পানির জগ
কলেজে আমার দ্বিতীয় দিন। তার আগেরদিন একটা ঘোরের মধ্যেই কেটে গেল। নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষজন, নতুন নতুন কালচার, বড় ভাইয়াদের কাছ থেকে নানান আচার ব্যবহার শিখতে হচ্ছে। শিখতে গিয়ে ব্যাপারগুলো যেমন কঠিন লাগছিল তেমনি ভয়ও লাগছিল। এতো নিয়ম-কানুন কিভাবে মনে রাখব? মনে মনে ভাবছিলাম “হালার কোন আজব জায়গায় আইলাম”। এইসব নিয়ম কানুন শিখানোর জন্য দুইজন ডেডিকেটেড ইমিডিয়েট সিনিয়র বিদ্যমান এক.
বাংলা খাবার লন্ডনে
লন্ডনে প্রায় সাড়ে চার বছর এর উপর হয়ে গেল, সেই প্রথম বছরের পর থেকেই কেন যেন দেশে ফেরার চিন্তা শুরু করেছিলাম, কিন্তু পরিস্থিতি আমাকে সেই সুযোগ এনে দেয়নাই। যাই হোক, লন্ডনে আমি যেখানেই যাই আজীবন শুধু অভিযোগ করে গিয়েছি। এর কারণ কি আমি, নাকি যা নিয়ে অভিযোগ করছি তা।
আজকে প্রথমেই খাবারের কথা বলবো, লন্ডনে বাংলাদেশের সব কিছু পাওয়া যায় বলে একটা সুনাম আছে।
বিস্তারিত»ফেইল সমাচার
সবকিছু নিয়ে ফাজলামো করাটা আমার মজ্জাগত। অধিকাংশ মানুষই এটা নিতে পারে না। ইদানীং আরো পারছে না!সবাই রেগে যাচ্ছে। অনেকটা “সে ফেল করছে, সে ফাজলামো কেন করবে? সে থাকবে মন খারাপ করে! নির্লজ্জ ছেলে! ” এইরকম চিন্তাভাবনা।
আমার আশেপাশের মানুষগুলোর হাবভাব দেখে মনে হয় আমি না, তারাই ফেল করেছে! তারা খুব বিব্রত! কি বলবে খুঁজে পায় না! তাদের বিব্রতভাব দেখে মনে হয় বিরাট পাপ করে ফেলছি।
বিস্তারিত»মনে হচ্ছে পদ্মায় এবার ব্রীজ হবেই
বাহাত্তর সালে প্রথম ফেরী দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়েছিলাম।
তখনো, নয়ারহাট, তরাঘাট ফেরীতে পার হতে হতো। তবে সেতু নির্মানের কাজ চলছিল। কাজ, নয়ার হাটে বেশ এগিয়েছে। তরাঘাটে হালকা পাতলা।
পথে বংসি কালিগঙ্গার মত নদীগুলো যেখানে ফেরীতে পারি দিতে হলো, সেখানে সেসময়কার প্রমত্তা পদ্মায় কখনো ব্রীজ হতে পারে, এইরকম চিন্তা আসাই তো পাগলের চিন্তা বলে ভাবা উচিৎ?
কিন্তু আমার সেই স্বপ্নটাই জন্মালো। জন্মালো,
বিস্তারিত»স্বপ্ন সন্ত্রাস – ২
ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন শাহীন কলেজে ভর্তি পরীক্ষা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগের পরীক্ষাটিতে কিছু একটা গোলমাল করে এসেছি। শুনে বাসায় সবার মুখ কালো। বিরতির পরের দুটো পরীক্ষা দিয়ে মনে হচ্ছে সম্ভব…দেখা যাক। সংবাদপত্রে রোল নম্বর দেখে মায়ের মুখে হাসি দেখেছিলাম কি? মনে নেই। শুক্রবার আসা হলো মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গনে। মৌখিক পরীক্ষা। হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হলো আমাদের ১০-১৫ জনকে। সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট হাতে ছোট টেস্টটিউব ধরিয়ে দিয়ে কর্কশ গলায় বলল,
বিস্তারিত»টিটোর গপ্পোঃ খেজুর পাতার হরিণ
নিজের হাতে কিছু তৈরী করার মজাই আলাদা।সেটি যদি বিনা খরচে করা যায় আর সুন্দর হয় তাহলে তো কথাই নেই। মাত্র দুইটি খেজুরের পাতা দিয়েই তৈরী করুন হরিণ আর বিশেষ কিছু হয়ে যান আপনার সন্তানের কাছে।আমি এটা তৈরী করা শিখেছিলাম আমার বোন রিনা রহমানের (রিনাবু) কাছে।কাউকে শিখাতে পারিনি।পাটি বুননের মত করে পাতা দিয়ে বোনা হরিণ । একে লোক শিল্প বলা যায় কি না তা বলতে পারি না।
বিস্তারিত»আই আই টি , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়েছিল আশির দশকে “কম্পিউটার সেন্টার” হিসেবে। তখন সারা বিশ্ববিদ্যাওলয়ের মধ্যে নেটয়ার্কিং এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হত। (কিছুদিন আগ পর্যন্তও তাই হত। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সার্ভারটিকে রেজিস্ট্রার অফিসে স্থানান্তর করা হয়েছে)। মজার ব্যাপার হল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কম্পিউটারটি কিন্তু এখানেই স্থাপন করা হয়েছিল। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সুনাম জানি। এই বিভাগটির যাত্রাও শুরু হয়েছিল আই আই টির ভবন থেকেই।
বিস্তারিত»একটি তথাকথিত কবিতার পিছনের গল্প
২০১৪ সাল।এপ্রিল মাসের প্রথম পক্ষ ।আমার স্বামী বেচারা খুব অন্যমনষ্ক।ন্যাড়া মাথা বিমর্ষ মুখ।কী যেন ভাবে।মনে হয় ঘোরের মধ্যে আছে।জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে রাস্তার দিকে তাকায়।বিশেষ কিছু খুজে।রাতে ঠিক মত ঘুমায় না।ছোট চার্জার লাইট জালিয়ে ডায়েরীতে কী সব লেখে।হঠাৎ করে তার খুব হাইকু লেখার বাতিক হয়েছে। বাস্তব জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক দিন আগে হুমকি দিয়েছিলাম। ছন্দের আকারে-
হাইকু লেখলে হাত ভাঙ্গব
কলম আর কম্পিউটার
কবি হতে চাইলে ফের
বাড়ি খাবে ঝাঁটার।
আয় মন, নস্টালজিক হই!
ক্লাস সেভেনের সেকেন্ড টার্মে। তখন আমরা সকাল-বিকাল ড্রিল করি। অথরিটির দয়া যেদিন উপচে পড়ার পর্যায়ে চলে যায় সেদিন বিকেলে গেমস করি। এমন এক উপচে পড়া দয়ার বিকেলে গেমসের সময়ে অ্যাথলেটিক্স গ্রাউন্ডের কোনার আম গাছ থেকে তিনজন ক্লাস সেভেন আম পাড়ছিল। এ পাড় থেকে গ্রাউন্ড সুপার তাদের নাম জানতে চাইলে ক্লাস সেভেনের আমরাও নাম বলে দিলাম জসীম, কাশেম এবং রুবেল। বিজয়ীর হাসি মুখে নিয়ে নাম লিখে নিয়েছিলেন গ্রাউন্ড সুপার,
বিস্তারিত»টিটোর গপ্পোঃ গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ
অতীত ভ্রমন সম্ভব। বিশ্বাস হচ্ছে না ? গাল গল্প নয়। আপনিও পারবেন। এজন্য বিশাল কিছু হবার প্রয়োজন নেই।ওয়ার্প স্পীডে ছোটার মত নভোযানও লাগবে না।টাইম মেশিনও দরকার নাই।প্রথমে একটু প্রমান দেই।চাঁদ তারা দেখুন।অতীত দেখা হয়ে যাবে।এবার কাজের কথায় আসি।নারকেল গাছে উঠুন। গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ দিয়েই পাঠিয়ে দিবো আপনার শৈশবে।
প্রথমে একটা নারকেল পাতার শলার এক পাশ থেকে একফালি কাটুন।ফালিটার মাথা থেকে একটা ছোট অংশ কাটতে হবে।ছোট অংশের দৈর্ঘ্য ফালিটার প্রস্থের তিনগুনের কম হতে হবে।ছবি অনুসরন করে গিট্টু দিন।হাতের কব্জির সাথে প্যাঁচ দিন।তৈরী হয়ে গেলো ঘড়ি।গিট্টুর দুই দিকে প্যাঁচ দিয়ে দুপাশে শলা লাগান।পেয়ে গেলেন চশমা।কয়েক ফালি পাতা নিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে চোঙা বানান।বড় পাশে শলা আটকান।ছোট পাশে সমান দুই টুকরা পাতার ফালি ঢুকিয়ে দিন।
বিস্তারিত»স্মাইল লাইক লেফট্যানেন্ট সিরাজী
ক্যাডেট ইয়াসির
ইনটেক-২৬
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ
হালকা ফুলো ফুলো ছেলে হলেই যে ক্যাডেট কলেজে অচল আধুলী হয়ে যেতে হয় সেই ধারনায় পানি ঢেলে ইয়াসির ছিল এক টুকরো জীবন্ত আনন্দ। ওকে দেখেছি ষাঁড়ের মত ফুটবল মাঠে বার বার ডাইভ দিয়ে ডিফেন্ড করতে, টাইট বেল্ট লাগিয়ে হাই হিল মার্চ করার হাস্যকর চেষ্টা করতে দেখতে, টপ টপ করা পরা ঘাম নাকে মুখে নিয়ে টেবিল টেনিস খেলতে,
বিস্তারিত»কালবৈশাখী
কালবৈশাখী
ধূলা বালি শিমুল তুলা
খড়কুটা ঝরা পাতা
শোঁ শোঁ শোঁ পাগলা হাওয়া
রাতকানা চোখে
খিচখিচে ধোঁয়া।
গুড় গুড় গুড় মেঘের ডাক
কড় কড় কড় বিজলীর হাঁক
মড় মড় মড়াত
কড় কড় কড়াত
ঘরের চাল গাছের ডাল
কলা বাগান পেপের ক্ষেত
জলে ভেজা বজ্রপাত
শেকড় বাকড় চিতপাত।
[০১.০৫.২০১৪ রাতে যেমন দেখলাম]
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।
ব্যাপারটা যদি এমন হয় যে, সে বেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সে ছেলেটা- যে নাকি বই থেকে মুখ তুলে তাকাতে কখনো সাহস করেনি, সেও পর্যন্ত একদিন হঠাৎ বৈকাল হ্রদের পাড়ে দাঁড়িয়ে গেল! কিংবা উরে-ঘুরে বেড়ানো বাদামী রং এর মাঝারি তরুণটিও একদিন সন্ধ্যায় দক্ষিণের বন্দর থেকে জাহাজে উঠে পড়লো- হুট করেই! কিন্তু জাহাজের ডেকে এসে তাঁর মনে হয়, সামনের নীল সাগরটি এতো নিশ্চল কেন হবে? তরুণ উত্তর খুঁজে পায় না।
বিস্তারিত»প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ-২
একটা কবিতা শুনিয়ে সে
গাঢ় চোখে চেয়ে জানতে চেয়েছিল-
“কেমন লাগলো?”
জানিনা কেমন লেগেছিল আমার।
তবু কেন অঙ্কের খাতায় বার বার ভুলে-
লিখে আসি সেই কবিতা?
কিছু একটা ভুল করে-
লাজুক হেসে বলেছিল-
“আর হবে না”।
কী হবে না, কেন হবেনা, প্রশ্ন করিনি আমি।
খালি চেয়েছিলাম-
ভুল হোক;
এক, দুই, তিন, সহস্রবার।
যেখানটায় সূর্য উঁকি দেয় না
মিরপুর থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের জার্নিটা মিনিট বিশেকের বেশি স্থায়ী হয় না। রেল ক্রসিঙের জায়গাটায় দারুণ ভিড়। গরম বেশি পড়ায় বিভিন্ন ফলের রসের দোকান গজিয়ে একেবারে ব্যাড়াছ্যাড়া অবস্থা। মানুষ হা করে ছুটছে ছায়ার আশায়। যত তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছানো যায় ততই মঙ্গল। আমিও ছুটছি। ১২ টার দিকে স্ট্যাটিস্টিকস ফাইনাল। তবে কিছু একটার দিকে চোখ আটকে গেল। খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য। আমি শতভাগ নিশ্চিত এই একই ফরম্যাটের জিনিস আমরা সবাই বিভিন্ন জায়গায় হরহামেশাই দেখি।
বিস্তারিত»