পারিবারিক বকর বকর

ক্ষুদে বার্তায় পদ্য বিনিময়

আমার গিন্নী বাংলার ছাত্রী। এক দিন ওর এক বান্ধবীকে আমার লেখা কিছু কবিতা শুনালাম।পরের দিন বেশ ভালই ঝাড়ি খেতে হলো।রোবট আবার কবিতা লেখে । কবিতার কিছু বুঝ তুমি ? কবিতার মধ্যে থাকতে হবে প্রেম ভালোবাসা ।ও বস্তু তোমার মধ্যে আছে ? মনের আক্ষেপ প্রকাশ করা ওসব ছাইপাশ কোনও কবিতা নয়। সেটা আবার পেপারে ছাপার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছো। আরে সাধনা লাগে সাধনা ।

বিস্তারিত»

আমরা এমন কেনো?

ওয়েডিং স্ক্রিন ডট কম এর ওয়েব সাইট লঞ্চিং এর প্রোগ্রাম থেকে বাসায় ফিরছিলাম। ভালো খরচ করেছে ওরা। আমি গিয়েছিলাম সাংবাদিক হিসাবে। গিয়ে পেলাম অনুষ্ঠানের অন্যতম ব্যাবস্থাপক হিসাবে এক ছোট ভাইকে। অনুষ্ঠান প্লাস খাওয়া দাওয়া বেশ ভালো হয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র থেকে শুরু করে অনেক বিশিষ্ট লন্ডনী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। কেটারিং এর সাথে জড়িত একজন ভারতীয় আর গুটিকয়েক ইংলিশ আর কালো বাদে বাকি সবাই বাংলাদেশি ছিলো।

বিস্তারিত»

ক্ষুদে কবিতা

রুদ্ধ আকাশ

কে বলে উন্মুক্ত আকাশ ?
গরল বর্ষনে প্রস্তুত
ঘন মেঘে রুদ্ধ !
অমৃতের ছদ্মবেশে যার ছিটে ফোটা
পৌঁছে গেছে শোবার ঘরে।
চাতক মন অতৃপ্ত!

হারিকিরি

একদেশ দুই নীতি
চায়না  পাকি পিরীতি !
মুষিকের নেতাগিরি
হংকংয়ে হারিকিরি !

Frozen Heart

Winter shook the bones
With arctic vortex.

বিস্তারিত»

পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ১০

৪ মার্চ ২০১৪, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭টা
ইদানিং প্রথম আলো পড়ি না। আমি মনে করি এরচেয়ে সাদা বরফের দিকে চেয়ে থাকলে কিংবা কোমর ধরে উঠাবসা করলে যথাক্রমে চোখ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তারপরেও মানুষ বিগম্যাক কিনে কিংবা পান করে মনস্টার এনার্জি ড্রিঙ্ক তাই আমিও অসুস্থ স্বাদ পেতে প্রথম আলোর পাতায় ঢুঁ মারি। আজ ঢুঁ মারতেই খেলার পাতায় একটি লেখা চোখে পড়লো। আলোর মাঝে কালোর কষ্ট।

বিস্তারিত»

বাণিজ্য

[এই পোস্টটি অনেকক্ষণ ভেবে দিচ্ছি। একান্তই নিজস্ব ভাবনা। লিপিবদ্ধ করে রাখা দরকার মনে করি, আর অন্যদের এই বিষয়ে ভাবনা জানারও আগ্রহ হচ্ছে কিছুটা।]

প্রথমেই রায়হান আবীর মনে করিয়ে দিল স্ট্যাটাসে যে, “আমরা যা, তা-ই আমাদের সংস্কৃতি” (তথ্যসূত্র/কপিরাইটঃ সামাজিক বিজ্ঞান বই)। এই সুযোগে ওকে ধন্যবাদ দিয়ে নিতে চাই। ডামাডোলে ভুলে যাই এসব সহজ সংজ্ঞা। ছোটবেলায় কত দ্রুত এসব মুখস্ত করতাম, এখন জীবনের পথ চলতে গিয়ে পদে পদে এসব সংজ্ঞার পুনঃপাঠে উপকৃত হই।

বিস্তারিত»

চুলকানির মলম

ঘটনা প্রবাহ ১. আমি যতক্ষনে সব ব্লকড আর জ্যামপ্যাকড রাস্তা দিয়ে ছুটে স্টেডিয়ামে পৌঁছাই ততক্ষনে এলআরবির পারফরম্যান্স প্রায় শেষের দিকে । স্টেডিয়ামের মাঝের বিত্তশালী দর্শকরা তখনো মাত্র আসতেছে, গ্যলারির মাঝের দর্শকরাও আসলে তার গান আদৌ শুনতেছে বলে মনে হল না । ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না’ এই প্রবাদ আসমান থেকে পয়দা হয় নাই, আমাদের দেশেই পয়দা হইছে।জাতি হিসেবে আমরা সব সময়ই হীনমন্যতায় ভুগি। নিজেরা নিজেদের মর্যাদা দিতে না পারলে অন্যদের তো ঠ্যাকা পড়ছে এসে দিয়ে যেতে ।

বিস্তারিত»

বরুনা প্রবালের গল্প – ০২

আবারো টলে উঠলাম দিয়েগোর কথায়, মিসিং এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশন, মানে কোন হালকা ব্যপার না। এর পর সব বলে গেলো দিয়েগো একটানা।

এই এপার্টমেন্টে তেমন একটা ভাড়াটে বদল হয় না মাসে মাসে। নির্ঝঞ্ঝাট এবং বন্ধুবৎসল বলতে যা বোঝায়, প্রবালকে সে দলে ফেলা যায় কোন চিন্তা ছাড়াই। তাই প্রবাল চলে যাওয়ার পর দিয়েগোর মন কিছুটা খারাপ ই ছিলো। গত তিনদিন আগে পুলিশের আগমনে দিয়েগো স্বাভাবিক বলে ভাবলেও,

বিস্তারিত»

বরুনা প্রবালের গল্প – ০১

রাত বাজে তিনটা, বুঝলাম না ঘুম ভেঙ্গে গেলো কেন? নাহ, এলার্ম বাজে নি, চারিদিকে সুনসান নীরবতা, তারপরে ও কি হল? গত তিন মাস যাবত এ রকম হচ্ছে। কোন শব্দ বা বড়সড় আওয়াজ হলে মিমির ঘুম ও তো ভাংতো। মিমি কিন্তু শান্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে। মুহুর্তে মনে হলো প্রবালের কথা, পড়ার রুমে এসে ল্যাপটপ খুলে সবগুলো মেসেঞ্জার চেক করলাম, নাহ, প্রবালের কাছ থেকে কোন নোট আসে নি।

বিস্তারিত»

পচাণুগল্প ০১ #ডিয়েস্লার

– এক্সকিউজ মি, একটা ছবি তুলে দেবেন প্লিজ?

কিছু কণ্ঠ আছে যা শুনলে মাথা চক্কর দেয়, কিছু কণ্ঠে ভুরূ কুঁচকে যায় আর কিছু কণ্ঠে বুকের ভেতর পিয়ানোর সুর বেজে ওঠে। কিন্তু অচেনা নারী কণ্ঠের মাত্র এক লাইনে একইসাথে শরীফের ভুরূ কুঁচকে গেল, মাথায় চক্কর দিল, বুকের ভেতরে হাজারটা পিয়ানো টুংটাং বেজে উঠল। ঝট করে পেছন ফিরে তাকাল সে। উনিশ কুড়ির এক তরুণী ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

বিস্তারিত»

ঢাকা কাহিনী

আমার জন্ম থেকে শুরু করে বেড়ে ওঠা পুরোটাই ঢাকায়, আরো নির্দিষ্ট করে বললে মিরপুরে। কিন্তু ৯৬তে কলেজে যাওয়ার পর থেকে ঢাকার মেহমান হয়ে গিয়েছি। প্রায় পুরোটা সময় কেটেছে কয়েক মাস পর পর কিছুদিনের জন্য ঢাকায় বেড়ানোর মত করে। প্রতিবারই ঢাকায় গিয়ে নতুন কিছু দেখা হয়। কোনটা ভাল লাগে, কোনটা খারাপ আবার কিছু কিছু রীতিমত চমকে দেয়।

গত সপ্তাহেও এভাবে ঢাকা বেড়ানো হলো প্রায় পাঁচ মাস পরে।

বিস্তারিত»

অর্থহীনালাপ

আমি আমার বন্ধুদের অতীত অবয়বগুলোর জন্য প্রবল আকুতি ও বেদনাবোধ করি।

তাদের বর্তমান অবয়ব আমার সাথে মেলে না। শুধু অমিলই না, রীতিমত বিপরীত প্রবণতা দেখি তাদের ভেতরে। এজন্য আমি প্রথম প্রথম খুব ক্ষুব্ধ হতাম। কারণ অতি-পরিচিত এই বন্ধুদের সাথেই তো বেড়ে উঠেছি। আমার সত্ত্বার সাথে তারা মিশে আছে। আমার চিন্তাভাবনার অনেকটাই তাদের ঘিরে গড়ে উঠেছে। এখন হয়তো আমার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি হয়েছে,

বিস্তারিত»

রুপকথার গল্প

মে আই কাম ইন স্যার ?
আসো ।
এই , তুমি জুতা পড়ে এখানে ঢুকছ কেন ?
স্যার আমি পা মুছে ঢুকছি ।
যাও…… জুতা, মোজা খুলে ভালো করে হাত পা ধুয়ে আসো ।
কি ব্যাপার ? এতোক্ষন দরজা খোলা রেখেছ কেন ?……………………
আমি হাত পা ভালো ভাবে ধুয়ে রুমে ঢুকলাম ।
স্যার নীল একটা মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছেন ।

বিস্তারিত»

আর কত ?

আর কত দিন এভাবে চলা ?
পারিনা তবু হয়না বলা
সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে
ভাবনার জগতে আসি ফিরে।
হিসাব মেলেনা ইট পাথরের
কিংবা শাড়ী গয়নার,
না পারি অংক না পারি বিজ্ঞান
তবু তাকে বলি বাস্তব জ্ঞান।
হে  মোর আধুনিক পাঠশালা
দেখি শুধু ছলাকলা।
গা ভাসিয়ে সাগরে জলে
ঢেউ গুনে গুনে
করি নিজের অবহেলা।

বিস্তারিত»

এই আমাদের বেড়ে ওঠা

মাহিনের বয়স তখন কত হবে ছয় কিংবা সাত, ১৯৯১ সাল। সবে মাত্র কিছুদিন হয়েছে কুমিল্লা এলাকাটা ঘূর্নিঝড় পরবর্তী অবস্থা কাটিয়ে উঠেছে। চারদিকে চেয়ে দেখলে এখনও মনে হয় এই বুঝি গত রাতেই বড় আকারের ঝড় উঠেছিল। বছরের মাঝামাঝি সময়। আকাশের যেদিকটা চেয়ে দেখা যায় ক্ষানিক পরপরই কালো-ধূসর মেঘে ঢাকা,আকাশ থমথমে। মাহিনের স্কুল ছুটি হয়েছে আরও আধঘণ্টা আগে। ইস্পাহানি স্কুলের গেট ঘেষে বাচ্চাদের খেলা করার জন্য ছোট্ট একটা যায়গা সেখানে দোলনার উপর বসে মাহিন অপেক্ষা করছে আম্মুর জন্য।

বিস্তারিত»

কবিতাটা খুঁজছি

মুক্তিফৌজ আরও অনেক গুণী
যাদের কাছে আমরা ঋণী
নিরব এখন না ফেরাদের দেশে।
পতাকায় ঢেকে গান স্যালুট
বন্দনায় মুখর লাশের পাশে
ধূলো বা ছাই হবার আগে
তার কী বা দাম আছে !

আক্ষেপে তাই কবিতা হল
তোমাদের ইতিহাসে
বীর নেই শহীদ আছে।
সম্মান  না দিলে পরে
গুণী জন্মাবে না দেশে।
বেঁচে থাকতেই দাও সম্মান
মানুষ হও অবশেষে !

বিস্তারিত»