স্যার আর্থার কোনান ডয়েল নাকি শার্লক হোমস লিখে সেভাবে পরিতৃপ্ত হতে পারেননি। তার দৃষ্টিতে ওই লেখাগুলো ছিল সস্তাদরের, রদ্দিমাল। তাই উৎকৃষ্ট সাহিত্য রচনাকল্পে তিনি কিছু ভারী উপন্যাস লিখলেন। বাজারে সেইগুলা কোন ভাত পাইল না, দুঃখের বিষয়। আমারও সেইম অবস্থা। আমার ব্লগগুলা খুব আমি কেন্দ্রিক হয়, কিংকং-এর ভাষায় কোন টুথপেস্ট দিয়া দাঁত মাজি এইসব নিয়া ব্লগ। স্যার ডয়েলের মতো আমিও ভাবলাম ভালো কিছু লিখতে হবে। সুতরাং টুথপেস্ট মার্কা ব্লগ না লিখে গল্প লিখতে হবে।
বিস্তারিত»যখন মন মানেনা!!!
মনটা ভাল নেই………
কোনকিছুতেই মন বসছে না…
একটি ছেলের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে………
ছেলেটি জন্ম নিয়েছিল…নির্দিষ্ট সময়ের কয়েকদিন আগে-ই…
হয়তো বা সে কারণেই … কিংবা জন্মের সময়ে বাবাকে পাশে না পাওয়ার জন্য……কিংবা অন্য কোন কারণে………জন্মানোর সময় থেকে অনেকদিন পর্যন্ত তার ভ্রুঁ সবসময়ে-ই কোঁচকানো ছিল। সবাই বলতো…বড় হলে খুবই রাগী/বদরাগী হবে সে!!!
ধীরে ধীরে সে জানতে পারলো…তার জন্মদিনটা আসলে তার বাবা এবং মায়ের জন্যে দুইটি কারণে ভীষণ আনন্দের……
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন!!!!
আহমদ ভাইয়ের লেট করার রোমান্টিক স্টোরি পড়ে অনেকেই নিশ্চয়ই ভেবেছেন আর যাই হোক এইরকম ভুল পুরো দুনিয়া করলেও আপনি করবেন না। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা যা ভাবি হয় তার উল্টা। বিশ্বাস হচ্ছেনা? যদি এখনি প্রমাণ করে দেই যে আপনিও আপনার প্রিয় মানুষটির কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে বসে আছেন?
সুপ্রিয় সিসিবিবাসী, বলতেই হচ্ছে, আপনাদের দলে আমিও আছি। আপনাদের মত আমিও প্রিয়জনের বিশেষ উপলক্ষ্যের দিন ভুলে বসে আছি বেকুবের মত।
বিস্তারিত»লুভর মিউজিয়ামের এক ঝলক !!
(সিসিবির বাচ্চাদের জন্য সতর্কবানী: একটা ছবি ১৮+ হতে পারে। কোন আপত্তি থাকলে আমাকে জানালে আমি সরিয়ে ফেলব। )
প্রতি মাসের প্রথম রবিবার প্যারিসের মিউজিয়ামগুলো দর্শনার্থীদের জন্য ফ্রি। ফ্রি পেলে শুধু যে বাঙ্গালীই ঝাপিয়ে পড়ে তা নয়, বরং সারাবিশ্বই হুমড়ি খেয়ে পরে প্যারিসের জাদুঘরগুলোতে। তার মধ্যে লুভর মিউজিয়ামের লাইনটাই সবচেয়ে বড় নিঃসন্দেহে। এমন ফ্রি ডে তে নিরানন্দ বাসায় বসে কাটানোর কোন মানে হয় না।
বিস্তারিত»৭ই ডিসেম্বর ২০০৯ – একটি ব্যক্তিগত রোমান্স
৭ই ডিসেম্বর ২০০৯ – একটি ব্যক্তিগত রোমান্স
প্রারম্ভিকাঃ মহানায়ক উত্তম কুমারের সর্বশেষ ছায়াছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’-র কথা হয়ত এখনো অনেকেই মনে রেখেছেন। ছবিটি ছিল কমেডি ধাঁচের। খুব সম্ভবতঃ ‘মাই ফেয়ার লেডি’ মুভিটির অনুকরনে। সেখানে মহানায়কের স্ত্রী-চরিত্রের অভিনেত্রী (খুব সম্ভবতঃ) সাবিত্রী-র প্রতি খোঁচা মেরে উত্তমের একটি উক্তি আজ খুব বেশী মনে পড়ছে। ছবিটা অনেক বছর আগে দেখেছি। আবছা স্মৃতি হাতড়ে যা পেলাম তাতে মনে হয় উক্তিটা অনেকটা এরকম,
বিস্তারিত»মিষ্টি বিয়ার সময় পাবেন…
নাহ,ভাইজান আর আপামনিরা-টাইটেল পড়ে আঁতকে উঠবেন না প্লিজ!আপনাদের এই গরীব মাস্ফ্যুর ডায়ালগ এইটা না।আর আমার এই পোস্ট কোন জন্মদিন পোস্টও না,কাজেই যারা চোরের উপর বাটপারি করতে গিয়ে শেষ লাইন আগে পড়ে নেয়ার ধান্ধায় আছেন তাঁরা কিন্তু ধরা খাবেন বলে দিচ্ছি।
তেমন কিছু না,এই ছোট্ট লেখাটার উদ্দেশ্য ক্ষোভ প্রকাশ।আমাদের এক অতি পরিচিত বালক হঠাৎ করে আমাকে ভীষণ যন্ত্রনা করা শুরু করল।ফাজিলটা পড়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কিন্তু তার নাকি বায়োলজি লাইনে যাবার শখ(সিপি হাসান ভাইয়ের ডাক্তারি পড়ে একজন বড় ইঞ্জিনিয়ার হবার শখের মত)।আর তাই সে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংএ মাস্টার্স না-এক লাফে পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল।এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে প্রথম পিএইচডি প্রোগ্রাম খোলা হয়েছে এবং শত শত পোস্ট গ্র্যাজুয়েটধারীরা তাতে আবেদনও করেছে।বালকের আমার কাছে ঘ্যান ঘ্যান করার কারণ আর কিছুই না-যেহেতু আমি নসুর ইংরেজি ডিপার্টমেন্টে টিচিং এসিস্টেন্টশীপ করি(আগেই বলেছি-আমার মূল কাজ শিক্ষক চা খেতে চাইলে ক্যান্টিন থেকে তা নিয়ে আসা,উনার চেয়ার টেবিল মুছে ঝকঝকে করে রাখা ইত্যাদি ইত্যাদি) তাই এই বালকের ধারণা ওর স্টেটমেন্ট অফ পারপাজ বা মূল আবেদনপত্রে আমি চোখ বুলিয়ে দিলে নাকি এতে বেশ উন্নতি(?!) ঘটবে।এই ছেলের সাথে আবার আমার এক ছোটবোনের বেশ “ইয়ে”
বিস্তারিত»ডায়লগ মেলোডি ৩.০ (মির্জাপুরিয়ান ভার্সন)
(বহুদিন পরে আবার লিখতে বসলাম।লিখা বললে ভুল হবে বলা চলে স্মৃতিচারণ।)
ঘটনা ১ :
বাথরুমে আমার এক ব্যাচমেট দাঁড়িয়ে জলবিয়োগ করছিলো।সে দেখতে আবার বিশাল(প্রায় ৬’-২”)।এই সময়ে এক জুনিয়রও তার কাজে পাশে এসে শুরু করে দিলো।হঠাৎ কি মনে করে সেই জুনিয়র পাশে দাঁড়ানো আমার সেই বন্ধুকে বলে বসলো
“কাইন্ডলি ……. ভাই উকি দিয়েন না”
(সেই বন্ধু আজও বলে যে সে নাকি কোনো দিকে তাকায় নাই।জুনিয়র এম্নিতেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলো)
ঘটনা ২:
এই শিক্ষককে নিয়ে আমার ব্যাচমেট জিহাদ আগেও একটা পোস্টে বলেছিলো।আজ তার অন্য এক কাহিনি।
বিস্তারিত»যদিও সন্ধ্যা….
প্রথমেই একটা কাডেটজ্ঞান এর প্রশ্ন জিগ্গেস করি ।কাডেট কলেজ এ মেডেল পাওয়া সবচাইতে সহজ কোন খেলায়?
খেলার নাম টেবিল টেনিস(সিঙ্গেল);তিন জনের মধ্যে দুই জন মেডেল :tuski: কি মজা !!!!!
কাজটা করা অনেক সহজ।আমি আবার সহজ কাজ ছাড়া করি না।কারণ আমি নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে
ভালোভাবেই জানি।কিন্তু তাই বলে কলেজ লাইফে কি একটা মেডেল ও পাওয়া হবে না?অবশেষে
একদিন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে,যে ভাবেই হোক আমাকে মেডেল পেতেই হবেই,উপায় একটাই,
আজাইরা প্যাঁচাল ও কিছু কথা!!
ঈদের আগে আগেই শেষ করলাম একমাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং। এই বছরটার শুরুতেই জানতাম, এরকম একটা সুযোগ ভার্সিটি থেকেই করে দেয়া হবে। মনে মনে ভাবলাম, “যা বাবা, ক্লাস রুমে বইসা বইসা তো অনেক থিওরি কচলাইলাম… এইবার তো রিয়েল ফিল্ডে গিয়া সব শিখা ফালামু… মামা, পারলে ঠেকাও!!!”
যাই হোক, যথাসময়ে “ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে” হাজির হলাম। মনে অনেক আশা, দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, নামি দামি ইঞ্জিনিয়াররা এইখানে,
বিস্তারিত»ঘুম
সবাই হয়তো ভাবছেন, আমি এক একটা লেখা জমা দিয়ে বারবার ঘুমিয়ে পড়ি। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু সেরকম কিছু নয়। গত দেড়মাস সিসিবিতে আমার অনুপস্থিতি উরফে ঘুমানোর কারন দুটি। প্রথমত, দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপ নষ্ট থাকা আর দ্বিতীয়ত, একসাথে দুটি এ্যাপয়েন্টমেন্টে কাজ করার কারনে প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পার করা। যাই হোক এবার ঈদ পরবর্তী ছুটিতে এসে কিছুটা সময় বের করতে পারলাম। সিসিবিতে কিছু একটা লিখার জন্য দুদিন যাবত আমার আঙ্গুল চুলকাচ্ছে।
বিস্তারিত»জাপানের ভুঁড়ি আইন
মেটাবলিক সিন্ড্রোম- সরাসরি বাংলা করলে অর্থ দাঁড়ায়, বিপাকীয় লক্ষণ সন্নিপাত। চৌকষ বাংলা তবে সহজ কথায় বললে, বেশী খাওয়ার ফলে উদ্ভুত শারিরীক লক্ষণ সমূহ। বেশী খেলে স্বাভাভিকভাবেই প্রথম যে শারিরীক লক্ষণ আমাদের মনে আসে, তা হলো একটা নাদুস নুদুস ভুঁড়ি। মেটাবলিক সিন্ড্রম এক অর্থে এই ভুঁড়িটির দিকেই আঙ্গুল দেখায়। অনেকে হয়তো ভাববেন, ভুঁড়ি একটা অত্যন্ত নিরীহ শারিরীক লক্ষণ, তা নিয়ে আবার এত কথা কিসের। জাপানে দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আমি নিজেও এতদিন তাই মনে করে নিশ্চিন্তেই ছিলাম।
বিস্তারিত»অসংলগ্ন ভাবনাচিন্তা ……… হা পিত্যেশ পর্ব
বহুদিন হয় কোনো কিছু লেখা হচ্ছে না। আসলে লেখা তো দূরে থাকুক, সিসিবির পোস্টগুলো পড়ে ঠিকঠাক মতন কমেন্টও করা হচ্ছে না। দুই সপ্তাহ আগে মনে হয়, ছোট্ট রকিব মেইল দিয়ে বলেছিলো একটা লেখা দিতে। আসলে লিখতে কিন্তু খুব ইচ্ছে করে। বহুদিন ধরে একটা গল্পের প্লট মাথায় ঘুরছে, শব্দে রুপ দেয়া হচ্ছে না সেটাকে। মাঝখানে শখ হয়ে ছিলো অনুবাদ লিখবো। কিন্তু যে বইগুলো পড়ছি, সেগুলো সুন্দর করে অনুবাদ করার সাধ্য এবং ধৈর্য- দুইটারই অভাব আছে আমার মধ্যে।
বিস্তারিত»আড়াই চক্কর
একটা জীবন শেষ করলাম। ঘোরের মধ্যে ছিলাম, আছিও হয়ত। ভাল লাগাটা এই পর্যায়ে ছিল যে লোকনাথের দোকানে বসে ডালপুরি খাওয়া এক বালকের টক দিয়ে সালাদের মাখামাখিতেও আমার মুগ্ধতা ছিল, কিংবা দুপুর বেলাতে শুয়ে শুয়ে বিছানার পাশের জানালা দিয়ে আকাশে খাবারের খোঁজে পাক খাওয়া পাখিদের দেখাতেও। আফিসার্স ক্লাবের ছাদে বসে চানাবুট আর পিঁয়াজু চিবুতে চিবুতে এক ঝাক চড়ুইয়ের সাথে সখ্যতা, আকাশে তাদের কিচির মিচির আর একপাশে শীতলক্ষ্যা।
বিস্তারিত»দিনযাপন : কেটে যাচ্ছে, রক্ত ঝড়ছে না
এক. রোববার রাতে মামুনের বাসায় বন্ধুদের আড্ডা বসেছিল। রাত পৌণে বারটায় বাসা থেকে ফোন, “কোথায় তুমি?” বললাম, এখনও আড্ডায়। বললো, “শোনো, দেরি করো না। হাউজিংয়ের লোকজন এসে বলে গেছে, সাবধানে থাকবেন। বাসার পাহারাদারকে রাতে জাগিয়ে রাখবেন। হাতে লাঠি আর বাঁশি দেবেন। প্রায় প্রতিদিনই এখানে ডাকাতি হচ্ছে। এসব শুনে বাসায় সবাই বিশেষ করে আম্মা খুব টেনশন করছেন।” ঠিক আছে- বলে আমি বাসার লোকজনকে আশ্বস্ত করলাম। সাড়ে বারোটায় বাসায় পৌঁছেও গেলাম।
বিস্তারিত»আমার ফেরা
গত কয়েকটাদিন ধরে আমার মাথা ঠিকমতো কাজ করছেনা। হয়তো এর কারন আমি সারাক্ষণ কেনাকাটা আর গোছগাছ নিয়েই বেশি ভাবছি। ফ্লোরিডার সুদীর্ঘ
৫ বছরের পড়াশোনা আমার শেষ হয়ে এলো প্রায়। আর একটি মাত্র মাস, এরপর আমি ফিরে যাব আমার দেশে, আমার ভালবাসার দেশ, বাংলাদেশে! ও আমার মা,
আমার আমার প্রিয় জন্মভূমি, কবে আবার তোমার দেখা পাবো, পাবো তোমার স্নেহের স্পর্শ! কবে তমার বুকের শিশিরভেজা ঘাসের মাঝে হেঁটে বেড়াবো।