গোলাপ কি নগ্ন?

বল আমায়, গোলাপ কি নগ্ন?
না কি এটা তার একমাত্র পোশাক?

গাছেরা লুকায় কেন
শেকড়ের জাঁকজমক?

কে শোনে চুরি যাওয়া
মোটরগাড়ির অনুতাপ?

বৃষ্টিতে পড়ে  থাকা ট্রেন
আছে কি এর চে বিষাদ?

Tell me, is the rose naked?

–Pablo Neruda

Tell me, is the rose naked
Or is that her only dress?

বিস্তারিত»

প্রাপ্তি শূণ্য

আজকাল আমি বদলাতে শুরু করেছি ।হঠাত্‍ করেই বদলাতে শুরু করেছি !নাকের নিচে গোঁফের রেখাটা ঘন থেকে ঘনতর হচ্ছে ।আমার এখন পাখি হয়ে উড়তে ইচ্ছে করে , বন্ধুদের সাথে এডাল্ট গল্প করতে ইচ্ছে করে , ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দিতে ইচ্ছে করে । কিন্তু আমার ইচ্ছেগুলো শুধু ইচ্ছেই রয় ।মায়ের কঠিন শাসনের কারণে আমার কিছু করা হয় না ।

আমার মাকে আয়রন লেডী বললেও কম বলা হবে ।শুনেছি চাকুরীজীবী মা রা নাকি বাচ্চাদের সময় দিতে পারে না ।

বিস্তারিত»

বসন্ত তুমি

বসন্ত তু‌মি
ওবায়েদুল্লাহ

প্রকৃ‌ত পরাণ ছিল না কোন কালে
তু‌মি ছাড়া,
বিবসনা ছিল সুর ফাগু‌নের গান‌ে
‌মন দি‌শেহারা।
ফু‌টিল শাখা‌তে ফুল মৌভরা মুকুল
কা‌পে মধুবন,
গুন্জ‌রি ক‌লি কো‌লে ভ্রমর আকুল
সুখ আহরন।
শিমুল পলাশ সে‌জে‌ছে লাল ‌দেহভর
‌পোড়ায় পরাণ,
সর‌ষের মাঠ উন্মনা প‌ড়ে হলুদ শ‌াড়ি‌
প্রেম ভরা গান।

তোমার‌ি প্রে‌মে ব‌হিল মলয় দ‌ক্ষি‌নে
গা‌হি কুহুতান,

বিস্তারিত»

সুনিতা কিংবা বিদ্যাঃ দখিন থেকে পুব

আমার গল্পের চরিত্র কিন্তু একই দেশের। তবে সুনিতার মত মাতাল দক্ষিণা হাওয়ার সাথে তার চলাফেরা কখনোই ছিল না। ছিল উত্তর-পূর্বের নদী বরাক, ইম্ফালের সাথে তার গভীর সংযোগ। বাড়ির পাশের লোকটাক লেকের শান্ত নীল জলের মত তার গতি। উচ্ছ্বাস নেই, মাদকতা আছে। সাদা মেঘের মত পেলব, ছুঁতে ইচ্ছে করে। সুনিতার মত অবশ্য তার চোখ গভীর কালো নয়, বরং কিছুটা ঘোলাটে বলা যেতে পারে। তবে সে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে এক মুহূর্ত ক্লান্তি আসেনি আমার।

বিস্তারিত»

পিলখানা হত্যাকাণ্ড

বছর খানেক আগের ২৫শে ফেব্রুয়ারিতে চ্যানেল আইএর স্ক্রলের দু’টি লাইনে চোখ আটকে গিয়েছিল ।হুবুহু লাইন দু’টি মনে করতে পারছি না। তবে সম্ভবত এরকম,

এক। পিলখানা হত্যাকান্ডের দিন আজ।
দুই। ছয় বছরে বিজিবি সৈনিকদের অনেক সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।

পাশাপাশি এই দু’টি লাইন অন্যদের মনে কোন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে কীনা জানিনা। আমার মনে হল পাশাপাশি লাইন দু’টি দিয়ে হত্যাকান্ডটিকে এত সরলীকরণ করে ফেলা হয়েছে যে,

বিস্তারিত»

সময়

সময় একটি সতত বহমান নদী।
সে নদীতে আমরা মাত্র কিছুকাল ভেসে চলি।
কখনো চোখ বুঁজে উজানে সন্তরণে,
আবার কখনো ভেসে ভেসে ভাটায়, নির্লিপ্ততায়!

সময় বয়ে চলে জন্ম জন্মান্তর ধরে,
কালের সাক্ষী হয়ে রয় মানুষের কিছু অমর কীর্তি।
নশ্বর মানুষ বিলীন হয়ে যায় ধরিত্রীর মৃত্তিকায়,
কিছু কিছু মানব কর্মকে সময়ও সমীহ করে যায়।

এক জলে মানুষ দু’বার নামতে পারেনা
একটি মুহূর্তকে কেবল একবারই আঁকড়ানো যায়।

বিস্তারিত»

নিঃসঙ্গতার মন্ত্রী ও রাগ কমানোর পার্ক

একটি জাতির একাকী অথবা নিঃসঙ্গ মানুষগুলোর জন্য একজন মন্ত্রী থাকবেন এবং তিনি সবার একাকীত্ব ঘোচাতে এগিয়ে আসবেন–এ কথা হঠাৎ শুনলে খুব স্বাভাবিক মনে হবে না। অন্তত আমরা– বাঙালিরা তো মানতেই চাইবো না যে মানুষ একাকী বোধ করতে পারে।
সম্প্রতি ব্রিটেনে একজন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে–একাকীত্বের মন্ত্রী। বাংলায় নিঃসঙ্গতা এবং একই কথা কিনা আমি জানি না, তবে সে দেশে ‘লোনলিনেস’ এবং ‘অ্যালোন’ এক কথা নয়।

বিস্তারিত»

নির্দোষ পরজীবী

এইখানে ঢাকা শহরের অ্যাপার্টমেন্ট কালচার ঢুকে পড়েনি এখনো। স্ত্রীরা মূলত গৃহবধূ। স্বামীরা ছোট চাকুরে। স্ত্রীদের জীবন মানে জী-বাংলা কিংবা হিন্দি সাঁস-বহু সিরিয়ালে আসক্তি কমই। বরং পাশের বাসার ভাবির রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে তার ডাল ঘুঁটনি নাড়তে নাড়তে কাঁচাবাজারের হালচাল (পেঁয়াজ দশটাকা বাড়ল, অথচ ঝাঁজ নাই দেখেন), বাচ্চাদের পড়াশোনা (প্রাইভেট পড়ায় যে ছেলেটা, মহা ফাঁকিবাজ), স্বামীর খানাখাদ্যে রুচি-অরুচি (আপনার ভাই পাঁচফোড়ন দেওয়া মাছ খাইতেই পারেনা) এবং বিবিধ মেয়েলি সুখ-অসুখের দৈনিক ফিরিস্তি দেওয়ার রেওয়াজ।

বিস্তারিত»

নতুন রূপে ‘নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই’

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে প্রকাশিত হয়েছিল আমার প্রথম কবিতার বই ‘নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই’। ঐ বছর মেলাতেই বইটির প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে যায় এবং অভূতপূর্ব সাড়া পাই কবিতা প্রিয় পাঠকদের কাছ থেকে। এ বছর বইটির দ্বিতীয় পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে চৈতন্য প্রকাশন থেকে। বইটি মেলায় পাওয়া যাচ্ছে চৈতন্য প্রকাশনের ৬০৪-৬০৫ নম্বর স্টলে। এছাড়া অনলাইনে রকমারি এবং বইপড়ুন ডট কমের মাধ্যমে সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে।

বিস্তারিত»

“এক দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প” পড়ার জন্য ধন্যবাদ

এক দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প ২০১৬ তে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর আমি যে পাঠক-প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা লেখক হিসেবে আমার হৃদয় ভরিয়ে দিয়েছে। চেনা-অচেনা পাঠক আমায় জানিয়েছেন যে উপন্যাসটি পড়ে তাঁদের ভাল লেগেছে। যাঁরা আমার এই বইটি পড়েছেন তাঁদের জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এ গল্পের ঘটনাগুলো এতো দ্রুত ঘটছে যে অনেকেই শুধু ঘটনাগুলোর ওপরই মনোনিবেশ করেছেন। ক্যাডেটরা কি করে তাই দেখেছেন। অনেকে ক্যাডেট কলেজে ইতিহাস বলে গন্য করেছেন।

বিস্তারিত»

ফুটবলে আইসল্যান্ডের উত্থানঃ আমাদের জন্য শিক্ষা

মাত্র ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের দেশ আইসল্যান্ড ফুটবলের দুনিয়ায় কোন মতেই ‘মিনোস’ এর চেয়ে বেশি কিছু হবার কথা নয়। একটি সময় পর্যন্ত তারা ‘পুঁচকে’ই ছিল। তবে, সব হিসেব বদলে যায় গত ইউরোতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর। স্বল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় দল হতে তাদের বেশি সময় লাগেনি। তাদের অর্জন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায় লোকসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা লাভ করার পর।

বিস্তারিত»

খিদে

১।
স্বামী হিসেবে সৈকতকে নিয়ে রুপা-র তেমন কোন অভিযোগ নেই…কেবলমাত্র একটি বিষয় ছাড়া। সময় নেই…অসময় নেই- কেবলই খাওয়ার (?) জন্য ছোঁক ছোঁক করে। এই জন্য অনেকবারই রুপাকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে…তারপরেও সৈকতকে সামাল দিয়ে রাখা খুবই কঠিন!! নেহায়েৎ ভালবেসে বিয়ে করেছে নয় তো…!! এর চেয়ে অনেক কম ঝামেলার বিষয় নিয়ে বহু তথাকথিত সুখের সংসার ভেঙে যেতে দেখেছে রূপা।

একটা লম্বা কোর্সের জন্য এবার সৈকতকে একা ঢাকায় আসতে হলো…রুপা ওর হাসপাতাল…ছেলের পিএসসি পরীক্ষা…মেয়ের স্কুল…সন্ধ্যায় চেম্বার ইত্যাদির জন্য আসতে পারলো না।

বিস্তারিত»

উৎসর্গ

নোটঃ খুবই শরমিন্দা নিয়ে এই লেখাটা এখানে আজ প্রকাশের জন্য দিচ্ছি। শরমিন্দা-র কারণ খুব সিম্পল…আমি এই লেখাটি সিসিবি-তে প্রকাশ না করে আমার টাইম লাইন এবং অন্য একটি ব্লগে দিয়েছিলাম। এক বড়ভাই (সংকোচ এবং শরমের কারণেই বড় ভাইয়ের নাম বললাম না…) আমার লেখাটি আমার টাইম-লাইনে পড়ে সিসিবি-তে লেখি কি না জানতে চেয়েছিলেন এবং লেখাটিকে এখানে দিতে বলেছিলেন। আসলে, আমার লেখালেখির শুরু এই প্লাটফর্মেই। তবে, এই লেখাটি সম্পূর্ণই মজা করে লেখা…তা ছাড়া বিষয়বস্তুটাও খুবই সামান্য…সে কারণেই এখানে আগে লেখাটি দেয়া হয়নি…

বিস্তারিত»

ভয়ঃ ভিন্ন প্রেক্ষিতে

খন্দকার সাহেব একজন সুখী মানুষ, কারণ জীবনে তার চাহিদা খুব বেশী কিছু নয়। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অল্পতেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছেন। সন্তানদেরকেও তাই শেখাতে চেয়েছেন। যুগের প্রভাব বলয় থেকে ক’জনাই বা বের হয়ে আসতে পারে? কিন্তু তিনি সফলতার সাথে তা পেরেছেন। এ জন্যেই তার সুখটা নির্ভেজাল।

নিজে যতটুকু ধর্মকে বোঝেন, খন্দকার সাহেব ততটুকুই ধর্মাচার যথাসম্ভব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন এবং ধর্ম নিয়ে কিছুটা হাল্কা পড়াশোনাও করে থাকেন।

বিস্তারিত»

আমার বইমেলা ও বেঙ্গল রেজিমেন্টের যুদ্ধযাত্রা ১৯৭১

আমার সাথে বই মেলার আড়ি আছে । বিষয়টা বুঝলাম আমার প্রথম বই প্রকাশের বছর। পান্ডুলিপি এবং পয়সা জমা দেবার পরও বই বের হচ্ছিল না। এ জগতের সাথে যাদের পরিচয় নেই, তারা বিষ্মিত হবেন, বই ছাপতে পয়সা দিতে হয়?

উত্তর হল নতুন লেখকদের প্রায় সময়ই দিতে হয়। যে সব প্রকাশক সৈকত হাবিবের মত ভদ্র এবং নতুন লেখকদেরও মানুষ মনে করেন, তারা মিষ্টি করে বলেন,

বিস্তারিত»