ডিজিটাল অঘটন

মনে আছে, কয়েক মাস আগে আমাদের ঢাকা শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকরা তাদের গাড়ি আর না চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন? গত ২৭ নভেম্বর থেকে তাদের অটোরিকশা আর রাস্তায় নামাবেন না বলে পূর্ববার্তা দিয়েছিলেন। তার অর্থ হচ্ছে, সাধারণ যাত্রীরা তাদের অফিস বা কর্মস্থলে যেতে এবং কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে আর অটোরিকশা চেপে যেতে পারবে না।

এমন ধর্মঘটের পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল। আমি তাদের দাবিগুলো খুব মন দিয়ে দেখেছিলাম।

বিস্তারিত»

দীর্ঘস্থায়ী হোক আমাদের গ্রন্থাগারগুলো

আমরা যখন স্কুলে পড়ছিলাম, সেটা প্রায় ৭০’র দশকের কথা। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময়, আমাদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান ছিল সেখানকার গ্রন্থাগার। জেনেছিলাম তখন সেখানে ৪০ হাজারেরও বেশি বই ছিল। ‘লাইব্রেরি ক্লাস’ বলে আমাদের একটি ক্লাসই ছিল– সেখানে অন্যান্য বই থেকে ক্লাসের পড়া আরও ভালো করে জানা ছিল উদ্দেশ্য। যখনই কোনও শিক্ষক অনুপস্থিত থাকতেন অথবা অসুস্থ্ থাকতেন, তার ক্লাসের বদলে আমাদের অন্য কোনও ক্লাস হতো না।

বিস্তারিত»

লতিকোট মুড়া – কুমিল্লা

কুমিল্লা-কোটবাড়ি-কালির বাজার রাস্তা ধরে কালির বাজারের দিকে যেতে থাকলে বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (BARD)’র প্রধান গেট অতিক্রম করে হাতের ডানে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের পূর্ব/ডান দিকের প্রাচীর সংলগ্ন স্থানে লোতিকোট মুড়ার অবস্থান। এটি মাঝারি আকারের একটি বৌদ্ধ বিহার। বিহারের পাশ্ববর্তী স্থানে বেশ কয়েকটি প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে। এই সবের মধ্যে ভোজ বিহার, রূপবান মুড়া ও ইটাখোলা মুড়া অন্যতম। প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক ২০০৩ খ্রীঃ বিহারটির খনন কাজ করা হয়।

বিস্তারিত»

রোহিঙ্গা ইস্যুঃ সংকট নাকি সম্ভাবনা?!

কক্সবাজারের ‘দর্শনীয়’ জিনিসের তালিকায় নতুন সংযোজন রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা পল্লী। বিশেষ করে উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এই ‘জিনিস’ প্রচুর পরিমাণে মিলবে। স্যুভনির পণ্য তালিকাতেও বেশি কিছু নতুন আইটেম যোগ হয়েছে। যেমন- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (UNHCR) ছাপ মারা কম্বল, তাঁবু, ডাল, কৌটা বা টিনজাত খাবার, এমনকি ত্রাণের তরল দুধও! শোনা গেছে রোহিঙ্গাদের অনেকেই দুধ পানে অভ্যস্ত নয়। প্রাপ্ত দুধ দিয়ে অনেককে হাত-মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে কাপড় ধুতেও (জ্বি,

বিস্তারিত»

রাধার প্রাণে কত ব্যাথা

“তুমি বুঝবে তখন নারীর বেদন
রাধার প্রাণে কত ব্যথা”

ইদানিং “ফেমিনিজম এবং কম্পারেটিভ লিটারেচার” নিয়ে কিছু একাডেমিক রিসার্চের কাজ করছি। মানুষের উপরে তার একাডেমিক চর্চার বেশ প্রভাব পড়ে। রিলেটেড যে কোন জিনিসই বেশ ভাবায়। আর মাথাটাও যেমন! চিন্তাগুলো ঘুরতেই থাকে, ঘুরতেই থাকে। এই যেমন, কিছুক্ষণ আগে আমার এক পুরোনো সিনিয়র ছাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা কবিতা শেয়ার করেছে। (আমি ইদানিং ছাত্র-ছাত্রী সকলকে নির্বিশেষে “ছাত্র” বলেই সম্বোধন করি,

বিস্তারিত»

ইটাখোলা মুড়া – কুমিল্লা

কুমিল্লা-কোটবাড়ি-কালির বাজার রাস্তা ধরে কালির বাজারের দিকে যেতে থাকলে বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (BARD)’র প্রধান গেট অতিক্রম করে হাতের ডানে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ দেখলেই থামুন। কলেজের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে একটি সরু রাস্তা উত্তরে এমনভাবে চলে গেছে যেন পাহাড়ে গিয়ে তা পথ হারিয়ে ফেলেছে। আপনি ঐ পথই ধরবেন, কিন্তু তার আগে উত্তরে আপনার দৃষ্টি প্রসারিত করুন। হ্যাঁ ইটের ভাটার মতো একটি স্থাপত্য দেখা যাচ্ছে নাহ!! সামনে ৫০ মিটার খানিক এগিয়ে চলুন,

বিস্তারিত»

~ শিকড় থেকে শিখর যাত্রার ইতিবৃত্ত ~

পনেরো থেকে আঠারো শতকে বিশ্ব জিডিপির ঊনত্রিশ শতাংশের উৎস ছিল মুঘল সম্রাজ্যের ভারতবর্ষ। সেই ভারতবর্ষের জিডিপির আটষট্টি শতাংশ জোগান দিত বাঙলা। মুঘল সম্রাজ্যের বানিজ্যিক রাজধানী, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী বৃহৎ এক শহর ঢাকাকে ঘিরে পূর্ব বাঙলা এমনই প্রণিধানযোগ্য ছিল প্রায় চারশো বছর ধরে।

ঊনিশ শতকে বৃটিশ শাসনাধীন হলো যখন তখনও বিশ্ব জিডিপির বাইশ শতাংশ জোগান দিতো ভারতবর্ষ। অথচ বৃটিশরা যখন ভারতবর্ষ ছেড়ে যায় তখন বিশ্ব জিডিপিতে তাদের ভাগ নেমে আসে দুই শতাংশেরও নীচে।

বিস্তারিত»

ছবি ব্লগঃ জীবনের বৈচিত্র ও বৈপরীত্য (Diversity and contrariety of life)

আজ প্রত্যুষে ফজরের নামায শেষে হাঁটতে বের হই। পথে জীবনের কিছু বৈচিত্র ও বৈপরীত্য চোখে পড়ে। সেলফোনের ক্যামেরায় সেগুলোর কিছু ছবি তুলে রাখি।
শেষের দুটো জোড়া শালিকের ছবি গুগল থেকে নেয়া, বাকীগুলো আমার আইফোন দিয়ে তোলা।

“ঝরা পাতা গো, আমি তোমারি দলে।
অনেক হাসি অনেক অশ্রুজলে
ফাগুন দিল বিদায়মন্ত্র
আমার হিয়াতলে॥”

Oh the fallen leaves,

বিস্তারিত»

একটি হ্যাটের আত্মকাহিনীঃ

আমার নাম হ্যাট। আমার নামটি খুবই ছোট হলেও আমার পরিচিতি বিশাল এবং ব্যাপক, আমার একটি প্রাচীন ঐতিহ্যও রয়েছে। আমি মানুষের শিরস্ত্রাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছি সে আজ থেকে নয়, সেই ব্রোঞ্জ যুগ থেকে। ইতিহাস ঘেঁটে আমার প্রথম পরিচয় হিসেবে জানা যায় যে খৃষ্টপূর্ব ৩৩০০ সালে অস্ট্রিয়া এবং ইটালীর মধ্যবর্তী এক পাহাড়ী অঞ্চলে মাথায় হ্যাট পরিহিত ওজি (Otzi) নামের এক লোককে বরফে হিমায়িত অবস্থায় পাওয়া যায়,

বিস্তারিত»

রূপবান মুড়া – কুমিল্লা

সে অনেক অনেক অনেক কাল আাগের কথা, বাপ-দাদাদের জম্মেরও মেলা আগে নিরাশপুর নামে যে এক দেশ ছিল, ঐ যে! যে দেশের রাজার নাম একাব্বর বাদশা। সে ছিল আটকুঁড়ে। আটকুঁড়ে বাদশার মুখ দেখলে রাজ্যের অমঙ্গল হয় তাই বাদশা স্বেচ্ছায় বনবাসে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রজা সকলের মঙ্গল কামনা করে যথা সময়ে বাদশা বনে নির্বাসিত হয়। একদিন গভীর বনের মধ্যে নিজের অজান্তেই, অনিচ্ছাকৃতভাবে বাদশা ধ্যানরত এক সাধুর ধ্যানভঙ্গ করেন।

বিস্তারিত»

শিক্ষকের মৃত্যু নেই

মানুষের মৃত্যু আছে। শিক্ষকের কি মৃত্যু আছে? মনে হয় না।

একবার আমার এক শিক্ষক আমার বর্তমান কর্মস্থলে শিক্ষক নিয়োগের ইণ্টারভিউ-এ এক্সটার্নাল সাব্জেক্ট এক্সপার্ট হিসেবে এসেছিলেন। রেজিস্ট্রার অফিসে বসেছিলেন। সন্ধ্যার পরে সিলেকশন বোর্ড বসবে। আমি বিকেলে অফিস আওয়ারের পরে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলাম তাঁর সাথে দেখা করতে। কুশালাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি মাহবুব!! পড়াতে টড়াতে পার কিছু?” আমি তো বেশ হতবাক হয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

টেলিভিশনে বিষয়বস্তুর খোঁজে

দু’হাজার দুই কী তিন সালের কথা। গিয়েছি এক বিদেশি রেডিওতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। রেডিওটি খবর-নির্ভর এবং সঠিক খবর দেয় বলে খ্যাতি আছে। ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন দু’জন – একজন বাঙালি এবং একজন পাকিস্তানি। বাঙালি আমার কাছে জানতে চাইলেন আমাকে যদি সেখানে চাকরি দেওয়া হয়, আমি নতুন কী করতে পারবো। আমি উত্তর দিয়েছিলাম, ‘জনমুখী কিছু অনুষ্ঠান চালু করতে হবে এবং সঙ্গীতের একটি প্রোগ্রাম প্রয়োজন।’ তিনি আমার দিকে চেয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন।

বিস্তারিত»

অনু কবিতাঃ নতুন ত্বক

লোকটার একটা গভীর ক্ষত ছিল।
সেই ক্ষতের উপরে কেউ একজন
এসেছিল নতুন ত্বক হয়ে।
সেই থেকে……
লোকটা খুব ভয়ে ভয়ে থাকতো,
কখন কে এসে ঘষে দিয়ে যায়!

ঢাকা
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

নিজের জন্যে শ্রদ্ধার্ঘ

কি? কি বললেন? নিজের জন্য শ্রদ্ধার্ঘ লিখবেন। মানে আপনি আপনার জীবন-গাঁথা লিখে রেখে যাবেন আপনার মৃত্যুর পর পত্রিকায় ছাপার জন্য? কি বলছেন এসব? যা-তা, একেবারে! আপনার মাথাটা পুরোটাই গিয়েছে! মরনের ইচ্ছে হয়েছে নাকি আপনার?
ঠিক এমনই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সবাই আমি যদি বলি আমার মৃত্যু-পরবর্তী শ্রদ্ধার্ঘ আমি নিজেই লিখে রেখে যাব।
চিন্তাটি মাথায় এলো কয়েকদিন আগে যখন আমি আমার মায়ের জন্য একটি শ্রদ্ধার্ঘ লিখতে চাইছিলাম।

বিস্তারিত»

ধারাপাত ভুলে গেছি, পদ্য ভুলিনি

শৈশবে মুখস্ত করা ধারাপাত ভুলে গেছি,
নামতা ভুলে গেছি, পাটিগণিতের আর্য্যা ভুলে গেছি।
তবে মদনমোহন তর্কালঙ্কার এর নাম এখনো ভুলিনি,
কারণ শৈশব থেকেই কবিতাকে মনে মনে ভালবেসেছি।

মায়ের শেখানো ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি’ কিংবা-
‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইলো’- এসব স্বপ্নীল পংক্তিমালা
এখনো বিস্মৃতির অতল গর্ভে হারিয়ে যায়নি, এখনো এগুলো
প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছে, কন্ঠে নিত্য আবৃত্ত হয়,

বিস্তারিত»