(আজ আমি সেই সব হতাশাবাদীদের দলে
যারা রোজ রাত্রে স্ত্রীর স্তন আঁকড়ে ধরে ঘুমায়)
দুপুরের তপ্ত রোদে আমি ফুটপাতের ষড়-কোনাকৃতি খর ইট গুনে চলি,
এক……… দুই……… তিন……………
ঠিক কতগুলো মরদেহ এক গর্তে ফেলে একটি গন-কবর তৈরী হয়?
এক…, দশ….,একশ…?
সাড়ে-আট ফিট একটি গর্তে কি করে শুয়ে থাকে এতগুলো মানুষ?
আমার মাথা এলোমেলো হয়ে যায়……
ঝাকিয়ে, মাথার সমস্ত জট গুলোর সূত্র মিলাতে
আমি আবার “হোমসীয়” প্রয়াসে মেতে উঠি।
মেরুদন্ড বাকিয়ে নীচ থেকে কামড়ে ছিড়ে ফেলি নিজের লিঙ্গ,
“সিপ” করে একটানে টেনে বের করি মাথার হলুদ মগজ,
বুকের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে টেনে আনি হৃদপিন্ডটাকে,
পেট্রল-কেরোসিনে নিজের হাড়ে আগুন জ্বালিয়ে
কড়াইয়ে সিদ্ধ করতে বসি নিজেরই তাল তাল মাংস।
এরপর সবগুলো ছিটিয়ে দেই সামনে তাকিয়ে থাকা
হলুদ চোখের শ্বাপদ আর শকুনীর দিকে
“নে শালা, কুত্তা আর কুত্তার বাচ্চারা, খা, খা,
দেখি কত খেতে পারিস তোরা………।“
উফফ, আমার মাথা আবার এলোমেলো হয়ে যায়………………।
কটা বাজে এখন?!
স্পষ্ট অনুভব করি, দেয়ালের ঘূণে ধরা ডিসটেমপারের নীচে টিকটিকির হেটে চলা,
মেঝেতে তেলাপোকার অবাধ শীৎকার,
সন্তানের কোমল হাত সরীসৃপের মত শীতল হয়ে পেচিয়ে ধরে আমার গলা।
জিরো ওয়াটের মায়াবী আলোয়
বড় ফ্যাকাশে লাগে প্রিয়তমার মায়াবী মুখ,
রক্তের স্বাদে মত্ত কাউন্টেস।
আইনেস্টাইনীয় তত্ত্বে,
কত দীর্ঘ হতে পারে এক-একটি মূহুর্ত?
রাতের তৃতীয় প্রহরে,
আমি, পরিচিত মুখ নয়
গনকবর গুনতে বসি…………।
এক………, দুই…………, তিন…………
ভাইয়া কেন কাঁদাচ্ছেন এভাবে। আর কাঁদতে ভাল লাগেনা। বিশ্বাস করেন প্রতিদিন আগে যেখানে নতুন পোষ্টের আশায় থাকতাম এখন নতুন একটা লেখা দেখলে আমি আঁতকে উঠি, কাঁদতে হবে এজন্য।
অক্ষম আক্রোশ ছাড়া আর কিইবা দেখাতে পারি আমরা !!
"এখনও আমার হাত পা কাঁপছে-
কব্জিতে জড়ানো টিকটিক এর সাথে শুনতে পাই
বুকের ভেতরে অসহিষ্ণু হৃৎপিন্ডটির ধড়ফড়ানি।
মাঝে মাঝে ঝাকুনী দিয়ে নড়েচড়ে উঠি।
নাহ। এখনও পরিপূর্ণ বৃক্ষ হতে পারিনি।
আমি ইদানিং ঘুমাতে পারি না।
একদমই না।
এখানে ওখানে কুড়িয়ে পাওয়া
কিংবা ভেসে যাওয়া
সনাক্ত অযোগ্য মরদেহের ছবিগুলো
নারীদের আকুতি -মিনতি - চিৎকার
শিশুদের কান্না - আতংক
আমার বন্ধ কামরার চারদেয়ালে বারংবার বাধা পেয়ে
একেকটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে
আমার কাছেই ফিরে আসছে।
উফ্ফ! আমার মস্তিষ্কের নিউরোনে নিউরোনে ভীষন ঝড়।
শরীরের লক্ষ কোটি লোহিত কণিকার মাঝে এখন দারুন গন্ডগোল।
আহ !
বানোয়াট অভিযোগের অন্তরালে ষড়যন্ত্রকারীর বেপরোয়া উল্লাসের
সেই তে...ত্রি...শ ঘণ্টাব্যাপী
কিংকর্তব্যবিমূঢ় থাকার শাস্তির মেয়াদ মেনে নিয়ে
আমি আজো বেঁচে আছি - প্রহর গুনছি - প্রস্তুত আছি।।"
সৈয়দ সাফী
..............................................................................
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
কবিতাটা একেবারে অন্তরে আঘাত করলো...
ফয়েজ ভাই ... খেরোখাতা ছাড়েন বস ... এই মুহুর্তে আপনার খেরোখাতা চাই ... নিজে হাসিমুখে থেকে দোষী সবাইকে শাস্তি দেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে ... কষ্ট পেয়ে কাতর হয়ে আর দূর্বল হতে চাই না।
(কাইউম আপনার সাথে দেখা করে আসছে ... ওরে কি খাওয়াইছেন বস ?? যেই হারে আপনার প্রশংসা করল আজকে ... খালি প্যাটে অতো প্রশংসা বাইর হওয়ার কথা না)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বুফে খাওয়াইতে চাইছিলাম, ওর বলে টাইম নাইক্যা, পরে একখান স্যান্ডউইচ খাইয়া ভাগছে।
হ্যাভী ত্যাল মারছে নাকি? ;;)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কাইয়ূম ভাই এখন কথায় কথায় যেম্নে 'ফয়েজ ভাই ফয়েজ ভাই' করতেছেন... 😛
আমার তো মনে হয় আপনি ওনারে হয় খুব খাওয়াইছেন...অথবা হেব্বি পাঙ্গাইছেন... 😉
যেটাই হোক, হেব্বি কাজে দিছে... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আজকে জুনারে ছাইড়া দেয়াটা মোটেও ভালো কাম হয়নাই।
সিরিন্জ দিয়া ওয়াটার বাইর করা দরকার আছিলো।
ফয়েজ ভাই, আপনার যে পরিমাণ গুণগান গাইছি সেইটা দেখলে এর পর থেইকা চিটাগাং আইলে আমারে কন্টিনিউয়াস বুফের উপ্রে রাখতেন 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফয়েজ ভাই...কাইয়ুম ভাই আপনার নামে যা কইসে... 😮
নাহ,আমি এত্ত খ্রাপ..আমার মুখ দিয়াও এইগুলা বাইর হইব না... :no:
আপনে যদি শুনেন তাইরে এরপর থেকে চিটাগাং গেলে উনারে বুফে পাংগার উপর রাখবেন.. :grr: :grr: :grr:
আবেগগুলা একটু সেট-এ্যাসাইড করি? একটু প্র্যাক্টিকাল হই?? আর প্র্যাক্টিকাল লাইফে টিয়ার্স-এর জায়গা দেয়াটা আমার মনে হয় বোকামি। তাইলে দাঁড়ানো যায়না। আমরা দাঁড়াতে চাই। এগিয়ে যেতে চাই।।
চেষ্টা তো করছি, ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ,
ব্লগে সামিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি খুব ভাবে, ও আসলে অনেক ভাল লাগবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ওরে দেখে অবাক হয়ে যাই। ভেতরে ঝড় বয়ে যাচ্ছে অথচ বাইরের কাউকে সেটা বুঝতে দিবেনা।
কালকে জিগ্গেস করল, সিসিবির কি অবস্থা? অাগামী বেশকিছুদিন নেটে অাসতে পারবেনা। নতুন বাসায় উঠে তারপর।
ফয়েজ ভাই, টাইম পেলে একটু ফোন দিয়েন। কোন কারণ নেই। এমনেই।
ফোন তো দিচ্ছি, ধর না ক্যান?
ক্লাস কর, নাকি ঘুমাও?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আজ আমি সেই সব হতাশাবাদীদের দলে
যারা রোজ রাত্রে নিজের ...... 😉
নিঃসঙ্গ একা তুমি..
ক্লান্ত জীর্ণ তুমি..
অন্ধ দেয়াল জুড়ে..
দুঃসপ্ন আঁছড়ে পড়ে.....
-শিরোনামহীন
সব আলো নিভিয়ে দাও...ঘুমাবো আমি আলোর শেষে....
-অর্থহীন
..........................
বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা ভাইয়া।
আল্লাহ যাতে আমাদের আরো শক্ত হতে সাহায্য করেন এই প্রার্থনা করি।
অসাধারণ। দূর্দান্ত!