১.
রাজার ছেলে ও ধোপার ছেলে একসাথে লেখাপড়া করে। বড় হয়ে রাজার ছেলে রাজা হলো, আর ধোপার ছেলে ধোপা। ধোপা প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে গাধার পিঠে কাপড় নিয়ে রাজপ্রসাদে যায়, কেউ দেখার আগেই ফিরে আসে।
একদিন রাজা যাবে শিকারে। প্রধানমন্ত্রী জ্যোতিষীকে দিয়ে দিন গননা করে ভাল একটা তারিখ বের করলেন। খুব ভোরে রওয়ানা দিয়েছেন রাজা। সামনেই পড়ে গেল ধোপা। মন্ত্রীরা হায় হায় করে উঠলেন,
পাইরেসী ও আমরা
পাইরেসী ও আমরা
পাইরেসী বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে ৫০ টাকার উইন্ডোজ সিডি। এর কারণ বেশ কিছু ফোরামে লিনাক্স এবং উইন্ডোজ এর যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত হয় যে জিনিসটি সেটা হল পাইরেসী। আসলে কি পাইরেসী বলতে শুধু সফটওয়্যার পাইরেসীকেই বুঝি? পাইরেসী কি অন্য জিনিসে হয় না? হয়ত আমার বোঝার ভুল থাকতে পারে। আমি আগেই বলে নেই আমার জ্ঞান খুবই কম। নবিস শিক্ষার্থী।
কৃতজ্ঞতা
কিছুদিন আগে আমাদের জুলহাস ভাইয়ের আত্মীয় লেঃ কমান্ডার জসিম ভাইয়ের ভাবীর রক্তের প্রয়োজন হয়েছিলো।সে সময়ে নিজ ভাবীকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রেখে তিনি আমাদের প্রতি হাত বাড়িয়েছিলেন। মিনিট পাঁচেক আগে তিনি ফোন করে আমাকে জানালেন যে রোগী এখন মোটামুটি সুস্থ,বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।আক্ষরিক অর্থেই বালতি বালতি রক্তের প্রয়োজনে ২৯ জনকে রক্ত সরবরাহ করতে হয়েছে-যার অর্ধেকের বেশি নাকি আমাদের সিসিবি ব্লগের সূত্রে এসেছে।আমার সাহায্যের আবেদনটিতে মাত্র ছয়টি কমেন্ট পড়লেও আমার বিশ্বাস ছিল সিসিবি খালি হাতে ফেরাবেনা ভাইয়াকে।আমার বিশ্বাস ভুল ছিলোনা।
বিস্তারিত»আহ!
সিসিবিতে শেষ পোষ্ট দিয়েছিলাম প্রায় দুই মাস আগে, জুনা ভাইয়ের হিসাবে ৯ সপ্তাহ । মাঝে এ কয়দিন পোষ্ট দেয়া তো দূরের কথা নিয়মিত কমেন্ট করার ও সুযোগ হয়নি। এ সময়ের ভিতরে নতুন একটা বছর চলে এসেছে, হাঁড় কাপানো শীতকাল পার হয়েছে(যার প্রায় পুরোটাই জঙ্গলে তাঁবুর মধ্যে কাটাতে হয়েছে), বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের এক সিরিজ শেষ হয়ে আরেক সিরিজ শুরু হয়েছে, আইসিএল এর কেউ কেউ দলে ফিরেছে( এটা নিয়ে আমিনের সাথে জমাইতেও পারলাম না,
বিস্তারিত»আমেরিকার গল্পঃ রঙ দিয়ে যায় চেনা
আমেরিকার গল্পঃ রঙ দিয়ে যায় চেনা
আব্দুর রহমান আবিদ
“আমার ঘোল্ সবচেয়ে ভাল”- বাজারের তাবৎ ঘোল্ বিক্রেতার প্রত্যেকের দাবী যদিও সন্দেহাতীতভাবে তাই, কিন্তু বাস্তবে সবার ঘোলই কি আর খেতে অত সুস্বাদু? তবে পাড়ার ভোজনরসিক গোপাল কিম্বা আচারী পন্ডিত মশাই যদি বাজারের কারো ঘোল্ চেখে তা ভাল বলেন, তাহলে ঐ ঘোল্ যে খানিকটা ভাল হওয়ার কথা, তা বোধহয় আশা করা যায়- হোকনা ঐ ঘোল্ বিক্রেতা বাজারে নতুন নাকি পুরাতন।
বিস্তারিত»ছোটবেলা,বড়বেলা আর ছেলেবেলা
১৯৮৫ ডিসেম্বরের ২১ ডিসেম্বরের রাত ২৩টা ৪০ মিনিটে আমার মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে লন্ডন টাউনের এক হাসপাতালে আমার বোন পুর্ণতা ও আমি ভূমিষ্ট হই। সাত মাস বয়সে যখন আমরা পৃথিবীতে আসি তখন আমাদের চোখটাও ঠিক মত ফুটেনি। আমার ডান পায়ের সাথে আপির বাম হাতের চামড়া জোড়া লাগানো ছিল। ২মাস পরে আমাদের আলাদা করা হল। আমার মা প্রথম দুই বছর আমাদের নিয়ে অনেক কষ্ট করেছেন। তার পর আরো ছয় মা পর আমার আব্বু আপিকে আমার দাদার কাছে নিয়ে চলে আসেন আর আমার মম আমাকে নিয়ে দারজিলিং চলে আসেন।
বিস্তারিত»সপ্তম শ্রেণীর সাতকাহন-পর্ব ২>>শিক্ষানবিশি কুচকাওয়াজ
ডিসক্লেইমার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-কে আপনারা যতই মহিমান্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে করুন না কেন,বুয়েটবাসীরা একে অত্যন্ত সম্মান ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে ”Bangladesh University of Extreme Torture” বলে সম্বোধন করে থাকে।গেল সপ্তাহে আমার ৩য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ক্লাশ সমাপ্ত হল।৩টা কুইজ,১টা সি.টি(Class Torture),৪টা গিগা সাইজ ল্যাব রিপোর্ট সাবমিশন মিলিয়ে ”মানবীয় সিপিইউ” এর টাস্ক ম্যানেজারের উপর দিয়ে ”হারিকেন ক্যাটরিনা” বয়ে গেল।কুইজের প্রশ্ন হাতে পেয়ে মনে হল,আমি স্থির,আর বাকিসব আমার চারপাশে পর্যাবৃত্ত গতিতে ঘূর্ণায়মান!
একাকিত্ব
আমার পিচ্চি দুইটা বিচ্ছু হচ্ছে দিনে দিনে। একটাফোটাও নিজের জন্য টাইম পাইনা। প্রায় ২০/২২ দিন ব্লগের সাথে কোন কথা বলার সুযোগ পাই নাই। এক দিকে অবশ্য কয়েকজনের পেইন ছিল না কয়েকদিন, আমার দুঃখের পেচাল শুনতে শুনতে যারা অস্হির তাদের জন্য দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমি আবারো হাজির। জানেন, আমার বড় ছেলের মোটেও পড়াশুনা করতে মন চায়না আর ছোটটা প্রতিদিন স্কুলে পড়ার জন্য কাঁদে। ইফাজের ক্লাসে ক্লাস করে আর আমি বসে বসে ওদের বাবাকে মিস করি।
বিস্তারিত»‘এফ পি’
কলেজে একটা ‘এফ পি’ ছিল।সোহরাওয়ার্দি হাউসের সামনের রাস্তায় সাদা কালি দিয়ে লেখা ছিল।ঐ টা ছিল আসলে ফিনিশিং পয়েন্ট,অর্থাৎ ক্রস কান্ট্রি বা ইডি খেলে দৌড়ে এসে ঐ খানে ফিনিশিং হত।ক্লাস ৭ থেকে ‘এফ পি’ দেখে আসছি,কিন্তু ‘এফ পি’র সংজ্ঞা বদলে গেল ক্লাস ৮ এর মাঝামাঝি সময়ে।কারন হল ক্লাস ৮ এ আমরা দেখলাম কলেজে একজন ভূগোলের নতুন ম্যাডাম আসলেন,নাম ফরিদা পারভিন।
ফরিদা পারভিন ম্যাডাম সম্পর্কে আমার সিনিওররা অনেক কিছুই আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী বলতে পারবেন ।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন মাঝি ভাই
পদ্মা নদীর মাঝি তো সবাই পড়েছেন। রাশুকে মনে পড়ে; আরে হ্যাঁ, পীতম মাঝির ভাতিজা রাশু। ঐযে কুবিরের মেয়ে গোপীর প্রেমে পড়েছিলো যেই জেলেটা, ওটার কথাই তো বলছি। কুবির তো পদ্মা পাড়ি দিয়ে ময়নাদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছিল; কিন্তু এই ব্যাটা কুকীর্তিবাজ রাশু মিয়ার খবর কি কেউ জানেন নাকী? আমি বরং গরম গরম খবর দেই।
কুবির চলে যাবার পর, গোপীর কাছে তেমন পাত্তা না পেয়ে মনের দুঃখে রাশু পাড়ি জমায় গোমতী নদীর পাড়ে।
বিস্তারিত»এলোমেলো-৬: সিনেমা পারাদিসো
কোন এক সুন্দর সকালে মোকা (মোকাদ্দেস,ককর, ‘৯৪-‘০০) আমার হাতে একটা ডিভিডি ধরিয়ে দিয়ে বলল, “মুভিটা দেখ, তোর ভালো লাগবে”। তখন হলে থাকি, মুক্ত-স্বাধীন জীবন। ঘুরাঘুরি, আনন্দ, গান শোনা আর মুভি দেখার জীবন। ও হ্যাঁ, মাঝে মধ্যে একটু-আধটু পড়াশোনার জীবনও। আমরা একই হলে থাকতাম, রুম ছিল কাছাকাছি। যা বলছিলাম…মোকা সাধারণত “হাই থট”-এর মুভি দেখে, আমাদের মত ম্যাঙ্গো পাবলিকের এন্টেনার উপর দিয়ে চলে যায় এসব ছবি। খুব বোরিং সময় যাচ্ছে আর হাতের কাছে নতুন কোন মুভি নাই- এই ধরণের পরিস্থিতিতে সাধারণত মোকার কাছ থেকে ছবি নেয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প থাকত না।
বিস্তারিত»এই পদ্যের চারটি পদ ও একটি পুচ্ছ রয়েছে
জনৈক ছড়াকারের জন্মদিন আজ
আজকে জনৈক ছড়াকারের জন্মদিন। জন্মদিনের প্রিফেক্ট মাস্ফু ভাই নাকি মিষ্টি খেতে চীন দেশ আছেন আর সেইসাথে চৈনিক বালিকা দর্শনে চা’ওয়ালা রকিবও সেইখানে অবস্থান করছে তাই বাধ্য হয়ে অনেকদিন পর কিবোর্ডে আঙ্গুল চালাতে হচ্ছে।
এই ছেলেটা কে অবশ্য আপনারা সবাই চিনেন। ব্লগের আনাচে কানাচে তার নানা কীর্তি ছড়ানো ছিটানো আছে। শোনা যায় মাসরুফ ভাইয়ের “মাস্ফু” নাম হওয়ার পিছনে তার একটা পোস্টের হাত আছে। অবশ্য এইটা লেখার পর সে মাস্ফু ভাই থেকে কিছু শিখতে পেরেছিল কিনা সেইটা আমাদের জানা নেই 😀
আজকে অবশ্য রাত অনেক হইছে তাই পোস্ট আর বেশী বড় না করি।
বিস্তারিত»অনুবাদ: বব ডিলানের গান
অনুবাদ:
কতশত পথ পার হয়ে তবে
মানুষ, মানুষ হয়?
কত সমুদ্র পেরিয়ে বলাকা
শান্ত শ্রান্তিময়?
আর কতবার কামান-গোলার আগুন ছোঁড়ার পর
রণ-দামামার চির-অবসান হয়?
আই লাভ ইউ, ক্যাডেটস্ !!!
আজ আমার বিশেষ খুশির দিন। কারণটা একটু পরই বলছি। তার আগে একটা গল্প বলি। তবে আগেই বলে নিচ্ছি, এটা শুধুই গল্প, কোন জীবনকাহিনী নয়, বরং জীবনকাহিনীর মত করে লেখা অসংলগ্ন প্রলাপ মাত্র। বাস্তব জীবনের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। 🙂 O:-)
আকাশ। আমার খুব ভালো বন্ধু। দেশের এক স্বনামধন্য ক্যাডেট কলেজ থেকে মাত্র পাশ করে বের হয়েছে, সময়টা ২০০৫ সাল। আমি যখন কোথায়-কিভাবে ভর্তি হব এই নিয়ে টেনশনে দিন-রাত এক করে ফেলছি,
বিস্তারিত»