সিসিবি থেকে নয় সিসিবিতে হারিয়ে যেতে চাই

কম্পিউটারে আমার জীবন শুরু এক্সটি মেশিন/২৮৬ বেজড মেশিন দিয়ে। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডস্টার, কোয়াট্রো-প্রো, হারভার্ড গ্রাফিক্স ইত্যাদি ছিল আমার কাছে সপ্তাশ্চর্যের মত। উইন্ডোজ ৩.১ দেখার পর থেকেই নিজেকে আউটডেটেড ভাবতে শুরু করেছিলাম। এরপরের উইন্ডোজ ৯৫, এম ই, ৯৮, এক্সপি ইত্যাদির সাথে কোনমতে ধুঁকে ধুঁকে জীবন পার করেছি। ভিসতায় যেতে সাহসে কুলাতে পারিনি এখনও।

ইন্টারনেটের সাথে কবে প্রথম পরিচয় হয়েছে মনে পড়ে না। হয়তো ৯২-৯৩ সালের দিকে হবে। আমার ক্লাসমেট মুহাইমিনের বাসায় যেয়ে চাতক পাখির মত ওর কম্পিউটারের দিকে চেয়ে থাকতাম, কখন সুযোগ মেলে একটু ব্রাউজ করার। তখন স্বপ্ন ছিল কবে একটা ইন্টারনেট কানেকশন হবে, আর এই মজার দুনিয়ায় বিচরণ করে বেড়াব ইচ্ছামত।

সাধ বা ইচ্ছার মৃত্যু হয়। সময়ের সাথে আমারও অনেক ইচ্ছার মৃত্যু হলেও ইন্টারনেট আসক্তির মৃত্যুটা হয়নি। একজন মডারেট গোছের ওয়েব সারফার হিসাবে ইন্টারনেটের জ্ঞানের জগৎ থেকে অনেক কিছুর স্বাদ আস্বাদন করেছি। পেয়েছি অনেক জটিল প্রশ্নের সমাধান। একটা সময় ছিল যখন আমি মোটামুটি সব ধরনের ফোরামের সদস্য ছিলাম। কিন্তু যখন ব্লগের দুনিয়ায় প্রবেশ করলাম তখন নিজেকে আসলেও বেমানান ভাবতে শুরু করলাম। হয়তো এই জগৎটা আমার জন্য নয়। আর তাছাড়া, একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম যে, প্রতিটি ব্লগই শুরুতে সুস্থ থাকে। পারস্পরিক সম্মানবোধ, মূল্যায়ন ইত্যাদি করা হয় বেশ ভালভাবে। আর এরপর তা বদলে যেতে থাকে। শুরু হয় রাজনীতি, ধর্ম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রথমে মতবিরোধ আর পরে রীতিমত কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি, অন্যের সম্মানহানী, গালাগালি ইত্যাদি। বেশ কয়েকটি ব্লগেই এমন কিছু ভাষা ব্যবহার করা হয়, যা আমরা একেবারে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ক্লাসমেটদের মধ্যেও উচ্চারণ করি না। স্বীকার করতে আপত্তি নেই, অনেক ভাল কিছুও জনপ্রিয় ব্লগগুলোতে পাওয়া যায়। কিন্তু গন্ধ নেবার জন্য আবর্জনার স্তূপে ফুটে থাকা ফুলের চেয়ে একটা সুন্দর বাগানের ফুলই কি বেশি নিরাপদ না? তাই ভাবলাম, ভালই হল। ব্লগের জগতে হারিয়ে না যাবার একটা জুতসই কারণ তো পাওয়া গেল।

আমার ভুল ভাঙল যেদিন আমি সি সি বি এর খোঁজ পেলাম। সি সি বি এর পরিবেশ, লেখকদের লেখার ধার আর নির্মল রসবোধ আমাকে পেয়ে বসল। এই প্রথম বাংলায় কোন কিছু লিখতে উৎসাহ বোধ করলাম। লিখলামও। অবাক হলাম যে, আমার সাবস্ট্যান্ডার্ড লেখার মধ্যেও কমেণ্ট পড়ল। একটা দুটা না, বেশ কিছু। আমি লজ্জায় ‘পিরা’ গেলাম।

সি সি বি এর প্রশংসা করতে আমার একটু অসুবিধা হয়। কারণটা সিম্পল। সি সি বি এর প্রায় প্রত্যেকেই স্টার লেখক। আর এদের প্রশংসা করবার ভাষা আমার জানা নেই। কোন একটা কমেণ্টে আমি লিখেছিলাম, যে এই তরুণ লেখকদের সমকক্ষ হতে আমার আরেকটা জীবন লাগবে। আরেকবার জন্মাতে হবে।

কিন্তু সম্প্রতি সি সি বি এর ভাবগতিক আমার ভাল লাগেনি। আমরা এমন কিছু কেন লিখব যেখানে অনেক বেশি মতবিরোধ, অনেক বেশি বিতর্ক হবে, যা ক্রমেই পরিণত হবে অন্য কিছুতে।

ধর্ম কিংবা রাজনীতির মত স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে না লিখলেই কি নয়? ধর্ম কিংবা রাজনীতি নিয়ে যখন ‘ফ্র্যান্ক এন্ড ক্যাণ্ডিড এক্সচেন্জ অফ ভিউজ’ আমরা শুরু করি তার কোন সুস্থ পরিসমাপ্তি হয়না – আজ পর্যন্ত আমি অন্ততঃ দেখিনি। আস্তিকতা কিংবা নাস্তিকতা প্রিচ করার এজেন্ডা নিশ্চয়ই সি সি বি এর সৃষ্টিকর্তাদের বা এর উদ্যোক্তাদের মাথায় ছিল না। আমি বিশ্বাস করি এখনও নেই। আমি তাই মনে করি, সূক্ষ্ণ অথবা স্থূল, কোনভাবেই আমাদের লেখায় যেন এই দুটা বিষয় না নিয়ে আসে। হাজারো বিভক্তির এই দেশে আমরা চাই না আমাদের এই প্রিয় ব্লগটি সিসিবি(লাল), সিসিবি(হলুদ), সিসিবি(বাম), সিসিবি(ডান), সিসিবি(আ) অথবা সিসিবি(না) ইত্যাদি ভাগে ভাগ হয়ে যাক।

লেখার বিষয়বস্তু নির্বাচনে আমরা যদি আরও একটু সচেতন হই, তাহলে হয়তো আর কখনও একটা পোস্ট ক্লিক করতে সংকোচ বোধ করতে হবে না। নির্দ্বিধায় গড়গড় করে পড়ে যাওয়া যাবে যে কোন পোস্ট। ঠিক আগের মত।

৪,৩১৫ বার দেখা হয়েছে

৬০ টি মন্তব্য : “সিসিবি থেকে নয় সিসিবিতে হারিয়ে যেতে চাই”

      • জুলহাস (৮৮-৯৪)

        আইচ্ছা...ভাইস্যার...ব্যাপারটা তো দারুণ!! 😉 😉

        সিসিবি(সা)...(সানাভাইয়ের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(শও)...(শওকত ভাইয়ের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(এডি)...(এডিসন ভাইয়ের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(ইউ)...(ইউসুফ ভাইয়ের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(ফ)...(ফয়েজ ভাইয়ের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(জুল)...(আমার লোকেরা কই রে!!)
        (চামে আমি পর্যন্ত আইসা থামলাম!!!)

        অথবা...

        সিসিবি(লাল)...(লাল হাউজের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(নীল)...(নীল হাউজের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(সবুজ)...(সবুজ হাউজের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(হলুদ)...(হলুদ হাউজের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(সাদা)...(সরল মনের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(রঙ্গীন)...(রঙ্গীন মনের লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(কালো)...(হতাশাবাদী লোকেরা হাত তোলো!!)
        সিসিবি(বর্ণহীন)...(সাদাকালো লোকেরা হাত তোলো!!)

        বাকীগুলা দিলাম না......বরং হাজারখানেক :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: দেই!!!

        লেখাটা মনের মইধ্যে লাগছে বস!!!!!!


        Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

        জবাব দিন
  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)
    সিসিবি থেকে নয় সিসিবিতে হারিয়ে যেতে চাই

    :boss: :boss: :boss: :salute: :salute: :salute:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)
    হাজারো বিভক্তির এই দেশে আমরা চাই না আমাদের এই প্রিয় ব্লগটি সিসিবি(লাল), সিসিবি(হলুদ), সিসিবি(বাম), সিসিবি(ডান), সিসিবি(আ) অথবা সিসিবি(না) ইত্যাদি ভাগে ভাগ হয়ে যাক।

    মনের কথা :thumbup: :hatsoff: :salute:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  3. রকিবুল ইসলাম (৯৯-০৫)
    হাজারো বিভক্তির এই দেশে আমরা চাই না আমাদের এই প্রিয় ব্লগটি সিসিবি(লাল), সিসিবি(হলুদ), সিসিবি(বাম), সিসিবি(ডান), সিসিবি(আ) অথবা সিসিবি(না) ইত্যাদি ভাগে ভাগ হয়ে যাক

    :hatsoff:

    জবাব দিন
  4. জিহাদ (৯৯-০৫)

    কন্কি!

    আমি ইন্টারনেট জিনিসটা নিজের চোখে দেখসি ২০০৫ এর সেপ্টেমবরে।এর আগ পর্যন্ত মনে মনে কত চিন্তা করসি যে একটা ওয়েব পেজ দেখতে আসলে ঠিক কিরকম হইতে পারে। :dreamy:

    সেই প্রথম দেখাতে যে মুগ্ধতার শুরু আজ পর্যন্ত সেইটা বাড়তেই আছে।

    পোস্টের সাথে একমত। :thumbup:


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  5. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
    হাজারো বিভক্তির এই দেশে আমরা চাই না আমাদের এই প্রিয় ব্লগটি সিসিবি(লাল), সিসিবি(হলুদ), সিসিবি(বাম), সিসিবি(ডান), সিসিবি(আ) অথবা সিসিবি(না) ইত্যাদি ভাগে ভাগ হয়ে যাক।

    সিসিবি এভাবে বিভক্ত হয়ে যাক সেটা অবশ্যই চাই না। সিসিবি এক রঙা থাকুক, কিন্তু মানুষগুলো যেন আবার এক রঙা না হয়ে পড়ে। বৈচিত্র্যই মানব সভ্যতাকে মহিমান্বিত করে।
    একেক মানুষের একেক রং আর একেক মত। আমি চাই সিসিবি-তে সব রং বা সব মতেরই প্রতিফলন ঘটুক। যদি এভাবে বিষয় নির্বাচন নিয়ে ভাবতে হয় তাহলে সিসিবি মত এবং যুক্তি প্রকাশের জায়গা না হয়ে, হয়ে পড়বে কেবলই আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশের জায়গা।

    আবেগ-অনুভূতির পাশাপাশি মতামত-যুক্তিও প্রকাশিত হোক সেটাই চাই। তবে প্রচারের জন্য না লিখে নিজেকে প্রকাশের জন্যই সেটা লেখা উচিত। আর কূটতর্ক এড়িয়ে সহনশীলতার চর্চা করা উচিত। এটাই আমার মত। আমাদের মটো হোক:

    প্রচার নয় প্রকাশ

    জবাব দিন
  6. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    কম্পিউটার এডিকশন খুব খারাপ 🙁 তার উপ্রে যদি সারাদিন এর উপ্রেই রুটি রুজি নির্ভরশীল হয়। 🙁
    সিসিবি এডিকশন আরো খারাপ, তার উপ্রে যদি সেকেন্ডে সেকেন্ডে রিফ্রেশ দিয়া নতুন কমেন্ট/লেখার খোজ করার মত এডিকশন হয় তাইলেতো :(( :((

    তারপরেও এইটা চলছে এবং চলবে 😀

    সিসিবি থেকে নয় সিসিবিতে হারিয়ে যেতে চাই

    ইউসুফ ভাই :salute:

    তবে সিসিবি (হলুদ) এ অবশ্য আমার আপত্তি নাই 😀 লাবলু ভাই এবং শফি ভাই আমারে বাচাইয়েন :-B ;))


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  7. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    বস, বেয়াদবি না নিলে দুইটা কথা কই-
    এখন পর্যন্ত আমার মনে হয় নি কোন পোস্টের বিষয়বস্তুর কারণে ব্লগে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে...যা কিছু হয়েছে তার মূল কারণ উপস্থাপনা! খুব নেতিবাচক জিনিস যেমন উপস্থাপনার কারণে প্রাণবন্ত হতে পারে, তেমনি অনেক ইতিবাচক ব্যাপারও হতে পারে বিরক্তিকর...

    যারা ধর্ম পালন করেন এবং যারা করেন না, তাদের দুই পক্ষের মনোভাব একই রকম-তারা মনে করেন অন্য দলের মনে কালিমা পড়ে যাবার কারণে সহজ সত্যটা উপলব্ধি করতে পারছে না...

    কাচ পরিষ্কার করার সময় কিন্তু নরম উপকরণ ব্যবহার করতে হয়, শক্ত বা ধারাল কিছু ব্যবহার করলে কাচ তো পরিষ্কার হয়ই না...বরং দাগ পড়ে তা আরো ঘোলাটে হয়ে যায়। আমরা যদি অন্যের মনের কালিমা দূর করতে চাই, সেক্ষেত্রে আমাদের কথা-বার্তা, যুক্তি-তর্ক, উপমা, শব্দের ব্যবহার এমন হতে হবে যাতে কারো মনে (মন তো কাচের চেয়েও স্পর্শকাতর, ঠিক কিনা?) আঘাত না লাগে...সিসিবিতে কেউ আমাদের কথায় আঘাত পাক তা নিশ্চয়ই আমরা চাই না...কেননা যাই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত কিন্তু এখানে আমরা একে অন্যের বড় বা ছোট ভাই/বোন কিংবা বন্ধু...তাই না?

    (সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত... :-B )


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  8. জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

    ধন্যবাদ ইউসুফ ভাই আপনার এই অনুপ্রেরণাদায়ক পোস্টের জন্য। আপনার এই পোস্ট আমারে দিয়ে একটি পোস্ট লিখিয়ে নিচ্ছে, যেটা আমি আশা করি আজকেই আপ করতে পারবো, এবং যেই পোস্ট হবে একটি মূল্যহীন হালকা কৌতুক-মস্করার পোস্ট, মর্মার্থগতভাবে যা হবে আমার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যে আমি ব্যক্তিগতভাবে সিসিবির সাথেই আছি এবং ছেড়ে যাবোনা আন্ডার এনি সারকামস্টেন্স। আমি এটা করবো এই কারণে যে, আমি মনে করছি নিজের কোন দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আমি যদি সিসিবিকে হুমকি দেই "আমার দাবী না মানলে আমি এই ব্লগ ছেড়ে চলে যাব"- আমার এই ব্ল্যাকমেইল আমারে প্রমান করবে একজন অসৎ ও স্বার্থপর ইন্টেলেকচ্যুয়ল এবং মরাল ভ্যাকিউয়ম হিসেবে।

    জবাব দিন
    • মরতুজা (৯১-৯৭)

      ভাই জুবায়ের অর্ণবঃ

      তোমার বক্তব্যের ধরন খুবই আপত্তিজনক। নিজের কথা বলে অন্যকে খোঁচা দেয়া সিসিবির সংস্কৃতি নয়।

      সিসিবিকে হুমকি দেই “আমার দাবী না মানলে আমি এই ব্লগ ছেড়ে চলে যাব”- আমার এই ব্ল্যাকমেইল আমারে প্রমান করবে একজন অসৎ ও স্বার্থপর ইন্টেলেকচ্যুয়ল এবং মরাল ভ্যাকিউয়ম হিসেবে।

      উপরোক্ত বক্তব্য দিয়ে তুমি যে নিজের কথা না বলে অন্য কাউকে বোঝাতে চেয়েছ তা বুঝতে খুব বেশি জ্ঞানী হতে হয় না।

      আমার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যে আমি ব্যক্তিগতভাবে সিসিবির সাথেই আছি এবং ছেড়ে যাবোনা আন্ডার এনি সারকামস্টেন্স।

      সবসময় নিজেকে নিয়ে ভাবলে কি চলে? অন্যরা যাতে চলে না যায় সেই চিন্তাটা আগে কাজে ও কর্মে প্রমাণ করতে হবে। তোমাকে ছেড়ে যেতে কে বলেছে? ব্যাপারটা অনেকটা "দেশকে আগে কিছু দাও পরে নিজে ভাব কি পেলে" টাইপের। শুধু নিজের কথা না ভেবে আগে সিসিবির কথা, এর সদস্যদের কথা ভাব।

      আর দয়া করে ইংরেজি শব্দের বাংলা দেবার চেস্টা কর। অর্ধেক বাংলা আর সামান্য ইংরেজি লেখার মাঝে কোন গর্ব নেই।

      জবাব দিন
      • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
        তোমার বক্তব্যের ধরন খুবই আপত্তিজনক। নিজের কথা বলে অন্যকে খোঁচা দেয়া সিসিবির সংস্কৃতি নয়।

        আপনার কথা মেনে নিচ্ছি, আপনি আমাকে আরও যা গঞ্জনা করেছেন সব মেনে নিচ্ছি। আমার এই প্রতিমন্তব্য আপনার মন্তব্যর প্রতিবাদ নয়, বরং আমি আরও একটি জিনিষ যোগ করতে চাচ্ছি যা হলো, একজন ক্যাডেটের সিসিবিতে যোগদান বস্তুত একটি চুক্তি, যার একপক্ষ পুরণ করছে একটি শর্ত ক্যাডেট হয়ে, অপরপক্ষ পুরণ করছে আরেকটি শর্ত ক্যাডেটদের মতামত চালাচালির একটি জায়গা দিয়ে। ফলে এই মতৈক্যে আমরা বোধহয় পৌছতে পারি যে, সিসিবিতে যোগদান করার পর নিজেই নিজের সেই যোগদান তুলে নেওয়া একজন ক্যাডেটের পক্ষে অনেকটা নিজেকে তুলে নেয়া ক্যাডেটশিপের সেই অনন্ত প্রবাহ থেকে যেটা কিনা শুধুই স্থানঃ কয়েক একর, কালঃ ৬ বছরে সীমাবদ্ধ না। আমাদের সিসিবির হাজারটা সমস্যা থাকতে পারে, সিসিবিতো আমাদের দলগত সম্মিলন ছাড়া কিছু না, সেখানে আমরা আমাদের সমস্যা নিজেদের মাঝে আলোচোনা করে সমাধানে পৌছতে পারি গনতান্ত্রিক ভাবেই। কিন্তু, জনমতের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, বাকী সাড়ে সাতশো জনের মুখে কাদা ছিটিয়ে সম্পুর্ণ স্বৈরাচারীভাবে যে বলতে পারে আমি আমার পথে চললাম- কি কারণে তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল হবো? ছেলেপেলে নিজেরা ব্লগ অ্যাড্জুটেন্টকে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে "আমার অ্যাকাউন্টটি মুছে দিলে বাধিত থাকব"- কতটা ঔধ্যত্বপূর্ণ এই আচার? আমার মত হচ্ছে আমি যুক্তিসঙ্গত কারণে প্রমানসাপেক্ষে যার প্রতি শ্রদ্ধাশীল তার প্রতি তুমি নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলী তুলবা কোন যুক্তি না দেখিয়েই এটা আমি বিনা প্রতিবাদে মেনে নেব না।আপনার প্রতিও আমার আহ্বান, আমাকে আপনি যত খুশী গঞ্জনা করুণ, কিন্তু দয়া করে তাদের প্রতি সহানুভুতিশীল হবেন না যারা সিসিবি ছেড়ে চলে গেছে বা চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং এখনও এর জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেনি। আশা করি আমার অবস্থান বুঝে থাকবেন।

        জবাব দিন
        • কামরুলতপু (৯৬-০২)

          জুবায়ের,
          আমি কখনো ঝামেলা লাগা পোষ্টে ঢুকিনা। ঠিক কি কারণে সিসিবির পরিস্থিতি এইরকম হয়েছে আমি জানিনা। তবে ভাল লাগে নি। তোমরা মাত্র কিছুদিন হয়েছ এসেছ তোমাদের কাছে সিসিবি কতটা আপন আমি জানিনা তবে যারা আমরা প্রথম থেকে ছোট্ট সিসিবি কে বড় হতে দেখেছি তাদের ফিলিংস বুঝতে পারবা আশা করি। তোমার কমেন্ট, পোষ্ট অনেক ঝাঁঝালো। ঠিক , ভুল বলছি না লেখার বিষয় কিংবা তোমার মতামতের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আপাতত তুমি এইসব বন্ধ কর।

          কিন্তু, জনমতের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, বাকী সাড়ে সাতশো জনের মুখে কাদা ছিটিয়ে সম্পুর্ণ স্বৈরাচারীভাবে যে বলতে পারে আমি আমার পথে চললাম- কি কারণে তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল হবো?

          শ্রদ্ধাশীল হবা কারণ এইটা ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। শুধু ক্যাডেটদের আমরা এখানে আনতে চাইনি সাথে ক্যাডেটদের সমস্ত অনুশাসন তুলে আনতে চেয়েছি। শুধু আমার সিনিয়র সে জন্য আমি কারো মতামত মেনে নিব তা নয় কিন্তু সিনিয়র ভাইয়ার সাথে আমার মতের না মিললে যদি দেখি অবস্থা ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তাহলে কার ভুল সেটা দেখার আগেই আমি থেমে যাব এবং সেই বিষয় নিয়ে আর কথা বলব না।
          তুমি এখন যেটা করছ সেটা হচ্ছে ইগো মেইনটেইন। আলোচনা বন্ধ হয়েছে তবুও তুমি পরবর্তী কার্যক্রম, লেখা কমেন্ট, থাকা চলে যাওয়া এইগুলা নিয়ে ইগো গত ভাবে উপরে উঠার চেষ্টা করছ। ভাল লাগছে না।
          তুমি আমার ছোট ভাইদের ব্যাচের। সেই ব্যাচের সবাইকে আমি নিজের ছোটভাই মনে করি সিলেটের যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবে। তাই ছোটভাই মনে করে তোমাকে বললাম। যদি একমত না হও তাহলে প্রতিউত্তরের প্রয়োজন নেই। আমি ডিবেট করতে পারিনা।

          জবাব দিন
  9. মরতুজা (৯১-৯৭)

    ইউসুফ ভাইকে ধন্যবাদ অনবদ্য প্রকাশের জন্য। বেশ কয়েকদিন সিসিবিতে ছিলাম না। এখনও যে পুরোপুরি এসেছি তা বলতে পারছি। তবে এসে সিসিবির পরিবেশ দেখে বেশ আহত হয়েছি।

    সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবেশ যে কিছুটা পরিবর্তন হবে সেটাই স্বাভাবিক। বাবা, মা আর দুই সন্তানের পরিবার আর যৌথ পরিবারের মাঝে যেমন পার্থক্য থাকে এখানেও সেটাই হওয়া স্বাভাবিক। তবে আমাদের আরও অনেক সহনশীল হওয়া উচিৎ। মত প্রকাশের যেমন অধিকার থাকা উচিৎ, ঠিক তেমনি মত প্রকাশে অনেক যত্নশীল হওয়া উচিৎ।

    পুরানো কথা আবার বলি "Great power comes with great responsibility" (সঠিক বাংলা কি হবে জানিনা তাই ইংরেজিতে দিলাম, ক্ষমাপ্রার্থি). ঠিক একইভাবে মত প্রকাশের ক্ষেত্রেও মাত্রাজ্ঞান থাকা উচিৎ।

    জবাব দিন
    • আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

      এই কথাটা আমার খুবই ফেবারিটঃ WITH GREAT POWER, COMES GREAT RESPONSIBILITY... স্পাইডারম্যান ছবিতে শুনেছিলাম। বাংলা এক্সপ্রেশনটা কি হবে... মমম... একটু ভাইবা নেই দারান... "ক্ষমতাবৃদ্ধির সাথে সাথে দ্বায়িত্বও বেড়ে যায়।" ... চলে?
      ফাটাফাটি বাংলা ব্যবহার করতে পারলাম না বলে সরি। আমি বাংলাতে কাচা ছিলাম; বাংলা ২য় পত্রে পাশের জনের টা দেখে দেখে পাশ করিছিলাম।

      জবাব দিন
      • হোসেন (৯৯-০৫)

        আমিও মনে করি কোন বিষয়কে ট্যাবু করে রাখা উচিত হবে না। কারন অনেক বিতর্ক হলেও সিসিবিতে অনেক শক্তিশালী কিছু লেখা আছে যা নিয়ে গর্ব করা যায়। আর পারস্পরিক এইরকম মিথস্ক্রীয়ার মাধ্যমেই তো চিন্তার নতুন দুয়ার খুলবে।

        ক্যাডেট রা তুলনামূলক ভাবে বিরুদ্ধ মতের প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল। তাই সহনশীলতার চর্চাই প্রধান উপায় মনে হচ্ছে।


        ------------------------------------------------------------------
        কামলা খেটে যাই

        জবাব দিন
  10. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    ইউসুফ ভাই,
    আপনি খুব সুন্দর বলেছেন।
    সাধারণভাবে ব্লগিং এর কথা যদি বলেন,
    তো আমিও বলবো: আমিও খুব একটা
    সাড়া পাইনা ঘুরে ঘুরে ব্লগিং করার।

    প্রথমত আমার কর্মব্যস্ততা;
    দ্বিতীয়ত দ্বিধা আর জড়তা, যে,
    ওরকম বৃহত্তর পরিবেশে
    কোলাহল হইচই করে কি-ই বা হবে।
    সিসিবিতে এসে অতশত ভাবতে হয়না,
    খুব সচ্ছন্দ বোধ করছি শুরু থেকেই।

    আমি কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে মনে করি
    আস্তিকতা বা নাস্তিকতা, ধর্ম বা দর্শন
    এমনি আরো সব বিষয়গুলো নিয়ে
    আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আলোচনা
    করতে চাইলে করুন না!
    মূল ব্যাপারটি হচ্ছে আমরা
    শিষ্টাচার এবং পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ
    রক্ষা করছি কি না।
    আলোচনা এবং তর্ক-বিতর্কের ক্ষেত্রটিকে
    যদি আমরা অনর্থ হতে পারে এই আশংকায়
    উন্মুক্ত না রাখি, তাহলে আমার মনে হয়
    আমরা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের
    সম্ভাবনাটিকেও রহিত করে ফেলবো।

    আমি লক্ষ্য করেছি,
    আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই
    মেধাবী এবং সংবেদনশীল মনের অধিকারী।
    অনেক কিছু শিখছি, জানছি কত সহজে।
    কত সহজে একে অপরের হৃদয়ের কাছে
    পৌঁছে গিয়েছি।
    আমার বিশ্বাস, সিসিবি ইতোমধ্যেই
    যে গতিশীলতায় পৌঁছেছে, সেটা খুব সহজে
    রুদ্ধ হবেনা।

    আপনার প্রাণবন্ত লেখার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।