বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধ যাত্রা আমি হঠাৎ করে লিখিনি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার আগ্রহ অনেকদিনের। ছোটবেলা থেকে হাতের কাছে যা পেয়েছি পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আস্ত একটা বই সম্ভবত ক্লাশ সেভেনে থাকতেই পড়ে ফেলেছিলাম। বইটির নাম মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস। লেখক মেজর সুবিদ আলী ভুঁইয়া। তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই ছিল হাতে গোনা। যা ছিল তাঁর বেশিরভাগই হয় রাজনীতিবিদ অথবা রাজনীতিমনষ্ক মানুষদের লেখা। এই বইটি ছিল তার ব্যতিক্রম।
বিস্তারিত»সিনিয়ার টাইগার্সের বিদ্রোহ
৩০ মার্চ সকাল আটটার আগে সিও’র অফিসের বারান্দায় অবিশ্রান্ত গোলাগুলির মধ্যে দাঁড়িয়ে লেফটেন্যনাট হাফিজ উদ্দিন আহমেদের মনে হল তিনি এক অসম যুদ্ধের নাগালে চলে এসেছেন । আগের দিন জগদীশপুর ক্যাম্পে, ব্রিগেড কমান্ড ভয়েসের প্রায় অসঙ্গত যে সমস্ত কথপকথন আচমকা তাঁর কানে এসে গিয়েছিল, হঠাত করে সেগুলি তাঁর কাছে পরিস্ফুট হতে শুরু করল। রাত বারোটার দিকে ইউনিটে ফিরে আসতে আসতে ইউনিটের চারিপাশে তিনি যে পরিখা কাটা দেখেছিলেন,
বিস্তারিত»টিটোর গপ্পোঃ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের স্মৃতি
আমার ছোটবেলায় দেখা অনেক কিছু এখন আর দেখি না। সামাজিক আচার, খাবারদাবার,উৎসব, গালগপ্পো এ রকম অনেক ব্যাপার স্যাপার মিলিয়ে যাচ্ছে। আমার বাচ্চাদের সাথে কথা বলেই বুঝতে পারি – এক সময় এসব কেউ বিশ্বাস করবে না। জীবন্ত ফসিল হবার দায় থেকে লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছি। শুরুটা কি দিয়ে করব?
ছোট বেলা থেকেই শুরু করি। আমি যে স্কুলে পড়া শুরু করি তার নাম- লোকমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সাতাশ বছর পরে – ছয়
নীলার জন্য ছয়টি গোলাপ।
ঠিক ছয়টি মাসই ছিলো আমাদের
দেখা-কথা-প্রেম-ভালবাসা।
একটা হলুদ গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস শুধু বন্ধুই ছিলাম।
একটা গোলাপী গোলাপ নীলার জন্য
একটা মাস বন্ধুর চেয়েও বেশী।
দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
যে দুই মাস প্রেম আচ্ছন্ন করে ছিলো।
বাকী দুটো লাল গোলাপ নীলার জন্য
আমি নিশ্চিত ছিলাম ঐ দুই মাস
এটা কোন প্রেম নয়,
ব্যর্থ আমি
ক’দিন থেকেই মনটা খারাপ…ব্যর্থ আমি শুনে
ক’বার যেন ব্যর্থ আমি? দেখি তো আজ গুণে!!
বউ কেন রোজ বকে আমায় ব্যর্থতাকে নিয়ে…
দেখি তো আজ নিজের জীবন…পিছন ফিরে গিয়ে!!
……………………………….
আমি ছিলেম সরল-সোজা…ভীষণ বোকা-সোকা
অনেক লোকই সুযোগ বুঝে দিয়েছিল ধোঁকা।
ছোটবেলায় পাইনি কভূ…ভাল হওয়ার দাম
লাভের মাঝে…লাভ হয়েছে…“ব্যর্থ ছেলে” নাম।।
ইশকুলেতে পড়তে গিয়ে…মিশতে সবার সাথে
ভাল থাকার ফল পেয়েছি…সটান…হাতে নাতে।
বিক্ষিপ্ত ভাবনাঃ হক সাহেবের হালচাল
হক সাহেব কবিও নন, লেখকও নন, তবে একনিষ্ঠ সাহিত্যানুরাগী। জীবনে খুব যে বেশী সাহিত্য পড়েছেন তাও নয়; কিন্তু সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পকলার প্রতি তার একটা আকর্ষণ সেই ছেলেবেলা থেকেই ছিল। নিজে ভাল গাইতে না পারলেও ভাল লাগা গানের কলি সবসময় তার কন্ঠে আশ্রয় খুঁজতো। গলা যেমনই হোক, সময় সুযোগ পেলেই তিনি নিবিষ্ট মনে সেসব কলি মেলে ধরতেন, সুর মেলাতেন। বিশ্বের বড় বড় কবি লেখকদের সম্পর্কে তিনি কিছুটা ধারণা রাখতেন,
বিস্তারিত»ভোজ বিহার-কুমিল্লা
ময়নামতি সেনানিবাসের দক্ষিণ প্রান্তে কোটবাড়ি মিলিটারী পুলিশ চেক পোস্টের উত্তর দিকে ভোজ বিহার অবস্থিত। কোটবাড়ি মিলিটারী পুলিশ চেক পোস্ট দিয়ে সেনানিবাসে প্রবেশ করে আনুমানিক আধা কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলে হাতের বাম পাশে বাংলার প্রাচীন এই বৌদ্ধ বিহারের দেখা মিলবে। খননের ফলে এখানে ব্রোঞ্জনির্মিত একটি বজ্রসত্ত্ব মূর্তি পাওয়া গেছে। সাধারনতঃ বজ্রসত্ত্ব মূর্তি মহাযান মার্গের অনুসারীদের উপাস্য এবং তা বাঙলায় ১০ম শতাব্দীর আগে প্রচলিত ছিল না। কিন্তু মূর্তি বিশ্লেষনের পর অনেক বিশেষজ্ঞই ধারনা করেন যে,
বিস্তারিত»তাঁর শেষ কবিতা
রফিক নওশাদ স্যারকে খুব মিস করছি। ক্লাশ সেভেন থেকে তিনি ছিলেন অভিভাবকের মত। আমার শিক্ষক, আমার গুরু । কবি ছিলেন, টেলিভিসনে উপস্থাপনা করতেন। সে সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে ক্যাডেট কলেজে চলে এলেন। তাঁর পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি শরীরের চেয়ে তাঁর সাহস ছিল তিন গুন বেশি, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার আগে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন।
বিস্তারিত»উজ্জ্বল পিঙ্গল কৈশোর
যে দুরন্ত বালকটি আজ দাপিয়ে দাপিয়ে
বন্ধুদের সাথে পাড়াময় খেলে বেড়াচ্ছে,
নোংরা ডোবায়, নালায় অনায়াসে নেমে
দু’হাত ভরে উল্লাসে ডানকানা মাছ ধরছে,
হৈচৈ করে কর্দমাক্ত হয়ে বাড়ী ফিরছে,
হায়! সে মোটেও জানেনা- এর পর
কিশোর বয়সে এসে সে একা হয়ে যাবে!
বন্ধুরা যদিবা থাকে আশে পাশেই, তবুও-
সে একা হয়ে যাবে, একা রয়ে যাবে!
একা পথ চলতে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
তুষার
তুষার
সন্ধ্যায় সবুজ মাঠে হেঁটে এসেছি। রাতে তুষার পাত শুরু হয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখি পৃথিবী বদলে গেছে।
বিস্তারিত»
আরআইপি
রঞ্জন ক্লাবের বারে এসে বসেছে মিনিট দশেক হয়েছে। আজ আসার ইচ্ছেই ছিল না। অথচ আজ তার মনের যা অবস্থা, তাতে বারে বসে স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা না করে বরং পান করলেই ভালো লাগত। তার পরও রঞ্জন আসতে চায়নি। দুপুর থেকে মনের ভেতর কান্না ভর করেছে। দুবার কেঁদেওছে। বেশ জোরেই। লাভ হয়নি। ভেবেছে নকীবের বাসায় গিয়ে ওর বৌয়ের সঙ্গে দেখা করে আসবে। রীমা এখন কী করছে,
বিস্তারিত»আনন্দ বিহার
লালমাই-ময়নামতি পাহাড় শ্রেণির উত্তাংশের পূর্ব ভাগে অপেক্ষাকৃত নীচু ও সমতল ভূমিতে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আনন্দ বিহার অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও কুমিল্লা অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত বিহারসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই বিহার ‘আনন্দ রাজার বাড়ি’ নামেও পরিচিত। ৮ম শতকে দেব বংশের সবচেয়ে যোগ্য ও প্রভাবশালী নৃপতি আনন্দ দেব এই বিহার প্রতিষ্ঠা করেন অথবা তার নামে তার যোগ্য পুত্র মহারাজা ভবদেব এটি নির্মাণ করেন বলে প্রচলিত ধারনা রয়েছে।
বিস্তারিত»সর্বংসহা তুমি, সর্বভূক তুমি
তোমার গর্ভে রোপিত হয় বীজ,
সে বীজে লুকিয়ে থাকে জীবন।
বীজ থেকে অংকুরোদ্গম হয়,
ফুলে ফলে শোভিত হয় কানন।
তোমার বুকে বড় হয় মানুষ,
সরীসৃপ, তৃণলতা, শস্যক্ষেত্র।
নীরবে সরবে বড় হতে থাকে,
তুমি বুক পেতে রাখো দিবারাত্র।
যে মানুষ এখন তোমার বুকে
চলেছে সদর্পে পদাঘাত করে,
সেই একদিন স্তব্ধ, জড় হয়ে
হারিয়ে যাবে তোমার গহ্বরে।
হায় ঈশপ! হায় ঈশপ -১
বহুকাল আগের গল্প। কোন এক দেশের কোন এক শহরের কোন এক গ্রামে এক টুপিওয়ালার বসবাস। টুপি বিক্রি করে জীবন চলে তার। নিজ হাতে পরম যত্নে টুপি প্রস্তুত করে টুপিওয়ালা। নিজেও নিজের হাতে তৈয়ার করা একখানা টুপি মাথায় দেয়। সারা সপ্তাহ টুপি তৈয়ার করে সপ্তাহান্তে শহরের পাশের বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। টুপির ঝোলা কাঁধে নিয়ে পাড়ি দেয় বন, গ্রাম। কোন একবার, কোন এক সপ্তাহান্তে, চারটা খেয়ে,
বিস্তারিত»দৌড়
এক অদৃশ্য হুইসেলের ফুঁৎকারে আমাদের দৌড় শুরু হয়।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা দৌড়াতেই থাকি।
শেষ সীমারেখা দৃশ্যমান নয়।
যার পথ যত দীর্ঘ, স্মৃতির সম্ভার তার তত বেশি ভারী।
যার যার পথসীমা নির্দিষ্ট, তবে ট্র্যাক পৃথক।
রেলপথের মত কখনো দুটো ট্র্যাক এক হয়ে যায়,
আবার কখনো বাঁকা পথ নেয়।
পথ শেষ হওয়া সতীর্থরা পড়ে রয়, আমরা দৌড়াতে থাকি।