পাহাড়-সমুদ্র-সমতট। পাহাড় তো নয়, ঢেউ খেলানো ভূমির বাঁক যেনো ছন্দবদ্ধ তালে-লয়ে অবিরাম আছড়ে পড়ছে খোল-করতাল-মাদলে-বীণায় মনের গহীণ সন্তর্পে। সমতটের বিস্তৃতি অন্তর্গত ভাবনা-চিন্তা-চৈতন্যে ক্রমশ: বাড়িয়ে যেতে থাকে তার বিস্তার। আর সমুদ্র ! বিশালত্বে উদ্বেল সুপ্রসারিত দু’হাত মেলা মনের ক্যানভাসে, আঁকে ছবি অন্তহীন, ভেঙে দিয়ে গোপন সব প্রকোষ্ঠ। এই তিনের সাথে জুড়ি দেয়া অবারিত উদার আকাশ ত্রিবৈচিত্রের নিয়ত উন্মীলন সংগী। আর কি চাই !
একটি মানুষ। একটি শিশু। প্রকৃত অর্থে গলা উঁচিয়ে জগৎ চিনবার লাগি ইতি-উতি চাইবার মতোন চঞ্চল কৈশোর থেকে সুকোমল চিত্তটাকে মর্মর ছাঁচে গড়ে তুলবার জন্য এর চে’ উৎকৃষ্ট প্রকৃতিবন্ধন ঋদ্ধ শিক্ষা পাদপীঠ আর কি হতে পারে !
আজ যেখানে দেশের বিদ্যাপীঠগুলোতে শ্রেণীকক্ষের বাইরে আপন আঙ্গিনাই দুর্লভ। খোলা মাঠ তো সুদূর পরাহত। সেখানে মাঠের পর মাঠ। খেলার শৈশব আর কৈশোর যেখানে এখন ভার্চুয়াল স্ক্রীনে, চেয়ারে, টেবিলে, ঘরের চৌকাঠ সীমানায় বৃত্তবন্দী। সেখানে উদ্দাম উচ্ছলতার তা থৈ – মা ভৈ চাঞ্চল্যের ষোল কলা মেটাতে সব রকম খেলাধুলার অপার সুযোগ-ব্যবস্থা। মেধা-মনন-চিন্তাশৈলীর প্রকাশ আর বিকাশের জন্য সব রকমের সাংস্কৃতিক চর্চার অবারিত মঞ্চক্ষেত্র।
তাহলে তার আর কি চাই ! চাই তেমন সব শিক্ষক যাঁরা দেবেন সেই অব্যর্থ মন্ত্রবীজ আর সামর্থের দীক্ষা যে, সকল শিক্ষানবীস সময়ের সীমানায় আপন উৎকর্ষে হয়ে উঠবে সমাজ ও প্রতিপার্শের অগ্রগণ্য পথিকটি। সেই দুর্লভ, নিবেদিতপ্রাণ প্রোজ্জ্বল শিক্ষক সান্নিধ্যের সৌভাগ্য বরপূত্রও ছিল বিদ্যমান প্রকৃতির শ্রেষ্ঠতম সম্প্রীতির এই পাদপীঠে।
নিয়ম মানা আর সবকিছুতেই অগ্রগণ্য হবার তীব্র প্রতিযোগিতা। তারই বিপরীতে কখনো কোথাও নিয়ম ভাঙার অভূতপূর্ব কসরৎ শৈলী। এই সব কিছু মিলিয়ে গোটা দেশের নানা জায়গা থেকে এসে জড়ো হওয়া শ’তিনেক কিশোর-তরুণ। সে এক অনন্য পরিবারের মতোন ঋজু বন্ধনের শেকড় সমৃদ্ধিতে বেড়ে ওঠে ওইখানে ছ’-ছ’টি বছরের বিস্তৃতিতে। যার অমোঘ শেকড় ওই ছ’বছরের বৃত্ত পেরিয়ে এক সীমাহীন বলয়ের সমান বিস্তারে দীপ্র সাম্পর্কিক সেতুবন্ধ গড়েছে অর্ধশত বছরের সীমানা ডিঙ্গিয়ে।
বাস্কেটবলের দৃষ্টিনন্দন লে আপ। ফুটবলের কুশলী কেতার চোখ ধাঁধানো প্রদর্শন। ভলিবলের স্ম্যাশ আর তা ঠেকানোর জন্য পাল্লাপাল্লি দলেবলে উল্লম্ফন। এ্যথলেটিকসের নানান প্রকরনে মনোমুগ্ধকর পদচারণা ও সাফল্য। ক্রিকেট কিংবা হকিতে দুর্দান্ত উইলোর ঝলক। মঞ্চ কাঁপানো বক্তৃতা-বিতর্ক-গান-কবিতা-নাটক। ছবি আঁকা কি লেখায় যাদুকরী ছোঁয়ায় মানুষ ভোলানো সৃষ্টি। ওসব গল্প ডজন ডজন উঁকি দেবে এই পাদপীঠে বিচরণ স্মৃতিমগ্ন প্রতিটি মানসপটের।
অন্য কারো কেমন লাগবে জানিনা। কিন্তু আমাকে আজো তাড়িত করে কিছু অন্য রকম স্মৃতি।
গোপন নির্ঘুম শীতের কোনো এক রাত গভীরে রিক্রিয়েশন রুমের সামনে রাখা খাওয়ার পানির জন্য রুম থেকে বের হয়ে থমকে গিয়েছি। শহীদুল্লাহ হাউসের বারান্দা থেকে বাইরের দিকে তাকিয়ে জিমনেশিয়ামটাই দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল না। এমন ঘন কুয়াশা। নোটিশ বোর্ডের সামনে জ্বলে থাকা বাতির নিষ্প্রভ আলোর গায়ে আঁচল বুলিয়ে সিঁড়ির পাশ দিয়ে বিলি কেটে বেরিয়ে যাচ্ছে রাজসিক চালে ধীর ভাসমান মেঘের চাদর। লঘু পায়ে হেঁটে সিঁড়ি বেয়ে দোতালার বারান্দায় গিয়ে দুচোখে ধূসর দেখলাম আরো বেশী। খুব ইচ্ছে হলো সেই রহস্যময় দৃষ্টিবিভ্রম জাগানো আঁধারের ভেতর ঘুরে আসি কলেজ চত্ত্বর।
দু’হাত পকেটে গুঁজে নি:শব্দ পায়ে মাটি ছোঁয়া মেঘ ভেদ করে জিমনেশিয়াম আর এক নম্বর বাস্কেটবল গ্রাউন্ডের সামনে দিয়ে হেঁটে দু’ নম্বর ফুটবল গ্রাউন্ডে নেমে যাওয়া সিঁড়ির পাশে দাঁড়ালাম কিছুক্ষণ। বাঁশির শব্দ শোনা গেলো দু’বার। কিন্তু শব্দ উৎসের মানুষটাকে খুঁজে পাওয়া বিন্দু মাত্র সম্ভব ছিল না। নিজেকে এক রকম প্রেতাত্মার মতোন লাগছিলো যেনো। বেশ কিছুক্ষণ প্রতিরুদ্ধ দৃষ্টিপাতের কসরৎ আর একাকীত্বের পরিধি মেপে, পুরো প্যারেড গ্রাউন্ড ঘুরে আবার হাউসে ফেরত। ততক্ষণে অপর্যাপ্ত শীতবস্ত্রে বেরুনোর কারণে গায়ে কাঁপুনি লেগেছে।
এমন আর এক নাতিশীতোষ্ণ রাতে একা রাত জেগে রিডিং রুমে দেয়াল পত্রিকায় আঁকা-জোকা-লেখার কাজ করছিলাম। যেটুকু জায়গা মেক আপে বাদ পড়ে আছে তাতে দু’-দশ লাইন লিখে যে কারো নামে জুড়ে দিয়ে শেষ করবো। তাই কাব্য ভাবনার মুড চাঙ্গা করতে ধূম্রকুটশলাকা বিরতির নামে আড়মোড়া ভেঙে রাতের শেষ প্রহরে হাঁটতে হাঁটতে হাউসের দোতালা থেকে নেমে এলাম প্যারেড গ্রাউন্ডের ঢালাই করা পথে। শহীদ মিনারের দিকে মুখ করে প্যারেডের স্যলুটিং ডায়াসের সিঁড়িতে বসলাম কিছু সময়। খানিক বাদে ফিরে আসবার জন্য উঠে দাঁড়াতেই চোখ গেলো অন্ধকার পাহড়ের পেছনে আবছা অবয়বে কিয়দ দৃশ্যমান আকাশের দিকে। ওখানে আবছা আলোর আভাস। তাড়িয়ে তাড়িয়ে ভোর দেখবার লোভে একটু আড়ালের খোঁজে প্রথমে শহীদ মিনারের পেছনে, পরে নেমে গেলাম গ্রাউন্ড লেভেল আই সাইটের নীচে, এক নম্বর ফুটবল গ্রাউন্ডের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায়।
পাহাড়ের ঢেউ খেলা অন্ধকার ক্যানভাসের বিপরীতে ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছিল আলোর আবীর মাখা আর এক ক্যানভাস। খুব মৃদু আলোকিত সেই ক্যানভাসের নীচের সীমানা ঢেউ খেলানো পাহাড়ের গায়ে অস্পষ্ট এক নিয়ন আলোর মতোন আঁকাবাঁকা বিভাজন রেখা থেকে ক্রমশ আলোকিত ও প্রসারিত হতে হতে রঙ বদলাতে থাকলো যেনো লহমায় লহমায়। রক্তিমাভার আলোক বিচ্ছুরণের বিপরীতে একটা সময় পাহাড়ের সীমান্তরেখা জুড়ে মাথা উঁচিয়ে থাকা প্রাতটি ঘাঁসের ডগা যেনো আতসকাঁচের নীচের কোনো কিছুর মতোন স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়ে উঠলো এতো দূর থেকে। মুগ্ধতায় নির্বাক বসে থাকার ঘোর কাটলো অনেক সময় পরে। ফিরে চললাম নিজ হাউসের দিকে। কোনো এক ছাব্বিশে মার্চের আগের শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালে।
আর এক না ভোলা চমকের স্মৃতি। স্টিপল চেজের জুনিয়র পর্ব শেষে যখন পাহাড়ের ওপর দিয়ে দৌড়ে আসার সুযোগ হলো। তখন প্রথম দিন বিকেলে ওপরে ওঠবার পরে মনে হচ্ছিল আর ফিরে না যাই। ইচ্ছে হচ্ছিল ওখান থেকে পাহাড়ের গভীর সীমান্তের দিকে এগোই। ইচ্ছে হচ্ছিল কেবলি দাঁড়িয়ে থেকে সমুদ্রের দিকে চেয়ে থাকি। অথচ কলেজে আসার দু’দিন না যেতেই আবিষ্কার করেছিলাম হাউসের দোতালার বারান্দা থেকে এক চিলতে সমুদ্র দেখা যায়। (অবশ্য একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ালে।)
কি যে সব মোহমগ্ন আচ্ছন্নতায় ভাসবার অবাক এক জায়গায় এসে পড়লাম !
যতোই সময় কাটুক তবু যেনো কাটে না ঘোর।
মাটি জল লতা ও গুল্মে এতোই পড়েছি প্রেমে তোর।
জানি এ শুধু আমার নয়। ওইখানের মাটি মাড়িয়ে আসা প্রতিটা মনের মধ্যেই এই প্রেম উদগ্রীব – উন্মুখ – উদ্বেল আমরন।
শেষমেষ একটা সনাতনী মজার স্মৃতিকথা বলি। ক্লাস সেভেনে তখনো ’এক্সট্রা ড্রিল’ শব্দযুগলের সাথে পরিচয় হয়ে ওঠেনি। লাঞ্চ থেকে ফিরে দোতলার সিঁড়ির গোড়ায় আসতেই মনে হলো নোটিশ বোর্ডের সামনের ভীড়ে আমার নাম শুনতে পেলাম ক’বার। খুশীতে ডগমগ হয়ে ফুলতে থাকা বুকের ছাতি দমিয়ে উঠে এলাম দোতলায়, কলেজে আমার প্রথম ড্যাঁড়া তেরো নম্বর রুমে। এক জোড়া নতুন শব্দ যে শুনে এসেছি তার মর্ম তখনো উদ্ধার করে উঠতে পারিনি।
নিজ কাবার্ডের সামনে না পৌঁছাতেই ডাক এলো রুম প্রিফেক্টের কাছ থেকে। প্রথম লাইন থেকেই অনায়াসে বুঝলাম কঠিন শাস্তি হবে। আমি মনে মনে ঠোঁট ওল্টালাম। বাবার হাতে যা পিটুনি খেয়েছি ! ওসব শাস্তি ফাস্তি আমার জন্য অতো চিন্তার কিছু নয়। অমন ভেবে অনায়সে সহজ হতে যাবার মুখে জানতে পারলাম এর জন্য হাউসের পয়েন্ট কাটা যাবে। এবার স্বস্তির বিপরীতে শংকায় ঢোক গিলতে শুরু করলাম। কারন আমার খুব মনে হলো যে অনেক সিনিয়রই হাউসের পয়েন্ট কাটা যাবার অপরাধে এই কঠিন শাস্তির চেয়ে অধিক শাস্তি আমায় দেবেন।
যা হোক। যথা সময়ে বেল্ট ছাড়া খাকী পোষাকে প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে ডিউটি ওস্তাদের কাছে গিয়ে রিপোর্ট করলাম নির্দেশনা অনুযায়ী। দেখলাম অরো দু’জন বড় ভাই আছেন। আমার তিন ক্লাস সিনিয়ার। এক জন আমার হাউসের। অন্য জন রবীন্দ্র হাউসের।
ওস্তাদ উনাদের দু’জনের এক জনকে বললেন, ”তোমার তো নাম নেই। তুমি আসলে কেন !” নোটিশটা ভালো করে দেখে আসিনি, তাই বুঝতে পারিনি, কার নাম ছিল না। আমার অবাক হবার পালা অরো বাকী ছিলো। নীচে মাটির দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এর মধ্যে একজন সিনিয়ার ভাই বললেন, ”ওস্তাদ, আসছি যখন দিয়া দেন”। আমার পেট ফেটে হাসি আসছিলো কঠিন শাস্তির জন্য এসে এমন নাটকের মুখোমুখি হয়ে।
ওস্তাদ বলেন ফ্রন্ট রোল দিতে। আমি একশো মিটার স্প্রিন্টের বেগে যেই না দিতে শুরু করি, পেছন থেকে সিনিয়ার ভাইরা চাপা গলায় ধমকে আমাকে আস্তে আস্তে দিতে বলেন। যে সিনিয়াররা স্প্রিন্টের বেগে ফ্রন্ট রোল দেয়াবার জন্য ধেয়ে আসেন, তাদেরই কেউ আমাকে আস্তে দিচ্ছি না বলে দাঁত কিড়মিড় করছেন ! ওস্তাদ দৌড়াতে বলেন। আমি মনে হয় বিশ্ব রেকর্ড করবো বলে দৌড়াতে এসেছি। কিন্তু তা আজ আর হবার নয়। পেছনে সিনিয়াররা চাইছেন আমি সম্ভব হলে যেনো হেঁটে যাই। অথচ এমন সিনিয়ারদের শাস্তি পেয়ে লজ্জাবতীতে কেটেছে পিঠ, তপ্ত ঢালাইয়ের পথে পুড়ে উঠেছে ফোস্কা। আমার কাছে তখন উপভোগ্য ছিলো সবই। এখন তো নিযুত গুণ।
স্মৃতির ঝাঁপিতে সাড়ে তিন লক্ষ বই আছে জমা। তার প্রতিটাতে কতো গল্প ! পাতায় পাতায় মনের মাঝে ঘাপটি মেরে বসে থাকা অগণন স্মৃতিপোকা। আমৃত্যু যা জাবর কাটবো একা . . . বন্ধু বাৎসল্যে . . . আড্ডায় . . . গল্পে . . . কথোপকথনে . . .
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ~ উত্তরা, ঢাকা।
[ লেখাটি ফৌজদারহাটের পুনর্মিলনী ডিসেম্বর ২০১৪ এর স্মরণিকায় প্রকাশিত ]
আপনার সাথে আবার ফিরে গেলাম আমাদের ছোট গাঁয়।
অবাক এক জায়গা নিয়ে অদ্ভুত সুন্দর লিখেছেন ভাই।
প্রকাশনার কলেবরের ভাবনায় টেনে খাটো করা লেখা। অন্য কলেজের পাঠক বিবেচনায় কিছু জায়গায় একটু ডিটেইলিং প্রয়োজন ছিলো মনে হয়।
আর হয়তো কিছু ছবি দিলে আরো ভালো হতো। হুট করে যা মনে আসে করে ফেলে পরে ভাবার চিরাচরিত অভ্যাসটা আর গেলো না।
ধন্যবাদ সাদিক।
:clap: :clap: :clap: :clap:
আপনার পদ্য এর মত গদ্যও প্রাঞ্জল, ভাইয়া! স্মৃতিচারণ পড়তে বরাবরই ভাল লাগে। ঝিমঝিম দুপুরে বাইরে ধানক্ষেতের আল ধরে কারোর একাকী হেঁটে যাওয়া দেখে কী দীর্ঘশ্বাসটাই না ফেলতাম।
"ঝিমঝিম দুপুরে বাইরে ধানক্ষেতের আল ধরে কারোর একাকী হেঁটে যাওয়া দেখে কী দীর্ঘশ্বাসটাই না ফেলতাম।"
- কথাগুলো খুব সুন্দর করে বলা হলো। ভালো লেগেছে।
বেশ তাড়াহুড়ো আর কাট করে দ্রুত এগিয়ে নিতে গিয়ে কোথাও কোথাও সাধারণ পাঠকদের বোধগম্যতায় চাপ সৃষ্টি করেছে বলে মনে হয়েছে আমার। মানে যাদের কলেজের ম্যাপ জানা নেই, জানা নেই ফুটবল গ্রাউন্ডগুলো (বিশেষত ওই যে এক নম্বর গ্রাউন্ড) যে প্যারেড গ্রাউন্ড-কলেজ-হাউস এসব থেকে নীচুতে, শহীদ মিনার কোথায়, পাহাড় কোথায়, তাদের জন্য এরকম কথা ও বর্ণনা কিছুটা ভিজুয়াল অবস্ট্রাকশন তৈরী করবে নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ফৌজিয়ান বাদে অন্য পাঠকদের জন্য সেই রকম সুখপাঠ্য হতে বড় রকমের বাধা থাকার কথা। সিসি অনুভূতিতে ওটা তুমি হয়তো কাটিয়ে উঠেছো কিঞ্চিত পক্ষপাতদুষ্টতার উদারতায়।
তবু যে ভালো লাগলো। এটা জেনে প্রীত হলাম। আরো গদ্যের জ্বালাতন করার প্রেরণা পেলাম।
🙂 🙂 🙂 🙂
একখানা গল্প পড়তে মন চায় আপনার লেখনীতে, ভাইয়া! আমার আবদার বড় বেশী আমি জানি। সিসিবিয়ানদের জ্বালাতে আমার মন্দ লাগেনা।
গল্প তো আছে বেশ কতগুলো কিন্তু ওগুলোর সফট কপি ক্রাশড। আবার টাইপ করতে হবে।
সো খানিক সময় দাও। দুদিন আগেই নূপুরের সাথে কথা হচ্ছিল এই নিয়ে।
অনেক দিন ধরে ওগুলো ফের কম্পোজ করবো (ইতোপূর্বে লিটল ম্যাগে প্রকাশিত) সাথে কিছু ফিচার/কলাম জাতীয় সাম্প্রিতিক টাইপের লেখাও।
দেখি। হয়ে যাবে শিগগির।
সুন্দরের জন্য অপেক্ষা করতে আমার ক্লান্তি আসেনা কখনোই। :boss: :boss: :boss: :boss:
গল্প এক খান দিয়েছি ভয়ে ভয়ে ।
দীর্ঘ হয়ে যায় । পুরোনো কয়েকটা গল্প খুঁজে পেয়েছি সফট কপি ।
দেখা যাক কেমন পাঠক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় ।
বারবার বারবার ফিরে গেলাম সে-আর্কেডিয়ায়।
এ-লেখা পড়েছিলাম স্মরণিকায়। আজ মুগ্ধ হয়ে আবার
এখানে দেবার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। আপনার হাতে যাই ফোটে, শিল্প হয়ে ফোটে। এমন কি সেসব রূঢ় দিনের 'পিঠের রক্তজবার মতন ক্ষত'ও।
নূপুর, বরাবরের মতোন তোমার প্রশংসা বাক্য আগুনকে আরো একটু উস্কে দিয়ে গেলো ।
🙂 🙂 😀 😀
নূপুর মতামত দিও - এমন দৈর্ঘ্যের গল্প একবারে দেয়া ঠিক হবে নাকি কয়েক পর্বে ভাগ করে দিলে বেটার !
পুরোনো লেখা । অনেক অনেক বছর বিরতির পর লেখা ।
অমন মনোমুগ্ধকর নয় তেমন ।
মতামত পেলে পরেরগুলো দেবার বিষয়টা কেমন হলে বা আদৌ হলে ভালো হয় কিনা বোঝা যেতো ।
লুৎফুল ভাই,
আমার মনে হয়েছে সিসিবি ছোটগল্প বান্ধব নয় তেমন --- অর্থাৎ লেখার দৈর্ঘ্য কিঞ্চিৎ বেড়ে গেলে পাঠক জোটেনা আর। চকিত যোগাযোগের এ যুগে সব প্রকাশভঙ্গিমা 'অণু" তে গিয়ে ঠেকছে যেন তা কবিতা হোক কি গল্প। তবু আমি গল্পটর প্রতি, কাহিনীর বিস্তারের প্রতিই বরং সুবিচারের পক্ষপাতী। দৈর্ঘ্য না কমুক। পর্বে ভাগ করে দিলেও মনোযোগটা অখণ্ড থাকেনা আর।
হুমমম ...
পাবনার ছেলেদের নিয়ে তোমাদের কলেজে গিয়েছিলাম 1993 তে, দিন দশেক থাকতে হয়েছিল, এই জায়গা গুলি আমি চিনি, আর বিষয়গুলিতো আমাদের সবার আপন.
বারবার ক্যাডেট জৗবনের কথা মনে পড়ছে,
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
জেনে খুব ভালো লাগলো যে আপনি গিয়েছিলেন ।
পড়বার আর মন্তব্য করবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
ইনটেক ডের কাছাকাছি সময়ে হঠাত কলেজের কিছু কথা মনে হলো বলে এই তৈরী লেখাটা ইন্সট্যান্টলি দিয়ে দিয়েছিলাম ।
চমৎকার স্মৃতিচারণ।
”ওস্তাদ, আসছি যখন দিয়া দেন” - আমার কাছে এটাই সবচেয়ে সেরা।
ভাই, যথার্থ বলেছে ।
জীবনে কি ভোলা যায় ক্লাস সেভেনে এমন ডালালগ যদি শোনা হয় !
অধিকাংশ বাক্যকে প্রবচনের মত মনে হলো! বাহুল্যবর্জিত ও স্ফটিক স্বচ্ছ। এজরা পাউন্ডের কবিতার মতো।
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
অমন মেরে কেটে তাক করে দিলে কেনো ভাই !
ফরমায়েশী ঝটিকা লেখাটাকে এমন বললে তো কাগজের বাজারে ঘাটতি ঘটাবো শিগগির !
অনস্বীকার্য যে, মন্তব্যে যারপরনাই আপ্লুত হলাম, ভাই মোস্তফা ।