শুনেছি স্বপ্ন নিয়ে মানুষ নাকি বেঁচে থাকে। জীবনের চলার পথে স্বপ্ন নাকি মানুষের এক অপরিহার্য সহযোগী।যুগে যুগে মানুষ স্বপ্নের রকমফের করেছে। পরিবর্তন করেছে স্বপ্নের সংজ্ঞাকে। শুনেছি কেউ কেউ নাকি স্বপ্নকে আশা বলে ব্যক্ত করতেই পছন্দ করেন। তো সেই রকম কত স্বপ্নই না আমরা দেখে থাকি জীবনে। বিশেষত একজন বাঙ্গালীর স্বপ্ন দেখার সংজ্ঞাটা এবং পরিধিটা বেশ বড়। কথায় বলে বাঙ্গালী নাকি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর ১৮ বছর বয়সের এক যুবক তরুণের ক্ষেত্রে সেই স্বপ্নটা অনেকটাই অতিমাত্রায় রঙ্গিন। স্বভাবগতভাবেই কলেজ জীবনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল দুয়ারে নিজেকে কল্পনাতেই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে সেই বয়সের স্বপ্নগুলো।সেই রকম কোন এক স্বপ্নের তাড়নায় আমার আগমন ঘটেছিল ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের ৮ তারিখে এই তুরস্কে। কেটে গেছে প্রায় ৫ টি বছর। দেখেছি অনেক ঘটনা। হয়েছে ছোটখাট অনেক অভিজ্ঞতা। আজ তাঁরই আলোকে তুর্কী জাতিদের নিয়ে কিছু আলোকপাত করব।যদি কেউ কখনও তুরস্কতে বেড়াতে আসেন আশা করি তার কাজে দেবে।
প্রথমত জাতিগত ভাবে এরা গোঁয়ার এটা আমি আগে অনেকবার বলেছি। আজকে যেটা বলব সেটা হল এরা জাতিগতভাবে পুরাই চাপাবাজ। সরকার থেকে শুরু করে সবাই বিশাল মাপের চাপাবাজ। অর্থাৎ আগে মুখ তার পর অন্য কথা। যখন যা মন চায় সেটা বসায়ে দেয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। আপনি হয়ত শুনে থাকবেন কিংবা পড়ে থাকবেন যে এরা নাকি জাতিগতভাবে খুব অতিথিপরায়ণ।হ্যাঁ সেটা সত্যি তবে সেটা ক্ষণিকের জন্যে। কেননা আপনার কাছ থেকে ফায়দাখানা ক্ষণিক সময়ের মাঝে সে তুলে নেবে। আর হ্যাঁ বাঙ্গালী ভাই অথবা বোনদের জন্যে বলছি তুরকিদের ভাষায় বিদেশী হল আমেরিকা কানাডা কিংবা ইউরোপের লোকজন।আর ভাই ের জাতি হল পাকিস্তান আফগানিস্তান তুর্কমেনিস্তান সহ অন্যান্য জাতিরা। বন্ধু মহলের মধ্যে পড়ে ভারত রাশিয়া সহ অন্যান্য দেশ গুলো। তাহলে আমরা বাঙ্গালীরা কই গেলাম। আমরা বাঙ্গালীরা তাদের ভাষায় উদ্বাস্তু টাইপের। অর্থাৎ তারা আমাদেরকে অনেকটা দয়ার চোখে দেখেন। সে ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি যে কখনও বেড়াতে এসে কোন তুর্কীকে একেবারেই পাত্তা দিবেন না। কেননা এতে করে তারা অনেকটা রাজার বানরের মত হয়ে যায়। পড়ে নামাতে গেলে অনেক ঝামেলার শিকার হতে হয়।আর একটা কথা যে তুর্কী জাতিরা নিজেদের অনেকটা বীর ভাবে। বীর ভাবা ভালো কিন্তু মাথা মোটা যে তারা সেটা তারা মানতেই চায় না। আর আমি তাদের কে চাপাবাজের উপাধি দিয়েছি এই কারণে যে তারা পারুক আর না পারুক তারা সব সময় বলবে তারা পারবেই। পড়ে যদি সেটি না হয় তাহলে সেটা পরের ব্যাপার। তাদের এই চাপাবাজিটা আমি একটা ইতিবাচক দিক বলে মনে করি। কেননা এই চাপার জোরেই তাদের উন্নতি।একটা সাধারণ ব্যাপার বলি আপনি যদি কোন কিছু নাও জানেন কিংবা কোন বিষয়ে আপনার ধারনা নাও থাকে আপনি কিন্তু অল্প কিছুদিনের চেষ্টায় নিজেকে ওই বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে পারবেন।সেক্ষেত্রে আপনার এই চাপাবাজিটা আপনাকে কোন কাজ পেতে অনেক সাহায্য করবে মনে করি আমি। তুর্কীদের আর একটা ব্যাপার নিয়ে আমি বলি। সেটা হল যে এরা নিজেদের মাশাল্লাহ সেই মাপের মুসলমান দাবি করে। আমার এক্ষেত্রে কোন প্রবলেম নীই কিন্তু সমস্যাটা তখনি তৈরি হয় যখন এরা আমাদের দেশে আমরা এতোগুলো ধর্মের লোকজন কিভাবে মিলেমিশে থাকি সেটা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলে।তুর্কীদের ভাষায় অন্ন ধর্মের লোকেদের সাথে থাকা নাকি খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে আমি সচরাচর প্রায়ই এই প্রস্নের পাল্টা একটা প্রশ্ন করে থাকি যে তুমি আমাদের ব্যাপারে কথা বলার আগেয় তোমার নিজেদের দেশে কি একবার দেখেছ। তমাদের দেশে যেখানে মাথায় ঘোমটা দিয়ে মহিলারা হাঁটুর উপরেস্কার্ট পড়ে ঘুরে বেরায় আর সমানে বিড়ি ফুকায় সেখানে তোমার কি আমাদের দেশের লোকজনের ধরম পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। আগে ঘর তবেই না পর। যেখানে তোমার নিজেরই ঠিক নাই তোমার দেশের মেয়েদের মাঝে ঘোমটা নিজে ঝগড়া বাঁধে প্রায়ই সেখানে ভাই তুমি কেন আমার দেশের এতো গুলো ধর্ম যেখানে মিলেমিশে থাকে তাদের নিয়ে প্রশ্ন তোল…একটা ছোট্ট কথা বলি তুর্কীদের সম্মন্ধে।আপনি যদি কোন তুর্কী কে জায়গাতেই পাল্টা প্রশ্ন করেন তাহলে তুর্কীরা অনেকটা গ্যাসযুক্ত বেলুন থেকে গ্যাসবিহিন বেলুনে পরিণত হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি যেখানেই তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন না কেন তারা যদি আপনাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় তাহলে তাদেরকে আপনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিন। দেখবেন মামলা ধিসমিস।তুর্কীদের সম্মন্ধে শেষে একটা ছোট উক্তি করি
যত গর্জে তত নাকি বর্ষে না। এরা এমনই এক জাতি যারা সাড়া জীবন গর্জাইতেই থাকে কিন্তু বর্ষানোর আর টাইম পায় না…
ট্রানজিটে দুদিনের জন্য ইস্তাম্বুল ঘোরার সুযোগ হয়েছিল, তখন থেকে স্বপ্ন দেখছি আরেকটু লম্বা সময়ের জন্য আবার যাবার, যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে এই লেখা কাজে লাগাতে হবে 🙂
লেখা ভাল হয়েছে :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাই,তোমার লেখাটা পড়ার পর তুরস্ক নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলাম। কিছু মনে করনা ভাই তোমার লেখাটা একটু শিশুসুলভ এবং অনেকটা টিপিক্যাল বাংলাদেশিদের মতন হয়ে গেছে।তোমার এই লেখা দেখে একটা ব্লগ সাইটে একটা লেখার কথা মনে হল। এক ব্লগার লিখেছেন বাংলাদেশ বিষয়ে। কিছু পরিসংখ্যান দিয়েছেন যেমন বাংলাদেশ নাকি বিশ্বে ৭৬তম ধনী রাষ্ট্র,শক্তিশালি মুসলিম দেশ,বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু (যমুনা সেতু)তো এদেশে, রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে বিশ্বে ২৭তম,গার্মেন্টস শিল্পে প্রথম,প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ বাংলাদেশ।কি চাপাটাই না মারলো। আমি যখন তাকে প্রমান এবং তথ্য সহ দেখিয়ে দিলাম তখন সে ফাটা বেলুনের মতন চুপসে গেল। সব দেশেই ভাল মন্দ লোক আছে আর সবাই নিজের দেশ কে বড় করে দেখতে চায়। তুমি হয়তো কিছু চাপাবাজ লোকের মুখোমুখি হয়েছো কিন্তু তার মানে এই নয় যে তুর্কী জাতিরা চাপাবাজ। বরং এটা বলে তুমি ওদের অসম্মান করেছো। আমারদের বাংলাদেশের খুব বেশি বড় করে বলার নাই কিন্তু দেখো সেই ব্লগার অনেক চাপা মেরেছে।কিন্তু তুর্কীদের অনেক কিছু বলার মতন আছে। ওদের যে ইকোনমি,সম্পদ,শিক্ষা ব্যাবস্থা,জীবন যাত্রার মান তাতে কিন্তু ওরা ইউরোপ,আমেরিকার সাথে পাল্লা দেয়ার ক্ষমতা রাখে। সত্যি যদি ওরা এতটা চাপাবাজ হত তাহলে কিন্তু ওরা এত উন্নতি করতে পারতোনা।ওদের কিছু আছে বলেই না ওরা এত চাপা মারে। তুর্কীদের ইসলামি জীবনের সাথে ইউরোপের আধুনিকতা ঢুকে যাওয়া বা বাংলাদেশ কে রিফিউজি ভাবা সেটা অন্য ব্যাপার। তবে তুমি নিজের দেশকে জান,আমরা আজ কোথায়,সেটা সম্পদ বল আর অর্থনীতি বল আমাদের খুব কি কিছু আছে? বিশ্বের কাছে বার বার মাথা নত হচ্ছি বিভিন্ন দুর্নীতি,মারামারি আর সন্ত্রাসিতে।যে দেশে আবুল হোসেনের মত লোক কে দেশপ্রেমী খেতাব দেয়া হয় এর চেয়ে বড় চাপাবাজি আর কোথায় আছে? অন্য দেশের পুরা জাতিকে অপমান না করে বরং নিজের দেশ কে সামলাই। নিজের দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে তুলে ধরি যাতে তারা আমাদেরকে রিফিউজি না ভাবে।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
দেখুন তুর্কী জাতিকে চাপাবাজ বলে আমি তাদের কিন্তু অসম্মান করি নি। আমি কিন্তু লিখেছি যে এই গুনটা আমাদেরও থাকা উচিত।আপনি লিখেছে যে আপনি তুরস্ক নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছেন।এটা মনে রাখবেন সব কথার অগচরেও কিছু কথা থেকে যায়।আমি মূলত সেতাই বলার চেষ্টা করেছি।আপনি তো ঘাটাঘাটি করেছেন ইন্টারনেটে। এখনও যে তুরস্কতে কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘোমটা নিয়ে সমস্যা হয় সেটা কি আপনি কোথাও পড়েছেন... কিছু কথা আড়ালে থেকে যায় যা কখনও খুঁজে পাবেন না...আমি মূলত সে গুলোকেই ফোকাস করার চেষ্টা করেছি।আমি এখানে অন্য কোন দেশকে ছোট করার জন্যে লিখি নি কথা গুলো। ৫ বছরের জীবনে তুরস্কের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা বলেছি। আপনি নিজের দেশকে সামলানোর কথা বলেছেন।সে ক্ষেত্রেই তুর্কীদের একটা কথা বলি। তাদের হাজার সমস্যা থাকলেও তারা কিন্তু সেটা বলবে না। তাদের গলা কিন্তু উঁচুতেই থাকবে। এখান থেকে আমাদেরও শিখার আছে যে কিভাবে নিজের দেশকে বড় বলতে হয়। আমরা কিন্তু সে কাজটি কেউ করি না। আর তুর্কী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন তুলবো না কেননা আমরা বাঙ্গালী যদি কোন কিছুর চাক্ষুস প্রমান না পাই তাহলে বিশ্বাস করতে চাই না কোন কিছু। আর ইকনমির কথা বলছেন।সে ক্ষেত্রে তুর্কীদের আমি সাধুবাদ দেব কিন্তু আপনি যদি সময় এবং সুযোগ পান তাহলে তুরস্ক এসে ঘুরে যাবেন এবং দেখে যাবেন। তবে সেটা ইস্তানবুল দেখে গিয়ে বলবেন না প্লিজ। আপনাকে একটা কথা বলি যেটা তুর্কীদের আছে আমাদের নেই... তুর্কীরা তাদের অল্প যা কিছুই আছে তাই নিয়ে তারা গর্ব করতে জানে যেটা আপনার কিংবা আমার মধ্যে নেই।আমরা নিজেদেরকে নিয়ে গরব করতে জানি না। জানলে হয়ত আমাদের এই অবস্থা হত না আজকে। আমার এই লেখাটি তুরস্কতে ভবিষ্যতে ঘুরতে আসা বাঙ্গালীদের জন্যে লেখা। আর এটা কোন দেশ বা জাতিকে ছোট করার জন্যে লেখা নয় বরং একজন বাঙ্গালীর তুর্কী সফরে হয়তবা সহায়ক হবে বলে ধারনা করে লেখা।আমি শেষে একটা কথা বলি নিজের দেশকে নিয়ে গর্ব করতে শিখা উচিত আমাদের...
নিজে দেখুন এবং জানুন
ভাই তুমি ঘোমটা নিয়ে যেসব সমস্যার কথা বলেছো সেরকম হাজারো সমস্যা প্রত্যেক দেশেই আছে। তুমি কিন্তু নিজেই বলেছ যে ওরা উন্নত আবার বলেছো এবং সেটা বোল্ড করে। যত গর্জে তত নাকি বর্ষে না। এরা এমনই এক জাতি যারা সাড়া জীবন গর্জাইতেই থাকে কিন্তু বর্ষানোর আর টাইম পায় না…
আমি এই প্রথম একটা লেখা দেখলাম যেখানে ভবিষ্যত ভ্রমনকারীদের চাপাবাজি সমনদ্ধে বিশাল বর্ননা দেয়া হয়েছে(টুরিষ্ট ইনফরমেশন)।তুমি বলেছো তুমি তুর্কীদের অস্মমান করনি চাপাবাজ বলে!!!! তোমার লেখার পুরা অংশ জুরেই ওদের চাপাবাজি আর কিভাবে ওদের চাপাবাজির উত্তর দিতে হবে সেটারই বর্ণনা। ভাইয়া তোমার নিজের লেখার দিকে তাকাওতো একবার আর চিন্তা কর এত বড় যে লেখা লিখেছো সেটা কি নিয়ে। আচ্ছা আমিই কয়েকটা লাইন হাইলাইট করে দিচ্ছি। সেগুলো পড়লে মানুষ কি ভাববে না যে তুমি ওদের প্রেসিডেন্ট থেকে পুরা জাতিকেই চাপাবাজ বলেছো? আর চাপাবাজির দিক দিয়ে তো মনে হয় আমাদের বাংলাদেশের রাজনীতিকরাই বিশ্বের সেরা।আর যখন তুমি কাউকে ঢালাও চাপাবাজ বলো তার মানে তারা জাতি হিসাবেও মিথ্যাবাদি।
প্রথমত জাতিগত ভাবে এরা গোঁয়ার এটা আমি আগে অনেকবার বলেছি। আজকে যেটা বলব সেটা হল এরা জাতিগতভাবে পুরাই চাপাবাজ। সরকার থেকে শুরু করে সবাই বিশাল মাপের চাপাবাজ। অর্থাৎ আগে মুখ তার পর অন্য কথা। যখন যা মন চায় সেটা বসায়ে দেয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত।
এরা গোঁয়ার,সরকার থেকে শুরু করে সবাই চাপাবাজ,এরা ফায়দা তুলে নেয়ার জন্য ক্ষনিকের অতিথিপরায়ণ......।এরকম আরও অনেক নেগেটিভ কথাই তুমি লিখেছো।আর কি কিছু বাকি আছে?
ওখানে না গেলে বোধ হয় ইন্টারনেট ঘেটে কিছু জানা যায়না?আমি আসলে বলতে চাইনি যে আমার সুযোগ হয়েছিল তুরস্কে কয়েকদিন ঘোরার কিন্তু আসলে ঐ ৭/৮ দিন থেকে কোন কিছু ধারনা করা যায়না এবং সেটার ঊপর লেখাও যায়না।তাই সেটা উল্লেখ করিনি শুধু আমার মন্তব্যে বলেছি আগে কিছু জানতাম তারপরেও আরও ঘাটাঘাটি করলাম।তুমি ওখানে আছ ৫বছর। তুমিই ভাল জানবা সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমার ধারনাটা তোমাকে বল্লাম তোমার লেখাটা কি রকম। (সম্পাদিত)
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
ঘোমটার বিষয়ে সব দেশেই মতবিরোধ আছে এটা সত্য তবে সেটা যে এই দেশে বাড়াবাড়ি রকমের সেটা জানার জন্যেই লেখা। আপনাকে ঘোমটা নিয়ে এদেশের ২০১২ সালের একটা ঘটনা বলি। এক বিদেশী ছাত্রী মাথায় ঘোমটা দিয়েছিল বলে তাকে পরীক্ষাতে বসতে দেয়া হয় নি। এই খবরটা কিন্তু আপনি কোন জায়গাতে সহজে খুঁজে পাবেন না।কেননা ব্যাপারটা ধামা চাপা দেয়া হয়েছে। এমনকি বড় বড় ইউনিভার্সিটি গুলোতেও রয়েছে ঘোমটা বিরোধ। আমার কথা ছিল যেখানে তাদের নিজেদের সমস্যাটাই প্রকট সেখানে কেন তারা অন্যের বিষয়ে নাক গলাতে যাবে... যেমনটি তারা কিছুদিন আগে করেছে আমাদের দেশের কোন এক অন্তরবরতি রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে। জাতিগত ভাবে এরা গোঁয়ার কেন তার খুব ছোট একটা উদাহরণ ছিল আমাদের দেশে যখন যুদ্ধ অপরাধির বিচার হল সেই সময় এদের আমাদের দেশের ভিতরের কোন সিদ্ধান্তে নাক গলানো। আসলে একটা কথা কি ভাই স্বল্প সময়ে তো আসলে কোন কিছু ভালো ভাবে জানা যায় না...এমন অনেক কিছুই আছে যা আপনি স্বল্প সময়ের মাঝে দেখতে পাবেন না... হয়ত আমার চোখে ৫ বসরের স্বল্প সময়ে যা চোখে পড়েছে তা আপনার ১০ দিনের স্বল্প সময়ে চোখে নাও পড়তে পারে...আমার এই স্বল্প সময়ে আমি যা দেখেছি সেটাই লিখলাম...আর বোল্ড করে লেখেছি যে কথা সেটার অর্থ হল এরা মুখে মুখে সাত সমুদ্র তের নদি পার হয়ে যায় নিমেষেই কিনু বাস্তবে সেটা হয়ত ১ কিংবা ২ তা নদি পার হবার মত... আমি যা বলতে চেয়েছিলাম সেটা হল যদি ২ টা নদি পার হই তাহলে ২ টা নদী পার হয়েছি বলাটাই ভালো না... আর ভাই চাপাবাজ হিসাবে আমি কিন্তু তাদের মিত্থাবাদি বলি নি... আমি যেটা বলেছি সেটা হল তাদের চাপাতে জোর অনেক... এটাকে মিথ্যাবাদি হিসাবে আমি আখ্যায়িত করি নি...
নিজে দেখুন এবং জানুন
তোমার ভ্রমন কাহিনী ছিল ওদের চাপাবাজি নিয়ে। সেখান থেকে চলে গেলা ঘোমটা তে।ভাইয়া তুমি বলেছো ওরা কেন নিজের সমস্যা বাদ দিয়ে অন্যের সমস্যাতে নাক গলায়।ভাইয়া তুমি নিজেইতো ওদের মধ্যে নাক গলিয়ে ফেলেছো। ওদের পাবলিক বা সরকার প্রধান চাপাবাজ নাকি ওরা ঘোমটা নিয়ে সমস্যা করে বা ওরা স্কার্ট পরে সেটা ওদের ব্যাপার। এগুলো তুমি আবার তোমার বাংলাদেশি ভাইদের সাথে শেয়ার করছো কেন। তুমি তোমার এই লেখাটি লিখেছো ভবিষ্যতে যারা ওখানে বেড়াতে যাবেন তার জন্য।খুব ভাল কথা।তুমি বরং লেখ যে কোথায় কোথায় বেড়ানো যাবে,কোন হোটেলে থাকা যাবে, কোন খাবার খাব না বা কোনটা বিখ্যাত।কোন যায়গা নিরাপদ আর কোন জায়গা এ্যাভয়েড করবো।ওরা চাপাবাজ নাকি,গোঁয়াড় সেটা দিয়ে কি দরকার আমার কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে যেয়ে। আর যদি নাক গলাতেই হয় বা আলোচনা তাহলে ওদেরকে অফ করার চেয়ে আগে দেখি আমরা কি।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
দেখুন আমার লেখাটা শুধু চাপাবাজি নিয়ে ছিল না। আমি কিন্তু ঘোমটা বিষয় টা নিয়েও লিখেছি। এখন যদি আপনি খালি চাপাবাজি অধ্যায়টা দেখেন তাহলে ভাই আমার বলার কিছুই নাই। আর ওখানে ঘোরাঘুরির জনে অনেক ওয়েবসাইট আছে। সবাই আসার আগে ওগুলো ঘেঁটে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ৫ বছরে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন বাঙ্গালিকে ঘুরিয়েছি এই দেশে। সবাই আমি যে দিকগুলোর কথা বলেছি বিশেষত ঘোমটার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছে। যদি লোকজন এসে প্রশ্ন করতে পারে সে ক্ষেত্রে আমার লিখলে তো কোন সমস্যা হবার কথা নয়। উপরন্তু আপনি আসার আগে এখানের এই বিষয়টি নিয়ে জানলেন। আর আমি শেয়ার করছি কেন বললেন না তাহলে আপনাকে বলি আপনি কেন আপনার অভিজ্ঞতাগুলো ব্লগে লেখেন। না লেখলেই হয়... আপনি কিংবা আমি কেন আমেরিকা অথবা অন্যদের নিয়ে নাক গলাই... আমরা কেন এসে ওদের জীবন যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করি...আর অরাই কেন আমাদের দেশের সম্মন্ধে লেখে... যদি বিভিন্ন তুর্কী ব্লগে তারা আমাদের দেশের ব্যাপারে লিখতে পারে তাহলে আমার মনে হয় আমার লেখা টা লেখা কিংবা অভিজ্ঞতা শেয়ার করা কোন দোষের কিছু না... আপনাকে একটা প্রশ্ন করি... আমরা আমাদের দেশে চায়ের দোকানের আড্ডায় দুনিয়াদারি কেন উদ্ধার করি...কেন আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করি... আমার এই লেখাটা অনেকটা কিছু বিব্রতকর অবস্থায় পরলে হয়ত কাজে লাগবে... কেননা হর হামেশাই তুর্কীতে ভ্রমন কালে আমি আমাদের দেশের লোকেদেরকে এই ধরনের প্রস্নের সম্মুখীন হতে দেখি... আর কেউ আপনাকে ধরে আপনাকে নিয়ে কথা বললে কিংবা সমালোচনা করলে কি আপনি তাদের ছেড়ে দেন... যদি সে আমার দেশের ব্যাপারে নাক গলায় ব্লগ লিখে উরায়ে দেয় আমি তাদের ব্যাপারে আমাদের লোকজনকে অবহিত করি তাহলে কি এটা খুবই অস্বস্তিকর ব্যাপার... যদি কেউ আপনাকে নিয়ে আলচনা করে আর আপনি তাকে ছেড়ে দেন তাহলে তো আপনি বা আমি বা আমরা মহামানব...আমার তো মনে হয় না আমরা মহামানবের কাতারে যেতে পেরেছি এখনও... আপনি পারলে তুর্কী ভাষায় লেখা ব্লগগুলো ঘেঁটে দেখবেন তারা আমাদের দেশে নিয়ে কি ধরনের লেখা লেখে... আশা করি সে ক্ষেত্রে আমার এই লেখা আপনার কাজে আসলেও আসতে পারে...
নিজে দেখুন এবং জানুন
আপনাকে তুর্কীদের একটা খুব সূক্ষ্ম চাপাবাজির ব্যাপারে বলি তাহলে। তুর্কীতে পড়তে আসা অনেককেই এখন বলা হয়ে থাকে তুর্কী তে বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তারা কোথাও এটা বলে না যে সেটি ২০১৪ থেকে চালু করা হবে...কেন তাদের কি বলা উচিত ছিল না যে আমরা ২০১৪ থেকে কাজ করার অনুমতি দিব...আপনি শুধু উপরে একটা হাল্কা পরত দিয়ে কথা বলে যাবেন আর ভিতরের জিনিস বলবেন না তাহলে আমরা সে ক্ষেত্রে তাকে কি বলব... সাধু মানুষ... নাকি মহামানব... আর আপনাকে বলি আমাকে বললেন না যে আমি কেন আমাদের বাঙ্গালী ভাইদের সাথে শেয়ার করছি... কিছু মনে করবেন না ...আমি ৫ বছর এখানে থেকে যা দেখলাম তা আমি শেয়ার না করলে ৭ দিনের দেখায় কিংবা ১ মাসের দেখায় অন্য কেউ এই ঘটনা গুলো শেয়ার করবে...এই ঘটনা গুলো তো আমি প্রতিদিন দেখছি...আর আমেরিকা তে কিংবা অন্য কোন দেশে কি হল না হল সেটা নিয়ে আপনি কিংবা আমরা কেন মাথা ঘাতাই আমাকে বলতে পারবেন... কেনই বা ব্লগ লিখি তাদেরকে নিয়ে... আমার লেখার কারণ টাও সেটাই... তুর্কীদের সাথে ৪ থেকে ৫ বছর কাটান তারপর না তাদের আসল বিষয়টি জানতে পারবেন...
নিজে দেখুন এবং জানুন
আর আমার এই লেখাতে তুলে ধরা বিষয় গুলো পর্দার অন্তরালের বিষয় এবং খুব ছোটখাট বিষয়। এগুলো আপনার আমার মত ক্ষুদ্র লোকেদের ক্ষেত্রে তুরস্ক ভ্রমনে সহায়ক হতে পারে ভেবে লেখা। পর্দার অন্তরালে কিছু কথা থেকে যায় সবসময় যেটা হয়তবা কখনও সামনে আসে না... আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হল সেই ছোট খাট পর্দার অন্তরালের বিষয় গুলোকে চিহ্নিত করা যেটা হয়তবা আমাদের চলার ক্ষেত্রে কিছুটা সহায়ক হবে...
নিজে দেখুন এবং জানুন
//cadetcollegeblog.com/rajibhappy/33867
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ রাজিব ভাই। আপনার কপি পেষ্ট লেখাটি দেখলাম। প্রথমেই উচিৎ ছিল ভুল তথ্যগুলো সঠিক করে দেয়া। গত কয়েক মাসে সামুতে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ নিয়ে লেখা হয়েছিল,সাথে আরো কিছু এরকম ভুল তথ্য ছিল।আমি শুধু কয়েকটির ভুলগুল শুধরানোর চেষ্টা করেছিলাম মন্তব্য করে।সেগুল তুলে দিলাম।
১) বিশ্বের ৭৬তম ধনী রাষ্ট্র।
এটা একটা ভুল তথ্য কারন জিডিপি পার ক্যাপিটা অনুযায়ি বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৭ নম্বরে আর গ্লোবাল ফিনান্সের মতে ১৫১ নম্বর।
a)http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_GDP_%28nominal%29_per_capita
b)http://www.gfmag.com/component/content/article/119-economic-data/12538-the-richest-countries-in-the-world.html#axzz2auBkswdV
c)http://www.emirates247.com/news/complete-ranking-of-182-countries-on-the-list-of-richest-nations-2012-02-26-1.445125
২)অন্যতম শক্তিশালি ১০টি মুসলিম
দেশের একটি।
এই তথ্য নিয়ে আমার খটকা আছে কারন হ্যা,সৈন্য সংখ্যা অনুযায়ি বাংলাদেশের একটা অবস্থান আছে বটে কিন্তু শক্তিশালি দেশ বিচার করা হয় সম্পদ,অস্ত্র আর প্রযুক্তি দেখে।আমি কয়েকটি দেশের নাম বলছি,দেখুন তো এগুলোর ভিতর বাংলাদেশ কে ঢুকানো যায় কিনা ১০ম দেশ হিসাবে বা এভাবে দেখুন যে ইউরোপ আমেরিকা এই দেশ গুলোকে আগে পাত্তা দিবে নাকি বাংলাদেশ কে।
১)ইরান
২)মিশর
৩)সৌদি আরব
৪)কুয়েত
৫)কাতার
৬)আরব আমিরাত
৭)মালেশিয়া
৮)ইন্দনেশিয়া
৯)পাকিস্তান
১০)মরোক্ক
১১)লিবিয়া
১২)ইরাক
১৩)তুরস্ক
১৪)তিউনিশিয়া
১৫)ওমান
১৬)ব্রুনেই
১৭)ইরাক
১৮)বাহরাইন
যেশব দেশের নামগুলো লিখলাম এদের ভিতর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ করতে যায়।এসব দেশ তেল সম্পদে ভরপুর।মালেশিয়া,ইন্দনেশিয়া,তুরস্ক,মরোক্ক,তিউনিশিয়া প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালি আর পাকিস্তান তো পৃথিবির একমাত্র পারমানবিক শক্তিধর মুসলিম দেশ এবং প্রযুক্তিতেও উন্নত।এখন বলুন এই ১৮টা দেশের সাথে বাংলাদেশ কে কি ১০ এ রাখা যায়?
৩)বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু (যমুনা সেতু)
তো এদেশেই।
এটাও একটা ভুল তথ্য।কারন লিংকগুলো দেখলেই বুঝবেন।
a)http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_longest_bridges_in_the_world
b)http://list25.com/25-longest-bridges-in-the-world/
৪) রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে বিশ্বে ২৭তম,গার্মেন্টস শিল্পে প্রথম।এটাও ভুল।দেখুন এখানে।
a)http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_exports
আর সত্যি কি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ বাংলাদেশ?স্বীকৃত প্রাকিৃতিক সম্পদের মধ্যে শুধু আছে গ্যাস আর কয়লা।আর গ্যাস টেনেটুনে ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।আর কয়লার যে কি অবস্থা সেটা সবাই জানে।
আমি জানিনা লেখক কোন দৃষ্টিকোন থেকে এই তথ্যগুলো দিয়েছেন কেননা উনি অনেক বড় একটা অর্জন উল্লেখ করেন নি সেটা হল গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড:ইউনূসের নোবেল প্রাইজ পাওয়া।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
ঐ লেখা কপি পেষ্ট হিসাবে এই ব্লগেও আছে; বাংলাদেশ নিয়া।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:))
কোন মন্তব্য নেই
bhiaya, ami nije o turkey to ek bochor chilam. oder khub kach theke dekhechi. sristikortar opar korunay amar besh kichu desh ebong onek jatir manusher sathe khub closely mishte hoyeche ebong perechi.
turki der somporke tomar jodi ei verdict hoy tahole amar voy hoy onno je kono jati somporke tumi ki likhba.
ami bolchi na tomar analysis wrong, kintu amar ekta onurodh tumi sadahron turk der sathe meshar chesta korle mone hoy tomar ei dharona onektai bodle jabe.
লেখাটার কারণে বেশ কিছু আলোচনা পেলাম।
ভালো লাগলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লেখাটা মজার। আর কমেন্ট গুলো পড়ে আরো ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানলাম। এধরনের গঠনমূলক আলোচনা ব্লগের ও সকলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 🙂
বেশ কিছু আলোচনা দেখলাম। ভালো লাগলো। তবে আমি সায়খ ভাইর উপরে আস্থা রাখছি। নেটে দেশ ও জাতি সম্পর্কে খুব একটা পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায়না। এমনকি এক সপ্তাহের টুরে বেড়াতে গেলেও না। বছরের পর বছর সেখানে থাকলেই শুধু এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব।
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
চেচনিয়া, ইঙ্গোশেটিয়ার মুসলমান মেয়েরাও হাটুর উপর কাপড় তুলে মাথায় হিজাব দিয়ে হাঁটে, এইটা ইচ্ছাকৃত নাকি ভুল ইন্টারপ্রিটেশন ঠিক বুঝতে পারি না।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
হামিম শোন এই যে হাঁটুর উপরে কাপড় আর মাথায় হিজাব এটা এখন তুর্কীর একটা ফ্যাশান।মাথার হিজাবের ক্ষেত্রে তুর্কী মেয়েরা Pierre Cardin ছাড়া ব্যাবহার করতেই চায় না। আর ওদের কাছে মাথায় হিজাব দিয়ে বিড়ি খাওয়াটা সেই মাপের ফ্যাশান যেটা ওদের সাথে খুব ভালোভাবে না মিশলে বোঝা কঠিন। একবার এসে ঘুরে দেখিস।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাপবাজ হচ্ছে বাঙ্গালীরা