কলেজের কোনো রকম ঘটনা নিয়ে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট। আসলে আজকে সকালের দিকে এই ব্লগের প্রথম দিককার কিছু লিখা পড়ে আমার পেটে খিল ধরে গেছিল। তাই ভাবলাম আমিও কিছু শেয়ার করি। অনেকটা ফাকিবাজি দেবার মতো। 😛 পোষ্ট লিখার বিষয় নাই তো কি হইছে??ছয় বছরের অসংখ্য কাহিনী এই মাথায় গোল পাকিয়ে আছে। কাজ কারবার নাই তো সেই জট এর একটা পার্ট খুলো।
১। আমরা তখন কেবল কলেজে ঢুকছি। প্রথম দিন ডিনার করে পোলাপান টয়লেটে গিয়ে ব্রাশ করতেছে। বেসিন ছিলো ৪ টা। ন্যাচারালি শেয়ার করতে হতো। তো আমাদের তানভীর ব্রাশ করতেছে এমন সময় যোবায়ের ওর মুখের পেষ্ট আর পানি সমেত একটা কুলি করলো তানভীর যে বেসিনে ব্রাশ করতেছিলো সেটায়। সাথে সাথে তানভীর” এই ছেলে তুমি এইটা কি করলা?? আর কখনো আমি যে বেসিনে ব্রাশ করি সেটায় এভাবে কুলি করবা না..”। তখন যথারীতি যোবায়ের এর জওয়াব” এটা কি তোমার বাপের বেসিন নাকি? ”।তখন তানভীর এর বিখ্যাত ডায়লোগ “ত্রিপল এইচ কে চিনো? ও কিন্তু আমার প্রিয় রেসলার.. :gulli2: ”। বেচারা পরে এই একটা কথা বলার জন্য অনেক ভুগছিল!
২। আমার জীবনে অনেক চাপাবাজ দেখছি কিন্তু বি ডি এর মত চাপাবাজ আর দেখি নাই। বি ডি অরফে বদরুদ্দোজা স্যার কে রংপুর এর পোলাপানেরো ভাল চিনার কথা। জিনিশটা আসলেই আশ্চর্যজনক কোনো ক্যাডেট না একজন শিক্ষক আমার দেখা সেরা চাপাবাজ(আসলে উনি নিজেও একজন এক্স ক্যাডেট তাও রাজশাহীরই)। তার অনেকগুলা গুণের মধ্য একটা হল কেমিষ্ট্রি বাদে(উনি কেমিষ্ট্রি পড়াতেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে) দুনিয়ার বাকি সকল বিষয়ে সুবিশাল জ্ঞ্যান থাকা এবং সময়ে অসময়ে তার ক্যাডেটদের মাঝে অকৃত্রিমভাবে বিতরন করা। তার চাপাবাজির কিছু নমুনাঃ
১। আমি তো একবার বড়সি দিয়ে বক শিকার করছিলাম। :gulli2:
২। কেমিষ্ট্রি সোসাইটিতে বোম বানায়ে”এই বোম পুকুরে ফাটালে সব মাছ মরে ভেসে উঠবে।মাছ আহরনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি তাই না??”
৩। পাকিস্তানে নাকি একটা পুকুর আছে যেখানে গোসোল করলে যার যত গুপ্ত রোগ আছে তার আমূল প্রতিকার হবে।
স্যার যখন প্রথম দিকে কলেজে আসছিলেন তখন তার জোক্স এর বহর দেখে আমরা বেশ মজা পেলেও পরে আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম স্যার এর বেসাতি তে ওই কয়েকটাই জোক্স আছে। ঘুরে ফিরে একই জোক্স আর কতবার শোনা যায়? এজন্য পরেরদিকে স্যার ওপেনলি আমাদের ক্লাসে পচানি খেতেন।
৩। ইকবাল হাসান তালুকদার স্যার আমাদের কলেজে একটা ক্রেজ ছিলেন।ঊনার বিখ্যাত কাজকারবার দেখে আর কথাবার্তা শুনে ক্যাডেটরা বুঝতো না কি করা উচিত।কিছু নমুনা দেই
১।উনার ওয়াইফ মারা যাবার কিছু দিন পর উনি প্রেপ ডি এম আমাদের ফ্লোরে। আমাদের ফর্ম এ এসে বেশ কিছুক্ষন চুপচাপ পিছনে বসে থাকার পর হঠাৎ তার ডায়লোগঃ আজ থেকে আমি ব্যাচেলর।
২। উনি ছিলেন কাশিম হাউজের হাউজ মাষ্টার। বেচারাদের নানা কিম্ভুতকিমাকার রুলস এর মধ্যে জীবন যাপন করতে হতো এর কারনে। হাউস অফিসে তিনি একটা বেঞ্চ নিয়ে তার উপর জুনিওরদের শোয়ায়ে সাতার প্রাকটিস করাতেন ইন্টার হাউস সুইমিং কম্পিটিসনের আগে। আরো একবার তিনি তার হাউসের হকি টীমকে ব্রিফিং দিচ্ছেন এভাবেঃ বাশার একটা খাতা কলম দাও। খাতা কলম দিলে তিনি এগারোটা প্লেয়ার আকলেন খাতায়। তারপর বললেন এইটা হলো কাসিম হাউস টীম । এইটা হল গোল্কিপার কাইয়ুম ।ও দিবে একে বল।ও একে। তারপর ও ওকে। ও তখন গোল দিবে। ব্যাস আমরা জিতে যাবো।বেচারা টিম ক্যাপ্টেন বাশার বলল”স্যার অন্য টীম কি বসে থাকবে??”। স্যার বললেন” হুউম..তাইতো।।এখানে তো সমস্যা। ওদের কিভাবে বসায় রাখা যায়??বল তো বাশার”।
আরো কিছু ছিলো। পরে লিখবো।খেলা দেখতে যাবো তাই আজকে এতোটুকুই…
😛
😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
2য় B-)
দিহান ভাবীরে হারাইছো....সাবাশশ বেটা :clap: :clap:
😀 😀 আমরা আমরাই তো।
নেন ভাইয়া :teacup: নিয়ে খেলা দেখেন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
লেখা ভাল লেগেছে, এটাকে মনে হয় না ফাকিবাজি পোস্ট বলার কোন প্রয়োজন আছে।
এটা কিন্তু আসলেই সহজতম পদ্ধতি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
জানতাম না 🙁 🙁
অঃটঃ ভাই আর্সেনাল তো আবারো জিতে গেলো।কানের পাশ দিয়ে গুলি গেছে!! আমি পোষ্ট দিলেই তারা জিততেছে দেখতেছি!!ভাবতেছি এখন থেকে তাগ খেলার আগের রাতে একটা করে পোষ্ট নামাবো হে হে হে!!! নেচে নেই :awesome: :awesome:
হুম... প্রতি ম্যাচের আগে পোস্ট দিও। :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই রকম ছোট ছোট স্মৃতিচারণ পড়তে খুব মজা লাগে
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
🙂 🙂
:khekz: :khekz: :khekz:
🙂
:khekz: :khekz: মজার। কিন্তু সেই স্যারের আসলেই ছাত্রদের প্রতি ভালবাসা ছিল বলেই মনে হল।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
রাহাত ইকবাল স্যার( ওরফে কানা নিবারন) এর তো একজন মহিলা সন্তান ছিল,তার ব্যাপারে কিছু লিখলানা? :))
কিছু মিথ আর তার সাথে হালকা পাতলা ফ্যাক্ট দিয়া কি পোষ্ট নামানো জায়েজ হইবেক???
:)) :)) ..তবে আমি শুনেছিলাম উনি নাকি ইলোপ করিয়াছিলেন(মানে তাহার কণ্যা আরকি)..সত্য মিথ্যা কে জানে 🙁
:pira:
:pira: :pira: :pira:
:khekz: :khekz: :just: :gulli2: :gulli2:
তোমার লেখার হাত ভাল।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ভাই দারুণ লাগলো হা হা আহ আহ =)) :khekz:
ভাই আরো কাহিনি লিখেন :clap:
:goragori: :goragori: :goragori: :pira: :pira: :pira: :chup: :chup: :chup:
:)) :)) :pira: :pira: :goragori:
মনে পড়ে যাই সেই দিনগুলি... :dreamy: :dreamy:
ভালো হইছে........ 😀 :)) 😀 :)) ।
Life is Mad.
যদি ছিপ না হয়ে শুধু বড়শি (Hook) দিয়ে ধরা বুঝিয়ে থকেন তাহলে মনে হয় সম্ভব ব্যাপারটা। ছোটবেলায় একটা বক ধরার ফাঁদ দেখেছিলাম যেখানে এইরকম বড়শিতে গাঁথা জ্যান্ত মাছ থাকে আর মাছে ঠোকর দিলে বড়শির সাথে বাঁধা নাইলন সুতা শক্ত হয়ে ফাঁসের মতো আটকে যায় বকের গলায়। মোক্ষম যন্ত্র।
Life is Mad.
হায় হায়..এখন দেখতেছি স্যার চাপা মারেন নাই... 🙁
:)) :))
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
হাহা :)) ফাঁকিবাজী পোস্ট হইলেও পড়ে মজা পাইছি।
আমরা উনার গাড়ীর পিছনে বি ডি লিখে রাখতাম। তবে স্যার কিন্তু ভালো মানুষ। আর ম্যাডাম যদিও ক্যাডেট কলেজের টিচার ছিলেন না তবে এস এস সি পরীক্ষার ডিউটি দিতে আসলে আমরা খুব খুশি হইতাম।
:)) :))
x-( ঐ হারামী রাহাইত্যা,পল্টুর জোক্স গুলা আগেভাগে কইয়া দিয়া তুই গর্হিত পাপ করছস।আমার পল্টু সম্পর্কিত ব্লগ কেইকা দুইটা জোক্স কইমা গেল :((
তয় ,তানভীর আর বি্ডীর টা ভালা হইছে :)) :clap: