আজকে স্বপ্ন দেখছিলাম আমার চামড়ার নিচে স্টোমডিয়াম ( তেলাপোকার ডিম) ভর্তি। চুলকালেই ঘামাচির মতন উঠে আসছে। মাঝে মাঝে দুই একটার মধ্যে শিশু তেলাপোকাও আরাম করে বসে থাকে, ছাদ ভাঙ্গলেই বিরক্ত হইয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। অথচ আমি যেই স্বপ্নটা দেখছিলাম সেইটা কিন্তু খুব সুন্দর, মিষ্ট মিষ্ট একটা স্বপ্ন। আমি স্বপ্ন দেখি অনেক লম্বা লম্বা, ( যেইটা আসলে অলস মানুষ হিসেবে আমার বৈশিষ্ট্য) অনেক ডিটেইলে; যদিও ঘুম থেকে উঠার পরে তার খুব কমই মনে থাকে, খালি অনুভূতিগুলা থেকে যায়। আগেরদিন মেরি প্যারি বিন্দু দেখতে দেখতে ঘুমাইসি, মাথায় সেগুলাই পারমুটেশন কম্বিনেশন করে চলসে সারারাত। এমনকি এই ডিমের ঘটনা পুরা গল্পের মধ্যে দশ সেকেন্ডের ফুটেজও কাভার করেনাই, আমি চুলকানোর জন্য হাত দিতে টের পেলাম কি যেন ভেঙে গেল খোসার মতন, তাকিয়ে দেখি স্টোমোডিয়াম, ভিতিরে পোকার ছানা, এইটুকুই। আমি সেটা ফেলতে যাইনাই পর্যন্ত যেন সেটা সেখানেই থাকার কথা! অথচ উঠার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই বাকি সব মুছে গিয়ে সেই স্টোমোডিয়াম ফাটানোর দৃশ্যই মাথার মধ্যে দগদগ করতে থাকলো। আমি যতই তাদের বাদ দিতে যাই তত আরো খুটিনাটি সহ জেঁকে বসতে থাকে, কি বিপদ! পরে বাধ্য হয়ে অন্য স্ট্রাটেজি নিলাম, আমি নিজেই শরীরে তেলাপোকার চাষ করা শুরু করে দিলাম। তাতে চমৎকার কাজ হচ্ছে এখন পর্যন্ত, আমিও তেলাপোকাদের ভালবাসতে শুরু করেছি। আমি নিজেই খুজে খুজে বের করতেসি শরীরের কোথায় কোথায় ডিম পাড়া বাকি আছে সেখানে চাষ করা যাবে কিনা। পরিপক্ক স্টোমোডিয়ামগুলো সরিয়ে বাচ্চাদের বের করছি, তাদের সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত আমি মনে হয় সফল কারন নতুন বের হওয়া পোকাগুলো আর আগের মতন পালানোর চেষ্টা করছেনা বদলে নিজের ঘরে বসেই পা দোলাচ্ছে বা গর্ত করে চামড়া খাচ্ছে, বেশ শান্তু শান্তু পরিবেশ। আগে যেরকম পুরো শরীরজুড়ে ছুটাছুটি করে বেড়াচ্ছিলো সেগুলা এখন একদমই নাই। আমি সবগুলা পোকার আলাদা আলাদা নাম দেয়ার চেষ্টা করসিলাম কিন্তু ব্যাপারটা আসলে মোটেও প্র্যাক্টিক্যাল না। একেতো এরা সংখ্যায় অনেক অনেক অনেক, এত নাম আমার স্টকে নাই, আমি গুনেই শেষ করতে পারিনা এত, তার উপর এরা সবাই এত বেশী হুবহু দেখতে যে নাম দিলেও একজনের থেকে আরেকজনকে আলাদা করা কিভাবে সম্ভব আমার জানা নাই। আমি আধা ঘন্টা চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে দিসি। গুগুল মামাকে জিজ্ঞেস করলাম সে বললো তেলাপোকার ( এমনকি বেশীরভাগ পোকা) আমাদের মতন চেহারা দিয়ে চেনার প্রয়োজন নাই ফলে এরা আসলেই দেখতে একজন আরেকজনের কপি। চেহারার বদলে এরা নিজেদের চেনে গন্ধ দিয়ে। সে যাই হোক, এখন আমার ধান্ধা এদেরকে পোষ মানানো। এরা তো আসলে আমার পোষাই, আমার শরীর খেয়েই যেহেতু বাড়ছে, আমি আর ওরা তো আসলে একই, তাইনা?
২ টি মন্তব্য : “পোষ্য”
মন্তব্য করুন
:bash:
গল্প লেখার একটি অভিনব রূপরেখা পাওয়া গেল!