মায়ের দেয়া কল্কাপাড়ের শাড়ি পরবো নাকি কর্ণ স্টা্রচে ইস্তিরি করা কড়কড়ে সুতির একখানা টিউনিক পরবো ভাবতে ভাবতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। সিসিবির সরব ব্লগারদের প্রায় কাউকেই চিনিনা তাই দু’ চারজন নিরব পাঠককে কল করে বলি, চলে এসো ক্লাবে। জোরসে আড্ডা হবে সকাল সকাল! কিন্তু আজই কি কারণে যেন কারো কারো ব্যস্ততা খানিক বেশী। কারো হয়তো মায়ের খুড়তুতো দিদির মেয়ের পাকা দেখা আজই, কেউবা ঢাকার বাইরে মধুচন্দ্রিমায়। একজন বললেন, বাইরে ঘনঘোর মেঘ এখানে, আজ ঘুমোবার দিন; আড্ডার নয়, আপা! খুবই হক কথা তাই যুক্তিতর্ক শিকেয় তুলে আমি ক্লজেট থেকে লাল কালোয় মিশেল একখানা শাড়ি নিয়ে আসি পরার জন্য। আজ আমার সিসিবিয়ান বন্ধুদের সাথে প্রথম দেখা হবে, বাঙাল মেয়ের শাড়ি নইলে চলবে কেন!
ঘড়ির কাটায় নটা বাজতে না বাজতেই শেষ সিলমোহর এঁটে দেবার মত কপালে টিপ পরে টিপটিপ বুকে অপেক্ষা করি ব্লগারদের জন্য। ইউনিভার্সিটির সেই ডিনার উইথ স্ট্রেনজারস’ এর অনুভূতিটা ফিরে এলো আবার। অস্থিরতার এই ফিলিংটাকেই আমেরিকানরা বলে, বাটারফ্লাইজ ইন দা স্টমাক!
স্কাইপে লগ ইন করতেই তের নদীর ওপারে প্রথম যার মুখ দেখলাম তিনি পারভেজ ভাইয়া। তিনিও দেখি লাল টুকটুকে একখানা আউটফিট পরে বসে আছেন ক্লাবে, এমন একটা ভাব করলেন যেন কাল বিকেলেই দেখা হয়েছে তার সাথে। কাউকে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি কারোর সাথে কথা শুরু হয়ে গেল। আমাদের দেশের মানুষ কথাই শুরু করেন কুন ডিস্টিকে তুমার বাড়ি বলে, অথচ কী অনায়াসেই না আমি বললাম ভাইয়া দেখো তোমার সাথে ম্যাচ করে শাড়ি পরেছি আজ। শুরু হয়ে গেল দুই ব্লগারের আড্ডা! বাইরে ততোক্ষনে বাজ পরতে শুরু করেছে, ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলেও দুই সিসিবিয়ানের উপুরঝুপুর গল্পে এতোটুকু ঘাটতি পরেনি।
কাঁধে একখানা ক্যামেরা ঝুলিয়ে সদাহাস্য আলোকচিত্রী মোকা চলে এসেছেন ততোক্ষণে; আমরা সিনা টানটান করে পোজ দিতে বসি তাকে দেখেই, ক্যাডেট আর কাকে বলে, চিন পরিচয় হয়নি তখনো অথচ আমরা রেডি… লাইট ক্যামেরা একশন সিসিবিয়ানস, সে চিইইইজ্জজ! বললাম, গিটার ছাড়া তোমায় মানাচ্ছেনা যে! গিটারের গল্পে আড্ডা শুরু হলেও সেই গল্পের গরু কিছুক্ষনের মাঝেই গাছে উঠে যাবে আমরা নিশ্চিত ছিলাম। ব্লগের মোকাকে খুব স্বল্পভাষী মনে হয় কিন্তু বাস্তবে ঠিক উলটো। হুটনের দুই ফুট বরফ, তুষার ঝড় অথবা ঢাকার যানজট কোন গল্পই বাদ যায়না। বিলাতফেরত ভাইটি আমার দেশের গরমে ঠিক কতটা নাস্তানাবুদ হয়ে আছে ভাবছিলাম।
কী-বোর্ডের পাশে বসেছিলাম বলেই হয়তো আমাকেই বলির পাঠা বানিয়ে গান বাজনার শুরু হলো। ব্লগে রাগ বাজিয়ে অনেককেই রাগাশ্রয়ী (পড়ুন বিরক্ত) করেছি আগে তাই সামনাসামনি বসে সেইদিকে আর পা বাড়াই না। ‘ওগো নিরুপমা করিও ক্ষমা’ দিয়েই শুরু হলো আসর। পারভেজ ভাইয়া পড়লেন, ‘কেউ কথা রাখেনি’। ভাইয়ার প্রখর স্মৃতিশক্তির প্রশংসা করতেই হয়! এতোটুকু এদিকওদিক না করে তিনি পাঠ করে শুনালেন আমাদের।
খায়রুল আহসান ভাইয়া এসেছেন এরই মাঝে। এতক্ষণ আমরা হড়বড় করে গল্প বলছিলাম সেন্সরবিহীন, ভাইয়া এলে আমরা এটেনশন পজিশনে চলে যাই আবার কিন্তু আমাদের সব্বার বড় ভাইয়া এসে নিমেষেই আপন করে নিলেন সবাইকে। আমার অনুরোধে ভাইয়া খানিক লাজুক মুখে টুকরো কাগজে লেখা একখানি কবিতা বের করলেন পকেট থেকে। আমরা সো কলড আধুনিক মানুষ খাতার পাতায় লিখতে ভুলে গেছি কোন কালে তাই ভাইয়ার এই যে পকেটে ভাঁজ করে আনা লেখার উপস্থাপনাটিকে আমার কাছে ভীষণই রোমান্টিক মনেহলো। আইপ্যাডে বা গ্যালাক্সিতে নয় একখানি কুড়িয়ে পাওয়া কাগজ অথবা সিগারেটের মোড়কে আঁকিবুঁকি করে লেখাটি কবি পকেটে নিয়ে ঘুরবেন তার প্রেয়সীকে পড়ে শুনাতে, এই দৃশ্যকল্পটিইতো চোখে ভাসে কবিদের ক্ষেত্রে। সমাহিত মুখে চমৎকার উচ্চারণে ভাইয়া পড়লেন, তুমি কবি নও। পাঠ শেষে মনে হলো, আমার মত অকবির সাথে ভাইয়ার বর্ণিত কবির সত্যি কোন মিলই নেই! জয়তু, ভাইয়া!
লাল পাঞ্জাবীতে ইকরাম ভাইয়া এলেন বৃষ্টিশেষে রংধনুর মত আড্ডায়। ব্লগে তাঁর সাথে পরিচয় হয়নি আগে কিন্তু তাই বলে অপরিচিতির আঁধার কাটতে সময় লাগেনি এতোটুকুও। আমি সিসিবির সদ্যোজাত ব্লগার, তাঁর লেখালেখির সাথে পরিচিত নই তাই অনুরোধ করেছিলাম কিছু পাঠ করতে। ইকরাম ভাইয়া আমাদের নিরাশ করেননি। পারভেজ ভাইয়া ক্লাব স্যান্ডউইচ নিয়ে এলেন সবার জন্য। আমি ভাবছিলাম, দেশে কি লোকজন আর চা পান করেন না নাকি? এই যে লম্বা একটা আড্ডা হলো কেউ তো চা নিয়ে এলেন না! চানাচুর বা চা থাকুক আর নাইবা থাকুক আমাদের আড্ডায় গল্পের অভাব হয়নি কোন। মোকার গিটার সাথে নেই তাই আমার নির্দেশে গোটা দুই ফ্রন্টরোল দিয়ে পুরনো একখানা দিনলিপি পড়ে শুনিয়েছে সে। চমৎকার কথা বলে মোকা। তামা কাঁসার ব্রেসলেট পরা আধুনিক ডুডদের যে ছবি দেখে এসেছিলাম দেশে এই ছেলেটিকে দেখে সেইসব ডুডদের ছবি মুছে যায় চোখের পাতা থেকে।
আরেক দফা গল্প হলো সবাই মিলে। আমাদের আড্ডায় গান হবেনা তা কি করে হয়! পারভেজ ভাইয়া গান গাইলেন ‘এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে’। খায়রুল ভাইয়া আবারো পড়লেন কবিতা। আমি বাজালাম ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি’। ইকরাম ভাইয়াকে সিসিবিতে ফিরিয়ে আনতে জোর লবিইং চালানো হলো। তারই ফলশ্রুতিতে গতকাল ভাইয়া কে পাওয়া গেলো অবশেষে ব্লগে। আমাদের এই আড্ডার উদ্যোক্তা পারভেজ ভাইয়াকে ধন্যবাদ দিয়ে কিছুতেই ছোট করবো না ভেবেছিলাম, কিন্তু ছোট না করেও কোন উপায় দেখছিনা যে! তাঁর উদ্দীপনাতেই তোমাদের সব্বার সাথে দেখা হলো অবশেষে এজন্য ভাইয়াকে স্যালুট! ক্যাডেটস, ডাইনে দেখবে, ডাইইইইনে দ্যাখ!
চারটে বেজে গেছে, আমার দেশে ভোরের পাখি ডাকতে শুরু করেছে ততোক্ষণে তবুও গল্পের শেষ নেই। ঢাকার আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। তের নদীর ওপার থেকে বৃষ্টি শেষের প্রশান্তি টের পাই আমিও। এবার বিদায়ের পালা।
ইংরেজি অভিধানে আলেকজাইথেমিয়া বলে বেশ খটোমটো একখানা শব্দ আছে। আলেকজাইথেমিয়া হলো একটা ট্রেইট যেখানে কেউ তার অনুভূতি অথবা ভাবনাকে প্রকাশ করতে পারেনা। আড্ডা শেষে ঘুমোতে যেতে যেতে আমার শহরে ভোরের আলো না ফুটলেও নগরজীবন জেগে উঠছে বাইরে টের পাই। নিজেকে হঠাৎ আমার সেই আলেকজাইথেমিয়ার পেশেন্ট মনেহলো।
আলোকচিত্রগ্রহণঃ মোকাব্বির সরকার
আড্ডার পর থেকেই কি কি যে যুদ্ধ লাগলো, এক মুহুর্ত দম ফেলার ফুরসৎ পাচ্ছি না।
এখনও ভিডিওগুলো আপলোড করতে পারি নাই, তো প্রমিজড ভিডিও ব্লগ লিখবো কিভাবে, বলো?
চমৎকার ব্লগ লিখেছো। মনেহলো আমি যেন সব দেখতে পেলাম। আবার।
মোকাব্বিরের অডিও ব্লগের অপেক্ষায় আছি।
ছবিগুলোও দারুন হয়েছে। শুরুতেই নিজের ছবি দেখে যার-পর-নাই পুলকিত!!!
সব মিলিয়ে, পুরো এক্সপেরিয়েন্সটা আসলেই অসাধারন।
দারুন একটা লেসন নলাম।
ভবিষ্যতে হ্যাং আউট ব্যবহার করতে হবে ভিডিও কনফারেন্স কল করার জন্য।
স্কাইপি যে "ফ্রী ভিডিও কনফারেন্সিং" বন্ধ করে দিয়েছে, আমার জানা ছিল না। তাহলে এবারই বিকল্প কিছু ভাবতাম।
(মাশরুফকে পেয়েও নেয়া গেল না তো ঐজন্যই...)
ভবিষ্যতে আরও ফাটাফাটি একটা আড্ডা কিভাবে করা যায়, এখন থেকেই ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছি.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
কেউ কিছু লিখছোনা দেখে আমিই লিখে ফেললাম অবশেষে! আমার কাছে আর কোন ছবি নেই দেখে তোমার তোলা ছবিই দিলাম, ভাইয়া! টেক ইউর টাইম, ধীরসুস্থে লিখো তুমি।
টাইমিংটা একটু গড়বড় হয়ে গেছে এইবার। বেপারনা, নেক্সট টাইম 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
নেক্সট টাইম স্যাটারডেতেই করতে চাই আর তা দুপুরে লাঞ্চ সেরে।
ধরো তিনটা-সাড়ে তিনটার দিকে যদি শুরু করি তো ক্যামন হয়?
আমেরিকায় তখন খুব ভোর হলেও, ইওরোপে সকাল নটা, জাপান-অস্ট্রেলিয়ায় রাতের প্রথম ভাগ...
বাই দ্যা ওয়ে, বাইরে থাকা পার্টিসিপেন্টরা কিভাবে হ্যাং আউট-এ এনাবলড হবে, সেই টিপস কিন্তু তোমাদের কোন একজন আইটি গাইকে দিতে হবে।
সাথে হ্যাং আউট অন এয়ার কিভাবে এনাবল করা যাবে, সেই ব্যবস্থাটা যদি করে দাও, ফাটাফাটি হবে ব্যাপারটা...
কি ভাবছো, জানিও...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে সবার সাথে আড্ডা দিতে আমার আপত্তি নেই মোটে, ভাইয়া! স্কাইপ যখন বদার করছিল দেশে, আমি কিন্তু সেদিন হ্যাংআউটেও কথা বলেছি তোমাদের সাথে, মনে আছে?
পারভেজ ভাইয়া, মোকা ছবি পাঠিয়েছিলো মেইল করে। এড করে দিয়েছি ব্লগে। দেখে নিও সময় পেলে!
দেখছি...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
কি দারুন! কি দারুন!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
তোমাকে মিস করেছি, জিহাদ। একখানা অডিও আর একখানা ভিডিও ব্লগ আসছে যারা আসতে পারোনি তাদের জন্য। শুরুটা হলো সবে, পরের আড্ডাটা আরো জমজমাট হবে আশা করি।
আহা আপা ছোটখাট মানুষটাকে এত প্রশংসা করছেন :shy: :shy:
আমার ছবিগুলো কি আমি কাজ করে গুগল ড্রাইভে আপলোড করে দিব? সেখান থেকে আপনারা যারা পোস্ট করতে চান করে ফেললেন?
আপাতত সেদিনের আড্ডা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আলেকজাইথেমিয়ায় আমিও ভুগছি। চিন্তা করছি পরেরটা কবে হবে। প্রচুর কথা বলে ফেলেছি সেদিন! প্রথম দেখা হবার পরে সবাই এই ব্যাপারটা খেয়াল করে! আমি ডিজিটালি নীরব, বাস্তবে সরব! 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
🙂 🙂 🙂 🙂
ছবির জন্য অনেক ধন্যবাদ, মোকাচিনো! গ্রুপ ছবিতে সব সময় রূপবানেরা সামনে দাঁড়ায় নাকি??
কিন্তু আপা রূপবানের চেহারাতো ঝাপসা এলো! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ঝাপসারই যে ঝিলিক বাপু! 😀
হাহাহাহাহা। নোটিফিকেশানটা এসে কি যে সুবিধা হইলো আপা। অন্য কোথাও ঘুরে বেড়াই। +১ দেখলেই এসে পড়ি। এখন একটা ঘন্টা লাগায় দিলেই ষোল কলা পূর্ণ! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমারও একটাই দাবী ঘন্টি চাই একখানা! ডিংডং ডংডং ডং! :tuski:
জিহাদ ঘন্টা বাজাও! :awesome:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski:
পারভেজ এর ‘কেউ কথা রাখেনি’ আবৃত্তির প্রায় শেষ পর্যায়ে আমি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। ওর কোন কাগজ বা স্ক্রীনের সাহায্য ছাড়া এতবড় একটা কবিতা নির্ভুলভাবে আওড়িয়ে যাবার দক্ষতা দেখে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। পরে জেনেছি, এসব কাজে ও বরাবরই পটু।
আড্ডায় আরো অনেক ক্যাডেট সমাগম হবে বলে আশা করেছিলাম। তা না হলেও মন্দ লাগেনি। যাদের সাথে সেদিন চাক্ষুষ আলাপ পরিচয় হলো, তাদের সাথে আগে কখনো তা হয়ে ওঠেনি।
তোমার লেখায় ঘটনার রানিং কমেন্ট্রি বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে, কাব্যিক ভাষায়। তার পরেও কেন জানি মনে হলো, হয়তো কোন তাড়াহুড়োয় লিখেছো, নয়তো কোন দ্বিধা দ্বন্দ্বে। সত্যি সত্যি 'আলেকজাইথেমিয়ার' আছড়ও পড়ে থাকতে পারে।
🙂 🙂 🙂 🙂
কোন রকম দ্বিধাগ্রস্ততার লেখা এটি নয়, ভাইয়া! বলতে পারেন, আই ওয়াজ ওভারহোয়েলম্ড; একসাথে অনেকগুলো প্রিয় মুখ দেখতে পেলে যা হয় আরকি! ইট ওয়াজ ভেরী নাইস মিটিং ইউ!
ইট ওয়াজ এ প্লেসার বীইং এ পার্ট অব এ থ্রেডলেস গারল্যান্ড। থ্যাঙ্কস!
🙂 🙂 🙂 🙂
নিটোল বর্ণনার গুণে প্রাণবন্ত আড্ডার রূপ দূর থেকেও কল্পনা করে নিতে পারা যায়। এ তো ঝকঝকে বেলজিয়ান আয়নায় সরাসরি প্রতিফলন নয়, কেমন যেন সুনিপুণ স্ফটিকের বহুবর্ণা, বহুপ্রভা প্রতিফলন। তীক্ষ্ণ সৌন্দর্য-চেতনা দিয়ে বুঝে নিতে হয়। সেই চেতনা যাঁদের আছে, তাঁরা ভাগ্যবান, তাঁরা আমার মতো নন। আমি তাঁদের বিমুগ্ধ ঈর্যা করি।
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
🙂 🙂 🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া! আগামী আড্ডায় আপনাকে আমাদের পাবো আশাকরি!
শেষ ছবিটার ওরিয়েন্টেশন ঠিক করতে হবে । ভিডু কবে পাব আপু ?
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভিডু দেয়া তো আপুর দায়িত্ব ছিল না।
ছিল আমার দায়িত্ব।
কাল একটা জোর প্রচেষ্টা করবো তা দিতে।
আপলোড ও স্ট্যাবিলাইজ করা শেষ।
এখন কমেন্ট্রি লিখে লিখে এমবেড করলেই কেল্লা ফতে।
কিন্তু সেখানটাতেই সমস্যা।
টাইম পাচ্ছি না।
আজ যাও পেলাম, পদ্যাক্রান্ত হয়ে তা খরচ করে ফেললাম।
দেখি, কাল একটা কিছু করতেই হবে।
"কাসাম পয়দা করনে ওয়ালে কি..."
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বড়া ভাইয়া হো তো এইসি হো, পারভেজ ভাইয়া! :boss: :boss: :boss: :boss:
ডিভাইসজনিত বিড়ম্বনায় আছি, ভাইয়া! আইপ্যাড থেকে আপলোড করেছিলাম এটি, সেখানে তো ছবিটিকে ভদ্রস্থ দেখাচ্ছে, এখন তোমার কথা শুনে ল্যাপ টপে এসে দেখি ঘটনা অন্যরকম। ঠিক করে দিলাম।
😀 :party:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
কি আড্ডাটাই না মিস করলাম ।
আমার এমনই হয় ।
পারভেজ রকস ।
আন্ড
সাবিনা সিংগস আওয়ার সোওলস ...
ওকে নেক্সট টাইম ।
(এন্ড দ্যাট ইজ মাই নেম সামটাইমস)
🙂 🙂 🙂 🙂
দা সুইটেস্ট টু ওয়ার্ডস আর 'নেক্সট টাইম', এন্ড দা সাওয়ারেস্ট ওয়ার্ড ইজ 'ইফ', ভাইয়া! ক্যান্ট ওয়েট টু সি ইউ সুন, ভাইয়া!
দারুন লিখেছ
মিস করলাম
আশা করি আগামিবার
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই, আপনাকে অনেক দিন পর দেখলাম। ভালো আছেন আশা করি। একদিন এসে আপনার সাথে দেখা করতে হবে। অনেকদিন আপনাকে দেখিনা 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
🙂 🙂 🙂 🙂
🙂 🙂 🙂 🙂
ব্লগ প্রিন্সিপ্যালের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম! নাইস টু মিট ইউ, ভাইয়া!
আমরাও আপনাকে মিস করেছি। আশাকরি আসছে আড্ডায় দেখা হবে।
সাবিনাপা, কারো মন্তব্যে জবাব দিতে হলে মন্তব্যের ঠিক নিচেই জবাব দিন বাটনে টিপে মন্তব্যের উত্তর দিয়েন। না হয় মন্তব্যকারী কোন নোটিফিকেশন পাবেন না। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
মাইক্রো ফোন টেস্টিং ওয়ান টু থ্রি... পেলে???? 🙂
লাউড এন্ড ক্লীয়ার। ওভার!
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সিসিবির হই হই রই রই পিকনিকগুলোও মিস করিনি, মানে ফোনে কথা বলেছিলাম কয়েকজনের সঙ্গে। তার মধ্যে আন্দালিব, জিহাদ, সামিয়া, আবীর আর অবশ্যই সানা ভাই ছিলেন।
আর এবারের কবিতা-গানের আড্ডায় থাকতে না পারাটা যে কি বিশাল মিস তা না হয় খোলাসা করে আর না-ই বললাম।
সপ্তাহের মাঝে বসে কিছু বলা আমার জন্যে আজকাল বেশ দুরূহ, তবু আজ বসেই গেলাম বলতে।
বহুদিন ধরে আমার এ দাবীটুকু ছিলই। এভাবে জমজমাট করে একটি আয়োজন হবে মহাসাগরের এপার-ওপার জুড়ে দিয়ে। আশা করি, পরের কোন একটি আয়োজনে যোগ দিতে পারবো।
আপা, তোমার এ-লেখাটি প্রথম দিনেই পড়ে নিয়েছিলাম, আদায় না থাকার ঘাটতি মেটাতে। অশেষ ধন্যবাদ প্রথম দিনেই চটজলদি এমন দারুণ একটা সিনপসিস উপহার দেবার জন্যে।
এর মধ্যে অবশ্য ভিডু ব্লগ চলে এসেছে। যাই এরবারে ওদিকে ঢুঁ মারি। 🙂 🙂
তুমি ইভেন আমাদের একটা কলও করো নাই, নূপুর! :(( মোহন বীণাটা কী মিস করলাম!
সিসিবি দেখি "সিনিয়র পার্টি" দিয়ে সয়লাব। 😛
দিন বদলাইতেছে মুনে লয়, ;))
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমরা বুড়ো বলে কি মানুষ নই? 😛 তোমরা জুনিয়র ভাইয়ারা আমাদের সাথে না এলে কি করি বলোতো, নিমন্ত্রণ তো সব্বাইকেই দেয়া হয়েছিল, ভাইয়া। আসছে আড্ডায় দেখা হবে আশা করি। 😀
শারিরিক বয়সটাই প্রকৃত বয়স না।
মনের বয়সটাও তো দেখতে হবে, তাই না?
"সিসিবিয়ান মাত্রই মানসিক ভাবে তারুন্যে ভরপুর" - এনি ডাউট? কই শাক?? আছে কোন সন্দেহ???
বয়সে তরুনরা যদি মনের দিক থেকে জবুথবু হয়ে পরে, কি আর উপায় থাকে এগিয়ে না এসে - বলো?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
খাইছে, ঘন্টি লাগাইছে নাকি জিহাদ, লাল রংগা ঘন্টি দেখি একটা। 😀
যাউজ্ঞা, ভাইয়া-আপুদের তারুন্য দীর্ঘজীবি হোক, এই দোয়া করি। :goragori:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কমেন্ট করে লুকিয়ে যাবার আর কোন উপায় নাই, সেলুকাস!!!
কমেন্টের পর কে কখন ঘন্টায় ধরে টান দেয়, সেই অপেক্ষাও করা লাগবে এখন থেকে...
😀 😀 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
'তরুণদের জন্য মুসিবত হচ্ছে তরুণ বয়েসেই তারা তারুণ্য হারায়' এটি কার উক্তি বলতে পারো? আমাদের পাঠ্য বইয়ে ছিল এটি। লেখকের নাম ভুলে গেছি আজ যদিও! সব্বার তারুণ্যই দীরঘজীবি হোক!
আরে এটা তো আমার উক্তি,
এভাবে সব ভুলে গেলে চলবে নাকি :grr:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
টোনটা তো ডাঃ লুতফর রহমানের...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.