সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তীসম ক্রীড়াসাহিত্যিক মতি নন্দীর ভাষায়-“ভারতে কমপক্ষে এক কোটি ক্রিকেট পণ্ডিত আছেন যারা জীবনে কখনও ব্যাট-বল ছুঁয়ে দেখেননি”(অনন্ত জীবন)।১৫ কোটি লোকের দেশ বাংলাদেশে এই সংখ্যা কতটুকু আমি জানিনা-তবে আমার মত অধমকে যদি লিস্ট বানাতে বলা হয় তাহলে সে তালিকার প্রথমে থাকবে আমাদের স্বনামধন্য “ক্রিকেট পণ্ডিত”(!!??!) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি এ টি এম মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল।এই অভাগা দেশে জীবনেও বিসিএস পরীক্ষা না দেয়া সেনা অফিসাররা হন রাষ্ট্রদূত,সারাজীবন রেজিমেন্টাল লাইফের ধারেকাছেও না যাওয়া বুদ্ধিজীবীরা হন টক-শো এর মিলিটারি স্ট্র্যাটেজিস্ট এবং চোর-গুন্ডা-বদমায়েশ-বাটপাররা হন রাজনীতিবিদ(আমি এক্ষেত্রে আণুবীক্ষণিক সংখ্যক যোগ্য লোকদের বাদ রেখে বলছি)।নচিকেতার ভাষায়-
কোন এক উলটো রাজার উলটো বুঝলি প্রজার দেশে
চলে সব উলটো পথে উলটো রথে প্রজার শেষে-
আমরা কাপুরুষের দল উলটো পথে চলছি এবং উলটো রাজাদের পথের কাঁটা হয়ে না দাঁড়িয়ে পিঠ বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।কাজেই-এ ছবি নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা অন্ততঃ আমার নেই।কাজেই,খেলাই যার রুটি-রুজি সেই সাকিবের কথা বাদই দিলাম-নূন্যতম আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন কোন মানুষ এভাবে ক্ষমা চাইত কিনা সে প্রশ্নও আমি করছিনা।
খেলোয়াড়রা খারাপ খেললে জঘন্য ভাষায় আমিই সবার আগে গালি দেই-কিন্তু তার মানে এই না যে তাদের প্রতি আমার ভালবাসা নেই।তাই-সবার আগে নিজে কিছু করতে না পারার অক্ষমতাকে ধিক্কার দিচ্ছি।ধিক্কার দিচ্ছি মহাত্মন বোর্ড সভাপতিকে যিনি কিনা টেস্ট ম্যাচের দু’দিন আগে ভারতের সাথে সমানতালে লড়াই করা খেলোয়াড়দের মরালের কথা না ভেবে তাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি যদি তাঁকে এখন প্রশ্ন করি-কোন অধিকারে দ্বিতীয় টেস্টের দুদিন আগে খেলোয়াড়দের মানসিক প্রস্তুতিতে এভাবে আঘাত হানলেন তিনি? বুঝলাম যে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানেরা ঠিকমত খেলতে পারেনি,কিন্তু সেটা এভাবে না বলে নূন্যতম বিচক্ষণতার পরিচয় কি দেয়া যেতনা?
😕
x-(
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন... 🙁
আহসান ভাই,আপনি তো সাকিবকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন-প্লিজ ওকে ফোন করে একটু বলে দেবেন যে আমরা সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীরা ওদের কতটা ভালবাসি।এইসব গরু-ছাগল টাইপ লোকের কথায় যেন ওরা কান না দেয়।
আপাতত ফোনটা বন্ধ পাচ্ছি...। কিন্তু কথা অবশ্যই বলবো...।
আমি এই খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান। খবরটা "কালের কন্ঠ" ছাড়া আর কোন পত্রিকায় আসেনি। এক কালের কন্ঠ এটাকে নিয়ে একাই তিনটা নিউজ করেছে অথচ অন্য কোন পত্রিকা এব্যাপারে কিছুই লেখেনি। যেহেতু ছবিটা সাংবাদিক সম্মেলনে তোলা তাই ধরেই নেয়া যায় সব সাংবাদিক এই দৃশ্য দেখেছে । অথচ খবরে কোথাও বলা নেই যে সাকিব কি বলে ক্ষমা চেয়েছে । তাই আরো সন্দিহান হলাম বেশি করে। আহসান ভাই যদি ব্যক্তিগত ভাবে সাকিবকে চিনে থাকেন তাহলে সবচেয়ে ভাল হয় যদি খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। সাকিব যে এত অপমানজনক ভাবে ক্ষমা চাইতে পারে এটা আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করতে চাই না।
ক্রিকেটাররা প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাট করতে না পারলেও চট্টগ্রাম টেস্টের পারফর্মেন্স নিয়ে আমি খুব বেশি হতাশ নই। ৯ নম্বর দল হিসাবে আমাদের কিছু লিমিটেশনতো অবশ্যই আছে এবং সেটা থাকবেই । আমরা অস্ট্রেলিয়া টিম নই যে ব্যাটিং খারাপ হলে বোলিং দিয়ে বা বোলিং খারাপ হলে ব্যাটিং করে জিতে যাব। এখনও বাংলাদেশকে টেস্ট জিততে হলে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগে এক সাথে শাইন করতে হয়। আর সেটা যে প্রতি ম্যাচে হবে না এটা আমরা সবাই বুঝি।
ভাই খবরটা কালের কণ্ঠ ছাড়াও বেশ কয়েকটা পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলে এসেছে।সাকিবকে প্রাণের হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে গুজব শোনা যাচ্ছে-তবে সেটা গুজব হবারই কথা।তবে কি পরিমাণ প্রেশার প্রয়োগে প্রতিবাদী কণ্ঠ থেকে একেবারে পায়ে ধরে মাপ চাওয়ানো হয় সেটা লোটাস সাহেব যে বাংলাদেশের জাত পলিটিশিয়ানের মত ভালই রপ্ত করেছেন তা এই ছবিতে অন্ততঃ পরিষ্কার।
বিডিনিউজ২৪ এ যে খবর দেখলাম সেখানে বিসিবি সভাপতি ক্রিকেটারদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেখলাম। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটা ( যেটা সাংবাদিক সম্মেলনেই ঘটল, তাও আবার সবার সামনে পা ধরে !!!!) তো উল্লেখ পেলাম না। ক্ষমা চাইতে হলে হয়তো মুখে বললেই হতো, এমনকি ব্যাপার ঘটল যে সাংবাদিকদের সামনে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হলো ??
আমরা "কান নিয়েছে চিলে"র পেছনে ছুটছি নাতো ?
বেশিরভাগ নিউজপেপারই এটা ছেপেছে, কিন্তু কালের কন্ঠ ছিল সবার থেকে এগিয়ে, আমি অন্তত তাই মনে করি। প্রথম আলো কিভাবে এটা মিস করল আমার মাথায় ঢুকতেছে না 😡
নিউজ তো দেখি ক্রিকেটারদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সভাপতি। তাহলে ক্ষমা চাওয়ার নিউজটাতো কালের কন্ঠ ছাড়া দেখছি না কোথাও।
এইবার আপনার পয়েন্টটা বুঝতে পারছি বস
ইত্তেফাকেও "সংবাদ সম্মেলনে উত্তেজনা" বা কাছাকাছি শিরোনামে ছাপা হয়েছে খবরটা।
Even there was an incident in DU last year december, where some student leader harassed a teacher, but unfortunately many great dailies like Prothom-Alo & Daily Star missed....I am at a fix!!!
পরে ডিটেইলস বলব । আপাতত এটুকু বলে যাই বাংলাদেশে ঠিক জায়গায় ঠিক লোকের অভাব । সাকিবদের জন্য কষ্ট মেশানো শুভকামনা ।
আপনার আর সম্ভব হলে ফারহান দাউদ ভাইয়ের কমেন্ট পাইলে খুব ভালো লাগতো
ধিক্কার জানাই এই তথাকথিত বোর্ড সভাপতিকে।
মাস্ফ্যুদা, সংবাদের লিঙ্কটা কি পাওয়া যাবে?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কালের কণ্ঠে দেখ।আমি নিছি সামুর একটা ব্লগ থেকে(এইটা নিয়ে ইতোমধ্যে ৪-৫টা ব্লগ অলরেডি চইলা আসছে ওইখানে)
http://www.facebook.com/note.php?created&&suggest¬e_id=266133017614 এইটা দেখ
মাসরুফ, খবরের সত্যতা একটু যাচাই কর। খবরটা শুধু কালের কন্ঠতেই এসেছে। এমনকি এক কালেরকন্ঠতে এই নিয়ে তিনটা খবর এসেছে অথচ অন্য কোন পত্রিকা সামান্য ছোট করেও খবরটা ছাপেনি তা বিশ্বাস হতে চায় না। আমি খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দিহান।
ভাই মোটামুটি দুই তিনটা টিভি চ্যানেলে আর কয়েকটা পত্রিকায় আসছে খবরটা।আর ছবি যেটা আছে সেটাও ফেইক বলে মনে হলনা-সাকিব হাত তুলে প্রশ্ন তুলছে সেই ছবিও আছে।মাইক তুলে প্রশ্ন করার পর ওভাবে পা ধরে ক্ষমা চাওয়াটা (সেটা যে কারণেই হোক কোন) যে কোন মানুষের জন্যেই অসম্মানজনক-এবং স্বাভাবিক নয় মোটেই।খবরটা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এই মাত্র বিডিনিউজ২৪ডটকম,ইত্তেফাক আর জনকণ্ঠে আমি নিজে দেখেছি খবরটা।মনে হয় প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলোর মধ্যে শুধু প্রথম আলোতে আসেনি।
বিডিনিউজ২৪ এ শুধু নিউজ ক্রিকেটারদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সভাপতি। ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে কিছু নেই।
thik mashruf... nice post..just ekta jinish eishob lokra konodino mathe na neme professoinalism er kotha bole..they say bd team ke every match jitte hobe...amr to mone hoi india/pakistan/english board o ei typ kotha bole na...ashole thing is jader dour ludu..caramboard ..and cards khela porjonto tader to mone korai shavabik je cricket eo mone hoi jita kono bepari na...ar taasara shotti kotha bolte ei dol hok r shei dol hok amader position same...ami amader bolte bujhai shobai ke... we r nuthing but slaves to these two political parties...amader cricket team...govtment officers... army officers ...normal cittizens amader functions ki??? to serve these POWERFUL half literate murderer criminal politicians...sry i dont have ne options left except generalizing.these ppl....in every profession we come to serve our country but actually we end up being these ppl's slave...and if we ever protest thier wrong doings wat options we have...losing our job...respect...or sumtyms getting killed in a bizzare way and that also goes unpunished...or do what ne person who has to take care of thier families have to do...beg for forgiveness wat sakib does.... he doesnt have ne fault..if we were in his position may be we would have done the same but i think after seeing this pic we should be ashamed to call our self liberated ppl..coz we are not...we are still the slaves ..may be this tym our masters are not foreign but their way of rulling us is still the same..neway leave it we cant change nething...we just have to get used to seeing pictures like this...
মুখ খারাপ করতে ইচ্ছে করছে। লোটাস শালা তো শেবাগেরও অধম। ওরে খোলা মাঠে জুতানো দরকার।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
লোটাস এর পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে নিজ থেকে পদ ত্যাগ করার মত নীতিবোধ কারো কোনকালে ছিল না। এখনো হয়নি।
এটা কি দেখলাম !
লোটাস কামালরা তো বাংলাদেশের মালিক।এদের কথা বাদ দিলাম।
সাকিব এটা কি করল !
আমি তাকে আত্মসম্মান জ্ঞ্যান সম্পন্ন একজন মানুষ ভাবতাম।
ওর আত্মসম্মান আছে বলেই লোটাসের বিপক্ষে কথা বলতে পেরেছিল। যেভাবে বললা তাতে মনে হয় বাংলাদেশের অবস্থা ভুলে গেছ। এখানে ক্ষমতাই সব।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা ভুলে যাইনাই বলেই বললাম
লোটাসের মত লোকদের কাছে মাথা তুলে আবার কিছুক্ষন পরে মাথা নামায় নেয়াটা আমি আমার হিরোদের কাছে কখনোই আশা করতে পারিনা।
ভাইরে পানিতে থেকে কুমীরের সাথে বিবাদ করতে কে চায় বল?
অযোগ্য লোকের হাতে ক্ষমতা দিলে এই হয়। সাকিবের অবস্থাটাও মনে হয় এখন নাজুক হয়ে গেলো। এমন দূর্দান্ত পারফরমারকেও যদি হাফ-লিটারেট একজন অযোগ্যের সামনে এভাবে ঝুঁকতে হয়...! হায়!
আমার মনে হয় দুইদিন পরে বাংলাদেশ টিমের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো হবে। তার দায়ভার কি লোটাস কামাল নিবে?
লোটাসদের কথার অভাব কোনদিন হয়না। দায়িত্ব ও নিবে চিন্তা করিস না। খেলা খারাপ হলে বলবে আমি তো বলেছিলাম এদের কমিটমেন্ট এর অভাব আর ভাল হলে বলবে আমি এই জন্যই ওদের একটু গিয়ার দিলাম। আল্লাহ কবে আমাদের একটু ভাল নেতা দিবেন সবক্ষেত্রেই।
🙁
Life is Mad.
x-(
কি বলবো বুঝতেছিনা... :-/ :-/
বুলশিট লোটাস।
আশা করি,আমাদের টাইগার রা পরের ম্যাচটা ভাল খেলে এই আচরণের একটা দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে
x-(
এখন শুধুই লোটাস কামালের পদত্যাগ চাই, আর কিছু না x-(
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
ছবিটা দেখে খুব কষ্ট লাগলো।
ছবিটা দেখে যে কি খারাপ লাগছে বোঝাতে পারবোনা। সাকিব এভাবে ক্ষমা না চাইলেই হত। তাকে তো টিম থেকে বাদ দেয়া সম্ভব না। আর যদি বাদ দেয়, সাপোর্টাররা আন্দোলন করত। সাকিব আমাদের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। ঐ লোটাস কামালরে তো গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া উচিত। ভাই অকথ্য কিছু গালি আসতেসে মুখে......
লোটাস কামালকে বরখাস্ত করা দরকার।সাথে কতগুলা ফ্রন্টরোল দেওয়ানো লাগবে। :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
ভাই অলমোস্ট সব পেপারেই তো দেখলাম 😕
ক্ষমা চাওয়ার খবর কোথায় ?? লিংক দাও ।
মান্নান ভাই,
যে ছবিটা দেখলাম সেটাতে লোটাসের পায়ের কাছে সাকিবকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে-ভংগীটাও বলে দিচ্ছে ক্ষমা চাওয়ার কথা-বিশেষ করে একটু আগে যখন সাকিব প্রতিবাদ করল(প্রতিবাদের খবর মোটামুটি সব পেপারেই এসেছে)ঠিক তার পরে এমন ছবি মনে হয় ভাইয়া অমনটাই নির্দেশ করে।ইত্তেফাকে গতকাল(২৩ জানুয়ারি) যে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে তাতে শেষের দিকে ক্ষমা চাওয়ার উল্লেখ আছে-যদিও বিস্তারিত ছাপেনি।
http://ittefaq.com.bd/content/2010/01/23/news0314.htm
ক্ষমা চাওয়ার খবরটা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলেই মনে হচ্ছে-শওকত ভাই বা লাবলু ভাই হয়তো আসল খবর বলতে পারবেন।
অফ টপিক- সামুতে আপনাকে ভিন্ন নিকে দেখলে খালি দুষ্টামি করতে ইচ্ছা করে 😛
মান্নান ভাই
গুনে দেখলাম, এই পোস্টে এখন পর্যন্ত আপনি ৬টা মন্তব্য করেছেন সবগুলোর মূল বক্তব্য হচ্ছে `কালের কন্ঠে প্রকাশিত ক্ষমা চাওয়ার খবরের সত্যতা নিয়ে আপনি সন্দিহান।'
পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে ইচ্ছে করেই আমি এই পোস্টে মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলাম। কিন্তু যে খবরের সত্যতা নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলছেন সেটা প্রকাশের সাথে আমারও কিছুটা সংশ্লিষ্টতা আছে বলে কিছু কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি।
এরমধ্যে বিন্দুমাত্র মিথ্যা নেই। সাকিব-কামালের বাগ-বিতন্ডা হয়েছে হোটেল সোনারগাওয়ে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে,সেখানে দেশের বেশির ভাগ পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম আলো ছাড়া প্রায় সব কাগজেই খবরটি এসেছে। প্রথম আলো কেন দেয়নি সেটা তারা জানে।
ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এর পরে। তখন প্রেস কনফারেন্স শেষ করে বেশির ভাগ পত্রিকার ফটোগ্রাফার এবং সাংবাদিক ফিরে এসেছেন। কারন এর পর পরই আশরাফুলের বাসায় টেন্ডুলকারের দাওয়াত ছিল এবং কেউই সেই বিশেষ মুহূর্ত মিস করতে চায়নি।
ছবিটি কালের কন্ঠের যেই ফটোগ্রাফার তুলেছেন শুধু তিনি তখনো রয়ে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানস্থলে, এবং তার দূর্ভাগ্য এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে তাকে।
আশা করি বেশির ভাগ পত্রিকা ছবিটি পায়নি কেন বুঝতে পারছেন।
তারপরেও পাঠক হিসেবে আপনি এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন, তবে সে প্রশ্নে বাংলাদেশ ক্রিকেটের লজ্জা কমবে না।
আমি খুব বেশি দিন হয়নি ক্রীড়া সাংবাদিকতা করছি, তবে এখনও এতোটা অসৎ হয়ে যাইনি যে চোখের সামনে কোন মিথ্যা কিছু লেখা হবে আর সেটা মেনে নিয়ে কাজ করে যাব।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমার মনে ক্ষীণ আশা ছিল যে মান্নান ভাইয়ের আশঙ্কা হয়তো সত্যি-অন্ততঃ আমি তাই হলে খুশি হতাম(কামরুল ভাই প্লিজ রাগ করবেন না-একজন ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে আপনিও সম্ভবত খবরটা অতিরঞ্জিত হলে খুশি হতেন)।
কিন্তু না-এখন আমরা সন্দেহাতীতভাবে জানি খবরটা সত্যি।
এই লজ্জা আমাদের বহন করতে হবে।যে সাংবাদিক ভদ্রলোক এই ছবি তুলে লোটাসের মুখোশ উন্মোচন করেছেন তাঁকে ধন্যবাদ।
লোটাস কামালের প্রতি আরো একবার ঘৃণা আর ধিক্কার।
অফ টপিক- কামরুল ভাই,আশরাফুলের বাসায় টেন্ডুলকারের দাওয়াতের ছবির লিঙ্ক দেবেন ভাইয়া একটু কষ্ট করে?
লোটাস কামালকে ধিক্কার। কামরুল ভাইকেও ধন্যবাদ পেশাদারিত্বের বাইরে এসে আরেকটু ডিটেইল ভাবে খবরটা জানানোর জন্য।
কামরুল তোমার নব্য সাংবাদিকতা পেশার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আমি সত্যিই খুব দু:খ পাব। এমন ঘটনা পুরো বাংলাদেশের জন্যই লজ্জাজনক নি:সন্দেহে। ব্যাপারটা সাকিবের জন্য আরো বেশি দু:খজনক।
আমার মন্তব্য সংখ্যাগুনে তুমি কি বোঝাতে চেয়েছ আমি বুঝিনি। যে জিনিসটা আমার বুঝে আসেনি তাহলো উপমহাদেশে আমরা সবাই ম্যাচ হারলে কমবেশি ক্রিকেটারদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলি। এটা কমন উপমহাদেশিয় কালচার। এমনকি সাকিবের উত্তরও গতবাঁধা উত্তর। এটা নিয়ে হয়ত সাময়িক উত্তেজনা হতেই পারে। সাকিব বেঁফাস কথা বলে থাকলে ক্ষমাও চাইতে পারে। সামনা সামনি বলে ক্ষমা চাইতে পারে, ফোন করে ক্ষমা চাইতে পারে, এমনকি সাংবাদিক সম্মেলনেও ক্ষমা চাইতে পারে। কিছুই সম্ভব না। কিন্তু লোটাস কামাল যতই ক্ষমতাবান হোক, সাকিবকে তার পায়ের কাছে বসে ক্ষমা চাইতে হবে এমন পরিস্থিতি হলো এবং সেটা কোন পত্রিকাতে এলো না এটাই আমার সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে।
আর ব্লগিং এর যুগে "চিলে কান নেয়া" র ঘটনাও কম দেখিনি। হমপগ্র নামে এক ব্লগার (সেও মনে হয় সাংবাদিক, আমি শিওর না ) বিডিআর বিদ্রোহের রাতে তার মামার মুখে ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেছিল যে বিডিআর চিফ কোন অফিসারের পিস্তল কেড়ে নিয়ে বিডিআর সৈনিককে গুলি করেছিল। এই গুজব তখনকার প্রেক্ষিতে পুরোপুরি সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত। আমার কমনসেন্স দিয়েই আমি জানি প্লেনল্যান্ডে কোন অফিসার গান ক্যারি করে না। আমি তখনই এর প্রতিবাদ করেছিলাম এবং সেই ব্লগার পরে স্বীকার করেছিল যে সেটা ভিত্তিহীন ছিল। সেই ঘটনা ব্লগিংএর "চিলে কান নেয়া" একটা উদাহরন মাত্র।
বাংলাদেশের অধিকাংশ পত্রিকাই কোন না কোন দলের পরিচয় বহন করে। কালের কন্ঠ পত্রিকা আমি পড়িনা। এমনকি এটাকে আমি মেইন স্ট্রিম পত্রিকা বলে মনেও করি না (যেহেতু আমি অনেকদিন দেশের বাইরে তাই এটা সম্পর্কে অজ্ঞতাও একটা কারন হতে পারে । অন্যান্য খবর বাদ দিয়ে যখন শুধু একটা মাত্র পত্রিকায় এধরনের ছবি ছাপা হয় ( এমনকি ছবির ক্যাপশনটাও কোলাজ কোলাজ ভাব) তখন সেটা নিয়ে সন্দেহ করাই সমীচিন মনে হয়েছে। আর যখন জানতে পেরেছি যে আহসান ভাই ব্যক্তিগতভাবে সাকিবের সাথে পরিচিত তখন তার কাছ থেকেই আসল ঘটনা জানাটা বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়েছে।
তথ্য যেখানে সহজলভ্য, সেখানে তা যাচাই করে নেয়ার দায়িত্ব নিজের উপরেই বর্তায়।
[ অফ টপিক: সাকিব মাগুরার ছেলে, আমিও মাগুরার ছেলে। কোন এক আন্ত: মহল্লা ম্যাচে ["দোয়ার পাড়" মহল্লার মনে হ্য়] এক ক্ষুদে কিশোর ছেলে আমাদের মহল্লার টিমকে ধসিয়ে দিয়েছিল ফাস্ট বল করে। অনেক পরে জানতে পেরেছিলাম এই সেই সাকিব। ভয়ংকর সেই ক্ষুদে ফাষ্ট বোলারটার অপমান মোটেই ভাল লাগেনি।]
আপনার মতো বুদ্ধিমান এবং সচেতন মানুষরা আছে বলেই দেশটা এখনও টিকে আছে।
অনেক ধন্যবাদ।
অফটপিকঃ
১।
আহসান ভাইয়ের কাছ থেকে আসল সত্যটা জানতে পারলে কষ্ট করে আমাকেও একটু জানাবেন প্লিজ।
২। মেইন স্ট্রিম পত্রিকার সংগাটা জানিনা। জানতে পারলে ভালো লাগতো।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমি ছোট মানুষ,প্লিজ আমার কথায় কেউ দয়া করে বেয়াদবী নেবেন না।কালের কন্ঠ যে নতুন একটা মূলধারার পত্রিকা হিসেবে অল্প কিছুদিন আত্মপ্রকাশ করেছে মান্নান ভাই সম্ভবত খেয়াল করেননি।পত্রিকাটি যে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বাজেটের পত্রিকাগুলোর একটি হিসেবে সদ্য মূল ধারায় প্রবেশ করেছে এটা হয়তো কোনভাবে ভাইয়ার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে।
দেশ টিকিয়ে রাখার মত গর্বের কাজ বোধ হয় আমার না। আমার ল্যাবের মধ্যে খুটখাট করার কথা, তা বাদ দিয়ে অযথা ব্লগে কমেন্ট করি।
১ আমি মাসরুফের কমেন্টের মাধ্যমেই জেনেছি আহসান ভাই ব্যক্তিগত ভাবে সাকিবের পরিচিত। তাই সেখানেই ব্যাপারটার সত্যতা জানতে চেয়েছি। আমি গোপনে বা পারসোনালি জানতে চাইনি, ব্লগেই জানতে চেয়েছি । তাই আমি জানলে কামরুলও জানতে পারবে।
২ "কালের কন্ঠ" নিয়ে আমি আমার অজ্ঞতার কথা কামরুলের উত্তরের আগেই জানিয়েছি।
সকালেই দেখেই একটু অতিরঞ্জিত বলে মনে হয়েছিল। তাই চুপ ছিলাম। ইনফ্যাক্ট ছবিটা দেখেও আমার হাত জোর করে মাফ চাচ্ছে টাইপ কিছু মনে হয়নি। একটা সারটেইন মুহুর্ত ক্যামেরাম্যান ধরে ফেলেছেন।
আসল খবরটা কামরুল ভাইয়ের কাছে জানা যাবে নিশ্চয়ই।
লোটাস কামাল সোফায় বসা আর তার পায়ের কাছে সাকিব হাত জোড় করে বসে কথা বলছে(একটু আগে যে কিনা নিজেই মাইক কেড়ে নিয়ে প্রতিবাদ করেছে সেই সাকিবই)।
যতদূর জানি লোটাস কামালকে সাকিব পীর-ফকির-দরবেশ মনে করেনা।এভাবে বসে থাকাটা তাই আর যাই হোক,"একটা সারটেন মোমেন্টে ক্যামেরাম্যানের ধরে ফেলা" টাইপ কিছু আমার কখনওই মনে হয়নি।অবশ্য ভিন্ন দৃষ্টিভংগী থাকতেই পারে।
কামরুল ভাইয়ের মন্তব্যের পরে এই খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ সম্ভবত অন্ধ হয়ে প্রলয় বন্ধ করার চেষ্টারই নামান্তর হবে।আমি বলছিনা যে খবরের সত্যতা স্বীকার করে বা ব্লগে এসে রাগ উগড়ে দিয়ে খুব বীরোচিত কিছু করেছি আমরা কেউ।তবে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের চরিত্র জানার পরও তাদের এই "কীর্তি" হয়েছে কি হয়নি সে প্রশ্ন উথাপিত হতে দেখে একটু অবাক হলাম।
না আসলে মনে মনে চাচ্ছিলাম এমন কিছু হয়নি তা কেউ এসে বলুক। সিরিয়াসলি। লোটাস কামাল কেমন শুওর তা আমিও জানি। ভুল বুইঝেন না।
🙁 বিশ্বাস কর,খবরতা মিথ্যা আর অতিরঞ্জিত হইলে আমি নিজে খুব খুশি হইতাম।ভুল বুঝিনাই,ধুস!
অফ টপিক-বোমাবাজ আমাকে আজকে কল দিছিলো-বাইরে থাকায় ঠিকমত কথা বলতে পারিনাই।বাসায় আইসা কল দিতে যাব,দেখি রাত হইয়া গেছে।ও জেগে থাকলে ফোন কইরা বলিস যে মাস্ফ্যু ভাই সরি বলছে আর কালকে অবশ্যই ফোন দিবে।
রক্তের জন্য মনে হয়।
আমারও এমনটাই মনে হয়েছিল প্রথমে দেখে। আমিও আশা করছিলাম খবরটা মিথ্যা হোক। খবরটা মিথ্যা হলে ভাল লাগবে দেখে সারাদিন পোষ্টটার উপর নজর রাখছিলাম। নজর রাখতে গিয়েই ছয়টা কমেন্ট করে ফেলেছি। এই যাহ্ এই নিয়ে ৮ টা কমেন্ট হয়ে গেল এই পোষ্টে 😛
আমার মনে হয় কিছু একটা করতে পারে আমাদের খেলোয়াড়েরা।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে দেখলাম,আইসিসি যদি এটি জানে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে তাহলে বোর্ড মিটিং থেকে লোটাস কামালকে বহিষ্কার করা হতে পারে।লোটাস কামালের বিরুদ্ধে ফর্মালি অভিযোগ আনার সুযোগ আছে বলেই মনে হচ্ছে রিপোর্টটি পড়ে
হিন্দুস্তান নিজস্ব কোন সূত্র দেয়নি, "কালেরকন্ঠ" কে সূত্র হিসাবে বর্ণনা করেছে মাত্র।
*হিন্দুস্তান টাইমস
হিন্দুস্তান টাইমসকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করিনি-ঘটনা ঘটে থাকলে(কামরুল ভাইয়ের কমেন্টের পর মনে হয়না সন্দেহের কোন অবকাশ আছে) আইসিসি তার কি প্রতিকার করতে পারে এটি নিয়ে ওই আর্টিকেলের শেষে উল্লেখ আছে।
আজকের প্রথম আলোতে সাকিব এবং লোটাস কামাল দুজনেই ঘটনা অস্বীকার করেছে। দুজনের মধ্যে নাকি দলের ভালোর জন্য আর কি কি সাহায্য বোর্ড করতে পারে তা নিয়ে শুধু কথা হয়েছে।
😀 😀 হ্যা,সাকিবরে পায়ের কাছে বসাইয়া "দলের ভালো" নিয়া আলাপ হইছে
বাংলাদেশ ১৪১/৭।বুঝতে পারছিনা এগুলো কি হচ্ছে।কামাল সাহেবের কথার প্রভাব এটা নাকি ঘটনা আসলেই সত্য? আউটগুলো দেখে কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছিনা 🙁
মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)
জানুয়ারি ২৪, ২০১০ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ন |
"":D 😀 হ্যা,সাকিবরে পায়ের কাছে বসাইয়া “দলের ভালো” নিয়া আলাপ হইছে""
দলের ভালো নিয়া আলাপ করার ফল এই টা...আর কিছু না............।
পিছনের ঘটনা বুঝার চেষ্টা করছি। দল খারাপ করলেই যেহেতু কাটা ছেড়া হয়, তবুও একটু সময় দেয়ার পক্ষপাতী। আপাতত টিম সিলেকশন আর আগের দিন সিডন্সের কথার ফারাক দেখে অবাক হয়েছি। ডিডোর মত সিডন্সকেও মনে হয় ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে অথবা সিডন্স একজন প্রথম শ্রেণীর হিপোক্রেট । বুঝতে পারছি না। আজকের খেলার অবস্থা দেখে মনটা খুব খারাপ। নাহ খেলার স্কোর শুধু এর পিছনে নিয়ামক নয় আড়ো কিছু ব্যাপার রয়ে যায়। সেগুলো হয়তো কূট মনেরব ভাবনা হতে পারে। শুধু এটুকু মনে করতে পারি বুলবুল আকরাম কে সরিয়ে দুর্জয়কে ক্যাপ্টেন করাতেই সব সমস্যার সূত্রপাত।
😕 ইয়ে বস, ইট্টু বেশি অতীত হয়া গেলনা? যাই হোক,আপনার ডিটেইলস মন্তব্যের অপেক্ষায় আইজুদ্দিন হয়া বইসা রইলাম :shy:
পেপার মারফত জানতে পারলাম লোটাস কামাল নাকি সকালে এসে নির্বাচকদের বলেছে রকিব আর আশরাফুলকে বাদ দিয়ে টিম বানাতে। পরবর্তীতে নির্বাচকরা তাকে বুঝিয়ে একটা মাত্র পরিবর্তন করেছে। সিডন্স মনে হয় খুব একটা কিছু প্রভাব রাখতে পারছে না যদি এটা সত্য হয়। পেপারের খবর কোনটা যে বিশ্বাস করব আর কোনটা করব না এখনো বুঝে উঠতে পারি না।
নাঈম কে কেন অন্তর্ভুক্ত করল বুঝলাম না। দুর্জয় ক্যাপ্টেন হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার এর কারসাজিতে। দুর্জয়ের আওয়ামী ব্যাকগ্রাউন্ড আছে।
থ্যাংক দোস্ত, পয়েন্ট সেটাই ছিল। দুর্জয়ের খেলোয়াড়ি মান নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নাই। কথা হইলো সে যে প্রকিয়ার মাঝে দিয়ে হইছিলো সেটাই ভালো লাগে নাই। খেলার সাথে রাজনীতি ঢুকায়ে ফেলা হইছে।
এবার মাস্ফ্যু , আমার ভাবনা বলি, আকাশ হয়তো এর পিছনে অন্য কোন ব্যাপার মনে করতে পারে কিন্তু সত্যি বলতেসি একেবারে ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শাহরিয়ারকে বদলানোর ব্যাপারটা দুঃখজনক। এজন্য বলছি শাহরিয়ার খারাপ খেলেছে এটা মানি। তাকে বাদ দেওয়াও যেতে পারে আবার রাখাও যেতে পারে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এক ম্যাচের পর যে কাউকে ছেটে ফেলার বিরুদ্ধে। দেখলাম সিডন্সও তাই বলেছেন। শাহরিয়ারের জন্য একটা জায়গা রাখা যায়। তারপরেও যখন সুযোগ পেল না অতএব বলা যায় সিডন্সের কর্তৃত খর্বিত। তারপরেও কথা থাকে যদি তার পরিবর্তে পারফরমার কাউকে সুযোগ দেয়া হয় যেমন নাইম, কিন্তু না তার জায়গায় এলেন জুনায়েদ!!!! যে দল থেকে বাদ পড়লেন তার পর কোন পারফরম্যান্স ছাড়াই চলে এলেন বাকিদের অপারগতায় (এ মর্মে বিখ্যাত জাভেদ ওমর থিওরী মনে পড়ে, বাকিরা খারাপ খেরললে জাভেদ চান্স পান।)। আমার কথা দলে ঢুকতে পারফর্ম করতে হবে এটা কি শুধু আইসিএল ওয়ালাদের জন্য? বাকিদের জন্য অন্যদের অপারগতায়ই যথেষ্ট? আর শাহরিয়ারকে কাদের ইশারায় বাদ দেয়া হলো???
এ প্রশ্নের জবাব বের করা দরকার। বিশ্বাস করতে মন চায় না তবুও সন্দেহ উকি দেয়, রাজনীতির প্রভাব দল নির্বাচনেও কি পড়ছে????
দুর্জয় আওয়ামী ব্যাক গ্রাউন্ড তাই বিএনপি এসে কারণ ছাড়াই ওকে বাদ দেয়। সেই নোংরামির জের কি এখনও চলছে?
ফারুক বিএনপির সময়কার নির্বাচক। তার কাজিন ঃওয়ার কারণে কি শাহরিয়ারের প্রতি বিদ্বেষ? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমাদের কখনও জানা হবে না।
ভাই নাইমরে নাকি মাঠে নামানোর জন্য নেয় নাই।জাতীয় লীগ এ নাইমের আর ম্যাচ নাই।তাই নেক্সট ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত নাইমকে টীম এর সাথে রাখার জন্য নিছে।
কোন পেপারে দেখলাম ঠিক মনে করতে পারছি না তবে দেখছি।
মাসরুফ, সাকিবের মাফ চাওয়া নিয়ে তোমার এই পোষ্টের বক্তব্য মিথ্যা হলেই খুশি হতাম। 🙁
উপরের বক্তব্যের প্রতি তোমার একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। বিসিএস পরীক্ষায় কি কি প্রশ্ন আসে একটু কি বলবে? আর কোন কোন ক্লাসের বই পড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয় বলতো। আমি যতদূর জানি বিসিএস এ তো MCQ প্রশ্ন আসে, এটা কি ঠিক? আবার প্রশ্নপত্রতো মনে হয়, বাজারেও কিনতে পাওয়া যায় মাঝে মাঝে (যার কারনে অনেকসময় পরীক্ষাও বাতিল করা হয়)। অপরদিকে একজন সেনা অফিসার হতে হলে একজন সাধারন ছাত্রকে (নন ক্যাডেটকলেজ ষ্টুডেন্টকে) প্রিলিমিনারী মেডিক্যাল, লিখিত, আই এস এস বি, ফাইনাল মেডিক্যাল, ফিজিক্যাল, সুইমিং সহ মোট কতটি পরীক্ষা দিতে হয় বা ধাপ পার হতে হয় তা জানো নিশ্চয়ই। শুধুমাত্র ভাল ছাত্র হলেই সেনা অফিসার হওয়া সম্ভব হয়না, পাশাপাশি চাই বুদ্ধিমত্তা, সাহস, স্মার্টনেস, ইংরেজী বলার দক্ষতা, শারীরিক যোগ্যতা সহ উন্নত নেতৃত্বদানের ক্ষমতা।
একজন সেনা অফিসারের চাকুরী সাধারনত ২৮-৩০ বছর হবার পর তাকে মেজর জেনারেল/লেঃ জেনারেল পদে রাষ্ট্রদূতের পদে অভিষিক্ত করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এই দীর্ঘ চাকুরী জীবনের মধ্যে তিনি পিএসসি, এনডিসি, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, এলডিএমসি সহ অনেকগুলো কোর্স কোয়ালিফাই করেন যার মাধ্যমে তিনি ডিফেন্স ষ্ট্রাটেজী সহ আরো অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেন। এক্ষেত্রে বিসিএস কিভাবে যোগ্যতার মানদন্ড তা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এসএসএফ এ ডিপিসি (ডিগনিটরী প্রটেকশন কোর্স) করার সময় অনেক তথাকথিত বিসিএস পাশ করা পুলিশ অফিসারের সাথেই কোর্স করেছি, যারা কিনা ইংরেজীতো দূরের কথা, বাংলাটাও ঠিকমতো বলতে পারেনা। উনারা নাই আইজিপি পর্যন্ত প্রমোশন পাবেন কনফার্ম, কারন প্রচুর ভ্যাকেন্সী...। আর এদিকে বর্তমানে ৩৫% সেনা অফিসাররা মেজর থেকে লেঃকর্ণেল হচ্ছেন, ৬৫% ঝরে যাচ্ছে মেজর পদেই, কারন ভ্যাকেন্সী নাই...। এত কম্পিটিশন করে যেখানে চাকুরী করে উপরে উঠতে হচ্ছে তারপরও যখন যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে তখন খুবই আফসোস লাগে। কারো মনে আঘাত দিয়ে থাকলে দুঃখিত।
আমি এটা বলছিনা যে, রাষ্ট্রদূত এর পদের জন্য শুধুমাত্র সেনা অফিসাররাই যোগ্য, অবশ্যই সব প্রফেশন থেকে সুযোগ্য ব্যক্তিদের বেছে বেছে নিয়ে রাষ্ট্রদূত বানাতে হবে। তবে জীবনেও বিসিএস পরীক্ষা না দেওয়াকে তুমি রাষ্ট্রদূত হবার ক্ষেত্রে সেনা অফিসারের যোগ্যতার মানদন্ড হিসেবে যে বিবেচনা করছো তার তীব্র বিরোধিতা করছি। একই ভাবে সকল রাজনীতিবিদদের কি এরকম ঢালাওভাবে চোর-গুন্ডা-বদমায়েশ-বাটপার বলাটা ঠিক? এদেশেতো ভাল রাজনীতিবিদও আছে।
অনেক বড় কমেন্ট করে ফেললাম তোমার পোষ্টে। কষ্ট দিয়ে থাকলে আবারো দুঃখিত।
রহমান ভাই
আপনি বোধহয় মাস্ফুর কমেন্টের মূলভাবটা ধরতে পারেন নি। আক্ষরিক অর্থ করে নিয়ে আবেগপ্রবন হয়ে গেছেন।
আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি, মাস্ফু কিন্তু বুদ্ধিমান, স্মার্ট, ইংরেজিতে দক্ষ, সাহসী, শারীরিক ভাবে যোগ্য, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে অপমান করতে কথাটা বলেনি। ও বুঝাতে চাইছিলো , বাংলাদেশে যার যেখানে থাকার কথা সে সেখানে নেই। যার যেটা হওয়ার কথা না, সে সেটাই হচ্ছে। সিস্টেমে গন্ডগোল।
অন্তত আমি এটাই বুঝেছি, কিন্তু আমারও ভুল হতে পারে।
কিন্তু তার জবাবে আপনি যে মন্তব্য করলেন সেটা নিয়ে আমি দুয়েকটা কথা বলিঃ
১। বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে আপনি যেটা বলছেন সেটা এই পরীক্ষা সম্পর্কে আপনার অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ করে না। আপনার অবগতির জন্যে জানাই বিসিএস পরীক্ষা শুধূ এমসিকিউ নয়। আপনাদের সেনাবাহিনীর মতো এখানেও প্রিলিমিনারী, লিখিত, মেডিক্যাল সব দিয়ে আসতে হয়।
আর ফিজিক্যাল, সুইমিং এসব তো সবার দরকার নেই বুঝতেই পারছেন। সচিব হতে হলে সাঁতার জানার তো দরকার নেই, রাষ্ট্রদূত হতে গেলে পিটি প্যারেড জানার কী কোন দরকার আছে?
২।
কাকে কী বলেন আপনি? এটা তো অনেকটা মা'র কাছে মামা বাড়ির গল্প হয়ে গেল! সেনা অফিসার কারা হচ্ছে আমরা জানি না নাকি? আমাদের বন্ধু-বান্ধবরাই তো হচ্ছে। দুয়েকটা গল্প শুনাতে পারি, আপনার ৪৩ লং বা আমাদের ৪৭ লং থেকে।
বিসিএস পাশ করা পুলিশ নিয়ে আপনার যে অভিজ্ঞতা সেই একই রকম অভিজ্ঞতার কথা যদি আমি বলি আপনাদের পিএসসি, এনডিসি, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, এলডিএমসি সহ অনেকগুলো কোর্স কোয়ালিফাই করা কোন অফিসারকে নিয়ে? লজ্জা পাবেন না তো?
৩।
আমার কাছে তো মনে হয়নি মাস্ফু বিসিএস পরীক্ষাকে রাষ্ট্রদূত হবার একমাত্র মানদন্ড বলেছে। আমার মনে হয়েছে ও স্পেলাইজেশন থাকার কথা বুঝাতে চেয়েছে।
৪।
দেখি একটা নাম বলেন।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কামরুল, আমার ভুলগুলো চমৎকার ভাবে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। মানুষ মাত্রেই ভুল হয়, আমারও হতে পারে। আমি ভুলের উর্ধ্বে নই। তারপরও কিছু বিষয়ে আরেকটু ক্লিয়ার করতে চাচ্ছিঃ
১। আমি বিসিএস কোয়ালিফিকেশন কে খাটো করে দেখতে চাইনি, আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি মাস্ফু যেভাবে বলেছে যে, 'জীবনেও বিসিএস পরীক্ষা না দেয়া সেনা অফিসার', এখানেই শুধু আমার দ্বিমত। বিসিএস তো রাষ্ট্রদূত হওয়ার কোন কোয়ালিফিকেশন হতে পারেনা। রাষ্ট্রদূত হবার জন্য পিটি প্যারেড জানতে হবে তাতো আমি বলিনি, পিটি প্যারেড ডিসিপ্লিনের একটা অংশ হতে পারে মাত্র। সচিবকে সুইমিং জানতে হবে একথা আমি বলিনি, যাষ্ট কতগুলো ধাপ পাড় হয়ে একজনকে সেনা অফিসার হতে হয় সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। যুক্তি দিলেতো এরকম অনেক ফানি যুক্তি দাড় করানোই যায়। আমি স্বীকার করি বিসিএস অবশ্যই একটা যোগ্যতার মাপকাঠি কিন্তু সেনা অফিসাররা জীবনেও বিসিএস করেনা, বা তা না করলে রাষ্ট্রদূত হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা একথা আমি মানতে নারাজ। সেনা অফিসাররা যদি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারে, দেশ চালাতে পারে, রাজনী্তিবিদ হতে পারে, মন্ত্রী হতে পারে তাহলে রাষ্ট্রদূত হতে আপত্তি কোথায়?
২।
হ্যা অবশ্যই জানো। তোমার ব্যাচের যাদের উদাহরন তুমি দিতে চাচ্ছো তারা কিন্তু হাজার হাজার সাধারন ছাত্র থেকে বাছাই হয়ে ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া এবং তারপর আইএসএসবি তে চান্স পাওয়া। সো, তাদের কোয়ালিফিকেশন কে তুমি খাটো করে দেখতে পারনা। আমি শুধু তোমাকে এটুকু বলবো, আমাদের ব্যাচের ৩ জন কলেজ প্রিফেক্ট এখন আর্মিতে আছে আর ডবল ষ্ট্যান্ড করা ষ্টুডেন্ট প্রচুর। তবে তুমি যে উদাহরন দিতে চাচ্ছো সেটা এক্সেপশন, এন্ড 'এক্সেপশন ক্যান নট বি এন এক্সামপল'। সব প্রফেশনেই এরকম আছে। আমিও এক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকলে তা মেনে নিচ্ছি।
৩।
এখানে একমাত্র বা দুইমাত্র বলেকোন বিষয় নেই, "জীবনেও বিসিএস পরীক্ষা না দেওয়া সেনা অফিসার" এই অংশটুকুতেই শুধু আমার আপত্তি, আর কিছু নয়। বিসিএস যদি স্পেশালাইজেশন হয়ে থাকে তাহলে আইএসএসবি, এবং ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল লেভেলে আমাদের যেসব কোর্স এবং ফরেন কোর্স হয় তাহলে সেগুলোও স্পেশালাইজেশন হবেনা কেন? বিসিএস এ কি এমন স্পেশাল বিষয় শেখানো হয় যে শুধুমাত্র এটাকেই স্পেশালাইজেশন বলতে হবে?
৪। ভাল রাজনীতিবিদদের একটি না, কয়েকটি নামই বলতে পারব। কিন্তু প্রফেশনাল কারনে এখানে বলবো না।
পুনশ্চঃ পরিশেষে আমি যেভাবে আমার আগের মন্তব্যে বিসিএস কোয়ালিফিকেশনকে নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করেছি, তারজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। কারো কোয়ালিফিকেশনকেই খাটো করে দেখা আমার উদ্দেশ্য নয়, আমি চাই যোগ্য লোকই তার প্রাপ্য সম্মান পাক। কামরুলকে আবারো ধন্যবাদ আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য 🙂 ।
১।
আপনি কী ভাবেন জানিনা, কিন্তু দেশ চালানো, রাজনীতি করা, মন্ত্রী হওয়া, রাষ্ট্রদূত হওয়া এগুলো কোনটাই সেনা অফিসারের কাজ না।
সেনাবাহিনীতে যখন আপনি যোগ দেন তখন আপনার লক্ষ্য কী থাকে? আপনি একদিন দেশের মন্ত্রী হবেন, নাকি দেশের প্রতিরক্ষার কাজ করে যাবেন?
আমাদের দেশে যে সেনা অফিসাররা এইসব পদে গিয়েছেন তারা কে দেশের জন্যে ভালো কিছু করতে পেরেছেন বলেন তো দেখি? ক্যু-পাল্টা ক্যু, রক্তারক্তি এই হচ্ছে রাজনীতির সাথে জড়িত সেনা অফিসারদের ইতিহাস।
২।
আপনি আমার পরের কথাটা বুঝতে ভুল করেছেন। আমি বলিনি বিসিএসে স্পেশাল বিষয় শেখানো হয়। আমি বলতে চেয়েছি যিনি যে দায়িত্ব নেবেন তিনি সে বিষয়ে স্পেশালাইজড হবেন। আদম ব্যবসায়ীকে যদি আপনি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি বানান তাহলে তার কাছ থেকে কিছু ভালো কিছু প্রত্যাশা করতে পারেন?
৩।
কী আজব দেশ দেখেন! এই দেশে ভালো রাজনীতিবিদের নাম প্রফেশনাল কারণে সবার সামনে বলা যায় না। অথচ খারাপ লোকের নাম বলতে বলেন, কমেন্ট বক্সে জায়গা হবে না!
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কামরুল, যুক্তিতর্ক করলে অনেক কথাই বলা যায় যা কিনা ব্লগের পরিবেশকে আরো ভারীই করবে। আস, আমরা গঠনমূলক আলোচনা করি। সেনা অফিসার যদি তার সার্ভিস শেষ করে বা অবসর গ্রহণের পর যোগ্যতা বলে রাজনীতি করতে পারে, মন্ত্রী হয় বা রাষ্ট্রদূত হতে পারে তাহলে কি তোমার কোন আপত্তি থাকবে? সেনা অফিসারছিল বলে কোন দিনও রাজনীতি করতে পারবে না, রাষ্ট্রদূত হতে পারবে না এ ধরনের মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত। আমি চাই রাষত্রদূতের পদে একই ভাবে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে সুযোগ্য লোকই ঐ পদে আসীন হোক। সে হতে পারে যে কোন পেশা থেকে আগত। তাহলেও কি তোমার দ্বিমত থাকবে?
২।
আমিও তোমার এই কথার সাথে একমত। একজন ২৮-৩০ বছর চাকুরী করা/ অবসর প্রাপ্ত সেনা অফিসার যদি স্পেশালাইজড হতে পারেন তাহলে কি কোন আপত্তি আছে? কই, রাষ্ট্রদূত হিসেবে তো কেউ খারাপ পারফর্ম করছে না। আর আদম ব্যাপারীকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি বানানোর পক্ষে আমি নই এবং এ বিষয়ে কিছু বলিনিও।
৩। সীমাবদ্ধতাটা আমার প্রফেশনাল কারনে, এটা তুমি খুব ভাল ভাবেই বুঝতে পারছ। খারাপ রাজনীতিবিদদের নাম বলতে বল আমাকে, ঠিক একই কারনে আমি আবারও নীরব থাকব।
** আমাদের একটা কমন প্রবলেম আছে, আমরা অন্যের দোষ খুজতে বেশি পারদর্শী। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকাটা বেশি জরুরী। আমি বিসিএস ক্যাডার নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করেছিলাম (আমিও কমন প্রবলেমের অন্তর্ভুক্ত 🙁 🙁 ) সেটা ঠিক হয়নি যা আমার আগের কমেন্টেই ভুল স্বীকার করেছি। ভুল করলে তা স্বীকার করতে কোন লজ্জা নেই আমার। তবে, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি গঠনমূলক আলোচনা আশা করি, আক্রমনাত্নক কমেন্ট বা উপহাসমূলক কমেন্ট নয়। ধন্যবাদ
*উনারা নাকি আইজিপি পর্যন্ত প্রমোশন পাবেন
কষ্ট লাগলো - অভাগা দেশ আমার, সব সম্ভবের দেশ। খারাপ লাগে, কিন্তু ভাবতে চেষ্টা করি এটাই হয়তো স্বাভাবিক!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
(উত্তরটা অনেক বড়-ব্লগের প্রায় দ্বিগুন সাইজের তাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে উত্তর দিচ্ছি)
১)
রহমান ভাই,
শুরুতেই বলি-খুব কম মানুষের ভিতরেই নিজ পেশার প্রতি এই আবেগটা থাকে যা আপনার ভেতরে রয়েছে।আমাদের সেনাবাহিনী যে বিশ্বের দরবারে এই গরীব দেশটার মাথা উঁচু করেছে,আমার সিয়েরা-লিওনিয়ান বন্ধু মুরতালা কামারা যে বাংলাদেশি শুনেই ওয়েবক্যামে আমাকে স্যালুট দেখিয়েছে-এই অহংকারগুলো আপনার মত মানুষদের উপস্থিতির কারণেই।আমার সত্যি খুব গর্ব হচ্ছে যে এরকম নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষকে আপন ভেবে "মামা" ডাকার অধিকার আমি রাখি।
এবার আসি আমার পোস্টের যে জায়গাটায় আপনার আপত্তি সে জায়গাটায়।সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে,আমার পোস্টের মূল বক্তব্য ছিল যার যে জায়গায় কাজ করার কথা নয় আমাদের দেশে তাকে সে যায়গায় বসানো হয়-এবং তার ফলেই বিপত্তিগুলো ঘটে।খেয়াল করলে দেখবেন,এখানে আমি যেমন বিসিএস পাশ না করা সেনা অফিসারদের রাষ্ট্রদূত হবার কথা বলেছি,ঠিক তার পরের লাইনেই বলেছি-"সারাজীবন রেজিমেন্টাল লাইফের ধারেকাছেও না যাওয়া বুদ্ধিজীবীরা হন টক-শো এর মিলিটারি স্ট্র্যাটেজিস্ট" ।সেনা অফিসারদের প্রতি আমার মনোভাব যে দেশের তথাকথিত সুশীলদের মত নয়-এটা বিভিন্ন সময়ে আমার বিভিন্ন মন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে,নতুন করে আর কিছু না বলি।শুধু এটুকু বলব,সেনা অফিসার কেন,নিজের কাজ সৎভাবে করে যাওয়া যে কোন মানুষের প্রতি বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা প্রকাশ করার মত ধৃষ্টতা তুচ্ছাতিতুচ্ছ এই আমার নেই।
২) বিসিএস তো রাষ্ট্রদূত হওয়ার কোন কোয়ালিফিকেশন হতে পারেনা।
ভয়াবহ রকমের অবাক হলাম আপনার এ কথাটি শুনে-কেন হলাম সেটি একটু ব্যাখ্যা করি।ধরা যাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে-আর এই খবরে দুঃখ করে একজন সেনা অফিসার সাকিবকে নিয়ে আমার মতই লেখা একটি ব্লগে লিখলেন-"এই অভাগা দেশে জীবনেও আইএসএসবি না দেয়া শিক্ষকেরা হন পদাতিক ডিভিশনের জিওসি।" সাধারণ একজন মানুষ আবার এই লেখা পড়ে বলল- "আইএসএসবি তো জিওসি হওয়ার কোন কোয়ালিফিকেশন হতে পারেনা"
সেনা অফিসার হিসেবে সাধারণ মানুষের ওই কথা শুনে আপনার যে অনুভূতি হবে,একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনার ওই লাইনটি পড়ে আমার ঠিক একই অনুভূতি হয়েছে।আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
৩)আপনার মত অত্যন্ত মেধাবী এবং শিক্ষিত একজন মানুষ কিভাবে এ মন্তব্যটি করলেন সেটি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে দেখলাম এর দায় আপনার উপরে কোনভাবেই বর্তায় না।আপনি কেন,বিসিএস পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট না হলে এবং আমার নিজের বাবা রিটায়ার্ড সিভিল সার্ভেন্ট না হলে আমিও সম্ভবত আপনার জায়গায় হলে এরকম একটি মন্তব্যই করতাম।কেন করতাম সেটি ব্যাখ্যা করার জন্যে রাষ্ট্রদূত হবার পূর্বশর্তগুলো একটু বলি।
রাষ্টদূত হবার জন্যে জন্যে একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন হিসেবে চার বছরের গ্রাজুয়েশন থাকা ছাড়াও দেড়-দু'লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় প্রথম দশ-পনের জনের ভেতরে না এলে পররাষ্ট্র ক্যাডারে ঢোকা কথা চিন্তাও করা যায়না।সারা পররাষ্ট্র ক্যাডারে ক্যারিয়ার ডিপ্লম্যাটের(যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এসেছেন) সংখ্যা বর্তমানে ২১০ জন(সবচেয়ে জুনিয়র অফিসার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রদূতদের মিলিয়ে)।রাষ্ট্রদূত বা এম্বাসাডর হচ্ছে এই ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ-এবং নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রদূতের যতগুলো পদ আছে তার কমপক্ষে ৭০% আসতে হবে বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডার থেকে,বাকি ৩০ ভাগ আসবে সরকারের পছন্দমত সেনাবাহিনী,অন্যান্য সিভিল সার্ভিস বা সরকারের মনোনীত যে কোন ব্যক্তি থেকে।আর এই ৩০ ভাগের নিয়োগও হতে হবে এমন কোন দেশে যার সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দেশের স্ট্র্যাটেজিতে খুব বেশি গুরুত্বপুর্ণ হবেনা-কেননা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জায়গায় অপেশাদার লোক(অর্থাৎ যিনি পেশাগতভাবে ডিপ্লম্যাট নন) নিয়োগ করলে সমুহ বিপদের সম্ভাবনা।
কিন্তু আমাদের দেশে আমরা দেখতে পাই উল্টোটা-পররাষ্ট্র সার্ভিস হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের পদলেহী ব্যক্তিদের "ডাম্পিং গ্রাউন্ডে"।প্রচন্ডতম কঠিন একটা পরীক্ষা দিয়ে ফরেন ক্যাডারের একজন লোক যখন সারাজীবন চাকরি করে রাষ্ট্রদূত হবার জন্যে অপেক্ষা করছে,ঠিক এমন সময়ে দেখা যায় সরকারের প্রিয়ভাজন(কোন কোন ক্ষেত্রে "একে দেশে রাখলে ঝামেলা হবে" এমন) ভিন্ন পেশার লোককে ওই লোকের জায়গায় ডেপুটেশন দিয়ে পাঠানো হয়।তাইতো আমরা একেবারেই পেশাদার লোক নিয়োগ না দিলে চলেনা এগুলো ছাড়া কিছুটা কম হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দেখি বিভিন্ন সরকারী নেতা,সেনাবাহিনীর জেনারেল,সরকারপ্রধানের আত্মীয় এদেরকেই।নিউ ইয়র্ক পারমানেন্ট মিশনের দায়িত্বে তাই দেখি অর্থমন্ত্রীর ভাইকে,অস্ট্রেলিয়াতে দেখি জেনারেল মাসুদকে আর ব্রিটেনে দেখি কোন এক কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোটামুটি পরিচিত এবং গুরুত্বপুর্ণ জায়গাগুলোতে নন-ডিপ্লোম্যাটদের প্রাধান্য দেখি,ভিতরের খবর যদি জানা না থাকত, তাহলে আমিও হয়তো আপনার মত বলে বসতাম-"বিসিএস তো রাষ্ট্রদুত হওয়ার কোন কোয়ালিফিকেশন হতে পারেনা 😛 "
বুঝতেই পারছেন,পররাষ্ট্র সার্ভিস বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেরই একটি সার্ভিস এবং রাষ্ট্রদূত হওয়ার মূল মাপকাঠি এই বিসিএস পরীক্ষাই।এম্বাসাডর হওয়ার ফর্মাল প্রসিডিউরের প্রথম ধাপ এই বিসিএস পরীক্ষা,রাম-শাম-যদু-মধুরে ধরে বসায় দিলেই সে রাষ্ট্রদূত হয়ে যায়না-আর পলিটিকাল এপয়েন্টমেন্টে যদি তা হয়ও,ছাগল দিয়ে হালচাষ করানো যায়না।
৪)আইএসএসবি এবং বিসিএস কোনটা বেশি কঠিন এটা নিয়ে আমি কোন মন্তব্যে যাবনা,কারণ ব্যক্তিভেদে এর উত্তর ভিন্ন ভিন্ন হবে।তবে দুটো পরীক্ষাই দেবার কারণে একটা ক্ষেত্রে কিছুটা তুলনা পারি- আইএসএসবি পরীক্ষায় আমার জানামতে দুর্নীতি হয়না,আর হলেও সেটা এতই ক্ষুদ্র যে উল্লেখ না করলেও চলে।কিন্তু বিসিএসে যেটা হয়(দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতির কথা বাদই দিলাম,ওগুলোর কথা চিন্তা করলে ৩১ তারিখ শুরু হওয়া পরীক্ষা দিতে যাওয়াই ঠিক হবেনা)-৫৫% লোক নেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা,নারী,উপজাতি,জেলা ইত্যাদি কো্টার ভিত্তিতে,মাত্র ৪৫% আসে মেধার ভিত্তিতে।আর মেধার ভিত্তিতে ফরেন সার্ভিসে ঢুকতে চাইলে প্রতি দেড়/দুই বছরে একবার হওয়া বিসিএসে প্রথম পনর নয়,হতে হবে প্রথম ছয় জনের একজন।কারণ বাকি ৯ জন আসবে কোটা থেকে।কোনরকম মা্মা চাচার জোর ছাড়া এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হবার ফলে আমার মত সাধারণ ছেলেদের ঢুকতে হয় ভয়াবহতম এবং আনফেয়ার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে,যার সাথে আইএসএসবির তুলনা করতেও আমি রাজী নই।আইএসএসবির তুলনায় বিসিএস আমার কাছে অনেক বেশি কঠিন লাগে এই কারণে যে আইএসএসবিতে কোন তদবীর/কোটা/মামার জোরওয়ালা মানুষের সাথে আমাকে অন্যায় প্রতিযগিতায় লিপ্ত হতে হচ্ছেনা-আমার মেধাই যথেষ্ট।কিন্তু বিসিএসে আমার মেধাবী হলেই চলবেনা-কোটা/সুপারিশওয়ালা এবং সেইসাথে মেধাওয়ালা ছেলের চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে থাকতে হবে।
৫) বিসিএস এ কি এমন স্পেশাল বিষয় শেখানো হয় যে শুধুমাত্র এটাকেই স্পেশালাইজেশন বলতে হবে?
এত কম্পিটিশন করে যেখানে চাকুরী করে উপরে উঠতে হচ্ছে তারপরও যখন যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে তখন খুবই আফসোস লাগে।
আবার একটা ধাক্কা খেলাম-আগেরটার মত না হলেও কাছাকাছি-কারণ আমি সেনাবাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ আর্মির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি,তুলেছি একজন সেনা অফিসার রাষ্ট্রদূত হিসেবে কতটা যোগ্য বা একজন সেনা-প্রশিক্ষণহীন বুদ্ধিজীবী মিলিটারি স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কতটা জ্ঞান রাখে তা নিয়ে।এখানে কে কার চেয়ে বেশি যোগ্য তা নয়,বরং যার যেটা করার কথা না আমাদের দেশে তাকে সেটি করানো হচ্ছে এই বিষয়টাই তুলে ধরতে চেয়েছি।
ভাইয়া,একজন রাষ্ট্রদূতকে ডিপ্লোম্যাসি শেখার জন্যে বিসিএস পাস করার পর চার বছর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়-ঠিক একজন সেনা অফিসারের আইএসএসবি পাশ করার পর বিএমএতে দুই বছর সামরিক শিক্ষার মতই।হ্যাঁ,বিসিএস নিজে পরীক্ষা হিসেবে স্পেশালাইজড নয়,কিন্তু ফরেন সার্ভিস একাডেমির ট্রেনিং অবশ্যই স্পেশালাইজড।আমি বিসিএসকে স্পেশালাইজড বলিনি,একে উল্লেখ করেছি ডিপ্লোম্যাট হবার প্রথম ধাপ হিসেবে।একজন পেশাদার ডিপ্লোম্যাট যে ডিপ্লোম্যাসি সম্পর্কে সেনা বা অন্য যে কোন পেশার লোকের চাইতে বেশি স্পেশালাইজড-এটা যদি আপনি অস্বীকার করেন তাহলে পাকিস্তানের আয়েশা সিদ্দিকা রচিত "মিলিটারি ইনকরপোরেটেড-ইনসাইড পাকিস্তান'স মিলিটারি ইকোনমি" বইটার একটা উদ্ধৃতি দেব-"পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের একটা অদ্ভুত ধারণা হচ্ছে ,যেহেতু তাদের সেনা প্রশিক্ষণ আছে সুতরাং তারা যে কোন পেশা সম্পর্কে সেই পেশার লোকদের চাইতে বেশি জ্ঞাণ রাখে।তাদের মতে একজন সেনা অফিসার অর্থনীতি প্রফেসরের চাইতে অর্থনীতি বেশি জানে,ব্যবসায়ীর চাইতে ব্যবসা বেশি জানে-একজন পেশাদার রিয়েল এস্টেট এজেন্টের চাইতেও হাউসিং সম্পর্কে তাদের জ্ঞান বেশি"।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাক আর্মি না,তাই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার একান্ত বিশ্বাস-পাক আর্মির ধ্যান-ধারণার যে বিষবাষ্প তা থেকে আমাদের সুযোগ্য সেনাবাহিনী মুক্ত।যদি তা না হয় তাহলে খুবই আশঙ্কার কথা-কারণ পাকিস্তানের কি অবস্থা সেটা আমরা সবাই জানি।
৬)সেনা অফিসাররা যদি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারে, দেশ চালাতে পারে, রাজনী্তিবিদ হতে পারে, মন্ত্রী হতে পারে তাহলে রাষ্ট্রদূত হতে আপত্তি কোথায়?
ভাইয়া আমি জানি না বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতজন এভাবে চিন্তা করে,কিন্তু যদি ১০% অফিসারও এভাবে চিন্তা করে তাহলে দেশের ভবিষ্যত গণতন্ত্র নিয়ে আমি ভয়াবহ উদ্বেগ প্রকাশ করছি।যে প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর লোক প্রেসিডেন্ট হয়েছে বা দেশ চালিয়েছে সেটাকে যদি আপনি সাপোর্ট করে থাকেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই।আর রাজনীতিবিদ বা মন্ত্রী নিজ পেশা থেকে অবসর নেবার পর যে কোন পেশা থেকেই আসতে পারে,এর সাথে সরকারী একটি চাকুরি থেকে সম্পুর্ণ ভিন্ন আরেকটি চাকুরিতে যাওয়া তুলনীয় নয়।
একই ভাবে সকল রাজনীতিবিদদের কি এরকম ঢালাওভাবে চোর-গুন্ডা-বদমায়েশ-বাটপার বলাটা ঠিক?......ভাল রাজনীতিবিদদের একটি না, কয়েকটি নামই বলতে পারব।
ভাইয়া আমি কিন্তু ঢালাওভাবে বলিনি।আমি বলেছিঃ
চোর-গুন্ডা-বদমায়েশ-বাটপাররা হন রাজনীতিবিদ(আমি এক্ষেত্রে আণুবীক্ষণিক সংখ্যক যোগ্য লোকদের বাদ রেখে বলছি)
ব্র্যাকেট খেয়াল করুন।
৭)এছাড়া বিসিএস পুলিশদের নিয়ে যা বললেন তা পুরোটাই সত্য।তবে ঘটনা হচ্ছে,অনেক ক্ষেত্রেই বিসিএস পরীক্ষায় সীমাহীন দুর্নীতির ফলে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হয় সরকারের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করতে পারবে এমন লোকদের-মেধাবী আর যোগ্য লোকদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই এখানে কম,অন্তত আমার কাছে মনে হয় আর্মির চাইতে কম তো বটেই।কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে,পুলিশ আর ডিপ্লোম্যাট এক নয়,এমনকি পুলিশ আর আর্মিও এক নয়।একজনের কাজ আরেকজনকে দিয়ে করানো যায়না-করানো উচিতও না।আর এই করানো নিয়েই আমার আপত্তিটা,কে কার চেয়ে ভাল তা নিয়ে নয়।তাছাড়া,সরকারী দলের ছাত্রনেতা হিসেবে নকল আর প্রশ্ন ফাঁস করে যেই ছেলেটা পুলিশে ঢুকেছে সেই ছেলের মাপকাঠি নিয়ে যদি সম্পূর্ণ মেধার জোরে দেড় লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম ছয় জনে আসা ছেলেটার তুলনা করেন সেটাও মনে হয় অবিচার হবে।
৮) অনেক বড় কমেন্ট করে ফেললাম তোমার পোষ্টে। কষ্ট দিয়ে থাকলে আবারো দুঃখিত।
দূর কি যে বলেননা!দুঃখ পাব কেন??? মামার সাথে মাঝে মাঝে তর্কাতর্কি না করলে সম্পর্কটা ঠিক জমেনা :shy: বস আমি আবারো বলি,আমি কাউকে খাটো করতে চাইনাই-শুধু বলছি ঠিক লোকের ঠিক জায়গায় বসার কথা।
🙁 ঢাকায় আপনের সামনে :frontroll: দিয়া প্রায়শ্চিত্ত করুম 🙁 আর বিসিএস নিয়া এত বড় বড় কথা বললাম-আমি জানিনা আদৌ কোনদিন বিসিএস অফিসার হইতে পারব কিনা।২৮তম দিছি সেইটার রেজাল্ট হয়নাই,২৯তম এর লিখিত পরীক্ষা ৩১ তারিখ থিকা শুরু হইতেছে কিন্তু এখনো কোন প্রিপারেশন নেইনাই।আর ৩০ তম বিসিএসের সার্কুলার সামনেই দিবে-সেইটাও দিতে হইবো মনে হইচ্ছে।কুন দিন শুনবেন আপনের ভাগিনা মাস্ফ্যু বিসিএস দিতে দিতে মইরা গেছে :bash: :bash:
মাস্ফ্যু, তোমার পজেটিভ আলোচনা দেখে খুব ভাল লাগল। শেখার কোন শেষ নাই, জানার কোন বয়স নাই। রাষ্ট্রদূত হবার জন্য কি কি ধাপ বা কোন ধরনের বিসিএস ক্যাডার লাগে সে সমন্ধে আমি সম্পূর্ণ ক্লিয়ার ছিলাম না, জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমিও চাই যোগ্য লোক যোগ্য জায়গাতে যাক। তবে সেনা অফিসারকে শুধু প্রতিরক্ষার কাজেই নিয়োজিত থাকতে হবে, এর বাহিরে আর কিছুই করতে পারবে না, এই ধারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই সেনা অফিসাররা চাকুরীকালীন সময়ে বা অবসর গ্রহণের পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করেছেন। তোমরা কেন সেনা অফিসারদের আগেই আলাদা করে ফেলছ? তারা কি এদেশের সন্তান না? তারা কি দেশের জন্য অন্য কোন ভাল কাজ করতে পারেন না? এ জাতির দূর্যোগময় মূহুর্তে কি সেনাবাহিনী এগিয়ে আসেনি? দেশের উন্নতিতে কি সেনাবাহিনীর কোন ভূমিকা নেই? তারা কি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছে না? সেনাবাহিনী কি দেশে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা আনছে না? তাদের কি এদেশের উন্নতিতে কোন অবদান নেই? তাহলে কেন তাদেরকে একঘরে করে রাখার চেষ্টা? কেন তাদেরকে সারাজীবন শুধু ক্যান্টনমেন্টের ভিতরেই কাটাতে হবে? তারা যদি যোগ্যতার বলে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারে তাহলে আপত্তি কেন? হ্যাঁ, এটা বলতে পার যে, তাদেরকে পরীক্ষা নেয়া হোক, স্পেশালাইজড ক্যাডার করানো হোক। আমার বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসাররা ওসব পরীক্ষা নিলেও খারাপ করবে না।
তবে অবশ্যই আমি ক্যু, পালটা ক্যু এবং এ ধরনের ঘটনার পক্ষে নই। আমার বিশ্বাস, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কখনো ঘটবে না।
দোয়া করি, তোমার বিসিএস-২৮ এই হয়ে যাবে; ২৯, ৩০ লাগবে না। আমি কনফিডেন্ট, তুমি পারবা :thumbup:
পজেটিভ আলোচনার জন্য সাবাশ বেটা :thumbup: , ফ্রন্টরোল তো দূরের কথা, আমার নামে কিছু খাইয়া নিস ভাগিনা 🙂
এটা বলতে পার যে, তাদেরকে পরীক্ষা নেয়া হোক, স্পেশালাইজড ক্যাডার করানো হোক। আমার বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসাররা ওসব পরীক্ষা নিলেও খারাপ করবে না।
আইডিয়াটা খারাপ না।একইভাবে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও সিভিলিয়ান অফিসার নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।যেমনঃডিজিএফআই বা এই জাতীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলাতে।আমেরিকার সিআইএ,এফবিআই কিংবা ব্রিটেনের এমআইসিক্স এইগুলার প্রধান হিসেবে বেসামরিক ব্যক্তিরা ভালভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন।কে কোন জায়গা থেকে আসছে তার চাইতেও গুরুত্ব দেয়া দরকার যোগ্যতাকে-সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন।কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে-যার যেটা কাজ সেটা ছেড়ে সে যেন অন্য লোভনীয় চাকুরির দিকে অন্যায়ভাবে হাত না বাড়ায়।এছাড়া যাকে যে কাজের জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে তাকে দিয়ে তার মূল কাজ না করিয়ে নিয়মিতভাবে অন্য কাজ করানো হলে তার প্রশিক্ষণটা পুরোটাই জলে যাবে-আর এরকম অপচয় করানোর সামর্থ্য এই গরীব দেশের আছে কিনা সেইটাও মাথায় রাখতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার বা সচিবরা অবশ্যই রাজনীতিতে আসতে পারেন-নির্বাচনের মাধ্যমে যদি তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করেন তাহলে কেন নয়? অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার বলেই জীবনে রাজনীতি করতে পারবেনা এইটা মনে হয় অর্বাচীন ছাড়া কেউই বলবেনা।তবে আমি যতদুর জানি সামরিক বা বেসামরিক যে কোন সরকারী চাকুরিতে দায়িত্ব পালনকালে নিজস্ব রাজনৈতিক উচ্চাকাংখা অনুযায়ী কাজ করাটা কোন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস না-যেটা দুইদিকের বড় বড় অফিসাররা হরহামেশাই করে থাকেন।
তবে সেনা অফিসারকে শুধু প্রতিরক্ষার কাজেই নিয়োজিত থাকতে হবে, এর বাহিরে আর কিছুই করতে পারবে না, এই ধারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
"এর বাইরে কিছুই করতে পারবেনা" এই কথাটা আমিও ঠিক মনে করিনা।তবে তাদের মূল কাজ অবশ্যই এবং অবশ্যই হতে হবে দেশের প্রতিরক্ষা,দেশ চালানো বা ডিপ্লোম্যাসি না।বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে সেনা অফিসারদেরকে দায়িত্ব দেয়া যেতেই পারে এবং দেয়া হয়ও,কিন্তু সেটা ওই "বিশেষ" ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রাখাটাই মনে হয় মঙ্গলজনক।এইটা শুধু সেনাবাহিনী না সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য-ওই যে আগে বলেছিলাম,"যার কাজ তারই সাজে,অন্যের হাতে লাঠি বাজে" 🙂 স্পেশালাইজড ক্যাডার করে আর্মি থেকে সিভিল প্রশাসনে এবং সিভিল থেকে আর্মি প্রশাসনে নিয়মিতভাবে যাওয়া আসা অভিনব এবং চিত্তাকর্ষক একটা ধারণা-তবে এতে করে দুইপক্ষেরই স্পেশালাইজড লোকদের বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাটা থেকেই যায়।
আমার নামে কিছু খাইয়া নিস ভাগিনা মামা তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসেন, আপনেরে নিয়া স্তার কাবাবে খাসির লেগ রোস্ট খাইতে যামু :shy:
অফ টপিক- আপনের নিজের প্রফেশনের প্রতি এই ইমোশন,একইসাথে নিজের কোন পয়েন্টে ত্রুটি খুঁজে পাইলে সাথে সাথে সেইটা মেনে নেওয়া-এইগুলার কারণে আপনেরে আমি অনেক ভালা পাই :shy: :shy:
আয় বুখে আয় :hug: (কপিরাইটঃ তাইফুর)
😡 :hug: মামা আসেন বুখে আসেন :hug: 😡
কামরুল:
রহমান ভাই:
মাসরুফ:
তিনজন একই কথা কইয়া তর্ক কর্তাছে। 😀
তর্ক কই করলাম? আমরাতো গঠনমূলক আলোচনা করলাম মাত্র 😉 😀 কি বলিস মাস্ফ্যু?
😀 আবার জিগায়,মাম্মা! 😀
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :pira:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
x-( টিটোদা,পিন মারবেননা বলে দিচ্চি দাদা 😛
মাসরুফ ভাই আজকে প্রথম আলোতে সাকিবের খমা চাওয়া নিয়ে একটা প্রতিবেদন আসছে যেখানে এই খবরটাকে বিসিবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করসে, এখনতো আবার ডাউটে পরে গেলাম খবরটা আসলেই সত্য কিনা :-/ :-/ 😕 😕
ইয়ে একটু ভুল হইসে ভিত্তিহীন বলে নাই বলসে যে ছবিটার ক্যাপশন ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে লেখা হইসে
http://prothom-alo.com/detail/date/2010-01-25/news/37463
কামরুল ভাইয়ের কমেন্টগুলা পড়।মনে হয়না এখানে খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ আছে। আর দুঃখের সাথে বলছি- মোটামুটি সবগুলো পত্রিকায় এই খবর আসার পরেও প্রথম আলো নীরবতায় এবং ঘটনার দুই দিন পর সরকারি প্রেস রিলিজে আমি খুব একটা ভরসা পাচ্ছিনা।বড়ভাইরা হয়তো আরো ভাল বলতে পারবেন।
প্রথম আলোতে নাই বইলাই কি একটা জিনিসের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ হবে। এতো দেখি পাওয়ার নলেজ না ক্ষমতা জ্ঞান কি জানি কয় , আমাগো ফুকো মাহমুদ ভাই ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবে।
//আমাগো ফুকো মাহমুদ ভাই ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবে//
আমিন ভাই,মাহমুদ ভাইয়ের হবু স্ত্রী এবং আমাদের হবু ভাবী কি জানেন যে ভাইয়াকে আমরা ফুকো মাহমুদ ডাকি? 😛
না জানলে কী আর করা আমরা সময়মতো ফাঁস কইরা দিলেই হবে 😛
😀 ইয়ে মানে, সংক্ষেপে ফুকো ভাই ডাকলে কি উনি আমাদের মাইর টাইর দিবেন নাতো? 🙁