রংপুর ক্যাডেট কলেজের কলেজ বাসটা জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে যখন পার্ক করলো ক্যাডেটরা তখন ক্লাস শেষে ফলইন করে আছে লাঞ্চে যাবার জন্য।পার্কিং এ যাবার সময়ই ক্ষণিকের জন্য চোখে চোখ পড়লো নীল হাউজের জেপির সাথে( ফার্স্ট স্পেলের জেপিশীপ চলছিল)। সি সি আর এর ইলেভেন এর এক্সকারশন!
ঐ দিন থেকেই কবিরের মনে লাল-নীল প্রজাপতি উড়া শুরু করলো।সেই যে শুরু,এরপর আর ওকে পায় কে! কক্সবাজার,ইনানী কি টেকনাফ-সবখানে সে তার জেপি কেই দেখে।ক্লাস ইলেভেনের এক্সকারশন শেষ হয়।কবিরের মনের নীল হাউজের জেপি ভূত হয়ে চেপে বসে।লাজুক স্বভাবের কবির একে ওকে বলে খোঁজ করার চেস্টা করে।কিন্তু পেতে পেতে অপেক্ষা করতে হয় পরের ছুটি পর্যন্ত।অবশেষে খুঁজে পায় এনাকে!ক্লাসমেট ওরা।তাই অবশ্যই প্রথমে ফ্রেন্ডশীপ করতে হবে।এখন কবির দ্বারস্ত হয় ব্যাচের লাভগুরু আসিফের কাছে!
জল ও জোছনা
আকাশে জল এলে জোছনা হারিয়ে যায়
ধরণীর জলাধার বলে চাঁদনি আয় আয়!
জোছনার আলোয় ভাসে সাগরের বুক,
নাবিকের মনে ভাসে ফেলে আসা মুখ।
রূপোলী তরঙ্গ কাঁপে চন্দ্রালোকের মায়ায়,
কবি ও শিল্পী মগ্ন হয় কবিতায়, আঁকায়।
জল-জোছনা মিলে মিশে হয়ে একাকার,
রাতের পৃথিবীকে দেয় স্বর্গের বাহার!
ঢাকা
১৭ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
ভরত ভায়না – যশোর
ভাত সামনে নিয়ে মা আমার অপেক্ষা করছিলেন। তাই ঘরে ঢুকেই কোন রকমে নাকে-মুখে গুজে বাসা থেকে বের হলাম। পেছনে মা’র দরজা বন্ধ করার শব্দ কানে ভেসে এলো। সূর্য তখন মাথার উপর থেকে সরে খানিকটা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়তে শুরু করেছে। বাসার নিকটে হওয়ায় আর ভাতঘুম তাড়ানোর বলিষ্ট লক্ষ্যে পয়দলে চলে এলাম ‘মহসিন মোড়ে’। হাজী মুহাম্মদ মহসিন তার ইরানী পিতা হাজী ফয়জুল্লাহ ও মাতা জয়নব খানমের গর্ভে ১৭৩২ খ্রীঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় জম্মগ্রহণ করেন।
বিস্তারিত»বিনে সুতার মালা
বিনে সুতার মালা
নক্ষত্রখচিত ছায়াপথে
রেশমী জালের ন্যায়
অতিক্রান্ত হয় সময়
মাঝে কিছু বন্ধন রয়ে যায়।
কলমের কালির ফাঁদে
ধীরে ধীরে ধরা পড়ে
জোসনার নীলকান্তমনি
খুলে যায় আকাশের জানালা।
শব্দেরা রূপ নেয় কবিতায়
তোমার অলিন্দের গানের মুক্তো
মালা গাঁথে আমার নিলয়ের গভীরে
বছর যুগ বিভক্ত করে আমাদের
তবু প্রলম্বিত স্থাপত্যকৌশলে
বিজড়িত হয় শ্বাস প্রশ্বাস
আমাদের আত্মাযুগল।
বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধ যাত্রা ১৯৭১
বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধ যাত্রা আমি হঠাৎ করে লিখিনি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার আগ্রহ অনেকদিনের। ছোটবেলা থেকে হাতের কাছে যা পেয়েছি পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আস্ত একটা বই সম্ভবত ক্লাশ সেভেনে থাকতেই পড়ে ফেলেছিলাম। বইটির নাম মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস। লেখক মেজর সুবিদ আলী ভুঁইয়া। তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই ছিল হাতে গোনা। যা ছিল তাঁর বেশিরভাগই হয় রাজনীতিবিদ অথবা রাজনীতিমনষ্ক মানুষদের লেখা। এই বইটি ছিল তার ব্যতিক্রম।
বিস্তারিত»সিনিয়ার টাইগার্সের বিদ্রোহ
৩০ মার্চ সকাল আটটার আগে সিও’র অফিসের বারান্দায় অবিশ্রান্ত গোলাগুলির মধ্যে দাঁড়িয়ে লেফটেন্যনাট হাফিজ উদ্দিন আহমেদের মনে হল তিনি এক অসম যুদ্ধের নাগালে চলে এসেছেন । আগের দিন জগদীশপুর ক্যাম্পে, ব্রিগেড কমান্ড ভয়েসের প্রায় অসঙ্গত যে সমস্ত কথপকথন আচমকা তাঁর কানে এসে গিয়েছিল, হঠাত করে সেগুলি তাঁর কাছে পরিস্ফুট হতে শুরু করল। রাত বারোটার দিকে ইউনিটে ফিরে আসতে আসতে ইউনিটের চারিপাশে তিনি যে পরিখা কাটা দেখেছিলেন,
বিস্তারিত»টিটোর গপ্পোঃ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের স্মৃতি
আমার ছোটবেলায় দেখা অনেক কিছু এখন আর দেখি না। সামাজিক আচার, খাবারদাবার,উৎসব, গালগপ্পো এ রকম অনেক ব্যাপার স্যাপার মিলিয়ে যাচ্ছে। আমার বাচ্চাদের সাথে কথা বলেই বুঝতে পারি – এক সময় এসব কেউ বিশ্বাস করবে না। জীবন্ত ফসিল হবার দায় থেকে লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছি। শুরুটা কি দিয়ে করব?
ছোট বেলা থেকেই শুরু করি। আমি যে স্কুলে পড়া শুরু করি তার নাম- লোকমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সাতাশ বছর পরে – ছয়
নীলার জন্য ছয়টি গোলাপ।
ঠিক ছয়টি মাসই ছিলো আমাদের
দেখা-কথা-প্রেম-ভালবাসা।
একটা হলুদ গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস শুধু বন্ধুই ছিলাম।
একটা গোলাপী গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস বন্ধুর চেয়েও বেশী।
দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
যে দুই মাস প্রেম আচ্ছন্ন করে ছিলো।
বাকী দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
আমি নিশ্চিত ছিলাম ঐ দুই মাস
এটা কোন প্রেম নয়,
ব্যর্থ আমি
ক’দিন থেকেই মনটা খারাপ…ব্যর্থ আমি শুনে
ক’বার যেন ব্যর্থ আমি? দেখি তো আজ গুণে!!
বউ কেন রোজ বকে আমায় ব্যর্থতাকে নিয়ে…
দেখি তো আজ নিজের জীবন…পিছন ফিরে গিয়ে!!
……………………………….
আমি ছিলেম সরল-সোজা…ভীষণ বোকা-সোকা
অনেক লোকই সুযোগ বুঝে দিয়েছিল ধোঁকা।
ছোটবেলায় পাইনি কভূ…ভাল হওয়ার দাম
লাভের মাঝে…লাভ হয়েছে…“ব্যর্থ ছেলে” নাম।।
ইশকুলেতে পড়তে গিয়ে…মিশতে সবার সাথে
ভাল থাকার ফল পেয়েছি…সটান…হাতে নাতে।
বিক্ষিপ্ত ভাবনাঃ হক সাহেবের হালচাল
হক সাহেব কবিও নন, লেখকও নন, তবে একনিষ্ঠ সাহিত্যানুরাগী। জীবনে খুব যে বেশী সাহিত্য পড়েছেন তাও নয়; কিন্তু সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পকলার প্রতি তার একটা আকর্ষণ সেই ছেলেবেলা থেকেই ছিল। নিজে ভাল গাইতে না পারলেও ভাল লাগা গানের কলি সবসময় তার কন্ঠে আশ্রয় খুঁজতো। গলা যেমনই হোক, সময় সুযোগ পেলেই তিনি নিবিষ্ট মনে সেসব কলি মেলে ধরতেন, সুর মেলাতেন। বিশ্বের বড় বড় কবি লেখকদের সম্পর্কে তিনি কিছুটা ধারণা রাখতেন,
বিস্তারিত»ভোজ বিহার-কুমিল্লা
ময়নামতি সেনানিবাসের দক্ষিণ প্রান্তে কোটবাড়ি মিলিটারী পুলিশ চেক পোস্টের উত্তর দিকে ভোজ বিহার অবস্থিত। কোটবাড়ি মিলিটারী পুলিশ চেক পোস্ট দিয়ে সেনানিবাসে প্রবেশ করে আনুমানিক আধা কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলে হাতের বাম পাশে বাংলার প্রাচীন এই বৌদ্ধ বিহারের দেখা মিলবে। খননের ফলে এখানে ব্রোঞ্জনির্মিত একটি বজ্রসত্ত্ব মূর্তি পাওয়া গেছে। সাধারনতঃ বজ্রসত্ত্ব মূর্তি মহাযান মার্গের অনুসারীদের উপাস্য এবং তা বাঙলায় ১০ম শতাব্দীর আগে প্রচলিত ছিল না। কিন্তু মূর্তি বিশ্লেষনের পর অনেক বিশেষজ্ঞই ধারনা করেন যে,
বিস্তারিত»তাঁর শেষ কবিতা
রফিক নওশাদ স্যারকে খুব মিস করছি। ক্লাশ সেভেন থেকে তিনি ছিলেন অভিভাবকের মত। আমার শিক্ষক, আমার গুরু । কবি ছিলেন, টেলিভিসনে উপস্থাপনা করতেন। সে সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে ক্যাডেট কলেজে চলে এলেন। তাঁর পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি শরীরের চেয়ে তাঁর সাহস ছিল তিন গুন বেশি, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার আগে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন।
বিস্তারিত»উজ্জ্বল পিঙ্গল কৈশোর
যে দুরন্ত বালকটি আজ দাপিয়ে দাপিয়ে
বন্ধুদের সাথে পাড়াময় খেলে বেড়াচ্ছে,
নোংরা ডোবায়, নালায় অনায়াসে নেমে
দু’হাত ভরে উল্লাসে ডানকানা মাছ ধরছে,
হৈচৈ করে কর্দমাক্ত হয়ে বাড়ী ফিরছে,
হায়! সে মোটেও জানেনা- এর পর
কিশোর বয়সে এসে সে একা হয়ে যাবে!
বন্ধুরা যদিবা থাকে আশে পাশেই, তবুও-
সে একা হয়ে যাবে, একা রয়ে যাবে!
একা পথ চলতে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
তুষার
তুষার
সন্ধ্যায় সবুজ মাঠে হেঁটে এসেছি। রাতে তুষার পাত শুরু হয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখি পৃথিবী বদলে গেছে।
বিস্তারিত»
আরআইপি
রঞ্জন ক্লাবের বারে এসে বসেছে মিনিট দশেক হয়েছে। আজ আসার ইচ্ছেই ছিল না। অথচ আজ তার মনের যা অবস্থা, তাতে বারে বসে স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা না করে বরং পান করলেই ভালো লাগত। তার পরও রঞ্জন আসতে চায়নি। দুপুর থেকে মনের ভেতর কান্না ভর করেছে। দুবার কেঁদেওছে। বেশ জোরেই। লাভ হয়নি। ভেবেছে নকীবের বাসায় গিয়ে ওর বৌয়ের সঙ্গে দেখা করে আসবে। রীমা এখন কী করছে,
বিস্তারিত»