গতকাল আমার কাঠ খড় কেরোসিন সংক্রান্ত পোষ্টটির পরে অনেকেই কমেন্টস এ আমার যুক্তি গুলো জানতে চেয়েছিলেন। আমি আপনাদের কাছ থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিলাম যুক্তিগুলো গুছানোর জন্য। আজ সারাদিন অফিসে কাজের ফাকে ফাকে যুক্তিগুলো মনে করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ১৪ বছর আগের চাপাবাজি কি এত সহজে মনে পড়ে? তাও আবার সেই চাপাবাজি ছিল কয়েক মুহুর্তের ফসল যার সম্মন্ধে আমি নিজেও খুব একটা আগ্রহী ছিলাম না।
বিস্তারিত»প্রাপ্তবয়ষ্ক – ১
টাইটেল দেখেই বোঝা উচিত এই পুষ্ট খানা সকলের জইন্য প্রযোজ্য নাও হইতে পারে। তয় আমার ধারনা ইহা সকলেই পড়িবে এবং সকলের জইন্যই ইহা প্রযোজ্য হইবেক।
আজ রবিবার ছিল। এমনিতে রোযা, তারওপর বাসায় কোন কাজ নাই। সন্ধায় এক বাসায় ইফতার এর দাওয়াত আছে। তাই সকালে (আমার উইকএন্ড এর সকাল মানে আবার দুপুর বারোটার পর) ঘুম থেকে উঠে ভাব্লাম বাসায় কাম কাজ যহন নাই, যাই অফিস গিয়া কম্পিউটার গুতাই গিয়া।
বিস্তারিত»হজ্জ সম্পর্কিত একটি গল্প এবং আমার এক বড়ভাইঃ
হজ্জ সম্পর্কে খুব ছোটবেলায় একটি গল্প শুনেছিলাম।এক ব্যক্তির আপ্রাণ শখ হজ্জে যাবার। কিন্তু দরিদ্রতার কারণে তা হয়ে ওঠেনি।প্রতিবছর তিনি তিল তিল করে টাকা জমান হজ্জে যাবার জন্যে।তার পাশেই থাকতেন এক দরবেশ যিনি প্রতিবার হজ্জে যেতেন।তো প্রতিবার যাবার সময় তিনি ওই ব্যক্তির খোঁজ নিতেন- এবার তিনি যাচ্ছেন কিনা, টাকা পয়সার কতদূর ব্যবস্থা হল ইত্যাদি।এরকম এক বছর ওই দরবেশ শুনলেন যে তাঁর প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি অবশেষে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছেন।দরবেশ অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং হজ্জের পথে রওয়ানা হলেন।হজ্জ শেষে তিনি যখন আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন,তখন তিনি গায়েবী আওয়াজ শুনতে পেলেন যে এবছর সবার আগে কবুল হয়েছে তাঁর সেই প্রতিবেশীর হজ্জ।দরবেশ অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং এই সুসংবাদ দেবার জন্যে সাথে সাথে তাঁর প্রতিবেশীর বাসায় গেলেন।গিয়ে তিনি দেখলেন,তাঁর প্রতিবেশীর চোখে ভ্রমণজনিত কোন ক্লান্তি নেই,কি এক আভায় তার মুখ জাজ্জ্বল্যমান।দরবেশ তখন জানতে চাইলেন,
বিস্তারিত»টুশকি ১
টুশকি [২]
১. আস্তে আস্তে কথা বলে ক্লাস নিতেন আহসানুল কবীর স্যার (বাংলা)। এতই আস্তে কথা বলতেন যে ঘুম ঠেকিয়ে রাখা মুশকিল হত। পিছনের দিকে কথা শোনা তো যেতই না উপরন্তু স্যারকে সেটা বললে ফ্যান বন্ধ করতে বলতেন। মোটামুটি ঘুমের ঘোরেই পার হয়ে যেত ক্লাস। এর ফাঁকে ফোকরে কেমন করে যেন কিছু কথা ঠিকই মনে আছে:
“কবিতার প্রতিটা শব্দ হবে রসগোল্লার মতোন।
বিস্তারিত»প্রসংগ – ছড়া
রফিক নওশাদ স্যার ছিলেন আমার হাউস মাস্টার আর আমি হাউস কালচারাল। সেই সুবাদে স্যারের বেশ খানিকটা কাছাকাছি এসেছিলাম (না চাইলেও আসতে হয়েছিল)। স্যারের কাছ থেকে অনেক ভাল জিনিস শিখেছি। তার মধ্যে একটি ছিল “নিজের জ্ঞান পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে যাও এবং বেচে থাক পরবর্তি প্রজন্মের মাঝে”। শাহরিয়ারের কবিতা ও ছড়া সংক্রান্ত লেখাটি পড়ে আমার মা এর শেখানো একটা ছড়ার কথা মনে পড়ে গেলো। লেখার শেষ অংশে আমি চড়া টি লিখবো।
বিস্তারিত»আমার কথা!!!
আমি কাব্যের লোক,জোৎস্না পোহাই,কবিতা লিখি! গান ভালোবাসি শুনতে,গাইতে নয়।আমি বৃষ্টি ভালোবাসি,জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছুঁতে। ভেজা ঘাসে শুয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে। মাঝরাতে ছাদে শুয়ে তারা দেখতে।
আমি কবিতা ভালোবাসি,কবিতা লিখি।আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি জীবনানন্দ। রবীন্দ্র,নজরুল,শক্তি,পুর্ণেন্দু পত্রী,রুদ্র,নির্মলেন্দু-সবাই আমার ভীষণ প্রিয়।‘ নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ আমার প্রিয় কবিতা। বই পড়েছি প্রচুর এবং পড়ি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা-তর্ক বেশ লাগে। প্রতি পূর্ণিমা রাতে রাত জাগি,সারারাত!
হঠাৎ হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায় অকারণে।
আসুন আমাদের স্মৃতি ধরে রাখি
ক্যাডেট কলেজ… এক এক টা দিন, এক একটা স্বপ্ন। আমাদের সবার আছে নানা রকমের স্বৃতি । স্মৃতি শুধু বেদনার … এই কথা ভুল প্রমানিত করে আমাদের আছে অনেক মজার মজার স্মৃতি । আস্তে আস্তে এসবের অনেক গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। কারন আমরা অনেক কিছু ভুলে যাই । অনেক দরকারি ঘটনাও। তাই আসুন সবাই মিলে একটা ই-বুক লিখে ফেলি…। যেটাকে আমরা সবত্র ছড়িয়ে দিতে পারব। অনেকে জানতে পারবে অনেক না জানা ঘটনা ।
বিস্তারিত»এই দূর পরবাসে – ২
শেষ বিকালের অন্ধকারে আমার ১৮ তলার ফ্লাট এর বারান্ধায় বসে ছিলাম অনেকক্ষন। চারপাশের সব কিছু ছাড়িয়ে বারান্ধাটা একেবারে আকাশের মাঝে চলে এসেছে। কুয়ালালামপুর শহরের একপাশে বড় একটা পাহাড়ের উপরে আমাদের এই হিলপার্ক কন্ডমেনিয়াম। প্রতিদিন সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গে সুন্দর একটা সকাল দেখে। দূর আকাশে মেঘ আর সকালের প্রথম আলোর লুকোচুরি… প্রবাসের সব কষ্ট ভূলিয়ে দেয়। আবার ঠিক সন্ধে নামে যখন… পু্রোটা আকাশ থাকে লাল আলোর দখলে।
বিস্তারিত»down the memory lane
thanks to facbook for suggesting this nice hub for old sinners.Sorry my PC is not bangla compatible now but with ur help i’ll be able to write in bangla.The name begarot was the word used to me and some others in SCC b’coz we were ‘not so disciplined’ cadet during our days.And amaizingly i never heard the word outside military premises.What does it mean im eager to know.Hope lot more thoughts will come up.So thats all folks.
বিস্তারিত»ভিডিও
ক্যাডেট,বুদ্ধিজীবি এবং কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা
ক্যাডেট শব্দটা কানে আসলেই সবার সামনে আসম্ভব মেধাবী আর প্রতিভাধর একটা মানুষের ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠে। বলতে লজ্জা বা দ্বিধা নেই আমি তার ব্যতিক্রম। না ক্যাডেট কলেজে না ক্যাডেট কলেজের বাইরে কোথাও আমি সেরকম কিছুর স্বাক্ষর রাখতে পেরেছি। তবে বন্ধুদের আড্ডায় আমি অনেক প্রিয়। তাই হলফ করে বলতে পারি ক্যাডেটসুলভ আচরণের ষোল আনা আমার মধ্যে আছে। এজন্যই নিজের অযোগ্যতা আর অসামর্থের কথা ভুলে যাই।
বিস্তারিত»আবারও ক্যাডেট কলেজে আমরা
বেলায় বেলায় সময় গড়িয়ে যায়, জীবন থেকে হারিয়ে যায় এক একটা দিন। পৃথিবীর সাথে সাথে আমার বয়সও একদিন বেড়ে যায়। কলেজের দিনগুলা থেকে আমি আরও একদিন দূরে সরে যাই। আসলেই কি দূরে সরে যাই? সময়ের সাথে অনেক স্মৃতিতে মরচে পড়ে, কলেজের দিনগুলাতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। প্রায় ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি কলেজ নিয়ে, হয়তো ক্লাস টেনের ব্লকে পরীক্ষার্থী আমরা মোজা বানিয়ে ক্রিকেট খেলছি,
বিস্তারিত»ক্রিকেটারের শাস্তি ……
( আমার হাউসের বন্ধুরা, এদের অনেকেই ক্রিকেট খেলার দায়ে দোষী)
.
.
.
ক্লাস সেভেনের প্রথম কয়েক মাস ছিল বড়ই ভয়ংকর। চারিদিকে সিনিয়র ভায়েরা। সদা সর্তক থাকতে হয়, কখন কি ভুল হয়ে যায় । দিনে ড্রিল আর রাতে বিরক্তিকর প্রেপ । এর মধ্যে মজার সময় হলো একটাই । সারাদিন ড্রিলের কারনে আমাদের নাইট প্রেপে শর্ট করে আধা ঘন্টা আগেই ছুটি দেয়া হতো ।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন তারেক ভাই…
কয়েকদিন আগে তারেক ভাইয়ের কথা মতো তার পরিচিত এক বন্ধুর বাসায় গেলাম এক্স-ক্যাডেট গেঞ্জিটা হস্তান্তর করতে। তারেক ভাইয়ের সেই বন্ধুর নাম সানি। তো সানি ভাই আমাকে ড্রইং রুমে বসিয়ে জানতে চাইলেন তারেক ভাই আমার কি হন। আমি বলি ভাই হন। উনি মাথা নাড়েন। মৃদু স্বরে জানতে চান কেমন ভাই? চেহারায় তো তারেক ভাইয়ের সাথে তোমার কোন মিল নাই। আমি বলি ক্যাডেট ভাই। তখন উনি একটা সবজান্তা টাইপ হাসি দেন।
বিস্তারিত»আচার-০০১
ক্যাডেট জীবনের প্রথম স্টেজ কম্পিটিশানে গিয়া বিরাট পঁচাইলাম, এইরকম পঁচানি যে আকাশ বাতাস গন্ধে ত্রাহি ত্রাহি করতে লাগল। সেইটা ছিল ইংরেজি এল্যুকিউশান। আমি নেহেরুর বক্তৃতা মুখস্থ কইরা না গিয়া, দেইখা দেইখা পুরাটা বইলা আসলাম। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হইল। আমি হইলাম লাড্ডুগুড্ডু। আমাদের হাউস কালচারাল প্রিফেক্ট সেইদিন কোন কারণে যায় নাই অডিটরিয়ামে, তাই ভাবছিলাম বাইঁচা যামু এইবার। কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আমাদের তৎকালীন হাউস মাস্টার রফিক নওশাদ স্যারের জিগরে বড়ই চোট লাগল তার হাউসের এক ক্যাডেটের এই রকম ন্যাক্কারজনক পারফর্মেন্সে।
বিস্তারিত»