এক চক্কর

আমার কিছুটা…

ঈদের আগে এই এক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, এই কথা সেই কথা হওয়ার পর অনেকে জানতে চায় কি কেনাকাটা করলাম। অন্যসময় কথার ফুলঝুড়ি ছুটলেও এখানে এসে চুপসে যাই। কেনাকাটায় আগ্রহ কোনকালেই ছিল না। বাধ্য হয়ে মাঝেমাঝে এই কঠিন রস-কসবিহীন কাজটা করতে হয়। এই যেমন রোযার মাস শুরুর আগে আগে বাবা-মায়ের বদৌলতে প্রাপ্ত দেহখানার লজ্জা নিবারণের জন্য একজনকে স্টার কাবাবের লোভ দেখিয়ে ঢাকা কলেজের সামনে নিয়ে গেলাম। ওখানে নাকি সুন্দর রুচিশীল পোষাকের ব্যাপক সমাহার ঘটে। কোনটা ছেড়ে কোনটা নিব; এরকম নাকি ব্যাপার স্যাপার। এই আকালের বাজারে দামটার নাকি কোন পাত্তাই নাই দোকানিদের কাছে!! যেইটাই নিবেন আল্লাহর মাল, একদাম কমদাম। দোকানদারও খুশি, আমিও খুশি। মনে মনে ঠিক করলাম, বাপ-মা শো রুম থেকে বেশী দাম দিয়ে এই মাল-ই ত কিনে যায়;বাসায় গিয়ে ভাব নেওয়া যাবে। মায়ের সামনে প্যান্টটা পড়ে ক্যাট ওয়াক করব। একবার দুইবার হাঁটার পর নিশ্চয় জিজ্ঞেস করবেন, “কিরে এত সুন্দর প্যান্ট তুই কিনসিস!”। চোখে মুখে বিজয়ীর ভাব নিয়ে বলব, “এই আর কি। কিনলাম আর কি। কত দাম বল-ত?” মা হয়ত চার অংকের কোন সংখ্যা বলবে। আমি একটা হাসি দিয়ে বলব, “আরে এত দাম দিয়ে প্যান্ট কিনব আমি?!!”

সবকিছু ঠিকই ছিল; জিন্স কিনলাম দুইটা অনেক দেখেশুনে। ট্রায়াল দিলাম, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে জন – ঋত্তিককে খুঁজলাম ঘুরে ফিরে সিনা টাইট করে। নাহ ভালই-ত লাগছে, মুখ চিরে হাসি। মাঝখানে অবশ্য সাথের জন বারবার বলছিল শো রুম থেকে কিনতে। আমার কথা, “আরে নিজের টাকা দিয়ে কিনতেছি যত বাঁচাতে পারুম তত লাভ, প্রাকৃতিক বাতাসই সয়। বাপের টাকা দিয়ে কিনলে না হয় এসির বাতাসে প্যান্ট কিনমু।” আসলেই দুনিয়াতে ইনসাফ
নামের কেউ একজন আছেন। তার এই কথা একদম ভাল লাগে নাই, তা না হলে এমন হবে কেন? আমি-ত খালি দুইখান প্যান্ট কিনছি কিন্তু দোকানদার দেখি দিল দরিয়া, তিনি সাথে দুইখান এসিও ফ্রি দিছেন। বায়ু চলালচলের পথখানা বাহির থেকে বুঝার কোন উপায় নাই। ইমপোর্টেড শিওর, দেশী হইলে অবশ্যই টের পাইতাম। মনের দুঃখে প্রতিজ্ঞা নিয়েই ফেললাম কেনাকাটা আমাকে দিয়ে আর না। ঐ দায়িত্ব ক্ষেত্রবিশেষে বাপ-মা অথবা ওনার উপর চাপায় দিমুনে। লাভের মধ্যে একটাই লাভ হল স্টার কাবাবের বিলটা অবশ্য আমাকে দিতে হয় নাই।

এই গেল রোযার আগের ঘটনা, এখন ঈদের সময় কি করি? মা হাতে টাকা ধরায় দেন কষ্ট করে দোকানদারকে পৌঁছায় দিতে। কিন্তু আমিও হাত মুখে সয়াবিন-সরিষার ককটেল তেল মাখছি, খালি পিছলায় যাই। এত সহজে যাচ্ছি না। বিভিন্ন তাল বাহানা করতে করতে চাঁদ রাত্রি হাজির। রাতে চিন্তা করি এরপরেরদিন নামাজ পড়ব কিভাবে? ঘুমাতে যাওয়ার আগে আগে মা ঘরে ঢুকেন। আড়ং-এর একটা প্যাকেট দিয়ে যান। প্যাকেটের ভিতর টুপি থেকে শুরু করে সব কিছু। যেই না প্যাকেট খুললাম দেখি লাল টকটকে একখান পাঞ্জাবী, আমার দুই চোখের বিষ।
– এইটা কি কিনছো?! লাল কেন?
– এটা মেরুন কালার; লাল না। তোকে মানাবে…
নাহ… কিছুতেই শান্তি নাই। তবে আমি আর গো করি না। এমনেই বহুত জ্বালাই বাপ-মাকে, থাক খুশির দিনে সবাইরে খুশি করি। তাই একটা হাসি দেই। মাও খোশ আমিও খোশ।

এসব দেখে অনেকে বলেন আমি নাকি সৌখিন না। সৌখিনের সংজ্ঞা নিয়ে অবশ্য আমি সন্দিহান। সৌখিনের সংজ্ঞা যদি ভাল ভাল কাপড় চোপড়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে আমার আশেপাশের মানুষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সৌখিন সম্ভবত আমার বড় মামা। নানার অসুস্থতার কারণে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। কিন্তু শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি আর একাগ্রতার কারণে অনেক উন্নতি করেছেন; করছেন জীবনে। আমার এই মামার ব্রান্ডের জিনিষপত্রের প্রতি দূর্বলতা। এমন না যে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক তিনি। নিতান্ত শখ তার। বিশেষ করে কাপড় চোপড়ের ক্ষেত্রে তাকে মামীও দাবায় রাখতে পারে না। কোন জায়গায় যেতে হলে সময় নিয়ে তৈরী হন। দেখতেও মজা লাগত।

একদিনের ঘটনা মনে পড়ে। ছোট ছিলাম, মামা এরকমই একদিন বাইরে যাবার তোড়জোড় শুরু করেছেন। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছিলাম। তৈরী হওয়ার পর বললেন,
-কিরে… কিসের মত লাগছে আমাকে? বড়লোকের মত নাকি বড়লোকের বাচচার মত?
কথাটা ছোট মনে দাগ কেটেছিল নিশ্চয়। তা না হলে এতদিন পরেও কেন মনে থাকবে? কষ্ট করে যে মানুষ হয়েছেন এটাই মনে হয় নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেন মাঝেমাঝে।

ভরিয়া উঠিবে মন-প্রাণ…

আমার ইদানীং একটা অভ্যাস হয়েছে। কাজ না থাকলে যে কোন একটা নাম দিয়ে গুগলে সার্চ দেই। তারপর ঐ নামের উপরে যা-ই পাই পড়তে থাকি, বাছ-বিচার ছাড়া। আজকেও দিয়েছিলাম টিপু সুলতান নাম দিয়ে সার্চ। হঠাৎ করেই স্টোরি অব পাকিস্তান ডট কম নামক একটা ওয়েব সাইটে চোখ আটকে যায়। স্বভাবতই যেই চিন্তাটা মাথায় আসে তা হল একাত্তর। পড়তে পড়তে বুঝতে পারি তারা আসলেই ‘স্টোরি’ লিখায় ব্যস্ত ছিল, ‘হিস্টোরির’ নাম নিশানা কম পেয়েছি। চার নম্বর পৃষ্ঠায় থমকে যাই, (শেষ প্যারা দ্রষ্টব্য)

…Unfortunately, on March 23, the Republic Day of Pakistan, the Awami League declared “Resistance Day” and Bangladesh flags flew all over the Province. There was a great massacre. East Pakistan had reached a point of no return. To quash the armed rebellion of Awami League militants, the Pakistan Army struck its first blow on March 27, 1971. Yahya Khan chose to use force to bring law and order in the country….

দেখুন কত চতুরতার সাথে লাইনগুলো লেখা হয়েছে। যেন বাঙালিরাই প্রথম মানুষ মারা শুরু করেছে। লাইনগুলো আরও ভয়াবহ ভাবে লিখা ছিল। অনেকটা এরকম যে বঙ্গবন্ধু মুক্তি বাহিনী গঠন করেন মার্চে তারপর বিহারী নিধন শুরু করেন আর তা ঠেকাতেই পাকিস্তানি বাহিনী তাদের রক্ষা করতে প্রতিরোধ করে। পরে অবশ্য তা বদলিয়ে ফেলা হয়। কিভাবে সেটা সম্ভব হল সে প্রসঙ্গে পরে আসি।। নিচের প্যারাটি পড়ুন,(পঞ্চম পৃষ্ঠা প্রথম প্যারা দ্রষ্টব্য)

.

…In the meantime, India exploited Pakistan’s dilemma to the full. It sought to wring full propaganda and strategic value for itself out of the Bengali suffering and misery. India launched an attack on East Pakistan on November 22, 1971…

কিন্তু আমার জানামতে পাকিস্তানিরাই প্রথম আক্রমণ শুরু করে। এরকম আরও আজগুবি তথ্যে ঠাসা ওয়েবসাইটটি।
ইতিহাসের বিকৃতি দেখে শরীরটা রি রি করতে থাকে। ওয়েব সাইটের আশেপাশে জায়গা খুঁজতে থাকি, যদি এক ইঞ্চিও জায়গা খালি পাওয়া যায় ভরিয়ে দিব লিখে। এই সময়েই ফোরামে ঢোকার লিংক পেয়ে যাই। সেখানে দেখি পাকিস্তানিদের ভাষ্যমতে কাল চামড়ার, গরীবের চেয়ে গরীব, চাষা এই বাঙ্গাল দেশের দুই ছ্যামড়া-ছ্যামড়ি পাকি সাহেবদের একের পর এক চপেটাঘাত করেই চলেছে। তাই বলে শুধু ফাঁকা বুলি কিংবা গালাগালি না, যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে কুপোকাত। আর অন্যদিকে পাকিদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় মাঝেমধ্যেই বিরক্ত হবেন। পেরে উঠতে না পেরেই উপরিউক্ত প্রথম প্যারাটি সংশোধন করে তারা। তাও দেখুন সংশোধনের নমুনা। পাকিস্তানিদের যে কি পরিমাণ ভুল ধারণা তা ফোরামটা পড়লেই বুঝতে পারবেন। তবে আমি উৎসাহ দিব না। বলবেন এ কোন দুনিয়ার মানুষ, মজাও কম পাবেন না। পড়তে বসে কমবেশি দুই ঘন্টা লাপাত্তা আমার। তবে কিছু পাকিস্তানি জানে আসলে কি ঘটেছিল, তারা তাদের হতাশাও ব্যক্ত করেছে। আজকে না হয় সংখ্যাটা এক-দুই জনে কিছুদিন পর না হয় সেটা এক-দুই কোটিতে পৌঁছাবে।

বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে খোঁজ করতে গিয়ে হতাশ হলাম। তেমন কোন ওয়েবসাইট পেলাম না এক উইকি ছাড়া। আচ্ছা এই ব্লগ সাইটের কোন একটা কোণ কি ছেড়ে দেওয়া যায় না। যেখানে বিভিন্ন বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে বাংলা- ইংরেজীতে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে আর্কাইভ করা যাবে। যেখানে আমার মত বই বিমুখ মানুষগুলো একটু ইতিহাস শিখবে। বিদেশের মাটিতে বসে কোন বাঙালি ইয়ো বয় হয়ত তার ইয়ো গার্লকে খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস খুলে বসবে। জানতে পারবে শুধুমাত্র বাঙালিদের ভোটের কারণে যে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছিল কতটুকু নির্যাতন আর বাঞ্চনার শিকার হলে রক্ত ঝরিয়ে সেই পাকিস্তানকেই ভেঙ্গে দুই টুকরো করে । শিখতে পারবে শেখ মুজিবর রহমানের মত এত ক্যারিশমাটিক নেতা যার ব্যক্তিত্বের কাছে নৈতিক পরাজয় ঘটেছিল পাকিস্তানিদের; কি এমন ভুল করেছিলেন স্বাধীনতার পর যে তাকে মুক্তিযোদ্ধার হাতেই প্রাণ হারাতে হল। কিংবা জিয়ার দোষ ত্রুটিগুলো, পাকিস্তানিদের নির্মমতার কুকীর্তিগুলো। ভুলগুলো থেকে কিছুটা শিক্ষা পেলেও ক্ষতি কি?

সেই ছ্যামড়া-ছ্যামড়ি কে আমার সাধুবাদ। ছ্যামড়ির বয়স আবার আমাদের মতই। তাই দেখে আশায় বুক বাঁধি। কে বলেছে ভাই আমাদের দিয়ে কিছু হবে না? হবে ভাই, আমাদেরও হবে, আমরাই পারব। শুধু দরকার একটু সময়ের জোয়ার, এক ছটাক সৌভাগ্য আর বাকিটা শুধুই আমরা।

……………………………………………………………………………………………………………………………………
(আবার যখন আমার কিছুটা ভরিয়া উঠিবে মন-প্রাণ দুই চক্কর দিব )

২,৬০২ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “এক চক্কর”

  1. রাহাত ইবনে রফিক (০০-০৬)

    বেয়াদ্দপ পাকি গুলা এইগুলা কি লিখছে সাইটটাতে... x-( x-( x-( আমার তো মাথা হট হইয়া যাইতেছে!!! রোজা শেষ তাই গালিও দিলাম কয়েকটা...হারামখোরের দল।
    "There lived in East Pakistan about 15 million Hindus who, with the help of their fellow West Bengali Indians from across the border, were able to exploit East-West differences that emerged as a result of these mistakes."
    আশ্চর্য!!!! এটার মানে কি???

    জবাব দিন
  2. বিদেশের মাটিতে বসে কোন বাঙালি ইয়ো বয় হয়ত তার ইয়ো গার্লকে খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস খুলে বসবে। জানতে পারবে শুধুমাত্র বাঙালিদের ভোটের কারণে যে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছিল কতটুকু নির্যাতন আর বাঞ্চনার শিকার হলে রক্ত ঝরিয়ে সেই পাকিস্তানকেই ভেঙ্গে দুই টুকরো করে ।

    :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ভালো লিখছো হাসনাইন। আরো ভালো লাগে কোনো অপপ্রচার আর বিনা প্রতিবাদে ছেড়ে দেয়না আমাদের তরুণরা। :hatsoff: ওই দুই বাঙালি ছ্যামড়া-ছ্যামড়ির (আদর করেই বললাম) জন্য।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. রকিব (০১-০৭)
    কে বলেছে ভাই আমাদের দিয়ে কিছু হবে না? হবে ভাই, আমাদেরও হবে, আমরাই পারব। শুধু দরকার একটু সময়ের জোয়ার, এক ছটাক সৌভাগ্য আর বাকিটা শুধুই আমরা।

    :thumbup: :thumbup: :thumbup:
    অনন্য একটা পোষ্ট, ধাক্কা খেয়ে গেলাম আবার। সত্যি বলতে উইকিপেডিয়াতেও পূর্ণাং ইতিহাস পাওয়া যায় না। সিসিবির উদ্যোগে কিছু একটা করা গেলে ভালো হয়। সাথে আছি। :salute:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
    • হাসনাইন (৯৯-০৫)

      হুম ঠিক বলছ। আমি হয়ত লিখতে পারব না, টাকা পয়সা দিয়েও তেমন সাহায্য করতে পারব না। কিন্তু গতর খাঁটতে পারব। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া খুইজা তথ্য আনতে পারব। তাও মনে হয় লাগবে না, কারণ অনেক বই আছে বাংলায়, জার্নালও আছে। শুধু সমন্বয় করাটা বাকি। আসলে একবার শুরু করতে পারলেই হল।

      জিহাদরে আমার কোন কিছু বলতে লজ্জা লাগে। হলে আমার পাশের রুমেই থাকে, নিজের রুম থেকে বের হলে একবার ঢুকা হয়-ই। সারাদিন চারকোণা বাক্সটার সামনে বসে থাকে, তাই কিছু কইতে ইচ্ছা করে না। এই ব্লগে অনেক টেকি গুরু আছেন, অনেক ভাল ভাল লেখক আছেন। একবার যদি শুরু করা যায় শেষটাও দেখা যাবে। নেটে সার্চ দিলে যেন ঐ পাকিস্তানি সাইটটার সাথে আমাদের সাইটটাও দেখা যায়।

      জবাব দিন
  5. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    যেখানে আমার মত বই বিমুখ মানুষগুলো একটু ইতিহাস শিখবে। বিদেশের মাটিতে বসে কোন বাঙালি ইয়ো বয় হয়ত তার ইয়ো গার্লকে খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস খুলে বসবে। কি লাইন লিখলি রে,দিল গার্ডেন গার্ডেন হয়া গেল,সাবাস!

    জবাব দিন
  6. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    দারুণ লেখা হইছে হাস্না। :clap:
    একটু দেরিতে পড়লাম দেইখা নিজের কাছেই এখন খচ খচানি লাগছে 😕

    ব্যাপক, ব্যাপক :thumbup: :thumbup:

    মন প্রাণ নিয়মিতই ভরিয়া উঠুক, এই কামনা করি।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।