বিক্ষিপ্ত ভাবনা – ২

০. আজ হয়তো হাসপাতালে আমার শেষ রাত। গত সাতদিন ধরে ৪ নম্বর রুমের বিছানাটার সাথে আমার যে বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরী হয়েছে সে সম্পর্কে আজ মনে হয় ফাঁটল ধরলো। আজ বিছানায় শুয়ে বা গড়াগড়ি করে মোটেও শান্তি পাচ্ছি না। এই অতি কৃত্রিম বিলাসী জড় বস্তুটি বোধ করি বুঝতে পেরেছে যে কাল থেকে তাকে অত্যাচার করার আর কেউ থাকছে না। মাত্র সাতদিন হাসপাতালে থেকেই আমার যে অবস্থা হয়েছে,

বিস্তারিত»

10th Down মারকুটে ব্যাটসম্যান

বাংগালি জাতি ক্রিকেট পাগল জাতি।আমি বাংগালি, জাতেও পাগল; কিন্তু ক্রিকেট পাগল না। কোনো খেলাধুলাই আমি পারিনা, ক্রিকেট তো আরো না।হাল ছেড়ে দেবার লোক আমি না। সূতরাং ক্রিকেটার হিসাবে প্রতিষ্ঠা সাময়িকভাবে আমার জীবনের লক্ষ্যে পরিণত হলো।

আমি তখন ৯ম শ্রেণীতে পরি; মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে। সামনে আন্ত: হাউজ ক্রিকেট কম্পিটিশন।জুনিয়র গ্রুপে আমরাই সবচে সিনিয়র।সূতরাং দলে আমাদের সংখ্যাই বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু দলীয়করন এবং স্বজনপ্রীতি এমন একটা ব্যপার যা সর্বত্র বিদ্যমান।

বিস্তারিত»

কোথায় যাচ্ছে ডিজুস জেনারেশান ???

ব্লগে এমন ম্যাচিওরড কন্টেন্ট দেয়ার জন্য দু:খিত । কিন্তু আমি চাই এই পশুগুলোর পরিচয় প্রকাশ হোক এবং এদের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হোক। ব্লগের অনেকেই সনামধন্য সাংবাদিক অথবা আইনজীবি অথবা মানবাধিকারকর্মী । আপনাদের মতামত জানতে পারলে খুশি হব।

কাল আমার পরীক্ষা আছে । তাই ব্লগে ঢোকার কোন ইচ্ছা ছিল না । তবু অভ্যাস বসে ঢুকে এমন অভিজ্ঞতা হলো যে রাগে ঘৃনায় আমি কিছুতেই পড়ায় মন বসাতে পারছি না।

বিস্তারিত»

ভ্যাকেশন শুরু ও একটি কবিতা

ভ্যাকেশন শুরু হল কাল!ঈদের ছুটি!কিন্তু মাত্র ১৩ দিনের ছুটি!তারপরই কলেজ আর ২ দিন পরই টেস্ট!কী যে ব্যস্ততা!আর বাসায় আসতেই আম্মার চিল্লাচিল্লি “পড়তে বস!
কলেজে থাকতে শুধু প্লান করি,ভ্যাকেশনে গিয়ে এই করবো,ওই করবো!বাসায় আসতেই সব হাওয়া!শেষে একবার সব পরিকল্পনা ডায়েরীতে লিখে রাখতাম…কিন্তু বাসায় এসে সেদিকে আর মন থাকে না!তবুও স্বপ্ন দেখি…কলেজের বিরক্তিকর দিনগুলোতে অপেক্ষায় থাকি ছুটির!
আর বাসায় আসলে,প্রথম দু একদিন খুব উত্তেজিত থাকি…তারপর আবার কলেজের ফ্রেন্ডদের মিস করতে শুরু করি!তবুও ভ্যাকেশন ভাল!আর মাত্র একটা ভ্যাকেশন বাকি আছে ক্যাডেট লাইফে!

বিস্তারিত»

খেলাধূলা আর ব্লগর ব্লগর

খুব লিখতে ইচ্ছা করে, কিন্তু দেশে আসার পর সুযোগ আর সময়াভাবে লিখতে পারছি না। তাও ফয়েজীয় ফাঁকিবাজী অনুসরণ করে একটা ব্লগর ব্লগর লিখে ফেললাম।

ইদানীং কালের ফুটবল খবর হলো থিয়েরী অঁরির হ্যান্ডবল। দুনিয়াজুড়ে সবাই থিয়েরী অঁরিকে প্রতারক ডাকছে। মূল ঘটনা সবাই জানে তাও বলি, ফ্রান্স আর আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপ প্লে অফ খেলা যখন টাইব্রেকারে গড়াচ্ছিলো তখন ফ্রান্সের এক আক্রমণে থিয়েরী অঁরি হাত দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ফাইনাল পাস দেয় গালাসকে এবং তা থেকেই গালাসের গোল এবং ফ্রান্স ঐ গোলের সুবাদেই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

বিস্তারিত»

আমার প্রেমিকারা-২

ইদানিং রাস্তাঘাটে বের হতে ভয় হয়। পুরোনো প্রেমিকাদের সাথে দেখা হয়ে যাবার ভয়।কিন্তু তাই বলে তো আর ঘরে বসে থাকতে পারিনা।তাই মাঝে মাঝে হাওয়া খেতে বের হই।কয়েকদিন আগে এইরকম হাওয়াপ্রবল দিনে মনটারে সবল করতে গিয়েছিলাম বসুন্ধরা সিটি। প্রবেশ করা মাত্রই দেখা আমার এক পুরোনো প্রেমিকার সাথে।কোলে তার আবার এক বাচ্চা ছেলে। পুরানো কাসুন্দি ঘাটাঘাটির মধ্যে আজকাল আমি একবারেই যাইনা,শুধু মিষ্টি করে পুরানো দুষ্টুমির ছলে বললাম কেমন আছ?

বিস্তারিত»

শিভি জিন্মদিন

বহুকাল আগের কথা। তখন সিসিবিতে মানুষজন সমাগম সবে শুরু হয়েছে; ধীরে ধীরে জমাট বাঁধতে শুরু করেছে সিসিবির রণাঙ্গন। বিদেশ-বিভূয়ে একা বসে সিসিবিই তখন আমার একমাত্র সম্বল। নিত্যদিনের কাজ ছিলো ব্লগে বসে নতুন পোষ্ট আসলেই গুতাগুতি করা; সবার মন্তব্য পড়ে সময় কাটানো। আর মাঝে সাঝে বিশাল দুঃসাহস দেখিয়ে একটা মন্তব্য টাইপ করে তারপর খুব গাম্ভীর্যের সাথে ব্যাকস্পেস চেপে মুছে ফেলা। তখনো কি রেজিস্ট্রেশন করেছি কি না মনে নেই।

বিস্তারিত»

এইবার মিস নাই,৩০০০ তম পোস্ট আমারই!

বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান,এইবার তোমার আমি বধিব পরাণ!

এইবার মিস নাই,৩০০০তম পোস্ট আপনেদের এই মাস্ফ্যুই দিল…আপাতত পোস্ট দিয়া ইটা ফালায় রাখি,পরে আইসা এডিট কইরা মসলাপাত্তি দিমুনে।

হ্যাপি ব্লগিং!

বিস্তারিত»

৩০০০তম পোস্টও এই মাস্ফ্যুর! (হইলেও হইতে পারে)

পোষ্টের নাম দেইখা ভয় পাবার কিছু নাই। ৩০০০তম পোষ্ট টা দেওয়ার জন্য সবাই চুপ চাপ খামি মাইরা বইসা রইছে। সুযোগ পাইলেই ছাইড়া দিবে, কিন্তু আমি তা হইতে দিতে পারি না। আমি সবাইরে জানাই দেওয়ার জন্যই এই পোষ্ট টা দিলাম। এখন দেখি যুদ্ধে কে ফার্স্ট হয়।
বেশি দিন আগের কথা না, আমাদের জামাই ম্যাশ ২০০০ তম পোষ্ট দিতে গিয়া বিরাট ধরা খাইছিল। পরে লাবলু ভাইয়ের হস্তখেপে বেচারা ম্যাশের ইজ্জত রক্ষা হইছে।

বিস্তারিত»

সিসিবির জন্মভূমি-আই ইউ টি এবং জংগিবাদ বিষয়ে সামান্য আলোচনা

(১)
বাইরের ছাত্রদের কথা জানিনা তবে ক্যাডেটদের কাছে আই ইউ টি বেশ জনপ্রীয় । এমনকি অনেক ক্যাডেটেরই প্রথম ইচ্ছা থাকে আই ইউ টি তে পড়ার । আমরা এটাকে দ্বিতীয় ক্যাডেট কলেজ মনে করি । কারণ এখানকার পরিবেশের সাথে
ক্যাডেট কলেজের অনেক মিল । পাশাপাশি ব্যক্তি স্বাধীনতায় কারো হস্তক্ষেপ না থাকায় কখনো একঘেয়েমীতা গ্রাস করার সুযোগ পায় না । এ কারণে একজন আই ইউ টিয়ান হিসেবে গর্বই করি ।

বিস্তারিত»

আকাশ বাড়ানোর গল্প

ক ভাই ফোন করেই দিলেন ঝাড়ি-“এই ব্যাটা তোর কলেজের ক্যাডেট আর তোর কোন খোঁজ নেই কেন? শোন,ফ ভাই কিছু টাকা পাঠিয়েছেন, আমার কাছে জমা আছে-নিয়ে যাস।”

ঝকক এর জাকিরের মা অসুস্থ্য হয়ে পড়ার পর আউয়াল “আকাশ বাড়িয়ে দাও” নামের এক লেখার মাধ্যমে উদাত্ত আহবান জানিয়েছে আমাদের সবাইকে যার যার সাধ্যমত সহায়তা করতে।ক্ষুদ্র,তুচ্ছাতিতুচ্ছ আমার পক্ষে খুব বেশি কিছু করা তো সম্ভব না তাই যেটুকু পারি সেটুকু নিয়েই অগ্রসর হচ্ছিলাম।এর মধ্যে ক ভাইয়ের ফোন।ক ভাইয়ের কথামত সন্ধ্যাবেলা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে ফ ভাইয়ের দেয়া টাকা সংগ্রহ করতেই তিনি বললেন-এই ব্যাটা এই নম্বরটা নে,এটা র ভাইয়ের নম্বর।উনি খুব ব্যস্ত,শিগগিরি ছুটিতে চলে যাবেন।আমাকে বলেছেন তোকে নম্বর দিয়ে উনার সাথে যোগাযোগ করতে বলতে।”

বিস্তারিত»

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় সামনে রেখে কিছু কথা…….

“শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন”

সকালে ঘুম থেকে উঠেই নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা শব্দটি কি করে আমাদের হলো’ কবিতার অসাধারণ লাইনটা মাথায় কড়া নেড়ে যাচ্ছে ক্রমাগত………

কী বিপুল, কী বিশাল একজন ব্যক্তিত্ত্ব…….এমন একজন মানুষকে হত্যা করা যায় এমনই নিষ্ঠুরভাবে…….

আবার ভাবি শহীদ তাজউদ্দীনের সেই উক্তি, “(বাকশাল করে) আপনি নিজেকে সরানোর জন্য এক বুলেট ছাড়া আর কোন পথ রাখলেন না।”……কেন এত বৈপরিত্য দেখা দিল মাত্র সাড়ে তিন বছরেই???

বিস্তারিত»

শ্যুটিং

[সে অনেক অনেক আগের কথা…আরবের কোরাইশরা তখন খেজুর খেতো….সম্ভবত সেই আমলে শেষ ব্লগটা লিখেছিলাম…তাই লিখতে গিয়ে কোথা থেকে যেন একরাশ অস্বস্তি এসে ভর করছে….যাই হোক….]

ছেলেটা আমার ধরানো সিগারেটের দিকে ‍অনেক্ষণ হা করে তাকিয়ে তারপর বলল- তুমিও বাংলা ফাইভ? বাহ পার্টনার পাওয়া গেলো একজন। ঢাকা বিশাববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদে আমি তখন খুব পাটে থাকি। সিনয়রদের সামনে সিগ্রেট খাই। সংসদের পক্ষে ফার্স্ট ইযারদের রুমে আসার দাওয়াত দেই।

বিস্তারিত»

স্বপ্নে দেখা…………

নাম দেখে পড়তে শুরু করলে ভুল করবেন। কোনো উপন্যাস বা প্রবন্ধ না শুধুমাত্র ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়ান্স লিখছি। বিস্বাস করা না করা পাঠকের নিজস্ব সম্পত্তি। কাল রাতে স্বপ্নে দেখলাম আমি কোন এক অচেনা গাড়িতে ভুল করে উঠে বসেছি। বাসের ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। এমনকি বাসের বাইরেও। আমি বুঝতে চেষ্টা করছি বাস কোথায় যাচ্ছে।কিন্তু বুঝতে পারছিনা। বার বার মনে হচ্ছে কোনো অজানা গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমি ভয়ে কাপছিঁ।

বিস্তারিত»