কিছুদিন আগে রাতে হঠাত মোবাইলে এস এম এস।
“ভাইয়া, কেমন আছেন? অনেকদিন সাড়া শব্দ পাই না। সব কিছু ভালো তো?”
পড়ার পর অনেকক্ষন কি চিন্তা করবো তাই খুজে পাচ্ছিলাম না। সিসিবি কি এক আজব মায়ার বাধনে আমাদের জড়িয়ে রেখেছে। তা না হলে সেই পিচকি চা ওয়ালাকে কখনো দেখি নাই, ও আমাকে দেখে নাই, সে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে আমাকে এই এস এম এস করে।
হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা (ভ্যালেন্টাইন ডে -আবেগী ভার্সন)
( বন্ধুর মনে যখন ভাইরাস আক্রমন করল,ভালবাসা উথলাইয়া পড়িতে শুরু করল,তখন লেখা শুরু হলো)
টিক…টিক…টিক ঘড়ির কাটা ঘুরে চলেছে।চারপাশে সুনসান নীরবতা।আলতো করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় সুমন,অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন ঘড়িটার দিকে।সময় কতটা দ্রুত কেটে যাচ্ছে।চোখটা বুজে আলতো করে।
আজ সারাদিন কাজ শেষে অনেক ক্লান্ত শরীর।কাজের ফাঁকে এক মুহূর্তের জন্যেও সোনামনির কথা ভুলতে পারেনি সে।এইতো মাত্র কয়েকটা দিন আগেও জীবনের মুহূর্তগুলো এতটা সুখের মনে হতোনা।খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়া,দুপুরে আফিসে বসে একা একা লাঞ্চ করা,সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরা।তারপর রান্না করা,সাময়িক বিনোদন হিসেবে ইন্টেরনেট এ বসে বসে অনলাইন নাটক বা মুভি দেখা অথবা দেশে থাকা বন্ধুদের সাথে মাসেঞ্জার এ চ্যাট করে আড্ডা জমানো।প্রত্যেকটা দিন এভাবে কেটে যেত।জীবন যেন অনেকটা একঘেয়েমিতে ভরে যাচ্ছিলো।
বুড়া-বুড়ির প্রেমকাহিনী এবং আমি…………
‘মানুষ সামাজিক জীব। সে একা বাঁচতে পারে না। জীবনে চলার পথে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের সংগীর প্রয়োজন। এভাবেই গঠিত হয় সমাজ……………….’ :-B
-তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটা সমাজ বইতে এসব একই বাক্য পড়তে থাকলে কে আর একা বাঁচতে চায় বলুন? তখন সবাই বেমালুম ভুলে বসে থাকি, ‘আসবার কালে আসলাম একা, যাইবার কালেও যাইব একা…’
তবুও আমরা ভালোবাসি। যখন আমরা ভালোবাসি কাউকে,
বিস্তারিত»আসবেন তিনি শেষ রাত্তিরে
১।
প্রথমেই শুরু করি একটা ঈশপের গল্প দিয়ে।
এক গরীব দম্পত্তির একটা ছেলে হলো। গরীব দম্পত্তি মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে তাকে বড় করতে লাগল, গ্রামের স্কুলে পাঠাল যথাসময়ে। স্কুলে গিয়ে ছেলেটা তাক লাগিয়ে দিল সবাইকে, শিক্ষকরা ভাবেন এই ছেলেই এই অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলটার নাম উদ্ধার করতে। অসম্ভব মেধাবী আর প্রতিশ্রুতিশীল সে। স্কুল পরিদর্শনে আসেন শিক্ষা অফিসার। তিনি ছেলেটাকে কঠিন সব প্রশ্ন করে সন্তুষ্ট হন উত্তরে,
বিস্তারিত»ভ্যালেন্টাইন গিফট
এই ভালোবাসা দিবস সবসময় একটা ঝামেলায় ফালায়া দেয়। ঝামেলা টা আর কিছুনা, ঝামেলাটা হইল গিফট। কি গিফট কিনুম এই চিন্তায় মোটামুটি দুই সপ্তাহ মাথা খারাপ থাকে। গত বার তো শেষ পর্যন্ত কিছুই কিনতে পারিনাই। ১৪ ফেব্রুয়ারী তাকে বললাম, “আমার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে এমন কোনো কিছু খুঁজে পেলাম না, তাই কিনিনাই। আর তাতে কী, আমিই তো তোমার সবচেয়ে বড় গিফট, আমি তো হাজির।” তারপর একটা ক্যালানো হাসি।
বিস্তারিত»আমার জীবনের ১০টি অজানা কথা – এর চেয়ে ফালতু পোস্ট আর হতে পারে না
একটি কথা:
আমার ব্যক্তিগত ব্লগে একটি বিভাগ আছে, ফালতু পোষ্ট। সেখানে আমি ফালতু বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগ প্রকাশ করে থাকি। এই ব্লগটি সেখানে প্রকাশিত হয়েছে। যেহেতু পোষ্টটিতে ক্যাডেট কলেজের কথা আছে, তাই এখানে প্রকাশ না করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
- আমার নাম জিন্নাত উল হাসান। ডাক নাম জনি। এটা এখন বিলুপ্ত প্রায়। আত্মীয়স্বজন ছাড়া এই নাম এখন কেউই জানে না।
সালসা, আমের আচার আর একজন শুভ্রদা
১।
শিকাগো ট্রিবিউনের স্পোর্টস কলামিস্ট রিক মরিসে কেমন ক্রীড়া সাহিত্যিক তা আমার জানা নাই। কারণ, উনার একটা কলামও আমি পড়ি নাই। কিন্তু লোকটা যে খুবই প্যাশনেট সেটা বুঝেছিলাম গত বছরের নভেম্বরে, একটা খবর পড়ে। শিকাগো বুলসের ফার্স্ট রাউন্ড ড্রাফট পিক, পাওয়ার ফরোয়ার্ড আর সেন্টার পজিশনের খেলোয়াড় জোয়াকিম নোয়াহ যে জিন্দেগিতেও একজন ভালো প্রোডাক্টিভ প্লেয়ার হইতে পারবেন না, সেইটা তিনি ২০০৭ ই বলে দিয়েছিলেন।
বিস্তারিত»বিশেষ নাগরিক সুবিধা ও এন.আর.বি. এ্যাপ্লিক্যান্ট্স্
[ভূমিকাঃ আগের পাঠানো বিডিআর বিদ্রোহের ছড়াটা যদিও সম্প্রতিই লেখা, কিন্তু ঘটনাটা প্রায় বছর খানেকের পুরোনো। তাই বোনাস হিসেবে এই ছড়াটাও ব্লগে পাঠাচ্ছি]
[ব্যাকগ্রাউন্ডঃ রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের যারা ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে ন্যুনতম ৫,০০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা বৈধভাবে বাংলাদেশে প্রেরণ করেছিলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে বিশেষ নাগরিক সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে আগ্রহী প্রবাসীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহবান করা হয় ২০০৮-এর জুন মাসে।
বিস্তারিত»বিডিআর বিদ্রোহ ও রাজনীতির কচড়া
[মুখবন্ধঃ ছড়াটা লেখা শুরু করেছিলাম বিডিআর বিদ্রোহের মর্মান্তিক ঘটনার কিছুদিন পরপরই, যদিও সেসময় পুরোটা শেষ করা হয়নি। যে কোনো কারনেই হোক, সেসময় ই-ফোরামগুলোতে প্রকাশের জন্যে ছড়াটা কেন জানি পাঠানো হয়নি। সম্প্রতি কম্পিউটারে আমার পুরোনো লেখার ফোল্ডারগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে হঠাৎ করেই ছড়াটা খুঁজে পেয়ে মনে হলো ই-ফোরামগুলোয় প্রকাশের জন্যে ছড়াটা পাঠানো উচিত, যদিও ঘটনাটা ইতিমধ্যেই অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। আরেকটা কথা, আমার এ ছড়াটা কোনো রাজনৈতিক মোটিভেশন থেকে রচিত নয়।
বিস্তারিত»সিসিবি তে যোগ দেয়ার শানে-নজুল
আমি সিসিবির নবীনতম সদস্যেদর একজন।ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময় সিসিবির কথা অনেক শুনেছি, কিন্তু ইন্টারনেট নামক বস্তুটির সাখে খুব একটা সখ্যতা না থাকায় কখনোই যোগদান করা হয়ে উঠেনি।আমার সিসিবি তে যোগ দেয়ার কারনটা একটু অন্যরকম।
সেদিন বাসায় ফোন করতেই আমার সাহিত্যপ্রবন বাবা হঠাত করে বলে বসলেন যে, তাদের সমিতির ম্যাগাজিনে আমাকে অবশ্যই একটা লেখা জমা দিতে হবে। আমার বাবার বন্ধুদের নাকি ধারনা, প্রত্যেক ক্যাডেটই সাহিত্য স্বত্তার অধিকারী।এই কথা শোনার পর নিজের ক্যাডেট ভাবমুর্তি বজায় রাখতে আমি জবাব দিলাম,
হায়রে পোলাপাইন…হায়রে প্রেম…হায়রে প্রেমিকা – পর্ব ২
স্ট্যাটিকাব্য
ইদানিং চিন্তা ও ভাবনা অস্থির ইদুর হয়ে উঠেছে। কুটকুট করে নিউরন কাটছে, বুনছে না কিছুই। মাকু হারানো তাঁতির মতোই দশা। মাঝে মাঝে উটকো কিছু লাইন, কিছু শব্দ বুদবুদের মত ভেসে ওঠে। সেগুলো ছড়িয়ে পড়ার আগে, ফুলে ফেঁপে বড়ো হয়ে ওঠার আগেই পারিপার্শ্বিকতার বায়ুচাপ ফটাশ করে ফাটিয়ে দেয়। শব্দ ও পরিবেশ দূষণের ভয়ে সেগুলো খোমাখাতায় জমা হয়। সেখান থেকে আজকের জ্বরকাতর বিকেলে সেঁচে আনলাম কতক বিচ্ছিন্ন লাইন।
বিস্তারিত»আমার এ কারাবাস
[ভূমিকাঃ সত্যিকারের কারাবাসও কারাবাস আবার জীবনকে কারাগারের সাথে তুলনা করলে, এক একটা দিনকে টেনেটুনে পার করে নিয়ে যাওয়াও একধরনের কারাবাস। যৌবনের হাতপা ছড়ানো, মুক্ত পাখীর মত (সাহিত্যের ভাষায়- মুক্ত বিহঙ্গের মত) মুক্ত দিনগুলোয় মনের গহিনে কাউকে নিয়ে সুখের নীড় বাঁধার আজীবনের স্বপ্ন যদিও প্রত্যেকেরই থাকে, কিন্তু সেই রঙিন স্বপ্ন যে পরিনতিতে ‘সংসার’ নামক সাদা-কালো এক দুঃস্বপ্নে গিয়ে শেষ হয়, সে কল্পনা বোধহয় খুব কম জনই সেসময় করে।
বিস্তারিত»শানে নূযুল: বিফলে মূল্য ফেরত!!
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসিতে পারে, “বিফলে মূল্য ফেরত” জাতীয় বিজ্ঞাপনসমূহের সূচনা এই বংগদেশে কিরূপে হইলো। ইহার সঠিক সূচনা সম্পর্কিত দলিল যে কোনো ইতিহাস বেত্তা দিতে পারিবেন না, ইহা আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি।কিন্তু আমার জনক তা জানেন বলিয়া জোর গলায় দাবী করেন।
জনক বলিয়া কথা। পারিবারিক কোন্দল এড়াইতে আমি সেই গপ্পো গিলিয়া যাইতে পারি। কিন্তু আপনারা গিলিবেন, না নেহায়েত মস্করা বলিয়া হাসিয়া উড়াইয়া দিবেন ইহা সম্পূর্ণরূপ আপনাদিগের উপরেই ছাড়িয়া দিলাম।
বিস্তারিত»ভ্যালেন্টাইনের কবিতা
ক্লাসের সময় চুপটি করে
তোমার দিকে তাকাই
ছাদে তুমি হাঁটতে গেলে
মোড়ের টোঙে চা খাই
না পেয়ে ওই হাতটি হাতে
গাছটা ধরে ঝাকাই,