মোবাইল ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেটিংস

আমার পরিচিত মহলের কেউ যখন নিজে কিছু বাজিয়ে বা গেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন, আমি খুব মনোযোগ দিয়ে সেই ভিডিওটা/ভিডিওগুলো দেখি। এমনকি ইউটিউবের অপরিচিত মুখগুলোর এধরণের ভিডিওগুলোও আমি প্রায়ই দেখি; আমার ভাল লাগে। একজন মানুষ তার নিজের একান্ত ভাললাগার জায়গা থেকে কিছু একটা করছেন, এই ব্যাপারটাই আসলে আমাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। আর তাছাড়া, গানবাজনার প্রতি আমার প্যাশন তো আছেই।

তবে মোবাইল ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরার সেটিংস অপশন থেকে অনেকেই মিরর স্টাইলটা চেইঞ্জ করে নরমাল মোডে নেন না।

বিস্তারিত»

ব্যাবধান

ব্যাবধান
মো ও খা ও।

বহুদিন পর পাশাপাশি
গহিনে গাহন নিরবধি
ছিল দিন উচ্ছল প্রেমে
প্রবাহমান ভরাট নদী।

পাশে বসা শুধু বসা নয়
অনন্ত কালের যাত্রা রথ,
ধাবিত অসীম অন্তরীক্ষে
খোদিত স্মৃতি অমর পথ।

প্রহর খুঁজে ফিরে আপন
স্বকীয় বলয় চেনাজানা
আকুলি মনে ব্যাকুল কথা
বিভাজন দুপাড়ে দুজনা।

যতটুকু কথা সে কথা নয়
পুঞ্জিত মেঘমল্লার মর্মধ্বনি
সহস্র দিনান্তের শব্দ মালা
গ্রন্থিত অক্ষরে কাব্য খানি।

বিস্তারিত»

আমার রাংগামাটি

আমার রাঙ্গামাটি।

আমার প্রথম রাঙ্গামাটি দর্শন নব্বই দশকের শুরুতে তরুণ বয়সে। সেটা ইয়ার বন্ধুদের সাথে কোন আনন্দ ভ্রমণ বা পর্যটন উপলক্ষ্যে নয়। আর সে বয়সে পরিবার নিয়ে নিরিবিলি ছুটি কাটানোর মত পরিবারও হয়ে ওঠেনি।

আমি রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম একান্তই চাকরির সুবাদে, অর্থাৎ পেটের দায়ে।

সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরের কর্মকর্তা হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি অনিবার্য জেনেও প্রথম বদলিতে আপ্লুত হওয়ার কোন কারণ খুঁজে পাইনি।

বিস্তারিত»

এক নিশীথেই

আজকে আমার মনটা খারাপ,
মনটা খারাপ, মনটা খারাপ;
অকারণেই মনটা খারাপ!
কেন খারাপ, কেন খারাপ?
বলেছি তো, কারণ ছাড়া
অকারণেই মনটা খারাপ,
খারাপ গেল দিনটা আমার অদ্য!

তবু, মন খারাপে চিন্তা নেই,
নিদ্রা যাবো ভারী বুকেই,
পাহাড় এসে দাঁড়াবে পাশে,
ভোরের পাখি ডাকবে শাখে,
স্বপন এসে চুমিয়ে যাবে,
এক নিশীথেই বদলে যাবে
মন খারাপের পদ্য!

বিস্তারিত»

সেই বালুকাবেলায়

আমি একটা প্রার্থনার কথা বলতে চেয়েছিলাম;
মুখে বলার অভ্যেস নেই বলে লিখে রেখেছিলাম।
তুমি প্রতিদিনই সাগর সৈকতে আসো, জানতাম।
সেকথা জেনেই সেই বালুকাবেলায় লিখেছিলাম
গুপ্ত প্রার্থনাটি; চেনা সংকেতে, সেই সমুদ্রতটে।

তোমার নিঃশব্দ পায়ের আওয়াজ পাওয়ার আগেই,
উন্মত্ত জলরাশির তরঙ্গ এসে সেটা মুছে দিয়েছিল!

ঢাকা
১৯ অগাস্ট ২০২৩

বিস্তারিত»

৭ আগস্ট ২০২৩, সোমবার: সকালের রাস্তার জ্যামে বসে লেখা

গতকাল শেষ বেলা কিংবা আজকের প্রথম প্রহর থেকে ফেসবুক টাইমলাইনে আমার সাথে কানেক্টেড পরিচিত এবং স্বল্পপরিচিতদের বন্ধুদিবস উপলক্ষ্যে লেখা শুভকামনাগুলো দেখছি। ইদানিং কোন দিবস সম্পর্কে ভার্চুয়াল জগতে জানার পরে আমি আগে গুগল করে জানার চেষ্টা করি। এখন যেটা জানলাম, বিশ্ব বন্ধু দিবস হলো জুলাইয়ের ৩০ তারিখে। আবার সার্চ অপশনের কমন প্রশ্নগুলোর একটা পেলাম: বন্ধু দিবস কি ৩০শে জুলাই নাকি ৭ই আগস্ট? আবার আরেকটা এমন ছিল: বাংলাদেশে বন্ধু দিবস কবে?

বিস্তারিত»

মিথ্যে বন্ধুরা

তারা আমার মাথায় হাত রাখে
আমার গাল ও ভুরু বুলিয়ে দেয়
তারা বলে সময়ে সকল ব্যাথা সারে
আর সময়ে শপথ ফিকে করে দেয়।
আর তারা ছিল দয়ালু ও কোমল
যারা আমার কানে ফিসফিসাতো
এপ্রিলে যে হৃদয় ভাঙবে শোনো
মে মাসেই তা সেরে উঠবে জেনো।
ওহ্ কত হৃদয় সারার কথা জানে
তারা যে কত বয়স্ক আর জ্ঞানী!

বিস্তারিত»

কেমন করে পারো তুমি?

কেমন করে পারো তুমি?

আজকে দিনের এই অবেলায়
কত কিছু ঘটে গেলো,
ভাষায় প্রকাশ করতে গিয়ে
নেত্র খানি ঝাপসা হলো।

দিন তারিখের বালাই ছেড়ে
মূল্য কতো আসবে বলো,
প্রতিহিংসার দেয়াল ভেঙ্গে
সামনে এবার এগিয়ে চলো।
পাপ পূন্যের শ্যাওলা জমা
সম্পর্কের হিসাব তোলো।

আসল খানি বেঁচে দেয়া
হালজামানা চলে এলো,
সুদটা বুঝে নিতে এখন
বুক-কাঁপে-কি এলোমেলো?

বিস্তারিত»

আমার বাবার বাবা

আমার দাদু আলহাজ্ব ডা: শরিফউদ্দিন আহমেদ-এর সাথে আমার স্মৃতি অনেক। নাতি-নাত্নিদের সবাইকে তিনি অনেক ভালবাসতেন, সবাইকে ফিল করতেন, এবং সর্বোপরি এতবড় একটা যৌথ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য কিছু না কিছু সবসময়ই করে যেতেন। তবে কাউকে কোলে নিয়ে আদর করার মতন অভ্যাস তাঁর ছিল বলে আমার মনে পড়ে না; অন্ততঃ আমি তাঁর কোলে চড়েছি বলে মনে পড়ে না। অবশ্য তাঁর কথায়, বাচনভঙ্গিতে, আলোচনায়, পরামর্শে আমার প্রতি তাঁর অগাধ আবেগ আমি ঠিকই টের পেতাম;

বিস্তারিত»

ইচ্ছের পালক

ইচ্ছের পালক
ব্যান্ড: ফিলিংস (নগরবাউল)
কথাঃ বাপ্পী খান
সুর: মাহফুজ আনাম জেমস
অ্যালবাম: জেল থেকে বলছি
লেবেল: সারগাম

ইচ্ছের পালক দিয়ে লিখেছি নতুন ঠিকানা,
সেই পালক গুলো উড়ি দিলাম অজানায়
আহা! আহা!

শ্রাবনের বৃষ্টি কনায় মুছে যায় রাজপথ,
আকাশের কান্নাগুলো বড় অশ্রুময়,
আমি বসে আছি একা, নিঃসঙ্গতায়
আহা!আহা!

বিকেলের রৌদ্র-ছায়া কানে কানে বলে যায়
জীবনের স্বপ্নগুলো বড় গীতিময়
আমি হয়ে গেছি একা,

বিস্তারিত»

মনোক্ষুন্ন মন

মনোক্ষুন্ন মন

লজ্জা এখন হয়না লজ্জিত,
সব কিছু আজ অতি রঞ্জিত।
সত্য এখন আঁটকে গেছে ফাঁসে,
মিথ্যা এখন তুমুল প্রকাশ্যে।

সঠিক ভাষন পেটের মধ্যে পচে,
অসহায়ের দুঃখ নাহি ঘোচে।
হাসি এখন তাপদাহে ভাসে,
কান্না এখন চিৎকার করে হাসে।

শিয়ালের ঘরে মুরগি হচ্ছে জমা,
মহাকাল কি করবে মোদের ক্ষমা?
অসভ্যতা মিলছে অনায়াসে,

বিস্তারিত»

ফিক্সড! ক্যাশ এন্ড করাপশন ইন ক্রিকেট (২য় পর্ব)

বাজির সকল কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গোপনীয় এবং জটিল নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত। উদাহরণ হিসেবে তাদের কর্মস্থলের কথা বলা যায়। পুলিশের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য ভারতীয় বুকিরা সব সময় চরম বিলাসবহুল এবং ব্যতিক্রমধর্মী স্থান নির্ধারণ করে। কেউ প্রত্যন্ত গ্রামীণ পরিবেশে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে, আবার কেউ পুলিশকে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে একেবারে স্টেডিয়ামের পাশেই অফিস খুলে বসে। আবার অনেকে আছে যারা বিলাসবহুল ফাইভ স্টার হোটেলের টপ ফ্লোরে বসে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে,

বিস্তারিত»

ফিক্সড! ক্যাশ এন্ড করাপশন ইন ক্রিকেট

ক্রিকেট ছিল আমার প্রথম প্রেম। ক্রিকেটের কারণে যত সময়, মেধা ও শ্রম নষ্ট করেছি সেসব অর্থনীতি বিষয়ে ব্যয় করলে এত দিনে আমি হয়ত দু’টো নোবেল প্রাইজ জিততে পারতাম। কিন্তু ইদানিং সেই প্রেমে ভাটা পড়েছে। আসলে কিছুই নেই। এর প্রথম ও প্রধান কারণ আমাদের অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ন ক্রিকেট বোর্ড। এ রকম সুইসাইডাল বোর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না। তথাকথিত এই অভিভাবকের কারণে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আমি ভীত ও শঙ্কিত।

বিস্তারিত»

যে প্রজেক্টটি বদলে দিয়েছিল আধুনিক তুরস্কের শিক্ষা ব্যাবস্থার মোড়

Köy Enstitüsü (Village Institute), যে প্রজেক্টকে আজকের উন্নত তুর্কী শিক্ষা ব্যাবস্থার মেরুদন্ড বলে অভিহিত করেন অনেক শিক্ষাবিদ্গণেরা। 

সালটা ১৯২৬, তুর্কী প্রজাতন্ত্র গঠনের কেবল মাত্র তিন বছর হয়েছে, তখনই এক যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করে আধুনিক তুরস্কের জনক মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক এর গঠিত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়। প্রথমে এটি ছিলো কেবলই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়ার একটি প্রজেক্ট; পরে এটি বৃহদাকার ধারণ করে। এই প্রজেক্টটি মূলত মার্কিন দার্শনিক তথা শিক্ষাবিদ জন ডিউই এর “উপযোগবাদী শিক্ষা দর্শন” এর উপর ভিত্তি করে সাজানো।

বিস্তারিত»

পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তর-সর্বশেষ বধ্যভূমি।

বধ্যভূমির শব্দটির উচ্চারণ কেউ করলে প্রথমেই মাথায় চলে আসে রায়েরবাজার বদ্ধ ভূমির কথা। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করার পরেও স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে আরেকটি বদ্ধভূমি হবে তা কি কল্পনা করেছে কেউ? তাও আবার বিডিআর এর পিলখানা সদর দপ্তরে? ইউনিফর্ম পরিহিত নিরস্ত্র সামরিক কর্মকর্তাদের নিশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে? একাত্তরের স্বাধীনতার পর রায়বাজারের বদ্ধভূমিতে আমরা পেয়েছিলাম অসামরিক বুদ্ধিজীবীদের লাশ আর স্বাধীনতার পরে আমাদেরকে পিলখানার বধ্যভূমিতে পেতে হলো সামরিক পোশাক পরিহিত সামরিক কর্মকর্তাদের লাশ।

বিস্তারিত»