রাধাকথন – ১৩

আসবার কথা ছিল
এই পথে,
সোনালী রথে?
জলের নীল বেয়ে
তরী কি আসে
ধীরে,সঘন উদ্ভাসে
দূরের গান হয়ে!

আ হা
দিনগুলি কেবলি
দিন গুনে যায়;
কী বলি?
কী যে বলি!
কাঁচেরো মন ভেঙ্গে যায়
প্রার্থনার
মৌনতায়
জানলা কাঁপে,
সুরেলা দ্বিধায়
দরোজায়
প্রবল জ্বর

মাঝি আইলা?
আইলা বুঝি
নিঠুর নটবর!

২,০৯১ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “রাধাকথন – ১৩”

  1. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    সিরিজ কথনগুলির একটি আরেকটির সাথে এমনভাবে গাঁথা থাকে যে, সবগুলো না পড়লে পূর্ণ স্বাদ পাওয়া সম্ভব হয় না। বরং কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য প্রতিটি লেখায় সবগুলো সিরিজের লিংক জুড়ে দেয়া জরুরি। আর যেহেতু একটি বিচ্ছিন্ন পর্বের উপর নির্ভর করে কোনরূপ বিবেচনায় আসা সমীচীন হবে না, তাই আপাতত মন্তব্যে নিবৃত্ত থাকাই শ্রেয়।


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন
    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

      মোস্তফা ভাই,
      দুঃখিত, অসুবিধার জন্যে। সিরিজটি আসলে গল্পের ধারাবাহিকতায় নয়, বরং বিরহের থিম নিয়ে তৈরী। প্রতিটি লেখা স্বতন্ত্র।
      লিংক জুড়ে দেবার ব্যাপারটা মাথায় রাখলাম। আগে একবার চেষ্টা করে পারিনি।কারিগরি দক্ষতা মাইনাসের কোঠায় কিনা! 🙁 (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    :clap: :clap: :clap: :clap:

    কবিতা বুঝি না নূপুর, তবে আমার মোহন অথবা তোমার রাধাটিকে বুঝতে অসুবিধে হয়না কখনোই। মুরালির বাঁশিতে সদা পোড়ে মন পোড়ে যে!

    কবিতা পড়তে আই মিন, কবিতা বুঝতে যদি পাঠকের অভিধান নিয়ে ছুটোছুটি করতে হয় তবে কবিতা পাঠের আনন্দই মাটি। তোমার কবিতা পড়তে থেসোরাস নিয়ে বসতে হয়নি কখনোই, এটিই তোমার লেখার স্বার্থকতা।

    গভীর রাতে বাড়ি ফিরে কাল রাতে তোমার রাধা কথনটি পড়ে মনেহলো আমার ঈদের আনন্দ পূণর্ হলো অবশেষে, নিঠুর নটবর!

    মাঝি আইলা? আহা! আমার তো হামেশাই মনেহয় The return makes one love the farewell.

    জবাব দিন
  3. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    মাঝি আইলা!
    দুটি মাত্র শব্দে কত জন্মের অকথিত কথা বলা হয়ে গেল। আমার প্রায় কৈশোর উত্তীর্ণ বয়েসে দেখা পদ্মা নদীর মাঝিতে রূপার সেই জ্যোতিময় মুখ এখনো ভুলিনি! :clap: :clap:

    জবাব দিন
  4. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আপা,
    তোমার মন্তব্যে এত প্রশ্রয় থাকে! তুমি টিচার হলে কেউ ফেল করতোনা। সব্বাই ফুলমার্কস পেতো।
    আর ঠিক ধরেছো, রূপা গাঙ্গুলির সেই সংলাপই তুলে দিয়েছি এখানে।

    জবাব দিন
  5. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    "দিনগুলি কেবলি
    দিন গুনে যায়;
    কী বলি?
    কী যে বলি!
    কাঁচেরো মন ভেঙ্গে যায়
    প্রার্থনার
    মৌনতায়
    জানলা কাঁপে,
    সুরেলা দ্বিধায়
    দরোজায়
    প্রবল জ্বর" ----- মন কাঁপানো কথামালা!
    কাঁচেরো>কাঁচেরও হবে কি? নাকি কবিতায় এসব ঠিক আছে?

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।