এমনি
এক একটি দিন কখনো কখনো যায় শুধুই নষ্টালজিয়ায়। আমি বোধহয় এই সময়টায় সাংঘাতিক অতীতচারিতায় ভুগছি। হয়তো এটাই হোমসিকনেস। আমি হোমসিক! কয়েকটি শহরে নিজেকে খুঁজে ফিরছি। আমার জন্ম যশোরে, সেইখানে আমার নাড়ি পোঁতা আছে। গেঁদা শৈশব সাতক্ষীরায়, সেই স্মৃতি খুব অস্পষ্ট যদিও। খুলনা এবং যশোর, শৈশব এবং কৈশোরের রঙীন দিনগুলো। মাঝে রাজশাহীতে কিছুদিন – সাহেব বাজার, টি-বাঁধ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, টেনিস ক্লাব, চিড়িয়াখানা, উপশহর, রাজশাহী রেল স্টেশন – একটি স্নিগ্ধ শহর। এরপর ছয়বছর পাবনায়, জালালপুরে। এবং সেই মায়াভরা নামগুলো ভাঙ্গুড়া, টেবুনিয়া, দাশুরিয়া, বেড়া, চাঁটমোহর, ঈশ্বরদী, পাকশী – কি চমৎকার!
তারপর এক দশক ঢাকায়, যার একটি বড় সময় শাহবাগের রঙমহলে। আর কিছুদিন বান্দরবানে – উজানীপাড়া, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম। অটোয়াতেও এখন আর নতুন নই। এই বিদেশি শহরটিকেও আত্মস্থ করা শুরু করেছি। এই হলো আমার তিন পয়সার জীবন। সেই জীবনে নিরন্তর চেষ্টা যে আমি অন্যদের জীবনে একটু হলেও গুরুত্বপূর্ন সেটি প্রতিষ্ঠা করা – খানিকটা হাস্যকর হলেও সত্যি। এর মাঝেই স্মৃতি কারখানায় অগনিত অসংখ্য স্মৃতি বানিয়ে চলেছি। আর কত কত স্থান – পাহাড়, সমতল, বনজঙ্গল, নদী, গ্রাম, ব্যস্ত নগর। কত রকম প্রকৃতি। কত রকম বিচিত্র মানুষের সাথে চেনা-পরিচয়, কথাবার্তা, বন্ধুত্ব, যোগাযোগ, উঠাবসা, ঘোরাফেরা, স্মৃতিতে রাখা, কাউকে হয়তো ভুলে যাওয়া কিংবা কাউকে আবার ভুলে থাকার চেষ্টা করা, তারপর একদিন হয়তো সত্যি তাদের নিঃশেষে হারিয়ে ফেলা কিংবা আমারই হারিয়ে যাওয়া …
আমি গাই ঘরে ফেরার গান
উতলা কেন এ প্রাণ
শুধু যে ডাকে, ফিরে আমাকে।
বিদেশ বিঁভূইয়ে পড়ে আছি তবু
ছাড়ে না কেন ছাড়ে না পিছুটান।
আমি তাই, এখনো ক্লান্তিহীন
চলেছি রাত্রি দিন
শুনি চমকে, যাই থমকে
কোথা হতে যেন ভেসে আসে সুর
চেনা খুব চেনা, মন মাঝে অমলিন।
ফিরবো বললে ফেরা যায় না কি
পেরিয়েছো দেশ কাল জানো না কি
এসময়।
এখনো সামনে পথ হাঁটা বাকি
চাইলেও দিতে পারবে না ফাঁকি নিশ্চয়।
পৃথিবীটা ছোট হতে হতে
একদিন ভোর চারটায় হটাৎ মনে হলো স্বপ্নাহত নামে এক বালক ছিল এক ব্যস্ত কাঁক ডাকা নগরে। তারে ফোন দিয়া একটু কথা বলি। ইয়াহু-জিমেইল তন্নতন্ন করে ফোন নম্বর খুঁজলাম। পাইলাম না। একটা ইমেইল করলেই ল্যাঠা চুকে যায়। আবার সেটাও করলাম না। মানুষজনরে আজকাল মিস করি। তারপর তার এক বন্ধুকে মেইল করলাম দশ শব্দের। তার ফোননম্বরও খুঁজলাম। সেটাও পাইলাম না। হয়তো চাইলেই হতো। তাও করলাম না। সে অবশ্য একটা বড় মেইল দিয়ে পরদিন বিকালে মনটাই ভাল করে দিল। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার তিন পয়সার জীবনটারে মনে হয় দিনদিন ফুঁটা পয়সার জেবন বানিয়ে ফেলছি। আজকাল আর বেশি লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতে ভাল লাগে না কেন?
যখন তুমি মধ্যবিত্ত
আমার ক্যাডেট কলেজের বন্ধু ফাহিমের পড়ার টেবিলে ওর বোনের (শাকিলা আপা – আইবিএর শিক্ষক এখন) লেখা চিঠির একটা প্যারা ছিঁড়ে স্টিকি করা ছিল। কথাগুলো ছিল এমন – আমরা মধ্যবিত্ত। আমাদের জীবনের সুখ-সাচ্ছন্দ্য যা কিছু অর্জন তা নির্ভর করে লেখাপড়ার উপর। সফলতা এবং ব্যর্থতা অনেকাংশেই আমরা লেখাপড়া দিয়েই যাচাই করি। আমাদের তো অর্থবিত্ত নেই। তাই আর কোন উপায়ও নেই। এখন বুঝবি না। শুধু লেখাপড়াটুকু ভালভাবে করিস।
আমি অবশ্য কথাগুলো পড়লেও কোনদিনই ঠিক কাজে লাগাতে পারিনি। ফাহিম পেরেছে। হয়তো অন্য কেউও নিশ্চয়ই পারবে।
এবং হটাৎ একদিন নোয়াম চমেস্কি
আমাদের বন্ধু আবির রেজা এপ্রিলে একদিন ফোন করে জানালো, ওই শোন, চমেস্কি আসতেছে, যাবি? যারা চমেস্কি নামটির সাথে পরিচিত নন – তাদের এইসব কথা খটমট মনে হতে পারে। গত মাসে চমেস্কি এসেছিল আমার ইউনিতে পাবলিক স্পিচ দিতে। এইরকম উপচে পড়া ভিড় আমি আর কোনদিন কার্লটনে কোন পাবলিক স্পিচে দেখিনি। চমেস্কি হলেন এমআইটির প্রফেসর এমিরিটাস – লাঙ্গুয়েজ এবং লিঙ্গুইসটিকস। উনি বর্তমানে পৃথিবীতে ‘বেষ্ট নোন লিভিং একাডেমিক’ এবং পলিটিক্যাল এক্টিভিস্ট। তাঁর আমেরিকার সরকারের নীতির সমালোচক হিসেবে রাজনৈতিক অবস্থান সারা পৃথিবীর জানা।
চমেস্কির বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘গণতন্ত্র এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়’। তিনি বললেন, পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বিভাজন আসলে মূলতঃ টেকনিক্যাল আমেরিকার আইভেলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। কিন্তু তারা আসলে চরিত্রগতভাবে ‘পাবলিক’ – যেমন এমআইটি, হার্ভাড। এরা সবাই সরকারিভাব সাবসিডাইজড। ষাটের দশকে বিপুল পরিমান পেন্টাগন ফান্ডিং ছিল বিশ্ববিদ্যালগুলোতে।গবেষণাগারগুলোতে ক্ল্যাসিফাইড সিক্রেট মিলিটারি রিসার্চ হতো। পেণ্টগনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রদের ইউনিয়ন, শিক্ষক ইউনিয়নগুলো ভয়ানকভাবে পেন্টাগণের ব্যাপারে ক্রিটিক্যাল ছিল।
মিলিটারি ল্যাবের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে আন্দোলন হতো। ইউনিয়নগুলোর সেসব বিরোধিতায় পেন্টাগন বা এফবিআইযের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার ছিল না। তখন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলছে ষাটের দশকের শেষদিকে। এক্টিভিজমের তুঙ্গে তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু পেন্টাগণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ওয়ার ফান্ডিং করতো না। তখনকার অর্ধেক ফান্ডিং আসতো মিলিটারি সোর্স থেকে, অর্ধেক ফান্ড বিশ্ববিদ্যালয় দিত ক্ল্যাসিফাইড রিসার্চের জন্য। পেন্টাগণ ‘ওয়ারওয়ার্ক রিসার্চ ফান্ডিং’ করতো না, করতো হাইটেক ইকোনমি ইনোভেশনে গবেষণার জন্য। যেকারণে আজ ইন্টারনেট, কম্পিউটিং সিস্টেম, হাইটেক টেকনোলজি বিশ্বব্যবস্থায় চালু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ফান্ড স্থানান্তর হয় সত্তরের দশকে। পেন্টাগন থেকে চলে যায় ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউট এবং কর্পোরেট ফান্ডিংয়ের দখলে। এখন গবেষনার গতিপ্রকৃতি অনেক বেশি বায়োলজিভিত্তিক গবেষণাতে। জেনোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি এসব। সাইন্স এন্ড টেকনোলজির চরিত্র পাল্টে গিয়েছে। কর্পোরেট ফান্ডিং রিসার্চের ধরণ হলো প্রায়োগিক এবং স্বল্পকালীন। তারা পারলে পরদিনই ফলাফল চায়। তারা গবেষনার সিক্রেসি রক্ষা করতে চায়। যেটা পেন্টাগন ফান্ডিংযের সময় ছিল না।
তখনকার গবেষণাগারে নাকি ‘সরকার ফেলা দেয়া’ গবেষণা কেউ করলেও পেন্টাগন হস্তক্ষেপ করতো না। কর্পোরেট ফান্ডিং আসার পর গবেষণাগারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় যাতে গবেষণার তথ্য তাদের প্রতিদ্বন্দীদের হাতে না চলে যায়। বিল্ডিংযে ঢোকার জন্য সিকিউরিটি চিপসহ আইডি কার্ড তৈরি করা হয় ল্যাবগুলোতে ট্রাফিক কন্ট্রোল করার জন্য। কিন্তু ফান্ডি যেখান থেকে আসুক না কেন একাডেমিক ফ্রীডম, তথ্য স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এগুলো হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চরিত্রের মূল উপাদান। যেটা সবসময় ‘পাবলিক গুড’ আনে। প্রশ্ন করা এবং চ্যালেঞ্জ করার স্বাধীনতা আছে বলেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিকে আছে। …
হায়! আর কই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো! কি পাবলিক, কি প্রাইভেট সবারই বড়োই দৈন্য অবস্থা – লেখাপড়ার, গবেষণার, রাজনীতির। সৃজনশীল ব্যাপারস্যাপার নাই। মুক্তচিন্তা, শুদ্ধচিন্তা কেমন যেন নাই হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। আছে তাবেদারি। আরো আছে কোপাকুপি, দলাদলি, টেন্ডারবাজি। চামচামি, লেজুড়বৃ্ত্তি। আর কি চাই?
ক্রিপটিক সাইলেন্স
জো নামের অক্সফোর্ড স্নাতক আকর্ষনীয়া মেয়েটিকে আমি অনেক কারণেই মনে রাখতে পারতাম। বাংলা বলতে পারা, খুবই উইটি এবং নমনীয় ব্যবহার, আমার ল্যাপটপ ঠিক করে দেয়া কিংবা একসাথে বেড়ানো। কিংবা শুধুই তার মিষ্টি হেসে বাংলায় ‘ধন্যবাদ’ বলা। যদিও দেশে তার সাথে বাস্তব জীবনের চেনাপরিচয় ছিল মাত্র ক’দিনের জন্য। কিন্তু সব ছাপিয়ে তাকে যে কারণে মনে রেখেছি এবং যোগযোগ আছে তা হলো তার লেখা। বাংলাদেশ নিয়ে লিখতো। বাস্তব অভিজ্ঞতায় সেই লেখায় তার সৎ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন থাকতো। বাংলাদেশে ছিল দুই বছরের মতো। কাজের সূত্রেই পরিচয়।
একদিন জো আমাকে একদল মানুষ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, তাদের সর্ম্পকে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কি? আমি খানিকটা স্কেপটিকভাবে বলেছিলাম, কালো পিঁপড়ারা আসলে ভালো এবং খারাপ দৃইটাই। তারপর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছিল, ভাল কি কি? সবশুনে বলেছিল, তুমি যে সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করো, এরা তোমাদেরকে সার্ভ করে তাই তুমি এত ‘ডিফেনসিভ’ এদের জন্য। এরা কতটা নির্দয় এবং কিভাবে অন্যায় করে ও ক্ষমতা অপব্যবহার করে তা তোমার চোখ এড়িয়ে যায়। এরা মোটেই কালো পিঁপড়ার মতো নিষ্পাপ প্রাণী নয়, এরা কাল কেউটির বিষ দংশনও করে। তোমার চোখে পর্দা আঁটা। তুমি দেখেও দেখো না। আমার মনে পড়লো, কোথায় যেন শুনেছিলাম – নাইটস আফটার নাইটস, উই প্রিটেন্ড ইটস অলরাইট।
আমি প্রথমে একটু ফ্ল্যাশি কথাবার্তা বলেছিলাম। পরে বলতে বাধ্য হলাম, আসলেই একটা কালচার অব ফিয়ার তৈরি হয়েছে আমাদের এখানে। সত্যিই তো এতো কিছুর পরও তো অবস্থার আহামরি কোন পরিবর্তন হয়নি। তাদের কাজগুলো যেসব ভাল কাজের দাবি করে সেগুলো খুবই সুপারফিশিয়ালভাবে হয়। রাজনৈতিকভাবে তারা ব্যবহৃত হয়ে থাকে বা নিজেরাই হতে দেয়। মানুষজন গুম হয় এবং ক’দিন কোন খবর থাকে না। রাষ্ট্র তো এইটা কারো সাথে করতে পারেনা। আর এক্সট্রা জুডিশিয়াল উপায়ে দুনিয়ার বাইরে উপরওয়ালার হেফাজতে পাঠানোর কথা তো বাদই দিলাম। হায়, আমার সোনাবন্ধুর পিরিতির পথনাটক – “ক্রসফায়ার”!
মানুষজন যতো কুখ্যাতই হোক, ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা যায় না। সেটা ঠিক না এবং বৈধ না। তাহলে কোনদিনও সমাজে ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে না। এইটা আপাতঃ দেখতে স্বস্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু এটা কোনদিনও “পাবলিক গুড” হতে পারে না। হবেও না। সমাজ চলে মূলতঃ মরালিটি, ফিলসফি এবং আইনের শাসন ও ন্যয় বিচারের উপর। অথচ আমরা রহস্যময় নিশ্চুপ থেকে রাষ্ট্রীয় অন্যায়গুলোর সামাজিক এবং রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে দেই। একধরণের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ইনডেমনিটি তৈরি করি। এমনকি বছর দুয়েক আগে শহিদুল আলমের “ক্রসফায়ার” শীর্ষক একজিভিশনটাও চালাতে দেয়া হয়নাই। মহাশ্বেতা দেবীর মতো প্রথিতযশা লেখিকাকে উদ্ভোধন করতে দেয়া হলো না প্রদর্শনীটি। এতো বড় এলিট বাহিনীর কলিজার নমুনা তাহলে এই?
আচ্ছা, সন্ত্রাসীর সংঙ্গাটি কি? কেউ যদি আমাকে সন্ত্রাসী বলে, তখন কিভাবে প্রমাণ করবো আমি সন্ত্রাসী নই? সন্ত্রাসীর সংঙ্গাটি বরাবরই খুব অস্পষ্ট এবং সস্তাভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে অবস্থাদৃষ্টে ধারণা করি। কথিত সন্ত্রাসী ধরে টিভি ক্যামেরার সামনে কালো চশমা পরে বিজয়ীর হাসির তামশাটা দেখতে আজকাল বড়ই বিরক্ত এবং একঘেয়ে লাগে। আর এই ‘ক্রিমিনালাইজেশন’ প্রক্রিয়াটি কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন করাই যেতে পারে। সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের টিকিটুকু ছুঁতে পারলে বুঝতাম কে কত বড় রুস্তম। সেটি কি আমরা হতে দেখি? কখনো কখনো ভাবি, আমি যদি লিমন হইতাম! কিংবা আমার পরিবারের কেউ যদি লিমন হইতো! তাহলে আমি কি সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করবো যেদিন আমার সাথেও এমন হবে। হয়তো তাই। আমাদের ক্রিপটিক সাইলেন্স!
[জো’র প্রাসঙ্গিক একটি লেখা জানুয়ারিতে ওপেন ডেমোক্রেসিতে প্রকাশিত হয়।]
শাসকের প্রতি
জয় গোস্বামী
আপনি যা বলবেন
আমি ঠিক তাই করবো।
তাই খাবো
তাই পরবো
তাই গায়ে মেখে বেড়াতে যাবো,
কথাটি না বলে।
বললে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে থাকবো সারা রাত,
তাই থাকবো।
পরদিন যখন বলবেন
এবার নেমে এসো
তখন কিন্তু লোক লাগবে আমাকে নামাতে,
একা একা নামতে পারবো না।
ও টুকু পারিনি বলে
অপরাধ নেবেন না যেন।
গত সপ্তাহে যশোর গিয়েছিলাম। অনেকদিন পর। আগে যে ধুলাময় ভাবটা ছিল সেটা অনেক কমে গেছে। আর ইজি বাইক (আমি বলি টুকটুকি!)-এ সয়লাব হয়ে গেছে।
এরপর ১২/১৩ ঘণ্টার জন্য খুলনা গিয়েছিলাম...পরে মাওয়া পথে ঢাকা।
রাব্বী ভাই আছেন কেমন?
আপনার লেখা নিয়মিত পড়ি...অনেক ভাল লাগে...
ভাল থাকবেন।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ভাল আছি, জুনা। যশোর যাই নাই চার বছর। টুকটুকি জিনিসটা দেখি নাই যশোরে আগে, নতুন মনে হয়।
তুমিও ভাল থেকো।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
সিরিজটা পড়ছি ভাইয়া।
অ. ট. : ফোন নাম্বার পাওয়ার সবচেয়ে ভাল জায়গা মনে হয় ফেসবুক-
http://www.facebook.com/friends/edit/?sk=phonebook
ধন্যবাদ। ফেসবুক ব্যবহার থেকে বিরত আছি বর্তমানে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী, তোমার জন্য গর্ব হয়। তুমি আমাদের গর্বের জায়গা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঐ
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জ্বী, কিছু কবেন?
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ভ্রাতঃ, 'বি' গ্রেডের ছাত্রকে 'এ-প্লাস' দিতেছেন, তারপরও ধন্যবাদ।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আপনার লেখা নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই, জটিল একটা কবিতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ 🙂
ধন্যবাদ হাসান।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বি ভাই, এখনকার 'ক্রস ফায়ার' অনেকটা রাজনৈতিক হয়ে গেছে, তাই লিমন এর মত অনেক সাধারণ মানুষ 'সন্ত্রাসী' কিংবা 'বেক্তিগত আক্রোশ' এর শিকার হয়...মাঝে মাঝে খুব ই দুঃক্ষ হয়..আমরা কবে ভালো হব?
(শুরু তে বলে নিস্সী আমি বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড কে কখনো ই সমর্থন করি না...যেইটা অন্যায় ঐটা কে অন্যায় ই বলতে ভালবাসি)
তবে একটা জিনিস বলতে চাই, সেই কালো পোশাক ধারীদের কিন্তু অর্জন ও কম নয়. USA যেমন লাদেন কে মারতে পরসে, আমাদের দেশে ও কিন্তু এই type অর্জন আছে. (1) আপনার মনে আসে কিনা একসময় সারা দেখে সব জেলাতে বোমাবাজি হয়েছিল,প্রায় প্রতিদিন ই দেশের বিভিন্ন কোর্ট বা আইনজীবিদের ওপর বোমা হামলা হত.....সেই বোমাবাজি বা JMB এর বিরুদ্ধে এই বাহিনীর অবদান কিন্তু একার ই.
(2) আমাদের দেশের সন্ত্রাসী রা আর কিছু ভয় না পাক, এই বাহিনী কে ঠিক ই ভয় পায়, আর এই জন্য ই দেশে এখন প্রকাস্সে আগের মত খুন খারাবি কম....(যদিও এইটা বিতর্কিত)
(৩) 'কথিত' সন্ত্রাসীদের সাথে 'কথিত বন্দুকযুদ্ধে' অনেক পুলিশ/নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও আহত/মারাত্মক আহত হয়েছে .....অনেক খবর এসেছে....অনেক কিসু জানানো হয় নাই এই বাহিনীর prestige এর জন্য.....কোথায় তাদের জন্য তো কোনো মানবাধিকার সংস্থা বা অন্য কারো মাথা বেথা হতে দেখলাম না......তাহলে কি বেপারটা এমন যে সরকার এদের টাকা দেয় মারা যাবার জন্য ই? ...নাকি এরা মানুষ না...তাই এদের মানবাধিকার নাই?
(৪) দেশে এমন কোনো দিন নাই যে কেব খুন হয় নাই, গুম হয় নাই, জবাই হয় নাই....ডাকাতি হয় নাই....ছিনতাই ই আহত হয় নাই.....কোনো মেয়ে ধর্ষণ এর শিকার হয় নাই.....এইসব সন্ত্রাসীদের আগে রুখতে হবে আমার মনে হয়......এই সমস্যার উত্তরণ কোথায়? আমাদের জীবন এর নিরাপত্তা কোথায়?
আমি একটা জিনিস মনে করি, আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনো নিয়ম মানে না ইউরোপে আমেরিকা র মত..... উন্নত দেশে কুত্তা বিড়াল এর ও তো জীবন এর মুল্য আসে...আমাদের তো মানুষের জীবন এর মুল্য নাই.....নিয়ম এর কথা বললে,একজন খুনি কে ধরলে সে পরের দিন টাকা দিয়ে জামিন নিয়ে যারা মামলা করসে তাদের হুমকি দিবে, অন্য লোক দিয়ে তাদের ক্ষতি করবে......সাক্ষী এর অভাবে মামলা ডিসমিস হয়ে যাবে.....এইটা ই তো বাস্তবতা ভাই......অনেক ছোটখাটো বিষয় বিবেচনা করলে- এখনো মানুষ রাস্তায় ময়লা ফেলে, ডাস্টবিন রেখে তার পাশে ময়লা ফেলে, যেইখান সেইখান দিয়ে রাস্তা ক্রস করে....আরো অনেক কিছু ......আমাদের 'নিয়ম না মানা টা ই তো নিয়ম' হয়ে গেছে ......আমাদের এই পথ থেকে উত্তরণ এর উপায় কি? মাঝে মাঝে hardline এ যাওয়া যেতে পারে না? হাজার হাজার লিমন যে সন্ত্রাসীরা গুলি করে মেরে ফেলতেসে....গুম করে ফেলতেসে.....দেশের নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয় গুলুতে রাজনীতির নামে অহরহ লিমন খুন/মারাত্মক আহত/অঙ্গহানি হস্সে.....কোথায় আমি তো কারো মাথা বেথা দেখলাম না.....২/১ দিন পেপার আর খবর এর কাভার হয়ে সব শেষ....সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আসবে কি করে?
- ২০০৬ এর সেপ্টেম্বর এ যে ঢাকার রাস্তায় মানুষ কে সাপ এর মত পিটিয়ে মারা হয়েসে ঐটা নিয়ে ও তো কাউকে ব্লগ লিখতে দেখলাম না..!!
- কিসুদিন আগে নাটোরে এর এক চেঅরমান কে জনসম্মুখে কুপিয়া মারা হয়েছে..ঐটা নিয়ে তো আমাদের আইরিন খান কে কোনো টক শো করতে দেখলাম না......আমাদের ও দৃষ্টভঙ্গি র পরিবর্তন প্রয়োজন মনে হয়.
আরো ওপরে দেখলে নিরস্র লাদেন কে যে মেরে ফেলা হলো এইটা কোন নিয়ম এ পরে? জেনেভা convention / human rights?
- 'গুয়ান্তানামো বে' কারাগার বন্ধ হচ্ছে না কেন?
- জাতিসংঘ এর অনুমতি সারা কি করে ইরাক আক্রমন করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে? কোথায় সেই নীয়ক্লিয়ার বম্ব?
- কি করে ইসরাইল এর মত একটি আবাস ছাড়া জাতির মানচিত্র দিন দিন বড় হচ্ছে?
আমরা কি করতে পেরেসী?
(উত্তর বোধ করি এইটা দিবেন না যে ক্রস ফায়ার বন্ধ করতে হবে...তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে)
আবার ও বলতেসি, আমি 'ক্রস ফায়ার' সমর্থন করতেসি না.....আসলে উত্তরণ এর উপায় খুজতেছি..
১০০ জন দোষী ব্যক্তি ছাড়া পেলে সমস্যা নেই কিন্তু একজন নির্দোষ ব্যক্তি যেন সাজা না পায়- আইনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাকসিমগুলোর মধ্যে এটি একটি।আমরা যারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে আছি তারা যদি এটি পুরোপুরি আত্মস্থ করতে না পারি তাহলে কিন্তু ভবিষ্যত অন্ধকার।
(সম্পাদিত)
মাসরুফ , তুমি ঠিক বলেছ, আমরা কেউ ই চাই না কোনো নিরপরাধ বেক্তি শাস্তি পাক, বা ক্ষতিগ্রস্ত হোক, আমি বার বার ই আমার বক্তব্যে বলেছি যে আমিও বেক্তিগতগতভাবে এইটাকে সমর্থন করি না, বা করার চেষ্টা করতেসি না. আমি সমসাময়িক অন্য সমসসাগুলুর দিকে ও সবার নজর রাখার অনরুধ করেছি. আমি বার বার ই উত্তরণ এর উপায় কি হতে পারে এইটা জানতে চেয়েছি আমাদের এই নিরাপত্তাহীনতা থেকে.
আর উদারতা দেখিয়ে ১০০ জন কে ছেড়ে দিতে পারলে আর এক জন কে ছেড়ে দেওয়ার কথা কি বিবেচনা করা যায়?!! (আর maxim এর কথা বললে এইটা ও তো দুক্ষের কথা যে আমাদের দেশে এমন অনেক maxim বা আইন কাজ করে না....আমাদের কি বিচার বেবস্থাও শক্তিশালী করা উচিত না যেন কোনো বেক্তি অপরাধীদের শিকার না হয়....অন্যায় করে 'কেউ' যেন বের হয়ে যেতে না পারে......আমাদের ১০০ জন এর উদারতার জন্য ই হয়ত লিমন এর মত নিরপরাধ ছেলের জীবন নষ্ট করে ও কারো কিছু হবে না......কারণ হিসাবে আমার বক্তব্য এর শুরুতে ই 'রাজনৈতিক' বা 'বেক্তিগত' প্রতিহিংসা কে পুজি করে এইসব হত্যাকান্ড করানো হস্সে বলেও আমি মনে করি বলেছি.....আর একটু ভালো করে দেখো না ভাই.....এই সব কালো পিপড়া গুলা তো হুকুম এর গোলাম.....এদের নিজের ইচ্ছা তে অনেক কিসু ই হয় না.....যাদের ইচ্ছাতে এইসব হয় তাদের কি চিন?
দেখো সোলায়মান, কেউ ভাল কাজ করেছে বলে তার ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ হত্যাকান্ড কখনো বৈধ হতে পারে না, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলে তো আরো নয়। র্যাবের জন্মের প্রেক্ষাপট কি? নাইন ইলেভেন পরবর্তী ওভারসীজ কাউন্টার টেরোরিজম অপারেশন। এটি একটি প্রেসক্রিপশন ফোর্স এবং গ্লোবাল ওয়ার অন টেররের একটি সাইড ডিশ। এইটা একটু বোঝার ব্যাপার আছে, ভায়া। মূলত মৌলবাদী উপাদানগুলো যখন আফগানিস্থানসহ অন্যান্য দেশ থেকে তালেবান এবং আল-কায়েদার ধ্যানধারণার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে দেশে ফিরে পূর্ন ক্যাপাসিটিতে কার্যকর হওয়া শুরু করে এবং রাজনৈতিক দলসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের নানাভাবে ব্যবহার করা শুরু করে সেই প্রেক্ষাপটে এই বাহিনীর প্রয়োজন পড়ে।
আমাদের দেশে জীবনের এবং সম্পদের নিরাপত্তার চরম সংকট এবং নানারকম এ্যান্টি স্যোশাল এলিমেন্ট যে সাংঘাতিকভাবে আমাদের জীবন অতীষ্ট করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে তা নিয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই। সেটার জন্য মূল পুলিশ বাহিনীকে যথাযথ কার্যকর এবং জাস্টিস সিস্টেমকে রিফর্ম করাই সংগত। তাতে আখেরে ফল ভাল হতো। পুলিশ একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান। সেইসাথে পোলিসিং। র্যাবকে ভয় পেয়ে কতটুকু লাভ হচ্ছে? ছোট মাপের রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধের জন্য রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই যথেষ্ঠ। সেজন্য সনাতনী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করা প্রয়োজন। ‘সন্ত্রাসীরা’ ভয় পায় র্যাবের ‘টরচার’ এবং ‘ক্রসফায়ারকে’, র্যাবের কারণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে সেকারণে ভয় পায় বলে এখনো মনে হয় না। শুধু সন্ত্রাসী না, সাধারণ মানুষও র্যাবকে ভয় পায়। অন্যায় করলে শাস্তি অবধারিত এটা প্রতিষ্ঠিত হলেই কমতে পারে সমাজে অস্থিরতা।
মানবাধিকার সবার জন্যই প্রযোজ্য। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যেমন সমালোচনার বাইরে নয় তেমনি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি থাকলে সেটা নিয়েও সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু তোমার ৩নং পয়েন্টে আমার মনে হলো তোমার মানবাধিকারের ধারণা স্পষ্ট না। কাউন্টার টেরোরিজম অপারেশন তো র্যাবের কাজের মধ্যেই পড়ে। নাকি? সেখানে কেউ হতাহত বা আহত হলে তো সেটি অন্য প্রসঙ্গ। র্যাবের সদস্যরা তো স্ব স্ব বাহিনীতে রাষ্ট্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের শপথ করেই দায়িত্বপ্রাপ্ত, নাকি? সেখানে তো আমি যেইটা বুঝি, মানবাধিকারের প্রশ্ন আসছে না। আসবে তখনই যখন সেই সদস্যের সাথে তার অধিকার খর্ব করা হয় এমন কোন অন্যায় যদি করা হয়। তেমনী অপরাধীরও বিচার পাবার অধিকার আছে। আমি অবশ্য মূল যে কারণে এতো কথা বলছি তা হলো নিরপরাধ মানুষের ভিকটিম হওয়া এবং তার ন্যয়বিচার না পাওয়া।
তোমার চার নম্বর পয়েন্টের ভিত্তিতে বলি – পাড়ার সিঁচকে চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত, সিরিয়াল কিলার, ভাড়াটে খুনী, ধর্ষনকারী, মৌলবাদী সন্ত্রাসী, সংগবদ্ধ সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক সন্ত্রাসী এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর ভেতর পার্থক্য আছে। এটা ঠিক, অনেক সময় এগুলো অভারল্যাপ করে। তারপরও অপরাধীর এবং অপরাধের সংঙ্গার পার্থক্য নিরুপন করা জরুরী। নিশ্চিতভাবে আছে সেগুলো, নাহলে আইন থাকতো না। কিন্তু যারা আইন প্রয়োগ করে তারা এগুলো ঠিকঠিকভাবে জানে কিনা সেটা একটি প্রশ্ন। নিরপরাধ মানুষ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে যে সে সন্ত্রাসী না?
র্যাবের গড়পড়তা ‘ক্রিমিনালাইজেশন’ প্রক্রিয়া সমর্থনযোগ্য না বলেই মনে হয়। সন্ত্রাসী সংঙ্গার ভুল এবং অবৈধ ব্যবহার করা হচ্ছে। লিমনের ঘটনাই যথেষ্ঠ যে ক্ষমতার অপব্যবহার কিভাবে করা হয় তা বলার জন্য। শুধু গুলি করা না, তারপর থেকে যা যা করা হচ্ছে তার সবই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলেই সাধারণ চোখে মনে হয়। এমন অসংখ্য আন্ডার নোটিসড ঘটনা আছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। কারো কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলেও, সে তো সন্ত্রাসী নাও হতে পারে। বা কেউ খুন করলেই সন্ত্রাসী না, সে খুনী। সন্ত্রাসী ধারণাটা ভজঘট হয়ে গিয়েছে।
তোমার অন্য পয়েন্টগুলো নিয়ে আর কথা বাড়ালাম না। এটুকুই বলি, অন্যায় রোধ করতে আরেকটি অন্যায় প্রশ্রয় দেয়া সমাধান না বলেই আমি সাধারণভাবে বুঝি। পৃথিবীতে এর ব্যত্যয় অনেক আছে, কিন্তু সেগুলো ঠিক প্রণিধানযোগ্য না অন্যায়কে জায়েজ করার জন্য।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
১. RAB এর প্রতিষ্টার যেই প্রেক্ষাপট দিলেন এইটার সাথে আমি পুরাপুরি একমত না, এইটা আংশিক সত্তি প্রেক্ষাপট.
২. 'অন্যায় করলে শাস্তি অবধারিত এটা প্রতিষ্ঠিত হলেই কমতে পারে সমাজে অস্থিরতা'- এইটা আমরা নিশ্চিত করতে পারি নাই বলে ই RAB বা গোয়েন্দা সংস্থা গুলুর দাপট, র এই দাপট এর উত্স হলো রাষ্ট্রযন্ত্র.
৩. 'কিন্তু তোমার ৩নং পয়েন্টে আমার মনে হলো তোমার মানবাধিকারের ধারণা স্পষ্ট না।' -আমি আসলে ই এখন মানবাধিকার নিয়ে confused. আমি মনে করতাম 'মানুষের মৌলিক অধিকার' নিশ্চিত করা ই মানবাধিকার সার্বিকভাবে. বিস্তারিত বললে আমার খাওয়া , পরা, লিখাপড়া, থাকা, নেয়বিচার ইত্যাদি ইত্যাদি সহ বেচে থাকার নিয়ামক্গুলু নিশ্চিত করা ই মানবাধিকার. কারো কাজ কাউন্টার টেরোরিজম অপারেশন বলে সেইখানে হতাহত হলে এইটা অন্য প্রসঙ্গ........!!!...এইটা দুক্ষজনক. '' র্যাবের সদস্যরা তো স্ব স্ব বাহিনীতে রাষ্ট্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের শপথ করেই দায়িত্বপ্রাপ্ত, নাকি? সেখানে তো আমি যেইটা বুঝি, মানবাধিকারের প্রশ্ন আসছে না।''--- ঠিক ই বলেছেন, সরকার এদের টাকা দিয়ে পোষে তো জীবন দেবার জন্য ই, সরকার তো এদের জীবন টাকা দিয়ে কিনে নিসে, এরা মানুষ না, এদের কোনো মানবাধিকার ও নাই. ধরেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ, আমার বাচার অধিকার আছে তো? এখন সরকার আমাকে দায়িত্ব দিছে অপরাধী ধরার জন্য, অপরাধী ধরতে গিয়ে তারা যদি আমাকে গুলি করে বা কোপ দেয় এইটা নিয়ে আপনার কষ্ট পাওয়া উচিত না? আইরিন খান সহ অন্য যারা মানবাধিকার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, তাদের বলা উচিত না যে যারা আমাদের জন্য কাজ করে তাদের ওপর ও জীবন এর হুমকি?
৪. 'নিরপরাধ মানুষ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে যে সে সন্ত্রাসী না?'-এইটা আসলে ই কঠিন রাব্বি ভাই. আমিও এইটা মনে প্রাণে বিশসাস করি. cadet college এ কোনো সিনিয়র এর কাছে যেমন নিজেকে নিরপরাধ প্রমান করা কঠিন (আর কিছু না পাইলে তর তো হাটা ই ঠিক নাই..!!)....রাষ্ট চাইলে ও যেই কাওকে ই অপরাধী বা সন্ত্রাসী বানাতে পারে. কারণ আমরা সবাই কম বেশি অপরাধী বা সন্ত্রাসী.
৫. 'কারো কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলেও, সে তো সন্ত্রাসী নাও হতে পারে। বা কেউ খুন করলেই সন্ত্রাসী না, সে খুনী। সন্ত্রাসী ধারণাটা ভজঘট হয়ে গিয়েছে।'- কারো কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলে সে সন্ত্রাসী হতে ও পারে, কারণ আপাত দৃষ্টি তে অবৈধ অস্ত্র তো খাবার জিনিস না যে তার বেচে থাকার জন্য জরুরি, বা খেলার জিনিস না যে খেলা করত এইটা দিয়ে, কাউকে ভয় দেখাত না. খুন করলে ও সন্ত্রাসী. আমি বুঝি কারো কোনো কারণে/কাজে যদি ত্রাস এর সৃষ্টি হয় এবং তা মানুষের স্বাভাবিক জীবন কে বিপর্যস্ত করে সে ই সন্ত্রাসী. তাই খুনির কাজে আমার সংগামত ২ তা ই সাধিত হয়. টুইন টাওয়ার এ আক্রমন যেমন সন্ত্রাসী, পড়ার মাস্তানি ও সন্ত্রাসী, আত্মঘাতী বোমা হামলা যেমন সন্ত্রাসী, আমাকে কেউ কলম নিয়ে মারতে আসলে ও সে সন্ত্রাসী (কারণ তার কলম আমাকে বা আমাদেরকে লিখার আমন্ত্রণ জানায় না...আমাদের ততাকথিত মানবাধিকার এর হুমকি দেয়).....আসলে ই সন্ত্রাসী টা সংগায়িত হওয়া প্রয়োজন, যে কাকে কাকে আমরা সন্ত্রাসী বলব.
শেষে, রাব্বি ভাই, আমার এইখানে কোর্স প্রায় শেষ, তারপর ও weekend..... এমন অফুরন্ত সময়, কিছু করার নাই, তাই খুটে খুটে সব পর্যালোচনা করি...!!..এইটা বেক্তিগত আক্রমন হিসাবে নিবেন না আশা করি. আমি সব বুঝি এমন কিছু প্রমান করতে চাচ্ছি না, আলোচনা টা আমাকে বরাবরের মত ই আপনার লিখা থেকে জানার এবং বুঝার আগ্রহ যুগিয়েছে (আপনি দেখবেন যে আমি অন্য কারো লিখায় তেমন কমেন্ট করি না, আপনার যুক্তি ভালো লাগে বলে ই করি). তাই নিজের ভোতা যুক্তিগুলু উপস্থাপন করে তা শুধরিয়ে নিচ্ছি.
১. র্যাব প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক রাজনৈতিক এবং দেশের প্রেক্ষাপট যদি আংশিক হয়। তুমি সেটা পূর্ন কর, নাহলে তো অন্যদের কাছে অপরিপূর্ন থাকলো।
২. “RAB বা গোয়েন্দা সংস্থা গুলুর দাপট, র এই দাপট এর উত্স হলো রাষ্ট্রযন্ত্র” – রাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা এটা। কিন্তু চিন্তা করে দেখো কিভাবে এই ম্যানিপুলেশনগুলো করা হয় এবং কারা করে।
৩. মানবাধিকার সর্ম্পকে জানতে ‘ইউনিভার্সেল ডিক্লারেশন অব হিউমান রাইটস’ গুগল করো। মানবাধিকার অনেক বড় ব্যাপার – আশাকরি কিছুটা হলেও ধারণা পাবা। তোমার মতো মানুষ যদি মানবাধিকার কি তা না জানে তাহলে ভবিষ্যত সত্যি অন্ধকার। কেউ যখন আইনশৃংক্ষলা বাহিনী কিংবা সামরিক বাহিনীতে চাকরি নেয় সে তো জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেই সেই পেশায় যায়। পরে ভাল না লাগলে নিশ্চয়ই চাকরি ছাড়ার অধিকারও আছে তার। কেউ কাউন্টার টেরোরিজম অপারেশনে হতাহত হলে সে তো রাষ্ট্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করলো (তার মানে এটা না যে অপারেশনে যাও এবং মরো)। সেটি তো মানবাধিকারের প্রশ্ন নয়, তাই বললাম ‘অন্য প্রসঙ্গ’। আইনশৃঙ্ক্ষলাবাহিনীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃর্ত্যু বা অন-ডিউটি আহত হলে যেকোন বিবেগবান মানুষই দুঃখিত হয় বলে আমার ধারণা।
আইরিন খান ‘এ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের’ চেয়ারপারসন, যেটি মানবাধিকার বিষয়ে একটি আর্ন্তজাতিক ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ প্রতিষ্ঠান। আমার ধারণা, বাংলাদেশে যেকোন বাহিনীতে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় ‘এ্যামেনেষ্টি’ হয়তো সেটি নিয়ে বলবে আর্ন্তজাতিকভাবে এবং সরকারকে। অতীতে বলেছে।
৪. নিরপরাধ প্রমাণ করার বিধান রাষ্ট্রের সংবিধান এবং আইনকানুনেই দেয়া আছে। আমার নিরপরাধ প্রমাণ করার অধিকার রয়েছে সংবিধানের আর্টিকেল ৩১-এ - আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার। কিন্তু “লিমনের” ক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে র্যাব ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছে এবং এখন একইভাবে নিজেদের অন্যায় ঢাকার চেষ্টা করছে। আর র্যাব যেটা করে ক্রসফায়ার সেটি সংবিধানের আর্টিকেল ৩২ সরাসরি লঙ্ঘন – আইনানুযায়ীব্যতিত জীবন এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা বঞ্চিত করা।
৫. সন্ত্রাসী বিষয়ে তুমি ঝাপসা মনগড়া কথা বললে। সন্ত্রাসবাদের একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোন ইউনিভার্সাল সংঙ্গা নাই। বর্তমান টেরোরিজমের ধারনা এবং সাধারণ ক্রিমিন্যাল অফেন্স এক না। খুন মানুষ নানাভাবে হতে পারে, খুনের অনেক প্রকারভেদ এবং মোটিভ আছে। তাই সব খুনী কখনো সন্ত্রাসী হতে পারে না। তোমাকে কেউ কলম দিয়ে মারলে বড়জোর ক্রিমিন্যাল অফেন্স হতে পারে। সেটা সন্ত্রাসী কাজ বানাতে আরো শর্ত পূরন করতে হবে। এসবের জন্য পুলিশ এবং পেনাল কোডই যথেষ্ট হবার কথা ছিল। মূল লেখায় এটাই বলতে চেয়েছি ‘সন্ত্রাসী’ নামটির অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং ভুলভাবে মানুষকে 'ক্রিমিনালাইজ' করা হচ্ছে।
আমার সাধারণভাবে ধারনা আইনশৃঙ্ক্ষলার জন্য পুলিশ হচ্ছে যথার্থ ফোর্স (বাংলাদেশে যদিও এটা রাজনৈতিক এবং নানা বাস্তবতায় কার্যকর অবস্থায় নাই)। সেই ধারনাটা তোমার কথা শুনে আরো পাকাপোক্ত হলো।
অফটপিকঃ এরপরের কমেন্ট ছোট করে দিবা এখন থেকে (দয়া করে)।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
মাঝে রাজশাহীতে কিছুদিন – সাহেব বাজার, টি-বাঁধ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, টেনিস ক্লাব, চিড়িয়াখানা, উপশহর, রাজশাহী রেল স্টেশন ...ইয়ে, এর সাথে আমার বর্তমান আবাসস্থল্টাও যোগ করে দিলে খুশিতে দিল গার্ডেন গার্ডেন হয়া যাইতো :shy:
তোর বর্তমান আবাসস্থল সারদায় গেছি সেটা তো জানিস। খুব সুন্দর একাডেমি পদ্মার পাড়ে। আহা বানেশ্বর এবং চারঘাট!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
পুরো পোস্ট পড়েছি।
সময় করে লম্বা কমেন্ট করে যাবো।
যথা আজ্ঞা, জনাব।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বি ভাই, আমিও বলেছি 'অন্যায় সবসময় ই অন্যায়'...আমিও শিকার করি, সাথে সাথে আমি তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য ও আছে এইটা বলেছি.
প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের কথা বলেছি এই জন্য যে, আপনার বক্তব্যের একটি অংশ-
''সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের টিকিটুকু ছুঁতে পারলে বুঝতাম কে কত বড় রুস্তম। সেটি কি আমরা হতে দেখি?''
এই কালো পিপ্রারা অনেকের এ টিকি ছুটে পারে/পেরেছে, এর এই জন্য ই এদের কে রাজনৈতিক ভাবে বেবহার করা হচ্ছে. আমার এত কিছু বলার উদ্দেস্য ছিল যে, আসলে এই পিপড়া রা তো নিজের ইচ্ছে তে কিছু করে না/করতে পারে না, এইটা আপনি জেনে থাকবেন........তাহলে আমাদের লাল চোখ তাদের দিকে কেন?
আমি এত কাহিনী বলেছি তাদের সাফাই গাবর জন্য না, বুঝতে চেয়েছি লিমন এর মত আমাদের সবার ই জন নিরাপত্তার সমস্যা.....সমস্শাগুলু বহুমাত্রিক.....শুধু এক ক্রস ফায়ার বন্ধ করে এই সমস্যার সমাধান হবে না, হয়ত রাষ্ট্রযন্ত্র নতুন কিছু বের করবে আবার. গোড়া থেকে সমস্যা সমাধান এর কথা বলেছিলাম. আমি সহজভাবে যা বুঝি, ধরুন আমার মতে বাংলাদেশ এ Teletalk এর service খুব ই খারাপ, এই সমস্যা কিন্তু একা Teletalk এর না...এইটা বহুমাত্রিক.......ভালো সার্ভিস পেতে হলে আমাদের এককভাবে Teletalk কে দোষারোপ না করে, বা এই প্রতিষ্টানের Chairman কে গালিগালাজ না করে, রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে শুরু করে যাদের কারণে এইটা ভালো হস্সে না তাদের দিকে আঙ্গুল দিতে হবে, Teletalk এর ইচ্ছে তে তো আর সার্ভিস ভালো খারাপ হয় না.
আমি এখন হয়ত বুঝতে সক্ষম হয়েছি আমি কি বলতে চেয়েছি, না পারলে আর চেষ্টা করব না, কারণ এর চেয়ে স্পষ্ট করে আমি আর কিছু বলতে পারব না. মূল কথা ছিল-
'দুরের কালো পিপড়া দেখে আমরা যেমন চিন্তিত হচ্ছি, সাথে সাথে কাছের হাতি গুলু কে এবং কারা এইটা ও দেখতে হবে আমাদের. (আমি বলছিনা পিপড়া রা ভালো, তাদের ছেড়ে দিন, কালো পিপড়া দের সমস্যা বহুমাত্রিক, তারা কর্মী পিপড়া মাত্র ভায়া)'.
ভালই বলেছো। তুমি কেন ডিফেন্ড করছো সেটাও বুঝি। আবার পরোক্ষভাবে "ক্রসফায়ার" সমর্থন করলে। তার আগে প্রথমে বললে অবৈধ হত্যাকান্ড সমর্থন করো না। বিষয় দুইটা পরষ্পরবিরোধী হয়ে গেলো। আমি কখনোই বলিনি শুধুমাত্র 'ক্রসফায়ার' বন্ধ করলে জননিরাপত্তার সমাধান হয়ে যাবে। বিষয়টাকে ব্যক্তিগতভাবে নিও না।
র্যাব দেশের একটি কাউন্টার টেরোরিজম এলিট ফোর্স এবং টেলিটক সম্ভবত রাষ্ট্রীয় মালিকানার বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মাত্র - দুইটার তুলনা আসলে যথার্থ না। কারণ দুই প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা আসলে দুই ধরণের। র্যাবের সমালোচনা হচ্ছে, গালিগালাজ হচ্ছে না। শুধু ক্রসফারায়ই না, আরো বহুরকমের ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহারই র্যাব করে। লিমনকে গুলি করার পরের ঘটনা প্রবাহ দেখলেই স্পষ্ট র্যাব কিভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ম্যানুপুলেট করে একজন নাগরিককে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এখন র্যাবের ধর্মীয় মৌলবাদী কাউন্টার টেরোরিজম সফলতা আছে বলে কি এটা সমালোচনা করা যাবে না? নাকি মাইনষের ঠ্যাঙের কোনই দাম নাই?
তোমার কথাগুলো শোনাচ্ছে খানিকটা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটে যেহেতু বেশ কিছু সফল গবেষণা হযেছে অতএব ছাত্ররাজনীতি বা শিক্ষক রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে বলাটা সমীচীন না। কারণ ওগুলোতো রাজনৈতিক, মূলধারার রাজনীতিপ্রসূত, তাই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা ছাত্রদের নিয়ে বলা যাবে না। মূল সমস্যা রাজনীতির যেমন, ঠিক তেমনি প্রতিষ্ঠানের এবং ব্যক্তিরও দায় আছে। কর্মী হোক, আর কর্মকর্তা হোক, তুমি যখন অফিস হোল্ড করবে তোমার কাজের উপর ভিত্তি করে ভাল এবং খারাপ দুই ধরনের সমালোচনাই গ্রহন করার মানুষিকতা থাকা কাম্য।
ঘটনা হইলো, আমি অন্ধ বলিয়া প্রলয় থামিয়া থাকে না।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
হা হা, রাব্বি ভাই, ডিফেন্ড ও আসলে করতে চাচ্ছি না বা কোনো কিছু কে স্বীকৃতি ও দেবার পক্ষে না. Teletalk আর RAB এর মধ্যে তুলনা করি নাই, সাধারণ একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাইতে চেয়েছি. আমিও বুঝি যে এদের তুলনা হয় না.
কিছু মনে না করলে আমার নিজের একটা কথা বলি. আমাদের বাসায় পরপর ২ বার ডাকাতি হয়েছে (দেশের অন্য সব মানুষের মত ডাকাত এর ও ধারণা হয়েছে যে সরকার এর প্রতিরক্ষা বাজেট এর সব টাকা বা দেশের মানুষের দেওয়া টাক্স এর সব টাকা মনে হয় বস্তা ভরে আমাদের মত সদস্যদের বাসায় থাকে..!!!!). ভাগ্যক্রমে আমার অসহায় বাবা মা ২ বার ই প্রাণ এ বেচে যান, সামান্য আহত হয়েছেন. এর পর থেকে আজ পর্যন্ত আবার বাবা মা গত ৪ বছর এক রাতের জন্য ঘুমাতে পারেন নাই, এখনো সামান্য আওয়াজ হলে আমাকে ফোন করে, ভয়ে কাতর হয়ে থাকে, আমার বাবা রাতের পর রাত না ঘুমাতে ঘুমাতে আজ প্রায় দৃষ্টিহীন (আগে ই তার চোখে সামান্য সমস্যা ছিল) .....এমন পরিস্থিতিতে -আমার অবস্থান, তথাকথিত আইন এর শাসন, জননিরাপত্তা আইন, বা রাষ্টতন্ত্র কোনো টা ই আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে পারে নাই. তবে, মাঝে মাঝে আমার অনুরোধ এ কালো পিপড়াদের আনাগোনা তে কিছু রাত আমার বাবা মা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পেরেছেন.....জানি কোনো কিছু ই আমার বাবার দৃষ্টি..কিংবা আমার মা র মানসিক অস্থিতিশীলতা থেকে মুক্তি দিতে পারবে না, কারণ এই কালো পিপড়াদের সহায়তায় কিছু ডাকাত ধরে তাদের পুলিশ এর হাতে দেওয়া হয়েছিল, পরে আপনাদের maxim অনুযায়ে ১০০ জন অপরাধী মুক্তি পেতে পারে এই শর্তে তারা ও মুক্তি পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে.....এখন আমাদের অবস্থা কি বুঝুন.....কিছু মনে করবেন না....নিজের কথা বললাম দেখে, এইটা তো বিতর্কের stage না যে সব যুক্তি দিতে হবে, নিজের কথা ও তো বলা যেতে পারে তাই না?....এই জন্য ই হয়ত কালো দের জন্য আমার একটু সহানুভুতি.
আমার বক্তব্য সামান্য একপেশে আমিও বুঝি, তবে আমার মূল উদ্দেস্য হলো 'এই সমস্শাগুলু periscope দিয়ে না দেখে বাইনুকালার দিয়ে দেখার জন্য'- তাহলে কালো দের ছাড়া ও অনেক সাদা দেখা যাবে তাদের সাথে. তারা তো খারাপ এইটা তে কোনো সন্দেহ নাই.
লিমন এর পা এর যেমন দাম আছে, লিমন এর মত অনেক ছাত্র দের ও তো দেশের নামী দামী বিদ্যাপীঠ গুলুতে নির্মমভাবে খুন করা হচ্ছে, আগে যা বলেছি ......জনসম্মুখে অনেক কে মেরে ফেলা হয়েছে.....সুইডেন আসলাম, এরশাদ শিকদার, মুরগি মিলন, কালা জাহাঙ্গীর...ইত্যাদি সহ অনেক বিশেষণ যুক্ত দেশের 'সুর্য সন্তান' রা যখন 'সোনার বাংলায়' অবাধ রাজত্ব করে রেখেছিল, শত শত মানুষ তাদের অত্যাচার আর নির্মমতার শিকার হয়েছে.....তাদের জীবন, হাত, পা এর দাম আছে.....এইটা বলতে চেয়েছি.......তারা তো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মারা যায় নাই- এই 'আত্মতৃপ্তির ঢেকুর' বা 'তাদের জন্য তো আইন আছে' ইত্যাদি বলে তাদের সাহস যুগানো, টাকা দিয়ে ভালো কোনো উকিল ধরে জামিন নিয়ে নেওয়া, পরে সাক্ষী র অভাবে মামলা ডিসমিস........ এভাবে তাদের কাজকে মৌন সম্মতি দিয়ে আমরা তাদের সাহস যুগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত. তা না হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ ২ জন ছাত্র কে মেরে manhole এ ফেলে দেওয়া হয়েছিল, জাহাঙ্গীরনগর এ কুপিয়া মারা হয়েছে, তাদের ও হাত পা এর দাম আছে, তারা সন্ত্রাসী দের দ্বারা মারা গিয়েছে, কালো দের দ্বারা তো কিছু হয় নাই এইটা নিয়ে তৃপ্তি পেলে হবে না. তাদের নিয়ে তো কারো মাথা বেথা হয়েছে এইটা দেখলাম না, এইটা এ আমার দুক্ষ. সবার ই তো হাত পা এর দাম আছে, তা যার দ্বারা ই নষ্ট হোক, দিনের শেষে তো মিলন এর পা নাই এইটা ই সত্তি, এইটা কোনো সন্ত্রাসী কেটে ফেললে ও তো তার পা ই থাকত না....আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কিছু করলে ধর শালা রে.....আর অন্যদের বেলায় দেখে ও না দেখার ভান, বা অন্য যুক্তি ওপস্থাপন আমাকে আহত করে. যখন কালো পিপ্রারা ছিল না তখন কি আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতাম?
তাই আপনার কথা ই বলি, আমরা অন্ধ বলে কিন্তু প্রলয় থেমে নাই. এইটা চলছে ই. আমি প্রলয় থেকে সমাধান দেখতে বলেছি. পিপ্রারা তো প্রলয় এর সংকেত দেয় মাত্র......প্রলয় মোকাবেলা করতে হবে.
আমি বোধহয় তোমাকে আমার কথাগুলোর স্পিরিট বোঝাতে ব্যর্থ হচ্ছি। তুমি যেসব প্রসঙ্গ টেনে আনলে, ব্যক্তিগত এবং অন্যান্য তার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন হওয়া সত্ত্বেও আমি যে বিবেচনায়, বাস্তবতায় এবং যুক্তিতে র্যাব প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেছি সেখানে এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। তোমার এসব কথার উত্তর উপরেই দিয়েছি। খুব ঠান্ডাভাবে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও এক এক করে –
‘ক্রসফায়ারের’ নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বা হত্যাচেষ্টা কি অন্যায় নাকি সঠিক? নিরপেক্ষভাবে বলো ‘ক্রসফায়ার’ নাটকটি কি চালু থাকা উচিত নাকি বন্ধ হওয়া উচিত? সন্ত্রাসীরা হাজারটা অপরাধ করে এবং দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতশত অন্যায় হয় সেজন্য কি র্যাব দ্বারা লিমনের পঙ্গুত্ব এবং পরবর্তী র্যাব এবং পুলিশি হেনস্থা সমর্থনযোগ্য কিনা? তুমি উপরেই বলেছো যে ‘অন্যায় সবসময় ই অন্যায়’, তাহলে র্যাবের জন্য অপ্রয়োজনীয় সাফাই গেয়ে যাচ্ছো কেন? সন্ত্রাসী এ্যান্টি-স্যোশাল/ এ্যান্টি-স্টেইট ডেভিয়েন্ট গ্রুপ এবং র্যাব রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান, দুই দলই যখন অবৈধ হত্যাকান্ড এবং অত্যাচারের সাথে জড়িত হয় পার্থক্যটা মোটাদাগে কোথায় বাইনোকুলার দিয়ে দেখেই বলো?
আশাকরি প্রশ্নগুলি এড়িয়ে যাবা না। (সম্পাদিত)
আমার বন্ধুয়া বিহনে
১. ‘ক্রসফায়ারের’ নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বা হত্যাচেষ্টা অবশ্যই অন্যায়.
২. ‘ক্রসফায়ার’ নাটকটি বন্ধ হওয়া উচিত.
(তবে আর কিছুদিন পর :)) , আরো কিছু সন্ত্রাসী কমুক, কিন্তু লিমন এর মত যারা অন্যায়ের শিকার, তাদের যথাযথ বিচার হওয়া উচিত)
৩. আমার খানিকটা সহানুভুতি দেখানোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী. (আসলে এদের সাথে প্রায়ে একসাথে উঠা বসা হয় তো, দেখি কতটা কষ্ট করে, তাই সাপোর্ট করতে চেয়েছিলাম, এই সাপোর্ট করার ছেলেমানুষী থেকে বের হয়ে আসতে পারি নি এখনো, cadet college এ নিজের বন্ধুরা যেমন শত অন্যায় করলেও তা শিকার করি নাই, কাওকে বলি নাই, তার সাথে একাত্ততা করেছি..ওই মানসিকতা এখনো রয়ে গেছে....আমার এইটা পরবর্তন করতে হবে)
আমার বেক্তিগত প্রসঙ্গ আনা উচিত হয় নাই, ক্ষমা চাচ্ছি, পারলে সম্পাদনা করে দিয়েন. আবার ও বলছি-আপনার লিখা আমাকে জানার এবং বুঝার আগ্রহ যুগিয়েছে বরাবর এর মতই, তাই নিজের ভোতা যুক্তিগুলু উপস্থাপন করে তা শুধরিয়ে নিচ্ছি. আশা করি আপনি এবং এই ব্লগ এর সবাই আমার স্বল্পজ্ঞান এবং নির্বুদ্ধিতা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন.
(আর আগের বড় কমেন্ট গুলু অপ্রাসঙ্গিক বা অপ্রয়োজনীয় মনে হলে সম্পাদনা করে দিবেন প্লিজ).
সমস্যা নাই।
ছোট মন্তব্য দিতে বলার কারণ বড় মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে লিখতে অনেক সময় খেয়ে ফেলে। এমনিতে কোন সমস্যা নাই।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী, আমি বরাবরই তোমার লেখার ভক্ত। এটা নতুন করে বলার কিছু না। এবারের 'জার্নাল' নাকি 'জর্নাল' যথারীতি গভীর ভাবনায় ডুবিয়ে দিয়েছে।
এক সময় হিংসা বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু পরে বুঝেছি, হিংসা বা জোর করে চাপিয়ে দিয়ে ভালো কিছু করা যায় না। একটা দশক, একটা যুগ- এমনকি একটা দশকও হয়তো ধরে রাখা যায়। তবে ভেতরে যে গুনপোকা বাসা বাধে, তা এক সময় ভিত্তিটাকেই দুর্বল করে ফেলে। কোনো ন্যায়, অন্যায় পথে অর্জন করা যায় না। অর্জন হলেও তা ধরে রাখা যায় না।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ধন্যবাদ লাবলু ভাই।
আপনাদের দিন বদলের স্বপ্নের একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি ছিল। মানুষ তখন তো সত্যি বিশ্বাস করে স্বপ্ন দেখতো। হয়তো নেতৃত্ত্ব সঠিক ছিল না। কিংবা তত্ত্ব। কিংবা বাস্তবতা।
কোনকিছু রাতারাতি পরিবর্তন হয় না, হলেও তা হয়তো স্থায়িত্ব পায় না - এটাই মনে হয়।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
তোমার লেখা পড়ে একটু মনটা কেমন হয়ে পড়ে ফেলে আসা সমেয়ের জন্যে, হারিয়ে ফেলা মূল্যবোধের জন্যে। চামস্কি-র বক্তৃতা শুনেছো বলে ঈর্ষান্বিত বোধ করছি।
জয় গোস্বামীর কবিতাটি চমৎকার, আগে পড়িনি।
'ক্রসফায়ার' নিয়ে কি বলবো আর।
শুধু বলতে পারি রাষ্ট্রযন্ত্র জিঘাংসা দ্বারা যখন চালিত হয়, ব্যক্তির হতাশা প্রতিশোধস্পৃহা রাষ্ট্রের কাঁধে সওয়ার হয় তখন বড় দুঃসময়।
ধন্যবাদ নূপুরদা। চমেস্কির বক্তৃতা সরাসরি শোনাটা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।
জিঘাংসার, প্রতিশোধস্পৃহার চেয়ে ভয়ংকর হলো অনৈতিক, অসৎ এবং অন্যায় কাজকে যখন আমরা মনে করি স্বাভাবিক - এমনই তো হওয়া উচিত - এরচেয়ে সাংঘাতিক দুঃসময় বোধহয় আর কিছু হতে পারে না।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখি ... অটোয়ার জার্নাল চলতে থাকুক, চলতেই থাকুক...
ধন্যবাদ। শেখার কিছু নাই, যা মনে আসে তাই লিখি।
সুদের পোষ্টে যে একটা ইরাদা ব্যক্ত করা হইছিলো, রাগ করে বললেও ওইটা একটা পরিবেশবাদী বাসনা হইয়া গেসিলো 😀
আমার বন্ধুয়া বিহনে
গুহার ইদারা? 😉
রাব্বী ভাই, আগেই পড়ে গেছিলাম। মন্তব্য গুলো ফলো করেছি নিয়মিত। সোলায়মান ভাইয়ের সাথে আপনার আলোচনা উপভোগ করেছি অনেক।
পোস্টের স্পিরিট টা ধরতে পেরেছি বলেই আর ডিটেইল মন্তব্য করা হয়নি। বর্যাবের ব্যাপারে আপনার ভাবনাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রাষ্ট্রীয় কোন বাহিনী দ্বারা বিনা বিচারে সন্ত্রাসী নিধনে সাধারণ মানুষ উৎফুল্ল হয়ে উঠলেও এটা আসলে আমাদের বিচার ব্যবস্থার দৈন্য আর রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা চোখে আঙুলে দেখিয়ে দেয়। এভাবে মাস কিলিং ( সেটা সন্ত্রাসী হোক আর না হোক) কোনভাবেই নাগরিক হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সোলায়মান ভাইয়ের কথাগুলোও একদম ফেলনা নয়। তবে উঁনি মূল আলোচনার ফোকাসে থেকে একটু দূরে সরে গেছেন। তারপরেও অন্যকোনভাবে না, আপনার সাথে মানবাধিকার সংস্থার সংশ্লিষ্টতার সূত্র ধরে জানতে চাইছিলাম, বিএসএফ কর্তৃক নিরপরাধ লোক সীমান্তে নিধনকে তারা কিভাবে মূল্যায়ন করছে? ( আগেই বলেছি আবার বলে নিচ্ছি আমার প্রশ্নটা একেবারেই হনেস্ট অপিনিয়ন জানতে চাওয়ার জন্য। এই প্রশ্ন দেখে সাদা চোখে স্টেরিওটাইপিং করে যে ভাবনা আসতে পারে সেগুলোর ব্যাপারে সজাগ থেকেই বলছি আমি সেই দলের না, এই প্রশ্ন তুললে বেশিরভাগ লোক আমারে ট্যাগ করে যে দিকে নিতে চাইবে।)
পোস্ট টা পড়ে খুব ভালো লেগেছে। পাঁচতারা।
সোলায়মানের যেসব কনসার্ন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সেটা বাংলাদেশের সবারই। গত পরশু সম্ভবত প্রথমআলোতে প্রাক্তন সেনাপ্রধান হারুনুর রশীদের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিল, উনি বিষয়টা নিরপেক্ষভাবে বলেছেন। প্রথমআলোর আর্কাইভ বন্ধ আছে দেখে লিংক দিতে পারলাম না।
বিএসএফের সীমান্তে হত্যাকান্ড তো স্পষ্ট আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন। এটা নিয়ে আরো জোরালোভাবে প্রতিবাদ হওয়া উচিত। গরীব মানুষ মরে দেখেই হয়তো গায়ে লাগে না। ফেলানীর মৃর্ত্যু এবং সেই তারকাঁটায় ঝুলে থাকা লাশের ছবি খুবই মর্মান্তিক। এসব ব্যাপারে আমাদের ফরেন অফিস খুবই দূর্বলতার পরিচয় দেয়। বিষয়টা ভারতবাদী এবং ভারতবিদ্বেষী এই ডাইকোটোমির বাইরে থেকে দেখা উচিত। উপনিবেশিক ভাগাভাগিতে এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশেই বর্ডার নিয়ে ঝামেলা আছে। ছোট এবং দূর্বল দেশগুলো মার খায় প্রতিবেশী দেশের বর্ডার ফোর্সের হাতে। বাংলাদেশে নানা সীমাবদ্ধতার পরও বিডিআর খুব একটা খারাপ ছিলো না, দেশের একমাত্র অপারেশনাল ফোর্স হিসেবে। এখন হয়তো পিলখানা হত্যাকান্ডের পর আগের অবস্থায় নাই ম্যোরালের দিক দিয়ে। যাইহোক, আমার সাথে কিন্তু কোন মানবাধিকার সংস্থার সংশ্লিষ্টতা নাই।
বিএসএফের বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকান্ড নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গতবছরের শেষদিকের প্রতিবেদন টিগ্রার হ্যাপি দেখতে পারো। এটা নিয়ে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে ক্যাম্পেইন বাড়ালে বেশ কাজ হবে মনে হয়।
আমার বন্ধুয়া বিহনে