স্মৃতিকথা- কাজলা দিদি

ঘূর্ণিঝড় ‘সি-ত্রাং’ এর প্রভাবে আজ সারাদিন ধরে ঝিরঝিরে ঝরা বৃষ্টির প্রকোপটা বিকেল থেকে যেন বেড়ে গেল। থেকে থেকে দমকা হাওয়াও বইতে শুরু করলো। বিকেল পাঁচটার দিকে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। বাসার কিছুটা সামনে কয়েকটা বড় বৃক্ষ রয়েছে। সেগুলোর দিকে আমি প্রায়ই তাকিয়ে থেকে পাখিদের আনাগোনা দেখি। ঐসব গাছে প্রচুর টিয়া পাখি বসে। ঘন সবুজ পাতার সাথে মিশে যাওয়া টিয়া পাখিদেরকে শনাক্ত করার চেষ্টা করে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করি।

বিস্তারিত»

আমার আবার বেঁচে উঠা

মে ২০২০
প্রেক্ষাপটঃ করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মহামারী চলমান। “Stay home” এর campaign চলছে। প্রতিদিনের রোজগারে বেঁচে থাকা মানুষের সাথে এটা প্রহসন। ধনীরা ঘরে বসে, আর গরীবরা প্রতিদিন গায়ে-গায়ে ঘেঁষে সামাজিক দূরত্বের বিপরীতে অন্ন যোগাচ্ছে। বেঁচে থাকার যুদ্ধে গরীবের শ্রম আর ঝুঁকির বিনিময়ে বেঁচে আছে ধনীরা। বেঁচে আছে অর্থনৈতিক কাঠামোর গালভরা সব পরিমাপক।

আমি ধনী সমাজে বন্দি। একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত আর পুঁজিবাদী সমাজের কাঠামোতে আমার দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত।

বিস্তারিত»

ছন্দজট

যানজটে প্রাণ যায়
জানে জট লাগে হায়
তেল সব জ্যামে খায়
নেয় না তো কেউ দায়

জট লাগে চাকাতে
রাজধানী ঢাকাতে
ক্ষোভে-রাগে ফুঁসে সব
হকাররা করে রব

এভাবেই চলছে
মনখানা মরছে
মুক্তি কবে হবে
এই ভেবে মরে সবে

মুক্তির দিন শেষ
চিন্তায় পাকে কেশ
কার কাছে করি পেশ
দেখবে কে এই দেশ

দেশ নিয়ে ভাবে যে
এই যুগে বোকা সে
সব ভাবা বাদ দে
লুটেপুটে খেয়ে লে!!

বিস্তারিত»

বালিশিরা রিসোর্টঃ শ্রীমঙ্গল এর ভ্রমণ কাহিনী

বেশ কিছুদিন যাবত ইচ্ছা হচ্ছিল সিলেট ঘুরতে যাওয়ার । কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল, যখন আমি ছুটি পেলাম তখন শুরু হলো মহা বন্যা।বন্যার্ত সিলেট এরকম সময়  আমার পর্যটক হিসেবে যাওয়াটা মোটেও শোভনীয় দেখাবে না। তারপর বন্যা শেষ হবার পর শুরু হল আমার জ্বর। ট্রেনের টিকেট কাটা ছিল। কিন্তু যেতে পারি নাই।

অবশেষে পরের সপ্তাহে ট্রেনের টিকেট কাটলাম তবে সিলেট না, শ্রীমঙ্গল ঘুরার জন্য। কারণ ইতিমধ্যে আমার ছুটি প্রায় শেষের পথে।

বিস্তারিত»

মিনতি

মা’বুদ,
তুমি জানো, আমি আজীবন
আমার এ কল্যাণময় জীবনের জন্য
তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ থেকেছি মনের মর্মমূলে।
এ জীবন ভেসে যেতে পারতো খড়কুটোর ন্যায়,
হারিয়ে যেতে পারতো দিগদিগন্তে অনায়াসে,
তোমার করুণায় প্রচণ্ড ঘূর্ণনের মাঝেও আমি
স্থৈত্য পেয়েছি, স্বস্তি ও শান্তি পেয়েছি,
ক্লান্তিতে ও শ্রান্তিতে বিশ্রাম ও ভরসা পেয়েছি,
অপ্রত্যাশিত সাফল্যে উজ্জ্বল ও বিহ্বল হয়েছি,
ক্ষণিকের তরে একটি ঠাঁই-ঠিকানাও পেয়েছি।

বিস্তারিত»

ক্যান্সার চিকিৎসায় সাফল্যের গল্প

ক্যান্সার, আমার মায়ের। ব্রেস্ট ক্যান্সার। নরম প্রকৃতির আম্মুর বয়স ৬৫, ডায়াবেটিস ২০০০ সাল থেকে। আমার নানা আর বড়খালা যথাক্রমে প্রস্টেট ও লিভার ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন। আম্মু মেজ। সেজ খালাও ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগী।

২০১৭ সালে, আমার মায়ের ক্যান্সারটা যখন ধরা পড়লো তখন আমি ঢাকাতে একটি বেসরকারী সংস্থাতে সবেমাত্র চাকুরি শুরু করেছি। বিয়ে করে বাসা নিলাম মিরপুর-৬ এ। গ্রাম থেকে বাবা-মা ঢাকাতে আমার বাসায় এলেন ডাক্তার দেখাতে।

বিস্তারিত»

প্যারেন্টিং নিয়ে আমার ভাবনাঃ অতীত ও বর্তমান

১।

প্যারেন্টিং অত্যন্ত কঠিন। সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম কাজের একটি। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে একটি বাচ্চাকে একটু একটু করে লালন-পালন করার মাধ্যমে কঠিন ও বিপদসংকুল পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়। ছোট বেলায় কথায় কথায় বড়রা বলত- ‘যেদিন বাবা-চাচা-মামা হবি, সেদিন ঠিকই বুঝবি!’ বাবা না হলেও বহুদিন হলো চাচা হয়েছি। সমবয়সীরা (অনেকে একাধিক বাচ্চার) বাবা-মা হয়ে গেছে। কিন্তু, আমি তো বুঝিই না,

বিস্তারিত»

সারায়েভো সাফারি (Sarajevo Safari)!

”মানুষের মত এত অমানুষ জানোয়ার এই পৃথিবীতে নেই!”
সতর্কীকরণঃ নিচের লেখাটি নিজ দায়িত্বে পড়বেন। দুর্বল মনের অধিকারী হলে না পড়াই ভালো।

—————————

আজ একটি ডকুমেন্টারির ব্যাপারে জানতে পারলাম। নাম ‘সারায়েভো সাফারি’ (Sarajevo Safari)। এ বছরের আল-জাজিরা বলকান ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মুক্তি পাবে। ডকুটির টেকনিক্যাল তথ্যঃ

Genre: feature documentary film
Duration: 75 min
Year: 2022
Screenplay: Miran Zupanič
Director: Miran Zupanič
Featuring: Stana Ćišić,

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু

প্রয়াত মানুষের কাছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা হয়ত পৌছায় না। তবুও একটা উপলক্ষ্য। শুভ জন্মদিন রক আইকন আইয়ুব বাচ্চু। আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসীব করুন।

বিস্তারিত»

নির্বাক হৃদয়ে, বিহ্বল চোখে শুভ্র সফেদ মেঘপুঞ্জের সখ্যে অতিবাহিত মনোমুগ্ধকর কিছু মুহূর্ত (ছবিব্লগ)

প্রায় চার মাসের মত সময় ধরে আমাদের প্রবাসী মেজো ছেলের বাসায় একটি চমৎকার অবকাশ কাটিয়ে আমরা সেদিন দেশে ফিরে আসলাম। কোথাও যাবার সময় যেমন মনে একটা আনন্দ থাকে, তার বিপরীতে ফিরে আসার সময় মনে অনুভূত হতে থাকে সাময়িক বিদায়ের একটা সূক্ষ্ম বেদনাবোধ। বিশেষ করে একেবারে শেষের সময়গুলোর স্মৃতি মনে ভাসতে থাকে। এবারে নবজাতক শিশুর কারণে বৌমা বিমানবন্দর পর্যন্ত আসতে পারেনি।

বিস্তারিত»

লাবকের কড়চা-২। পিকনিক বিভ্রাট

টেক্সাসের উঁচানো আঙ্গুলের মত আংশ, যাকে বলে প্যানহ্যান্ডেল অর্থাৎ কিনা কড়াই হাতা, তার ঠিক গোড়ায় ছোট্ট শহর লাবক। বাসিন্দা লাখ দুই, বড় কারবারের মধ্যে তুলো আর গবাদি ব্যাবসা। আমেরিকার প্রাচুর্যের প্রতীক যেসব বড় বড় ঝকমকে শহর যেমন নিউইয়র্ক শিকাগো লস এঞ্জেলেস লাস ভেগাস- এসবের সাথে মোটেই মেলানো যাবে না। বিশাল বিজন প্রান্তরের মাঝে হঠাৎ একফোঁটা আলোর ঝলকানি। এখানেই টেক্সাস টেক ইউনিভারসিটি, এর জন্যই এখানে যত প্রানের স্পন্দন।

বিস্তারিত»

আমার প্রেমের এক জোনাকি…

আমার প্রেমের এক জোনাকি…

তুমি এলে অবেলাতেও
জোনাক্ জ্বলে মাঝ দুপুরে,
অমানিষা আইলা রাতেও
চাঁদ দেখা যায় পূণির্মাতে।
তোমার সাথে থাকলে আমি
পরিপূর্ণ বেঁচে থাকি,
মিথ্যা নামের ভণ্ডামীতে
যোজন যোজন দূরে থাকি।।
আমার প্রেমের এক জোনাকি…

আমি আছি ভিন্ন গ্রহে
তবু তোমার আপত্তি নেই,
শুধু তোমার একটাই চাওয়া
আবার যেন পালিয়ে না যাই।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৮ (যস্মিন দেশে যদাচার)

২৪ জুলাই ২০২২

আমার বর্তমান কর্মজীবনের নানান অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রায়ই লেখা হয় “শিক্ষকের ডায়রি” সিরিজটাতে। আমার আজকের এই লেখাটা আমার পূর্বের কর্মজীবন এবং কর্মস্থল বিষয়ক কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে।

আমার কর্মজীবনের শুরুটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই। আড়াই বছর নিজের ডিপার্টমেন্টেই বিভাগীয় প্রধানের অফিসিয়ালি এ্যাপয়েন্টেড খণ্ডকালীন সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। দারুন অভিজ্ঞতা। শিক্ষকদের বকা খেতে খেতে কাজ শেখা। আমার এযাবৎ কর্মজীবনের সবচেয়ে ভাল সময় ছিল সেটা।

বিস্তারিত»

বিক্ষিপ্ত চিন্তামালাঃ পর্ব-২ (বিবেচনাধীন বিষয়ে তথ্যের গোপনীয়তা)

২২শে জুলাই ২০২২

যে কোন সংবেদনশীল (সেন্সিটিভ) বিবেচনাধীন বিষয়ে তথ্যের প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তা, গনমাধ্যমের প্রচারনা এবং আমজনতার মুখে মুখে তার রটনা নিয়ে ভাবছিলাম। কিছু সমসাময়িক প্রিন্ট/নিউজ/সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক বিষয়কে আধার করেই চিন্তাগুলো বিক্ষিপ্তভাবে মাথায় ঘুরছিল।

এমন বিষয়ে/বিষয়গুলোতে আমার একান্ত চিন্তা/ভাবনা হলো, যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিবেচনাধীন বিষয় সম্পর্কিত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া অত্যাবশ্যক। এমনকি প্রয়োজনের স্বার্থে গনমাধ্যমের প্রকাশ্য প্রশ্নের জবাবে কিংবা পাব্লিক কোয়েশ্চেন-এর বিপরীতে “নো কমেন্টস”

বিস্তারিত»

ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে ….

তখন ১৯৯৪ সাল। দাপ্তরিক কাজে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় জেলায় যেতে হয়েছিল। পাবনায় যখন গেলাম, তখন করণীয় কাজটুকু সেরে ফেলার পর হাতে কিছুটা সময় রয়ে গেল। পাবনার ডাঃ ইসহাক একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন, তার নামে একটি সড়কেরও নামকরণ করা হয়েছে। তার ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল, তিনিও এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তাকে বললাম, পাবনা মানসিক হাসপাতালটি একবার দেখে যেতে চাই। মানসিক রোগীদের ব্যাপারে আমি আজীবন কৌতুহলী।

বিস্তারিত»