হ্যাং হয়ে থমকে আছি। মনিটরে মাঝেমাঝে ফেইটাল এরর হয়। গাঢ় চকচকে নীল পর্দা এসে সব ঢেকে দেয়। শাদা গোটা গোটা অক্ষরে লেখা থেকে নির্মম পরিহাস। সকল চেষ্টা ফাঁকি দিয়ে মরে গেছে যন্ত্র। যন্ত্রেরও শরীর বিগড়ায়, মাথা নষ্ট হয়। মাথা মানে প্রসেসর, নয়তো মাদারবোর্ড। মা! মা! তোমার কী হয়েছে মা? মন খারাপ? মন খারাপ হলে আমাকে একটু জড়িয়ে থাকো। আরো একটু সময়… তোমার গায়ের গন্ধে একটা শৈশব ফেলে এসেছি আমি।
বিস্তারিত»প্রশ্নবোধক এক জিয়াউর রহমান
আমাদের কাউন্সিলের নাম টাওয়ার হ্যাম্লেট। এই কাউন্সিলের আন্ডারে একটা ফ্রী লাইব্রেরী আছে যার অনেকগুলো ব্রাঞ্চ। প্রচুর বাংলা বই থাকার কারণে আমি এখানে প্রায়ই যাই। তো সেদিন রাজিব ভাই(বিসিসি-১৯৯০-১৯৯৬) একটা বই ইস্যু করলেন “হিটলার থেকে জিয়া” লেখক মিনা ফারাহ। ভাইয়ার পড়া শেষ হওয়ার পর আজকে আমি পড়ার জন্য নিলাম ভুমিকা পড়ে তো অবাক এইসব কি লিখা আগেতো কখনও শুনিনাই। তাই চিন্তা করলাম সবার সাথে বইটার ভুমিকাটা শেয়ার করি দেখি এটার সত্যতা কটটুকু।
বিস্তারিত»দেশে কি এমন কেউ ছিলো না
ঢাকা থেকে ফোন এলো।
– দোস্তো, ঘুমাতে পারছি না।
– কেনো, কি হলো আবার?
– ঐ পাঁচ জন অফিসারের ফাঁসি হয়ে গেলো কিছু আগে।
সকালে অফিসে আসার আগে স্যাটেলাইট টিভিতে বাংলাদেশের খবরে শুনেছিলাম যে ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত ঐ পাঁচ জন অফিসারের আত্মীয়-স্বজনকে জেলে তাদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। তবে ভাবিনি যে আজই এই ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে।
আমেরিকা থেকে হঠাৎ করে ৩৫ বছরের আগের বাংলাদেশে যেন ফিরে গেলাম।
বিস্তারিত»ছ্যাঁকার অ আ
(সিসিবি-তে এটাই আমার প্রথম লেখা । লেখার মান বিবেচনায় সবাইকে যথাসম্ভব ক্ষমাসুন্দর হবার অনুরোধ জানাচ্ছি।)
নতুন নতুন ক্লাস নাইনে উঠেছি । ….ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার ক্লাস নাইনকে তারুণ্যে পদার্পণের একটা ‘ধাপ’-এর মত মনে হত। কাজেই সেই ধাপে পা রাখার সাথে সাথে আমার এ্যাটিচ্যুডে স্বভাবতই কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন আনার চেষ্টা করলাম। যেমনঃ
-অকারণে রহস্য উদ্রেককারী ঔদাসীন্য,
-হাঁটার গতি শ্লথ করা,
বিক্ষিপ্ত ভাবনা – ৩
১। শুরু আর শেষের মধ্যে যে দুরত্ব, শেষ আর শুরুর মধ্যে কিন্তু তা নেই। এই চরম সত্যটা আমরা সবাই জানলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মেনে নিতে চাই না। গত ১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য শুরু হয়েছিল আমাদের (অর্থাৎ সেনাবাহিনীর) শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষন। ছয় সপ্তাহ তীব্র শীতের মধ্যে মাঠে-ঘাটে, বনে-বাদারে থাকতে হবে এটাই তো অনেক কষ্ট, তারপর যদি যুক্ত হয় পদাতিক বাহিনীর চক্কর তাহলে তো কথায় নেই।
বিস্তারিত»দীর্ঘ বিরতি’র জন্য “সরি সিসিবি”।
বিশাল, I mean, বি-শা-ল একটা গ্যাপ দিয়ে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আসলাম। সবাইকে একটু ‘হেল্লো’ বলা এই আর কি!
আসল বিষয়টাই বলিঃ আমি বেশ কিছুদিন হল লিনাক্স ব্যবহার করছি। উইন্ডোজের হাজারো যন্ত্রনায় বিতশ্রদ্ধ হয়ে ভাবলাম দেখি না লিনাক্স টা কেমন। সিসিবি-মামা (এডজুটেন্ট ‘স্যার’) কে ধন্যবাদ আমাকে ‘উবুন্টু’র সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। যদিও অনেক আগেই দিয়েছিলেন, কিন্তু তখন তেমন একটা পাত্তা দেইনি। পরে একদিন কোন একটা কারণে সিস্টেম আনস্ট্যাবল হবার দরুন আবার রি-ইনস্টল করতে গিয়ে মনে হল দেখি না কি হয়…
বিস্তারিত»আমার প্রেমিকারা-৫
‘পুরুষ মানুষের মন আর নারীর দেহ,এই দুইটার-ই কপিরাইট থাকা দরকার’। কথাটা প্রথম যখন শুনি,হেসেই উড়িয়ে দিয়েছি। তারপর ভেবে দেখলাম-এ আবার কেমন কথা? গুরু বললেন- এই দুইটার কপিরাইট করা থাকলে এই পৃথিবীটায় আর কোনোদিন কোনো ঝামেলা থাকতোনা।যত নষ্টের গোঁড়া,এই দুই বিষফোঁড়া।
আমি ভেবে অবাক হই-তাইতো গুরু, আপনিতো ঠিক বললেন।আমার নিজের এই মনটার ঘাটে ঘাটে নোঙ্গর করার স্বভাবটার মিল বুঝি এখানেই খুঁজি পাচ্ছি।কবির ভাষায় বলি-
‘আর পারছিনা গুরু,সেই ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু’।
দুইটা কথা
শীতার্ত মানুষের জন্য প্রাণ এবং হাত, দুই খুলে যারা একসাথে হয়েছেন, তাদেরকে আসলে বলার কিছু নেই। আপনাদের সকলের কান্ড দেখে আমরা মোটামুটি আবেগে ইমোশনাল হয়ে গেছি। একজন ডাক্তার সাহেব গতকাল ইভোলুশনারি কিছু লজিক বোঝানোর প্রচেষ্টা করতে করতে একসময় বলছিলেন, ইভোলিউশনের একটা বড় অবাক করা বিষয় নাকি এই যে, কেন মানুষ মানুষকে ভালবাসে। চিনে না জানে না এমন একটা মানুষের জন্য কেন আরেকটা মানুষ হাত বাড়িয়ে দেয়।
বিস্তারিত»বন্ধু – এক দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প: 2
ধূমপান
সিগারেট আমাদের কলেজে একটা নিষিদ্ধ বস্তু। আমাদের সবারই জানা যে, যার কাছে সিগারেট পাওয়া যাবে। তাকে কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। বেশ আজব একটা ব্যাপার। আমাদের বেশ কয়েকজন স্যার প্রকাশ্যে সিগারেট টেনে বেড়ান আর আমাদের বোঝাচ্ছেন-ওটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটা বস্তু। আমরা আকর্ষিত হচ্ছি, কিছুটা তাঁদের দেখাদেখি, আর আমাদের বলা হচ্ছে, এটা খুব মজার জিনিস, কিন্তু তোমাদের জন্য এ জিনিস নিষিদ্ধ। আমাদের ক্যাডেট কলেজের নিয়ম-কানুনগুলো আমার কাছে একেবারে ধর্মীয় বিধি-নিষেধের মতো মনে হয়।
সুঁই
“ক্যাডেট সব পারে” পর্বে আমাদের বন্ধু X কে নিয়ে লিখেছিলাম। আর এবার লিখছি ওর রুমমেটকে নিয়ে। ওর রুমমেট ছিল সাদাত আর রাশেদ। এবারের ঘটনাটা রাশেদকে নিয়ে লিখা। সময়টা মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই। পরীক্ষা তখন দরজায় কড়া নাড়ছে। সবার দৃষ্টি তখন টেষ্ট পেপারের পাতলা নিউজপ্রিন্ট কাগজেই বেশিরভাগ সময় আবদ্ধ থাকে। আমরা তখন সাদা পোষাক পরিহিত দল। যা হোক, যতদূর মনে পড়ে তখন আমরা সন্ধ্যার পর হাউসে পড়াশুনা করতাম।
বিস্তারিত»সিসিবি থেকে হারিয়ে যাওয়া এক যুবরাজ
আপনারা যারা এই ব্লগের পুরাতন মেম্বার তারা অনেকেই যুবরাজ নামের একজনকে চিনেন নিশ্চয়। হ্যাঁ, আমার বন্ধু যুবরাজ (ছদ্দ নাম)। সায়েদ এবং আমার মাধ্যমে যে কিনা এই ব্লগের সদস্য হয়েছিল। তার লেখার হাত ছিল চমৎকার। ছিল বলছি এ কারনে যে, সে এখন আর সিসিবিতে লিখে না। সে কোন এক্স ক্যাডেট নয় কিন্তু ক্যাডেটদের সাথে তার প্রচন্ড মিল। আর এ কারনেই তার বেশিরভাগ বন্ধুই এক্স ক্যাডেট।
সচলে তার লেখা অনেকেরই প্রশংসা কুড়িয়েছিল,
বিস্তারিত»আমরা কি মধ্যযুগে বসবাস করছি?
প্রাচীনকালে আমরা দেখতাম রাজা-বাদশাহদের পায়ে পড়ে ক্ষমাভিক্ষা চাইতে হত-রাজা ক্ষেপেছেন মানেই তাই-দোষ হয়েছে কি হয়নি সেটা বিচার্য নয়।আজ সামহোয়ারইনব্লগে একটা ছবি দেখে(কালের কণ্ঠে প্রকাশিত) মনে হল আমরা আসলেই মধ্যযুগে বসবাস করছি-যেখানে নিজের আত্মসম্মানের কথা মুখ ফুটে বলার অপরাধে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা জাতীয় দলের অধিনায়ককে আক্ষরিক অর্থেই বোর্ড সভাপতির পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইতে হয়।যাঁরা দেখেননি তাঁদের জন্যে এই ছবি-দেখুন এবং উপলব্ধি করুন যে বাংলাদেশে যদি জন্মান তাহলে কেঁচোর মত মেরুদন্ডহীন হয়ে থাকাটাই আপনার নিয়তি।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৭ম পর্ব
আর সবার আমার এই ব্লগ পড়ে কেমন লাগছে তা জানিনা তবে আমার লিখতে খুবই ভাল লাগছে। প্রতিটি ব্লগ লিখতে বসে যখন পুরনো স্মৃ্তিগুলো লিয়ে চিন্তা করি সেই অনুভূতিটাই অন্যরকম। মনে হই এই সেদিনই কলেজে ঢুকলাম আর আজ প্রায় ১০ বছর হতে চলল। তো স্বভাবতই ক্লাস সেভেনের ক্যাডেট হিসেবে আমরা দৌড়ের উপরে থাকতাম। মোটামুটি সবাই আমাদেরকে পাঙানি দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকত। আর আমাদের শুরু হল এই পাঙানি কিভাবে বাঁচা যায় তা নিয়ে লুকোচুরি খেলা।
বিস্তারিত»আমার খুব শীত লাগছে
বাংলাদেশে এখন শৈত্য প্রবাহ বইছে বলে আমার এক বন্ধু আমাকে জানিয়েছে। আমেরিকাতেও বর্তমানে চলছে শৈত্য প্রবাহ। এই মুহুর্তে ঘরের বাইরের তাপমাত্রা ফ্রিজিং পয়েন্টের নীচে। আমাদের বাড়ীর নিকটের পর্বতচূড়াগুলি সাদা তুষারাবৃত হয়ে আছে। এমনিতেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০০ ফিট উচ্চতায় থাকি আমরা। শীতকালে ঠাণ্ডা পড়াটাই স্বাভাবিক। সেন্ট্রাল হিটিংয়ের বদৌলতে ঘরের মধ্যে শুধু একটা জামা পড়ে আছি এবং সাটেলাইট টিভিতে বাংলাদেশের চ্যানেলে উত্তর বাংলার মানুষের কষ্ট দেখছি। এমন সময় মনে পড়লো মেরীর কথা।
বিস্তারিত»হাঁসের গল্প
সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমাদের কুচ্ছিত হাঁসের ছানা আর কুচ্ছিত নাই সুন্দর হইয়া গেছে 😡 ।আজকে একটু আগে আমাকে সে ফোন কইরা বলে-মাসরুফ ভাই,আপনের কাছে করাত আছে? আমি তো হতবাক! 😮 ব্যাটার কি মাথায় মাল উঠছে নাকি-ভর দুপুরে এইগুলা কি কয়?? 😡 ঘটনা কি সেইটা জিজ্ঞাসা করতেই বলে-“ইয়ে মানে বুঝেনই তো,বাসায় এত বড় খাট,আমি ছুটো খাটো মানুষ আমার অত বড় খাটের দরকার নাই,তাই ঠিক করছি করাত দিয়া কাইটা দুই ভাগ করুম :duel: ।
বিস্তারিত»