একটি সাপ কাহিনী (ওয়েলকাম ব্যাক আফটার দ্য ব্রেক)

ডিনার করে নাইট প্রেপ এর জন্য একাডেমি যাচ্ছি দেখি হাউস মাষ্টার রুমের সামনে এডু দাড়ায় আছে। উহু, ফাড়া কাটে নাই।

-“ইউ ফয়েজ, কাম অন, কাম অন, আস্ক ইউর ফ্রেন্ড টু কাম”।
– “হুম”?
– “ইউর গেমস ফ্রেন্ড, হুম হ্যাভ ডিসকাসড লাষ্ট নুন”।
-“ওকে”।
আবার শুরু হল শান্টিং। এইবার অপরাধ, আমাদের ম্যাক্সিমাম কমপ্লেইন সঠিক নয়। তদন্তে এইটা প্রমানিত হয়েছে। অতএব শাস্তি অবধারিত।

বিস্তারিত»

একটি সাপ কাহিনী

হাইপোথিসিস নম্বর এক। শীত নিদ্রা দেবার আগে কিছু কথা লেখা দরকার, না হলে পাবলিক আমাকে ভুলে যেতে পারে।
হাইপোথিসিস নম্বর দুই। পুজার পুরা তিন দিন ছুটি, কোনো কাম নাই।

মিল্ক ব্রেক এ টের পাওয়া গেল, সেকেন্ড হাই টেবিলের ইসলাম এর সিট টা খালি। তা খালি থাকতেই পারে। প্রিফেক্ট যেহেতু নিশ্চয়ই ব্যাস্ত আছে কোথাও। আগের ক্লাসটাতেও তো প্রেজেন্ট ছিল।

মিল্ক ব্রেকের পর ব্যাবহারিক ক্লাস,

বিস্তারিত»

আজ বুঝি জিতেই যাব

কেন যেন মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এর আজকে খবরই আছে। ক্লাসের ফাঁকে খেলার খবর নিচ্ছিলাম অনেকটা কলেজে থাকতে আইসিসি সেমিফাইনালের মতই মনে হচ্ছিল। একে একে যখন উইকেট পড়ছে চিৎকার করতে পারছিনা। আস্তে আস্তে মুখটা হাসিমুখ হয়ে গেল। এক ভাইয়াকে ফোন করে বললাম ৭৯ রানে ৬ উইকেট। ভাইয়া পাত্তা দিলনা ও আচ্ছা। বললাম বাংলাদেশ ব্যাট করছে না বল করছে। আমি নিশ্চিত ওনার চোখ বড়বড় হয়ে গিয়েছিল। এরপর অনেকক্ষণ না দেখে এসে দেখি ২০০ হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট বেলা

’৮৭ থেকে ‘৯৩। অনেক আগের কথা তাই না। এখন আমরা তো সবাই ৩৫ ছুই ছুই। অনেক কিছুই ঝাপসা লাগে।

৮৭ তে যখন কলেজে ঢূকি তখন ‘ইন্টার কলেজ’ কোনো প্রোগ্রাম হতো না। কলেজ গুলো ছিল অনেকটাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত। অন্য কলেজ গুলো সম্পর্কে জানতাম নতুন বদলি হয়ে আসা স্যারদের কাছে, আর, ছুটিতে, একই শহর কিন্তূ অন্য কলেজের বন্ধুদের কাছে। BTV তে একটা কমন প্ল্যাটফর্ম ছিল,

বিস্তারিত»

পরিচয়

অনেকিদন থেকেই ব্লগিং করছি, হয় সামেহায়্যার ইন নয়তো সচলায়তনে. রায়হান আবীর জানালো এই ব্লগের কথা। শুনেই ভাল লাগল। নিজ ভূমি…….
তবে সবার আগে পরিচয়। আমি টিটো। ক্যাডেট নাম ছিল হাফিজ। ১৭ তম ব্যাচ (৯৪-০০)। বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃ-বিজ্ঞান থেকে পাশ করেছি। এখন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ হিসেবে কাজ করছি। ছাত্রাবস্থায় পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলাম। যুগান্তরের বিচ্ছুতে ফান লিখেছি বহুদিন। তারপর সাপ্তাহিক ২০০০ এ।

বিস্তারিত»

আমার আপুসোনা – ৩ ( দেশে ফেরা )

ডিসক্লেমার
আমার পুরান একটা সিরিজ আছে এই নামে। সেটার একটা পার্ট লিখলাম। আজ সারাদিন শুয়ে শুয়ে মন ভাল করার জন্য দেশে প্রথম যাওয়ার কথাটা চিন্তা করলাম । সেটার সাথে যোগ করে দিলাম আমার সেই ছোট্ট বেলা থেকে বয়ে আনা আপুসোনার কল্পনা। এর আগের দুটা পর্ব হল
আমার আপুসোনা – ১
আমার আপুসোনা – ২
তখন যখন লিখেছিলাম অনেকে বলেছিল বেশি ন্যাকামি হয়ে যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

কি যে লেখি

বহুদিন পরে সিসিবিতে আসলাম। দেশে গিয়েছিলাম একটু বেড়াতে। এরই মধ্যে সিসিবি জমজমাট , প্রচুর নতুন লেখা। বাসায় থাকতেই দেখেছি কিন্তু একটাও পড়িনি। কারণ আমি জানি দেশ থেকে এসে আমার মনের অবস্থা ঠিক করার জন্য এর চেয়ে ভাল অষুধ আর হবে না। ঈদের আগেরদিন দেশ থেকে রওনা দিয়েছি । কিছু ঝামেলার জন্য মা টাকে কাঁদিয়ে আরো অনেক আত্মীয়কে আফসোসে ফেলে প্লেনে উঠলাম। নিজের অবস্থা নাই বা বলি।

বিস্তারিত»

“অনার্স”

ক্যাডেট কলেজ আমার কতটা?
এই প্রশ্নটা আমার নিজেকে মাঝে মাঝেই করতে হয়। কারন, জীবনে যখন যে মুহুর্তেই ক্যাডেট কলেজ নিয়ে কিছু দেখি কোথাও ফার্স্ট টাইম এই যেটা হয় তা হলো, আমার চোখে পানি চলে আসে। বুকের ভেতর দ্রিম দ্রিম করতে থাকে। মাথাটা পুরা আউলা-ঝাউলা হয়ে যায় :chup: ।
বছর বছর এস.এস.সি. , এইচ.এস.সি. এর রেজাল্ট হয় আর আমি আয়েশ করে ক্যাডেট কলেজের নিউজ দেখতে বসে চোখের পানি মুছি 🙁 ।

বিস্তারিত»

অচিনপুর

আজকাল প্রায় প্রতি রাতেই স্বপ্ন দেখি। ভোর রাতের কাচা ঘুমটা ভাংঙ্গে স্বপ্ন দেখে। কখনও দুঃস্বপ্ন দেখে মনটা খারাপ হয়, আবার কখনও একটা ভালোলাগার স্বপ্ন দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। যার রেশটা থেকে যায় সারাটা সকাল। আর কেন জানি আমার প্রতিটি স্বপ্নতে ঘুরে ফিরে আসে এক অচিনপুর। যেখানের প্রতিটি ইট কাঠ পাথর কেও আজও অনেক অনেক মিস করি। মিস করি বন্ধুদের, স্যারদের, সব কিছু , বার বার ফিরে জেতে ইচ্ছে করে সেই অচিনপুরে।

বিস্তারিত»

সাতরঙ্গা ভালোবাসা……

অনেক সময় ছোটো একটা ইংরেজি শব্দ এত বেশি অর্থ নিয়ে সামনে দাঁড়ায় যে তার প্রযোজ্য বাংলা প্রতিশব্দ বের করা রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । ঠিক এই মুহুর্তে টিনএজার এর প্রতিশব্দ যেমন খুজে পাছ্ছিনা । এত সবুজ আবেগ , সীমাহীন স্বপ্ন আর শুভ্র কল্পনার সংমিশ্রনকে আর যাই হোক কৈশোর নামক শব্দ গ্লাসে পুরোটা আটকে রাখা যায়না , মনে হয় কিছুটা যেন ঠিকই ছলকে পড়ে । শুরুটা বোধহয় বেশি সাহিত্যিক হয়ে গেল ।

বিস্তারিত»

বৃহস্পতিবার ও স্পেশাল ডিনার নিয়ে কিছু কথা

” Q :- Gentlemen do you know what is the best recreation?

Ans:- Food”

– Maj Anwar (15 intake CCR)

উক্তিটা আর্টিলারী সেন্টার এ বেসিক কোর্স করার সময় শুনেছিলাম । পরে ভেবে দেখলাম স্যার মন্দ বলেন নি । কথাটা সামরিক জীবনের সাথে মিলে যায় । এবার ক্যাডেট জীবনের সাথে একটু মিলিয়ে দেখি । আমাদের ক্যাডেটদের ৬ বছরের জীবনের সেই ছোট গন্ডির ভিতরে আমাদের বিনোদনের জন্য অনেক ব্যাবস্হাই ছিল ।

বিস্তারিত»

আমার আধা ক্যাডেট হয়ে ওঠার কাহিনী। (পর্ব-১)

বলা নেই কওয়া নেই অল্প দিনের নোটিশে দুম করে বিয়ে করে ফেল্লাম এক ক্যাডেট রে। সে প্রথমে আমারে যেই বাড়িতে নিয়া তুল্লো- সেই বাড়িওয়ালা খালাম্মার – ভয়াবহ ক্যাডেট প্রীতি। তার এক পোলা একটু আউলা টাইপের কিন্তু জিনিয়াস সেও একজন ক্যাডেট। বড় মেয়ের জামাই মাশাল্লা সেও একজন ক্যাডেট।
আমি দোতালায় থাকি। নীচে খালাম্মা। তার পাশের ঘরটা খালি। দেখি কয়টা ভাঙ্গাচোরা ফার্ণিচার, আলমীরা, গাদা গাদা কাগজ।

বিস্তারিত»

কামরুল ভাইয়ের ইফতারি আমার জিলাপি ভক্ষণ ও হাবিজাবি :মূল বৃত্তান্ত

সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল,ছিলনা চাঁদ(সাদী মহম্মদের গান থেকে না বলে ধার করলাম)।ধানমন্ডি ১১ নাম্বার রোডের লি বিউটি পার্লারের পাশে যে ফ্ল্যাটটা(না,প্রিয় পাঠক,আমার রুম থেকে সৌন্দর্যবর্ধন কেন্দ্রে আগত তন্বীদের তনুর লেশমাত্র দৃশ্যমান হয়না), সেটার কোনার রুমে রোজা-ক্লিষ্ট অবস্থায় আমি “পড়িয়া পড়িয়া ঘুমাইতেছিলাম”। দুচোখ জুড়ে আনাগোনা করছিল আসন্ন ইফতারের খানাদানার অবয়ব।ইফতারির সময় ছিল ৬ টা আর আমার ঘড়িতে তখন বাজে ৫ টা ৫০ । হঠাৎ মুঠোফোন বেজে উঠল-দেখি কামরুল ভাই।ঘুম জড়ানো অবস্থাতে বসকে সালাম দিলাম।আমি ভেবেছিলাম ইনি বাসাবোবাসী কামরুল ভাই,জাপান থেকে দেশে এসেছেন যিনি।

বিস্তারিত»

টুশকি ৪

টুশকি [১] [২] [৩] [৫]

১. কোন একদিন গেমস টাইমে ভালো একদফা ঘষামাজা দেবার পর পুরো কলেজকে এ্যাডজুট্যান্ট এর জিজ্ঞাসা, “হাউ ইজ ইওর মোরাল”? আমরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম, “হাই স্যার”। রাশভারী এ্যাডজুট্যান্ট এর মুখে তখন মজা পাওয়া চিকন হাসি, “কোন হাই? ম্যাথমেটিক্স এর মিস্টার হাই”?

২. আইসিসি ১৯৯৮এ বাস্কেটবল কম্পিটিশনে খেলা হচ্ছে বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে।

বিস্তারিত»