আমি খুব ঘরকুনো একটা ছেলে…গত কয়েকবছর থেকে মারাত্মক ঘুমকুনোও।এতটাই যে,কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে রিইউনিয়ন ছাড়া আর কোন গেটটুগেদারেই আমি যাই নাই!প্রয়োজন ছাড়া কোনজায়গায় তো নয়ই।তাই আমার চেনাজানা মানুষের গন্ডিও খুব সীমিত।এতই সীমিত যে সীমিত শব্দটাকেও অপর্যাপ্ত মনে হচ্ছে।ভাগ্য ভাল যে পরিবারপ্রথা নামক একটা জিনিস পৃথিবীতে চালু আছে…নাইলে আমি আছি কি মরে গেসি এইটা নিয়া মাথা ঘামানোর কোন লোক পাওয়া যাইত না।তাই সবাই যখন নিত্যদিনই বোনের ননদ,ভাইর বন্ধুর ফুফার বাড়ি,খালাতো ভাইর তালতো শ্বশুর এর বাড়ি ইত্যাদি নতুন নতুন পরিবারের সদস্য হচ্ছে,সেখানে হাফডজন ভাইবোন হওয়া সত্ত্বেও আমি এখনও খালি আমার আব্বা-আম্মারই আছি…
বিস্তারিত»ফাউজুল তুই ভাল থাকিস……
ঘন্টাখানেক আগে আমার এই বন্ধুটি আমাদের অনেকেরই আত্মার বন্ধু ফাউজুল কবির পিকলু ,পাবনা ক্যাডেট কলেজ (১৯৯৯-২০০৫) কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত অবস্থায় মোটর সাইকেল এক্সিডেন্ট করে ঘটনাস্থলে মারা গেছে…আমি আর কিছু লিখতে পারছি না…আপনারা দোয়া করবেন প্লীজ়……আল্লাহ তোকে বেহেশত দিক….
বিস্তারিত»ইনসমনিয়া
(আজ আমি সেই সব হতাশাবাদীদের দলে
যারা রোজ রাত্রে স্ত্রীর স্তন আঁকড়ে ধরে ঘুমায়)
দুপুরের তপ্ত রোদে আমি ফুটপাতের ষড়-কোনাকৃতি খর ইট গুনে চলি,
এক……… দুই……… তিন……………
ঠিক কতগুলো মরদেহ এক গর্তে ফেলে একটি গন-কবর তৈরী হয়?
এক…, দশ….,একশ…?
সাড়ে-আট ফিট একটি গর্তে কি করে শুয়ে থাকে এতগুলো মানুষ?
“গণমানুষের বিদ্রোহ” অথবা “শ্রেণীসংগ্রামের”গন্ধ পাওয়া বুদ্ধিজীবী এবং সমমনা ব্লগাররা কি কখনো আমার এই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন??
বিডিআরকৃত গণহত্যার(সানাউল্লাহ ভাইয়ের মত আমিও একে গণহত্যা বলেই মনে করি) পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এই ব্লগের অনেক সদস্য এবং ক্যাডেট কলেজের আরো অনেক কাছের মানুষের খোঁজ নিতে ফোনে কথা বলেছি বেশ কয়েকজনের সাথে।দুটি কথোপকথন উল্লেখ করলে মোটামুটি সবগুলোর সারমর্মই পাওয়া যায়ঃ
১) মেজর “আ” কান্নারুদ্ধ কণ্ঠে বলছিলেন-“ভাই যারা মারা গিয়েছে তারা আমার আত্মীয়ের চেয়েও বেশি ছিল।আমরা মারা গেলাম, আমাদের স্ত্রী পুত্র নির্যাতিত হল-আর এর পরেও সব দোষ আমাদের?আমরা কি আসলেই এত খারাপ যে আমাদের লাশ ড্রেনে পড়ে থাকলেও আত্মীয় স্বজন ছাড়া আর কেউ একফোঁটা কষ্ট পায়না?”
বিস্তারিত»যার যায়, সেই বোঝে…!!!
[ কোন ক্ষোভের বশে লেখা নয়, কারো বিবেককে জাগাবার জন্যও এটি নয়…কারো মতবাদ-ধারণাকে আমূল বদলে দেবার প্রচেষ্টা তো অবশ্যই নয়…এটি গল্পচ্ছলে বলা একটি রূঢ় বাস্তবতা!! ]
মফস্বল শহর। দুপুর গড়িয়ে মাত্র বিকেল হওয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ৮/১০ জনের একদল কিশোর ক্রিকেট খেলার জন্য বের হয়ে পড়েছে। এদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৬ এর মধ্যে। সবার সামনে যাকে দেখা যাচ্ছে বল হাতে, ওর নাম বাবলু।
বিস্তারিত»আমাদের মাফ করে দিও
কাঁদতে খুব লজ্জা লাগে। শেষ দুঃখে কেঁদেছিলাম ৯৮ এর ২৯ ডিসেম্বর। নিজেকে নিয়ে একটা গর্ব ছিলো, আমি ব্যাটা ছেলে। কাঁদবো কেন?
কিন্তু কাঁদতে হলো। ২৬ ফেব্রুয়ারী। মাজহার এর বাসায় গিয়েছিলাম। কেন গিয়েছিলাম জানিনা। কিন্তু না গিয়ে পারিনি।
বিস্তারিত»মেঃ জেঃ শাকিল আহমেদের সাক্ষাৎকার নাকি দেখিয়েছে চ্যানেল আই তে ২০ তারিখ?
আমার বোনের সাথে কথা হলো অনেকক্ষণ। আমাকে বললো গত ২০ তারিখ নাকি চ্যানেল আই এ মেঃজেঃ শাকিল আহমেদের (বিডিআর এর ডিরেক্টর জেনারেল) সাথে সাক্ষাৎকার দেখিয়েছিল যেটা এখন আবার পুনঃপ্রচার করেছে আজকে, যেখানে নাকি উনি বলেছেন বিডিআরের উন্নতি চাইলে সৈনিকদের ভাল করতে হবে……রেশন বাড়িয়ে দিতে হবে……। এবং মজার ব্যাপার হলো, জওয়ানদের মেনে নিতে হবে এরকম অনেকগুলো দাবীর স্বপক্ষেই নাকি উনি মিডিয়াতে ঐ সাক্ষাৎকারে বলেছেন……
আজকাল গুজবের সময়……কোন কথা সহজে মেনে নেয়া যায় না……কিন্তু আমার বোন বলেছে সে নিজে দেখেছে আজকে চ্যানেল আইতে……আর আমার বোন আর্মির ক্যাপ্টেন……
বিস্তারিত»ও ক্যাপ্টেন! মাই ক্যাপ্টেন!
(লেখাটি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের মামুন রশীদ ভাইয়ের। আজকের সমকাল ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ক্যাডেট কলেজের যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা।)
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ছেড়েছি প্রায় তিন দশক আগে। আমার অনেক সিনিয়র, সহপাঠী ও জুনিয়র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন কিংবা এখনো করছেন। বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী সরাসরি অংশ নিয়েছে এবং কয়েকজনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশের সবুজ প্রান্তর।
বিস্তারিত»সুরা বাকারা- আয়াত (১৫৩-১৫৭)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হে বিশ্বাসিগন! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আল্লাহ তো ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। আর যারা আল্লাহর পথে মারা যায় তাদের মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত; কিন্তু তা তোমরা বুঝতে পার না।
নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে (কাউকে) ভয় ও ক্ষুধা দিয়ে, আর (কাউকে) ধনেপ্রাণে বা ফলফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করব। আর যারা ধৈর্য ধরে তাদেরকে তুমি সুখবর দাও।
বিস্তারিত»আমিও প্রস্তুত…
একজন অসৎ, অপদার্থ, অশিক্ষিত এবং অপ্রোয়জনীয় সেনা অফিসারের জীবনধারার কিছুটা অংশ তুলে ধরতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে…
১। ২৪ ঘন্টা অন জব।
২। নিজস্ব সময় বলে কিছু না থাকা।
৩। নিজ এবং নিজের পরিবারের সকল সমস্যা পাশে ঠেলে রেখে দেশ এবং দেশের মানুষের দুর্দিনে নিজেকে সঁপে দেয়া।
৪। টাকার অভাবে বৃদ্ধ বাবা-মা’কে তাদের জীবনের অন্তিম লগ্নেও কোন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে না পারা।
when u point a gun towards my head, i can forgive, but cannot trust you anymore.
[সামু তে লেখতে ইচ্ছে করেনা , এটা কিছু স্বঘোষিত পাতি বুদ্ধিজীবির ( যারা নিজেদের মধ্যে গালাগালিতেই বেশি ব্যস্ত), একদল গরু আর ছাগলের খোয়াড়।]
বিডিআর তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের যে নমুনা দেখালো তাতে কিছু প্রশ্ন জাগে :
১) দেশে শীর্ষ দূর্নীতিবাজরা কি আর্মি ? নাকি বড় বড় সভা সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়া রাজনীতিবিদ, আমলা যাদেরকে ৩৭ বছর পর কারাগারে নিলেও হাসিমুখে বেরিয়া আসে ?
বিস্তারিত»ওয়েক আপ, ক্যাডেটস
জানিনা কি লিখব ? চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে বারেবারে । এতগুলো তাজা প্রাণ এভাবে ঝরে যাবে, আর তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা(পড়ুন দালালা) আবার এই নৃশংসতাকে হালাল করার জন্য থিওরী দিবেন ! আর কত সহ্য করি ? আমাদের নিজেদের গায়ে ফোস্কা না লাগা পর্যন্ত কি আমরা কোনদিনই দুঃখীর দুঃখ বুঝবো না ? এতগুলো মানুষকে নির্বিচারে মারা হল তার কোন বিচার নাই, উল্টা শ্রেনীসংগ্রামের কথা বলছেন ! মানবিকতা কোথায় ?
বিস্তারিত»বিডিআর এর নিজস্ব অফিসার এর প্রয়োজনীয়তা
বিডিআর এর দাবির যৌক্তাকতা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এদের অধিকাংশই কেবল দাবীগুলো তাত্বীকভাবে বিচার করছেন। অথচ এগুলো আসলেই কতটুকু সঙ্গত কেউ কি তলিয়ে দেখেছেন? বিডিআর এর প্রথম দাবী তাদের নিজস্ব অফিসার। আপনারা যারা অফিসার / কর্মকর্তা বলতে কেবল প্রশাসনিক কর্তৃত্বকারী বোঝেন তাদের উদ্দেশ্য বলছি সামরিক শিক্ষা অনুযায়ী অফিসারদের মূল প্রয়োজনীয়তা যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে। এই কারনে পদাতিক বাহিনীতে অফিসার –
বিস্তারিত»আর কতো সূর্যসন্তানদের হারাবো আমরা?
শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধ চলছে, তামিল গেরিলা ও সরকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের খবর দৈনিক কাগজ ও টিভি মিডিয়াতে আসছে। তামিল গেরিলারা যারা স্বাধীন স্বায়ত্ব শাসনের জন্য প্রাণ দিচ্ছে তাদের ও হয়তো মৃত্যকালে একটা পরিতৃপ্তি থাকে, যে তারা একটা আদর্শের জন্য প্রাণ দিচ্ছে। আর যে শ্রীলংকান সেনাটির বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে বুলেটে তারও আত্মার পরিতৃপ্তি থাকে যে দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য সে নিজের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে এগিয়ে এসেছে।
বিস্তারিত»আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো
“সিসিবি-র সবার প্রতি…সকল এক্স ক্যাডেটদের কাছে আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে।
প্রশ্ন-১
সানাউল্লাহ ভাই, কিংবা অন্য যে কোন ভাইয়েরা…
আমাদের মাঝে থেকে…(আমরা যারা ডিফেন্স-এ আছি)…আমরা যদি সবাই এখন চাকুরী ছেড়ে চলে আসি…, যদি আর মাথা নীচু করে…বুকের সাহসটুকু মুছে ফেলে চাকুরী করতে রাজী না থাকি…জাতির কাছে নিজেদের সত্যিকারের অবস্থান দেখে (আমরা সব চোর…বাটপার…অশিক্ষিত/অল্পশিক্ষিত…অ-দেশপ্রেমিক…অহংকারী…অসৌজন্যমূলক আচরণকারী…সুবিধাভোগী…তালিকার বাকীসব মনে নেই) এই বা** চাকুরীকে লাত্থি মেরে চলে আসি……