ল্যাখতাম চাই মাগার ল্যাখতাম পারি না

ঘটনা সইত্য। ল্যাখতাম চাই মাগার আমার গনক মহাশয় মৃত্যু পথযাত্রী। তাই ল্যাখতাম পারি না। বাসার ল্যাপ্টপ খানা বছর খানেক আগে এক চিঙ্কু পোলার কাছ থিকা সস্তায় দুইশত টাকা খরচ করিয়া খরিদ করিয়াছিলাম। উহার এখন শেষ দশা। হার্ডডিস্ক খানা পড়ার সময় মনে লয় হাতুড়ি দিয়া খোদাই করিয়া পড়ে। তারউপর চার্জার খানা কয়েকদিন আগে প্রায় ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। মাঝে মাঝেই কানেকশন ছুটিয়া যায়, তখন পিছনে আঙ্গুল দিয়া (বেয়াদবি নিবেন না ভাই সাবেরা) চাপিয়া ধরিতে হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ ঘটাইবার জইন্য।

বিস্তারিত»

ছন্নছাড়া

১. রিইউনিয়নের দ্বিতীয় দিন সকালে ব্রেকফাস্টের জন্য রেডি হচ্ছি। একজন মুখটা করুণ করে বলল,”দোস্ত ব্রেকফাস্ট করে আমার জন্য
একটা ফ্লাজিল নিয়ে আসবি”। লুকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বন্ধু ঊদ্ধারে রওয়ানা দিলাম।

বিস্তারিত»

কামরুল ভাইয়ের ইফতারি,আমার জিলাপি ভক্ষন ও হাবিজাবিঃ পর্ব ১(গল্প শুরুরও আগের গল্প)

এই লিখা শুরু করার আগে ব্লগের নামকরণ নিয়া ইয়াহু মেসেঞ্জারে কামরুল ভাইয়ের সাথে এক দফা হয়া গেল।ভাবছিলাম ডজ দিবো,কিন্তু পরশু দিনের ইফতারি নিয়া যে আমার ব্লগ লিখার কথা সেইটা কামরুল ভাই ভুলেন নাই। উনি আমারে বলসিলেন ব্লগ লিখতে, আমিও চিরায়ত নিয়ম অনুসারে সেইটা অল্টারনেট জুনিয়র রায়হানকে পাস করে দিছিলাম। কিন্তু কেমনে কি,যুগের সাথে সাথে ডজ মারার উপায় গুলাও যে এডভান্স হইসে সেইটা তো আর আমি হিসাবে নেই নাই।

বিস্তারিত»

ক্যাডেটলাউঞ্জ !!

ষ্টাফ লাউঞ্জের প্রতিশব্দ আর কি…

০১ দি ক্যানন অব টীপু সুলতান

তখন টীপু সুলতান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে । এর প্রভাবে প্রায় ই সুযোগ পেলে ক্লাস রুম কে রনক্ষেত্র বানিয়ে একজন মুখ দিয়ে হুঙ্কার দিত তোপ চালাও” ( এই আদেশ টা ডেস্ক এর উপর দাড়িয়ে ডান হাত তুলে দিতে হত, সেইরকম ই নিয়ম ছিল), আর কাল্পনিক ফিরিঙ্গিদের উদ্দ্দেশ্যে আরেকটা মানব কামান গর্জে উঠত “ভো…কি…ইয়া…”

বিস্তারিত»

ক্ষমা করবেন সবাই………………

আরিফ, কোথায় আছিস-কেমন আছিস কিছুই জানিনা। দোষটা অবশ্যই আমার যে তোকে একবার ঠিকানাটা জানিয়েও চিঠি লিখিনি। অকৃতজ্ঞতার মাত্রাটা বোধহয় একটু বেশী-ই হয়ে গেছে।
তোর শেষ চিঠি পেয়েছি ১৫ ডিসেম্বর, দিন তারিখ এখনো মনে আছে, রোজার ঈদের আগে, আর আজ ২৬শে মার্চ, আজকে তার উত্তর লিখছি। মাঝে যে চেষ্টা করিনি তা নয় তবে নানা কারনে তা অসম্পূর্ন থেকে গেছে। আর ঢাকা থেকেও কয়েকবার ফোন করে তোকে ধরার চেষ্টা করেছি,

বিস্তারিত»

বড় কঠিন কাজ

লেখালেখি ব্যাপারটা কোনোদিন ও আমাকে দিয়ে হযনি । তবে একবার কোন এক অখ্যাত (আমার জন্য বিখ্যাত) লেখক এর বই এর মেষ পাতা থেকে একটা  কবিতা কপি করে কলেজ বার্ষিকিতে ছাপিয়েছিলাম।  আমি লেখা জমা দিতে হয় তাই জমা দিয়েছিলাম । ছাপা হয়ে যাবে তা ভাবিনি । বাংলার এক স্যার ডেকে আমাকে বলেছিলেন কবিতাটা খুব ভাল হয়েছে এবং তিনি ভবিষ্যতে আমাকে আরও সুন্দর কবিতা উপহার দিতে বলেছিলেন ।

বিস্তারিত»

আমাদের বাপ-বেটায় মরতুজা ভাইয়ের মন্তব্যের জবাব..

তোমাদের ব্যাচটাকে খুব ভাল মত মনে আছে শুধুমাত্র এই কারনে। তবে আমার জানা ছিলনা এত কিছু। ওই স্যাররা তাদের পুত্রদেরকে নিজ রুমে নিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন সেটা জানতাম, কিন্তু এতটা সুবিধা দিতেন তা জানতাম না। তবে আমি অনুরোধ করব এই বিষয়টা নিয়ে না লেখার জন্য। ক্যাডেটদের সম্পর্কে বাইরের লোকদের অনেক খারাপ ধারনা আছে সেটা আমরা সবাই কম বেশি জানি। পরীক্ষায় অন্যায় সুবিধা নেয়া তার মধ্যে অন্যতম।

বিস্তারিত»

ছোট ছোট ঘটনা…

আনেক দিন পর আজ লিখতে বসলাম…কি আর করা…দেখি কি লেখা যায়……
ছোট ছোট ঘটনা……। ভাল লাগা বা না লাগা সকলের …………

১. তখন ভিপি ছিলেন মাহাবুবুর রহমান স্যর… তিনি খুবই মজার মানুষ ছিলেন। তার আদেশ হলো কোন ক্যাডেট পাক্ষিক পরীক্ষার সময় করিডোরের উপর কোনো ব্ই রাখা যাবে না। ভুল করে বা তাড়াহুড়া করে কয়েকজন বায়োলজি বই রেখেছিল………গাজী আজমল এর বই……পরীক্ষা চলছে. ভিপি ক্লাসের মাঝে এসে জানতে চাইলেন এই বইয়ের মালিক কে……পিছন থেকে একজন বলে বসল “স্যার গাজী আজমল এর বই ।

বিস্তারিত»

আমরা তিনজন – ২য় পর্ব

আমরা অপারেশনে গিয়েছিলাম ২৪ ফেব্রুয়ারী কিংবা মার্চ তারিখে (মাস টা আমার ঠিক খেয়াল নেই)। ২৪ তারিখ বিকেলে কঙ্গো কমান্ডোরা আমাদের সাহায্য চাইলো। বিকেল বেলা আমরা আমাদের পুরো ট্রুপস নিয়ে আরো সামনে এগোলাম এবং একটা পর্যায়ে আমরাই ফ্রন্টলাইন হলাম। বিকেলের কিছু আগে পাক আর্মির একটা কোম্পানী এসে আমাদের সাথে জয়েন করলো। এর আগে শুরু থেকেই আমাদের সাথে মরক্কো আর্মির একটি মর্টার ডিটাচমেন্ট ও ছিলো। এই তিন দেশের সব এলিমেন্টগূলো আমাদের বাংলাদেশের কমান্ডে কাজ করছিলো।

বিস্তারিত»

আমরা তিনজন – ১ম পর্ব

“সিসিবিতে ভিজিটর কমে গিয়েছে কিংবা নীরব পাঠকের সংখ্যা বেড়েছে। লেখা ও তেমন আসছেনা। হয়তোবা সবাই ই ব্যস্ত।”…এগুলো নিয়েই কথা বলছিলাম আমাদের সিসিবির পরিচিত মুখ কামরুলের সাথে ইয়াহু মেসেঞ্জারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে। তারাবীহ শেষ করে রুমে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ না করেই কম্পিউটার অন করলাম। মেসেঞ্জারে কামরুলকে অন লাইন দেখে কথা বলার লোভ সামলাতে না পেরে নক করলাম। একবারো ভাবিনি যে কামরুল ফ্রি আছে কি নেই।

বিস্তারিত»

ঠেলা

বুজতাসি ঠেলা কারে কয়। সকালে নয়টায় অফিসে আইসি, হারাদিন রোজা, সন্ধায় ইফতারির সময় খাইসি এক কাপ কফি। এহনো গনক মহাশয়ের সামনে বতাম টিপি। রাইত সাড়ে দশটা বাজে। কহন যে বাড়ী যামু? লগে আইজকা আবার বিড়ির পাকিট খান আনি নাই। ভাবছিলাম বাসাইয় গিয়া ত টানমুই। অহন খিদার চে লাগছে বিড়ির নিশা।

বিস্তারিত»

আচার০০২: অণুকাব্য

বুকের ভেতর জমাট জল,
অকস্নাৎ নিহারকণা…
পাঁজরা ভাঙে, পাঁজরা ভাঙি।
টুপটাপ, তারপর নৈঃশব্দ।
ভীষণ ধ্বংসস্তূপের উদর হতে
বেরিয়ে আসেন কালপুরুষ।
গায়ে মেখে নয়া রোদ,
আবার গড়েন, হার না মানা,
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে অবোধ।।

(আমার সিরিজটার নাম তারেক ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করা। যখন শুরু করেছিলাম তখন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়নি, এখন করছি, ধন্যবাদ সহ।)

বিস্তারিত»

টুশকি ৩

টুশকি [১] [২] [৪]

১. মোল্লা স্যার আমাদের কলেজের স্পোটর্স সংক্রান্ত ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ক্যাডেটদের নিয়ে অংশ গ্রহন করতেন। নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে খেলোয়াড় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি ছিলেন অন্যতম ব্যক্তি। সেই মোল্লা স্যার আইসিসি কম্পিটিশনের জন্য প্রস্তুতিরত কলেজ ফুটবল টিমে সদ্য ক্লাস সেভেন থেকে এইটে উঠেছে এমন একজনকে নিয়ে নিলেন। ব্যাপারটা অভূতপূর্ব। এর কারণ আর কিছুই না,

বিস্তারিত»

ভিডিও পোস্টঃ কফি হাউসের সেই আড্ডাটা…

প্রায় একবছর আগে সিসিবি’র যাত্রা হয়েছিল শুরু। পুরাটাই নিজস্ব স্বার্থে। আমাদের লেখার কোন জায়গা ছিল না। থাকলেও আমাদের বিষয়বস্তু একটু অন্যরকম হবার কারণে কমিউনিটি ব্লগে দেবার আগে দুই একবার ভাবতে হতো। পাহাড় সমান জমিয়ে রাখা স্মৃতিকথাগুলো আমরা তাই নিজেদের জায়গায় লেখা শুরু করলাম…

হতে পারে স্মৃতিকথা বেশীদিন লাগাতার হজম করা যায়না। লেখক, পাঠক সবারই একঘেয়ে লাগে। তাই আজ-অবদি আমরা অনেককেই পেয়েছি যারা হঠাৎ করে এসেছেন,

বিস্তারিত»

আমার ঘুমবেলা -১

এই ব্লগ এ লিখার কথা ভাবলেই কলেজের কত কথা মনে হয় লিখি…। কিন্তু আটকে যাই শুধু সেন্সরশিপ এর কথা ভেবে…কি করব , বয়সটাই এমন ছিল। ভবিষ্যতে কেউ অগ্রগামী হবে এই আশায় বসে আছি।

কলেজের যে আবেগটা এখনো ধরে রাখতে পেরেছি তা হল ঘুমের প্রতি সীমাহীন ভালবাসা । আহাঃ ক্লাস সেভেন এ তাকে কতই যে মিস করতাম, ভাবলে এখনো বুক থেকে একদলা ধোয়া বের হয় ।

বিস্তারিত»