ব্লগে কিছু লিখতে হলে একটু সময় নিয়ে বসতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই সেরকম সময় করে বসে কিছু লেখার সুযোগ পাচ্ছিলাম না ।সময় হয়তো বের করা কঠিন কিছু ছিল না। এক্ষেত্রে মূল ভিলেন হলো আলসেমি । সপ্তাহান্তে গিয়ে সমস্ত ইচ্ছেশক্তি হারিয়ে ফেলি। ঐ সময় ধূমায়িত কফির মগ হাতে ফুটবল খেলা দেখে বা টিভি সিরিজ,মুভি দেখেই সময় পার করে দেই। তবুও এর মাঝে একটি প্রাক্তন ক্যাডেট দের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু পোস্ট দেই। বিভিন্ন পুরোনো ছবি নিয়ে। আজ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ভাবলাম , আচ্ছা সেই পোস্ট গুলো একত্র করে একটা ছবিব্লগ দিলে কেমন হয়? সাথে আরো বেশ কিছু পুরোনো ছবিও দিয়ে দিতে পারি । মূলত সেই চিন্তা থেকেই আজ এখানে। আমি আজীবন ই ফাঁকিবাজ চরিত্রের মানুষ। তাই ফাকিবাজি পোস্ট দিতে কোন কুন্ঠা বোধ করিনি।
১) কুকুরটার নাম দিয়েছিলাম স্পাইকি ! লোমগুলো স্পাইকের মতো খাড়া ছিল.. স্পাইকি আমাদের ডাইনিং হলের বিস্কুট খেতো বেশ আগ্রহ নিয়ে। পিছনে পিছনে হাটতো লেজ নাড়িয়ে নাড়িয়ে। একাডেমিক ব্লকে আমাদের ক্লাসের বাইরে গার্ডেনে বসে থাকতো। স্পাইকি র সাথে আমার বন্ধুত্ব টিকেছিল মাত্র তিনদিন। এরপর ওকে কখনো দেখিনি। কোথায় খুজবো ? ছোট্ট একটা ক্যাম্পাস। কার কাছে জানি শুনেছিলাম যে বার্ষিক কুকুর নিধন অভিযানের সময় আরো অনেক কুকুরের সাথে স্পাইকি কেও মেরে ফেলা হয়েছিল। স্পাইকি কে আর খুজিনি কোথাও। কি দরকার ! কতো মানুষই তো হারিয়ে যায়.. আর ও তো নেহাতই একটা কুকুর। এই ছবিটা যখন তোলা হয়, তখন আমরা এসএসসি ক্যান্ডিডেট। মিল্কব্রেক এর পর ডায়নিং হল থেকে খাবার নিয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দী হাউজের সামনে জড়ো হয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল স্পাইকি কে খাওয়ানো। ছবিতে আমি টেস্ট পেপারের উপরের আমাদের মিল্কব্রেক এর মেন্যু স্পাইকি কে খাওয়ানোর চেষ্টা করছি।
২) ব্রেকফাস্টে গিয়ে পোলাপান আবিস্কার করলো যে আজ আমাদের জাফরি র জন্মদিন ! জন্মদিন উদযাপন করতেই হবে, কিন্তু প্রবলেম হলো কোনো কেক বা মোমবাতি কিছুই নাই ! তো এখন কি করা? কিন্তু ক্যাডেট কি আর থেমে থাকে !ব্রেকফাস্টে দেওয়া হইছিলো বোম্বে টোস্ট আর কলা.. পোলাপান বোম্বে টোস্ট ছুড়ি দিয়ে কেটে লিখলো HBD আর ১৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাফরির সামনে মোমবাতির বদলে রাখা হলো ১৮ টি কলা ! হয়ে গেল অপ্পা ক্যাডেট ইস্টাইল !সীমাবদ্ধতার মাঝে থেকেও জীবনের সবকিছুতে সবজায়গায় উপভোগ করার যে শিক্ষা ক্যাডেট কলেজ থেকে পেয়েছি তা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগছে।ছবিতে জাফরিকে কলাগুলোর দিকে খুব আগ্রহ সহকারে তাকাতে দেখা যাচ্ছে। হাজার হোক, জন্মদিনের কলা !
৩) ২০০৯ সালের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সোহরাওয়ার্দী হাউজের ইংরেজি ওয়ালপেপার। একেকটা ওয়ালপেপার সাথে অনেক কাহিনী, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। ওয়ালপেপারটা দেখলেই সব ফ্ল্যাশব্যাক স্টার্ট হয়ে যায়। এই ওয়ালপেপার জমা দেওয়ার ডেডলাইন ছিল ২৬শে মার্চ। আমরা সাধারণত কাজ করতাম উপরের কমন রুমে। টিভি ছিল নিচের কমন রুমে। তো, বেশ আগে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল যে এবার করেই হোক নিচের কমনরুমে রাত জেগে কাজ করতে হবে। এতে এক ঢিলে অনেক পাখি মারার বন্দোবস্ত হবে। রাত জেগে কাজ করা হবে, হাউজ মাস্টার স্যার চলে গেলে টিভি দেখা যাবে, আবার জনসমাগম বেশি হলে আসল কর্মীরা কাজ করার উত্সাহ পাবে। কিভাবে কিভাবে যেন হাউজ মাস্টার স্যার কে কনভিন্স করে ফেলেছিলাম। বেশ আনন্দে কেটেছিল ঐ কয়েকটা দিন। একপাশে আর্টিস্ট বন্ধু ও জুনিয়র রা কাজ করতো , আরেকপাশে আমরা ,মানে উত্সাহ পার্টিরা আরএফএল এর প্লাস্টিকের চেয়ারের উপর পা রেখে আরামসে টিভি দেখতাম।
৪) কলেজের লাইব্রেরি কার্ডের কথা মনে আছে কার কার ? পুরোনো এলবাম ঘাটতে গিয়ে লাইব্রেরি কার্ডের ছবিটা পেলাম। ক্লাস সেভেনে ইস্যু হয়েছিল। লাইব্রেরি কার্ড ইস্যু হওয়ার আগে , হুট করে আমার মাথায় একটা চিন্তা ঢুকে। সবার এত সুন্দর সুন্দর পেচানো স্বাক্ষর। আমার ও এরকম একটা ভারিক্কি টাইপের স্বাক্ষর বের করা দরকার। এ নিয়ে তখন বিস্তর গবেষণা চালিয়েছিলাম মনে পরে। ফলাফল সুবিধার হয়নি। ছবিতেই দেখতে পারছেন। শেষমেষ মনের কষ্টে সাধারণ একটা স্বাক্ষর দিয়েই আমাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
৫) ক্লাস ১২ এর শেষ দিকে কলেজ লাইফের শেষ প্রিন্সিপাল প্যারেড করে হাউজে ফেরার সময় হুট করে পোলাপানের মাথায় একটা ঝোক চাপলো। আচ্ছা, ক্লাস সেভেনে আমরা যে ফর্মেশনে দাড়িয়ে নভিসেস প্যারেড করেছিলাম, সেই একই জায়গায় একই ফর্মেশনে এখন কয়েকটা ছবি তুললে কেমন হয়? যেই কথা,সেই কাজ ! চলে গেলাম মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ডায়নিং হলের সামনের সেই নভিসেস প্যারেড গ্রাউন্ডে।ক্লাস সেভেনে যে যে জায়গায় দাড়াতাম, সবাই ঠিক সেই জায়গায় ই দাড়ালাম। তিন জন নেই এখন.. তাই ওদের জায়গা ফাকা রাখা হলো.. আমরা সিরিয়াস থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে পোজ দিলাম,ক্যামেরায় ক্লিক করে সাউন্ড হলো.. মনে রাখার মতো একটা ছবি তোলা হয়ে গেল ! জিসান সবসময় গাইডে দাড়াত। জাহাঙ্গীর স্টাফ সবসময় জিসানকে “জিসান গাইডি” বলে ডাকতেন। এখনো কানে তার হুঙ্কার বেজে উঠে,”হেই জিশান গাইডি , চামড়া ছিলি ফেলবো ! পা, হাইট ”
৬) আর আর নিচের ছবিটা ২০০৪ সালে আমাদের নভিসেস ড্রিলের পর তোলা। ছবিতে একঝাক ছোট বাবু, হাউজ লিডার হাসনাইন ভাই, হাউজ মাস্টার নূরুল হক স্যার, এডজুটেটেন্ট শহীদ স্যার, সিএসএম এমদাদ স্টাফ ,প্রিন্সিপাল রফিক কায়সার ও আমাদের অনেক সাধের কষ্টার্জিত রানার আপ ট্রফিকে দেখা যাচ্ছে।
৭) ২০০৯ সালের দিকে বার্সেলোনায় খেলতেন লিওনেল মেসি,থিয়েরি অরি আর স্যামুয়েল ইতো। মাঠ কাপানো আক্রমণ ত্রয়ী। আমরা রাত জেগে চুরি করে টিভিতে খেলা দেখতাম। পরদিন পেপার স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে ডেইলি স্টারের ম্যাচ রিপোর্ট খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তাম। থিয়েরি অরি আর স্যামুয়েল ইতো গোল করার পর একটা স্পেশাল স্টাইলে সেলিব্রেশন করতেন। তারা গোল দিয়ে দৌড়ে কর্ণার ফ্ল্যাগের দিকে চলে যেতেন। এরপর একসাথে দর্শকদের দিকে একটা স্যালুট দিতেন। এই সেলিব্রেশন টা আমাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল। কলেজে আমাদের ব্যাচের কাছে ফুটবল খেলাটা আসলে শুধু একটা খেলা হিসেবে ছিল না, বরং এটি ছিল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেরই একটা অংশ। জুনিয়র গ্রুপে ফুটবল কম্পিটিশনে আমরা খুব ত্র্যাজেডিক ভাবে হেরে যাই। সেই থেকেই সিনিয়র গ্রুপের ফুটবল কম্পিটিশন নিয়ে আমাদের অনেক প্ল্যান। সেই অনেকগুলো প্ল্যানের একটি প্ল্যান ছিল গোল দেওয়ার পর ইতো ও অরির স্টাইলে একটা সেলিব্রেশন করা। দুইটা ম্যাচই আমরা জিতি। একটা ৪-১ গোলে , আরেকটা ৩-১ গোলে। প্রথম ম্যাচেই গোল দেওয়ার পর আমি, জোবায়ের আর জাফরি দৌড়ে চলে যাই দর্শক সারির সামনে। তারপর দিয়ে দেই সেই অরি-ইতো স্যালুট। তখন ই কোনো এক উত্সাহী বন্ধু ক্লিক করে ছবিটা তুলে ফেলে।
৮) ক্লাসরুমে আমাদের শেষ ক্লাস করার পর ছেলে পিলে হুট করে খুব ইমোশনাল হয়ে যায়। আমরা একাডেমিক ব্লকে প্রচুর মৌজ মাস্তি করতাম। বিষণ্ন ছেলেরা আবেগপ্রবণ হয়ে বোর্ডে গিয়ে হাবিজাবি লেখা শুরু করে। ফর্মের সবাই লিখেছিল বলে মনে পরে। অনেকটা ফেয়ারওয়েল নোট টাইপ। যাওয়ার আগে সেটার একটা ছবি তুলে রাখা হয়।
৯) আর টিভি রুমে চুরি করে রাতের বেলা খেলা দেখার অনেক গল্পই করি। ব্যাপারটা কেমন ছিল, তা বোঝার জন্য একটা ছবি দিয়ে দিলাম নমুনা হিসেবে। সাধারনত আমরা টিভি নিচে নামিয়ে ফেলতাম। টিভি রুমে পর্যাপ্ত পরিমান কম্বলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হতো ও সেগুলো দিয়ে জানালা ঢেকে দিয়ে নিরাপদ পরিস্থিতিও তৈরী করা হতো , যাতে নৈশপ্রহরীরা বাইরে থেকে কোনো অযাচিত আলো দেখতে না পায়। এই ছবিটা ২০০৮ সালের কোনো এক চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচের সময় তোলা।
১০) এথলেটিক্স তো সব কলেজেই জমজমাট একটা ইভেন্ট। আমাদের কলেজেও এথলেটিক্স এর সময় টুকু সবসময় ই সেরা সময়। এই ছবিটা আমার পার্সোনাল ফেভারিটের একটা। হাউজ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে অনেক ব্যাচেই অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। সৌভাগ্যবশত আমাদের ব্যাচে এরকম কিছু ঘটেনি। হাউজকে চ্যাম্পিয়ন সবাই করতে চেয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি কেউ করেনি। অবশেষে এথলেটিক্স ফাইনাল ডে তে পুরস্কার বিতরণীর পালা। ওভারঅল চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি চিফ গেস্টের কাছ থেকে নিয়ে এসে তখন কেবল বসলাম। ট্রফি টার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। আর ভাবছিলাম এই সেই “দি এপল অফ ডিসকর্ড” । ঠিক তখনি মনে হয় রাফি ছবিটা তুলে। চিফ গেস্ট তখন বক্তৃতা দিচ্ছিল। বসে ছিলাম আর ভাবছিলাম। হয়তো এধরণের চ্যাম্পিয়ন শিপ গুরুত্বের দিক দিয়ে কিছুই না, তবুও আমার কাছে ওটা একটা সাধারণ পিতলের ট্রফির চেয়েও বেশি কিছু ছিল। ওই বসে থাকা ৯/১০ মিনিট ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর মুহূর্ত। প্রথম বারের মতো নিজেকে সত্যিকার অর্থেই কনফিডেন্ট লাগছিল। আজ জীবনে যতোটুকু এগুতে পেরেছি ,তার মূলে হলো সেই ৯/১০ মিনিটের চিন্তা আর সেই অনুধাবণের মাধ্যমে অর্জিত আত্মবিশ্বাস।
১১) ফাকিবাজি ব্লগের সমাপ্তি টানছি একটা মুড়ি মার্টির ছবির মাধ্যমে। এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। মুড়ি পার্টির স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। রাত ১ টার পরে উপরের বক্স রুমে এই মুড়ি পার্টিটা হয়েছিল। তখন আমরা এসএসসি ক্যান্ডিডেট। অল্টারনেট সিনিয়র দের কাছে সবেমাত্র ফ্রি নেস পেলাম। পার্টিতে আমাদের ব্যাচ, ক্লাস ইলেভেন ও ক্লাস টুএলভ ছিল। পুরোই জমজমাট অবস্থা ছিল। ছবিগুলোর কোয়ালিটি অতটা ভালো না ! সেই ৫/৬ বছর আগে তোলা। তখন তো আর ডিএসএলআর এর যুগ শুরু হয়নি। আশা করি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর বন্ধু রাফি আর জাফরির একাউন্ট থেকে বেশ কিছু পুরনো ছবি মেরে এই ফাকিবাজি পোস্টে দিয়ে দিয়েছি। তাই, তোদের ফর্মালি ক্রেডিট দিলাম। এবার তোরা মুড়ি খেতে পারিস !
আসলে যখন পোস্ট লিখা শুরু করছিলাম , তখন ৪/৫ টার বেশি ছবি দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না ! ভাবছিলাম এতো কষ্ট করে লিখে কি হবে? তাই, শুরুতেই নাম দিয়ে দিয়েছিলাম ফাকিবাজী পোস্ট। পরে কেন জানি ১১ টার মতো ছবি শানে নুজুল সহ দিয়ে দিলাম। ঘোরের মাঝে ছিলাম মনে হয় ! নাম টা আর চেঞ্জ করতে ইচ্ছে করলো না ! সঞ্চয়িতার নাম নাকি ঠাকুর সাহেব আসলে সঞ্চিতা দিতে চেয়েছিলেন। ছাপাখানায় ভুল করার পর, উনি বললেন,” বাছা ! এতগুলো ফর্মা ছাপা হয়ে গেছে, হুমম ! সঞ্চয়িতা ই সই.. ” আমিও ঠাকুর সাহেবের মতো একটু পার্ট নিয়ে মনে মনে বললাম,” ১১ টা ছবি দিয়েছি তো, কি হয়েছে? ইহা , অবশ্যই একখানা ফাকিবাজী পোস্ট। আমার নিয়ত তো ছিল ডজ মারার। ”
পরথম! :tuski: :tuski:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
অভিনন্দন ! সিক্স উইক এক্সামের ধাক্কা সামাল দিয়ে এসে পোস্ট দিয়েই দিলাম 🙂
সাবাশ। চলতে থাকুক লেখা! আমি নিজের ফটো নিয়া গবেষণা করি। নারসিসিজমের চূড়ান্ত! ;))
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সেলফি তুলেন নাকি? 😀
ছবি তো দেখে ফেলসো এতোক্ষণে। এইটা তোলার আগের গবেষণাগুলা দেখলে পুলাপান পচায় গাছে তুলে ফেলবে নিশ্চিত! 😛 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভাল্লাগসে রে!! শালা, নস্টালজিক বানাইয়া দিলি।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
নস্টালজিক হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপাদেয় !
ছবিগুলো ভাল লেগেছে।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ধন্যবাদ আহমদ ভাই !
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
মুড়ি মাখা খাইনা চাইর বৎসর হইল বলে!! :-/
বাজে ডাউট ! খাস নাই কেন ? 😕
টেক্সাসে বসে মুড়ি মাখা খান নাই সাহেব লাগাতার ফনটোল শুরু করেন! x-(
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
নাফিস ভাইয়া, তোমার ছবিগুলো দেখে আবারো নিজের ক্যাডেট কলেজের পুরাতন দিনের কথাগুলো মনে পড়ে গেলো।সত্যি এক একজন ক্যাডেটের কাছে এই ছবিগুলোর মূল্য অনেক এবং অবশ্যই দুর্লভ।১০বছর পর মনে হবে এই ছবিগুলো অমুল্য।কারন এখন হয়তো কাউকে না কাউকে পাশে পাচ্ছ বা দেখা করার সুযোগ আছে কিন্তু দিনে দিনে আস্তে আস্তে সবাই আরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে।সবাই আরো দূরে চলে যাবে।তখন এই ছবিগুলোই স্মৃতি রোমন্থন করার একমাত্র উপায় হবে। সম্ভব হলে যত পারো এই ছবিগুলো সেভ করে রেখো।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সিরাজ ভাই, সত্যি কথা বলতে কি ওই পরের ছড়িয়ে যাওয়া স্টেজ টা আমার জীবনে একটু আগেই চলে এসেছে। হয়তো কিছুদিন পরে দেশে ফেরার পর সবাইকে কাছাকাছি পাবো। রিভার্স অর্ডার ! হ্যা, ছবিগুলো রাখা আছে সযত্নে। আমার আম্মুর কণ্ঠস্বর ও আর ক্যাডেট কলেজ লাইফের ছবি হলো আমার যেকোনো বাজে সময়ের অনুপ্রেরণা।
খুব্বি ভাল্লাগলো। ফাঁকিবাজী পোস্ট হয় নাই। মুড়ি পার্টির ছবি দেখেই পুরাই নস্টালজিক। একবার হাউজমেটদের নিয়ে করা মুড়িপার্টির কিছু ছবি দেখে আমার বড়বোন বলসিল, এইখানে কি পুরা কলেজকে খাওয়ানোর জন্য মুড়ি মাখানো হইসে??
চানাচুর মাখানোটা একটা শিল্প ছিল কলেজে। আমি এমনকি ঝালমুড়িওয়ালার মুড়িতেও সেই মজা পাই না। আমার রুমমেট অসাম চানাচুর মাখাত। আর হাউজ ম্যাগাজিন, সেই ম্যাগাজিন নিয়ে যে কত কি...সবটুকু ভালবাসা দিয়ে এই ম্যাগাজিন বানাইতাম আমরা, কত রাত, কত মানুষ, কত স্মৃতি...জন্মদিন, হাউজ কম্পিটিশন...আহ, নাফিস মিয়া, নস্টালজিক বানায়া দিলা...
অনেক ধন্যবাদ সামিয়া আপু ! ইমোশোনাল অত্যাচার করে মজা পাই ! 😛
আর আসলে যখন পোস্ট লিখা শুরু করছিলাম , তখন ৪/৫ টার বেশি ছবি দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না ! ভাবছিলাম এতো কষ্ট করে লিখে কি হবে? তাই, শুরুতেই নাম দিয়ে দিয়েছিলাম ফাকিবাজী পোস্ট। পরে কেন জানি ১১ টার মতো ছবি শানে নুজুল সহ দিয়ে দিলাম। ঘোরের মাঝে ছিলাম মনে হয় ! নাম টা আর চেঞ্জ করতে ইচ্ছে করলো না ! সঞ্চয়িতার নাম নাকি ঠাকুর সাহেব আসলে সঞ্চিতা দিতে চেয়েছিলেন। ছাপাখানায় ভুল করার পর, উনি বললেন," বাছা ! এতগুলো ফর্মা ছাপা হয়ে গেছে, হুমম ! সঞ্চয়িতা ই সই.. " আমিও ঠাকুর সাহেবের মতো একটু পার্ট নিয়ে মনে মনে বললাম," ১১ টা ছবি দিয়েছি তো, কি হয়েছে? ইহা , অবশ্যই একখানা ফাকিবাজী পোস্ট। আমার নিয়ত তো ছিল ডজ মারার। " :awesome: (সম্পাদিত)
আহ! :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:teacup: হয়ে যাক এবার তাহলে !
যুগে যুগে একই কাহিনী, একই বাঁদরামি -- আ হা!
এইটারে যদি ফাঁকিবাজি পোস্ট বলো তাইলে আমার পোস্টগুলাকে কি বলবা?
😛
হা হা ! 😀 এই সব পোস্ট হইলো বালতিতে রাখা পানি, আর আপনার কবিতা হলো জমায়িত বরফ ! 🙂
ফুটবল কম্পিটিশনের ওই ছবিটায় ৫,৬,৭ নম্বর জার্সি পরপর পাশাপাশি অনেকটা কাকতালীয় ভাবে চলে আসছিল।। এই সেলিব্রেশন টা আজীবন মনে থাকবে... :boss: :clap:
মজা পাইছিলাম অনেক ম্যাচ দুইটা জিতে ! 🙂
অসাধারণ