মন রে, মন আমার, তুই মানুষ হইলি না………… (২)


গতকাল সন্ধ্যায় সৈয়দ শামসুল হককে চাক্ষুস করে আসলাম। টোকিওর শিবুইয়ায় এখানকার বাংলাদেশী লেখক সংঘের একটা অনুষ্ঠানে একজনের একটা উপন্যাসের মোড়ক-উম্মোচন করতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। প্রবল আগ্রহ নিয়ে গিয়েছিলাম কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হককে চর্মচোক্ষে দর্শন করতে। আফসোস, দেখে এলাম কথাসাহিত্যিকের দেহে অন্য একজনকে, যে আর দশজনের মতই টাকায় বিক্রি হয়, ক্ষমতার অনুগ্রহের লোভে অন্ধ হয়, এমনকি ভুলে যায় নিজের দেবতা-প্রায় অবস্থানকেও!

তখন ক্যাডেট কলেজে,

বিস্তারিত»

বৈশাখ ১৪২১

শিমুল তুলো

গগনবিহারী শিমুল তুলো
মিতা গরম হাওয়া
আর ধূলো।

তপ্ত বিষাদ

অনল প্রবাহে তপ্ত মগজ
শীতলীতে মস্তক মুণ্ডণ
হরিষে বিষাদ স্বমেহন।

ফটিক জল

দিঘীর তলার কাদা ফাটে
মিন মণ্ডুক চাতক কাঁদে
ফটিক জল ফটিক জল।

বৈশাখী অশ্রু

বৈশাখী গরম হাওয়া
আগুনের হলকায়
কাঁদার আগেই অশ্রু শুকায় !

বিস্তারিত»

প্লাস্টিক ! (female version)

প্লাস্টিক জিনিষটা কেন জানি আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে। অনেক খুঁজেও এর কোন খুঁত বের করতে পারিনা আমি। এই জিনিষ পানিতে পচেনা, আগুনে পোড়েনা। বাইরে পড়ে থাকলেও শত শত বছর অবিকৃতি রয়ে যায়, ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়াও এদের কিচ্ছু করতে পারেনা। এরা এতোই নমনীয় যে প্রয়োজন হলেই এরা যেকোন আকার নিতে সক্ষম। আবার প্রয়োজন হলে এতই শক্ত হয় যে টনকে টন ওজন অনায়াসে বহন করতে পারে! প্লাস্টিকের জিনিষ অনেক চকচকে,

বিস্তারিত»

ব্যাঙের বিয়ে

বৈশাখের জ্বর উঠেছে
সেলসিয়াসে চল্লিশ
ঢালতে হবে মাথায় পানি
পাচ্ছে না কেউ তার হদিস।
কেউবা সিন্নী মানত করে
কেউবা ব্যাঙের বাচ্চা ধরে
কলা গাছের পাল্কী নিয়ে
আলতা মেখে দিচ্ছে বিয়ে।
যাচ্ছে তারা বাড়িবাড়ি
কাদা বানায় উল্টে হাঁড়ি
সেখানে দেয় গড়াগড়ি
হয়ে যাবে ডাল খিঁচুড়ি।

দাও আল্লা দাও পানি
ধানের ভূঁইয়ে নাই পানি
তিলের ভূঁইয়ে হাঁটু পানি
ধানের ভূঁইয়ে নাই পানি
দাও আল্লা দাও পানি।

বিস্তারিত»

প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ

শুনলাম কাল নাকি বৃষ্টি হবে-
ছাতা নিয়ে এসোনা খবরদার!
আবার বলছি- ছাতা কেড়ে নেবো ঠিকই,
বৃষ্টিতে ভিজি না অনেকদিন তোমার সাথে;
বৃষ্টিভেজা তোমায় যে দেখিনা কতকাল।

রিকশাওয়ালাদের সাথে একটা চুক্তি করেছি আমি,
কেউ যাবে না আজকে -যেখানে তুমি যেতে চাও।
রোদে হেঁটে, ঘেমে ঘেমে মুখ লালচে করে ফেলো তুমি।
তোমার জন্য রুমাল কিনেছি একটা।

এরপর যখন দেখা হবে-
ইচ্ছে করে চশমাটা ভেঙ্গে ফেলবো আমার।

বিস্তারিত»

কৃতঘ্ন বাঙালি আমরা।

ভোদাই বাঙ্গালির বুদ্ধি-শুদ্ধি জীবনেও হবে না।

একবারও ভেবে দেখেছেন বিষয়টা? মানুষগুলো সারাদিন বসে আছে, যেই তার কাছে আসছে বলছে “আমার পেটে ব্যথা, আমার মাথা ঘুরায়, আমার ডাইরিয়া, আমার চুলকায়,আমার কুঁচকিতে ঘা,আমার বিচি ফুলে গেছে” টাইপ কথাবার্তা। জীবনের প্রতিটা দিন মানুষগুলো অন্যের অসুখের কথা শোনে। আমাকে, আপনাকে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করে। যেন আমরা ভাল থাকি, সুস্থ্য থাকি। এরা যখন ডিউটিতে থাকে তখনতো করেই, ডিউটি ছাড়াও এখন তো মোবাইলের যুগ।

বিস্তারিত»

কিছু ভাবনা, কিছু শঙ্কা

ঘটনাটি খুবই সাম্প্রতিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। না এটি নিয়ে আমি লুকানোর কিছু দেখছিনা। ২০১৩ সালে পাশ করা ক্যাডেট কলেজের এক ছেলে একই বছর গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করা প্রেমিকাকে মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলেছে। “মেরে তক্তা বানানো” কথাটি এখানে অলংকরণ হিসাবে ব্যবহার করি নাই। জখম হবার পরের একটি ছবি দেখার পরে আমার এই কথা মনে হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ পায় “ক্যাডেট নয়” [উদ্ব্যক্তি সংযুক্ত] এরকম একটি ফেইসবুক গ্রুপে।

বিস্তারিত»

লোকটি

পানি উন্নয়নের পশ্চিম পাড় ঘেঁসে
ছুটে চলেছে বরাহ মহাসড়ক
তার একটা বাচ্চা খালটির
বুক চিরে পুবের কচু ক্ষেতের দিকে।
কনক্রিটের ক্ষুরাঘাতে মৃতপ্রায়
নর্দমার রুপ নিয়েছে পাউবো।
সেখান থেকে সাড়ে তিন হাত দক্ষিণে
কাঠফাটা রোদে ঘুমিয়েছিল লোকটি।

কদমফুল মাথা ভাটের গোড়ায়
ডান তালুর উপর স্থির
পায়ের কাছে পড়ে আছে
সবুজ পানির বোতল।
আধভাঁজ করা হাঁটুর উপরে
অলস কবজি নড়ে উঠে একটুখানি।

বিস্তারিত»

আমাদের গন্তব্য কোথায়???

না এইটা পরকাল বিষয়ক পোষ্ট নয়।
ঐদিন কোরান হাতে নিছি। বউ কইলো,

“আবার কার সাথে যুদ্ধে নামছো?”

মাঝে মাঝে স্পষ্ট টের পাই এই এলো বলে, এই এলো বলে..
কি আসবে?
ওহি আসার কথা বলছি।

যাই হোক আর আঘাত দিতে চাচ্ছি না কাউকে। স্টে কুল।

সবাই কে বাঙলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।

বারো মাসে তেরো পরবের কথা বলা হলেও আমাদের আনন্দ করার সুযোগ খুব কম।

বিস্তারিত»

চারাগাছের পাতা ৭

কেউ একজন আমার সাদাকালো জীবনে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া ফুলের মতন। আমার মন খারাপের একাকী মধ্যরাতে শুক্লপক্ষ চাঁদের মতন। কেউ একজন আমার ডান হাতের তর্জনী ছুঁয়ে দেয় গভীর মমতায়। ইউটিউব ঘেঁটে মেসি-রোনালদোর তুলনা করতে পারে কেউ। জীবনে একবারের জন্যও ফুটবল খেলতে না নামা কেউ একজন ঠিক আমার মতই ম্যারাদোনা-পেলে-রোনালদিনহো কে সরিয়ে ইতিহাসের সেরা হিসেবে মেনে নেয় এক ফরাসি ভদ্রলোককে। কেউ একজন আমার মতই ল্যাপটপের ওয়ালপেপারে ঝুলিয়ে রাখে টাক মাথার এই ভদ্রলোকের ছবি।

বিস্তারিত»

সর্বদাই “লাস্ট”

ক্লাস সেভেন এ যাবার এক সপ্তাহের মধ্যে একটা পরীক্ষা হয়। মান যাচাই পরীক্ষা। তেমন কিছু না। ২০ কি ২৫ মার্কসের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, সাধারন জ্ঞান সবই থাকে। এতদিনের ‘ভাল’ ছাত্র ক্লাসে ফার্স্ট, সেকেন্ড হওয়া ছাত্র আমি। পাত্তাই দিলাম না। প্রশ্ন পাবার পর আমার চেহারা হল এই রকম। কসম। এই রকমই হইছিল। 1384089_580650091997778_1524256330_n

পরীক্ষা শেষ করলাম। ভাবলাম যাক বেচে গেলাম। দেখি,

বিস্তারিত»

বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন নিয়ে ভাবনা

এই লিখাটা ৬ মার্চ নতুনবার্তায় গিয়েছিল। এখানেও আর্কাইভ করছি।

দেশের একটি প্রধান পত্রিকায় প্রকাশিত আজকের (৫ মার্চ ২০১৪) এক সংবাদে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রস্তাবটি গৃহিত হলে দরিদ্র গ্রাহকের মাসিক ব্যয় বাড়বে ১০০ টাকা আর ধনী গ্রাহকের ব্যয় বাড়বে মাত্র ১২ টাকা।

তবে যা বলা হয় নাই, তা হলো, ওই “ধনী” গ্রাহকদের বিল ইউনিট প্রতি আর ১৫ পয়সা করে বাড়ানো হলে তাদের মাসিক ব্যয় “দরিদ্র” গ্রাহকগণের সমান হয়ে যেতো।

বিস্তারিত»

তবু ফিরে ফিরে আসি (হতে পারতো ফেইসবুক, আপাতত সিসিবি)

পাঠক হিসেবে প্রায় প্রতিদিন লগ-ইন করে লেখা ও মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করা বড় কষ্টকর। বিশেষ করে নিয়মিত হাতিঘোড়া লেখার অভ্যাস থেকে পাঠকের অবস্থানে নেমে আসলে হাত নিশপিশ করতেই থাকে। সেই অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে যখন সামাজিক মাদক ফেইসবুকে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়া হয়। লোক দেখানো হচ্ছেনা। কি ভাবছি বলা হচ্ছে না। কি দেখছি লেখা হচ্ছে না। ছবি তোলা হচ্ছে না। ফেইসবুকে যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করেছি।

বিস্তারিত»

হুইসেল

সেবছর অন্যসব বছরের চেয়ে শীত বেশ খানিকটা জাঁকিয়ে পড়েছে। সকালবেলা বিরেন মাস্টারের বাসায় গেলে, শরীর ভাল নেই অজুহাতে মাস্টার ছুটি দিয়ে দেন। এই কড়াল শীতকে অগ্রাহ্য করে বাইরের বাংলো ঘরে ঘণ্টাখানেক ছাত্রকে বিদ্যাশিক্ষা করাবেন না- সেটা জানা ছিল বলেই বিরেন স্যার আমার সবসময়ের প্রিয় শিক্ষক।
সেদিন স্যার আমার পায়ের আওয়াজ শুনেই ভেতর থেকে বলে উঠেছিলেন-

-এই ঠাণ্ডায় বাইরে কি রে? যা ঘরে গিয়ে লেপের নিচে ঢুকে ১৩’র ঘরের নামতা মুখস্ত কর।

বিস্তারিত»