শাপে বর!
বয়সটাই এখন এমন যে বন্ধু মহলে ছোট-বড় অনেকেই আছেন। জীবনের একটি পর্যায়ে এসে বন্ধু হবার জন্য বয়স কোন ফ্যাক্টর হয় না, মনের মিলটাই আসল। এরকম একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই/বন্ধু আছেন যিনি পেশায় ডাক্তার। ইএনটি স্পেশালিস্ট, মোটামুটি ভালই নামকরা। খুব বেশি ব্যস্ততা না থাকলে প্রায় প্রতিদিনই তার সাথে আড্ডা মারি। সুখ-দুঃখের গল্প করি।
তো সেদিন তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন,
-ডাক্তার হবার সবচেয়ে খারাপ দিকটি কি জানো?
বিস্তারিত»অনুকথনঃ একালের অনুধাবন
আমি “জনপ্রিয়তা” ভয় পাই। এর তীব্র প্রকাশ থাকলেও, তা আমার বিচারে নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। বরং মানুষের “ভালবাসা”-য় সিক্ত হওয়া অনেক স্বস্তিদায়ক। “জনপ্রিয়তা” এবং “রাগ” দুটোরই প্রকাশ যে কেবল অনেক বেশি তীব্র বা তীক্ষ্ণ, তাই শুধু নয়, এদুটোই অতি প্রকাশ্যও বটে; তবে দুটোই ক্ষণস্থায়ী। এই মুহূর্তের জনপ্রিয়তা ঠিক পরের মুহূর্তেই পতন এবং অপমানের কারন হয়ে যেতে পারে। অপরপক্ষে “ভালবাসা” এবং “ঘৃণা” দুটোই নিরব; আমার অনুধাবনে এদুটো কখনোই তেমন প্রকাশ্য নয়।
বিস্তারিত»২১ আগষ্টের রায়, ব্যক্তিস্মৃতি আর টুকরো রাজনীতি ভাবনা
২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দন্ডাদেশ পাওয়া আব্দুস সালাম পিন্টু আমাদের টাঙ্গাইলের মানুষ। উনার পরিবারের সাথে একটা ফানি পারিবারিক সম্পর্ক হয়েছিলো আমাদের। সর্বশেষ যে বাসায় আমরা ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলাম সেই বাসায় আমাদের ঠিক আগেই ভাড়া থাকতেন উনারা। তো সেই জেনারেল এরশাদের সময়ে মোবাইল তো দূরে থাকুক ফোনেরও এত বিস্তৃতি ছিলোনা। ফলে রাজনীতিক পিন্টু”ভাই” যে বাসা বদলে ফেলেছেন তা তার দলের অনেকেই জানতে পারেননি। ফলে উনার সাথে দেখা করতে অনেক মানুষকে আসতে দেখেছি বাসায়।
বিস্তারিত»একটা শব্দ….
কল আসল নাকি এলার্ম বাজল।
ঘুমটা ভাঙ্গার পর এই প্রশ্নটাই প্রথমে মাথায় এলো।
এলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙার রেকর্ড খুবই কম। অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে গেছে এর মধ্যে। একবার ফোন অনেক দূরে রেখেছিলাম। হয়ত এলার্ম বন্ধ করার জন্য বিছানা থেকে উঠা লাগবে। এতেও যদি একটু ঘুমটা ভাঙ্গে। কিন্তু বিধিবাম! সাউন্ডই শুনতে পেলামনা। অন্যান্য দিনের চেয়েও দেরীতে উঠতে হয়েছে সেদিন।
আরেকবার ফোনটাকে সাউন্ডবক্সের সাথে কানেক্ট করে ঘুমালাম।
বিস্তারিত»কতিপয় কথার কোলাজ
রজনীগন্ধার ঘ্রাণ
রজনীগন্ধা নিয়ে মাতম ছিলো একদা। আমাদের কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাগানের দু’ধারে ফুটে থাকতো সারিসারি রজনীগন্ধা। বাজারি রজনীগন্ধার সাথে এই রজনীগন্ধার তফাত ছিলো বেশ। মূলত এর গন্ধ আচ্ছন্ন করে রাখতো আমাকে। আধাসামরিক আবাসিক বিদ্যাপিঠে বিবিধ নিয়মের ভেতরে ছিল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা। একটু সিনিয়র হবার পর প্রায়ই রাতের ডিনার শেষে রজনীগন্ধার গন্ধযুক্ত হাসপাতালের পথে হাঁটতাম। শরতের রাতে আকাশে যখন ঝুলে থাকতো শারদীয় জোছনা,
বিস্তারিত»চলে গেলো রুশো
“সার্ভিং দ্য হিউম্যানিটি”, সংক্ষেপে এসটিএইচ (“Serving the Humanity- STH”) নামের একটি ছোট্ট সংগঠন গঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৭/৮ বছর আগে। প্রথম প্রথম একটু অগোছালো ভাবেই কাজ শুরু হয়েছিল, পরে স্থপতি জগলুল এর গুলশানের অফিসে বসে একটা আনুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে এ সংগঠনের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী নিয়ে একটা প্রাথমিক রূপরেখা তৈরী করা হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কিছু উপকারে আসা এবং এ লক্ষ্যে যার যার সাধ্যমত অবদান রাখা।
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ আজকের পূর্বাহ্নে
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি সাধারণতঃ সেলফোনটা অফ করে দিয়ে বেডসাইড টেবিলে রেখে ঘুমাই। সকালে ফজরের নামাযের সময় যখন উঠি, তখন আবার অন করে নেই। আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে যখন ফোনটা অন করলাম, তখন দেখি আমার বন্ধু মেজর লুৎফুল কবির ভূঞা (অবঃ)ফেইসবুকে প্রকাশিত আমার একটি অনুবাদ কবিতা “পাহাড়টাকেই নিলাম বেছে” পড়ে গতরাতে সেখানে অনুবাদের প্রশংসা করে একটা মন্তব্য করেছে। বন্ধুর প্রশংসা পেয়ে মনটা খুশী হয়ে গেলো।
বিস্তারিত»আমার ইজিপ্টনামা
এক
……………………………………………………………………………………………………
ইউ এন মিশনের ছুটি থেকে ৯ দিনের ছুটি জমিয়ে রেখেছিলাম। হিসাবটা এরকম- ৫ দিন ইজিপ্ট যাবো আর ৪ দিনের জন্য ঈদের সময় দেশে গিয়ে সবাইকে সারপ্রাইজ দিব। সারপ্রাইজ জিনিষটা জীবনে আমি কখনও দিতে পারিনা; হয় কিছু একটা ঝামেলা লাগে, নয়তো আগেই লোকজন জেনে যায়। পরিবারকে ঈদের সারপ্রাইজ দিতে গিয়েও একই অবস্থা। আমি নিজেই সারপ্রাইজড! প্রায় ৩ মাস আগে কাতার এয়ারওয়েজের ১টা অফার ছিল।
যুগোত্তর নস্টালজিয়া
আমার সেদিনের সকালের ঘুম ভেঙ্গেছিল একটা ফোন কলে। আর সেই দূর্বিসহ দূঃসংবাদ। প্রাথমিক শক কাটিয়ে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এখানে ওখানে ফোন করছিলাম, এই আশায়, কেউ একজন বলুক যে সংবাদটা সঠিক ছিল না।
আগের রাতেও হিমেলের সাথে ফোনে অনেক্ষণ ধরে কথা হলো। সে কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকায় আসবে বলছিল, তার ইণ্টার্ণ রিপোর্ট জমা দেবার জন্য। হিমেল শুধু আমার ছোট ভাই (কাজিন) ছিল না, আমরা দুজন ছিলাম সুখ দুখের সাথী।
বিস্তারিত»পাহাড়টাকেই নিলাম বেছে (অনুবাদ কবিতা)
নিম্ন-সমতলভূমি আমায় ডেকে
স্বাধীন বসতি গড়ার আহ্বান জানায়
দখলদারিত্বের কোন শ্রম ব্যতিরেকে,
আমি তাতে সাড়া দিতে উদ্যত হই।
তাই না দেখে পাহাড়টাও গুরুভার,
চাল মেরে দেয় তার। কঠিন পথের
পিচ্ছিল বাঁক বেয়ে ওপরে ওঠার
ইশারায় আমন্ত্রণ জানায় সে আমায়।
দুটো আমন্ত্রণেই একসাথে সাড়া দিতে
পারি না আমি; যে কোন একটা পথ
বেছে নিতে হবে আমায়,
চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং গুলিয়াখালি সি বীচ ভ্রমণ

মাঝে মাঝে নিজের মন কে ছুটি দিতে হয় এই শহুরে কোলাহল থেকে। ক্লান্ত-শ্রান্ত মন কে নিয়ে যেতে হয় প্রকৃতির কাছে, সবুজের মাঝে। এজন্যই গত সপ্তাহে ঘুরতে গিয়েছিলাম সীতাকুণ্ড এর চন্দ্রনাথ পাহাড়ে।
শহর থেকেমাত্র ২৫ কিমি দূরেই সীতাকুণ্ড। সেখানে সিএনজি অটো বা মাইক্রো ভারা করে আপনি সহজেই যেতে পারেন। আমরা ১৩ জন মিলে লেগুনা ভাড়া করেছিলাম। সকাল ৮ টায় চিটাগাং এ কে খান বাস স্টপ থেকে যাত্রা শুর করে দেড় ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাই।
বিস্তারিত»এই বেশ আছি
এই বেশ আছি।
থাকা না থাকায় আছি; দেখা না দেখায় আছি।
জীবন অচল ভেবেছো যাকে ছাড়া, সে দিব্যি চষে বেড়াচ্ছে পৃথিবী।
ফিরবে আবার ক্লান্ত এ’মুখো হয়ে রোজকার মতো।
পথ তাঁর ঠিকই ফুরোবে শুধু ক্ষয়ে যাবে সময়,
বদলে যাবে আশপাশটা।
ধ্রুপদী অস্পষ্টতায়ে মলিন হবে ভাবনারা
বটের পাতার মতো নুয়ে রোদপোড়া মুখটা হয়তো ঢেকে দেবো না আর।
কালো-কষ্টের রং নদীর মৌনতায় ধুয়ে যাবে;
বোবার কান্না
‘রাজা, তোমার বাবা এখন কোথায়’?
ছোট ফুপির এ কথাটা শোনার সাথে সাথে রাজার দু’চোখ বেয়ে প্রথমে নীরবে ফোঁটা ফোঁটায়, পরে ঝর ঝর করে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। ও কী বুঝলো, কী ভাবলো, কে জানে! ফুপি যখন এ প্রশ্নটা করেছিলো, তখন কেবলমাত্র ও ছাড়া ওদের বাড়ীর এবং আশে পাশের সব বাড়ীর পুরুষ লোকেরা গিয়েছে স্থানীয় মাসজিদে, জুম্মার নামাযে। তবে অন্যান্য দিনে জুম্মার নামাযের সময় এরকমভাবে সবার বাড়ী পুরুষ শূন্য থাকেনা বা হয়না।
বিস্তারিত»বৃত্তস্থ ত্রিভুজ
জেবা আফরোজ। বিজনেস ম্যাথের কোর্স টিচারের নামটা চোখের সামনে ঘুরঘুর করলেও আর দশটা সাধারণ সাদামাটা নামের মতই একে আমলে নিইনি। ক্লাসের কেউ কেউ বিশেষত্বহীন জেবা থেকে জেব্রা বের করে হাসাহাসি করতে থাকলে তাতে দু’একবার তাল দিয়েছি, ব্যাস। নতুন শিক্ষক; তাই যাবতীয় প্রাথমিক কৌতূহলসমেত প্রস্তুত আমরা। তা সত্ত্বেও জেবা বা জেব্রা ম্যাম যখন ক্লাসে ঢুকলেন, তার চেনাচেনা চেহারায় ‘জেবা আফরোজ’ খাপে খাপ মিলে যেতেই চমকে উঠলাম!
বিস্তারিত»
