ ধীরে ধীরে উষ্ণ মনে হচ্ছে। আর কতোক্ষণ এভাবে গড়াগড়ি করা যায়?
আমি উঠে পড়ি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি কিছু পরিষ্কার হয় না। তাও কী মনে করে তাকিয়েই থাকলাম। হালকা কুঁজো হয়ে বসলাম। আমি সবসময় এভাবে বসি। ছোটবেলায় নানী রেগে যেত,
বউ কথা কও
আজীজ সাহেবকে দেখে কখনও মনে হয় না তিনি পশ্চিম পাকিস্তানী। ততটা লম্বাও নন; ফর্সাও নন। যখন বাংলায় কথা বলেন, তখন তো সন্দেহের কিয়দংশও অবশিষ্ট রাখেন না। পুলিশের চাকরী নিয়ে সেই দেশভাগের আগ থেকে আব্দুল আজিজ ঢাকায়। এখন ‘৪৭। এতেই কিনা তিনি রীতিমত বাংলায় কথা বলেন! সহকর্মীরা তার এ গুণ দেখে ভেবে পান না, তার প্রমোশন না হয়ে থাকে কি করে?
কিন্তু আজীজ সাহেব জানেন,
ঘড়ি
নিচের গান টা খেয়াল করুন;
ঘড়ি দেখতে যদি হয় বাসনা চইলা যাও গুরুর কাছে,
যেই ঘড়ি তৈয়ার করে ভাই লুকায় ঘড়ির ভেতরে,
মেকার যদি হইতাম আমি,ঘড়ির জুইল পাল্টাইতাম,
জ্ঞান নয়ন খুলিয়া যাইত,দেখতে পাইতাম চোখের সামনে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে।।
একটা চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া জনম ভইরা চলতে আছে।।
হত্যাকাণ্ডের পর
তখন কি জানতাম
আহ্লাদে দরোজা ভেজাতে গিয়ে
একটা টিকটিকি কাতরাচ্ছে
ভীষণ থেঁতলে গিয়ে?
বেচারা টিকটিকি
শরীর ভরা তার অ্যানিমিয়া নাকি?