প্রায় প্রথম থেকেই এই ব্লগের সাথে আছি আমি। প্রথম দিকে ছোট ছোট ভাই বোন গুলা কাজ করে যায় আর আমি পাশে থেকে ওদের কাজগুলা দেখে যাই। আর নিজে টুকটাক কাজ জানি বলে দাবি করে তাদেরকে সাহায্য করব বলে আশা দিয়ে যাই। কিন্তু কোনদিন কোন সাহায্য করিনি। আমার থেকে অনেক ছোট পিচ্চি গুলা যখন এটাকে একেবারে দাঁড় করিয়ে ফেলল তখন আমি ওদের বলি ,” সাব্বাশ পোলাপান , আমার পক্ষ থেকে কোক খেয়ে নিও “। আমিই তখন এই ব্লগের সবচেয়ে সিনিয়র ছিলাম। একজন মাত্র এমজিসিসির ক্যাডেট ছিল। আমাদের সবার আদরের ছোটবোন সামিয়া। একটা ধারাবাহিক উপন্যাস অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ লেখার সময় একটা মেয়ের নাম লাগবে হাতের কাছে থাকা এই পিচ্চি আপুটার নাম ব্যবহার করে ফেললাম। আমার পরে আমার ছোট ভাই এসে সেই গল্পে আবার তাকে কান ধরে উঠবস ও করিয়ে ফেলল। খুব মজা পেয়েছিল ও, আমরা সবাই। হেসেখেলেই দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছিল। মানুষ কম ছিলাম সবাই সবার লেখা , কমেন্ট একেবারে মুখস্ত রাখতে পারতাম। এমজিসিসির একমাত্র মেয়ে হিসেবে অসম্ভব মিশুক মেয়েটি কখনো বিন্দুমাত্র অস্বস্তি বোধ করেনি।
আমি ওকে কখনো দেখিনি। গতবার দেশে যাবার পর আমাদের সিসিবির একটা সমাবেশ হয়েছিল। ওর নাকি খুব আসার ইচ্ছা ছিল কিন্তু এতগুলো ছেলের মধ্যে ও একা হয়ে আসতে পারেনি। আমাকে বলেছিল ওর সাথে দেখা করতে বুয়েটে গেলে। গতবার আমার বুয়েটে যাওয়া হয়নি ছোট্ট বোনটাকেও তাই দেখা হয়নি। পরে আরেকটা সমাবেশে ও বলছিল কেন যে ভাইয়া এইসব সমাবেশ হয় আমার খুব যেতে ইচ্ছা করে। আমি বললাম এখন তো অনেক বড় বড় ভাইয়ারা আসে, ওদের বল ভাবীদের নিয়ে আসতে তাহলে তুমিও গিয়ে আড্ডা মারতে পারবে।
হঠাৎ করে একবার আমি বিশাল ডুব মারলাম সিসিবি থেকে। অনেকদিন আসিনি , লেখা পড়িনি, কমেন্ট করিনি। তখন সিসিবির রমরমা অবস্থা হয়ে গেছে। অনেক অনেক মানুষ। আমি ভাবিও নি আমার ছোট ভাই বোন গুলা আমাকে ঠিকই মনে রেখেছে। একদিন হঠাৎ করে ইয়াহু খুলে মেইল পেলাম একটা। সামিয়াপু লিখেছিল ,” ভাইয়া আপনি কিভাবে এতদিন না লিখে আমাদের ভুলে গিয়ে থাকতে পারলেন। আমি কিচ্ছু বুঝিনা আজই আপনি একটা লেখা দিবেন” । অসম্ভব ভালো লাগায় মন ভরে গিয়েছিল। সেই ভাল লাগাটা দেওয়ার জন্য তাকে আমি কখনো ধন্যবাদ দিতে পারিনি তবে সাথে সাথেই সিসিবিতে লগইন করেছিলাম।
আজ সেই কথাটাই আমি সামিয়াকে বলতে চাচ্ছি।
তোমার জন্য অপেক্ষা করছি আপু আমরা সবাই। খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে এখানে চাই আগের মত হাসিখুশি আমাদের সবার প্রিয় সামিয়া হয়ে।
অপেক্ষা করছি আপু……
আমিও
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমরা সবাই তোমার জন্যে অপেক্ষা করছি ,আপু তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো...
ভাইয়া তুমি তো দেখি এই ব্লগের শচীন টেন্ডুলকার হয়ে গেছো....সর্বোচ্চ ব্লগের মালিক....
এত ব্লগ লেখলা কবে??সেঞ্চুরী করতে তো আর বেশি দেরী নাই........
তোমার সেঞ্চুরীর অপেক্ষায় থাকলাম ......
:thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
অপেক্ষা করছি.............
ও আসবে আমাদের মাঝে, আগের মত হাসিখুশি হয়েই।
মেয়েটা অনেক শক্ত আছে।
স্যাম ঝ্যাঙ ......
চলে এস সামিয়া। তুমি আসলে আমার সিরিজটাও শেষ করে দিব।
সামিয়া, মনটা একটু শক্ত হলে চলে এস....আমরা আছি
আমি আসলে জানিনা কি বলতে হয়, কিভাবে বলতে হয়...
শুধু তীব্রভাবে দোয়া করি তুমি ও তোমার পরিবার ভালো থাকো...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
হই হই রই রই সামিয়াপ্পু গেল কই???আপু তাড়াতাড়ি আসো...
সহমত
সহমত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হই হই রই রই সামিয়াপ্পু গেল কই???আপু তাড়াতাড়ি আসন…
কী বলব বুঝিনা।
আমি আইসক্রীম নিয়ে বসে আছি। গলে যাচ্ছে! তাড়াতাড়ি আসো আপু।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এমন অবস্থায় সান্তনা দেবার চেষ্টা করাটা নিরর্থক। এটা এমন সময় সবকিছু খুব নিরর্থক মনে হয়।
কী আড় বলবো। হঠাৎ কটে এই ব্লগ এমন গুমোট আড় বিষণ্ণ হয়ে গেছে আমারই আসতে ভালো লাগে না। তারপরেও আসি সবাইকে একবার দেখে যেতে।
সামিয়াপু , তুমি আমার মেসেজ পড়তে পারবে যখন তখন শুধু এটুকু মনে রেখো এই কষ্ট সারা জীবনের। তাই ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। আর সামিয়ার বন্ধু যারা আছ তাদের বলি তোমরা ওকে একটু বেশি সময় দিও। এমন সময় একা একা থাকলে বিষণ্ণতা আরো বাড়বে। আর সবকিছু কখনো স্বাভাবিক না হলেও মানিয়ে নিতে হবে বাস্তবের সাথে।
আবারো বলি সামিয়াপুর জন্য শুভকামনা।