বেশ কিছু দিন ধরে লিখা লিখা করে লিখা হচ্ছে না। আমার একটা ফালতু টাইপ assignment due ছিল আজ। তো assignment এর দোহাই দিয়ে নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। গত কয়েক দিন প্রচুর ঘটনা মনে পড়ছিল, কিভাবে লিখব, কিভাবে শুরু করব, টাইটেল কি হবে সব কিছুর খসড়া মনে মনে রেডী। but এখন কিছুই মনে পড়ছেনা। আমার খুব একটা বাজে স্বভাব হইছে ১০/১৫ মিন পর পর এক বার ব্লগ চেক্ না করলে কেমন জানি অস্থির অস্থির লাগে।
বিস্তারিত»খুল যা সিম সিম…
মোবাইলের সিম কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়লাম। কলেজে নতুন ক্লাস সেভেন যতটা হাস্যকর, আমার মোবাইল অপারেটর সম্পর্কে জ্ঞান তারচেয়ে হাস্যকর। আমি ঠিকমত জানতামই না ডি-জুস কি জিনিস, পালসের কাহিনি কি। মানুষের পালস থাকে জানতাম কিন্তু এই সুবিধা যে মোবাইলেও চলে আসবে বুঝতে পারি নাই।
বিস্তারিত»সন্দেহ প্রবণ
কলেজ এর কাহিনির তো শেষ নাই। যাই হোক, প্রথম ব্লগ হিসাবে একটা ঘটনা বলি। কলেজ এর খুব বিরক্তকর কিছু বাশির আওয়াজ এর মধ্যে
আফটার নুন প্রেপ এর বাশি টা ছিল জঘন্যতম। আধো ঘুম, আধো জাগরনের মধ্য একাডেমীর উদ্দেশ্য রওনা হতাম। ৯৭’ এর ঘটনা, আমরা তখন ক্লাস নাইনে পরি।
হাফ প্যান্ট, হাফ শার্ট পরে রাজ্যের ঘুম চোখে নিয়ে হাউস থাকে বের হয়ে একাডেমীতে যাচ্ছি।
তপু কথন…
নির্ঘুম রাত আজ
মনে পড়ে সেই সাজ
আমাদের গড়া তাজ
ফেলে রাখা শত কাজ
তবু তোমারি খোঁজে এই আমি দিশেহারা……
ক্লাস সেভেনে যখন ঢুকি তখন উনি জুনিয়ার প্রিফেক্ট…টাক মাথা অতিব ভদ্রলোক…
বিস্তারিত»যার নাম ক্যাডেট
সাপের খোলস বদলের মত,
ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত স্কুলটির সাথে-
ভরদুপুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতারের
স্বাধীন জীবনটিরও অকাল প্রয়াণ।
অতঃপর অনুপ্রবেশ- ক্যাডেট কলেজ নামক একটি মিক্চার মেশিনে
পরবর্তী ছয় ছয়টি বছর কিছু অবাধ্য চোখের পানি,
ড্রিল গ্রাউন্ড নামক খোয়া
এবং সকালের পিটি নামক বালি্র সাথে
কাস্টমস এন্ড এটিকেট্স উইথ ম্যানারিজম,
ক্যাডেট
মূল লেখকঃ মাসরুফ অনুলিখনঃ তপু
ক্যাডেট কলেজ ব্লগ তাদের জন্য যারা তাদের জীবনের অর্ধ যুগ কাটিয়েছে ক্যাডেট কলেজ নামক একটি জায়গায় এবং সেই ৬ বছর প্রতিনিয়ত ক্যাডেট কলেজকে গালিগালাজ করেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্যাডেট হিসেবে গর্ব করে এবং বাকিদেরকে নিজেদের থেকে অন্তত ৬ বছর পিছিয়ে আছে বলে মনে করে।
আপনি হয়ত দু-এক বছর আগেই এক্স ক্যাডেট হয়েছেন কিংবা এক প্রবীণ এক্স ক্যাডেত যার সন্তান ও এখন একজন ক্যাডেট কিংবা আপনি চান তাকে সেখানে দিতে।
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত
ক্লাস এইটের ঘটনা।
ম্যাথ ক্লাসে সম্পাদ্য করাতেন পি. কে. রায় স্যার। ছোট্টবই, সিলেবাস দু’দিনেই শেষ। তখন আবার আইসিসিএলএম এর প্রস্তুতি চলছে। স্যার ছিলেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের দায়িত্বে। তো ঘটনার দিন স্যার ক্লাসে এসে বললেন, “আমারতো সিলেবাস শেষরে.. এখন কিতা খরাইতাম?” [স্যার সিলেটী ভাষায় কথা বলতেন]
আমি কিছু না ভেবেই বললাম, “স্যার, এখন তাইলে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত হোক।”
বিস্তারিত»আমাদের মুমিত
মুমিতের সঙ্গে মাঝে-মধ্যে আমার কৃত্রিম ঝগড়া হত। কৃত্রিম ঝগড়ার ক্ষেত্রে বিষয় তেমন একটা গুরুত্ব পায় না। তাই আমাদের বিষয় ছিল একটা মেয়ে। ক্যাডেট কলেজে- গেমস টাইমে কিংবা ডিনার থেকে একাডেমিক ব্লকে আসার সময় আমরা তাকে নিয়ে আলোচনা করতাম। মুমিত তার বাচ্চা বাচ্চা হাসিটা নিয়ে আমাকে বলত-
– মহিব, এসব ছাড়। বুঝলি?
সংলাপS (এফসিসি)
একঃইন্টার হাউস ফুটবল কম্পিটিশন চলছে। ফজলুল হক বনাম শহীদুল্লাহ হাউস। ফজলুল হক হাউসের ক্যাপ্টেন কাম জেপি সাদেক ভাই। রেফারী স্বয়ং এডজুডেন্ট। খেলার মাঝখানে হঠাৎ সাদেক ভাইকে ডাক দিলেন এডজুডেন্ট। বললেন।
– সাদেক। tell your boys to speak english।
সাদেক ভাই সুবোধ ক্যাডেটের মত উল্টা ঘুরে সবার দিকে তাকিয়ে বললেন।
– বয়েজ। সবাই ইংরেজীতে কথা বল্।
জিতে গেলো জানুয়ারি
কাউন্ট ডাউন চলতেছে পিসিতে আর মাত্র নয় মিনিটের মধ্যে এই ব্লগটা লিখা শেষ করতে হবে। কিন্তু স্লো নেট কানকশনের কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আপলোড করতে পারবো কি-না জানি না। আমরা এই ব্লটা শুরু করেছিলাম জানুয়ারি মাসে। শুরু করতে না করতেই ব্যাপক জনপপ্রিয়তা পায় “স্মৃতিময় ক্যাডেট কলেজ”। প্রথমে অবশ্য এখানে শুরু হয় নাই। মেকার একটা উইকি সাইট আছে। সেখানে উইকি ফরম্যাটের মধ্যে অনেক কষ্টে ঠিকঠাক করে ব্লগটা শুরু করি আমরা।
বিস্তারিত»আমাদের পাণ্ডুলিপি-১
একঃ
– আমি মহিব। তুমি?
ছেলেটা ভেজা ভেজা চোখে আমার দিকে তাকাল। আমি কিছুটা অবাক হলাম। আরে ভাই, কাঁদার কী আছে? আর সাতদিন পরেই তো আমরা বাসায় যাব। বাবা- মা কে ছাড়া কী সাতটা দিন থাকা যায় না? আমি তো ক্লাস সিক্সেও হোস্টেলে থাকতাম। চিটাগাং রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ। আমি ছেলেটার কাঁধে হাত রাখলাম। সাথে সাথে আমারও কান্না কান্না একটা ভাব হল।
প্রভাত ফেরী এবং আমার নুডলস খাওয়া…
ক্যাডেট কলেজে যাবার আগে এমন অনেক কিছুই প্রিয় ছিল যেগুলো করতে অনেক ভাল লাগতো। তার মধ্যে নুডলস খাওয়া একটা।খাওয়া দাওয়া জিনিসটা আমার কাছে কোনকালেই তেমন একটা পাত্তা পায়নাই।ফলস্বরুপ ভার্সিটিতে যখন ফুটবল খেলি গাব্দা গোব্দা সাইজের দশাসই আফ্রিকান গুলোর সাথে ধাক্কাধাক্কিতেও তেমন একটা পাত্তা পাইনা।আমার মত এমন পাত্তা না পাওয়া মানুষের কাছেও নুডলস জিনিসটা কেন যেন খুব ভাল লাগতো।কিন্তু কলেজ অথরিটির কাছে ব্যাপারটা মোটেও ভাল লাগেনি।কলেজ এ গিয়ে এহেন নুডলস এর সাথে পরিচয় ঘটলো যে আমার ভাল লাগা প্রথম দুই সপ্তাহেই উর্ধপাতন প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি গায়েব।এর মধ্যে আবার মরার উপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়ালো ডাইনিং হলে আমার পাশে বসা এক সিনিয়র।
বিস্তারিত»যে হাসি ঠোঁটেই শুকিয়ে যায়
নাম ছাড়া কোন মানুষ হয়না। যেমন হয়না বিশেষত্ব ছাড়াও। ক্যাডেট কলেজের টীচারদের দেখলে সেটা আরো ভাল করে বোঝা যায়। বিশেষত্ব অনুযায়ী নামকরণ ক্যাডেট কলেজে অনেকটা ফরজের পর্যায়েই পড়ে। সেই সব বিশেষণ একত্রিত করা হলে দুই তিনটা বাংলা গ্রামার বই মার্কেটে ছাড়া কোন ব্যাপারই না।উপযুক্ত নামকরণের বেলায় কারো ছাড়ন নাই। সে রাশভারী চেহারার কোন শিক্ষকই হোক কিংবা পাশের বেড এর জিগরি দোস্তই হোক।
ক্লাস ইলেভেন এর কথা।হঠাৎ শোনা গেল আমাদের ভিপি স্যার(ভাইস প্রিন্সিপাল) বদলি হতে যাচ্ছেন।
বিস্তারিত»ঘুমরঙ্গ
আমাদের ক্লাস নাইন আর টেনে জ্যামিতি পড়াতেন যিনি, তাঁর বিখ্যাত “চাপ”-এর কথা আমাদের কলেজের সবারি জানা। সবার কাছেই ভয়ের আর বিরক্তিকর নাম। স্যারের ক্লাসে ঘুমানোর সাহস ত দূরে থাক তাঁর ধারে কাছে কেউ ঘেঁষত না পারতপহ্মে, আমিও পারলে তাই করতাম। কিন্তু আমার কপালে অন্য কিছু ছিল।ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয়ে আমি পাঁচ মিনিট টাইম পাইলেও ঘুমানোর ট্রেনিং পাই।
বিস্তারিত»আফটার দ্য লাইটস আউট
ঘুম। দুই অক্ষরের এতটুকুন একটা শব্দ।অথচ প্রধাণ উপদেষ্টা থেকে রাস্তার ফকির, এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবেনা যার জীবনে ঘুম জিনিসটা আকাঙ্ক্ষিত নয়।ভার্সিটি জীবনে এর বিস্তার মনে হয় আরো বেশি।কত ক্লাস আর ক্লাসটেস্ট যে ঘুমের জন্যে অবলীলায় বিসর্জন দিয়েছি তার হিসাব নেই।মানুষ নাকি দিনে কাজ করে আর রাতে ঘুমায়।কিন্তু ভার্সিটিতে দেখি আমার বেশ কিছু ক্লাসমেট(মাঝে মাঝে আমি সহ) দিনেও ঘুমায় রাতেও ঘুমায়।সেই অর্থে ওরা মানুষ কী না সেই বিতর্কে না গিয়ে বরং ঘুম প্রিয়তার কথাটাই শুধু ভেবে দেখি।
বিস্তারিত»