মরি নাই, আমি মরি নাই…

কোন এক যাত্রা পালায় দেখেছিলাম বোধহয়। যাত্রা পালা মানে টিভিতে দেখা যাত্রা। নায়ক রক্তমাখা গায়ে বলছে “মরি নাই, আমি মরি নাই”। আমারও এখন কিছুটা সেরকম অবস্থা। কেন এরকম অবস্থা জানতে কিঞ্চিত আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নেয়ার মত হয়ে যায়।

পত্রিকা আর টিভির কল্যানে সবারই জানা আছে বিশ্ব এখন মহা মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইস্‌পিশাল চায়ের মত আমেরিকায় আবার ইস্‌পিশাল কইরা মন্দা যাইতাছে।

বিস্তারিত»

প্রিন্সের গল্প -২য় কিস্তি

প্রিন্সের তালতো ভাই আরিফ

আমরা আসলে দুই বন্ধু না তিন বন্ধু হলাম হরিহর আত্মা। প্রিন্স (আসল নাম এর ধারে কাছেও না), আরিফ (আসল নামটা একটু বদলে দেয়া হয়েছে) আর আমি। কে কার বেশি আপন তা অবশ্য হাওয়া বদলের সাথে উঠানামা করত। যখন বিড়ি খাওয়ার পয়সা নাই তখন আরিফ আমাদের সবচেয়ে প্রিয় আর ওর বাসায় বিড়ি খেলে যখন ও ঘর থেকে বের করে দিত অথবা ওদের দোকান থেকে শার্ট বা গেঞ্জি নিযে আসলে ও যখন চোর বলত তখন আমি আর প্রিন্স একজন আর একজনের প্রিয় বন্ধু হয়ে যেতাম।

বিস্তারিত»

একজন ‘মৃত’ ব্যক্তির গল্প

১.
মতি ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। মাঝে মধ্যে অতি মধুর ব্যবহার, কখনো ঝাড়ি। সেইদিন ছিল ঝাড়ির দিন। ঝাড়ি খাইয়া মেজাজ খারাপ। রাম্তায় ট্যাক্সি পাইলাম না। মেজাজ আরো বিলা। বাসায় ফিরতে ফিরতে মহাক্লান্ত।
দরজা খুলে দিলো ৭ বছরের পুরোনো বউ। কিন্তু দেখলাম যেন নতুন বউ, সেজেছে, চুলও কি কেটেছে? শাড়িটাও মনে হল নতুন, নাকি অনেক দিন পড়ে না?
মনে হলো মুগ্ধ যখন হয়েছি তখন কিছু একটা বলা দরকার।

বিস্তারিত»

মালেয়শিয়ার চিঠি – ৩

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই মালেয়শিয়া একটা গরিব দেশ। আমি যখন পড়াশুনা করার জন্যে মালায়শিয়া রওনা দিচ্ছি, তখনও সবাই বলেছে “পড়াশুনার জন্য কি কেউ মালেয়শিয়া যায়?” এমন কি আমার মা বাবাও খুব একটা খুশি ছিলেন না । তারপরেও আমি আসলাম, এখন মনে হচ্ছে খুব একটা খারাপ হয় নি ।

বিস্তারিত»

উঠে যাওয়া সিঁড়ি…

ক্রমশ অপষ্ট হয়ে আসা একটা গান-

যে গানের শুরুতে হয়তো মিলাভাবীর রূপবান গানের মতো বিট ছিল না- বলা যেতে পারে, বেশ বিষন্ন একটা সুর ছিল, বুক ভরা হতাশা ছিল। তবু নিজস্ব কষ্টের সাগরে যখন ডুবে যেতাম তখন সেই গানটা আমার আশ্রয় ছিল, আমার ভীনদেশী তারা ছিল-

তারাটি- ধুম করে একদিন হারিয়ে যায়। একরাতে কালো কফির কাপ হাতে নিয়ে পা টিপে টিপে ছাদে যাবার পর কফির ভেতর তার ছাঁয়া পড়েনা।

বিস্তারিত»

প্রিন্সের গল্প -প্রথম কিস্তি

ঈশপের গল্প

আমরা সবাই ঈশপের গল্পের সাথে কম বেশি পরিচিত। সেই গল্পটা আছে না, দুই বন্ধু বনে বেড়াতে গেছে হটাৎ একটা ভালুক সামনে পড়ল। দুই বন্ধুর একজন গাছে চড়তে পারে অন্যজন পারে না। যেই না ভালুক সামনে আসল অমনি যে গাছে চড়তে পারে সে অন্যজনকে রেখে গাছে চড়ে বসল। অন্যজন কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মাটিতে মরার মতো শুয়ে পড়ল। ভালুক এসে তাকে শুকেটুকে মরা ভেবে চলে যেতেই গাছে চড়া বন্ধুটা নেমে এসে বলল ভালুক তোকে কি বলেছে ?

বিস্তারিত»

কাঁকড়া দ্বীপে কয়েক ঘন্টা …

কুয়ালালুমপুর থেকে মাত্র ২ ঘন্টার রাস্তা কাঁকড়া দ্বীপ । ক্রাব আইলান্ড, মাল্লাকা উপ সাগরের একটা দ্বীপ। এই দ্বীপ এ মাত্র ৮০০০ লোক বাস করে, এবং সবাই চাইনিজ। মূলত জেলেদের আবাস স্থল। একনকার কাঁকড়া খুব বিখ্যাত, এক কেজি কাঁকড়ার দাম ৪০ রিংগিত (৮০০ টাকা )।

বিস্তারিত»

আমার একটু রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা

মনে হয় পূর্ণিমা ছিল সেই রাতে। বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে এগারোটা। খেতে খেতে আরো এক ঘন্টা। সাড়ে ১২টার সময় বউ এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বললো, দেখো কি সুন্দর চাঁদ। আমার চোখে ঘুম, আগ্রহ বেশি ঘরের চাঁদের দিকে, তাই কোনো রকম বাইরে তাকিয়ে বললাম, ওঃ তাইলে আজও চাঁদ উঠছে!! 😮
পরের দিন বউ ঘোষণা দিল আমি হইলাম এই বিশ্বের সেরা আন-রোমান্টিক ছেলে। আমার মধ্যে নাকি রোমান্টিসিজমের কিছুই নাই।

বিস্তারিত»

কামরুল ভাইয়ের খোঁচা আর আমার স্মৃতি বিভ্রাট জনিত পোষ্ট

(কামরুল ভাইয়ের পুরান লেখা দেওয়ার খোঁচায় রাগিত হইয়া নতুন পুরা গরম গরম একটা লেখা দেওয়া হইল । ইহাকে আপনার স্মৃতিকথা বা ব্লগর ব্লগর যা ইচ্ছা বলিতে পারেন । লেখা ভাল না লাগিলে আমার দোষ নাই যত দোষ কামরুল ভাইয়ের)

গতকাল রাতে কথা হচ্ছিল ইশতির সাথে । তখন কথায় কথায় অনেক পুরান কথা মনে পড়ল । ভার্সিটিতে তখন প্রায় নতুন নতুন । ডিপার্টমেন্টের কার সাথে তেমন খাতির হয় নাই।

বিস্তারিত»

আচার০১৫: কাব্যকথা

[তাইফুর ভাইয়ের কাব্যগুলো পড়ে আমার নিজের কিছু কবিতা দিতে ইচ্ছা হলো। এতে করে সুবিধা দুটো, নতুন করে কিছু লিখতে হবে না, কবিতা রেডিই আছে। দ্বিতীয় সুবিধাটা হলো, খুব ব্যস্ত আছি, এই সু্যোগে কাব্য দিয়ে নিজের + কলেজের একটা ব্লগ বাড়ানো যাবে। আগেই ক্ষমা চেয়ে নেই, কমেন্টের উত্তর হয়তো দিতে পারবো না সময়মতো। ]

১…

শুরুটা বোধহয় এভাবেই হয়,
ভবঘুরে স্বপ্নের মতো এভাবেই
জলজ প্রেমে ভিজে যায় বুকের জমিন।

বিস্তারিত»

ছিন্নস্বর

সিলুয়েটে করতল জমে উঠলে একটা বিছানা ধীরে খুব ধীরে রওয়ানা দিল আস্তাকুঁড়ে
যেখানে প্রতিদিনরাত বার্ধক্য-উপনীতা শুকুতে দেয় কুমড়োর বড়া; ঐ বড়াভাজা মাদুরের
পাশে পিঁপড়ের সারি লাইনে জমাট বিক্ষোভ ফেলে একটা চিকন জলধারা ক্রমশ শৃঙ্খলিত
হতে থাকলে মোলায়েম শকট এসে তার চেহারায় অদ্ভুত রঙ এঁকে দ্যায়।

কাছেই সিঙ্ক্রোনাইজ্‌ড ঘুমের বাসর থেকে জেগে উঠতে পারে কালো কুকুরটি- এহেন
ভাবনা ঠাস্‌ করে বেলুন ফুটে মিলিয়ে যাবার আগে নিঃসরিত বায়ুত্যাগী জোছনা আমাকে
ঠ্যালা দিয়ে রমণে ঠেলে দিতে থাকে আর ভিখেরিপনায় পটু আমার ছোটভাই চেয়ারের
নিচে রাখা গলিত-ঘামসিক্ত তোয়ালে জড়িয়ে দিনকে দিন শুষ্ক হতে থাকে।

বিস্তারিত»

অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৩

ক্যাডেট কলেজ থেকে শুরু করে আজ অবধি একটা বিষয় আমি খুব কন্সিস্টেন্সি সহ লক্ষ্য করে আসছি। প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা কিংবা অবক্ষয়ে প্রকৃতিতে ঋতু বদলের সময়সীমায় পরিবর্তন আসে। এমন কি সনাতন রচনা বই গুলোতে লিখিত ষড় ঋতুর বৈশিষ্ট্যতেও আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় গড়মিল। কিন্তু ,এই একটা বিষয় আমি দেখলাম এক্কেবারে অনড় এবং নিশ্চিত। সেটা হচ্ছে ছুটিতে ‘সময়’ এর দ্রুততার সাথে পথ অতিক্রম এর ব্যাপারটা। কোন এক অজানা কারনে বোধকরি পৃথিবীটাও ঐ সময়ে সূয্যিমামার চতুর্দিকে অধিকতর ‘জায়রো’

বিস্তারিত»

মালেয়শিয়ার চিঠি – ২

[ গতকালের আমার লেখা পরে অনেকের খারাপ লেগেছে। আজকে তাই একটি মজার ঘটনা লিখলাম ]

আজকের সকালে বাসার নিচের দোকানে গেলাম কিছু কেনাকাটা করতে। দোকানের লোকটা জানে আমি বাংলাদেশি। সে আমাকে মালায়শিয়ান জাতিয় পত্রিকা কসমোর একটা পাতা দেখিয়ে বলছে,
“দেখ, তোমাদের দেশের কথা লিখছে”। কসমো মালায় ভাষার পত্রিকা, তাই উনি আমাকে বলেদিলেন কি লেখা আছে। পত্রিকার হেডিং হল “বাংলাদেশি মানুষের আকষন”। এক মালায়শিয়ান মেয়ে বাংলাদেশি একছেলের প্রেমে পরে বাংলাদেশ এ চলে গেছে।

বিস্তারিত»

মালেয়শিয়ার চিঠি – ১

[ মালেয়শিয়া তে ৮০ হাজার বৈধ ও ৪০ হাজার অবৈধ শ্রমিক কাজ করছে । এদের প্রায় সবাই নিদারুন কষ্টে আছে। তাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই। এই সব হতভাগ্য মানুষ দের কিছু ঘটনা নিয়ে লিখছি … ]

১৯৬৫ সালেও মালয়শিয়া ছিল ৩য় বিশ্বের একটা দেশ। আর আজকে তারা পৌঁছে গেছে উন্নত বিশ্বের দরজায়, ২০২০ সালে তারা নিজেদের কে উন্নত বিশ্বের দেশ হিসাবে ঘোষনা দিবে।

বিস্তারিত»

টুকলিফাইং-০২

তুমি স্বর্ণের বর্ণ চুরি করে তোমার অঙ্গে লুকিয়ে রেখেছ। চন্দ্রের কিরণ চুরি করে রেখেছ তোমার চন্দ্রাননে। মদনের ধনুকটা চুরি করে রেখেছ তোমার নিজের ভুরুর মাঝখানে। বনের হরিণীর কাছ থেকে তুমি হরণ করেছ তোমার চোখদুটি। পক্ক বিম্ভের শোভা চুরি করেছ তমার ওষ্ঠে। সাদা বেগুনের মসৃণতা চুরি করেছ তোমার চিবুকে। কোন মরালীকে নিঃশ্বেষ করে তৈরী করেছ তোমার গ্রীবা। সিংহের কাছ থেকে চুরি করেছ তোমার কোমরের খাঁজ। গজের কাছ থেকে চুরি করেছ তার গতি।

বিস্তারিত»