ডিস্ক্লেইমারঃ
টাইটেল দেখে ভাববেন না,ক্ষোভ বা হতাশা থেকে এটা লেখা।আমাদের মিলেনিয়াম ব্যাচটা কলেজে এমন একটা সময় পার করেছে,যে সময়ের মধ্যে কলেজটা অনেক পরিবর্তন-বিবর্তন এবং ট্রেডিশন-নিষিদ্ধকরণ এর মধ্যে দিয়ে গেছে।আমরা দেখেছি,ক্যাডেটদের বিপদে স্যার-ম্যাডামদের আন্তরিক সহমর্মিতা,আবার একই লোকদের দেখেছি…নতুন প্রিন্সিপালের আমলে পুরাই ক্যাডেটদের বিপক্ষে কথা বলতে!…..
প্রিফেক্টশীপ ব্যাপারটা ক্যাডেট কলেজের একটা বিশেষ আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।যে কোন প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন ক্যাডেটই কলেজ জীবনের শুরু থেকে এই বিশেষ ক্ষণটার অপেক্ষায় থাকে।নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ত্বের উপর যার আস্থা আছে,সে মোটামুটি কলেজের প্রভূত প্রতিযোগিতাতে কৃতিত্ব লাভ করেই।প্রিফেক্টশীপ একই সাথে তার প্রতিভা,ব্যক্তিত্ব,নেতৃত্ববোধ ইত্যাদির পুরস্কারস্বরূপ।….
কিন্নরকণ্ঠী নদী
আবার ফেব্রুয়ারী – একুশ তারিখ, পঁচিশ তারিখ এক একটা দিন আসবে আর আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ভারী হতে শুরু করবে। এই তারিখগুলো আমাকে নিজের জীবনের সেই সময়গুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
সময়টা ১৯৯৯ সালের দিককার। হঠাৎ নোটিশে দেশে গিয়ে আবার আমেরিকায় ফিরে আসা। তখন ভগ্নপ্রায় আমার প্রতিনিয়ত জীবনমুখী হবার প্রাণান্ত চেষ্ঠায় নিত্য সহযোগী ছিল বই আর আধ্যাত্মিকতা। দুটোই বেশ সাহায্য করছিলো। সে সময়ে পড়া একটা বই এখনও মাঝে মাঝে উলটে পালটে দেখি।
বিস্তারিত»চিকেন ফ্রাই-১
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
সিলেটের রাফির কাছে শুনেছিলাম, ব্লগে প্রথম লিখতে হলে আগে দশটা ফ্রন্ট রোল দিতে হয়। আজ্ঞা শিরোধার্য। আমার ব্লগে খুব বেশি ঢোকা হয় না। হালকা পাতলা দুই-একটা পড়া হয়। পড়তে তো জটিল লাগেই। সেদিন আমাদের আছিব ভাইয়ের কক্ষভোজন পড়ে মনে হল আমিও এরকম একটা কিছু লিখে ফেলি।
আমরা তখন ক্লাস XII-এ। রাতে কারেন্ট গেলে অনেক জেগে থাকা হয়।
সোনামণি আফরার চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রয়োজন
হাসিখুশি ছোট্ট মেয়ে আফরা। বয়স কতই বা হলো; মাত্র চার। ওর বয়সী শিশুরা যখন চারদিকে ছোটাছুটি করে মাতিয়ে রাখে, সে বয়সেই তাকে বড় রকমের অপারেশন টেবিলের দারস্থ হতে হয়েছে। হেসে খেলে কাটাবার প্রহরগুলো এখন শুধুই সুস্থ্য হয়ে উঠবার আকুতিতে বাঁধা।
মাত্র দুবছর বয়সেই প্রথমবারের মতো জানা যায়, আফরার কিডনীতে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার (উইল্ম’স টিউমার বা নেফ্রোব্লাস্টোমা)| প্রকৃতপক্ষে, এরোগ মূলত শিশুদের মাঝেই সচরাচর দেখা যায়।
আবারও রঙ (হাউস কালার?)
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লগ-ইন’এর প্রথম দিনে আমার লেখা প্রথম ব্লগটা ছিল এবারের বই-মেলায় প্রকাশিত আমার প্রথম বই “আমেরিকার গল্পঃ রঙ দিয়ে যায় চেনা” সম্পর্কে পরিচিতমূলক একটা লেখা। লেখাটার ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে এফসিসি’র প্রাক্তন ক্যাডেট, সানাউল্লাহ ভাই জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমার বইয়ের প্রচ্ছদে শোভা পাওয়া চারটা রঙ কোনো কারনে ফৌজদারহাটের চারটা ‘হাউস কালার’এর কাছাকাছি নয়ত?
আমি জানতামনা ফৌজদারহাটে চারটা হাউস আছে। আমার ধারনা ছিল বাংলাদেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজেই বোধহয় তিনটে করে হাউস এবং রঙও সম্ভবত তিনটেই- সবুজ,
বিস্তারিত»অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ……… প্রেম পর্ব
ইচ্ছে ছিলো ১৩ তারিখ রাতে বা ১৪ তারিখ এই লেখাটা দেবো, কিন্তু ১৩/১৪ দুদিনই ছুটি থাকায় এটা আর শেষ করা হয়নি।
বসন্তকালে অনেক জায়গাতেই দেখা যায় লোকজন হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাতাসে ভেসে চলা ফুলের পরাগে এলার্জিজনিত কারনেই নাকি এমনটা হয়। আমাদের বসন্তকালটা একেবারে দুরন্তরুপে এসেছিলো আমাদের ক্লাশ টেনের প্রথম টার্মের দিকে। ছেলেপেলে ক্লাশ নাইনের শেষদিক থেকে ছুটিতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে লেখাপড়া করার সময় অনেকে অনেকের সাথে পরিচিত হয়েছে।
বিস্তারিত»প্রিয়তমা
তানভীরের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে জানতে পারলাম কাল ছিল কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন। অনেকের মত আমারো প্রিয় কবি তিনি। কবিতা খুব কমই পড়ি, সবচেয়ে বেশি যার কবিতা পড়েছি তিনি জীবনান্দ দাশ। প্রিয় কবির জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই অ-কবির কবিতাটি সাহস করে ব্লগে দিলাম। যে জীবন দোয়েলের ফড়িংয়ের, সে জীবনে এত ভয় পাওয়ার কি আছে?
তুমি আমার মনের কোনে
একটি মাত্র তারা
তোমার কথা ভেবে আমি
সদাই আত্মহারা।
জীবিকা-২
ডায়লগ De MGCC
প্রাচীনকালে পর্যটকেরা যখন রাজ্যের রাজার সাথে প্রথম সাক্ষাত্ করতেন,সঙ্গে থাকতো নানা উপঢৌকন।সিসিবি’র সাথে গত এক বছর ধরে আমার দিনে কমসে কম তিনবার সাক্ষাত্ হলেও পর্যটকের মর্যাদা লাভ করেছি(সদস্যপদ) দুদিন আগে।লেখক হিসেবে কোন মানের মধ্যে না পড়লেও পৃথিবীর সব ব্লগের শাহেনশাহ্ সিসিবিকে(আমার জানামতে, এবং আমি জানি বাংলাদেশের সব ক্যাডেটের জানামতে) উপেক্ষা করার সাহস আমার নেই,তাই হুজুরকে সামান্য নাজরানা…
১.এক সিনিয়র আপা যিনি পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন;
মেজর আজিজুল হাকীম স্যারকে মনে পড়ে
বিডি আর বিদ্রোহের কথা আমরা ভুলে গেছি। ভুলে যাওয়াটা সহজ, সুবিধা জনক। সরকারও তাই চেয়েছিলো। আমরা ব্লগারাও এখন দৈনন্দিন জীবন, ভালোবাসা দিবস, আস্তিকতা-নাস্তিকতা বা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে ব্লগ লিখতে ব্যস্ত।
আমি হিসাব করে দেখলাম, সাহসী বাঙ্গালীরা প্রায় সব ৭১ রেই মারা গেছেন। আমরা যারা নতুন প্রজন্মের মানুষ, বেশিরভাগের বাবা-মাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়ে বেরিয়েছেন। আমরা কাপুরুষের সণ্তান।তাই আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানিনা।
আমরা পালিয়ে বেরাতে বা ভুলে যেতে ভলোবাসি।
বিস্তারিত»ভালবাসা
ঢাকার টিভিতে দেখছিলাম ভালবাসা দিবসের আয়োজন। আজকাল ছেলে মেয়েরা কতটা খোলামেলা ভাবে একে অপরের সাথে মেলামেশা করে। ভালই লাগলো। কিছুটা হিংসাও হলো। আমাদের সময়ে এসব কিছু অত সহজে সম্ভব ছিলো না। তবে যখন প্রাপ্তি কিছু সহজলভ্য হয়ে যায়, তখন তার মূল্যও হয়তো কিছুটা কমে যায়। একই ভাবে, আমাদের সময়ে সহজলভ্যতা কম হবার কারনে, সামান্য প্রাপ্তিও অনেক বড় হয়ে দেখা দিত। তেমনি এক সামান্য ঘটনা অনেকদিন ধরে আমার জীবনে অসামান্য বলে মনে হয়েছিলো।
বিস্তারিত»আমার একমাত্র ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’….সন ২০০৬
বস ডেকে বলে দিলেন, কালকে একটু ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাও তো……… ~x(
উফ!! এতো দেখি মহা মুশকিল, জানি তেমন কোন কাজের কাজ নাই, শুধু শুধু যাওয়া হবে……..কিন্তু তা তো আর বলা যায়না……তার উপর প্রথম চাকরি……তাই বললাম, স্যার ভ্যালেন্টাইন’স ডে তে ঢাকায় থাকা দরকার…….
তখনই চরম শুদ্ধভাষী বসের মুখে শুনলাম অমোঘ এক বাণী…. :no: …তোমার বউ যেদিন তোমার চাকরিকে তার সতিন মনে করবে, বুঝতে পারবে তুমি সফল!!!
বিস্তারিত»ফেলে আসা দিনগুলো
কলেজে জুনিয়র আসার দিন সবার মন কমবেশি খুশি খুশি থাকে।ক্লাস এইটদের বলে দেয়া হয় সেভেনদের সেদিন কোনোরকম টেবিল রুলস না শিখাইতে।ডিনারে ক্লাস সেভেনদের নিয়ে আচ্ছামত মজা করা হয়।
আমি প্রথমদিন টেবিলে গিয়া দেখি আমাকে দেখে আমার টেবিলমেটরা ব্যাপক মজা পাচ্ছে।আমি যাই করি তাতেই তারা হাসে।তার উপর খাইতে দিসে আলুভর্তা।এইসব দেখে আমি ক্যাডেট কলেজের উপর মহা বিরক্ত হয়ে গেলাম।টেবিলমেট একজন(ক্লাস ইলেভেন) জিজ্ঞেস করল কলেজ কেমন লাগতেসে?আমি বললাম disgusting.সঙ্গে সঙ্গে হাসির মাত্রা আরো বেড়ে গেল।কোনমতে হাসি চেপে উনি আবার বলল খাচ্ছ না কেন?আমি বললাম আলুভর্তা খাই না।উনি বলল খাও খাও,
দিনলিপিঃ আউল ফাউল দিবস ও ফাও প্যাচাল
কিছুদিন আগে রাতে হঠাত মোবাইলে এস এম এস।
“ভাইয়া, কেমন আছেন? অনেকদিন সাড়া শব্দ পাই না। সব কিছু ভালো তো?”
পড়ার পর অনেকক্ষন কি চিন্তা করবো তাই খুজে পাচ্ছিলাম না। সিসিবি কি এক আজব মায়ার বাধনে আমাদের জড়িয়ে রেখেছে। তা না হলে সেই পিচকি চা ওয়ালাকে কখনো দেখি নাই, ও আমাকে দেখে নাই, সে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে আমাকে এই এস এম এস করে।
হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা (ভ্যালেন্টাইন ডে -আবেগী ভার্সন)
( বন্ধুর মনে যখন ভাইরাস আক্রমন করল,ভালবাসা উথলাইয়া পড়িতে শুরু করল,তখন লেখা শুরু হলো)
টিক…টিক…টিক ঘড়ির কাটা ঘুরে চলেছে।চারপাশে সুনসান নীরবতা।আলতো করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় সুমন,অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন ঘড়িটার দিকে।সময় কতটা দ্রুত কেটে যাচ্ছে।চোখটা বুজে আলতো করে।
আজ সারাদিন কাজ শেষে অনেক ক্লান্ত শরীর।কাজের ফাঁকে এক মুহূর্তের জন্যেও সোনামনির কথা ভুলতে পারেনি সে।এইতো মাত্র কয়েকটা দিন আগেও জীবনের মুহূর্তগুলো এতটা সুখের মনে হতোনা।খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়া,দুপুরে আফিসে বসে একা একা লাঞ্চ করা,সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরা।তারপর রান্না করা,সাময়িক বিনোদন হিসেবে ইন্টেরনেট এ বসে বসে অনলাইন নাটক বা মুভি দেখা অথবা দেশে থাকা বন্ধুদের সাথে মাসেঞ্জার এ চ্যাট করে আড্ডা জমানো।প্রত্যেকটা দিন এভাবে কেটে যেত।জীবন যেন অনেকটা একঘেয়েমিতে ভরে যাচ্ছিলো।