বিএমএ তে ফার্ষ্ট টার্মার হিসেবে দিনাতিপাত করা খুবই কষ্টের একটা কাজ। একেকটা দিন যায়, আর যেন মনে হয় একদিন আয়ু বেড়েছে। ফার্ষ্ট টার্মাররা যেন মানুষ তো না-ই, এমনকি গরু ছাগলের চেয়েও অধম। সেকেন্ড টার্মার থেকে ফাইনাল টার্মার, কারো হয়তো মন ভালো লাগছেনা কিংবা কিছু করার নেই, ফার্ষ্ট টার্মারদের ফন-ইন করে কিছুক্ষণ রগড়া দিয়ে মন ভালো করে যান। কত জন যে কত ভাবে পাঙ্গা দিয়ে গেছেন তার হিসেব নেই।
বিস্তারিত»আবজাব ০১
০১. আন্থঃ হাউস বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলছে। তখন যুক্তি-তর্কের মাঝখানে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ‘সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই প্রতিপক্ষ’ বলাটা অনেকটা কমন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তো তুমুল তর্কের যুক্তিখন্ডনের সময়, প্রতিপক্ষের অসাড় যুক্তির তোড়েই কিনা, আমাদের হাউসের এক তার্কিক প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্যে এই মোক্ষম ডায়লগটা দিতে গিয়ে গমগমে গলায় ব্যাপক তাচ্ছিল্যের সাথে বলে উঠলো, ‘সত্যিই প্রতিপক্ষ, কি বিচিত্র এই সেলুকাস’ !!
০২. ক্লাশ সেভেনের ঘটনা,
বিস্তারিত»না বলা কথা……..১
আমার নাড়ি অনেক পাতলা। সব কথা না বলে থাকতে পারিনা। সি.সি.বি পড়ি আর ভাবি….আরে, আমারতো অনেক না বলা কাহিনী আছে। যা কাউকে না বলে, এতদিন কিভাবে থাকলাম? এখনতো ক্লাশমেটদের কে ঠিকমত কাছে পাওয়া যায়না, সবাই অনেক ব্যাস্ত…। তাই এখানেই বলি আর কি…
সর্ষের ফুল দেখা জিনিসটা মুলত দুইজনের কাছে দুইরকম। ১) মৌমাছির কাছে মধুর উৎস, আর ২) মানুষের কাছে মধু বের হয়ে যাবার উৎস(ভাইরা দয়া করে অন্য কিছু ভাববেন না !)।
টুশকি ৫
১. ক্লাস টুয়েলভে ওঠার পর আমাদের ক্লাসের সবার চিকি নাম্বারিং (!) শুরু হল। এক থেকে তিপ্পান্ন পর্যন্ত সবাইকে নাম্বারিং করা হলে তিপ্পান্নতম হবার গৌরব অর্জন করে মঈনুল। এটা জানার পর বাহান্ন নম্বর স্থান অর্জনকারী আহমেদের বড় বড় হাত পা ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুঃখ দুঃখ স্বরে মঈনুলের বক্তব্য,”…আমারে তোরা তিপ্পান্ন নম্বরে দিলি!
বিস্তারিত»আচার০০৩: ফটোব্লগ
নিউফাউন্ডল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় তোলা। লেখালেখির মাঝে দেখা যাক আলোকচিত্র বৈচিত্র্য আনতে পারে কিনা। ভালো থাকবেন সবাই।
বিস্তারিত»হৃদয়ে তার বৃষ্টির অবিরাম শব্দ
ডিনার টেবিলে বড় ভাবী বললেন “এমদাদ ভাই তো পাশের ফ্ল্যাটে থাকে, তোমার সংগে দেখা হয়নি”?
“তাই নাকি”। একটু অবাকই হই আমি। অসুস্থ হয়ে সেই যে কলেজ ছাড়লেন, তারপর থেকে কিছুই জানি না। “এখন কি পুরা সুস্থ স্যার?”
“না, কই আর, লাঠি নিয়ে চলাফেরা করেন। দেখতে যাবা তুমি”।
“নিশ্চয়ই যাব।“ আমি বড় ভাবি কে আস্বস্ত করি আমি। “অ্যাড্রেসটা দেন।“
’৯৩ এর শেষ অথবা ’৯৪ এর শুরুর দিকের কথা।
বিস্তারিত»ঈদ মোবারক সবাইকে
অনেক বেশী দেরী করে হলেও সবাইকে ঈদ মোবারক।
সুদীর্ঘ ১২টি দিন নেট থেকে অফ থাকার পরে সিসিবিতে আবার ফিরে এলাম। মাঝখানের এই কয়েকটি দিন বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কাটিয়ে এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে ফিরে এলাম। ভালো আর খারাপ এই দু’টি মিশেল অনুভূতি আমার এই ১২টি দিন কে আবৃত করে রাখলেও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি…কারণ ছুটিটা এরচেয়ে খারাপ ও তো হতে পারতো…।
আশা করি সবার ঈদ খুব ভালো কেটেছে।
বিস্তারিত»একটা দুইটা কিউই ধর সকাল বিকাল নাস্তা করঃ লাইভ খেলা আপডেট
গতকালকে রাত্রে ৪ টার সময় কামরুল ভাইরে জ্বালাইতেসিলাম বিসিএস এর প্রশ্ন নিয়া।তখন উনি কইসিলেন খেলার লাইভ আপডেট নিয়া একটা ব্লগ লিখবেন।আমি ৬ টার দিকে ঘুমাইছি, উইঠা দেখি কুৎসিৎ কিউইর ছানারা ৯৭/৫ আর আমার সামনেই দুইটা গেল আরো-১১৮ ফর সেভেন!!! গতকালকের জুটির ভেট্টোরি আউট! গায়ে চিমটি কাটলাম-শালার এইটা কি বাংলাদেশ না নিউজিল্যান্ডের স্কোরকার্ড!! আসেন সবাই লাইভ মন্তব্য করি খেলা নিয়া……
(অফ টপিক- এই খেলা বাংলাদেশ হারলে পুরাটা কামরুল ভাইয়ের দোষ-উনি ভোলাভালা আমার মোটা মাথায় আইডিয়া ঢুকায় দিয়া নিজে কাইটা পড়ছে-পাপ লাইগা যাওনের কথা।শালার আমারে দিয়া সবাই খাটায় নেয়,ফেরেন্ড রা তো আছেই,সিনিয়র কামরুল ভাই আর এমনকী দুধের বাচ্চা জিহাদ সেই হালাও এর আগে সিসিবি এর ফেসবুক গ্রুপ লিখায় নিয়ে পটায় পাটায়…শালার কাসেমই রয়া গেলাম সারাজীবন…)
বিস্তারিত»নিশাচর আমি ও রাতের জীবন আমাদের…
ইদানিং কেমন যেনো নিশাচর হয়ে যাচ্ছি। আগে থেকেই কিছুটা ছিলাম। ভার্সিটি জীবন থেকেই রাত জাগার অভ্যাস ছিলো। কিন্তু ইদানিং এই অভ্যাসটা অনেক বেশি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। সারা রাত জেগে থাকি। ভোর হলে ঘুমাতে যাই। যদিও অফিসের জন্য কিছুটা কষ্ট হয়। কিন্তু শুক্র, শনি বারে আমাকে পায় কে? সারারাত জেগে থাকি। ভোর হলে ঘুমাতে যাই, সারাদিন ঘুমাই, আবার রাত হলে জেগে থাকি। যেনো ড্রাকুলার মত।
বিস্তারিত»একটি সাপ কাহিনী (ওয়েলকাম ব্যাক আফটার দ্য ব্রেক)
ডিনার করে নাইট প্রেপ এর জন্য একাডেমি যাচ্ছি দেখি হাউস মাষ্টার রুমের সামনে এডু দাড়ায় আছে। উহু, ফাড়া কাটে নাই।
-“ইউ ফয়েজ, কাম অন, কাম অন, আস্ক ইউর ফ্রেন্ড টু কাম”।
– “হুম”?
– “ইউর গেমস ফ্রেন্ড, হুম হ্যাভ ডিসকাসড লাষ্ট নুন”।
-“ওকে”।
আবার শুরু হল শান্টিং। এইবার অপরাধ, আমাদের ম্যাক্সিমাম কমপ্লেইন সঠিক নয়। তদন্তে এইটা প্রমানিত হয়েছে। অতএব শাস্তি অবধারিত।
একটি সাপ কাহিনী
হাইপোথিসিস নম্বর এক। শীত নিদ্রা দেবার আগে কিছু কথা লেখা দরকার, না হলে পাবলিক আমাকে ভুলে যেতে পারে।
হাইপোথিসিস নম্বর দুই। পুজার পুরা তিন দিন ছুটি, কোনো কাম নাই।
মিল্ক ব্রেক এ টের পাওয়া গেল, সেকেন্ড হাই টেবিলের ইসলাম এর সিট টা খালি। তা খালি থাকতেই পারে। প্রিফেক্ট যেহেতু নিশ্চয়ই ব্যাস্ত আছে কোথাও। আগের ক্লাসটাতেও তো প্রেজেন্ট ছিল।
মিল্ক ব্রেকের পর ব্যাবহারিক ক্লাস,
বিস্তারিত»আজ বুঝি জিতেই যাব
কেন যেন মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এর আজকে খবরই আছে। ক্লাসের ফাঁকে খেলার খবর নিচ্ছিলাম অনেকটা কলেজে থাকতে আইসিসি সেমিফাইনালের মতই মনে হচ্ছিল। একে একে যখন উইকেট পড়ছে চিৎকার করতে পারছিনা। আস্তে আস্তে মুখটা হাসিমুখ হয়ে গেল। এক ভাইয়াকে ফোন করে বললাম ৭৯ রানে ৬ উইকেট। ভাইয়া পাত্তা দিলনা ও আচ্ছা। বললাম বাংলাদেশ ব্যাট করছে না বল করছে। আমি নিশ্চিত ওনার চোখ বড়বড় হয়ে গিয়েছিল। এরপর অনেকক্ষণ না দেখে এসে দেখি ২০০ হয়ে গেছে।
বিস্তারিত»ক্যাডেট বেলা
’৮৭ থেকে ‘৯৩। অনেক আগের কথা তাই না। এখন আমরা তো সবাই ৩৫ ছুই ছুই। অনেক কিছুই ঝাপসা লাগে।
৮৭ তে যখন কলেজে ঢূকি তখন ‘ইন্টার কলেজ’ কোনো প্রোগ্রাম হতো না। কলেজ গুলো ছিল অনেকটাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত। অন্য কলেজ গুলো সম্পর্কে জানতাম নতুন বদলি হয়ে আসা স্যারদের কাছে, আর, ছুটিতে, একই শহর কিন্তূ অন্য কলেজের বন্ধুদের কাছে। BTV তে একটা কমন প্ল্যাটফর্ম ছিল,
বিস্তারিত»পরিচয়
অনেকিদন থেকেই ব্লগিং করছি, হয় সামেহায়্যার ইন নয়তো সচলায়তনে. রায়হান আবীর জানালো এই ব্লগের কথা। শুনেই ভাল লাগল। নিজ ভূমি…….
তবে সবার আগে পরিচয়। আমি টিটো। ক্যাডেট নাম ছিল হাফিজ। ১৭ তম ব্যাচ (৯৪-০০)। বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃ-বিজ্ঞান থেকে পাশ করেছি। এখন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ হিসেবে কাজ করছি। ছাত্রাবস্থায় পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলাম। যুগান্তরের বিচ্ছুতে ফান লিখেছি বহুদিন। তারপর সাপ্তাহিক ২০০০ এ।
আমার আপুসোনা – ৩ ( দেশে ফেরা )
ডিসক্লেমার
আমার পুরান একটা সিরিজ আছে এই নামে। সেটার একটা পার্ট লিখলাম। আজ সারাদিন শুয়ে শুয়ে মন ভাল করার জন্য দেশে প্রথম যাওয়ার কথাটা চিন্তা করলাম । সেটার সাথে যোগ করে দিলাম আমার সেই ছোট্ট বেলা থেকে বয়ে আনা আপুসোনার কল্পনা। এর আগের দুটা পর্ব হল
আমার আপুসোনা – ১
আমার আপুসোনা – ২
তখন যখন লিখেছিলাম অনেকে বলেছিল বেশি ন্যাকামি হয়ে যাচ্ছে।